
বৃহস্পতিবার থেকে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এর আগেও বিক্ষিপ্তভাবে বহুবার বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ফলে বাজার ছিল অগ্নিমূল্য়। তবে উত্তর কলকাতা বা দক্ষিণ কলকাতা সব বাজারেই শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কম বলে জানান বিক্রেতারা। কিন্তু গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম চড়া।
লেক মার্কেটে পটল ২৫০ টাকা কেজি, ঢেঁড়শ ১৮০টাকা কিলো। তবে বিক্রেতারা জানান গ্রীষ্মকালীন এই সবজি একটু গরম পড়লে দাম কমে যাবে। ক্রেতারা কম পরিমাণে অনেকেই কিনছেন প্রয়োজন অনুযায়ী। আসুন দেখে নিই লেক মার্কেটে সবজির দাম---
ফুলকি--২৫ টাকা প্রতি পিস
বাঁধাকপি--২০ টাকা প্রতি পিস
গাজর-- ৪০ টাকা (প্রতি কেজি)
ক্য়াপসিকাম--৭০ টাকা (প্রতি কেজি)
বিনস--৬০টাকা (প্রতি কেজি)
পেঁয়াজকলি--৫০টাকা (প্রতি কেজি)
সিম--৫০ টাকা (প্রতি কেজি)
বেগুন-- ৬০টাকা (প্রতি কেজি)
মটরশুঁটি--৫০ টাকা(প্রতি কেজি)
পটল--২৫০টাকা (প্রতি কেজি)
ভেন্ডি--১৮০টাকা (প্রতি কেজি)
উচ্ছে--৮০টাকা(প্রতি কেজি)
করলা--৭০টাকা (প্রতি কেজি)
আলু--১৬-১৮টাকা (প্রতি কেজি)
উত্তর কলকাতার মানিকতলাতেও শীতকালীন সবজির দাম নাগালের মধ্য়ে। দাম চড়া গ্রীষ্মকালীন সবজির। মানিকতলার বাজার দর--
সিম-- ৩০টাকা (প্রতি কেজি)
বেগুন-- ৫০ টাকা (প্রতি কেজি)
গাজর-- ৪০ টাকা (প্রতি কেজি)
পালং-- ৩০ টাকা (প্রতি কেজি)
ফুলকপি-- ২৫-৩০ প্রতি পিস
বাঁধাকপি ৩০ প্রতি পিস
টমেটো-- ৪০ (প্রতি কেজি)
রাতের শহরে ফের পথ দুর্ঘটনা(accident)। বেপরোয়া গতির(speed) জেরে থিয়েটার রোড ও নন্দলাল বসু সরণী ক্রসিংয়ে ঘটল দুর্ঘটনা। আহত ২।
পুলিস(police) সূত্রে জানা গেছে, গাড়িতে ছিলেন ২ জন যুবক ও এক তরুণী। তাদের মধ্যে চালক রোহান গুপ্তা সুস্থ। স্বয়াম সাহানির বাঁ হতে গুরুতর চোট ও শ্রেয়া চক্রবর্তীর মাথায় চোট লাগা অবস্থায় এসএসকেএম ট্রমা কেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয় । ঘটনায় চালক রোহানকে আটক(detained) করে শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিস। গাড়িটি কলামন্দিরের দিক থেকে ময়দানের দিকে যাচ্ছিল।
নন্দলাল বসু সরণীর কাছে ডান দিকে ঘোরার পথে চারচাকাটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। সোমবার রাত ১১ টা ১৫ নাগাদ ঘটে দুর্ঘটনা। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি দোকানে ধাক্কা মারে।
গাড়ির মধ্যে পেটির মধ্যে রাখা বিদেশি মদের বোতল এবং পিছনের সিটের কভারের নিচে আরও তিনটি বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গেছে। ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
আগামী ৯ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সকালের দিকে কুয়াশা থাকবে। ১০ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। রাতের তাপমাত্রা আগামী তিন দিনে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়বে । উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে আগামী তিন থেকে চার দিনে হালকা বৃষ্টি হবে । বাকি উপরের পাঁচটি জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা । নিচের দিকের জেলা মালদহ ও ২ দিনাজপুরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। মঙ্গলবার রাত থেকে তাপমাত্রা উর্ধমুখী।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও রাতের তাপমাত্রা আগামী তিন দিনে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়বে। উত্তরবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঘন কুয়াশা থাকবে, বিশেষ করে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে। এই বৃষ্টিপাতের কারণ একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করতে চলেছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। তার ফলে এই বৃষ্টির সম্ভাবনা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা নিচের দিকে আসার ফলে পূবালী হাওয়ার সংঘাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা। কেরল থেকে কঙ্কন পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে। ভিন রাজ্যে জোড়া পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা উত্তর-পশ্চিম ভারতে। এর মধ্যে তুষারপাত হতে পারে জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ, মুজাফফরাবাদ এবং হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বুধবার পাঞ্জাব, হরিয়ানা চণ্ডীগড়, দিল্লি উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানে। বুধ ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশাতে।
মঙ্গলবার কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। ফলে শীত বিদায়ের মুখে ফের বিপর্যয়ের মুখে বঙ্গবাসী। ফের বৃষ্টিতে ভোগান্তির আশঙ্কা। বৃষ্টি থেমে গেলে তাপমাত্রা আর খুব বেশি নামবে না, এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস।
করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার বিলে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ। এই নিয়ে পাঁচবার চিকিৎসার বিল নিয়ে কারচুপির অভিযোগ উঠল ইএম বাইপাসস্থিত ফর্টিস হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সোমবার একটি অভিযোগের শুনানি শেষে ওই হাসপাতালকে দুলাখ টাকা ফেরতের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য কমিশন। একইসঙ্গে আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কোন ঘটনায় এই নির্দেশ?
ডালিয়া গোস্বামী। বয়স ৫২, বাড়ি ব্যারাকপুরে। করোনা আক্রান্ত ছিলেন। ১৯ মে থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত ২৯ দিন ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ২৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বিল হয়। এর মধ্যে ১০ লাখ টাকা ওষুধেরই বিল। সাড়ে ৪ লাখ টাকা চিকিৎসা পরিষেবা বাবদ। দু লাখ টাকা অন্যান্য পরিষেবা বাবদ।
এই হাসপাতালের বিল ভালোভাবে দেখে স্বাস্থ্য কমিশনের মনে হয়েছে, ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে। এই টাকার মধ্যে যেহেতু কিছুটা ইনসিওরেন্স রয়েছে, তাই রোগীর পরিবারকে দু লাখ টাকা ফেরতের নির্দেশ হাসপাতালকে। অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে হাসপাতালকে। কারণ, এত বিপুল অঙ্কের ওষুধ ব্যবহারের সঠিক উত্তর দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য কমিশনের অ্যাডভাইজারি লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এর আগে চারবার হাসপাতালকে অতিরিক্ত বিল নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল স্বাস্থ্য কমিশনের তরফ থেকে। এটা হল পঞ্চমবার।
তদন্তে জানা যায়, বায়োফায়ার টেস্টে নেওয়া হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। অথচ এই টেস্টের সময় লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়নি রোগীর পরিবারের থেকে। এছাড়াও ব্লাড গ্যাস টেস্ট করা হয় চারবার। এরও কোনও যৌক্তিকতা খুঁজে পাননি স্বাস্থ্য কমিশনের চিকিৎসকরা।হাসপাতালের তরফে যে চিকিৎসক স্বাস্থ্য কমিশনের শুনানিতে হাজির ছিলেন, তিনি নাকি জানান, কেন এই টেস্ট করা হয়েছে, তা তিনি জানেন না।
গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ফুসফুস এবং হার্টের উন্নতি হয়েছে। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা সন্তোষজনক। মানসিকভাবে যথেষ্ট সতর্ক রয়েছেন তিনি। প্রাথমিকভাবে খাবারও খেতে পারছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। সব মিলিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থতিশীল, তবে সঙ্কটমুক্ত নন তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড
মেডিক্যাল বুলেটিনে এমনটাই জানিয়েছে।
ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তাঁর সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রেখে চলেছে। এখনও পর্যন্ত আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। তাঁর কোমরে যে আঘাত ছিল, তা কিছুটা ঠিক হওয়ার পথে। তবে ৯০ বছর বয়স হওয়ায় পুরোপুরি সেরে উঠতে এখনও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড।
২৭ জানুয়ারি থেকে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে, এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে তাঁকে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সোমবার তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে বৈঠকে বসে পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড।
পার্থিব শরীরে তাঁর উপস্থিতি নেই। কিন্তু তিনি আছেন সঙ্গীতপ্রেমীদের মননে। তিনি আছেন সকলের মজ্জায় মিশে। এবার আক্ষরিক অর্থেই যেন সুরলোক থেকে ইথার তরঙ্গে ভেসে আসবে তাঁর গান। আমরা শুধু মুগ্ধ হয়ে শুনব, আর ভাসব তাঁর গানের ভেলায়। গোটা দেশ আজ লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শ্রদ্ধাবনত। সুরসম্রাজ্ঞীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্র সদনে রাখা হয়েছে তাঁর প্রতিকৃতি। সেই প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের তরফে সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সকলের জন্য রাখা ছিল লতা মঙ্গেশকরের প্রতিকৃতি।
এদিন শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন মন্ত্রী অরূপ রায়, শশী পাঁজা, মদন মিত্র, দেবাশিস কুমার, ইন্দ্রনীল সেন, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও জয়প্রকাশ মজুমদার, প্রদীপ ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা। গোটা রবীন্দ্রসদন চত্বর জুড়ে বাজানো হয় লতা মঙ্গেশকরের অবিস্মরণীয় গানগুলি। শুধু তাই নয়, ১৫ দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে লতা স্মরণে গান বাজানোর কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী রাজ্য সরকারের তরফে অর্ধদিবস ছুটিও ঘোষণা করা হয়।
শিলিগুড়িতেও সুরসম্রাজ্ঞীকে শ্রদ্ধা জানানো হল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। পদযাত্রার মাধ্যমে সংস্কৃতি জগতের মানুষ পা মেলালেন তাঁর গানের সুরে। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, গৌতম দেব সহ অন্যান্যরা।
খোদ ট্রাফিক সার্জেন্টকেই পিষে দিল গাড়ি, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু তরুণ অফিসারের। সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব কলকাতার বাসন্তী হাইওয়েতে। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন বিকেলে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে নিজের বাইকে করে আসার সময় একটি গাড়ি পিষে দেয় ট্রাফিক সার্জেন্ট শশীভূষণ মিঞ্জ নামে এক অফিসারকে। ২০১৪ ব্যাচের এই অফিসার কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তিলজলা ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত ছিলেন। এদিন দুর্ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ট্রাফিক গার্ডের অন্যান্য আধিকারিকরা। তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই আধিকারিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সহকর্মীর মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, পূর্ব কলকাতার এই বাসন্তী হাইওয়েতে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। এই রাস্তা কেড়ে নিয়েছে বহু প্রাণ। পুলিশের অতিরিক্ত নজরদারি সত্ত্বেও দুর্ঘটনায় কমানো যায়নি এই ঘাতক রাস্তায়। এবার সেই রাস্তা খোদ পুলিশ আধিকারিকেরই প্রাণ কেড়ে নেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে পথ নিরাপত্তা নিয়ে।
২০১৮ সালের তালিকাভুক্ত এএলপি আর টেকনিশিয়ানদের অবিলম্বে চাকরি দিতে হবে। এই দাবি নিয়ে সোমবার ফেয়ারলি প্লেসের কাছে বিক্ষোভ দেখান একদল যুবক।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ২০১৮ সালে তাঁদের পরীক্ষা হয়। এরপর বেশ কিছু পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হন তাঁরা। এমনকি মেডিক্যালি তাঁরা সকলে ফিটও। তারপর তালিকাভুক্ত হন তাঁরা। তবে তখন দেওয়া হয়নি কোনও নিয়োগপত্র। প্রায় ৪ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এখনও পর্যন্ত তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি।
বর্তমানে দাবি, অবিলম্বে তাঁদের চাকরিতে যোগদান করাতে হবে। অন্যথা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন তাঁরা। কারণ, এছাড়া কোনও উপায় নেই তাঁদের কাছে।
রাজ্যের পড়ুয়াদের কথা ভেবে 'পাড়ায় শিক্ষালয়' (Paray Sikkhaloy) প্রকল্প চালু করছে রাজ্য সরকার (Mamata Government)। ৭ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ সোমবার থেকে শুরু হল এই প্রকল্প। প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস নেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেন সোমবার। কোভিড আবহে (Covid 19) দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজ (school-college closed)।
মাঝে বার কয়েক স্কুলগুলিকে আংশিকভাবে খোলা হলেও, তা বেশি দিন খুলে রাখা যায়নি। করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল। আর সে সময়ে পড়ুয়াদের ভরসা ছিল একমাত্র অনলাইন ক্লাস। কিন্তু তাতেও সমস্যা। অনেকের কাছেই স্মার্টফোন নেই। আবার অনেকের ফোন থাকলেও নেটওয়ার্কের সমস্যা। এমন পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে, স্কুলের অন্দরে নয়, পার্ক বা খোলা মাঠ কিংবা অন্য কোন খোলা এলাকায় এই শিক্ষালয় চলবে।
সেই মতো সোমবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের মাঠে শুরু হয় পড়ুয়াদের পড়াশোনা। কোভিডবিধি মেনেই শুরু 'পঠনপাঠন'। পড়ুয়াদের মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহারে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য করা গেছে, শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে বসানো হয়েছে পড়ুয়াদের।
ফের দু'বছর পর স্কুলের মেজাজ ফিরে পাওয়ায় খুশি কচিকাঁচারাও। এমনই ছবি দেখা গেল উত্তর কলকাতার উল্টোডাঙার মুরারিপুকুরের একটি মাঠে। সেখানে শুধু পাঠ্যবই নিয়ে নাড়াচাড়া নয়, গান, আবৃত্তি বিভিন্ন রকম খেলা দিয়ে তাদের শুরু হল পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়।
অপরদিকে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ স্ট্রিট প্রাঙ্গণে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের নিয়ে শুরু হল পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষাদান। যেখানে শ্রী বীণা সরস্বতী স্কুলের পড়ুয়াদের পঠন-পাঠন চলছে। সকাল সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত ক্লাস আবার দুপুর দেড়টা থেকে ৩:৩০ পর্যন্ত চলবে পড়ুয়াদের ক্লাস। করোনার জন্য ৩০ থেকে ৪০টি শিশু নিয়ে চলছে এই পঠন-পাঠন।
চেতলা বয়েজ স্কুলের এক শিক্ষিকা জানান, এতে ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপকার হবে। এতদিন একটি মাধ্যমের মধ্য দিয়ে দেখতে পেত ছাত্র-ছাত্রীরা। এবার সামনা সামনি দেখা হবে। তাতে ছেলেমেয়েদের পড়াশুনোর মান বাড়বে।
উল্লেখ্য, অনলাইনের পরিবর্তে অফলাইনে পুনরায় ক্লাস চালু হওয়ায় খুশি অভিভাবকরা। একাংশের দাবি, স্কুল অবিলম্বে শুরু হোক। না হলে রোদ-বৃষ্টিতে বিপাকে পড়তে পারে খুদেরা।
সোমবার পলিটেকনিক (politecnic) পড়ুয়াদের (student) তরফে কারিগরি ভবনের সামনে বিক্ষোভ (protest) কর্মসূচি। অফলাইন নয়, অনলাইন পরীক্ষা (online exam) হোক, এই দাবি নিয়ে শতাধিক ছাত্রছাত্রী রাস্তায় বসে পড়েন।
রাজ্য সরকারের নির্দেশমতো ৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই ফের খোলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। সেইমতো বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষার দিনও ঘোষণা হয়। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন পরীক্ষা এতদিন হয়েছিল অনলাইনে। তবে এবার অফলাইন হতেই বিক্ষোভের সামিল পড়ুয়ারা।
তাঁরা জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই পরীক্ষার দিন ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের ৯০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে হয়েছে। কোনও ল্যাব ক্লাস হয়নি। এবার অফলাইনে পরীক্ষা হলে সমস্যা হবে। হাতে মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। আর সময় নেই। তাই দাবি, পরীক্ষার দিন কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হোক। এই দাবিতে প্রায় এক হাজার ছাত্রছাত্রী বিক্ষোভ দেখান নিউটাউন কারিগরি ভবনের সামনে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছয় টেকনোসিটি থানা, নিউটাউন থানা এবং ইকো পার্ক থানার পুলিস। যাতে কোনও রকম উত্তেজনা সৃষ্টি না হয়, সেই কারণে মোতায়েন করা হয় পুলিস বাহিনী।
'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ।' পথ দুর্ঘটনা (accident) রোধে এই সচেতনতার প্রচারকে তোয়াক্কা না করার প্রবণতা অনেক সময়ই বিপদ (danger) ডেকে আনে। নানাভাবে প্রচার চালিয়ে, এমনকী জরিমানা ধার্য করেও বহু মানুষের হুঁশ ফেরানো যায়নি। অনেক সময়ই দেখা যায়, বিনা হেলমেটে (helmet) বাইক চালকরা বিভিন্ন জায়গায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। এমনকী মৃত্যু (death) বা গুরুতর আহত হচ্ছেন অনেকেই।
এবার তাই আরও কড়া কলকাতা পুলিস। বেপরোয়া বাইক চালকদের বাগে আনতে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিল তারা। ঠিক হয়েছে, এবার শুধু জরিমানা (fine) দিয়েই পার পাওয়া যাবে না। বিনা হেলমেটে বাইক চালাতে গেলে তিনমাসের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স সাসপেন্ড (license suspend) করার পথে হাঁটবে পুলিস। ট্রাফিক পুলিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট পদমর্যাদার যে কোনও আধিকারিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেপরোয়া বাইক চালকের লাইসেন্স সাসপেন্ড করতে পারবেন।
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের আগের নিয়ম অনুযায়ী, মদ্যপান করে বা অত্যন্ত বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানোর জন্য লাইসেন্স সাসপেন্ড করত কলকাতা পুলিস। কিন্তু এবার হেলমেট ছাড়া বাইক চালানোর জন্যও সাসপেন্ড করা হবে সেই চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স। ইতিমধ্যে রাজ্যের পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে জরিমানার অঙ্ক একলাফে অনেকটা বাড়ানো হয়েছে। এবার বেপরোয়া বাইক চালকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে এই কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে কলকাতা পুলিশ।
কলকাতাকে লন্ডন বানানোর কথা আগেই বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু লন্ডন নয়, এবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বা ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকার সানফ্রান্সিসকোর মতো কলকাতা শহরেও ইলেকট্রিক ট্রলিবাস চালানোর চিন্তাভাবনা শুরু করছে পরিবহণ দফতর। উল্লেখ্য, ঐতিহ্যবাহী কলকাতা ট্রামে যাত্রীর পাশাপাশি কমেছে ট্রামের সংখ্যাও। ফলে রাজ্য পরিবহণ নিগম প্রতিমাসে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
লকডাউনের আগের দিনগুলিতে একটি ট্রামরুট থেকে প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা আয় হত। বর্তমানে একটি রুটে প্রতিদিনের আয় এক হাজার থেকে ১২০০ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। আগে একটা ডিপো থেকে ২ লাখ টাকা মাসিক আয় হত। এখন সেটা মাত্র ৫০ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর। নানা কারণে এই মুহূর্তে কলকাতা শহরে ঐতিহ্যবাহী ট্রাম চলাচল বিভিন্ন রুটে প্রায় বন্ধ।
তাই এবার রাজ্য পরিবহণ নিগমের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, এই স্তব্ধ হয়ে যাওয়া ট্রামরুটে যদি চালানো যায় আধুনিক ট্রলিবাস। ওভারহেড ইলেকট্রিকের মাধ্যমে যেভাবে ট্রাম চলে, ঠিক একইভাবে চলবে এই ইলেকট্রিক ট্রলিবাস। আর ট্রামলাইন ধরেই চলবে এই ট্রলিবাস। তবে এর আর একটা সুবিধা রয়েছে। ট্রলিবাস লাইন ছাড়াও চলাচল করতে পারবে। বিশেষ করে যখন ক্রসিংয়ে এই ট্রলিবাস আসবে, তখন তারা তাদের ট্রাক ছেড়ে যাতায়াতের জন্য ইলেকট্রিক লাইন ছেড়ে ব্যাটারির সাহায্যে সাধারণ রাস্তায়ও চলতে পারবে। আর যখন ইলেকট্রিক লাইনে চলবে, তখন এই আধুনিক বাস নিজেই ব্যাটারি চার্জ করতে পারবে।
তবে এখন এই পরিকল্পনা শুধুমাত্র প্রাথমিকস্তরে রয়েছে। যার ফলে পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ সমীক্ষা শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যেহেতু শহরের বিভিন্ন জায়গায় ট্রামের একটা নেটওয়ার্ক রয়েছে, তাই আলাদা করে ট্রলিবাসের জন্য ট্রাক তৈরি করার প্রয়োজন হবে না। এছাড়া ট্রলিবাস কোথাও থেকে নেওয়া হবে, নাকি কলকাতার যেখানে পুরনো ট্রামগুলিকে আধুনিক করা হচ্ছে, সেখানেই এই আধুনিক ট্রলিবাস তৈরি করা যায়, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে পরিবহণ নিগমে।
বৃষ্টির (Rain) যেন বিরাম নেই। এক বৃষ্টি যাওয়ার পর মাঝে মাত্র কয়েকদিনের বিরতি। তারপর ফের ভিলেন সেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা (western disturbance)।
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, গোটা রাজ্যে বৃহস্পতিবার ফের বৃষ্টি হতে পারে। হালকা থেকে মাঝারি। সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ (Thunder)। মঙ্গলবার পর্যন্ত হালকা শীতের ( winter) আমেজ থাকবে। তারপরই জলীয় বাষ্প ঢুকে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রাকে (temperature) বাড়িয়ে দেবে। অবশ্য বুধবার থেকেই বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, দক্ষিণবঙ্গের ( south bengal) এই তিনটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে যাবে। পরদিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কবলে পড়বে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা।
শুক্রবার সরস্বতী পুজোর (saraswati pujo) আগেরদিন বৃষ্টি ভাসিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। শনিবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়। রবিবার তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ৩ ডিগ্রি নেমে কলকাতায় হয়ে যায় ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কিন্তু আবহাওয়া অফিসের যা পূর্বাভাস, তাতে তাপমাত্রা আপাতত দুদিন একইরকম থাকবে। তারপর তিনদিন ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বাড়বে। সকালে যথারীতি ঘন কুয়াশায় (dense fog) ঢেকে যাবে বিভিন্ন এলাকা।
উত্তরবঙ্গের (north bengal) ক্ষেত্রে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে আজ থেকেই। দার্জিলিং, কালিম্পং দিয়ে শুরু। তারপর ধাপে ধাপে সব জেলাই বৃষ্টির কবলে পড়বে। মোটামুটি শুক্রবার পর্যন্ত পরিস্থিতি এরকমই থাকবে।তাপমাত্রাও থাকবে দক্ষিণবঙ্গের মতোই।
৫০ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। চলবে ১৩ মার্চ পর্যন্ত। তার আগেই সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের মেলামাঠ পরিদর্শন করল গিল্ড কর্তৃপক্ষ। এবার কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উদযাপন এবং ১৯৭১ এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন। এবার মেলায় প্রায় ৬০০ স্টল থাকছে, ইংলিশ মিডিয়ামের জন্য একটি প্যাভিলিয়ন থাকছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রায় ৫০ টি স্টল থাকবে এবং লিটল ম্যাগাজিনের ২০০'র কাছাকাছি স্টল থাকবে।
এদিন তরুণ প্রজন্মের একঝাঁক প্রকাশককে নিয়ে মেলার মাঠ ঘুরে দেখার ফাঁকে গিল্ডের অন্যতম কর্মকর্তা ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানান, এবছর মেলা করা তাঁদের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। এই চ্যালেঞ্জ তাঁরা গ্রহণ করেছেন।
ত্রিদিববাবু আরও জানান, বিগত এক বছরে বহু বিশিষ্ট মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আলাদা একটি প্যাভেলিয়ন তৈরি করা হবে।
মেলার আরেক কর্মকর্তা সুধাংশু দে জানান, এবার বাংলাদেশ থিম কান্ট্রি হওয়ায় তাদের আরও বেশি স্টল থাকতে পারে। এখানকারও বহু প্রকাশক স্টল চাইছেন। তাই আপাতত স্টলের জায়গা কমিয়ে স্টলের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
রবিবার সাত সকালেই মর্মান্তিক (tragic) ঘটনা। ঘর থেকেই উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি হরিদেবপুর (haridebpur) থানা এলাকার একটি বাড়ির। ঘটনাটি নজরে আসতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে তাঁকে মৃত (death) বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনাটি কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য (inconstancy) ছড়ায় এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম সৌমেন হালদার। বয়স ২৬ বছর। শুক্রবার রাত ১১টা ৩০ নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এই বিষয়ে পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে কোনওরকম সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি ঘটনার পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে হরিদেবপুর থানার পুলিস।