বিবাহবিচ্ছেদের (Divorce) আনন্দে পার্টি! একেবারে কার্ড বানিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শুনে একটু অবাক লাগলেও এমনটাই করেছেন সম্প্রতি বিবাহবেচ্ছেদ মামলায় জয়ী ১৮ জন পুরুষ। এককথায় বিবাহবিচ্ছেদ ‘উদ্যাপন’ করলেন তাঁরা। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ভোপালের (Bhopal)।
জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থা ১৮ জনের হয়ে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা লড়ছিল। সেই সংস্থার তরফ থেকেই আয়োজন করা হয়েছিল এই অনুষ্ঠানের। এর পিছনে কী কারণ? সংস্থার কথা অনুযায়ী দীর্ঘদি ধরে মামলা লড়তে লড়তে আর্থিকের পাশপাশি মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। এছাড়া সামাজিক ও পারিবারিক একটা চাপ তো থাকেই।
সংস্থাটির আরও দাবি, এই ধরনের অনুষ্ঠান তারা দীর্ঘ সময় ধরে করে আসছে। এর মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছিন্ন পুরুষদের মানসিক শক্তি বাড়ানো হয়। গত আড়াই বছর ধরে ১৮ জনের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা লড়েছে এই সংস্থা। হেল্পলাইনের মাধ্যমে তাঁদের মানসিক জোর বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।
কথায় বলে রাখে হরি মারে কে! এবার এই প্রবাদ আক্ষরিক অর্থেই মিলে গেল। চলন্ত ট্রেনের (Train) নিচে পড়ে গেলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু ট্রেন চলে যেতেই এক্কেবারে সুস্থ অবস্থায় দিব্যি উঠে দাঁড়ালেন তিনি। কীভাবে সম্ভব হল এমনটা?
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। বেশ কিছু মানুষ সাক্ষী থাকলেন এই ঘটনার। চলন্ত ট্রেনের নিচে শুয়ে পড়েও প্রাণ বেঁচেছেন ওই ব্যক্তি। যা দেখে স্বস্তি পেলেন প্ল্যাটফর্মে থাকা মানুষজন। সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে নেটমাধ্যমে (Socal Media), যা নিয়ে নিয়ে নেটপাড়া সরগরম।
কোনও এক যাত্রী এই ভিডিও করেছেন। প্রথমে ভিডিওটি দেখে সবটা স্বাভাবিক মনে হলেও শেষে রয়েছে চমক। যা দেখে আঁতকে ওঠারই কথা। ট্রেন চলে যাওয়ার পরেই রেললাইনে উঠে দাঁড়ান এক ব্যক্তি। প্ল্যাটফর্মে থাকা সকলের দিকে হাতজোড় করে ধন্যবাদ জানান। বড় বিপদের হাত থেকে তিনি যে বেঁচে গিয়েছেন, তা চোখমুখের হাবভাবেই স্পষ্ট ফুটে উঠেছিল। এমনকি হাত জোড় করে ঈশ্বরের উদ্দেশে প্রণাম জানাতেও দেখা গিয়েছে ওই ব্যক্তিকে। এদিক-ওদিক পড়ে ছিল ওই ব্যক্তির জিনিসপত্র।
Viral Video : Train passed over a man at Bharthana railway station in Etawah as death..., watch breath-taking video pic.twitter.com/eHtn1LcN1A
— santosh singh (@SantoshGaharwar) September 6, 2022
মনে করা হচ্ছে, ট্রেন প্ল্যাটফর্মে যখন ঢুকছিল তখনই তিনি পড়ে যান। তারপরই তাঁর উপর দিয়ে ট্রেন চলে যায়। এককথায়, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন তিনি।
বিপর্যয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বিপর্যয়। পূর্বাভাস মিলিয়েই উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত (Heavy Rain) । এর মধ্যে আবার মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ধরচুলা। শনিবার দুপুর একটা নাগাদ মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নামে। মৃত্যু (Death) হয় ১ জনের। আহত হন বেশ কয়েকজন। ক্ষতি হয় কয়েকটি বাড়ির।
টুইটারে পিথোরাগড়ের পুলিস একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে ঘর-বাড়িগুলি। এখনও বিপর্যস্ত এলাকায় আটকে বহু মানুষ। তবে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে উদ্ধারকাজ। বহু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে খবর। এবং সকলকে দুযোর্গপ্রবণ এলাকার দিকে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
दिनांक 9 अगस्त 2022 की मध्य रात्रि में नेपाल से आते हुए नाले में बादल फटने से कस्बा धारचूला जिला पिथौरागढ़ के खोतिला गांव में आपदा आई हुई है, फायर सर्विस, Sdrf, पुलिस एवं प्रशासन द्वारा रेस्क्यू कार्य लगातार चल रहा है।#Pithoragarh #Uttarakhand pic.twitter.com/uMz4LUBnqL
— Fire Service Uttarakhand Police (@UKFireServices) September 10, 2022
উল্লেখ্য, ২০১৩-র ১৩ থেকে ১৭ জুন উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টি হয়। সেই স্মৃতি এখনও তাড়া করে বেড়ায় সেখানকার মানুষকে। যার জেরে হঠাৎ বন্যা ও ভূমিধসের কারণে প্রায় ৫ হাজার সাধারণ মানুষ এবং পর্যটকের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালে নন্দাদেবী হিমবাহের একটি অংশ ভেঙে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। যা চামেলি বিপর্যয় নামেও পরিচিত। বলা যেতেই পারে উত্তরাখণ্ডে বিগত কয়েক বছরে একাধিক বন্যা দেখেছে।
#जलस्तर_चेतावनी#ukweatheradvisory
— Fire Service Uttarakhand Police (@UKFireServices) September 10, 2022
दिनांक 09.09.2022 की रात्रि में जनपद पिथौरागढ़ के धारचूला क्षेत्रान्तर्गत हुई भारी वर्षा से आज 10.09.2022 को काली नदी का जलस्तर डेन्जर लेवल 890.00 मीटर पर पहुँचने से काली नदी के किनारे वाले क्षेत्र में खतरे की सम्भावना बनी हुई है, ........ pic.twitter.com/3eM8K3dmQf
তামিলনাড়ুর ত্রিচি জেলার ঘটনা। চেনা-পরিচিত, আত্মীয়-স্বজন কেউই কোনো খোঁজখবর রাখে না। বাবা চলাফেরা করতে পারেন না। ওই বৃদ্ধার আরও দুই ছেলে আছেন, কিন্তু তাঁরা বাবা-মায়ের খবর রাখেন না। মৃতা মাকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের একটি শ্মশানে নিয়ে যান তাঁর ৬০ বছরের বড় ছেলে। পেশায় তিনি ইলেকট্রিকমিস্ত্রি নাম মুরুগানন্ধম।
৬০ বছরের ওই বৃদ্ধ জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মা সোরিয়াসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মায়ের শেষকার্য করার জন্য কোনও বন্ধুবান্ধব বা প্রতিবেশীকেও পাশে পাননি ওই বৃদ্ধ, এমনকি দু:খের কথা, ভাইরাও পাশে আসেননি। এছাড়া শববাহী গাড়ি ভাড়া করার মতো আর্থিক সামর্থ্যও নেই ওই বৃদ্ধের। তাই মৃত মাকে কাপড়ে মুড়ে হুইলচেয়ারে বসান তাঁর। এই ভাবেই প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে শ্মশানে নিয়ে যান তিনি। বৃহস্পতিবার ভোর চারটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। মুরুগানন্ধমের কথায় জানা যায়, তাঁর মা রাজেশ্বরীর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। কয়েক বছর ধরেই সোরিয়াসিসে ভুগছিলেন। বুধবার তাঁর মায়ের শারীরিক পরিস্থিতি অতিরিক্ত খারাপ হতে থাকে। চিকিৎসক জানিয়ে দেন, এই অবস্থায় আর কিছুই করার নেই।
মুরুগানন্ধম পুরসভায় ফোন করে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কোনও সাহায্য পাওয়া যাবে কি না। পুরসভা থেকে এক কর্মী জানিয়েছিলেন, তাঁরা শেষকৃত্যের জন্য অর্থসাহায্য করবেন মুরুগানন্ধমকে। পাশাপাশি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থারও খোঁজ দেন ওই কর্মী। তবে সে সবই শ্মশানে যাওয়ার পর। মায়ের দেহ হুইলচেয়ারের ভরসায় তিনি শ্মশানে নিয়ে যান। শ্মশানে অবশ্যই পুরকর্মীরা তাঁকে সাহায্য করেছেন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও এগিয়ে এসেছে তাকে সাহায্যে করতে।
সাঁতার কেটে চম্পাবতী নদী (Champavathi River) পার হয়ে পরীক্ষা দিতে গেলেন এক তরুণী। শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) ভিজিয়ানগরামে পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছিল মেয়েটির। সেসময় হঠাৎই চম্পাবতী নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। উপায় না দেখে শুক্রবারই সাঁতারে নদী পার হয়ে যান তিনি। তদ্দি কালবতী (Taddi Kalavathi) নামে ওই তরুণী গজপতিনগরম মণ্ডলের মারিভালাসা (Marrivalasa) গ্রামের বাসিন্দা।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালবতী তাঁর দুই ভাইয়ের সাহায্যে প্লাবিত চম্পাবতী নদী পার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শনিবার থাকা পরীক্ষায় যাতে বসতে পারে তাই কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে শুক্রবারই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা।
৩৫ সেকেন্ডের দীর্ঘ এই ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দেখা যায়, কালবতী যেখানে হাঁটতে পারছেননা, সেখানে তাঁর ভাইয়েরা কাঁধে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
বৃষ্টির কারণে উত্তরকূলীয় এই চম্পাবতী নদীর জল বেড়ে গিয়ে প্লাবনের আকার ধারণ করেছে। শেষ পর্যন্ত কলাবতীর প্রচেষ্টা সফল হল। কথায় তো রয়েছে, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। জীবনের পরোয়া না করে ঝুঁকি নিয়েই পার হলেন তাঁরা। ভিডিও দেখে রীতিমতো প্রশংসার ঝড় তুলেছেন নেটিজেনরা।
করোনাভাইরাস (Coronavirus), মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) জোড়া থাবায় দেশ জেরবার। এই আবহে এবার লাম্পি ভাইরাসকে (Lumpy virus) ঘিরে উদ্বেগ বাড়ল। তবে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে গবাদি পশুরা। লাম্পি চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে বেশি গরুর মৃত্যু ঘটছে রাজস্থানের (Rajasthan) সাতটি জেলায়। সেই জেলাগুলিতে গরুর টিকা দেওয়া এখনও শুরু হয়নি। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের হোম টার্ফ যোধপুরও রয়েছে।
পশুপালন বিভাগের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ১০.৬১ লক্ষেরও বেশি গবাদি পশু চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু মাত্র ৬.৮ লক্ষ টিকা দেওয়া হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে ১০ লক্ষ ৬১ হাজার ৭৮৭ টি গরু সংক্রমিত হয়েছে। যার মধ্যে ৪৬ হাজার ৩১৭ টি গরুর মৃত্যু ঘটেছে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হল, শুধুমাত্র ৬ লক্ষ ৮৭ হাজার ৩৭৫ টি গরুর টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
যে সাতটি জেলায় এখনও টিকাকরণ শূন্য, তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিম রাজস্থানের ছয়টি জেলা, যা হল বারমের, যোধপুর, পালি, বিকানের, নাগৌর এবং জয়সলমীর। পশ্চিম রাজস্থান রাজ্যের পকেট সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে এই ভাইরাল সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে ১৬,১৩৭টি গরু মারা গিয়েছে। যদিও অনেকে বলছেন, বাস্তবে সংখ্যাগুলি যা দেখানো হয়েছে তার চেয়ে চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি হতে পারে। তবে, অন্যান্য সাতটি জেলার তুলনায় ধোলপুরে এই রোগের বিস্তার ততটা গুরুতর নয়।
লম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) হল একটি সংক্রামক ভাইরাল রোগ। যা গবাদি পশুকে প্রভাবিত করে এবং জ্বর, ত্বকে ঘা সৃষ্টি করে এবং মৃত্যুও হতে পারে। এই রোগটি মশা, মাছি, উকুন, ভেপ এবং গবাদি পশুর সরাসরি সংস্পর্শে এবং দূষিত খাবার ও জলের মাধ্যমে ছড়ায়।
প্রধান উপসর্গগুলি হল পশুদের মধ্যে জ্বর, চোখ ও নাক থেকে স্রাব, মুখ থেকে লালা পড়া, সারা শরীরে নডিউলের মতো নরম ফোসকা, দুধ উৎপাদন কমে যাওয়া এবং খেতে অসুবিধা যা কখনও কখনও পশুকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।
হিন্দু দেবদেবীকে 'অপমান'-এর খেসারত গুণতে হবে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান কুণাল কামরাকে (Kunal Kamra)। দুই হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) এবং বজরঙ দলের (Bajrang Dal) হুমকিতে বাতিল শিল্পীর গুরুগ্রামের (Gurugram) অনুষ্ঠান। যদিও প্রশাসনিকস্তরে এই পদক্ষেপ নয়। আয়োজকরা জানান, বজরঙ দল থেকে এসে তাঁদের সতর্ক করে দিয়ে গিয়েছে। তাই অশান্তির ভয়ে অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একাধিক সামাজিক মাধ্যম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অনুষ্ঠানের প্রচারমূলক পোস্ট।
এ মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠানটি আয়োজনের কথা ছিল। সেই মোতাবেক শুরু হয়ে গিয়েছিল টিকিট বিতরণও। এদিকে, এই কৌতুকশিল্পী হিন্দু দেবদেবীকে অপমান করেন। এই অভিযোগে শুক্রবার ডেপুটি কমিশনারকে চিঠি লিখে ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠান বাতিলের দাবি জানায় বজরং দল-বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
এদিকে, বজরঙ দলের গুরুগ্রামের নেতা প্রবীণ সাইনি ইংরেজি এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, 'আমরা ওই পানশালায় গিয়ে বলি অনুষ্ঠান বাতিল করতে। এই হাস্যকৌতুক শিল্পী হিন্দু দেবদেবীকে অপমান করেছেন। আমরা কিছু ভিডিও ওদের দেখাই এবং বলি এই ধরনের শিল্পী, যাঁরা হিন্দু বিশ্বাসে আঘাত হানেন, তাঁদের গুরুগ্রামে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। হিন্দু দেবদেবীর কোনও অপমান আমরা বরদাস্ত করব না। আমরা ম্যাজিস্ট্রেটকেও একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। কারণ অনুষ্ঠান হতে দিলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।'
তৃণমূলের ১৯ রাজনীতিবিদের সম্পত্তি নিয়ে মামলায় দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের। তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা হাইকোর্টে দায়ের মামলার বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে যান। তাঁর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিবাল এবং সুহান মুখোপাধ্যায়। সেই শুনানিতেই স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের বেঞ্চ। ফলে বড়সড় স্বস্তি তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রীর।
এই মামলা ৫ বছরের পুরনো হলেও কলকাতা হাইকোর্ট সম্প্রতি ওই মামলায় ইডি-কে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল বিধায়ক। শুক্রবার শীর্ষ আদালতে ছিল সেই মামলার শুনানি। কলকাতা হাইকোর্টের ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়ায়, আপাতত ওই মামলায় কোনও শুনানি করা যাবে না।
এদিকে, যে ১৯ জন নেতামন্ত্রীর নাম রয়েছে, তাঁরা হলেন--
ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, অমিত মিত্র, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,মলয় ঘটক, শিউলি সাহা, অরূপ রায়,সব্যসাচী দত্ত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বর্ণকমল সাহা, জাভেদ খান, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ। এছাড়াও নাম রয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও অর্জুন সিংয়ের। যাদের মধ্যে একজন বিজেপির টিকিটে লোকসভায় জিতে একুশের ভোটের পরে তৃণমূলে ফিরেছেন। অপরজন আপাতত রাজনীতিতে সক্রিয়। এঁদের পাশাপাশি প্রয়াত দুই নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সাধন পাণ্ডেরও নাম রয়েছে তালিকায়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাও রয়েছেন সেই তালিকায়।
অভিযোগ, ২০১১ সালের পর অর্থাৎ তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এসব নেতাদের সম্পত্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। শীর্ষ আদালতে তৃণমূল দাবি করেছে, ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে।
গোখরো (Cobra) ছোবল মেরেছিল পায়ে। আর সেই সাপকেই রাগের বশে কামড়ে মেরে ফেললেন এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার এই ঘটনাটি ঘটছে ওড়িশার (Odisha Man) বালেশ্বরে (Baleswar)। বালেশ্বরের দারাগা গ্রামের বাসিন্দা সলিল নায়েক ক্ষেতে যাওয়ার সময় তাঁর পায়ে একটি গোখরো ছোবল মেরে পালিয়ে যায়। সলিলও তার পিছু পিছু ধাওয়া করে গোখরোটিকে ধরেন, তারপর সেটির শরীরে একের পর এক কামড় বসিয়ে দেন। আর সেই কামড়েই মৃত্যু হয় গোখরোর।
এ এক আশ্চর্য্য ঘটনার সাক্ষী হলেন গ্রামবাসীরা। সাপটিকে শুধু কামড়ে মেরে ফেলাই নয়, সেটিকে গলায় জড়িয়ে গ্রামে হাজির হন সলিল। তাঁর গলায় জড়ানো সাপ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। সলিল নিজেই তাঁদের জানান, সাপ তাঁকে কামড়েছিল, আর সেই রাগেই সাপকে কামড়ে তিনি মেরে ফেলেছেন।
গ্রামবাসীরা সলিলের মুখে একথা শুনে হতভম্ব হয়ে যান। তাঁকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু সলিল যেতে অস্বীকার করেন। পাল্টা দাবি করেন, তিনি মন্ত্র জানেন। আর সেই মন্ত্র পড়েই বিষ শরীর থেকে ঝেড়ে ফেলেছেন। সলিলের এ কথা শুনে গ্রামবাসীরা জেলা বনাধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোটা ঘটনা জানান।
জেলা বনাধিকারিক আয়ুষ জৈন জানান, দারাগা গ্রামে এক ব্যক্তিকে গোখরো কামড়ানোর খবর পেয়ে সেখানে কর্মীদের পাঠানো হয়। সলিলকে ধরে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। বুধবারই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং তাঁকে সতর্কও করা হয়। চিকিৎসাকেরা বলেন,'সলিল শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও মানসিক ভাবে অসুস্থ। তাঁর পরিবারকে সলিলের খেয়াল রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) রাজধানী দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের (India Gate) কাছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Subhash Chandra Bose) ২৮ ফুট উঁচু মূর্তির আবরণ উদ্বোধন করলেন। একটি গ্রানাইট শিলাকে কেটে ২৮০ মেট্রিক টনের ওই মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে মোদী রাজপথ অ্যাভিনিউয়ের নাম পরিবর্তন করে কর্তব্য পথ নামকরণ করেন।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজির ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি দাবি করেন, স্বাধীনতা উত্তর ভারতে নেতাজির প্রতি যথোচিত সম্মান প্রদর্শন করেনি কোনও সরকারই। মোদী বলেন,'আজ, ইন্ডিয়া গেটে জাতীয় নেতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর এই সুবিশাল মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হল।' এই মূর্তিকে শক্তিশালী ভারতের প্রতীক হিসেবেও অভিহিত করেন তিনি। মোদীর খোঁচা পূর্বতন সরকারের দিকেও। তিনি বলে, দূর্ভাগ্যজনকভাবে স্বাধীনতার পরই আমরা আমাদের এই মহান নেতাকে ভুলে গেলাম, তাঁর দেখানো পথ, এমনকি তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত চিহ্নকেও উপেক্ষা করা হল।'
এই প্রসঙ্গেই মোদীর ভাষণে উঠে আসে লালকেল্লায় তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলনের কথাও। তিনি বলেন, 'নেতাজি স্বপ্ন দেখেছিলেন লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের। আমি ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে লালকেল্লায় তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলনের সৌভাগ্য অর্জন করেছি।' ইন্ডিয়া গেটের যে জায়গায় নেতাজির মূর্তি বসেছে সেখানে আগে ছিল অমর জওয়ান জ্যোতি। এই প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ব্রিটিশ রাজের সময় এখানে ব্রিটেনের প্রতিনিধির মূর্তি ছিল। আজ, একই জায়গায় নেতাজির মূর্তি স্থাপন করা হল। যা শক্তিশালী ভারতের প্রতীক।'
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রবেশ করার পরই প্রধানমন্ত্রীকে হাসি গল্পে মেতে উঠতে দেখা যায় ওই মূর্তি স্থাপনে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে। তাঁদের প্রত্যেককে আগামী বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে তাঁর অতিথি হিসাবে নিমন্ত্রণও করেন প্রধানমন্ত্রী। নেতাজির পথে চললে ভারত অনেক উঁচুতে পৌঁছতে পারত। তিনি এখন সেই পথেই চলছেন বলে বার্তা দিয়েছেন মোদী।
ইন্ডিয়া গেট থেকে রাইসিনা হিল পর্যন্ত রাজপথ ও তার দু’পাশের এলাকা— সেন্ট্রাল ভিস্টা ঢেলে সাজানোর পরে আজ প্রধানমন্ত্রী তার উদ্বোধন করেছেন। রাজপথের নাম বদলে করেছেন 'কর্তব্য পথ'। স্বাধীনতার পরে সুভাষচন্দ্র বসু পথে চলার চেষ্টা করলে অনেকখানি উচ্চতায় পৌঁছতে পারত। দুর্ভাগ্য হল, এই মহান নায়ককে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।' নেতাজিকে 'অখণ্ড ভারতের প্রথম প্রধান' বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।
কথায় বলে, প্রেম যে কোনও বয়সে হতে পারে। ভালোবাসার নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। আর সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের প্রাক্তন বিচারক (Ex CBI judge) ৫৯ বছরের শিবপাল সিং-এর (Shivpal Singh) ক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটেছে। বিহারের (Bihar) বিজেপি নেত্রী (BJP Leader) নূতন তিওয়ারিকে (Nutan Tiwari) দেখে প্রেমে পড়ে যান তিনি। দীর্ঘদিন মন দেওয়া নেওয়ার পর অবশেষে প্রেম সফল পরিণতি পেল ছাদনাতলায় (Marraige)। দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ৫০ বছরের নূতনের সঙ্গে শিবপাল। আর প্রাক্তন এই বিচারক লালুপ্রসাদ যাদবকে পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, উভয়েরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ইতিমধ্যে নবদম্পতির বিয়ের ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনরা দুজনের আগামী জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। গত কয়েকদিন আগে দুমকার বাসুকিনাথ মন্দিরে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে চার হাত এক হয় তাঁদের।
উল্লেখ্য, শিবপাল সিং-ই বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবকে পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠিয়েছিলেন। পাত্রী নূতন তিওয়ারি নিজেও যুক্ত রয়েছেন আইন ব্যবসার সঙ্গে। গোড্ডা জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে যুক্ত রয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ওই অঞ্চলের একজন বিখ্যাত সমাজসেবী এবং হেভিওয়েট বিজেপি নেত্রী হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর। ৫৯ বছর বয়সী শিবপাল গত তিন বছর ধরে গোড্ডার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক হিসাবে কর্মরত।
জানা গিয়েছে, একটি দুর্ঘটনায় স্বামীকে হারিয়েছিলেন নূতন। আর ২০০৬ সালে প্রথম স্ত্রীকে হারান শিবপাল। শিবপালের প্রথম ঘরে এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। অন্য দিকে, নূতনের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, পরিবারের সদস্যরা এবং ছেলে ও মেয়েরা সম্মতি দেওয়ার পর দু’জন বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। পরিবারের সকলে তাঁদের পাশে ছিলেন। তাঁদের আগামী জীবনের শুভকামনা জানিয়েছেন।
বাড়িতে ভাড়াটে দিয়েছেন? তাহলে এখনই সতর্ক হয়ে যান। ভালো করে যাচাই বাছাই করে তারপরই ভাড়া দিন। নাহলে ভাড়াটের অপরাধমূলক কার্যকলাপের দায়ভার আপনার উপরই বর্তাবে। বুধবার বম্বে হাইকোর্ট(Bombay High Court) একটি মামলার রায়ে এই নির্দেশ দিয়েছে। এমনকি ওই মামলায় বাড়ির মালিকের (landlord) আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। রায়ে জানায়, ভাড়াবাড়ির মধ্যে যা হবে তার দায়িত্ব বাড়ির মালিকেরও।
মহারাষ্ট্রের (Maharastra) পিম্পরি-ছিন্দওয়াড় শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেআইনি ভাবে স্পা-এর (Spa) আড়ালে দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগ জানিয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ওই বাড়ির মালিক। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এ কথা জানায় আদালত। হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ভাড়াটে বাড়ির ভিতরে কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালাচ্ছেন কিনা, সে বিষয়ে মালিকের কোনও ধারণাই নেই, এমন যুক্তি বিশ্বাসযোগ্য নয়।
পুলিস এই কুকর্ম ধরার পর বাড়ির মালিকের নামেও অভিযোগ করেছিল। সেই অভিযোগ মিথ্যা বলে আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন বাড়ি মালিক। তাঁর যুক্তি ছিল, বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত বিধি মেনেই চুক্তি করে তিনি ভাড়া দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে ভাড়াটে কী করছেন তা তিনি দেখতে পারেন না। তাই পুলিসের দায়ের করা এফআইআর থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার জন্যও আবেদন জানিয়েছিলেন ওই বাড়ি মালিক। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় (CENTRAL) মন্ত্রিসভার বৈঠকে পিএম শ্রী স্কুল কর্মসূচির জন্য অর্থবরাদ্দ করা হয়েছে। নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় এই প্রকল্প গৃহীত। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে 'পিএম শ্রী স্কুল' (P.M.SREE.SCHOOL) গড়ার প্রস্তাবে সায় দিল নরেন্দ্র মোদী (NARENDRA MODI) মন্ত্রিসভা।
প্রস্তাবিত কর্মসূচিতে দেশের গ্রাম ও শহরাঞ্চলের প্রতিটি ব্লকে অন্তত দু'টি করে বিদ্যালয়কে 'পিএম শ্রী স্কুল' হিসাবে উন্নীত করা হবে। এবং আগামী পাঁচ বছরে ১৪,৫৯৭টি প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত স্কুল নির্মাণের জন্য ব্যয় হবে ২৭,৩৬০ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক সূত্রের খবর, 'পিএম শ্রী স্কুল' গুলিতে আধুনিক প্রযুক্তির স্মার্ট ক্লাসরুম, থ্রিডি ল্যাবরেটরি-সহ নানা পরিকাঠামো থাকবে আরও থাকবে জীবনশৈলী পাঠের ব্যবস্থা। পরীক্ষামূলকভাবে পড়ুয়াদের মাসে ১০ দিন স্কুলব্যাগ ছাড়াই স্কুলে আসার নীতি চালু করা হবে। প্রথম পর্যায়ে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে খেলাধুলোর প্রতি।
যে স্কুলগুলিকে এই কর্মসূচিতে উন্নীত করা হবে সেগুলির পরিচালনার ব্যবস্থা হবে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির আদলে। পরিচালনার ভার থাকবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের হাতে। পাঁচ বছরের জন্য প্রতি 'পিএম শ্রী স্কুল'কে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য দু'কোটি টাকা করে দেওয়া হবে। সরাসরি সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে সেই টাকা দেবে কেন্দ্র। পড়ুয়াদের উন্নতির দিকে বিশেষ নজরে রাখতে হবে এবং স্কুল প্রশাসনকে আরও কড়া ও স্বচ্ছ করার উদ্দেশ্যে 'পিএম শ্রী স্কুল' গুলির জন্য একটি বিশেষ পোর্টালও তৈরি করতে চলেছে।
১০ কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের তিমির বমি (Whale Vomit) পাচার করতে গিয়ে সম্প্রতি চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে যোগী রাজ্যের পুলিস (Uttar Pradesh)। চোরাবাজারে ওই দুই ব্যক্তি স্পার্ম তিমির (Sparm Whale) বমি বা ‘অ্যাম্বারগ্রিস’ (Ambergris) বিক্রি করবে বলে পুলিস খবর পায়। অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪ কেজি ১২০ গ্রাম ওজনের ‘তিমির বমি’ বাজেয়াপ্ত করে চোরাচালানকারীদের কাছ থেকে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশ পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের পক্ষ থেকে টুইটারে এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। এক পোস্টে জানানো হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক আঙিনায় নিষিদ্ধ বন্য জীব সংরক্ষণ আইনের অধীনে চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৪.১২ কেজি ওজনের ওই অ্যাম্বারগ্রিস পাচার চেষ্টার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অ্যাম্বারগ্রিস বা তিমির বমি কী কাজে লাগে? আকাশ ছোঁয়া তার দাম বা কেন? তিমির অন্ত্রে জমে থাকা মোমজাতীয় এই পদার্থ, যা বমি হিসেবে শরীর থেকে বের করে দেয় স্তন্যপায়ী প্রাণীটি, সেই অ্যাম্বারগ্রিস ব্যবহার করা হয় সুগন্ধী নির্মাণে। তিমির বমি থেকে সুগন্ধী! এও সম্ভব! আবার কোন তিমি, না স্পার্ম তিমি। উল্লেখ্য, তিমির একটি বিশেষ প্রজাতি হল স্পার্ম হোয়েল। এছাড়া প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতেও এর গুরুত্ব ছিল অনেক।
সমুদ্রের জলে ভেসে আসে এই দুর্মূল্য বস্তু। তাই একে 'ফ্লোটিং গোল্ড'ও বলা হয়। সুগন্ধীর বাজারে এর গগনচুম্বী চাহিদার জন্যই এমন দাম। দুবাইয়ের মতো কয়েকটি দেশে সুগন্ধীর বিশাল বাজার।
গত ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhash Chandra Bose) ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে বসানো হয়েছিল নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি (Netaji Hologram Statue) উদ্বোধন করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, দেশের প্রতি নেতাজির অবদানের কথা মাথায় রেখেই শীঘ্রই সেখানে দেশনায়কের গ্রানাইটের মূর্তি বসাবে কেন্দ্র। কথা মতন, বুধবার বিকেলেই ইন্ডিয়া গেটে (India Gate) পঞ্চম জর্জের ক্যানোপিতে বসল নেতাজী সুভাষ বসুর গ্রানাইটের সুউচ্চ মূর্তি। বৃহস্পতিবার ৭টা নাগাদ এর আনুষ্ঠানিক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
পাশাপাশি, এদিন রাজধানীর ‘কর্তব্য পথের' আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। কথা ছিল, গত ১৫ অগাস্টের মধ্যে গ্রানাইটের মূর্তটির উদ্বোধন করা হবে। যদিও কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় তা হয়নি। মাঝে হলোগ্রামেরও খোঁজ মিলছিল না। যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা।
উল্লেখ্য যে, নেতাজির মূর্তি তৈরির প্রধান ভাস্কর হলেন অরুণ যোগীরাজ। মোট ২৮ ফুট উঁচু মূর্তিটি গ্রানাইট পাথর দিয়ে খোদাই করা হয়েছে। পাশাপাশি, এটির ওজন হল ৬৫ মেট্রিক টন। জানা গিয়েছে, এই অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করতে মণিপুরী শঙ্খ বাদ্যম বা শঙ্খধ্বনি ও তার সঙ্গে কেরলের চন্দা ও পঞ্চবাদ্যমের আয়োজন করা হয়েছে। নেতাজী মূর্তি উন্মোচনের সময় গোটা অঞ্চলে বাজানো হবে আইএনএ মার্চিং সং-‘কদম কদম বড়ায়ে যা’। পরে ‘কর্তব্যপথ’ উদ্বোধনের পর এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে ভাষণও দেবেন প্রধানমন্ত্রী।