
ভারতীয় ক্রিকেটে বরাবরই মুম্বাইয়ের একটা প্রতিপত্তি ছিল | আজ নয় ব্রিটিশ যুগ থেকে | অবশ্য পরবর্তী অধ্যায়ে দিল্লিও এর মধ্যে ঢুকে পরে | তখন দেখা যেত হয় মুম্বাই অথবা দিল্লি থেকেই অধিনায়ক হচ্ছে দলের | ৬০ এর দশকে ভারতের অধিনায়ক ছিলেন নরি কন্ট্রাক্টর | তিনি মুম্বাইয়ের ছিলেন এবং যেহেতু তিনি মুম্বাইয়ের ছিলেন তাই মহারাষ্ট্র দলের সিনিয়ার ক্রিকেটার চান্দু বোঁর্দেকে বাদ দিয়ে সহ অধিনায়ক করা হলো নবাগত ২১ বছরের পাতৌদিকে | মাথায় চোট পেয়ে কোট্রাক্টর দলের বাইরে গেলে অধিনায়ক হন পাতৌদি এবং সহকারী হন বোঁর্দে | ৭০ দশকের গোড়ায় চান্দু খেলা ছেড়ে দিলে সহ অধিনায়ক করা হয় মুম্বাইয়ের অজিত ওয়াদেকরকে | ৭১ এ পাতৌদি দল থেকে বাদ পড়লে ওয়াদেকরকে অধিনায়ক করা হয় এবং সহকারী করা হয় দিল্লির বিষেন সিং বেদির |
এই মিথ চলে গাভাস্কারের আমলেও | তিনি অধিনায়ক হলে হরিয়ানার কপিলদেবকে সহকারী করা হয় | কপিল আবার দিল্লির বাসিন্দা | কপিলকে পুরোদস্তুর অধিনায়ক করা হলে সহকারী করা হয় মুম্বাইয়ের দিলীপ বেঙ্গসরকারকে | এই মিথটি ভেঙে যায় আজহারউদ্দিন অধিনায়ক হওয়ার পর | কিন্তু এখানেও সংকট, আজাহার অধিনায়ক হয়েই সমস্ত পুরাতনদের একে একে ছেঁটে বাদ দিয়ে দেন | তিনিই হয় ওঠেন সর্বেসর্বা | এতে ক্রিকেটের কি সুবিধা হয়েছিল পরের কথা কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বেটিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পরে |
পরিবর্তন এবং গণতন্ত্র আসে সৌরভ গাঙ্গুলি অধিনায়ক হওয়ার পর | তারপর ধোনি ওই সংস্কৃতি ধরে রাখেন | ভারত বিশ্বকাপ জেতে |
আজ ফের ওই দিল্লি মুম্বাইয়ের কাঁটাকাঁটি শুরু হয়েছে কোহলি এবং রোহিতের যুগে |