
অর্থনীতিতে স্নাতক (Graduate Chaiwali)! দু'বছর চাকরি না পেয়ে সংসারের হাল ধরতে বিহারের (Bihar) একটি কলেজের সামনে চায়ের দোকান খুলে বসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গুপ্ত (Priyanka Gupta)। ২০১৯ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক হয়ে চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরেও জোটেনি একটা চাকরি। কিন্তু পরিবারকে যে সামাল দিতেই হবে। অগত্যা পাটনায় একটি মহিলা কলেজের সামনেই চায়ের দোকান দিয়ে বসেছিলেন। কিন্তু, পাটনার (Patna) নাগরিক সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল।
ভিডিওতে দেখা যায়, স্নাতক চাওয়ালি ওই সংস্থার আধিকারিকদের কাছে অনুরোধ করছেন। কী ঘটেছিল সেদিন? জানা গিয়েছে, নাগরিক সংস্থা বোরিং রোডে তাঁর স্টলটি তুলে নেওয়ার কথা বলেন। পাটনা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানে ভাঙা পড়েছিল প্রিয়াঙ্কা গুপ্তর স্টল। তারপরই গুপ্ত সাহায্য চেয়ে বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদদের কাছে পৌঁছেছিলেন।
যদিও প্রিয়াঙ্কা জানান, তিনি স্টলের লাইসেন্সও নিয়েছেন। তাঁর অনুরোধের উত্তর দিয়েছেন ডেপুটি সিএম তেজস্বী যাদব এবং আরজেডি প্রধান লালু যাদব। তাঁর স্টল ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তাঁরা।
প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, 'লোকেরা বলেন যে তিনি একজন গ্র্যাজুয়েট চা বিক্রেতা হওয়ায় মাসে ৩ লক্ষ টাকা আয় করেন। কিন্তু তিনি সেই অনুযায়ী খরচও করেন। তবে করোনার কারণে বাজার কমে যাওয়ায় এখন আর প্রত্যেক মাসে ৩ লক্ষ টাকা আয় হয় না।'
প্রিয়াঙ্কা গুপ্ত বিহারের পূর্ণিয়া জেলার বাসিন্দা। এবং বারাণসীর মহাত্মা গান্ধী কাশী বিদ্যাপীঠ থেকে স্নাতক হয়েছেন তিনি। দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেতা বিজয় দেবেরকোন্ডা এবং ভোজপুরি চলচ্চিত্র তারকা অক্ষরা সিংও গুপ্তর স্টলে চা খেতে গিয়েছিলেন।
বিহার পুলিসের (Bihar Police) নজর এড়িয়ে ডাকাতিতে অভিযুক্ত (Dacoity) এক বন্দি হাসপাতাল থেকে চম্পট দিল। মতিহারি সদর হাসপাতালের এই ঘটনায় সাসপেন্ড দুই হোমগার্ড। পলাতক বন্দির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে জেলা পুলিস। জানা গিয়েছে, বাংলা এবং বিহার দুই রাজ্যেই ডাকাতির জন্য অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। বেলেঘাটার এক আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতির পর কলকাতা পুলিস (Kolkata police) তাকে গ্রেফতার করেছিল। সেবারও কোর্টে তোলার আগে তাকে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কলকাতার পুলিসের হাত ফসকে পালায় এই অভিযুক্ত। দীর্ঘ তল্লাশির পর বিহারে খোঁজ মেলে তার।
কলকাতা পুলিসের একটি দল বিহারে গিয়ে সেই অভিযুক্তর হেফাজত চাইলে, তাঁদের খালি হাতে ফিরতে হয়। সেই সময় বিহার পুলিস, কলকাতা পুলিসকে জানায় এই রাজ্যের ডাকাতিতে অভিযুক্ত সেই ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়ে জেরার প্রয়োজন রয়েছে। সেই থেকে মতিহারি জেলা পুলিসের হেফাজতে এই অভিযুক্ত। কিন্তু সম্প্রতি শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে চিকিৎসাধীন করা হয়েছিল। পাশাপাশি হাসপাতালে বেডের সঙ্গে তাকে বেঁধে রেখে নজরদারির জন্য রাখা হয়েছিল দুই হোমগার্ডকে। কিন্তু শুক্রবার সকালে তারা দেখেন বিছানার দড়ি কাটা, পলাতক সেই বন্দি। এরপরেই চকিয়া থানায় খবর যায়। ঊর্ধ্বতন অফিসাররা এসে খোঁজাখুঁজি করেও কোনও হদিশ মেলে না ওই অভিযুক্তর।
এরপর আলাদা করে এফআইআর দায়ের করে মতিহারি জেলা এবং রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে নাকা তল্লাশি। পাশাপাশি কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ওই দুই হোমগার্ডকে ক্লোজ করে একবছর ডিউটি না করার শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
নৃশংস থেকে নৃশংসতর। মানুষের মানসিকতা কোথায় গিয়ে পৌঁছচ্ছে। ১১ বছরের নাবালিকা বন্ধুকে চারজন পুরুষ দিয়ে গণধর্ষণ (gang-raped) করানোর অভিযোগ উঠল তারই এক বন্ধুর বিরুদ্ধে। কেবল তা নয়, গোটা ঘটনা সামনে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন অভিযুক্ত ২১ বছর বয়সী ওই যুবতী। ঘটনাটি ঘটেছে বাণিজ্য নগরী মুম্বই (Mumbai) শহরতলির ভিরার (পশ্চিম) (Virar) এলাকায়। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের ঘটনার ছয় ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস।
ঘটনাটি সূত্রপাত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে। যখন ওই নাবালিকা তার বাড়ির কাছে একটি দোকানে মোবাইল ফোন মেরামত করতে গিয়েছিল। সেখানে তার ২১ বছর বয়সী অই অভিযুক্ত মহিলা বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। যে গল্প করার ছলে হাঁটতে হাঁটতে বেশ কিছু দূর এগিয়ে যায় তারা।
তখন ওই অভিযুক্ত মহিলাটি একটি বিচ্ছিন্ন স্থানে নিয়ে যায় নাবালিকাকে। এবং তাঁর তিনজন পুরুষ বন্ধুকে ডেকে নেয়। তারা মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়েটিকে আসন্ন গণেশ পুজোর জন্য তৈরি করা প্যান্ডেলের পিছনে একটি স্থানে নিয়ে যায়। এবং নাবালিকাকে বন্দী করে রাখে।
মেয়েটির বন্ধু তাকে হুমকি দিয়ে একজন পুরুষের সঙ্গে যৌন সংগম করতে বলেন। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি নাবালিকা। তখনই তিনজন মিলে গণধর্ষণ করে তাকে। গোটা ঘটনাটি দাঁড়িয়ে দেখছিল নাবালিকার বন্ধু ওই যুবতী। পরের দিন সকালে একটি গাড়িতে করে নাবালিকাকে বাড়ির কাছে ফেলে পালিয়ে যায় চারজন।
নির্যাতিতা বাড়িতে পৌঁছে ঘটনাটি পরিবারের সকলকে জানায়। তার বয়ানের ভিত্তিতেই মুম্বইয়ের ভিরার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা। অভিযুক্তদের খোঁজে বিশেষ দল গঠন করে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। অভিযুক্ত পুরুষদের মধ্যে একজন কলেজ ছাত্র এবং অন্য একজন সবজি বিক্রেতা, উভয়ই ভিরারের বাসিন্দা। এখনও একজন অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জানা গিয়েছে, পলাতক ওই অভিযুক্ত মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গণধর্ষণ এবং অস্বাভাবিক যৌনতা এবং পকসো POCSO ধারার জন্য IPC ধারায় মামলা করা হয়েছে। তাদের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসূন গুপ্ত: জন্মাষ্টমীর আনন্দে যখন রাজধানী মাতোয়ারা তখন সকাল থেকে সিবিআই হানা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে। বিষয় আবগারি দফতরের বেহিসাবি কাজ। দিল্লি আবগারি নীতিতে বেনিয়ম চলছে এই অভিযোগে সিবিআই আগেই এফআইআর করেছিল। তাঁদের বক্তব্য, মদ বিক্রির সংক্রান্ত বেনিয়ম। দিল্লি পুলিস যদিও দিল্লি সরকারের অধীনস্থ নয়। কাজেই শোনা গিয়েছ, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে আবগারি দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তুষ্ট তারা। এরপরই নাকি তদন্তে নামে সিবিআই এবং বর্তমান আপ সরকারের আবগারি দফতরের মন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে সিসোদিয়ার বাড়িতে একবার সিবিআই হানা দিয়েছিল, আজ নিয়ে দ্বিতীয়বার সিবিআই তল্লাশি।
শুধুমাত্র মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িই নয়, তাঁর বাড়ির আশেপাশে ২০টিরও বেশি এলাকায় একইসঙ্গে অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিসোদিয়া অবশ্য বিচলিত নয় বলে জানাচ্ছেন। এই নিয়ে তিনি টুইটও করেছেন। তিনি টুইটে জানাচ্ছেন, সিবিআই এসেছে, স্বাগত তাদের। আমরা (অর্থাৎ আপ পার্টি) খুব সৎ, এই বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যের যে, দেশে যারা ভালো কাজ করে তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এ সমস্ত কারণে আমাদের দেশ পয়লা নম্বরে যেতে পারল না।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, এর আগেও সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে। সেবারও কিছু পায়নি, এবারও পাবে না। কেজরিওয়াল প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ বলে জানা গিয়েছে।
মূল ঘটনার বিষয় মদের দোকান। সিসোদিয়া জানিয়েছেন, দিল্লির কিছু অঞ্চলে বা এলাকায় মদের দোকান খোলা নিয়ে অবস্থান পাল্টিয়েছেন উপ-রাজ্যপাল অনিল বাইজল। মন্ত্রিসভা থেকে একসময় অনুমোদন করা হয়েছিল নতুন স্থানে এই ব্যবসা খোলা হবে। মন্ত্রিসভার এই বিলে সম্মতি নাকি জানিয়েছিলেন উপ-রাজ্যপাল। পরে অজানা কারণে এই নীতি অনুমোদন করছেন না তিনি। এর ফলে হাজার হাজার কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি বিরোধীরা সচল হয়ে জানাচ্ছে, সিবিআই দিয়ে রাজনীতি চালাচ্ছে সরকার।
প্রবল বৃষ্টিতে(heavy rain) বন্যা(flood) পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ওড়িশায়(Odisha)। ওড়িশার ১০ টি জেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বিপর্যস্ত বন্যা পরিস্থিতির জেরে। ইতিমধ্যেই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির ফলে ওড়িশায় প্রায় ১,৪০০ টি গ্রাম(village)) ভেসে গিয়েছে। উল্লেখ্য, প্রবল বর্ষণে মহানদী ফুঁসে উঠতেই বাঁধ ভেঙে যায়।
জলমগ্ন কটক সহ বিভিন্ন এলাকা। দুর্গত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন(local administration) তত্পর। এই পরিস্থিতিতে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার ও শনিবার ফের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। আজ সকাল থেকেই বঙ্গোপসাগরের পূর্ব উপকূলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ধীরে ধীরে নিম্নচাপটি পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূল, উত্তর ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়ের দিকে অগ্রসর হবে।
২৪ হাজার হেক্টর চাষের জমি ইতিমধ্যেই ভেসে গিয়েছে বলে খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিরাকুঁদ বাঁধের বহু গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। স্পেশ্যাল রিলিফ কমিশনর জানান, উদ্ধারের কাজে ওড়িশা ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স কাজ করছে। সঙ্গে রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
শুক্রবার সকাল থেকেই কেওনঝড়, ময়ূরভঞ্জে অতি ভারী থেকে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে খুরদা, পুরী সহ ৭ টি জেলায়। কমলা সতর্কতা জারি কটক, জগৎসিংপুর ও সম্বলপুর সহ ১৪টি জেলায়। শনিবারও ওড়িশার সাত-আটটি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। সন্ধ্যার দিকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিতে ব্যাহত হয় শহর কলকাতাস-সহ শহরতলির জনজীবন। আগামি ২৪ ঘণ্টা চলবে বৃষ্টি। এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দুর্গতদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খোলা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্পও। বন্যা দুর্গতদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও করেছে প্রশাসন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই আকাশপথে বন্যা পরিস্থিতির উপরে নজর চালান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। আগামী ১৫ দিন এই জেলায় সমস্ত গ্রামে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
রাজস্থানের কারাউলিতে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) শাখা (Sbi Branch) থেকে উধাও ১১ কোটি (11 Crores) মূল্যের কয়েন (Coin)। এতগুলো টাকা কীভাবে সবার চোখের সামনে উধাও (Missing) হয়ে গেল, সে ব্যাপারে সকলেই অন্ধকারে। যদিও শেষমেশ আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দিনভর একযোগে ২৫ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযানে (Searching Operation) নামে।
তবে সিবিআই প্রথমেই অভিযানে নেমেছে, এমনটা নয়। ঘটনাটি অনেক আগের। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে প্রাথমিক তদন্তে কোনও হদিশ না মেলার পর বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। তারপর রাজস্থান হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৩ এপ্রিল তারা একটি কেস রুজু করে। আর এদিন সেই কেসের সূত্র ধরেই দিল্লি, জয়পুর, দউশা, কারাউলি, সোয়াই মাধোপুর, আলওয়ার, উদয়পুর এবং ভিলওয়ারার মতো জায়গায় অভিযান চলে। এর মধ্যে ব্যাঙ্কেরই প্রাক্তন কয়েকজন আধিকারিকের বাড়িও রয়েছে।
কিন্তু কীভাবে প্রকাশ্যে এল এই কয়েন-উধাও রহস্যের কথা? ব্যাঙ্ক সূত্রেই জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের আগাস্টে হিসাবে গরমিলের আভাস পেয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ টাকা গোনার কাজ শুরু করে। এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় একটি বেসরকারি সংস্থাকে। তারাই গণনা শেষে জানায়, ১১ কোটির কয়েন নিখোঁজের কথা।
প্রাথমিক তদন্তের পর সিবিআইয়ের ধারণা, এর সঙ্গে ব্যাঙ্কেরই কেউ না কেউ জড়িত থাকতে পারে। না হলে বাইরের কারও পক্ষে সবার চোখের সামনে ওই বিরাট অঙ্কের কয়েন সরিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। যদিও এদিনের ওই অপারেশনের পরেও উধাও রহস্যের পর্দাফাঁস করা সম্ভব হয়নি।
নিজের স্বামীর (Husband) মুখে অন্য কোনও মেয়ে বা মহিলার নাম শুনলেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন কম-বেশি সব মহিলারাই। সেখানে নিজের স্ত্রীয়ের (Wife) সঙ্গে অন্য মহিলার তুলনা (Comparing) করার অর্থ নিজের পায়ে নিজে কুড়ুল মারা। এমনকি এবিষয়টি আইনের চোখেও অপরাধ। এবং স্বামীর তরফে এহেন মন্তব্য মানসিক নির্যাতনের (Mental torture) সমান। আজ্ঞে হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)।
কোনও স্বামী যদি তাঁর স্ত্রীকে অন্য নারীদের সঙ্গে বারবার তুলনা করেন কিংবা বিভিন্ন বিষয়ে কটুক্তি করতে থাকেন, তাহলে আইনের চোখে সে স্বামী অপরাধী বলেই গণ্য হবেন। ৪ই অগাস্ট একটি মামলার রায়ে এমনটাই জানিয়েছেন কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি অনিল কে নরেন্দ্রনাথ এবং বিচারপতি সিএস সুধারের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিরা রায়ে এও বলেছেন, স্বামীদের এই ধরনের ব্যবহার বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হতে পারে।
উল্লেখ্য, পরিবার আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের রায় ঘোষণা করেছিল ওই দম্পতিকে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ করেছে হাই কোর্ট বলে, পরিবার আদালতে বিচ্ছেদের রায় ঘোষণার সময়ে জানানো হয়েছিল, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে পরিপূর্ণতা না-থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ১৮৬৯ সালের বিচ্ছেদ আইনের উল্লেখ করে বিচারপতি জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে বিষয়টি মানসিক নির্যাতনের মধ্যে পরে।
ওই মামলায় দেখা গিয়েছে, বিয়ের পরে খুব কম সময়েই একসঙ্গে ছিলেন ওই দম্পতি। দীর্ঘ সময় বিচ্ছিন্ন থাকার পরে বিবাহ বিচ্ছেদের রায় দিয়েছিল পরিবার আদালত। হাই কোর্ট আরও জানিয়েছে, স্বামী মনে করতেন তাঁর প্রত্যাশা মত স্ত্রী একেবারেই দেখতে সুন্দর নন। এই ধরনের ক্রমাগত কটুক্তি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য যথেষ্ট। এছাড়া এই ধরনের বিষয় অবশ্যই সামাজিক স্বার্থে বিবেচনা করা উচিত। কারণ এর সঙ্গে একজন মহিলার মানসিক স্বাস্থ্য জড়িয়ে রয়েছে।
প্রথম অভিযোগ, বিযের (Marriage) সময় স্ত্রী (Wife) বয়স (Age) অনেক কমিয়ে বলেছিল। এক-দু বছর নয়। অভিযোগ, একেবারে দশ বছর। ফলে আখেরে দেখা গেল, তাঁর চেয়ে স্ত্রীর বয়স বেশি। সেই রাগ পুষে রেখেছিলেন মনের মধ্যে। ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে হতে একদিন বিস্ফোরণ হল, যখন তাঁর স্ত্রী যৌন মিলনে (Physical Relation) অস্বীকার করেন। আর এর পরিণতি হল ভয়ানক। স্ত্রীকে খুনই (Murder) করে বসলেন। শুধু খুন করাই নয়, দেহ পুঁতে দিলেন স্থানীয় একটি ঘাটে। তারপর সোজা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানালেন, তাঁর স্ত্রী নিখোঁজ।
এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। পরে অবশ্য তাঁর এই নাটক ধোপে টেকেনি। পুলিসের হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছে। এখন তাঁর ঠাঁই গরাদের পিছনে।
আদপে বিহারের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি বসবাস করতেন বেঙ্গালুরুতে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম প্রুথবিরাজ সিং। মাত্র ন মাস আগে তিনি বিয়ে করেন জ্যোতি কুমারীকে। পুলিসকে তিনি এইটুকুই জানিয়েছেন, বিয়ের সময় তাঁর স্ত্রী তাঁকে বয়স অনেক কমিয়ে বলেছিল। শুধু তাই নয়, তাঁকে অসামাজিক বলে থাকে এবং তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনেও অস্বীকার করে।
পুলিসের কাছে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, বিয়ের সময় তাঁকে বলা হয়েছিল, বয়স ২৮ বছর। কিন্তু বিয়ের পরে জানা গেল, আসল বয়স ৩৮ বছর। অর্থাত্, তাঁর চেয়ে ১০ বছরের বড়। একইসঙ্গে শুধু তাঁকে নয়, তাঁর পরিবারকেও অসামাজিক বলে কার্যত গালিগালাজ করত স্ত্রী।
এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে জ্যোতিকে সে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে তার বন্ধুকে বিহার থেকে ডাকে। তারপরই দুজন মিলে তাকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে খুন করেন। পরদিনই তিনি থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন।
আহা, পুলিস (police) বলে কি নাচতে (dance) নেই? চাকরি (service) করেন বলেই কি সব শখ একেবারে জলাঞ্জলি দিতে হবে? এমন তো কেউ মাথার দিব্যি দেয়নি। তাই একটু নাচলে ক্ষতি কী? তাই স্বাধীনতা দিবসে (independence day) থানার মধ্যেই ‘নাগিন ডান্স’(nagin dance)! ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কোতোয়ালি জেলার একটি থানার।
ঠিক কী হয়েছিল? সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের আয়োজন করা হয়েছিল থানায়। উদযাপনের পাশাপাশি নাচ করে শাস্তির মুখে পড়লেন দুই পুলিসকর্মী। দুই পুলিসকর্মীর নাচের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় উপরমহলে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক পুলিসকর্মী ভেঁপুতে নাগিন-এর তালে মত্ত। বাজাতে বাজাতে তিনি ঘুরছেন। আর অন্য পুলিসকর্মী মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে নাগিন ডান্স করছেন। দু’জনের নাচের সময় তাঁদের এই নাচের মজা নিচ্ছিলেন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সহকর্মীরা। তালে তালে তাঁরা হাততালিও দিচ্ছিলেন। ভিডিওটি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে পুলিসের উপর মহল। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
जब दारोगा जी बने सपेरा, नागिन कांस्टेबल को अपनी बीन पर नचाया।😂 pic.twitter.com/eVHCx3hJgo
— Jaiky Yadav (@JaikyYadav16) August 16, 2022
তবে শাস্তির মুখে সাব-ইনস্পেক্টর ও কনস্টেবল। তাঁদের দু’জনকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
মুম্বই হামলার স্মৃতি উসকে দিল মহারাষ্ট্রের (Maharastra) রায়গড়। জেলার হরিহরেশ্বর তীরে বৃহস্পতিবার মিলল আগ্নেয়াস্ত্র-সহ একটি সন্দেহভাজন নৌকা (Boat)। সেই পরিত্যক্ত নৌকার মধ্যে পাওয়া গিয়েছে, তিনটি একে-৪৭ (AK-47 rifles) রাইফেল, বিস্ফোরক (explosives) এবং গুলি। জায়গাটি মুম্বই (Mumbai) থেকে প্রায় ২০০ কিমি এবং পুনে থেকে ১৭০ কিমি দূরে। এরপরই বাড়ানো হয়েছে গোটা রাজ্যের নিরাপত্তা নিরাপত্তা। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর জারি করেছে হাই অ্যালার্ট।
সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) প্রধান বিনীত আগরওয়াল বলেছেন, এই আগ্নেয়াস্ত্র বোঝাই নৌকা উদ্ধারের সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনও যোগ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে, কোনও সন্ত্রাসী যোগ না পেলেও, এই নৌকার অস্ত্র কোথায় যাচ্ছিল খুঁজে দেখা হবে।
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছেন, বৃহস্পতিবার রায়গড় উপকূলে ১৬ মিটার দীর্ঘ একটি পরিত্যক্ত নৌকা জেলেরা খুঁজে পান। এরপর পুলিসে খবর দেওয়া হয়। নৌকাটি তল্লাশি করতেই পাওয়া যায় তিনটি একে-৪৭ রাইফেল, বিস্ফোরক ও বুলেট। এই সন্দেহজনক নৌকাটি একজন অস্ট্রেলিয়ান মহিলার। এবং নৌকাটি মাস্কট থেকে ইউরোপের দিকে যাচ্ছিল।
উপমুখ্যমন্ত্রী আরও আশ্বস্ত করেছেন যে, প্রবল জোয়ারের কারণে নৌকাটি ভেঙে রায়গড় উপকূলের দিকে চলে এসেছে। নৌকায় পাওয়া অস্ত্রগুলি কোনও নাশকতার ছক হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। যে কারণে আশেপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা জারি করেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে জানানো হয়েছে। এবং এটিএসও এটি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হবে বলেও জানান তিনি।
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) ভারত সফরে কত খরচ হতে পারে? সম্প্রতি কেন্দ্রের তথ্য কমিশন (Information Commission) সূত্রে যে হিসাব মিলেছে, সেই অনুযায়ী, তাঁর সফরে প্রতি ঘণ্টায় দেশের খরচ (Expenses) হয়েছে এক লক্ষ টাকারও বেশি। এর মধ্যে রয়েছে মূলত থাকা, খাওয়া এবং পরিবহণ। ২০২০ সালের ২৪-২৫ ফেব্রুয়ারি সস্ত্রীক এবং সকন্যা ট্রাম্প এসেছিলেন ভারত সফরে। তিনি ছিলেন সব মিলিয়ে ৩৬ ঘণ্টা। তাতে খরচ হয়েছে ৩৮ লক্ষ টাকা।
ট্রাম্পের ওই সফরে তাঁর ঘোরার জায়গার মধ্যে ছিল আহমেদাবাদ, আগ্রা এবং নিউদিল্লি। ২৪ তারিখ তিনি আহমেদাবাদে ছিলেন তিন ঘণ্টা। সেখানে তিনি ২২ কিমি রোড শো-তে অংশ নেন। সবরমতী আশ্রমে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নবনির্মিত মোতেরা স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে 'নমস্তে ট্রাম্প' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তারপর তিনি চলে যান আগ্রায়, তাজমহল দর্শনে। এখান থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৫ ফেব্রুয়ারি গিয়েছিলেন রাজধানীতে। সেখানে তিনি অংশ নিয়েছিলেন মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে।
উল্লেখ্য, ওই বছরেরই ২৪ অক্টোবর বিদেশ মন্ত্রকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আমেরিকার ফার্স্ট লেডির ভারত ভ্রমণে দেশের কত খরচ হয়েছে? তারই উত্তর আবেদনকারী পেলেন, তবে অনেক পরে।
আগ্নেয়াস্ত্র এখন যেন সকলের হাতে হাতেই ঘোরাঘুরি করছে। লাইসেন্স ছাড়া আজকাল অবৈধ বন্দুক (Illegal Gun) যুবক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে। আর তার জেরে প্রতিনিয়ত দেশের নানা প্রান্তে ঘটে চলেছে নানান দুর্ঘটনা। এমনই এক নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল পাটনা। সেই ঘটনার ভয়ঙ্কর দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভি (CCTV Footage) ক্যামেরায়। ঘটনাটি বিহারের (Bihar) রাজধানী পটনার (Patna) ইন্দ্রপুরী এলাকার।
জানা গিয়েছে, কোচিং করে বাড়ি ফিরছিল নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। সেসময় তার পিছু ধরে এক যুবক। সময়টা বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা। সেসময় তরুণী একটি সরু গলিতে ঢুকতেই তার খুব কাছে চলে আসে ওই যুবক। সুযোগ বুঝে ব্যাগ থেকে বন্দুক বার করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ওই ছাত্রীকে গুলি করে। আর গুলি গিয়ে লাগে ছাত্রীর ঘাড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই তরুণী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় যুবকটি।
Bihar| A vegetable vendor’s daughter shot yesterday in Indrapuri locality of Sipara area of Beur PS in Patna. Injured girl who was shot in the neck is undergoing treatment in a private hospital. Matter is being said to be a love affair: Patna Police
— ANI (@ANI) August 18, 2022
(Visuals: CCTV footage) pic.twitter.com/kHbddcU2L1
পুলিস জানিয়েছে, সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে ওই ছাত্রী। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অনুমান পুলিসের। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত যুবককে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
দেশ বিরোধী (Anti India) প্রচার। একইসঙ্গে বিদ্বেষমূলক এবং ভুয়ো (Fake) তথ্য। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt) ৮ টি ইউটিউব (You Tube) চ্যানেল বন্ধ করে দিল। এর মধ্যে সাতটি ভারতের এবং একটি পাকিস্তানের (Pakistan)। এর মধ্যে ভারতের একটি চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১৯.৪ লক্ষ এবং ভিউজ প্রায় ৩৩ কোটি। আটটি চ্যানেল মিলিয়ে মোট সাবস্ক্রাইবার হল ৮৬ লক্ষ এবং ভিউজ ১১৪ কোটি। এদের মধ্যে একটি চ্যানেল রয়েছে, যার ফেসবুক অ্যাকাউন্টও ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময়েই দেশবিরোধী প্রচারের অভিযোগে এই ধরনের পদক্ষেপ কেন্দ্র নিয়ে থাকে। ফলে ডিসেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১০২ টি চ্যানেল ব্লক করা হল বলে জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। আইটি রুল ২০২১ এর জরুরি ক্ষমতার বলেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে বলে জানানো হয়েছে।
'কেন্দ্রীয় সরকার ধর্মীয় কাঠামো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে।' 'ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।' 'শুরু হতে চলেছে ধর্মযুদ্ধ।' এই ধরনের একাধিক ভুয়ো খবর পরিবেশন করে বিদ্বেষ বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে এবং এই ধরনের এমন সব খবর পরিবেশন করা হচ্ছে, যার কোনও ভিত্তিই নেই, পুরোটাই ভুয়ো। আরও বড় অভিযোগ হল, নামী টিভি চ্যানেলের লোগো ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায়।
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (Most Polluted Cities) তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা (Kolkata)। এককথায় কলকাতার বাতাসে বহিছে বিষ। আর সেই তালিকায় প্রথমে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি (Delhi)। এমনই রিপোর্ট দিয়েছে স্টেট অফ গ্লোবাল এয়ার (SOGA)।
২০২২-এর রিপোর্ট অনুসারে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় কলকাতা রয়েছে দ্বিতীয় নম্বরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক স্বাস্থ্য সংস্থা, হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট (HEI) দ্বারা প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে কলকাতার বাতাসে পিএম২.৫ (PM2.5) ঘনত্বের বার্ষিক গড় 84g/m3। যা নিরাপদ সীমা থেকে ১৭ গুণ বেশি। একই রিপোর্টে দিল্লিকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাতাসে ভাসমান নানা ধরনের নানা আকারের দূষণ কণা থাকে। এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড হেলথ ইন সিটিস তাদের রিপোর্টে সবচেয়ে ক্ষতিকারক দুটি দূষণকারীর নাম উল্লেখ করে। সূক্ষ্ম কণা পদার্থ (PM2.5) এবং নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO2) এর উপর বেশি জোর দেয় তারা। দূষণ কণা যাদের ব্যাস আড়াই মাইক্রন বা তারও কম হয়। এদের বলা হয় ‘পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫ (পিএম২.৫)’। এক মাইক্রন বলতে বোঝায় এক মিলিমিটারের এক হাজার ভাগের এক ভাগ। মানবরক্তের লোহিত কণিকার ব্যাস পাঁচ মাইক্রন। আর মাথার চুলের ব্যাস গড়ে ৫০ থেকে ১০০ মাইক্রন। তবে আকারে অত্যন্ত ক্ষুদ্র হয় বলেই পিএম ২.৫ দূষণ কণা সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক।
উল্লেখ্য, ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে পিএম ২.৫ মারাত্মক বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি শহরের মধ্যে ভারতেরই রয়েছে ১৮টি। বাকি দুটি ইন্দোনেশিয়ার।
বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের! বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) হৃদেশ কুমার (Hirdesh Kumar) ঘোষণা করেছেন, কর্মচারী, ছাত্র, শ্রমিক বা বাইরে থেকে আসা যে কেউ, যাঁরা সাধারণভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে বসবাস করছেন, কিন্তু স্থানীয় নন (Non-locals), তাঁরা ভোটার তালিকায় (voting list) নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এই ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রতিবাদে সরব হয়েছে উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলি।
তিনি আরও বলেছেন, বহিরাগতদের ভোটার হিসাবে তালিকাভুক্ত করার জন্য জম্মু-কাশ্মীরের কোথাও নিজ আবাসন থাকার প্রয়োজন নেই। অন্যান্য রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানরাও, যাঁরা বিভিন্ন সীমান্তে, বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং রয়েছেন, তাঁরাও ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত করতে পারেন। তিনি আরও জানান, এই নয়া সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ২৫ লক্ষ নতুন নাম ভোটার তালিকায় ঢুকতে চলেছে।
উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এই প্রথমবার নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। পুরো কাজ সম্পন্ন হলে চলতি বছরের শেষের দিকে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এই বছর সম্ভবত নির্বাচন হচ্ছে না কেন্দ্রশাসিত প্রদেশে।