
রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেই আর্থিক নীতি ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। এই নিয়ে মোট নয়বার অপরিবর্তিত রাখা হল রেপো রেট (Repo Rate)। বৃহস্পতিবার একথা জানান গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (RBI Governor)। জানা গিয়েছে, আগামি দিনে ৪% রাখা হয়েছে রেপো রেট। রিভার্স রেপো রেট রাখা হয়েছে ৩.৫%। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর জানান, অতিমারিতে (Covid-19) আর্থিকভাবে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, ফের চাঙ্গা হওয়ার পথে আর্থিক বৃদ্ধি। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, চলতি মাসের প্রথমেই আর্থিক নীতি ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সুরসম্রাজ্ঞীর মৃত্যুতে সেই ঘোষণা পিছিয়ে গিয়েছিল। এদিন তাই আর্থিক নীতি ঘোষণার আগে গভর্নরের গলায় ছিল লতা দিদির গান। তিনি গেয়ে ওঠেন, 'আজ ফির জিনে কি তামান্না হে।' অর্থাৎ এই গানের মধ্যে দিয়ে ফের জেগে ওঠার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এদিন এভাবেই আর্থিক বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সরব হয়েছিলেন শক্তিকান্ত দাস।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, রেপো রেট, যেহারে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলোকে ঋণ দেয় শীর্ষ ব্যাঙ্ক। আর রিভার্স রেপো রেট যেহারে ব্যাঙ্কগুলোকে সেই ঋণ শোধ করে বাণিজ্যিক বায়ঙ্কগুলো। অর্থনীতিবিদদের মত, রেপো রেট কম থাকলে সুরাহা হয় আমজনতার। তার প্রভাব পড়ে গাড়ি-বাড়ি ঋণ নেওয়ার উপরেও।
উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা (Uttar Prdaesh) নির্বাচন শুরুর দিনই জামিন পেলেন লখিমপুর খেরি-কাণ্ডে (Lakhimpur Case) ধৃত মন্ত্রীর পুত্র আশিস মিশ্র। গ্রেফতার হওয়ার চার মাস পর জামিন পেলেন মূল অভিযুক্ত মন্ত্রী (Union Minister) অজয় মিশ্রর ছেলে। হাই ভোল্টেজ উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের প্রথম দফার দিনেই জামিনে মুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বৃহস্পতিবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ আশিসের জামিন মঞ্জুর করেছে। নিম্ন আদালত তাঁর জামিন খারিজ করে দিলে উচ্চ আদালতে তিনি জামিনের জন্য আবেদন করেন। উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে বিক্ষোভরত কৃষকদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৪ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। পরে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ে। ৯ অক্টোবর আশিস মিশ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে আরও কয়েকজনকে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিন আশিসের আইনজীবী সলিল কুমার শ্রীবাস্তব বলেছেন, 'হাইকোর্টে জামিনের শুনানির সময় বেশ কিছু বিষয় পেশ করা হয়েছে। আশিসকে মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছে। কারণ তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। তাই আদালত এদিন আশিস মিশ্রকে জামিন দেন।'
শুরু হয়ে গেল উত্তরপ্রদেশের ভোট। সমস্ত রাজনৈতিক দলের নজরে এই রাজ্য। সুবিশাল উত্তরপ্রদেশে ৪০৩ টি বিধানসভা আসন। ক্ষমতা দখল করতে গেলে ২০২টি আসন জিততেই হবে। ৭ দফার ভোট উত্তরপ্রদেশে। আপাতত খবর যা, উত্তপ্ত রয়েছে ভোট কেন্দ্রগুলি। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা রয়েছে সেখানে। ভোট পড়ছে ধীরভাবে। প্রথম ভোট রয়েছে প্রদেশের পশ্চিম অঞ্চলে যেখানে জাঠ, যাদবদের প্রবল দাপট এবং কৃষিপ্রধান স্থান। যেখানে আখের চাষের জন্য বিখ্যাত। এখানে ১১ টি জেলার ৫৮টি আসনে ভোট হচ্ছে। বিগত ভোটে এখানে বিজেপি ৫৩টি আসন জয় করেছিল, কিন্তু এবার লড়াই খুব কঠিন এই পশ্চিম অঞ্চলে।
এখানে জাঠেদের দখলে থাকা কৈরালা, মুজাফ্ফরনগর, মিরাট, বাগপথ, শামসি ইত্যাদি অঞ্চল আছে। ভোট হচ্ছে যাদব অধ্যুষিত অঞ্চল বৃন্দাবন, মথুরা, গোবর্ধন ও আগ্রাতেও। মূলত জাঠ, মুসলিম এবং যাদবদের এই অঞ্চলে এবারের ভোটে শক্তি নিয়ে লড়ছে অখিলেশ যাদবের দল ও তার জোটসঙ্গীরা। এ অঞ্চলের ভোট পেতে মরিয়া বিজেপি। সকালেই সবার নজরে এল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের এক নেট মারফত আবেদন। যদিও তা নির্বাচন বিধি ভাঙছে কি না, উঠেছে প্রশ্ন।
उत्तर प्रदेश के मेरे मतदाता भाइयों एवं बहनों... pic.twitter.com/voB37uA3uV
— Yogi Adityanath (@myogiadityanath) February 9, 2022
এই ভিডিও ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে 'নালিশ ' হিসাবে দেওয়া হয়েছে। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই ভিডিও অনেক আগেই করা হয়েছে| কী রয়েছে ভিডিওটিতে। এখানে যোগীর আবেদন খুব নম্র নয় বলে দাবি বিরোধীদের। বলা হচ্ছে, বিবেচনা করে ভোট দিন, এই আমলে এই রাজ্যে অনেক উন্নতি হয়েছে| প্রার্থী বাছতে ভুল হলে উত্তরপ্রদেশ কাশ্মীর, বাংলা বা কেরলের মতো হয়ে যাবে। যোগী দাবি করেছেন বটে, কিন্তু নীতি আয়োগের রিপোর্ট বলছে, সব থেকে পিছিয়ে রয়েছে যোগীর প্রদেশ। বরং বাংলা অনেকটাই এগিয়ে আর কেরল তো প্রথম তিন প্রদেশের মতো প্রশাসন চালাচ্ছে। যোগী কি চাপে? শেষ পাওয়া খবর, ভোট ৬৫% পেরিয়ে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার যখন প্রথম দফার ভোট গ্রহণ চলছে উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh), তখন দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দিলেন গ্রেট খালি (Khali joins BJP)। কুস্তিগীর দলীপ সিং রানা, গ্রেট খালি নামেই বেশি পরিচিত। গেরুয়া দলের সদর দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এদিন পদ্ম পতাকা হাতে তোলেন এই কুস্তিগীর (Great Khali)। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভার সাংসদ অরুণ সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এবং লোকসভার সাংসদ সুনীতা দুজ্ঞল।
এদিন বিজেপিতে যোগদানের পর খালি বলেন, 'বিজেপিতে যোগ দিতে পেরে আমি বেশ খুশি। মনে করি দেশের স্বার্থে নরেন্দ্র মোদীর কাজ, তাঁকে যোগ্য প্রধানমন্ত্রী করে তুলেছে। তাই দেশ গঠনে কেন মোদী প্রশাসনের বাইরে থাকব। বিজেপির জাতীয় ভাবধারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে, তাই এই সিদ্ধান্ত।'
এদিকে, বহু প্রতীক্ষিত উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল ভোট গ্রহণ। এদিন প্রথম দফায় ৫৮টি আসনে চলছে ভোটগ্রহণ। শেষ পাওয়া খবর বেলা ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৩৫.০৩%। লক্ষ্মীবার সে রাজ্যের ৬২৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য ব্যালটবন্দি হচ্ছে। এদিন মোট ২ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ভোট দেবেন।
জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় রাজ্যের ১১টি জেলায় ভোট গ্রহণ চলছে। বেশিরভাগ পশ্চিম উত্তর প্রদেশ অঞ্চলে। জাঠ অধ্যুষিত এই বিধানসভায় পাল্লা ভারী বিরোধী সপা এবং আরএলডি জোটের। এই বছর পশ্চিম উত্তর প্রদেশ বিজেপিকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। কারণ এক বছর ধরে চলা কৃষি আন্দোলনের অধিকাংশ জমায়েত এই অঞ্চল থেকেই ছিল। দলে দলে কৃষক পরিবার যোগ দিয়েছিল দিল্লি সীমান্তে।
পাশাপাশি প্রথম দফায় যোগী মন্ত্রিসভার ৯ মন্ত্রীর ভাগ্য নির্ধারিত হতে চলেছে। মোট ৭ দফায় এই রাজ্যে ভোট গ্রহণের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়েছে। ১০ মার্চ বাকি ৪টে রাজ্যের সঙ্গে উত্তর প্রদেশের ভোট গণনা।
সোশ্যাল মিডিয়াকে 'ভাইরাল মিডিয়া' বললে খুব একটা ভুল বলা হবে না। দেশের যে প্রান্তে যাই ঘটুক না কেন, মুহূর্তের মধ্যে তা নেটপাড়ায় হইচই ফেলে দেয়। এবারও এমন ঘটনা ভাইরাল হয়েছে, যা শুধু নেটাগরিকদের অবাক করাই নয়, সেই সঙ্গে ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যাপারেও অনুপ্রাণিত করবে।
আপনার কাছে খুচরো নেই? ভিক্ষুককে টাকা দিতে চাইছেন, কিন্তু নগদ না থাকার জন্য দিতে পারছেন না? কোনও ব্যাপার নয়, এবার ডিজিটালি ভিক্ষা দিন।
সম্প্রতি বিহারে দেখা মিলল ডিজিটাল ভিক্ষুকের। নাম রাজু প্যাটেল। প্রযুক্তি সচেতন হলে যে ভিক্ষা পেতে সুবিধা হবে, তা তিনি উপলব্ধি করেছেন। তাই তিনি ব্যবস্থা রেখেছেন 'ফোন পে' এবং 'কিউআর কোড'-এর। বিহারের বেত্তিয়া স্টেশনে ভিক্ষা করেন রাজু। গলায় ঝোলানো রয়েছে কিউআর কোড। স্ক্যান করলেই টাকা সরাসরি চলে যাবে রাজুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে রাজু বলেন, 'আমি ডিজিটালিও ভিক্ষা নিই। নিজের পেট ভরানোর জন্য এই ব্যবস্থা আমায় করে নিতে হয়েছে।" রাজু আরও জানিয়েছেন, তিনি অনেক বছর ধরেই স্টেশনে ভিক্ষাবৃত্তি করছেন। অনেক সময় অনেকে খুচরো নেই অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যায়। সেক্ষেত্রে অনলাইনেও সাধ্যমতো টাকা পাঠাতে পারেন। এর ফলে একদিকে নগদের লেনদেনও কমবে।
Bihar | Raju Patel, a beggar in Bettiah, goes digital; accepts PhonePe & puts a QR code around his neck
— ANI (@ANI) February 8, 2022
"I accept digital payments, it's enough to get the work done & fill my stomach," said Raju Patel
Visuals from Bettiah railway station pic.twitter.com/nbw83uXop6
পাশাপাশি আরও জানালেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একজন বড় ভক্ত। প্রধানমন্ত্রী বারবার 'ডিজিটাল ভারত'-এর কথা বলেন। ক্যাশলেস লেনদেনের কথা বলেন সকলকে। তিনি সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। এমনকি তিনি প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের একটি এপিসোডও বাদ দেন না। সবটা মন দিয়ে দেখেন ও শোনেন।
এই ডিজিটাল ভিক্ষুকই এখন সোশ্যাল মিডিয়ার নয়া নায়ক। সকলের চ্যাটবক্সে ঘোরাঘুরি করছে তাঁর ছবি। তাঁর এমন অভিনব ভাবনাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলে।
প্রতীক্ষিত উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh Poll) বিধানসভায় বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল ভোট গ্রহণ। এদিন প্রথম দফায় ৫৮টি আসনে চলেছে ভোটগ্রহণ (Assembly Election)। শেষ পাওয়া খবর সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ৫৭.৭৯%। লক্ষ্মীবার সে রাজ্যের ৬২৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য ব্যালটবন্দি হয়েছে। এদিন মোট ২ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ভোট দেবেন। যদিও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণে কয়েকটি বুথে ইভিএম নিয়ে অভিযোগ ওঠে। কমিশন সূত্রে খবর, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই সমস্যা। যদিও এই সমস্যা গুরুতর ভাবে খতিয়ে দেখতে কমিশনকে আর্জি জানিয়েছে বিরোধী দলগুলো। এদিন আবার শাহারানপুরে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, 'বিজেপির ইস্তেহার জনকল্যাণকর। পশ্চিম উত্তর প্রদেশের কয়েকটি আসন সকাল থেকেই ভোট গ্রহণ চলছে। মানুষ শীতের সকালে ভোট দিতে বেরিয়েছেন। দেখে ভালো লাগছে।'
জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় রাজ্যের ১১টি জেলায় ভোট গ্রহণ চলছে। বেশিরভাগ পশ্চিম উত্তর প্রদেশ অঞ্চলে। জাঠ অধ্যুষিত এই বিধানসভায় পাল্লা ভারী বিরোধী সপা এবং আরএলডি জোটের। এই বছর পশ্চিম উত্তর প্রদেশ বিজেপিকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। কারণ এক বছর ধরে চলা কৃষি আন্দোলনের অধিকাংশ জমায়েত এই অঞ্চল থেকেই ছিল। দলে দলে কৃষক পরিবার যোগ দিয়েছিল দিল্লি সীমান্তে।
পাশাপাশি প্রথম দফায় যোগী মন্ত্রিসভার ৯ মন্ত্রীর ভাগ্য নির্ধারিত হতে চলেছে। মোট ৭ দফায় এই রাজ্যে ভোট গ্রহণের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়েছে। ১০ মার্চ বাকি ৪টে রাজ্যের সঙ্গে উত্তর প্রদেশের ভোট গণনা। এদিন সকালের দিকে একটি ট্যুইট করেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। সেই ট্যুইটে উল্লেখ, 'নতুন উত্তর প্রদেশের নতুন স্লোগান, বিকাশ হোক ভাবধারা।' এদিকে, এদিন ভোট শুরু হওয়ার পর রাজ্যবাসীর উদ্দেশে ভোট বার্তা পাঠান উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
তিনি বলেন, 'সবাই এগিয়ে এসে ভোট দিন। কিন্তু সাবধান হয়ে ভোট দিন। বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে উত্তর প্রদেশের অবস্থা বাংলা, কাশ্মীর, কেরলের মতো হবে। পাঁচ বছরের পরিশ্রম জলে যাবে। আমার মনে অনেক কিছু আছে। এই পাঁচ বছরে অনেক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে।'ফের অনশনে বসছেন সমাজকর্মী আন্না হাজারে (Anna Hazare)। মহারাষ্ট্রে (Maharshtra Village) নিজের গ্রামে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালীন অনশনে বসবেন তিনি। সম্প্রতি সে রাজ্যের উদ্ধব ঠাকরে সরকার সুপার মার্কেটে মদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় অনশন (Hunger Strike) কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন এই প্রবীণ সমাজকর্মী।
নিজের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বুধবার আন্না বলেন, 'রাজস্ব বাড়াতে এবং মদ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখতে মহারাষ্ট্র সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের জেরে কিশোর এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মদের প্রতি আসক্তি বাড়বে। মত্ত অবস্থায় গৃহ হিংসার ঘটনা ঘটবে।'
তাঁর মন্তব্য, আমাদের সন্ত এবং জাতীয় নায়করা ভারতীয় সংস্কৃতি সংরক্ষিত করার চেষ্টা করেছেন। খোলা দোকানে মদ বিক্রি হলে, সেই সংস্কৃতি সংক্রমিত হবে অন্যত্র। তাই এই সিদ্ধান্তের জেরে আর কী কী সমস্যা তৈরি হতে পারে, তা এখনই বলা অসম্ভব। তাই আমাদের সংস্কৃতি বাঁচাতে আমি রালেগাঁও সিদ্ধিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অনশনে বসছি।'
তাঁর এই বক্তব্য লিখিত আকারে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে পাঠিয়েছেন এই প্রবীণ সমাজকর্মী। ২৭ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের জোট সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপার মার্কেট এবং খোলা বাজারে বিক্রি করা যাবে মদ।
এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যে আন্দোলন শুরু করেছে আন্না হাজারের সংগঠন ভ্রষ্টাচার-বিরোধী জন আন্দোলন। সমালোচনায় সরব রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তারপরেও নির্বিকার প্রশাসন। এমনটাই হাজারের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর।
দুই বছরে বেকারত্ব এবং ঋণগ্রস্ত হয়ে ২৫ হাজারের বেশি ভারতীয় আত্মহত্যা করেছেন। রাজ্যসভাকে এই তথ্য দিয়েছে মোদী সরকার। ২০১৮-২০২০-র পরিসংখ্যানে উল্লেখ, ৯১৪০ জন বেকারত্বের জ্বালায় এবং ১৬,০৯১ জন ঋণখেলাপি হিসেবে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। বুধবার কর্মসংস্থান বিষয়ক আলোচনা চলাকালীন উচ্চকক্ষের বিরোধী শিবিরকে এই তথ্য দেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।
জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো বা এনসিআরবি-র তরফে এই পরিসংখ্যান সরকারকে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেছেন, 'করোনার প্রথম ঢেউ অর্থাৎ ২০২০-তে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সে বছর কাজ খুইয়ে ৩৫৪৮ জন আত্মহত্যা করেছেন। পাশাপাশি ২০১৯ সালে ২৮৫১ জন আর ২০১৮ সালে ২৭৪১ জন এই চরম পথ বেছেছেন।'
যদিও সর্বস্বান্ত বা ঋণখেলাপি হয়ে আত্মহত্যার ঘটনা এতটা উদ্বেগজনক নয়। ২০১৮-তে আত্মহত্যা করেছেন ৪৭৯০ জন, ২০১৯-এ এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৫৯০৮ জন। আর করোনার বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫২১৩ জন।'
ড্রোনের (Pak Drone) মাধ্যমে অস্ত্র এবং মাদক পাচার আটকাল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)। মঙ্গলবার মধ্যরাতের এই ঘটনা পঞ্জাবের আন্তর্জাতিক সীমান্তের। বিএসএফ-এর এক কর্তা জানান, গুরুদাসপুর (Punjab Border) সেক্টরের পঞ্জগ্রেনে আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভারতীয় আকাশে ভোঁ ভোঁ শব্দ কানে আসে জওয়ানদের। তখনই শব্দের উৎস সন্ধানে উদ্ধার হয়, পাকিস্তানের দিক থেকে আসা একটি ড্রোন আকাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। সন্দেহ হওয়ায় গুলি করে নামানো হয় সেই ড্রোন।
এরপরেই এলাকাজুড়ে তল্লাশি শুরু হলে হলুদ রঙের দুটি প্যাকেটে উদ্ধার হয়েছে। যার ভিতর থেকে মাদক উদ্ধার হয়েছে। সন্দেহ, সেই প্যাকেট ফেলেই যখন পাকিস্তানের দিকে ফিরছিল সেই ড্রোন, তাকে আটকায় বিএসএফ। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে প্রায় আড়াই কিমি দূরে এই জোড়া প্যাকেট বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার একটির সঙ্গে পিস্তল মোড়ানো ছিল।
যদিও সন্দেহজনক সেই ড্রোনের কোনও হদিশ এখনও পায়নি বিএসএফ। সেটা কোনও জলাশয়ে ডুবেছে, না কোনওভাবে সীমান্ত পেরিয়ে পাক ভূখণ্ডে গিয়ে পড়েছে? উত্তর খুজতে তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ।
বাজেট অধিবেশনে (Parliament Budget Session) রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার জবাবি ভাষণের অপব্যবহার করেছেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister Modi)। এই অভিযোগে বুধবার সংসদে সরব হয়েছে কংগ্রেস Congress)। সাম্প্রতিক ইস্যুর উপর আলোকপাত না করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। এখানেই আপত্তি তুলেছেন সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, 'আপনি যদি কংগ্রেস, গান্ধীজি, নেহেরুজি কিংবা রাহুলজিকে ঘৃণা করেন, তাহলে সংসদের বাইরে সরব হন। প্রধানমন্ত্রীজি বিরোধীদের ইস্যু পেগাসাস, কোভিড, মুদ্রাস্ফীতি এসব বিষয়ে আলোচনা করেননি। আমরা তখন জন্মাইনি যখন কংগ্রেস স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল।'
এদিকে, পরপর দুই দিন রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর বলতে উঠে কংগ্রেসকেই আক্রমণের নিশানা বানান প্রধানমন্ত্রী। সোমবার লোকসভায় এবং মঙ্গলবার রাজসভায়, মোদীর কটাক্ষের তিরে ছিল শতাব্দী প্রাচীন দল। ঠিক কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী? যার জেরে বুধবার সরব হয়েছে কংগ্রেস। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর জবাবি বক্তৃতায় প্রথম থেকে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার যেভাবে লোকসভায় তিনি সরব হয়েছিলেন, এদিন সেভাবেই সংসদের উচ্চকক্ষে সরব হলেন। পরিবারতন্ত্রের ঊর্ধ্বে কংগ্রেস কিছু বোঝে না। এভাবেই কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ১ ঘণ্টার ভাষণে তাঁর আমলের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ইতিবাচক দিক তুলে ধরার পাশাপাশি বিরোধীদের তুলোধোনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় তিনি বলেন, 'রাষ্ট্র কোনও শাসন বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নয়। আমাদের জন্য রাষ্ট্র জীবিত আত্মা। তাই পরিবার পরিচালিত কোনও দল গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সেই উদ্যোগকে দিশা দেখিয়ে আগামি ২৫ বছরে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।'
কংগ্রেসের প্রতি তাঁর কটাক্ষ, 'গোয়ায় যখন কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল, তখন লতা মঙ্গেশকরের ভাইকে অল ইন্ডিয়া রেডিও থেকে ঘাড়ধাক্কা দিয়েছিল। কারণ তিনি বীর সাভারকরের কবিতার কিছু অংশ রেডিও অনুষ্ঠানে পাঠ করেছিলেন।'প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কিছু মানুষ মনে করেন ১৯৪৭-এ ভারতের জন্ম। এই ধারণাই সমস্যা তৈরি করছে। কংগ্রেস ক্ষমতায় না থাকলে জরুরি অবস্থা, শিখ দাঙ্গা, কাশ্মীরি পন্ডিতদের বিতাড়ন--এসব কিছুই ঘটত না।'
মুকেশ আম্বানিকে সরিয়ে এশিয়ার ধনীতম (Asia's Richest Person) ব্যক্তি হলেন গৌতম আদানি। ব্লুমবার্গ বিলিওনিয়র সূচক সূত্রে খবর, আদানির (Gautam Adani) মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৮.৫ বিলিয়ন ডলার। তাঁর ঠিক পিছনেই আছেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। যাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৭.৯ বিলিয়ন ডলার। জানা গিয়েছে, চলতি বছরে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে গৌতম আদানির সম্পদ। বন্দর, খনি, সবুজ শক্তির মতো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জেরে ক্রমেই লাভবান আদানি গ্রুপ অফ কোম্পানিজ।
কয়লা ব্যবসায় বড়সড় বিপ্লব আনা এই উদ্যোগপতির সাম্প্রতিক প্রকল্প নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। তাঁর অস্ট্রেলিয়ার খনি প্রকল্প নিয়ে চলেছে একপ্রস্থ বিতর্ক। পাশাপাশি জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পেও বড়সড় বিপ্লব আনতে বিনিয়োগ করেছে আদানির সংস্থা।
পাশাপাশি নবীকরণযোগ্য শক্তি, বিমানবন্দর, ডেটা সংগ্রহ কেন্দ্র এবং প্রতিরক্ষা বরাত ক্ষেত্রেও ব্যবসা বাড়াতে উদ্যোগী এই উদ্যোগপতি। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দিতেই ক্রমেই বিনিয়োগের পরিসর বাড়াচ্ছেন এই উদ্যোগপতি।
এই প্রসঙ্গে শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞদের মন্ত্যব, ঠিক সময়ে সঠিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ শুরু করেছেন গৌতম আদানি। যার জেরে অনেক বিদেশি বিনিয়োগ আগ্রহ প্রকাশ করেছে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে।
হুন্ডাই পাকিস্তানের (Hyundai Pakistan Row) একটি ট্যুইট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে নয়াদিল্লি। হুন্ডাই পাকিস্তানের বিতর্কিত সেই ট্যুইটে উল্লেখ, 'কাশ্মীরিদের আত্মবলিদান স্মরণ করার মতো। কাশ্মীরের (Kashmir Struggle) স্বাধীনতার জন্য তাঁদের মানুষের পাশে দাঁড়ান।' আর এতেই বেজায় বিপাকে দক্ষিণ কোরিয়া (South korea)। ভারতের সঙ্গে যাতে কোনওভাবেই সম্পর্ক খারাপ না হয়, সেই উদ্যোগ নিয়েছে সিওল। ইতিমধ্যে দিল্লিতে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে মোদী সরকার। তারপরেই তড়িঘড়ি বিদেশমন্ত্রীকে (S Jayshankar) ফোন করেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিদেশ মন্ত্রী। মঙ্গলবার ট্যুইট করে একথা জানান এস জয়শঙ্কর।
Hello @Hyundai_Global ,How come your official handle in Pak is supporting terror state Pakistan’s propaganda on Kashmir ?@HyundaiIndia If you can’t respect sovereignty of my nation,Pack your bags and leave my country !
— Major Surendra Poonia (@MajorPoonia) February 6, 2022
Friends,Keep retweeting till @Hyundai_Global apologise ! pic.twitter.com/zbtth6NklS
জানা গিয়েছে, বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে করা ফোনে হুন্ডাই পাকিস্তানের এই ট্যুইটকে 'অপরাধ' তকমা দিয়েছেন চুং ইউই ইওং। পাশাপাশি এই ঘটনার নিন্দা করেছেন তিনি। সিওলে ভারতীয় দূতাবাসের তরফেও উষ্মা প্রকাশ করে দক্ষিণ কোরিয়া বিদেশ মন্ত্রকে বিবৃতি পাঠান হয়েছে।
Received a call from ROK FM Chung Eui-yong today. Discussed bilateral and multilateral issues as also the Hyundai matter.
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) February 8, 2022
এদিন জয়শঙ্কর ট্যুইটে লেখেন, 'তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রীর ফোন পেয়েছেন। এবং দ্বিপাক্ষিক একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই তালিকায় হুন্ডাই পাকিস্তান ইস্যুও ছিল।
সোমবার লোকসভার পর মঙ্গলবার রাজ্যসভায় (Modi at Parliament) বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর জবাবি বক্তৃতায় প্রথম থেকে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সোমবার যেভাবে লোকসভায় তিনি সরব হয়েছিলেন, এদিন সেভাবেই সংসদের উচ্চকক্ষে সরব হলেন। পরিবারতন্ত্রের ঊর্ধ্বে কংগ্রেস (Congress) কিছু বোঝে না। এভাবেই কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ১ ঘণ্টার ভাষণে তাঁর আমলের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ইতিবাচক দিক তুলে ধরার পাশাপাশি বিরোধীদের তুলোধোনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় তিনি বলেন, 'রাষ্ট্র কোনও শাসন বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নয়। আমাদের জন্য রাষ্ট্র জীবিত আত্মা। তাই পরিবার পরিচালিত কোনও দল গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সেই উদ্যোগকে দিশা দেখিয়ে আগামি ২৫ বছরে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।'
কংগ্রেসের প্রতি তাঁর কটাক্ষ, 'গোয়ায় যখন কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল, তখন লতা মঙ্গেশকরের ভাইকে অল ইন্ডিয়া রেডিও থেকে ঘাড়ধাক্কা দিয়েছিল। কারণ তিনি বীর সাভারকরের কবিতার কিছু অংশ রেডিও অনুষ্ঠানে পাঠ করেছিলেন।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কিছু মানুষ মনে করেন ১৯৪৭-এ ভারতের জন্ম। এই ধারণাই সমস্যা তৈরি করছে। কংগ্রেস ক্ষমতায় না থাকলে জরুরি অবস্থা, শিখ দাঙ্গা, কাশ্মীরি পন্ডিতদের বিতাড়ন--এসব কিছুই ঘটত না।'
কোভিড প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, 'এই ধরনের অতিমারী ১০০ বছরে মানবজাতি দেখেনি। এই অতিমারী সঙ্কট ডেকে এনেছে, সমাজে সমস্যা তৈরি করেছে। গোটা বিশ্ব যার সঙ্গে লড়াই করে চলেছে।' তবে করোনা মোকাবিলায় ১৩০ কোটি মানুষের ইচ্ছাশক্তি গোটা বিশ্বে এখন সমাদৃত। এভাবেও প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন তিনি।
তবে মোদী যখন রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখছেন, তখন প্রতিবাদে সংসদকক্ষ থেকে ওয়াক আউট করেন কংগ্রেস সাংসদরা। যদিও পরপর দুই দিন কংগ্রেসকে মোদীর আক্রমণ প্রশ্নে অন্য সমীকরণ দেখছে রাজনৈতিক মহল।
পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটে খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই বিজেপি। গোয়া, পঞ্জাব এবং উত্তরাখণ্ডে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের মুখোমুখি লড়াই। উত্তরপ্রদেশেও ক্ষমতা ধরে রাখতে লড়াই করতে হবে বিজেপিকে। তাই প্রাসঙ্গিক কংগ্রেসকে তোপ দেগে ভোটের আগে ভাবমূর্তি পরিষ্কারের রাস্তায় হাঁটছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনটাই বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) প্রথম দফা ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করল বিজেপি (BJP)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) এই ইস্তেহার প্রকাশ করেন। 'লোক কল্যাণ সঙ্কল্পপত্র' নামে প্রকাশিত এই ইস্তেহারে (BJP manifesto) কৃষকস্বার্থে একাধিক ঘোষণা রয়েছে। কলেজ পড়ুয়াদের জন্য রাখা হয়েছে রানি লক্ষ্মীবাঈ যোজনা। এমনকি, রাজ্যের প্রবীণ নাগরিক, বিশেষ করে বৃদ্ধাদের জন্যও বিশেষ পরিকল্পনা প্রতিফলিত হয়েছে বিজেপির ইস্তেহারে।
উত্তরপ্রদেশে জনকল্যাণ এবং সার্বিক উন্নয়নে কী কী প্রতিশ্রুতি পালনের কথা বলেছে বিজেপি।
কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ। রাজ্যব্যাপী ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে গম এবং আখ ক্রয়
কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের জন্য রানি লক্ষ্মীবাঈ প্রকল্পে বিনামূল্যে স্কুটি বিতরণ।
ষাটোর্ধ্ব মহিলাদের জন্য সরকারি পরিবহণে বিনামূল্যে যাতায়াত
প্রতিটি গৃহস্থকে উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় হোলি এবং দীপাবলিতে দুটি করে এলপিজি সিলিন্ডার বিতরণ
केन्द्रीय गृह एवं सहकारिता मंत्री श्री @AmitShah लखनऊ, उत्तर प्रदेश में 'लोककल्याण संकल्प पत्र' का विमोचन करते हुए। https://t.co/HbMGfloqFk
— BJP (@BJP4India) February 8, 2022
এদিকে, ১০ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফার ভোটের আগে মঙ্গলবার এই রাজ্যে এবং উত্তরাখণ্ডে নির্বাচনী সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী। উত্তরাখণ্ডের ১৪টি বিধানসভার জন্য উধমসিং নগর এবং নৈনিতালে সভা। উত্তরপ্রদেশের বদায়ু, রামপুর এবং সম্বলপুরে সভা। পাশাপাশি পঞ্জাবের লুধিয়ানা, ফতেগড় সাহিবের জন্য ভার্চুয়াল সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
পঞ্জাবে ভোট ঘোষণা হওয়ার পর এই প্রথম নির্বাচনী সভা করতে দেখা যাবে নরেন্দ্র মোদীকে।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের (President Speech) উপর সোমবার জবাবি ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। এদিন সংসদে (Parliament Session) বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছেন তিনি। প্রায় একঘণ্টার বক্তৃতায় প্রথম থেকে তাঁর আক্রমণের তিরে ছিল শতাব্দীপ্রাচীন দল (Congress)। নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আগামি ১০০ বছর ক্ষমতায় আসবে না কংগ্রেস। এদিন এভাবেই সরব হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'কংগ্রেস নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আগামি ১০০ বছর ক্ষমতায় আসবে না। এমন মন তৈরি করে ফেলেছে। আমরাও তৈরি হয়েছি ওদের ক্ষমতার বাইরে রাখতে। বিভাজন ওদের ডিএনএ-তে। ইংরেজরা দেশ ছাড়লেও, কংগ্রেস ওদের বিভাজন এবং শাসন নীতিকে দত্তক নিয়েছে। তাই আজ ওরা টুকরে টুকরে গ্যাংকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।'
তাঁর খোঁচা, '৭১ সাল থেকে গরিবি হটাও স্লোগান দিয়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু গরিবি হটাওয়ের বদলে, গরিবরা ক্ষমতা থেকে কংগ্রেসকে সরিয়ে দিয়েছে। ওরা মোদীকে ছাড়া একদিনেও থাকতে পারেন না। সকাল থেকে মোদী নাম জপ করে। মেক ইন ইন্ডিয়াকে বিদ্রুপ করে নিজেরাই বিদ্রুপে পরিণত হয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, 'কংগ্রেস আমলে মুদ্রাস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে থাকতো। কিন্তু গত ৬ বছরে মুদ্রাস্ফীতি ৫%-এর নীচে নেমেছে। স্বাধীনতার এত বছর পরেও আপনারা (পড়ুন কংগ্রেস) দাসপ্রথা থেকে বেরোতে পারেননি। এতগুলো নির্বাচন হেরেও আপনাদের দর্পচূর্ণ হয়নি।' পাশাপাশি লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা তৈরির জন্য কংগ্রেসকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এখন দেশের প্রত্যন্ত অংশের মানুষ গ্যাস সংযোগ পাচ্ছে, এই দাবিও করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি শৌচাগার এবং বাড়ি গরিবদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে বলেও সংসদে সরব হয়েছিলেন তিনি। কোভিডকালে গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছে ভারত। সোমবার সংসদে দাবি করেন নরেন্দ্র মোদী।