
১৯৭১ এ দুটি ঘটনা চিরস্মরণীয়। একটি ভারতের কল্যাণে পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ। অন্যটি অবশ্য একেবারেই অন্য জগতের | ক্রিকেটের জগতে প্রবেশ প্রবাদপ্রতিম পুরুষ সুনীল গাভাস্কার | ভারতীয় ক্রিকেট মানেই তখন ছিল অন্য একটি দেশের সঙ্গে খেলা এবং দু-একটি ম্যাচে দেশের মাঠে তৎকালীন অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল নিউজিল্যান্ডকে হারানো। কিন্তু বিদেশের মাঠে সিরিজ জয় ছিল অসম্ভব | কিছু খেলোয়াড় তো নিশ্চই ছিলই, কিন্তু বিশ্বমানের নয় | বিজয় হাজারে থেকে বিজয় মার্চেন্ট, কিংবা লালা অমরনাথ থেকে বিন্নু মাঁকড়| এবাংলা থেকে একমাত্র শিবরাত্রির সলতে পঙ্কজ রায় | কিন্তু তখন বিশ্ব ক্রিকেট একাদশ তৈরি হলে ভারতীয় দলের কেউ সুযোগ পেত কিনা সন্দেহের | তখন দাপটে খেলছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বেসরকারিভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা | দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারিভাবে বিশ্ব ক্রিকেটে অংশ নিতে পারতো না। কারণ তাদের বিরুদ্ধে বর্ণ বিদ্বেষের অভিযোগ ছিল | অবশ্য তখন শ্রীলংকা বা বাংলাদেশ সরকারি দল ছিল না |
এই ১৯৭১ এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরকারী দলে সুযোগ আসে সুনীল গাভাস্কার নামে মুম্বইয়ের এক নতুন খেলোয়াড়ের | গেলেন এবং জয় করলেন | ওই প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম জয় ও সিরিজ জয় পায় ভারত | গাভাস্কার জীবনের প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি না পেলেও দুই ইনিংসে করেন ৬৭ ও ৬৫ | তারপরই পরপর টেস্টে সেঞ্চুরি, ডবল সেঞ্চুরি ইত্যাদি | এরপর ইংল্যান্ড সফরে ফের দারুণ ব্যাটিং এবং সিরিজ জয় | বলা হয়, সানির হাত ধরেই স্বর্ণযুগের শুরু ভারতীয় ক্রিকেটে | জীবনে বহু টেস্ট খেলেছেন, তার সঙ্গে অধিনায়কও ছিলেন তিন দফায় | খর্বকায় ছিলেন বলে তাঁকে লিটল মাস্টার বলে ডাকা হতো | ২৯ টি সেঞ্চুরি সহ ১০ হাজারের উপর রানের রেকর্ড করেন তিনি | এক দিবসীও ক্রিকেটেও তিনি খেলেন এবং একটি সেঞ্চুরি রয়েছে | তাঁর নেতৃত্বে ভারত মিনি বিশ্বকাপ জয় করে ১৯৮৫ তে | ১৯৮৩ র বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি | ১৯৮৭ এ খেলা থেকে বিদায় নেন তিনি, কিন্তু ক্রিকেট জগৎ থেকে নয় | তারপর তিনি পাকাপোক্ত জায়গা করে নেন কমেন্ট্রি বক্সে | আজও বিদ্যমান তিনি সুবক্তা হিসাবে