
ট্যাংরার বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড নিয়ে খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করে তিনি সামগ্রিক পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় ট্যাংরায় ওই চামড়ার গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগে। আশপাশে প্রচুর বস্তি এবং প্রচুর মানুষের বসবাস হওয়ায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর, রবিবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে একটি হাই পাওয়ার কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন। দমকল, পুলিস ও কলকাতা পুরসভাকে নিয়ে এই হাই পাওয়ার কমিটি তৈরি করা হবে। কলকাতা শহরে ঘিঞ্জি এলাকায় কতগুলি কারখানা বা গোডাউন রয়েছে, তার একটি তালিকা তৈরি করা হবে। দমকলের অনুমতি রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। এই কারখানাগুলিতে আগুন লাগলে তার ভয়াবহতা কতটা হতে পারে, তাও খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। সেই অনুযায়ী একটি রিপোর্ট তৈরি করা হবে। ফায়ার সেফটি কমিটি তৈরি করা হবে।
এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কলকাতার পুলিস কমিশনার বলেন, কী থেকে আগুন লাগল, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। ফরেনসিক টিমের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই জানা যাবে প্রকৃত কারণ। আগুন নেভানোর কাজ এখনও জারি রয়েছে। কোথাও কোথাও আগুনের ফুলকি দেখা যাচ্ছে। যদিও এখন তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা সম্ভব হয়েছে। কুলিং প্রসেস চালু রয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে জরুরি নথিপত্রের বিষয়টি দেখা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এই কারখানায় রেক্সিন জাতীয় জিনিস ছিল। ছিল প্রচুর দাহ্য পদার্থ। তার উপর ঘিঞ্জি এলাকা হাওয়ায় দমকলকে ঢুকতে বেগ পেতে হয়েছে। এর ফলে আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ঘটনাস্থলে যায় ফরেনসিক টিম।