Breaking News
Rujira: কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক পত্নী রুজিরাকে তলব ইডির      Railway: অসংক্ষরিত টিকিটের ক্ষেত্রে পরিচয় পত্রের ব্যবস্থা থাকলে মৃতের পরিবার হয়ত টাকাটা পেত!      Railway: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পরিবারের কেউ নিখোঁজ! সনাক্ত করতে বিশেষ ব্যবস্থা রেলের      Train Accident: ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা! মৃত অন্তত ১০০      ED: মানিকের ফোন থেকেই কালীঘাটের কাকুর খোঁজ, ইডির কাছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের তথ্য      DA: অবশেষে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়      Bayron: দলবদলু বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে নিয়ে এবার উল্টো সুর মমতার গলায়      Congress: 'আমি তৃণমূলেরই লোক' দল পরিবর্তন করে দাবি সাগরদীঘির বিধায়ক বায়রনের      IPL: আইপিএল ফাইনালে চেন্নাই বনাম গুজরাত, বৃষ্টি হলে কে জিতবে!      Prerona: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেরণার উদ্দেশে ভাষা সন্ত্রাস 'অনুপ্রেরণার'     

Special

East Bengal-Mohunbagan: ইস্ট-মোহন যুদ্ধে বিভক্ত বাঙালি

ধর্ম নয়, কিন্তু ফুটবল এক সময় রেষারেষিতে পরিণত হয়েছিল বঙ্গ সমাজে | ৮০ র দশকের ঠিক আগে এই ঝগড়া শুধু কথায় নয়, মারামারিতে পরিণত হয়েছিল। যার জেরে ১৯৮০ তে দু-দলের খেলার মধ্যে ইডেন গার্ডেনে মৃত্যু হয়েছিল ১৬ জনের | বোধহয় এটাই সবচেয়ে কলঙ্কময় ১৬ অগাস্ট | 

আসলে পূর্ববঙ্গ থেকে আগত উদ্বাস্তুরা নিজেদের একটা ক্লাব থাকা উচিত মনে করে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তৈরি হয়নি। বরং অবিভক্ত বাংলায় ঘটি-বাঙাল বিভক্ত হয়েই এই ক্লাবের জন্ম ১০০ বছরের বেশি সময় আগে। কিন্তু দেশভাগের পর ওপার থেকে আসা বেশিরভাগ মানুষই ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক হয়ে যায় | অন্যদিকে আদি কলকাতার বিশিষ্ট মানুষদের সাথে এদেশীয়রা, যাদের ঘটি বলা হয়, তারা মোহনবাগান | খেলার দিন বিভিন্ন এলাকায় নিশ্চয়ই চায়ের কাপে তুফান উঠত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মিষ্টিমুখ করে খেলার শেষে মিলনও হত | 

কবে যে এই দুই দলের খেলার নাম ডার্বি হয়ে গেল, কে জানে | ইস্ট-মোহনের খাওয়াদাওয়াতেও কিন্তু সুক্ষ্ম ফারাক ছিল | মোহনবাগান মানেই নাকি চিংড়ি মাছ আর ইস্টবেঙ্গল মানেই ইলিশ মাছ | এটাও বেশ মজার। যদিও মোহনবাগানের ধীরেন দে ইলিশ মাছ খেতে ভালোবাসতেন। আবার ইস্টবেঙ্গলের জ্যোতিষ গুহ কচুর লতি  দিয়ে চিংড়ি খেতে ভালোবাসতেন | 

এ বাংলার মানুষ যেমন লুচি, আলুর ছেঁচকি দিয়ে জলখাবার বা বিকেলের টিফিন সারতেন, তেমনই ওই বাংলার মানুষ জলখাবারের মধ্যে ভাতই পছন্দ করতেন | আজও উত্তরবঙ্গ কিংবা ত্রিপুরার মানুষ সকাল-বিকেল বা রাতে ভাত খেয়েই থাকেন, যা বাংলাদেশের মানুষেরও পছন্দের | কিন্তু নানান মিষ্টি খেতে বাঙালরা যেমন ঘটিবাড়িতে হানা দিতেন, তেমনই ঘটিরা সর্বদা বাঙালবাড়ির রান্না খেয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকেন | আজকাল অবশ্যই এসব নিয়ে কেউ ভাবে না। কারণ বাজারে রোল-চাউমিন কিংবা ধোসার আমদানি হয়েছে, যা বাংলার তৈরি খাদ্য নয় | ঘটিরা যেমন ঝাল খাবার ধরেছেন, তেমন বাঙালরা লঙ্কা কমিয়েছেন | এখন দুই বাঙালির মধ্যে বিবাহের সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে | কিন্তু তাই বলে কি ইস্ট-মোহন নিজেদের ঐতিহ্য হারিয়েছে ? নিশ্চই না | 

2 years ago
Manna Dey: গানের মতো রান্নাতেও পারদর্শী ছিলেন মান্না দে

ভারতীয় সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি গায়ক মান্না দে ছিলেন অত্যন্ত ভোজনরসিক। রান্নাবান্নাতেও যথেষ্ট পারদর্শী ছিলেন তিনি। সময়-সুযোগ পেলেই হাতা-খুন্তি নিয়ে নানা পদ রান্না করতে মেতে উঠতেন। খুব ভালো মাংস রান্না করতেন। নানা রকমের সুস্বাদু মাছের পদ রান্নাতেও সিদ্ধহস্ত ছিলেন তিনি। মান্না দের একটি প্রিয় পদ ছিল মাটন কিমা দিয়ে তৈরি খিচুড়ি। দুর্দান্ত রান্না করতেন এই পদটি। বন্ধুবান্ধব সহ অনেক বিখ্যাত মানুষকেই এই পদটি ও কষা মাংস রান্না করে খাইয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। 

এক রবিবার ছুটির দিনে মান্না দের স্ত্রী দুই মেয়েকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন। বাড়িতে মান্না দে একা। ঠিক করলেন, জমিয়ে মাটন রান্না করে দুপুরে ভাত দিয়ে খাবেন। সেইমতো তিনি জোরকদমে রান্নার প্রস্তুতি শুরু করলেন। এমন সময় বেল বেজে উঠল। মান্না দে দরজা খুলে দেখেন, গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখেই বেজায় খুশি হলেন মান্না দে। অত্যন্ত সমাদরে পুলকবাবুকে ঘরে এনে বসালেন। পুলকবাবু দিন কয়েক হল মুম্বইতে এসেছেন। তাই রবিবার সকালে মান্না দের সাথে দেখা করতে এসেছেন। মান্না দে পুলকবাবুকে বললেন, খুব ভালো হয়েছে আপনি আজ এসেছেন। বাড়িতে কেউ নেই, তাই আমি মাংস রান্না করছি, দুপুরে দুজনে জমিয়ে খাবো। বলে মান্না দে রান্নাঘরে চলে গেলেন।

পুলকবাবু সিগারেট ধরিয়ে ম্যাগাজিনের পাতা ওল্টাতে থাকলেন। কিছুক্ষণ বাদেই রান্নাঘর থেকে মাংস রান্নার সুবাস সারা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ল। পুলকবাবুর তখন ঘ্রাণেই অর্ধভোজন হবার অবস্থা। আর থাকতে না পেরে পকেট থেকে পেন বার করে লিখতে শুরু করলেন, আমি শ্রী শ্রী ভজহরি মান্না। ইস্তানবুল হয়ে জাপান, কাবুল গিয়ে শিখেছি দারুণ এই রান্না। কয়েক মিনিটের মধ্যেই লিখে ফেললেন সেই বিখ্যাত গানের কথা। রান্না শেষ করে মান্না দে ঘরে ঢুকতেই একগাল হেসে পুলকবাবু সেই লেখাটি পড়ে শোনালেন। শুনে আবেগে পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জড়িয়ে ধরে মান্না দে বললেন, অসাধারণ লিখেছেন পুলকবাবু। তারপর দুই বন্ধু খেতে বসলেন। ভাত সহযোগে মান্না দের হাতের তৈরি মাটন কারি চেটেপুটে খেলেন পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর কিছুদিন পরে সুধীন দাশগুপ্তর সুরে এই গান রেকর্ড করলেন মান্না দে। তারপর তো ইতিহাস। আজও বাঙালিদের কাছে আমি শ্রী শ্রী ভজহরি মান্না সমান জনপ্রিয়।

2 years ago
Dhuti-Saree ধুতি বিদায় নিলেও শাড়ি থাকছে

ধুতি-পাঞ্জাবি বা শাড়ি পরা বাঙালির সংস্কৃতিতে ছিল। কিন্তু আদৌ একে কি চিরকালীন বলা যায় ? বাংলা সাহিত্য থেকে জানা যায় যে, ধুতি আদি ও অকৃত্রিম | পৌরাণিক যুগ বাদ দিলেও ইতিহাসের পাতা থেকে জানা গিয়েছে, ইসলামিক রাজ এদেশে শুরু হওয়ার আগে বাঙালি সেলাইহীন পোশাক পরতেন | তখন শীতকালে গায়ে গরম চাদর ছাড়া আর কিছুই পরার ছিল না |

ইসলামিক শাসন আসার পর সেলাই করা পাঞ্জাবি বা জামার প্রবেশ হয় | স্বাধীনতা উত্তর যুগেও ধুতি-পাঞ্জাবি বা ধুতি-শার্ট পরার সংস্কৃতি ছিল | তখনকার দিনে সিনেমার নায়করা ওই পোশাক পরতেন শতকরা ৯৫ জন | এরপর দিন পাল্টে গেলে প্যান্ট-শার্ট থেকে কোট-প্যান্ট ঢুকে গেল | 

উত্তমকুমারের প্রিয় পোশাক ছিল ধুতি, গোল গলার পাঞ্জাবি একেবারে শেষদিন অবধি | স্কুলের শিক্ষকদের চিনতে গেলে ধুতি পরিহিত মানুষ দিয়ে চিনতে হত | আজ জিনসের যুগ, ধুতিপ্রিয় মানুষের বেশিরভাগ পরলোকে | আজ কলকাতা থেকে বাংলার যে কোনও শহরের দিকে তাকালে ধুতি পরা মানুষ পাওয়া যায় না, ব্যতিক্রম পুরোহিতরা | প্রশ্ন উঠেছে, ধুতি কি বিদায়ের পথে ? 

আজ বাংলাদেশের দিকে তাকালে দেখা যায়, সেখানকার প্রধানমন্ত্রী থেকে কাজে বেরনো মহিলাদের বেশিরভাগ নারী ব্যবহার করেন শাড়ি | ওপারের বাঙালিরা শাড়ির ঐতিহ্য রেখে চলেছেন | শেখ হাসিনা নাকি জানিয়েছিলেন, স্কুল বা কলেজের একটু বড় মেয়েরা শাড়ি পরেই ক্লাসে যায় | তিনি গর্ব করে শাড়ি নিয়ে বলেন, বাঙালি নারী চেনা যায় শাড়িতে | এদেশেও শাড়ির চল আছে। আজও গ্রামের মহিলারা সারা ভারতে শাড়ি পরেন | 

আধুনিক শহরে অবশ্য আজকের মেয়েরা শাড়ি ছেড়ে সালোয়ার-স্যুট পরা শুরু করেছে | অন্য পোশাকও আছে, যথা জিন্স টপ কিংবা ছোট গাউন | এরা বলে, ট্রামে বাসে চলতে গেলে শাড়ি চলে না | সুচিত্রা সেন থেকে অপর্ণা সেনের প্রিয় পোশাক শাড়ি | আধুনিক শাড়ির দিকে ঝোঁক কিন্তু নারীর আছে। তাই বোধহয় আজকেও বিয়েবাড়ির প্রধান উপহার শাড়ি।  সঙ্গে ম্যাচিং ব্লাউজ বা শাল | ধুতি বিদায় নিলেও শাড়ি থাকছে | 


2 years ago


Diabetic food ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মাছের পাটিসাপটা

শীতকাল মানেই নারকেল বা ক্ষীরের পুরভর্তি গরম গরম পাটিসাপটা। প্রতি বাড়িতেই শীতকালে পাটিসাপটা  তৈরি ও খাওয়ার চল বহুদিনের। তবে এখন অনেকে শারীরিক কারণে বা লোকবলের অভাবে দোকান থেকে পাটিসাপটা কিনে এনে খেয়ে থাকেন। কিন্তু আজকের দিনে মধুমেয় রোগে অনেকেই আক্রান্ত। তাই তাঁদের বাড়িতে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পাটিসাপটা তৈরি করা হয় না। কিন্তু মধুমেয় রোগীরা এবার শীতে জমিয়ে পাটিসাপটা তৈরি করে খেতে পারেন। তবে নারকেল বা ক্ষীরের পুরের পাটিসাপটা নয়, মাছের পুরভর্তি পাটিসাপটা।   

এবার দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে তৈরি করবেন এই পাটিসাপটা। দুশো গ্রাম পাকা কাতলা মাছের পেটি, আন্দাজমতো নুন ও হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করুন। ঠান্ডা করে কাঁটা ও ছাল ছাড়িয়ে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে ৫০ গ্রাম সরষের তেল গরম করুন। ওর মধ্যে একটা মাঝারি পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে হলকা বাদামি করে ভেজে নিন। এক টেবিল চামচ আদা, রসুনবাটা দিন। ভেজে নিয়ে দু চা-চামচ শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, এক চা-চামচ হলুদ, এক চা-চামচ জিরের গুঁড়ো দিন। এবার সিদ্ধ করে কাটা ও ছাল ছাড়ানো মাছটা হাতের সাহায্যে চটকে ওর মধ্যে দিন। ভলো করে নেড়ে কষে নিন। হাফ চা-চামচ চিনি, আন্দাজমতো নুন ও এক চা-চামচ ধনেপাতা কুঁচি চড়িয়ে ভলো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। পুর তৈরি হয়ে গেল।


পুর তৈরি হয়ে গেলে পরের অংশ প্যানকেক তৈরির পদ্ধতি। একটি পাত্রে একশো গ্রাম ময়দা, পঁচাত্তর গ্রাম কর্নফ্লাওয়ার, দেড়খানা ডিমের  গোলা, আন্দাজমতো  নুন, চিনি ও জল দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিয়ে গোলা বা ব্যাটার তৈরি করে নিন। একটা ননস্টিকি ফ্রাইংপ্যান আঁচে বসিয়ে এক টেবিল-চামচ মাখন দিন। মাখনটা ছড়িয়ে দিন। এবার এক হাতা করে গোলা বা ব্যাটার তুলে প্যানের মধ্যে দিয়ে, নিভু আঁচে মিনিট তিনেক রাখুন। হলকা বাদামি রং করে গোলাকার গোলা রুটির মতো  প্যানকেক তৈরি করুন। প্যানকেকের মধ্যে রান্না করা মাছের পুর ভরে পাটিসাপটার মতো রোল করে নিন। তাওয়া আঁচে বসিয়ে দু চা-চামচ করে সাদা তেল দিয়ে গরম করে পুরভর্তি পাটিসাপটাগুলোর দুপিঠ ভাল করে সেঁকে নিন। কাসুন্দি সহযোগে পরিবেশন করুন।


2 years ago
Chinese food রেস্ত বাঁচাতে বাড়িতেই রোস্তোরাঁর হংকং চিলি চিকেন

বাঙালি মাত্রই চিনে খাবারের প্রতি একটা দুর্বলতা রয়েছে। প্রায়শই গিন্নি বা ছেলেমেয়েদের চাপে চিনে রেস্তোরাঁয় সপরিবারে চিনে খাবার খেতে যেতে হয় অনেককেই। তাতে রেস্ত বেশ ভালোই খরচ হয়ে যায়। রেস্তোরাঁয় খেতে না নিয়ে গেলে অনলাইনেও অর্ডার দিয়ে আনিয়ে নেওয়া যায়। খরচ তাতেও কম নয়। তাই ছুটির দিনে নিজেই রেসিপি দেখে বাড়িতে চিনে খাবার রান্না করে খরচও বাঁচাতে পারবেন এবং গিন্নি ও ছেলেমেয়েদের খুশি করে হিরোও বনে যেতে পারবেন। দেখুন চেষ্টা করে। বানিয়ে ফেলুন জম্পেস হংকং চিলি চিকেন। 

                               

৩০০ গ্রাম চিকেন লেগ বোনলেস থেকে খণ্ড খণ্ড করে কেটে, জলে ধুয়ে নিন। একটা পাত্রে চিকেনের খণ্ডগুলো রাখুন। ওর মধ্যে আন্দাজমতো নুন ও গোলমরিচের গুঁড়ো, এক টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ, দেড় টেবিল চামচ শুকনো লঙ্কা বাটা, এক চা চামচ চিকেন ব্রথ পাউডার, এক চা চামচ লাইট সোয়াস, তিনটে কাঁচা লঙ্কা কুঁচি, দুই চা চামচ সাদা তেল, অর্ধেক ডিমের গোলা, এক টেবিল চামচ ময়দা, এক টেবিল চামচ এরারুট নিয়ে হাতের সাহায্যে ভালো করে মেখে নিন। এই অবস্থায় আধ ঘণ্টা রেখে দিন। কড়া আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো সাদা তেল গরম করে ডুবো তেলে মিশ্রণ মাখানো চিকেনের খণ্ডগুলো সোনালি রং করে ভেজে তুলে নিন। তেল ঝরিয়ে আলাদা করে রাখুন।

এবার অন্য একটি কড়া আঁচে বসিয়ে এক টেবিল চামচ সাদা তেল গরম করে দুই চা চামচ রসুন কুঁচি দিয়ে একটু ভেজে নিন। একটা বড় পেঁয়াজের স্লাইস দিয়ে নেড়ে ভাজুন। এক চা চামচ চিলি ফ্লেক্স দিন। এবার ভাজা চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে আন্দাজমতো নুন ও গোলমরিচের গুঁড়ো, হাফ চা চামচ চিকেন ব্রথ পাউডার, এক চিমটে চিনি, এক চা চামচ ডার্ক সোয়া সস, এক টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ দিন। আঁচ বাড়িয়ে ভালো করে নেড়ে মেশান। উপর থেকে এক মুঠো স্প্রিং অনিয়ন কুঁচি ছড়িয়ে নেড়ে মিশিয়ে নামিয়ে  নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

2 years ago


Kishore Kumar: মাছের পদ আর মিষ্টিতে বিশেষ দুর্বলতা কিশোর কুমারের

প্রবাসী বাঙালি হলেও মনেপ্রাণে কিশোর কুমার ছিলেন শতকরা একশো ভাগ বাঙালি । বাঙালি খাবারের প্রতি তাঁর বিশেষ দুর্বলতা ছিল। লুচি, ছোলার ডাল, বেগুন ভাজা তাঁর খুব প্রিয় ছিল । তবে সবচেয়ে বেশি দুর্বলতা ছিল রকমারি বাঙালি মাছের পদ আর মিষ্টির প্রতি ।  মা গৌরী দেবী রকমারি বাঙালি রান্না করে খাওয়াতেন । বড় বৌদি শোভা দেবীও ছিলেন কলকাতার মেয়ে। তিনি নানান রকমের মাছের পদ রান্না করে আদরের ছোট দেওরকে খাওয়াতেন।   

প্রথমা স্ত্রী রুমা দেবী ছিলেন কলকাতার বাঙালি। ওনার রান্নার হাতও ছিল খুব ভালো । তিনি নানান রকমের মাছ, মাংসের বাঙালি পদ রান্না করে কিশোর কুমারকে খাওয়াতেন। ইলিশ ভাপা, ট্যাংরার ঝাল, ভেটকি সর্ষে,  চিংড়ির মালাইকারি, কাতলা কালিয়া প্রভৃতি মাছের পদ ওনার খুব প্রিয় ছিল। 


কলকাতায় এলে উত্তম কুমারের ময়রা স্ট্রিটের বাড়িতে নেমন্তন্ন থাকত । সুপ্রিয়া দেবী নিজের হাতে ইলিশ ভাপা, গলদা চিংড়ির মালাইকারি, ফুলকপি দিয়ে ভেটকি মাছের ঝোল রান্না করতেন । উত্তম কুমারের পাশে মাটিতে বসে কলাপাতায় জমিয়ে খেতেন কিশোর কুমার ।


গায়ক, সুরকার শ্যামল মিত্র খুব ভাল মাছ রান্না করতেন । তা শ্যামলবাবু তখন মুম্বইতে থাকতেন । কয়েকটি হিন্দি-বাংলা ডাবল ভার্সান  সিনেমার সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব তাঁর কাধে । সেই সময় একদিন রেকর্ডিংয়ের ফাঁকে কথায় কথায় কিশোর কুমার জানতে পারেন যে শ্যামল মিত্র খুব ভালো মাছ রান্না করতে জানেন । সেই শুনে কিশোর কুমার শ্যামল মিত্রকে বললেন, আমায় কবে মাছ রান্না করে খাওয়াবেন? আমি মাছ খাবো । সেই কথা শুনে শ্যামল মিত্র বেজায় খুশি হয়ে বললেন, যে কোনো ছুটির দিনে চলে আসুন কিশোরদা । দিন ঠিক হলো । 


নির্ধারিত দিনে শ্যামল মিত্রের খারের ফ্ল্যাটে কিশোর কুমার এলেন । শ্যামল মিত্র  খার বাজার থেকে  অনেক বাঙালি মাছ  এনে নানান পদ রান্না করেছিলেন । কিশোর কুমার খুব তৃপ্তি করে খেয়েছিলেন সেদিন । যাবার আগে শ্যামল মিত্রকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, শ্যামলবাবু খুব তৃপ্তি পেলাম।

2 years ago
Beard: দাড়ির মহিমা

পৌরাণিক কাহিনীতে বর্ণিত আছে, এক সময় সাধুসন্তদের চেনা যেত তাঁদের দাড়ি দিয়ে | আগেকার পৌরাণিক কাহিনীতে আমরা দেখেছি, ঋষি বিশ্বামিত্র, বশিষ্ঠ মুনি, ব্যাসদেব থেকে ঋষি-মুণিদের সাদা দাড়িতে চেনা যেত | অনেক রাজাও দাড়ি রাখতেন | ইতিহাসের পাতায় দাড়ির উদাহরণ ভুরি ভুরি | মোঘল সাম্রাজ্যের সময়ে বাবর, হুমায়ুন, শাহজাহান, ঔরঙ্গজেব প্রত্যেকেরই দাড়ি ছিল | দাড়ি রাখেন সম্রাট আকবর ও জাহাঙ্গিরও | আবার শিবাজি মহারাজের দাড়ি ছিল | কেন ছিল, তার যুক্তিযুক্ত উদাহরণ নেই | 

পরবর্তীতে আমরা শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে দাড়ি-গোঁফ রাখতে দেখেছি। কারণ তাঁদের ধর্মে চুল-দাড়ি কামানো নিষিদ্ধ রয়েছে | সাহেবদের যুগে অনেকেই দাড়ি রাখতেন | লর্ড মাউন্টব্যাটেন থুতনির নিচে দাড়ি রাখতেন | স্বাধীনতা উত্তর যুগে নেতারা খুব একটা দাড়ি-গোঁফ রাখতেন না | তবে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রথম চন্দ্রশেখরের দাড়ি-গোঁফ ছিল। এরপর আই কে গুজরালের ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি ছিল | ইদানিংকালের মনমোহন সিং এবং নরেন্দ্র মোদীর দাড়ি ছিল বা রয়েছে | বিরোধী আসনে বসা আনন্দ শর্মা বা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দাড়ি রাখতে দেখা যায় | 

সাহিত্য ও বুদ্ধিজীবীদের দাড়ি রাখতে দেখা গিয়েছে | প্রথম নাম রবীন্দ্রনাথ | রবি ঠাকুরকে নাকি সাদা দাড়ি-গোঁফে দুর্দান্ত স্মার্ট লাগত, বলেছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সাহিত্যিক সুকুমার রায় | সুকুমারের পিতা উপেন্দ্রকিশোরের দাড়ি ছিল | আসলে এঁরা সবাই ব্রহ্ম ধর্মের মানুষ ছিলেন, যাঁদের দাড়ি-গোঁফ রাখার রীতি ছিল |

কিন্তু সবচেয়ে মজার বিষয় হল, আজকাল ভারতীয় ক্রিকেট দলের সমস্ত ক্রিকেটার দাড়ি-গোঁফ রাখেন | কেন রাখেন, তার কোনও যুক্তি নেই | শুরু করেছিলেন বিরাট কোহলি এবং তাঁর দেখাদেখি সবাই দাড়ি-গোঁফ রাখা শুরু করেছেন | একই অবস্থা বলিউডের নায়কদের | অনেকেই না কামানো দাড়ি-গোঁফ নিয়ে সারা সিনেমা চালিয়ে যাচ্ছেন | এটাই নাকি যুগের ধর্ম | তবে রবীন্দ্রনাথের দেশে নিয়মিত দাড়ি রাখতেন নকশালরা, সাহিত্যিকদের একটি অংশ এবং সাংবাদিকরাও কম যান না | আজও চলেছে সেই ট্রাডিশন |

2 years ago
মুসুরির ডাল খাবার কথা উঠতেই মুসৌরি যাবার তোরজোর শুরু করেছিলেন কিশোর কুমার
সত্তর দশকের প্রথম দিককার কথা সেই সময় কিশোর কুমার হঠাৎ করে বড় চুল রেখে, গেরুয়া বসন পরে গলায় রুদ্রাক্ষের মালা পরে চলাফেরা শুরু করেছিলেন । এই নিয়ে ওনার সহকর্মীরা যখন ওনাকে জিজ্ঞাসা করতেন যে কি ব্যাপার আপনি কি বৈরাগী  হয়ে যাচ্ছেন নাকি কিশোর দা? তার উত্তরে