দীপিকা দাস: প্রাথমিক তদন্তে (Preliminary Probe) উঠে এল, ট্রেন দুর্ঘটনার পিছনের কারণ। সিগন্যাল (Signal) ত্রুটির জন্যই ওড়িশার বালেশ্বরে প্রাণ গেল ২৮৮ জনের, এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। শনিবার সিএন-ডিজিটালকে এমনটাই জানালেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের সিপিআরও আদিত্য কুমার চৌধুরী। তিনি জানান, একটি যৌথ পরিদর্শনের পর প্রাথমিকভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। রেল আধিকারিকেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সিগন্যালের ত্রুটির কথাই জানিয়েছেন। লুপ লাইনে ঢোকার ফলেই নাকি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সঙ্গে মালগাড়ির সংঘর্ষ হয়। তবে জানানো হয়েছে, এটি প্রাথমিক রিপোর্ট। এখনও তদন্ত বাকি রয়েছে ও বিস্তারিত তদন্তের পরই প্রকাশ্যে আসবে যে, ঠিক কী কারণে এমন ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আপাতত ভাবে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যের পর জানা গিয়েছে, যে এই করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা হার মানিয়েছে গাইসলের দুর্ঘটনার ভয়াবহতাকেও।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ওড়িশার বালেশ্বর। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে। আবার আহত হয়েছেন ১০০০-এর বেশি। এরপরই সিএন ডিজিটালের তরফে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের সিপিআরও আদিত্য কুমার চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'প্রাথমিকভাবে তদন্ত করার পর রিপোর্টে উঠে এসেছে যে, আপ মেন লাইনে সিগন্যাল দেওয়া ছিল কিন্তু পয়েন্ট ছিল লুপ লাইনে। ফলে সিগন্যালের ত্রুটির কারণেই এমনটা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষেই করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।' তিনি আরও জানিয়েছেন, 'এই তথ্য একেবারেই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। ঠিক কী ঘটেছিল, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। পুরো ঘটনা চূড়ান্ত তদন্তের পরই প্রকাশ্যে জারি করা হবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি।'
এছাড়া এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ, তা জানতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অর্চনা জোশীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাঁর ফোন ব্যস্ত থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।