
শনিবার অর্থাৎ ২ এপ্রিল থেকে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) উঠছে সমস্ত কোভিডবিধি (Covid Norms)। থাকছে না বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরাও। ঘটনাচক্রে শনিবার মারাঠি নববর্ষ। তাই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এবং রাজ্যকে ছন্দে ফেরাতে এই সিদ্ধান্ত। এমনটাই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে ঘোষণা করা হয়েছে
করোনা বিধি তুলতে প্রায় দুই বছর পর রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপ উপস্থিত ছিলেন। তিনিই সংবাদ মাধ্যমকে এই সিদ্ধান্ত বিষয়ে অবগত করেন। এদিকে, বিশ্বজুড়ে ফের শুরু হয়েছে করোনার নয়া স্ট্রেন 'স্টেল্থ ওমিক্রন'-এর দাপট। চিন থেকে শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া, ইংল্যান্ড সর্বত্র দেখা যাচ্ছে করোনার নয়া রূপ। হংকং ও দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রচুর ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চিনের একাধিক প্রদেশে লকডাউন জারি করা হয়েছে। উদ্বেগ বাড়িয়ে গত এক বছরের মধ্যে প্রথম করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চিনে। টানা কয়েকদিন ধরে নিম্নমুখী আক্রান্ত ও মৃত্যুতে স্বস্তি পেয়েছিলেন দেশবাসী। ফের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ দেখা গেলেও সংক্রমণ কিছুটা কমের দিকে। অন্যদিকে মৃত্যুসংখ্যাও কিছুটা নিম্নমুখী। তবে চিকিৎসকরা এখনই স্বস্তির কথা বলছেন না। ফের আসতে পারে করোনার চতুর্থ ঢেউ, এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন গবেষকরা।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ২২৫ জন। যা বুধবার ছিল ১ হাজার ২৩৩। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। বুধবার মৃত্যুসংখ্যা যেখানে ছিল ৩১ জন। ফলে মৃত্যুসংখ্যা যে নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। অনেকটা কমেছে দেশের অ্যাক্টিভ কেস, পজিটিভিটি রেট। অ্যাকটিভ কেসের হার কমে দাঁড়িয়েছে ০.০৩ শতাংশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২১ হাজার ১২৯ জন
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৫৯৪ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৬ শতাংশ। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩০৭ জন। যা আগের দিনের থেকে কম। যা মোট আক্রান্তের ০.০৪ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৮৯ হাজার ০০৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।