
২০১৯-এর নভেম্বরে হায়দরাবাদের এক পশু চিকিৎসককে (Veterinary Doctor Rape and Murder) অপরহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। পরে নির্যাতিতার দগ্ধ দেহ উদ্ধারে চার জনকে গ্রেফতার করেছিল হায়দরাবাদ পুলিস (Hyderabad Police)। ধৃতদের নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণে গেলে পুলিসি এনকাউন্টারে (Encounter) মৃত্যু হয় চার অভিযুক্তের। তেলেঙ্গানা পুলিসের দাবি ছিল, পুলিসের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময় এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছিল চার জনের। কিন্তু এই এনকাউন্টার ভুয়ো দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। দেশের শীর্ষ আদালত সত্য অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করেছিল। সেই শিরপুরকর কমিটি সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা রিপোর্টে জানিয়েছে সেই এনকাউন্টার ভুয়ো ছিল। পাশাপাশি দোষী পুলিসকর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ আছে রিপোর্টে।
প্রশাসনের কাছে পুলিসের বক্তব্য ছিল, অভিযুক্তরা পালাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁদের। এ বার সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত শিরপুরকর কমিশন তার রিপোর্টে স্পষ্ট বলল, সে দিনের সংঘর্ষ ছিল সম্পূর্ণ ভুয়ো। খুনের উদ্দেশেই পুলিস তাঁদের উপর গুলি চালিয়েছিল। এই ঘটনায় চার জনের মধ্যে তিন জনই ছিল নাবালক।
সেই ঘটনার পর নিগৃহীতার দেহ হায়দরাবাদের ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি নির্জন জায়গায় দগ্ধ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তদন্তে মহম্মদ আরিফ, চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশভালু, জলু শিবা এবং জলু নবীনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। তারপরই অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে অকুস্থলে যায় পুলিস।
এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরই একটি অংশ পুলিসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠে নাগরিক সমাজের একটি অংশ। আবার অন্য একটি অংশ পুলিসের এই 'অতিসক্রিয়তা'কে তোপ দেগে সোচ্চার হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি কমিশন গড়ে দিয়েছিল। শীর্ষ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শিরপুরকরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত করে শুক্রবার প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দিয়েছে।