অধিকাংশবারই দিল্লি (Delhi) থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের আধিকারিকরা আসার পরই দেখা মিলেছে অটো সক্রিয়তার। এবার কি তবে তাই হতে চলেছে! সিবিআই সূত্রের খবর, বুধবার বিকালে দিল্লি থেকে কলকাতায় (Kolkata) এলেন সিবিআইয়ের (CBI) অতিরিক্ত নির্দেশক ডিএস শুক্লা ও যুগ্ম নির্দেশক ডিসি জৈন। এই দুই অফিসারের কলকাতায় আসার পরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি নিয়োগ দুর্নীতি বা অন্য কোনও মামলায় ফের বড় কোনও অভিযানে নামতে চলেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি? এদিন দিল্লি থেকে বিমানবন্দরে নেমে এই দুই সিবিআই কর্তা সোজা পৌঁছে যান নিজাম প্যালেসে। সেখানে এইসব তদন্তের সঙ্গে যুক্ত অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তাঁরা।
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বদল হয়েছে বিচারপতি, এরপরে রাজ্যের আবেদনে বদল হয়েছে সিবিআই তদন্তকারী অফিসার। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন ধরমবীর সিং। তিনি স্বেচ্ছাবসরের আবেদন জানিয়েছেন সিবিআইয়ের কাছে। তারপর আদালতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি বলে, কল্যাণ ভট্টাচার্যকে আইও করা হোক। হাইকোর্ট তাতে সায় দিয়েছে। এর আগে যখন দিল্লি থেকে সিবিআই অফিসাররা এসে কলকাতায় বৈঠক করেছিলেন তারপর দেখা গিয়েছিল জায়গায় জায়গায় পৌঁছে গিয়ে অভিযান চালাচ্ছেন তাঁরা। তারমধ্যে বড়ঞার জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ির অভিযান মাইলফলক হয়ে রয়েছে।
বুধবারই আবার কোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, জীবনকৃষ্ণ তাঁর যে দু’টি মাওবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলেছিলেন, যা তুলতে পাক্কা ৭৪ ঘণ্টা সময় লেগে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সির তা থেকে অনেক তথ্য মিলেছে। এর আগেরবার শুধু জীবনকৃষ্ণর বাড়ি নয়। তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার বাড়ি, নলহাটির তৃণমূল নেতা বিভাস অধিকারীর বাড়ি ও আশ্রমে তল্লাশিও হয়েছিল। এর মাঝে আরও নানান জায়গায় হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কালীঘাটের কাকুর বাড়ি থেকে শুরু করে ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থ সরকারের বাড়ি ছিল সেই তালিকায়।