
করোনা এখনও বিদায় নেয়নি। এরই মধ্যে উৎসবের মরশুমে বাড়ছে মশাবাহিত রোগ। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সহ ৯টি রাজ্যে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাল কেন্দ্র।
বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবারের তুলনায় দেশে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। পাশাপাশি ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে কেন্দ্রের।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে দেশের ৯ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বেড়েছে ডেঙ্গির প্রকোপ। যা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
যে সব রাজ্যে মশাবাহিত রোগ ঊর্ধ্বমুখী, সেগুলি হল, হরিয়ানা, কেরল, পঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি এবং জম্মু-কাশ্মীর। তবে স্বস্তির বিষয়, এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের নাম নেই। তবুও মশাবাহিত রোগ নিয়ে সতর্ক রাজ্য সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, যে সব রাজ্য থেকে বেশি ডেঙ্গির রিপোর্ট এসেছে, সেই সব রাজ্যে বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হয়েছে। রোগ নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য পরিষেবা কীরকম, তা খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় দল। অর্থাৎ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের ভূমিকা, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম, রোগ নির্ণয় পদ্ধতিসহ যাবতীয় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন বিশেষজ্ঞরা। এরপর তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যগুলিকে সাহায্য করবে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ও পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন, ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগজীবাণু বহনকারী লার্ভার বিষয়ে নজরদারি শুরু করেছেন পুরসভার কর্মীরা। পাশাপাশি তিনি কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, আবাসন বা বাড়িতে পুরকর্মীদের ঢুকতে দিতে হবে, না দিলে গ্রেফতার হতে পারেন বাধাদানকারী।
এদিকে বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ হাজার ৯০৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ ৮ হাজার ১৪০ জন। দেশে মোট করোনার বলি ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৯১ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩১১ জনের।
যদিও দেশে ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭৪০ জন করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ১৫৯ জন।