
সিট অর্থাৎ বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং হাইকোর্টের (High Court) সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের মামলায় বিশেষ তদন্তকারী দল গড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বুধবার সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ ছিল, কালিয়াগঞ্জ মামলার সিটের মাথায় থাকবেন আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেন। সঙ্গে রাখা হয়েছিল প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস এবং প্রাক্তন আইপিএস পঙ্কজ দত্ত।
রাজ্যের বক্তব্য, সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও অবসরপ্রাপ্ত পুলিস অফিসার যে কোনও মামলার ক্ষেত্রে তদন্ত করতে পারেন না। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা করার অনুমতি দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা আছে।
সেই পার্কস্ট্রিট ধর্ষণের সময় থেকেই দময়ন্তী সেন চর্চায় উঠে এসেছিলেন। তারপর তাঁর বদলি সারা রাজ্যে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। তাছাড়া উপেন বিশ্বাস সিবিআইয়ের চাকরি ছাড়ার পর তৃণমূলের বিধায়ক হয়েছিলেন বাগদা থেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তিনি যা যা অভিযোগ করেছেন শাসকদলের বিরুদ্ধে তা বিস্ফোরক বললেও কম বলা হয়। এই দু’জনের পাশাপাশি রাখা হয়েছে প্রাক্তন পুলিসকর্তা পঙ্কজ দত্তকে। যাঁকে নিয়ে সম্প্রতি বিস্তর আলোচনা হয়েছে। না জানিয়ে তাঁর নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছিল। তারপর আদালত বলে, পঙ্কজ দত্তের নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিতে হবে। নানান সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে সরকার বিরোধিতায় গলার স্বর তীব্র করে সমালোচনা করছেন পঙ্কজবাবু। সিটের সদস্যদের নাম নিয়েও তাই চর্চা শুরু হয়েছিল। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, আগামী ২৮ জুনের মধ্যে সিটকে রিপোর্ট দিতে হবে। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে তা চ্যালেঞ্জ হওয়ায় এবার কী নির্দেশ হয় সেটাই দেখার।