
কলকাতাঃ পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমলেও কমেনি নিত্য়প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। শনিবার ভাইফোঁটার দিনও আকাশছোঁয়া সবজির বাজার।
কালীপুজোর পর শনিবার ভাইফোঁটা। সারা বছর বোনেরা ভাইদের ফোঁটা দেওয়ার জন্য এই দিনটির অপেক্ষাতেই থাকেন। পাশাপাশি ভাইদের জন্য় আয়োজন করা হয় খাওয়া-দাওয়ারও।
এদিন হাতিবাগান বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, মাছ, মাংস ও সবজি এতটাই অগ্নিমূল্য যে, পূর্ব পরিকল্পিত মেনুটাই পাল্টে ফেলতে হয়েছে। অন্যদিকে বিক্রেতাদের দাবি, দাম শুনেই অনেকে চলে যাচ্ছেন। ফলে উৎসবের দিনে তেমন বিক্রি নেই। আবার যে সব ক্রেতা এই দিনটিতে এক কেজি মাস বা মাংস নিতেন, তাঁরা ৫০০ গ্রাম নিচ্ছেন।
সকালে হাতিবাগান বাজারে টমেটো বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা প্রতি কেজি দরে। অন্যান্য সবজির দাম ছিল এইরকম। বাঁধাকপি ৪০ টাকা প্রতি কেজি, বেগুন ৮০ টাকা, লঙ্কা ১০০ টাকা প্রতি কেজি, ডাঁটা ১৫০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, পালং শাক ৬০ টাকা। প্রতি কেজি আলু ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা প্রতি কেজি। ক্যাপসিকাম ১৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, মটরশুঁটি ২০০ টাকা, বিনস ১০০ টাকা প্রতি কেজি।
শুধু সবজি নয়, মাছের বাজারও আগুন। কাতলা মাছ ২৮০ টাকা প্রতি কেজি, গলদা চিংড়ি ৬০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৩০০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংসের দাম ৬৫০ টাকা, ভেটকি মাছ ৪৫০ টাকা। পমফ্রেট ৭০০ টাকা কেজি এবং মুরগির মাংস ১৫০ টাকা প্রতি কেজি।
অনেকেরই আশা ছিল, পেট্রোল-ডিজেলের দাম কিছুটা কমার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমবে। কিন্তু বাজারদর একই আছে বলে দাবি ক্রেতাদের।
করোনাকালে অনেকেই রোজগার হারিয়েছেন। আবার অনেকের বেতনে কাটছাঁট হলেও ক্যালেন্ডারে ভাইফোঁটার দিন বদলায়নি। তাই নিয়ম মেনে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান হলেও খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। এইভাবে বাজারদর চড়তেই থাকলে ভবিষ্যতে কীভাবে সংসার চলবে, সেই চিন্তাতেই এখন অনেকের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে।