
বছর ঘুরলেই দেশে লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই দলীয় রণকৌশল নির্ধারণে ময়দানে নেমে পড়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বঙ্গের ৪২ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে নেমেছে বিজেপি। ১৯-এর নির্বাচনে ২ থেকে ১৮ তে উঠে এসেছিল বিজেপি। পরিবর্তে আসন কমেছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। ৩৪ থেকে কমে দাঁড়িয়েছিল ২২-এ।
এরপর গঙ্গা থেকে বহু জল গড়িয়েছে। বাংলায় শাসক শিবিরের পরিবর্তন না হলেও বিরোধী শিবিরে উঠে এসেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে লোকসভায় হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। সেই লক্ষ্যে পরাজিত লোকসভা আসনগুলোতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুব তৃণমূল কংগ্রেসকে। লোকসভা গুলোতে বিধানসভা ভিত্তিক যুব কনভেনশন করবে যুব তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিম বর্ধমান জেলা দিয়ে পরীক্ষা মূলক ভাবে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে যুব কনভেনশন শুরু হবে শিলিগুড়িতে। উত্তর বঙ্গের ৭ লোকসভা আসনেই এই কর্মসূচিতে জোর দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যে নিয়োগ সহ একাধিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে শাসকদলের একাধিক প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কের। গ্রেফতারও হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে একাধিক বিধায়ক। এই আবহে মানুষের সমর্থন আদায়ে ঘাসফুল শিবিরের এই কর্মসূচি জনমানসে আদৌ দাগ কাটে কি না উত্তর মিলবে ভোট বাক্সেই।