
নারদ কেলেঙ্কারিতে আবার সক্রিয় হল সিবিআই। নারদকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় কলকাতার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর, ম্যাথু স্যামুয়েলের ফোন ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই ফরেনসিক পরীক্ষায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের জবাব জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। সেজন্যই ফের তাঁকে তলব করেছে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, সারদা চিটফাণ্ড দুর্নীতির পর ২০১৬ সালে রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমত আলোড়ন ফেলে দেয় নারদ স্টিং অপারেশন। ২০১৪ সালে সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল ছদ্মবেশে রাজ্যে এসে এই স্টিং অপারেশন করেন। পরে রাজ্য বিজেপি দফতরে রীতিমত পর্দা টানিয়ে স্টিং অপারেশনের ভিডিও ফাঁস করেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি মন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিং। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে মার্চ মাসে। ওই ফুটেজে তাতে তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রী ও রাজ্যের ১ আইপিএস আধিকারিককে ম্যাথু স্যামুয়েলের থেকে টাকা নিতে দেখা যায়। ফুটেজে দেখা যায় প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রয়াত সাংসদ সুলতান আহমেদ, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র, মন্ত্রী তথা বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম, প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়, বিধায়ক ইকবাল আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক এসএমএইচ আহমেদ মির্জা এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বর্তমানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে
এই দুর্নীতির সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলায় ২০১৭ সালের মার্চ মাসে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তার পর থেকে নারদ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। সিবিআইয়ের তৎপরতায় তৃণমূলের তরফে প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়েছে, লোকসভা ভোট আসছে। এখন অনেক তদন্তই গতি পাবে। তবে জিজ্ঞাসাবাদ যেন শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে শুরু করা হয়। পালটা বিজেপির দাবি, তদন্ত হচ্ছে আদালতের নির্দেশে। এখানে কারও কিছু করার নেই। দোষ করে থাকলে কেউ পার পাবে না।