
সোমবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নিতে চলেছেন দ্রৌপদী মুর্মু। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে।
উল্লেখ্য, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা, রাজ্যের গভর্নর, মুখ্যমন্ত্রী, কূটনৈতিক মিশনের প্রধান, সংসদ সদস্য এবং ভারত সরকারের প্রধান অসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারাও ২৫ শে জুলাই অনুষ্ঠানের জন্য সেন্ট্রাল হলে উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও রাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিলেন সোমলাল মুর্ম্য, মামনি সরেন, বাসন্তী মান্ডি সহ মোট ২৭ জনের দল। যে দলে রয়েছেন ১৪ জন পুরুষ এবং ১৩ জন মহিলা আদিবাসী শিল্পী।
বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু একটি আনুষ্ঠানিক শোভাযাত্রার মাধ্যমে সোমবার সেন্ট্রাল হলে পৌঁছবেন। নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার উপস্থিতিতে শপথ নেবেন এদিন।
এরপর রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন। অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে, দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্দেশে রওনা হবেন, যেখানে তাঁকে একটি ইন্টার-সার্ভিস গার্ড অফ অনার দেওয়া হবে এবং বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে সৌজন্য জানানো হবে বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভোট গণনা শেষ হওয়ার পরে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। রবিবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মুর্মু হবেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রথম সদস্য এবং দেশের শীর্ষ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত দ্বিতীয় মহিলা।
অগ্নিপথ প্রকল্প ঘিরে দেশজুড়ে বিতর্ক এখনও চলছে। তারই মধ্যে কিছুদিন আগে বায়ুসেনা টুইট করে জানিয়েছিল, অগ্নিপথ প্রকল্পে নৌবাহিনীতে যোগ দিতে চেয়ে রেকর্ড সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে, প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ। শনিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র টুইট করে জানিয়েছেন, আবেদনকারীদের মধ্যে ৩.০৩ লক্ষ আবেদন গৃহীত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় নৌবাহিনী ২ জুলাই থেকে এই প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। ২২ জুলাই পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৩ হাজার ৩২৮ টি আবেদন গৃহীত হয়েছে বলে খবর।
অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে, ১৭ থেকে সাড়ে ২১ বছর বয়সী যুবকদের চার বছরের মেয়াদের জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এবং তাঁদের মধ্যে ২৫ শতাংশকে পরবর্তীতে নিয়মিত পরিষেবার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এই স্কিমটি ১৪ জুন চালু করা হয়েছিল। মাত্র চার বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক ওই সেনা নিয়োগের বিরুদ্ধে পথে নামেন দেশের যুব সমাজের একাংশ। বিরোধীরাও ওই প্রকল্প প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হন। সরকার ১৬ জুন, এই স্কিমের অধীনে নিয়োগের জন্য ২০২২ সালের ২১ থেকে ২৩ বছর বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়েছে। এবং পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী এবং প্রতিরক্ষা পাবলিক সেক্টরের উদ্যোগে অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার দেওয়ার মতো বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে মোদী সরকার।
শুক্রবার মাঝরাত। ইন্ডিগোর একটি বিমান তখন মাঝ আকাশে। আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক আইপিএস অফিসার। সারা শরীরে তাঁর চরম অস্বস্তি। শরীর যেন হাঁসফাঁস করছে। দেখা গেল, হার্ট রেট তাঁর নেমে এসেছে ৩৯ এ। মুহূর্তের মধ্যে হইচই পড়ে গেল। কিন্তু করণীয় কী? কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। এমন সময়ই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন যিনি, তিনি আর কেউ নন, তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল, তামিলিসাই সৌন্দররাজন। তখন আর তিনি যেন রাজ্যপাল নন, একজন চিকিত্সক। নিজেই শুরু করে দিলেন পরীক্ষা এবং নিশ্চিত হলেন, ওই অফিসার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাঁকে কিছু পরামর্শ দেন। সেইমতো মেনে চলে কিছুক্ষণের মধ্যেই কেটে যায় অস্বস্তি ভাব। বর্তমানে তিনি ভর্তি রয়েছেন হাযদরাবাদের একটি হাসপাতালে।
অন্ধ্রপ্রদেশ ক্যাডারের ১৯৯৪ ব্যাচের ওই আইপিএস হলেন কৃপানাথ ত্রিপাঠি উজেলা, যিনি রোড সেফটি বিভাগের অ্যাডিশনাল ডিজিপি বিভাগে কর্মরত। শনিবার ওই অফিসার জানান, রাজ্যপাল আমাকে মায়ের মতো সেবা করেছেন। তা না হলে আমি এভাবে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারতাম না। উনি যখন আমার হার্ট রেট মাপলেন, তখন তা ছিল ৩৯। তিনি আমাকে সামনের দিকে ঝুঁকতে বলেন এবং আরামে থাকতে বলেন। তারপরই আমার শ্বাসপ্রশ্বাস ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকে। তিনি না থাকলে আমি হয়তো বেঁচে ফিরতে পারতাম না। তিনি আমাকে নতুন জীবন দান করেছেন। পরে হাসপাতালে নানা পরীক্ষার পর দেখা যায়, সত্যিই তাঁর ডেঙ্গু হয়েছে এবং প্লেটলেট নেমে এসেছে ১৪ হাজারে।
দুই সম্মতিপ্রাপ্ত প্রাপ্তবয়স্ক একসঙ্গে বসবাস করতে পারে। পরিবারের সদস্য সহ কোনও তৃতীয় ব্যক্তি তাঁদের জীবনে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এবং রাজ্যের জাতি বা সম্প্রদায় নির্বিশেষে বিবাহিত দম্পতিদের রক্ষা করার জন্য একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
বিচারপতি তুষার রাও গেদেলা বলেছেন, দেশের নাগরিকদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এবং সাংবিধানিক আদালতগুলিকেও কোনও ক্ষতির আশঙ্কায় নাগরিকদের সুরক্ষার আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এক দম্পতির আবেদনের ভিত্তিতে দিল্লি আদালতে এমন রায় দিয়েছে। ওই আবেদনে এক দম্পতি জানান, তাঁরা পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করেন। এরপর থেকে নানারকম হুমকি তাঁদের দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে তাঁরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হোটেলে গিয়ে থাকছেন। আদালতের কাছে দাবি করেন, তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে যেন পরিবার হস্তক্ষেপ না করে সে বিষয়টা নিশ্চিত করার জন্য। নাহলে ওই দম্পতি শান্তিতে থাকতে পারছেন না।
আবেদনকারী মহিলা বলেছিলেন যে, তাঁর বাবা উত্তরপ্রদেশে একজন রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী একজন ব্যক্তি ছিলেন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাঁর স্বামীর ক্ষতি করতে চাইছেন।
বিচারপতি গেদেলা দিল্লি পুলিসের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, কোনও আবেদনকারীর কাছ থেকে জরুরী বা হুমকির কোনও ঘটনা সম্পর্কে কোনও ফোন পাওয়া গেলে অবিলম্বে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রায় দেয়, দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক স্বামী এবং স্ত্রী হিসাবে একসঙ্গে বসবাস করতে সম্মত হলে তাঁদের বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করা যাবে না। এমনকি পরিবারও কোনও রকম পদক্ষেপ নিতে পারে না। এমনটাই সংবিধানে রয়েছে বলে জানান প্রধান বিচারপতি।
আদালত আরও বলেছে, স্থানীয় পুলিস আধিকারিকরা ওই আবেদনকারী দম্পতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী তিন সপ্তাহের জন্য দুই দিনে একবার করে তাঁদের বাসভবনে যাবেন।
এমন সুন্দর একটি মুহূর্তের জন্য কত বাবা-মাই না জীবনভর অপেক্ষায় থাকেন। কারও আশা পূরণ হয়, কারও তা অধরাই থেকে যায়। সম্প্রতি একজন ভারতীয় তরুণ পাইলট তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন, যা দেখে নেটিজেনরা আপ্লুত। সেটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল। ওই ভিডিওটির ভিউজ হয়েছে ২.৭ মিলিয়ন এবং লাইক করেছেন ১ লক্ষ ১৩ হাজারেরও বেশি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী।
জয়পুরের বাড়িতে ফিরবেন বলে প্লেনে চেপে বসেছিলেন এক দম্পতি। কিন্তু তাঁরা জানতেন না, কী বিস্ময়টাই না অপেক্ষা করছে তাঁদের জন্য। ঘোর কাটল তখন, যখন দেখলেন, তিল তিল করে মানুষ করে তোলা তাঁদেরই সন্তান যখন তাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে পাইলটের পোশাকে। তারপর যখন শুনলেন, সেই ছেলেই তাঁদের উড়িয়ে নিয়ে যাবে জয়পুরে, তখন যেন চোখের জল বাঁধ মানছে না। সম্বিত ফিরে পেতে তাঁদের কিছুটা সময় লেগেছিল, বলাই বাহুল্য।
কমল নামের ওই তরুণ লিখেছেন, যবে থেকে বিমান নিয়ে আকাশে উড়ছি, তারপর থেকেই এই সময়টার জন্য আমি দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় ছিলান। অবশেষে আমি আমার বাবা-মাকে জয়পুরের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, এরচেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে। এই ধরনের ঘটনা যে প্রথম প্রকাশ্যে এল, তা নয়। এর আগে একই ধরনের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া ঘটনা ঘটেছিল মে মাসে। জাহরা নামে এর মহিলা ভিডিও পোস্ট করে লিখেছিলেন, তিনি যে প্লেনের আরোহী, তার ক্যাপ্টেন তাঁরই স্বামী। স্ত্রীর নামে স্পেশাল ঘোষণাও করেছিলেন ওই পাইলট স্বামী।
নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় বাংলা। শনিবার সকালেই এসএসসির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দিনভর রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় এই ইস্যুতে। শুধু নিয়োগ কেন, রাজ্যে দুর্নীতির প্রশ্নে নানা ইস্যুতেই বিরোধীরা বারবার নিশানা করে এসেছে তৃণমূলকে।
এবার এই একই ইস্যু নিয়ে আগেভাগেই ময়দানে নামল পঞ্জাব সরকার। সেখানকার ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি আগাগোড়াই বোঝাতে চেয়েছে, তারা সবসময় যে কোনও ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার লক্ষ্যে তারা দুর্নীতি-বিরোধী হেল্পলাইন নম্বরও চালু করেছে। যে কোনও ধরনের দুর্নীতির খবর জানা থাকলেই রাজ্যবাসী সেখানে ফোন করে তা জানাতে পারেন। ওই নম্বরে একইসঙ্গে অডিও এবং ভিডিও, দুইই পাঠানো যায়। উল্লেখ্য, দুর্নীতিকে চিরতরে বন্ধ করতে ভগবন্ত মানের নেতৃত্বাধীন সরকার মার্চ মাসে এই হেল্পলাইন নম্বর চালু করে। প্রতিদিনের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, অভিযোগের সংখ্যা গড়ে প্রায় আড়াই হাজার।
সেই নম্বরে দেখা যাচ্ছে ফোনের বন্যা বইছে। আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে শনিবার তাদের ট্যুইটারে জানানো হয়েছে, ওই হেল্পলাইন নম্বরে তারা এখনও পর্যন্ত তিন লাখের বেশি অভিযোগ পেয়েছে। কিন্তু অভিযোগ তো এল। তার পরিণতি কী? পার্টির তরফে তাও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, পঞ্জাব ভিজিল্যান্স ব্যুরোকে দিয়ে প্রতিটি অভিযোগ যাচাই করে দেখা হবে। তারপর কেউ দোষী চিহ্নিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।
আম আদমি পার্টি ট্যুইটারে লিখেছে, আমাদের স্বপ্ন, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্জাব। এই লক্ষ্যপূরণে তারা কতখানি সফল হয়, সেটাই এখন দেখার।
জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্তে ফের পাকিস্তানি ড্রোন। তবে তা দেখামাত্রই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে বিপন্মুক্ত হল ভারত। সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু-কাশ্মীরের কানাচক সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমানায়। ওই ড্রোনকে প্রথম লক্ষ্য করেন বিএসএফের জওয়ানরা। শুক্রবার রাত তখন ৯ টা ৪০ মিনিট হবে। আচমকাই পাকিস্তানের দিক থেকে লাল আলো জ্বলতে-নিভতে দেখা যায়। সন্দেহ হয় জওয়ানদের। কারণ, এর আগেও এই ধরনের অভিজ্ঞতা তাঁদের হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে কালবিলম্ব না করে তাঁরা ওই ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেন। এরপরই ওই এলাকা জুড়ে ব্যাপক তল্লাশি অভিযানে নামে বাহিনী, যা চলে শনিবার দিনভর।
উল্লেখ্য, গত কদিন ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সীমান্তে মারাত্মক রকম সক্রিয় হয়ে উঠেছে লস্কর-ই-তৈবা। পাকিস্তান থেকে ড্রোনে করে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে সীমান্তে। তারপর সীমান্ত থেকে তা সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে জঙ্গি মডিউলের সদস্যরা। সম্প্রতি তিনটি এই ধরনের মডিউল নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ধরা পড়ে প্রকাশ্যে আসে। সেই সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল সাতজনকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক সামগ্রী। বিশ্বস্ত সূত্রে বিএসএফ জানতে পারে, অন্তত ২০টি ড্রোনে করে ওইসব সামগ্রী সীমান্তে ফেলা হয়েছিল।
চিনে কোভিড সংক্রমণ আটকাতে নানাবিধ নিয়ন্ত্রণবিধি কড়াভাবে লাগু করেছে সেখানকার প্রশাসন। আর তার ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন সেখানে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া কয়েক হাজার পড়ুয়া। বিধি শিথিল না হওয়ার ফলে এঁরা আর সেখানে ফিরতে পারছেন না। ফলে পড়াশোনারও দফারফা। এরকম একটা অবস্থায় চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের ওপরও। এঁদের ফের পড়াশোনার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্র কি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে? এই প্রশ্ন বারবার উঠেছে। এবার তারই উত্তর মিলল।
সরকারি তরফে শুক্রবার লোকসভায় জানানো হল, দুই দেশই এই সমস্যার সমাধানে কথা চালিয়ে যাচ্ছে। লোকসভায় এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে বিদেশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে চিনের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যাতে বছর দুই ধরে আটকে থাকা পড়ুয়াদের সমস্যার পাকাপাকি সমাধান করা সম্ভব হয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে চিনের বিদেশমন্ত্রীর দুবার কথা হয়েছে। প্রথমটি ২৫ মার্চ এবং পরে ফের ৭ জুলাই। তাতে চিনের তরফে সদর্থক মনোভাবই প্রকাশ পেয়েছে। তারা ট্রায়াল ভিত্তিতে এবং প্রয়োজনের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রথম দফায় কিছু পড়ুয়াকে সেদেশে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে।
সেই প্রচেষ্টার পরই বেজিংয়ে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে আগ্রহী ছাত্রছাত্রীদের সম্পর্কে বিশদে জানতে চাওয়া হয়। পরে সেই তালিকা চিনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দুটি দেশই বর্তমানে এই সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করার জন্য নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। চিনও তাদের ভিসা নীতিতে কী পরিবর্তন এনেছে, তা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। চিন জানিয়ে দিয়েছে, যে সমস্ত বিদেশি বা তাঁদের পরিবার কাজকর্ম চালুর জন্য চিনে ফিরতে চান, তাঁরা ভিসার জন্য আবেদন করা শুরু করতে পারেন। চিন সেইসব আবেদন গ্রহণ করার জন্য তৈরি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও বহু ছাত্রছাত্রী ইউক্রেন থেকে ভারতে ফিরে এসেছেন। তাঁরা যাতে হাঙ্গেরি, রাশিয়া বা অন্য দেশে পড়াশোনার জন্য যেতে পারেন, সেই বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ন্যাশনাল মেডিক্যেল কমিশনের গাইডলাইনের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
সম্প্রতি ফের মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা। প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। রাজ্যও তার থেকে বাদ নেই। রাজ্যে একদিকে যেমন সংক্রমণ বাড়ছে, অন্যদিকে কোনওদিন ৫, কোনওদিন ৬, কোনওদিন ৭ জনের পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে করোনায়। পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা ভেবে কেন্দ্র বুস্টার ডোজের উপর জোর দিয়েছে। মানুষ যাতে বুস্টার ডোজ নিতে আগ্রহী হয়, সে ব্যাপারে নানা স্তরে প্রচার চালানো হচ্ছে।
এরকম একটা অবস্থায় দেশের আনুমানিক ৪ কোটি মানুষ এখনও পর্যন্ত করোনার কোনও টিকাই নেননি। এই তথ্য সামনে নিয়ে এল সরকারই। শুক্রবার লোকসভায় এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রের স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার। ১৮ জুলাই পর্যন্ত সংগৃহীত পরিসংখ্যান থেকেই এই উদ্বেগজনক তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৮ জুলাই পর্যন্ত মোট ১,৭৮,৩৮,৫২,৫৬৬ ডোজ ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে সরকারি কোভিড ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্র (সিভিসি) থেকে। এক সদস্য ওই তথ্য জানতে চাইলে তিনি লিখিতভাবেই এটা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ বা প্রিকশন ডোজ দেওয়া দেশে শুরু হয়েছিল গত ১৬ মার্চ থেকে। তবে তা সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছিল শুধুমাত্র হেলথকেয়ার ওয়ার্কার্স (এইচসিডব্লিউ), ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার্স (এফএলডব্লিউ) এবং ৬০ বছরের উর্ধ্বে সমস্ত নাগরিকের জন্য। পরে ১০ এপ্রিল বাকিদের জন্য অর্থাত্ ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়স্কদের জন্য বুস্টার ডোজ শুরু হয় বেসরকারি সিভিসি-তে। পরে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ৭৫ দিন ধরে এই কর্মসূচি সবার জন্যই বিনামূল্যে চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এখনও পর্যন্ত যে সরকারি পরিসংখ্যান মিলেছে, তাতে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৯৮ শতাংশ কোনও না কোনও ডোজ নিয়েছেন। কিন্তু ফুললি ভ্যাকসিনেটেড, অর্থাত্ দুটি ডোজই নিয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা ৯০ শতাংশ।
খাস রাজধানী দিল্লিতে স্টেশনেই গণধর্ষণের শিকার যুবতী। বছর তিরিশের এক মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার রাতে স্টেশনের ৮-৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঘটে ঘটনাটি। রেল স্টেশনের বৈদ্যুতিক রক্ষণাবেক্ষণের স্টাফরুমে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ডিসিপি রেলওয়ে হরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোট চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গেছে, দু’জনের বিরুদ্ধে উঠেছে ধর্ষণের অভিযোগ এবং বাকি দু’জন ওই ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিলেন। রেলের ডিসিপি হরেন্দ্র সিং জানান, অভিযুক্তরা হলেন সতীশ কুমার (৩৫), বিনোদ কুমার (৩৮), মঙ্গল চাঁদ মীনা (৩৩) এবং জগদীশ চাঁদ (৩৭)। এরা প্রত্যেকেই রেলের ইলেকট্রিক বিভাগের কর্মী।
ঠিক কী হয়েছিল? নির্যাতিতার বয়ান উদ্ধৃত করে ডিসিপি জানান, গত ২২ জুলাইয়ের ভোরে তাঁদের কাছে একটা ফোন আসে। যুবতী জানায়, স্টেশনের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে দু’জন তাঁকে ধর্ষণ করে। এরপর তদন্ত শুরু হয়। নির্যাতিতা যুবতী আরও জানান, অভিযুক্তদের আগে থেকেই চিনতেন তিনি। গত এক বছর স্বামীর থেকে আলাদা থাকতেন ওই যুবতী। তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। এই সময়ের মধ্যে এক কমন বন্ধুর মাধ্যমে অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। যিনি তাঁকে রেলে চাকরির বন্দোবস্ত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই কারণেই গত ২১ জুলাই ওই ব্যক্তিকে ফোন করেছিলেন যুবতী। জানা গেছে, নিজের ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে যুবতীকে আমন্ত্রণও জানান ওই অভিযুক্ত। অভিযোগ, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ যুবতীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে স্টেশনে পৌঁছে যান তিনি। তারপরেই ঘটে এই ঘটনা। যে বিপদের কথা তিনি ভাবতেই পারেননি।
ধৃতদের তোলা হয় দিল্লির এক আদালতে। তাঁদের ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ডি ও ৩৪২ ধারা মামলা রুজু হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় ফের দিল্লিতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠল প্রশ্ন।
আপনি আয়কর দেন তো? সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে রিটার্ন জমা দিয়ে থাকেন অনেকেই। কিন্তু আবার অনেকেই আছেন যারা একটু ঢিলেমি করেন রিটার্ন জমা করতে। ফলে যত সময়সীমা এগিয়ে আসে রিটার্ন জমা দেওয়ার তাগিদ তত বাড়ে আয়করদাতাদের। তবে এবার আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হবে না। একথা জানান রাজস্ব মন্ত্রকের সচিব তরুণ বাজাজ।
আগামী ৩১ জুলাইয়ের পরে আয়করের রিটার্ন জমা দিলে বাড়তি জরিমানা গুণতে হবে। মন্ত্রকের অনুমান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সকলে আয়কর রিটার্ন জমা দিয়ে দেবেন। ইতিমধ্যেই দুই কোটির বেশি আয়কর রিটার্ন জমা পড়ে গিয়েছে। বাকি দিনের মধ্যেই অধিকাংশ রিটার্ন জমা পড়ে যাবে বলে ধারণা রাজস্ব মন্ত্রকের।
তরুণ বাজাজ জানিয়েছেন, "মানুষের মনে একটা বদ্ধমূল ধারণা হয়ে গিয়েছে, আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হবে। ফলে প্রথম থেকেই আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে একটা ঢিলেমি দেখা দেয় তাঁদের মধ্যে। কিন্তু সময়সীমা যত এগিয়ে আসে, ততই রিটার্ন জমা দেওয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকে। গত কিছুদিন ধরে গড়ে ১৫ লক্ষ থেকে ১৮ লক্ষের মতো রিটার্ন পেয়েছি আমরা। আশা করছি, সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে প্রতিদিন পঁচিশ থেকে তিরিশ লক্ষ রিটার্ন ফাইল করা হবে।"
তরুণ আরও জানিয়েছেন, গত বছর আয়কর জমা দেওয়ার শেষদিনে ৫০ লক্ষ আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে এবার স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সময়সীমা বাড়ানো হবে না। প্রসঙ্গত, গত দু’বছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়েছিল সরকার।
আজ,শুক্রবার প্রকাশিত হল সিবিএসই দশমের ফলাফল। এদিন দুপুর ২টোয় ফল প্রকাশ হয় cbse.gov.in ওয়েবসাইট-সহ অন্যান্য ওয়েবসাইটে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, চলতি বছর কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করবে না বোর্ড। অর্থাৎ,পরীক্ষায় স্থানাধিকারীদের নাম জানা যাবে না।
২০২২-এর সিবিএসই-র দশম শ্রেণির পরীক্ষার পাশের হার ৯৪.৪০ শতাংশ। এবারে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের পাশের হার ১.৪১ শতাংশ বেশি। ৯৫ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬৪,৯০৮ জন। ২ লক্ষ ৩৬ হাজারেরও বেশি পড়ুয়া ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন।
একই দিনে প্রকাশিত হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলও। মোট পাশের হার ৯২.৭১%, ছাত্রীদের মধ্যে পাশের হার ৯৪.৫৪%, সেখানে ছাত্রদের পাশের হার ৯১.২৫%। অর্থাৎ ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সাফল্যের হার বেশি। এদিকে, কেন্দ্রীয় এই বোর্ডের দ্বাদশের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে রূপান্তরকামী পড়ুয়াদের পাশের হার ১০০%। মোট ৩৩ হাজার ৪৩২ জন পরীক্ষার্থী ৯৫%-এর বেশি নম্বর পেয়েছে। বোর্ডের ওয়েবসাইটে এই ফল দেখতে পারবে পড়ুয়ারা।
উল্লেখ্য, সিবিএসই-র দশম শ্রেণির পরীক্ষা হয় ২৬ এপ্রিল থেকে ২৪ মে পর্যন্ত। সিবিএসই দশম এবং দ্বাদশ মিলিয়ে এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৪ লক্ষের বেশি।
আসন্ন ১৫ আগস্ট। "স্বাধীনতা দিবসের দু’দিন আগে থেকেই বাড়িতে টাঙান জাতীয় পতাকা", আর্জি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে সূচনা হয়েছে অমৃত মহোৎসবের।অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসেবেই 'হর ঘর তিরঙ্গা' কর্মসূচি পালনের ডাক প্রধানমন্ত্রীর।
শুক্রবার টুইটারে নরেন্দ্র মোদী সকল দেশবাসীকে আর্জি জানিয়ে লেখেন, ”এই বছরটাকে আমরা চিহ্নিত করেছি ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ হিসেবে। আসুন এই উপলক্ষে আমাদের বন্ধন আমরা আরও অটুট করে তুলি ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে। ১৩ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে নিজেদেরে বাড়িতে তেরঙা উত্তোলন করুন । এর ফলে আমাদের সঙ্গে জাতীয় পতাকার যোগাযোগ আরও নিবিড় হবে।
This year, when we are marking Azadi Ka Amrit Mahotsav, let us strengthen the Har Ghar Tiranga Movement. Hoist the Tricolour or display it in your homes between 13th and 15th August. This movement will deepen our connect with the national flag. https://t.co/w36PqW4YV3
— Narendra Modi (@narendramodi) July 22, 2022
টুইটারে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ”আজ, ২২ জুলাই তারিখটি আমাদের ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ১৯৪৭ সালে আজকের দিনে আমাদের জাতীয় পতাকাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। ইতিহাসের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সকলের সঙ্গে শেয়ার করলাম। যার মধ্যে রয়েছে কমিটির সদস্যদের পরিচয় থেকে পণ্ডিত নেহরুর হাতে প্রথম বারের জন্য পতাকা উত্তোলনের মুহূর্তও।”
নরেন্দ্র মোদী বলেন, এর মাধ্যমে সকলের সঙ্গে জাতীয় পতাকার যোগাযোগ আরও নিবিড় হবে।Today, 22nd July has a special relevance in our history. It was on this day in 1947 that our National Flag was adopted. Sharing some interesting nuggets from history including details of the committee associated with our Tricolour and the first Tricolour unfurled by Pandit Nehru. pic.twitter.com/qseNetQn4W
— Narendra Modi (@narendramodi) July 22, 2022
এছাড়াও সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার থেকেই সরকারি ওয়েবসাইটে জাতীয় পতাকার ছবি লাগানোর কথা বলা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমেও জাতীয় পতাকার ছবি লাগাতে হবে বলেও জানা গেছে। পাশাপাশি, সব সরকারি ভবন, সব রকমের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিতে, রেস্তোরাঁ, শপিং মলেও জাতীয় পতাকা লাগানোর কথা জানানো হয়েছে মোদী সরকারের তরফে।
একের পর এক দুর্যোগ। করোনা মহামারীর প্রকোপ এখনও কাটেনি। তার উপর মাঙ্কিপক্সের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে কেরলের ওয়েনাড জেলার মানানথাবাদির দুটি খামার থেকে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের খবর পাওয়া গিয়েছে। ভোপালের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাই সিকিউরিটি অ্যানিমাল ডিজিজেসে নমুনাগুলি পরীক্ষা করা হয়। তারপর জেলার দুটি খামার থাকা শূকরগুলির মধ্যে এই রোগটি নিশ্চিত করা হয়েছিল।
পশুপালন দফতরের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, খামারগুলির মধ্যে একটি খামারে শূকরগুলি একের পর এক মারা যাওয়ার পরে নমুনাগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল।অধি দফতর জানিয়েছে, "পরীক্ষার ফলাফল সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দ্বিতীয় খামারের ৩০০টি শূকর মারার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। রোগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তাই এই সিদ্ধান্ত।"
বিহার এবং কয়েকটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের খবর পাওয়া যাওয়ার পর কেন্দ্র একটি সতর্কতা জারি করে। পরে রাজ্যগুলি চলতি মাসের শুরু থেকে জৈব-নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করেছে। আফ্রিকান সোয়াইন জ্বর হল একটি অত্যন্ত সংক্রামক এবং মারাত্মক ভাইরাল রোগ যা গৃহপালিত শূকরকে প্রভাবিত করে।
প্রকাশিত সিবিএসই দ্বাদশের ফল। মোট পাশের হার ৯২.৭১%, ছাত্রীদের মধ্যে পাশের হার ৯৪.৫৪%, সেখানে ছাত্রদের পাশের হার ৯১.২৫%। অর্থাৎ ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সাফল্যের হার বেশি। এদিকে, কেন্দ্রীয় এই বোর্ডের দ্বাদশের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে রূপান্তরকামী পড়ুয়াদের পাশের হার ১০০%। মোট ৩৩ হাজার ৪৩২ জন পরীক্ষার্থী ৯৫%-এর বেশি নম্বর পেয়েছে। বোর্ডের ওয়েবসাইটে এই ফল দেখতে পারবে পড়ুয়ারা।
কী ভাবে ছাত্রছাত্রীরা রেজাল্ট দেখতে পাবেন, তার বিশদ জানানো হয়েছে সিবিএসই-র তরফে। জানা গিয়েছে, দু’টি ওয়েবসাইটে রোল নম্বর এবং স্কুলের নম্বর ব্যবহার করে রেজাল্ট ডাউনলোড করতে পারবেন ছাত্র ছাত্রীরা। cbse.gov.in এবং result.cbse.nic.in-এ ফলাফল জানা যাবে। ক্লাসভিত্তির রেজাল্টের লিঙ্কে ঢুকে রোল নম্বর এবং স্কুল নম্বর দিলেই সিবিএসই স্কোরকার্ড দেখা যাবে।
২৬ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত হয়েছে পরীক্ষা। সব থেকে বেশি পাশের হার কেরলের ত্রিবান্দ্রমে। মোট পাশের হার ৯৮.৮৩%, ওড়িশায় পাশের হার ৯০.৩৭%। বোর্ড সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলে প্রকাশিত হতে পারে দশম শ্রেণীর ফল।