ভারতীয় ফুটবলে প্রথম গোল বিশ্বকাপার জেসন কামিন্সের। জোড়া গোল আনোয়ার আলির। ডার্বির দুঃস্বপ্ন পেরিয়ে ফের জয়ে ফিরল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। যুবভারতীতে এএফসি কাপের ম্যাচে নেপালের ক্লাব মাচিন্দ্রাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে মাঠ ছাড়ল জুয়ান ফেরান্দোর দল।
ম্যাচের আটতিরিশ মিনিটে আনোয়ারের গোলে লিগ পেয়েছিল সবুজ-মেরুন। এদিন হুগো বুমো এবং অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার জেসন কামিন্সকে সামনে রেখেই দল সাজান স্প্যানিশ কোচ ফেরান্দো। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৯ মিনিটে মোহনবাগান ম্যাচে ২-০ করে কামিন্সের গোলে।
গতি বিপরীতে গিয়ে ম্যাচে ব্যবধান কমায় নেপালের এই দল। ৭৮ মিনিটে গোল করে দেয় তারা। কিন্তু মোহনবাগানের হয়ে তৃতীয় গোল সেই আনোয়ার আলির। ৮৬ মিনিটেই তিন-এক গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে সবুজ-মেরুন। এই জয়ের ফলে ২২ অগাস্ট মোহনবাগান তাদের পরের ম্যাচ খেলবে। প্রতিপক্ষ ঢাকার আবহনী ক্রীড়াচক্র।
ডুরান্ড কাপের নক-আউটে ইস্টবেঙ্গল। বুধবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ পঞ্জাব এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল লাল-হলুদ। ম্যাচের একমাত্র গোল স্প্যানিশ ফুটবলার সিভেরিও-র। তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে নক-আউটে উঠল লাল-হলুদ।
চার বছর ডার্বি জয়ের পর এদিন ডুরান্ড কাপের এই ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। ডার্বি জয়ের পর অবশ্য কলকাতা লিগে পুলিশকে হারিয়েছিল লাল-হলুদ। তবুও এই ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের বিশেষ উন্মাদনা ছিল। ম্যাচের ২০ মিনিটে প্রথমে ফ্রি-কিক, সেখান থেকে কর্নার পায় ইস্টবেঙ্গল। সেই কর্নার থেকেই হেডে গোল করেন সিভেরিও।
প্রথম ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় ডার্বিতে খেলেননি নিশু কুমার। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে তিনি দলে ফিরেছেন। তবে এদিন ডার্বি পরবর্তী ডুরান্ড কাপের এই ম্যাচে কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম ভরিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। ৯০ মিনিটে সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে পারেননি লাল-হলুদ ফুটবলাররা।
এবার আইএসএল খেলবে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। অন্তত এমনটাই ইচ্ছা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের নতুন তাঁবুর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে মহমেডানকেও আইএসএল খেলতে হবে। এমনকি গ্যালারি সংস্কারের জন্য ক্লাবকে ৬০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
রাজবাড়ির আদলে লোহার কাঠামো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মহমেডানের নতুন তাঁবু। সেখানে রয়েছে, ট্রফি ক্যাবিনেট, ক্লাবের নানা সাফল্যের ছবি, নতুন সাজঘর।
এই তাঁবুর উদ্বোধনে গিয়েই ক্লাবকে আইএসএল খেলার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান আইএসএলে খেলছে। মহমেডান কেন খেলবে না? এমনকি ক্লাবের দেশ-বিদেশে থাকা সমর্থকদের টাকাতেই ক্লাবকে আইএসএল খেলার পরামর্শ দেন তিনি। এরপর তিনিও ক্লাবের হাতে ৬০ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়ার ঘোষণা করেন।
বিশ্বকাপ জয়ের নায়ককে আবার ফিরিয়ে আনতে সফল হল ইংল্যান্ড। একদিনের ক্রিকেটে অবসর ভেঙে ফের মাঠে ফিরছেন বেন স্টোকস। খেলবেন ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপও। তার আগে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে দেখা যাবে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ককে।
চার বছর আগে বিগ বেনের বিক্রমে লডর্সের মাটিতে ঐতিহাসিক ভাবে বিশ্বকাপ জিতেছিল ইয়ন মর্গ্যানের ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্টোকসের সেই লড়াই এখন রঙিন প্রতিটি ব্রিটিশের মনে। কিন্তু হঠাৎ করেই নিজেকে ৫০ ওভারের ক্রিকেট থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন স্টোকস। দাবি করেছিলেন, তিনি মোটর গাড়ি নন।
ব্রিটিশ মিডিয়া দাবি করে সম্প্রতি ইংল্যান্ডের একদিনের অধিনায়ক জস বাটলারকে একদিনের ক্রিকেটে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন স্টোকস। সেই মতো, বিশ্বকাপের আগে অবসর ভাঙিয়ে ফিরিয়ে আনা হল বিগ বেনকে।
অনুরাগীদের অপেক্ষার অবসান। ২২ গজে ফিরেই ছক্কা হাঁকালেন ঋষভ পন্থ। দুর্ঘটনার দীর্ঘ আট মাস পর মাঠে নামলেন টিম ইন্ডিয়ার তরুণ উইকেট কিপার। আর মাঠে ফিরেই চেনা ছন্দে ছক্কাও মেরেছেন। যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে মুহূর্তেই।
বেঙ্গালুরুর এনসিএতে চলছে ঋষভের রিহ্যাব পর্ব। গতকাল অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের দিন মাঠে ফিরেছেন ঋষভ। আর ফিরতেই এক্কেবারে ফর্মে ফিরে এসেছেন তিনি। যা দেখে বেজায় খুশি ভক্তরা।
গত বছর ৩০ ডিসেম্বর ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়েন পন্থ। এরপর একাধিক সার্জারি হয়েছে তাঁর। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। জারি ছিল লড়াই।
বুধবার ডুরান্ডে ফের ইস্টবেঙ্গল। কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ পঞ্জাব এফসি। ডার্বি জয়ের পর এখন দুটি প্রশ্ন লাল-হলুদ সমর্থকদের মনে। আর তা-হল কোন অঙ্কে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে তাঁদের দল।
অঙ্ক খুব পরিষ্কার। এদিনের ম্যাচে পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে জিতলেই নক-আউটে উঠবে ইস্টবেঙ্গল। সেক্ষেত্রে এই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসাবে নকআউটে উঠতে হলে অপেক্ষা করতে হবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে। কারণ, পঞ্জাবকে হারালে সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থেকেই নকআউটে উঠবে কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল।
লাল-হলুদ সমর্থকদের দ্বিতীয় প্রশ্ন এদিন কী বল পায়ে দেখা যাবে ক্লেটন সিলভাকে? পঞ্জাব ম্যাচে আগে যা ইঙ্গিত তাতে এদিন বল পায়ে নামতে পারেন ব্রাজিলীয় এই ফুটবলার।
এমনকী পরখ করা হতে পারে লাল-হলুদে যোগ দেওয়া আর এক স্প্যানিশকেও। তবে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের এই ম্যাচ থেকে একটাই টার্গেট। তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়া। লিগে একটি ম্যাচ খেললেও ডার্বির পর ডুরান্ডে এই ম্যাচ খেলতে নামছে লাল-হলুদ
ছুটতে ছুটতে হঠাৎ শট। প্রায় তিরিশ গজ দূর থেকে নেওয়া সেই শটেই ইন্টার মায়ামিকে লিগ কাপের ফাইনালে তুলল লিও মেসির বাঁ-পা। সেমিফাইনালে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নকে চার-এক গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠল ডেভিড বেকহ্যামের দল। বাকি গোলকে ছাপিয়ে ম্যাচের সেরা গোল হয়ে থাকল মেসির দূরপাল্লার শটে নেওয়া এই গোল।
চোট পেয়েছিলেন। ম্যাচের আগে খেলবেন কীনা, তা নিয়ে ছিল জল্পনা। কিন্তু মার্কিন মুলুকু মেসি ম্যানিয়া চলছে। নতুন ক্লাবের হয়ে গত ৬টি ম্যাচে ৯টি গোল করে ফেললেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। খুব অল্প সময়ে ইন্টার মায়ামির তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি।
ফিলাডেলফিয়ার বিরুদ্ধে লিগ কাপের সেমিফাইনালে প্রথম ৪৫ মিনিটেই তিন-শূন্য গোলে এগিয়ে ছিল ইন্টার মায়ামি। গোল করেছিলেন মেসি, মার্টিনেজ এবং জোর্ডি আলবা।
স্বাধীনতা দিবসের দিন শোকের ছায়া নেমে এল ফুটবল মহলে (Football)। প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার মহম্মদ হাবিব। কলকাতা ময়দান হারাল 'বড়ে মিঞা'-কে। ষাট ও সত্তরে দশকে কলকাতা ফুটবলের অন্যতম বড় তারকা ফুটবলার ছিলেন তিনি।মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসে বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ হায়দরাবাদের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি ফুটবলার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
দীর্ঘদিন ধরে অ্যালঝাইমারে ভুগছিলেন হাবিব। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৬-এর মধ্যে হাবিব ভারতের হয়ে বহু আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে মাঠে নামেন। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাঁকে। ২০১৯ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। হায়দরাবাদে জন্ম হলেও তাঁর পুরো ফুটবল জীবনই কেটেছে কলকাতায়।
১৯৬৬ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। নবাবের শহরে জন্ম বলে কলকাতা ময়দানে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘বড়ে মিঞা’ নামে। তারপরে যোগ দেন মোহনবাগানে। বেশিরভাগ সময় ইস্টবেঙ্গলের হয়েই ফুটবল খেলেন তিনি। মাঠে নেমেছেন মহামেডানের হয়েও। ১৯৮৪ সালে মোহনবাগানের হয়ে খেলার পরেই অবসর নেন হাবিব। ফুটবলার হিসাবে অবসর নেওয়ার পর টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমিতে কোচিং করিয়েছিলেন হাবিব।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারের দায় নিজের ঘাড়েই নিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। তাঁর কথায়, হার-জিত একটা প্রক্রিয়ার অঙ্গ। সেটা থেকে শেখাই আসল। ভুল থেকেই শিক্ষা নিতে হবে। সেই শিক্ষা নিয়েই তাঁরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, রবিবারের ম্যাচে ব্যাটিং ও বোলিং দুই দিক থেকেই ব্যর্থ ভারত। ৮ উইকেট বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ম্যাচের হার্দিক সংবাদমাধ্যমকে ভারতের হারের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। মূলত, ব্যাটিংকেই দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর ব্যর্থতার কথাই উল্লেখ করেছেন। হার্দিক বলেন, "প্রথম দশ ওভারের পরেই আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম। বিশেষত আমি ব্যাট করতে আসার সময়। আমি আসার পর রানের গতি কমে যায়। যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে খেলতে পারিনি। যার মাশুল দিতে হল।'
হার্দিক আরও বলেন,'আমি মনে করি নিজেদের পরীক্ষার মধ্যে ফেলা উচিত। এই ধরনের ম্যাচগুলোয় করা ভুল থেকেই শিক্ষা নিতে হবে আমাদের।' একইসঙ্গে তিনি এদিন তরুণ ক্রিকেটারদের প্রশংসাও করেন।
উল্লেখ্য, চতুর্থ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দাপটের সঙ্গে খেলে সিরিজে সমতা এনেছিল ভারত। কিন্তু, রবিবার নির্ণায়ক ম্যাচে হার মানতে হল হার্দিকদের। ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে সিরিজ না জিতেই ফিরতে হচ্ছে ভারতকে।
১৭ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কোনও সিরিজ হেরে দেশে ফিরছে ভারতীয় দল। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ যারা এবার বিশ্বকাপও খেলবে না। আমেরিকার মাটিতে সিরিজ হারের পরেই ব্যাটারদের কাঠগড়ায় তুলেছেন ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
তিনি জানিয়েছেন, এই সিরিজে সব ব্যাটারদের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কারণ, বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজ ছিল নিজেদের প্রমাণ করার। কিন্তু দ্রাবিড় স্বীকার করছেন, ব্যাটাররা নিজেদের পারফরম্যান্স করতে পারেননি।
এর আগে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সিরিজ হারের জন্য নিজের কাঁধেই দায় নিয়েছেন ভারত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি জানিয়েছিলেন, গোটা সিরিজে যা ভুল, তার সব দায় তাঁর। ম্যাচ শেষে ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড়ে দাবি, ব্যর্থতার পাশাপাশি সাফল্যও রয়েছে। সেই কারণে যশস্বী, অর্শদীপদের পারফরম্যান্স তাঁকে মুগ্ধ করেছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ। এবার আয়ারল্যান্ড সফর। যে সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে। রবিবার সেই খবরে সিলমোহর বসিয়েছে বিসিসিআইও। আয়ারল্যান্ডে ক্যাপ্টেন বুমরার কোচ ভিভিএস লক্ষ্মণ।
একদিকে হকি, আরেকদিকে ক্রিকেট। শনিবার ছিল ভারতীয়দের জন্য গর্বের দিন। এদিন, হকি চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। হকির পাশাপাশি, ক্রিকেটেও বাজিমাত করল ভারতীয় দল। ৯ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত। আজ, পঞ্চম ম্যাচেই জানা যাবে, কে অবশেষে জিতবে সিরিজ।
এদিন ভারতের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যার ফলে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। যদিও, যশস্বী ও শুভমনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শেষপর্যন্ত জয় এনে দিল ভারতকে। দু'জনেই অর্ধশতরান করেন। ১৮ বল বাকি থাকতেই ১৮০ রানে টার্গেট পূরণ করলেন হার্দিক পাণ্ডিয়ারা।
শনিবার টসে জিতে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুটা ভালই করেছিলেন ক্যারিবিয়ানরা। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন ওপেনার কাইল মেয়ার্স ও ব্রেন্ডন কিং। কিন্তু, পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই দু'জনের উইকেট তুলে নেন আর্শদীপ সিং।
কুলদীপের বোলিংয়ে এক ওভারেই দু'টি উইকেট পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শেষ পর্যন্ত দলকে এগিয়ে নিয়ে যান শিমরন হেটমেয়ার। অর্ধশতরান করেন তিনি। শেষ ওভারে ৬১ রান করে আউট হন হেটমেয়ার। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচে আরশদীপ ৩টি, কুলদীপ ২টি এবং ১টি করে উইকেট নেন অক্ষর পটেল, যুজবেন্দ্র চহাল ও মুকেশ কুমার।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল ভারত। যশ্বসী-শুভমনের জুটিতে ১০ ওভারের মধ্যেই ১০০ রান পেরিয়ে যায় ভারত। প্রায় শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন তাঁরা। যদিও, শেষদিকে আউট হয়ে যান শুভমন। ৪৭ বলে ৭৭ রান করেন তিনি। ব্যস আর কোনও উইকেট পড়েনি ভারতের। ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন যশ্বসী। শেষপর্যন্ত ৯ উইকেটে ম্যাচ জেতে ভারত।
লাল হলুদের ঝড়ের নাম ইস্টবেঙ্গল। বৃষ্টির মরশুমে এমনই ঝড়ের সাক্ষী থাকল কলকাতা। নিজেদের হাফ থেকে ছিটকে আসা একটা বল। সেই বল থেকেই তারকা খচিত মোহন বাগান ডিফেন্সকে নরিয়ে দিলেন অখ্যাত নন্দকুমার। ম্যাচের বয়স তখন ৬০ মিনিট। ওড়িশার এই ছেলেটার বাঁ পায়েই প্রায় দেড় হাজার দিন পর ভারতীয় ফুটবলের সবথেকে বড় ম্যাচ জিতল ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপে মোহন বাগান সুপার জায়ান্টকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। শুধু জয় নয় নন্দকুমারের পায়েই ন-বছর পর ডার্বিতে গোল করল ইস্ট বেঙ্গল।
টানা ৮ ডার্বি জিতে শনিবার যুবভারতীতে নেমেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সমর্থকরা দেখতে গিয়েছিলেন তারকা খচিত সবুজ মেরুনকে। বাগান কোচ জুয়ান ফেরেন্ডো তাঁর প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন কয়েকজন তারকাকে নিয়েই। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অনিরুদ্ধ থাপা, আরমান্দো সাদিকু।
উল্টোদিকে ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিস কোচ ডার্বির দল সাজাতে গিয়ে ভরসা করেছিলেন দুই ভারতীয় নন্দকুমার ও মহেশের উপর। সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছিল বোরহা, তোরোর মতো স্পনিসকে। প্রথম ৪৫ মিনিটে ম্যাচের নিরিখে এগিয়েছিল মোহনবাগান।
৫৯ মিনিটে নিজেদের মিডফিল্ড থেকে হঠাৎ করেই একটি লং শট করেন বাগান ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি,যা অল্পের জন্য ইস্টবেঙ্গলের গোল লক্ষ্য় ভ্রস্ট হয়। নড়ে বসে যুবভারতী। এর পরেই নিজেদের ডিফেন্স থেকে ছিটকে আসা একটি বলকে মোহনবাগান মাঝমাঠ থেকে পিক আপ করেন নন্দকুমার। প্রায় ৩৫ গজ ছুটে এবং বাঁ পাশে দেশের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার অনিরুদ্ধ থাপাকে রেখে মোহনবাগান টপবক্স থেকে ম্যাচ ফিনিস করে দেন ২৭ বছরের এই যুবক। ৬০ মিনিটের মাথায় গোল খেয়ে চাপ বাড়াতে ভাঁড়ার থেকে নিজেদের সেরা অস্ত্রগুলো মাঠে নামান বাগান কোচ।
৫৯ মিনিটে নিজেদের মিডফিল্ড থেকে হঠাৎ করেই একটি লং শট করেন বাগান ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি,যা অল্পের জন্য ইস্টবেঙ্গলের গোল লক্ষ্য় ভ্রস্ট হয়। নড়ে বসে যুবভারতী। এর পরেই নিজেদের ডিফেন্স থেকে ছিটকে আসা একটি বলকে মোহনবাগান মাঝমাঠ থেকে পিক আপ করেন নন্দকুমার। প্রায় ৩৫ গজ ছুটে এবং বাঁ পাশে দেশের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার অনিরুদ্ধ থাপাকে রেখে মোহনবাগান টপবক্স থেকে ম্যাচ ফিনিস করে দেন ২৭ বছরের এই যুবক। ৬০ মিনিটের মাথায় গোল খেয়ে চাপ বাড়াতে ভাঁড়ার থেকে নিজেদের সেরা অস্ত্রগুলো মাঠে নামান বাগান কোচ।
ম্যাচের ৮১ মিনিটে দিনের সবথেকে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মোহন বাগানের বিশ্বকাপার জেসান কামিন্স। শেষ বেলায় ডিফেন্স ভরাট করে দিমিত্রি পেত্রাতোস সহ মোহন বাগানের সেরা অস্ত্রগুলিকে ভোঁতা করে দেন ইস্ট বেঙ্গলের স্প্যানিস কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত।
আজ মরশুমের প্রথম ডার্বি ম্যাচে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ও মোহনবাগান (Mohunbagan)। সকাল থেকেই সাজো সাজো রব যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন চত্বরে। দুই দলেরই সমর্থকদের মধ্যে চিরাচরিত উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। সেই উত্তেজনার জোশ আরও একটু বাড়াতে ম্যাচে উপস্থিত হলেন অভিনেতা ভিকি কৌশল। ২০২৩ ডুরান্ড কাপের থিম সংয়ে এবার দেখা গিয়েছিল ভিকি কৌশলকে। তাই আয়োজকরাই তাঁকে এই ম্যাচে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
ডুরান্ড কাপের থিম সংটি গেয়েছেন অরিজিৎ সিং। ম্যাচ দেখতে আসার কথা ছিল, তাঁরও। তবে কোনও কারণবশত গায়ক উপস্থিত হতে পারেননি। ভিকিকে ময়দানে দেখে দুই দলের সমর্থকেরা বাড়তি উৎসাহ পেয়েছে। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান আজ নতুন জার্সিতে ময়দানে নেমেছে। সবুজ মেরুন ও লাল হলুদের ছটায় ভরে গিয়েছে ময়দানের প্রান্তর।
তবে ডুরান্ড কাপ নিয়ে এই বছর মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের উচ্ছ্বাস বোধহয় আগের থেকে কম। কারণ ম্যাচ শুরু হলেও দর্শকাসন নাকি খালি রয়েছে অনেকগুলি। এদিকে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি হচ্ছে শহর কলকাতায়। এই অবস্থায় ডার্বি ম্যাচ বেশ কঠিন হতে চলেছে।
লাভের অঙ্ক ১২ হাজার ৪০০ কোটি। ভাবছেন এই খতিয়ান কোনও বহুজাতিক সংস্থার ? তাহলে ভুল করবেন। এই লাভের অঙ্ক টাটা বা আম্বানিদেরও নয়। তাহলে এই লাভের অঙ্ক কার ? বাণিজ্যে এই বসত লক্ষ্মী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। গত পাঁচ বছরের এই তথ্য সংসদে সামনে এসেছে। তা পেশ করেছেন সরকারের একমন্ত্রী।
বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী, তার আর্থিক খতিয়ান প্রকাশ করা যায় না। কিন্তু সম্প্রচার স্বত্ত্ব বিক্রি সম্প্রতি বোর্ডের প্রচুর টাকাই ভাঁড়াড়ে এসেছে। সংসদকে জানানো হয়েছে, গত অর্থবর্ষে বোর্ডের আয় হয়েছে ৭ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকা। খরচ হয়েছে ৩ হাজার ৫৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ লাভের পরিমাণ ৪ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। গত পাঁচ অর্থবর্ষের হিসাব দেখানো হয়েছে, তার মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবর্ষেই বোর্ডের লাভের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
পাশাপাশি সম্প্রচার স্বত্ব থেকে প্রাপ্ত অর্থও যোগ হবে। এ ছাড়া, দেশের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়ের সম্প্রচার স্বত্ব রয়েছে। সেখান থেকে মোটা টাকা ঢোকার কথা বোর্ডের কোষাগারে।
মেসির মায়ামিতে টিম ইন্ডিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ দুটি টি-টোয়েন্টি খেলতে আমেরিকায় হার্দিকরা। সিরিজে এখনও ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে ভারত। শেষ ম্যাচে সূর্য-তিলক জুটিতে গায়নায় ম্যাচ জিতেছে মেন ইন ব্লু। সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচে ফ্লোরিডায় খেলবে ভারতীয় দল।
পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজে এখনও পর্যন্ত হার্দিকের ভারতের পারফরম্যান্স মিশ্র। প্রথম দুটি ম্যাচ হারের পর বেশ চাপে ছিল টিম ইন্ডিয়া। শেষ ম্যাচে গায়নায় যেন একটু স্বস্তি ফিরেছে।
১২ অগাস্ট সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ খেলবে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগামী বছর আমেরিকাতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজকে প্রস্তুতি বলেই মনে করছেন আয়োজকরা