
'ইন্ডিয়া' (INDIA) ও 'ভারত' (BHARAT) এই দুটি নাম নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। দেশের নাম কি সত্যিই পরিবর্তিত হতে চলেছে, এই নিয়েই মঙ্গলবার সকাল থেকে জল্পনা শুরু জোরকদমে। বিরোধী দলগুলির জোটের নাম 'ইন্ডিয়া' হওয়ার পর থেকেই একাধিক সমালোচনা উঠে আসছে। তবে নতুন করে বিতর্ক উসকে উঠেছে কারণ জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে সব রাজনৈতিক দলকে এক নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আর সেই রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণপত্রে ইংরেজি ভাষায়, 'প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া'র (President of India) পরিবর্তে লেখা রয়েছে 'প্রেসিডেন্ট অব ভারত' (President of Bharat)। আর এই নিয়েই জল্পনা শুরু, তবে কি দেশের নাম বদলের জন্যই বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার?
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রনেতাদের জন্য একটি নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সেই উপলক্ষে নিমন্ত্রিতদের কাছে আমন্ত্রণপত্রও পাঠানো হচ্ছে। সেটা ঘিরেই তোলপাড় জাতীয় রাজনীতির অন্দরমহল। কারণ ওই চিঠিতে 'প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া'র পরিবর্তে লেখা রয়েছে 'প্রেসিডেন্ট অফ ভারত'। আর এই কারণেই আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তুঙ্গে।
আচমকা দেশের নাম পরিবর্তনের জল্পনা শুরু হতেই প্রশ্ন উঠছে, ঠিক কী কারণে হঠাৎ নাম পরিবর্তন? এ বিষয়ে বিজেপিকে তুমুল আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপিকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, 'খবর তবে সত্যি। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে যে জি-২০-এর নৈশভোজের যে আমন্ত্রণপত্র তাঁর কাছে পৌঁছেছে সেখানে 'প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া'র বদলে লেখা হয়েছে 'প্রেসিডেন্ট অফ ভারত'।'
অন্যদিকে এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার ইন্ডিয়া নাম পরিবর্তন করে ভারত করছে। ইংরেজিতে আমরা বলি ইন্ডিয়া। এবং বলা হয় ইন্ডিয়ান কনস্টিটিউশন। এবং হিন্দিতে আমরা বলি ভারত কি সংবিধান। আমরা সবাই ভারত বলি। এর মধ্যে নতুন কী আছে? কিন্তু ইন্ডিয়া নাম গোটা পৃথিবীতে চেনে। দেশের নাম হঠাৎ পরিবর্তন করার কী দরকার?'