
এ বছর চৈত্রের শুরুতেই তীব্র গরমে পারদ চড়ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের একাংশেও তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে চলতি সপ্তাহের শেষে। শুক্রবার নাগাদ তাপপ্রবাহের আশঙ্কা আছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে। এ সপ্তাহে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে ঝাড়খণ্ড-ওড়িশার একাংশেও। কার্যত চলতি সপ্তাহ থেকেই দক্ষিণবঙ্গে শুরু হতে পারে তাপপ্রবাহ।
বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। ফলে এ সপ্তাহে দুই ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদের দু’-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে সেই বৃষ্টি কি এই গরমে আদৌ স্বস্তি যোগাবে?
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেই তাকে তাপপ্রবাহ বলা হবে। আশঙ্কা, এ সপ্তাহে পশ্চিমের জেলায় তাপমাত্রা ৪০-৪১ ডিগ্রিতে পৌঁছতে পারে। বাঁকুড়ার তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি। পানাগড় (৩৮.৮), মেদিনীপুর (৩৮), পুরুলিয়া (৩৭.৩), শ্রীনিকেতন (৩৭.২)। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর (৩৮)। দমদমে (৩৭.৬) । কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৭ ডিগ্রি। শিলিগুড়িতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯.২ ডিগ্রি, জলপাইগুড়িতে ২৯.৫। ধীরে ধীরে মালদহ, বালুরঘাটেও গরম মালুম হচ্ছে।
মার্চে কালবৈশাখীর সময়। ফলে বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টিতে গরম কিছুটা কমে। তবে কালবৈশাখী বা গ্রীষ্মকালীন ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে। হাওয়া অফিসের খবর, সিকিম থেকে ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। ফলে এ সপ্তাহে দুই ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদের দু’-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
পাশাপাশি মৌসম ভবন সূতচ্রে খবর, রাজস্থান, হরিয়ানা-সহ উত্তর-পশ্চিমের বিস্তীর্ণ এলাকায় তাপপ্রবাহ চলছে।
সোমবার ছিল বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার। আর সেই প্রচার ঘিরেই তুলকালাম। অভিযোগ, বিজেপির সেই প্রচারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়। বালিগঞ্জ উপনির্বাচনের প্রার্থী কেয়া ঘোষের সমর্থককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। লাঠি, ছুরি, ছেনি দিয়ে আঘাত করা হয় বিজেপি কর্মীদের, অভিযোগ এমনই। তাঁদের দাবি, পুলিস থাকাকালীন এই কাণ্ড ঘটে। পুলিস দুষ্কৃতীদের পালিয়ে যেতেও সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ।
ঘটনায় আহত হন ২ জন বিজেপি কর্মী। তাঁরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। এরপরই তাঁরা রবীন্দ্র সরোবর থানায় গিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন। খবর পেয়ে সোমবার থানায় যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, আগামী ১২ ই এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভায় উপনির্বাচন। বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ওই কেন্দ্রে লড়ছেন কেয়া ঘোষ। প্রতিপক্ষ হিসেবে এই কেন্দ্রে লড়ছেন বাবুল সুপ্রিয়। সোমবার এই কেন্দ্রের ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন কেয়া ঘোষ ও তাঁর সমর্থকরা। তার মধ্যেই একদল যুবক তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আইআইসিবি অর্থাৎ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির ল্যাবরেটরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১২টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ চলে। আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলকর্মীরা। কোনও হতাহতের খবর আসেনি। সোমবার দুপুরের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ল্যাবরেটরির ভিতর থেকে প্রথমে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। প্রাথমিক অনুমান, ল্যাবে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক থাকায় বিস্ফোরণটি হয়। তারপর সেখান থেকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
দমকল মন্ত্রী জানিয়েছেন, আইআইসিবি-র ১৫/১২ ফুটের ওই ল্যাবে দুপুর ১২ টা ২০ নাগাদ প্রথম আগুন লাগার খবর পান। সঙ্গে সঙ্গে দমকলকে পাঠিয়ে দেন। ল্যাবে একটি সিলিন্ডার ছিল। সেটি বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে। তবে দমকলের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সেরকম কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে ল্যাবে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকলেও তা কাজ করেনি বলে শুনেছেন। খবর পেয়ে তিনি বিধানসভা থেকে ঘটনাস্থলে চলে আসেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, প্রায় আড়াই ঘণ্টার একটানা চেষ্টার পর শেষমেশ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
শাসক-বিরোধী শিবিরের ধস্তাধস্তিতে সোমবার উত্তাল হল বিধানসভা। ঝরল রক্ত। ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ আরও চার বিজেপি বিধায়ককে। তাঁরা হলেন মনোজ টিগ্গা, দীপক বর্মা, নরহরি মাহাত এবং শঙ্কর ঘোষ। এদিনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পর বিধানসভায় পাঁচ বিজেপি বিধায়কের সাসপেন্ডের প্রস্তাব দেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “বিধানসভায় এই ধরনের ঘটনা গণতন্ত্রবিরোধী। বিধানসভার গরিমা নষ্ট করে।” এর প্রেক্ষিতে সাসপেন্ডের প্রস্তাব দেন ফিরহাদ হাকিম ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়। তারপরই পাঁচ বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয় বলে জানান পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তবে তাঁর কোনও সমস্যা নেই বলে জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে বিধায়কদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ বিধানসভার স্পিকার। এই পদে থাকার তাঁর নৈতিক যোগ্যতা নেই। এই বিধানসভা ভেঙে দেওয়া উচিত।
পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিধানসভায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। গণতন্ত্রে পরস্পরের বিরোধিতা থাকবে, পরস্পরের বক্তব্য রাখার স্থান থাকা চাই। কিন্তু বিধানসভায় তা হচ্ছে না। বিরোধীদের উপর হামলা হচ্ছে। শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত থাকছে না শাসকদল, তারপরেই সাসপেন্ড করা হচ্ছে।
অন্যদিকে আহত তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার এসএসকেএমে চিকিত্সাধীন। এদিকে, বিধানসভার নজিরবিহীন অশান্তির খবর মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে জানান ফিরহাদ হাকিম।
সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সা পরিষেবা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ আসে প্রকাশ্যে। থাকে পরিকাঠামোগত অভিযোগও। হাসপাতালগুলিতে শয্যাসংখ্যা অপ্রতুলের অভিযোগে বহু আশঙ্কাজনক রোগীকে নিয়ে ঘুরে মরতে হয় রোগীর পরিজনদের, এই অভিযোগও আসে সামনে। তার উপর রেফার রোগের শিকার হন রোগীরা, এও নতুন নয়। সব মিলিয়ে বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতাল।
এবারও ট্রলি নিয়ে হয়রানির শিকার এক রোগীর পরিবার। আরজিকর হাসপাতালে রোগীর পরিবারের লোকেরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও ট্রলি মিলছে না বলে অভিযোগ করেন।
ব্যতিক্রম হল না সোমবারও। ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধাকে দীর্ঘক্ষণ আরজিকরের ভিতরের রাস্তায় প্রখর রোদে বসে থাকতে হয় একটা ট্রলির অপেক্ষায়। রোগীর ছেলের বয়সও বেশি হওয়ায় তিনি তাঁর মাকে আউটডোর পর্যন্ত কোলে নিয়ে যেতে অক্ষম হন। অবশেষে সিএন রোগীর পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। সিএনের ক্যামেরাম্যান শুভজিৎ গাইন রোগীকে কোলে তুলে আউটডোর পর্যন্ত নিয়ে যান।
এক ঘন্টা-দু ঘন্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ট্রলি না মেলার অভিযোগ ওঠে প্রায়শই। যার ফলে আরজিকর হাসপাতালের ভিতরে কোনও রোগী রাস্তাতে বসে রয়েছে বা কোনও রোগী সেখানেই শুয়ে পড়েছে। এ অতি পরিচিত দৃশ্য। রোগীর পরিবারের আরও অভিযোগ, জলের অভাবও রয়েছে হাসপাতালে।
জরুরি প্রয়োজনে কবে এইসব সমস্যা মেটে, সেটাই এখন দেখার।
বগটুই কাণ্ডে সোমবার বিধানসভা শুরু হতেই তৃণমূল-বিজেপি হাতাহাতিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে চলে শাসক-বিরোধী বিধায়কদের পারস্পরিক দোষারোপের পালা। বিজেপির দাবি, বিধানসভায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বগটুই ইস্যুতে এদিন অধিবেশনের শুরুতেই বিজেপি বিধায়করা প্ল্যাকার্ড হাতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি প্রসঙ্গে আলোচনা চেয়ে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। বিজেপি গত কয়েকদিন ধরেই বগটুই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে আসছে। তবে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা আইনগত দিক থেকে আলোচনা চাননি। উল্টে এর ফলে বিধানসভার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে সম্ভব নয় এই নিয়ে আলোচনা। এরপরই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। তখনই তৃণমূল-বিজেপি বিধায়কদের তুমুল হই হট্টগোল, হাতাহাতিতে তুলকালাম হয় বিধানসভা।
এমনকী নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি বাধে বিজেপি বিধায়কদের। চলে দুপক্ষের ধস্তাধস্তি, জামা ছেঁড়া, ঘুষি মারার ঘটনা। বিজেপির অভিযোগ, বাংলায় গণতন্ত্র কোথায়? ঘটনার জেরে আহত মনোজ টিগ্গা ও চন্দনা বাউড়ি। এমনকী বিধায়ক নরহরি মাহাত ধস্তাধস্তির মধ্যে মাটিতে পড়ে যান বলে বিজেপির দাবি। আরও অভিযোগ, মনোজ টিগ্গার জামা ছেঁড়া হয়। পাশাপাশি বিজেপির আরও দাবি, কলকাতা পুলিসের কিছু লোককে সিভিল ড্রেসে বিধানসভায় আনা হয়েছে। বিধানসভায় বিজেপির বিধায়করা নিরাপদ নন বলে দাবি তোলে বিজেপি। এরপর তাঁরা অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে বাইরে বিক্ষোভের পাশাপাশি স্লোগান দেন।
গোটা ঘটনার সমালোচনা করেন তৃণমূল বিধায়করা। বিধানসভা মারপিট করার জায়গা নয়, ভাঙচুর করার জায়গা নয়। বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে মার্শালকে মারধর, লাইট ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে চুঁচুড়ার বিধায়ককে ঘুসি মারা হয় বলে দাবি ফিরহাদ হাকিমের।
গোটা পরিস্থিতি নিয়ে ভর্তসনা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে তাঁর স্ত্রী।
দ্রুত শুনানি চেয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল সোমবার। কাল মঙ্গলবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা বলে হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যজুড়ে গত কয়েকদিন ধরেই বিরোধীরা সোচ্চার মূলত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগে। ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুন দিয়েই এবারের অভিযোগপর্ব শুরু হয়েছিল। তারপরই খুন হন পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর। এরপরই বিরোধীদের নিশানায় বীরভূমের বগটুইকাণ্ড। সেখানেও প্রথমে খুন করা হয় তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। তারপর ওই রাতেই কাছের গ্রামে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয় বেশ কয়েকজনকে।
এর আগে হাওড়ার আমতায় আনিসের রহস্যমৃত্যুর ঘটনাতেও সিবিআই তদন্ত চেয়ে সরব তাঁর বাবা। তিনিও সিটের তদন্ত নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন।
বগটুইকাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই ওই গ্রামে গিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। সোমবার মূল ভাদু শেখকে হত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস।
এবার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনাতেও সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে এলেন তাঁর স্ত্রী।
ভাদু শেখের খুনের তদন্ত করবে কে?
দিকনির্দেশ চেয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনপত্র দাখিল করার নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি।
হাইকোর্টের নির্দেশে গণহত্যার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে গেলেও ভাদু শেখের খুনের তদন্ত এখনও করছে রাজ্য পুলিস। মামলাকারীর বক্তব্য, ভাদু শেখের খুনের তদন্তভার সিবিআই না নিলে সম্পূর্ণ তদন্ত হবে না। তাই সুস্পষ্ট নির্দেশিকা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ আইনজীবীরা।
মামলা দায়েরের অনুমতি দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে প্রকাশ্যে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তারপর কাছেই গ্রামে একসঙ্গে কয়েকজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়। হাইকোর্টে একসঙ্গে চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেগুলির শুনানি শেষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। নির্দেশ পেয়ে সিবিআই তদন্ত শুরুও করে দিয়েছে।
মামলাকারীরা চাইছেন, মূল যে ঘটনাকে ঘিরে ওই গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে, সেই ভাদু শেখ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বও দেওয়া হোক সিবিআইকে। না হলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে না।
কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে আজ ২৮ ও ২৯ মার্চ দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিউয়ন। আর সেই ধর্মঘটকে সমর্থন করছে বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠন। তবে শহর কলকাতায় সকাল থেকে দেখা গেল বিক্ষিপ্ত ছবি। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান গেটের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এসএফআইয়ের একাধিক সমর্থক। প্রধান গেটের সামনে প্ল্যাকার্ডে লেখা "হকের হরতাল" সহ তাঁদের বিভিন্ন দাবি। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পাশাপাশি সেখানে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিস বাহিনী। সকালে তাঁরা রাস্তা অবরোধ করলে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের সরিয়ে দেয়। পুলিসের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে।
তবে প্রভাব পড়েনি উল্টোডাঙা মোড় চত্বরে। সেখানে সকাল থেকেই স্বাভাবিক যান চলাচল। নিত্যযাত্রী থেকে সকলেই স্বাভাবিকভাবেই যাতায়ত করছে।
অন্যদিকে ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে সুলেখা মোড় পর্যন্ত ধর্মঘটকে সফল করতে মিছিল করে যান নবীন থেকে প্রবীণ সকল বাম সর্মথক। সঙ্গেই ছিল পুলিসি প্রহরা। বাম সমর্থকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ধর্মঘট সফল করতে রাস্তা অবরোধ করা হবে, সেই পরিস্থিতি সামাল দিতেই কড়া পুলিসি নজরদারি চলে।
আবার শ্যামবাজার ৫ মাথা মোড়ে প্রভাব পড়েনি ধর্মঘটের। তবে যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকাল থেকেই প্রচুর পুলিস মোতায়েন করা ছিল। বাম কর্মী সমর্থকদের ভিড় আপাতত নেই শ্যামবাজার চত্বরে। নিত্যযাত্রীরা তাঁদের কাজে যাচ্ছেন বিনা বাধায়। পাশাপাশি নিত্যযাত্রীরা জানান, শ্যামবাজার মোড়ে নিত্যদিন যেভাবে বেসরকারি ও সরকারি বাস চলাচল করে, সেইভাবেই আজও চলাচল করছে।
মূলত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী, শ্রমিক-কৃষি বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ডাকা এই ধর্মঘট। ধর্মঘটের কারণে যাতে রাজ্যের জনজীবন এবং কাজ কোনওমতেই ব্যাহত না হয় তারজন্য কড়া নির্দেশিকা দেয় নবান্ন। ধর্মঘটের এই দু'দিন সব সরকারী ও সরকারী নিয়ন্ত্রণাধীন অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়। নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া ধর্মঘটের দিনগুলি অনুপস্থিত থাকলে বেতন কাটা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার ছুটির দিনেও গরমে হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যেই কাটাতে হয়েছে। তবে এবার খানিক স্বস্তির বার্তা শুনিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বাংলার ওপরে অবস্থান করছে জোড়া নিম্নচাপ। তার মধ্যে একটি রয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের ওপরে, অন্যটি নিম্ন গাঙ্গেয় সমভূমির ওপরে। দুটি নিম্নচাপের আকর্ষণে প্রচুর জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু প্রবেশ করছে রাজ্যে। তার প্রভাবেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ফলে কিছুটা স্বস্তি মিলবে বলেই মনে করছে সাধারণ মানুষ। রবিবার সকাল থেকে আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস ছিল না। তবে আগামী ৫ দিন দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। অন্যদিকে দিনের তাপমাত্রায় বিশেষ কোনও পরিবর্তন হবে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টা কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই। তবে বাতাসে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প রয়েছে। ভারী বৃষ্টি না হলেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায় ও সংলগ্ন অঞ্চলে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় না হলেও কয়েকদিনের মধ্যে হাওয়া বদলের ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে ৩৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশেই থাকবে। কোচবিহার, বাঁকুড়া সহ বেশ কিছু জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৯ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। অন্যদিকে দার্জিলিংয়ের মত শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৪ থেকে ৫ দিন তাপমাত্রার কোনও পরিবর্তন নেই।
গত ছদিনে প্রায় পাঁচবার বেড়েছে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম। উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের ভোট মিটতে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বৃদ্ধি হবে বলে আশঙ্কা করেছিল ওয়াকিবহাল মহল। ভোট পরবর্তীতে সেই পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধিই পাচ্ছে। গত ছদিনে প্রায় চার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম। আজ পেট্রোলের দাম ৫২ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১০৮ টাকা ৫৩ পয়সা। ডিজেলের দাম ৫৬ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯৩ টাকা ৫৭ পয়সা। পেট্রোল-ডিজেল-গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের।
তেল ভরাতে আসা মানুষজন জানান, রাজ্য সরকার যদি কিছুটা ছাড় দিত, পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কিছুটা হলেও কমত। ফলে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে সংসার চালাতে সুবিধা হত। যাঁরা প্রত্যেকদিন বাইক নিয়ে বা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে অফিসে যাতায়াত করেন, তাঁদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। যেখানে আগে ১৫ লিটার তেল ভরা হত, সেখানে ১০ লিটার ভরেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
করোনাকাল কাটিয়ে মধ্যবিত্তরা যখন ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছেন, তখন পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাঁদের। সমস্যায় রয়েছে নিত্য বাইক বা গাড়ি চালানো ব্যক্তি থেকে ট্যাক্সি ড্রাইভাররা।
একাকী ৭০ বছরের বৃদ্ধার হাত-পা, মুখ বেঁধে দুঃসাহসিক ডাকাতি পর্ণশ্রী থানা এলাকার ইউনিক পার্ক এলাকায়। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধা বাড়িতে একাই ছিলেন। ঘটনাটি ঘটে শনিবার দুপুরের দিকে। অনেক চেষ্টার পর বিকেল চারটে নাগাদ বৃদ্ধা কোনও মতে বাঁধন খুলে পাড়া-প্রতিবেশীদের ডাকেন। এরপর থানায় খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে আসে পর্ণশ্রী থানার পুলিস। পাশাপাশি লালবাজার থেকে পুলিস অফিসাররা আসেন ঘটনার তদন্ত করতে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ইলেকট্রিক-এর মিটার চেক করবে বলে দুজন যুবক বাড়িতে ঢোকে। তারপর ওই বৃদ্ধা যখন চিৎকার শুরু করেন, তখন জানলা দিয়ে তাঁর স্ত্রী দেখেন বৃদ্ধার হাত-পা বাঁধা, গলায় শাড়ি পেঁচানো রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন। এরপর পুলিসকে খবর দেন।
সূত্রের খবর, বৃদ্ধার মেয়ে নেদারল্যান্ডে থাকেন। তিনি ওই বাড়িতে একাই থাকেন। স্বামী আগেই মারা গিয়েছেন। বৃদ্ধার গলায় সোনার চেন ছিল। হাতে সোনার চুড়ি এবং কানে সোনার দুল ছিল। সেগুলো সবই লুট করা হয়েছে। এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর। এমনকি ওই বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল।
বর্তমানে গরমে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। মার্চেই এহেন গরমের সাক্ষী হওয়ার পর এপ্রিল-মে মাস নিয়ে কার্যত ভয়েই রয়েছে শহর তথা বঙ্গবাসী। তবে এই মুহূর্তে স্বস্তির হাওয়া বইছে বাংলায়। কোন কোন জেলায় বৃষ্টি হতে পারে? জানুন
আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প স্থলভাগে প্রবেশ করছে। সঙ্গে রয়েছে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের বাতাস। যা উত্তর-পূর্বে যাচ্ছে। এছাড়াও সিকিম থেকে উত্তর ছত্তিশগড় পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা অবস্থানে উপকূলের জেলাগুলিতে মেঘলা আকাশ এবং উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এর ফলে উত্তরবঙ্গে আগামী চারদিন দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। ২৭ শে মার্চ রবিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে মূলত মেঘলা আকাশ দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে একটু বেশি মেঘলা থাকবে এই দুই জেলাতেই হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। রাজ্যের উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ দুই জায়গাতেই তাপমাত্রার কোন পরিবর্তন হবে না।
২৭ শে মার্চ রবিবার সকালের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, এবং নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি না হলেও এইসব জেলাগুলিতে মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। মেঘলা আকাশের জন্য উপকূলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কম থাকবে। তবে রাতের তাপমাত্রা বাড়বে।
আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে, এমনটাই জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। গতকাল তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ১ ডিগ্রি কম থাকলেও আজ থেকে আগের মতোই থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩৪ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে গেলে শুধু সরকারি হাসপাতাল নয়, বেসরকারি হাসপাতালও রোগীকে ফিরিয়ে দিতে পারবে না। কিন্তু ফের অভিযোগ উঠল, এক অসহায় দরিদ্র পরিবার কীভাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও পদে পদে হেনস্তার স্বীকার হচ্ছে। প্রথমত, ওই কার্ডে রোগীকে ভর্তিই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে ভর্তি নেওয়া হলেও চুক্তিপত্রে সই করে নেওয়া হয়েছে, টাকা দিলে তবে রোগীকে ছাড়া হবে। ফলে এখন রোগী সুস্থ। কিন্তু টাকা না থাকায় তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারছেন না তাঁর স্ত্রী।
ক্যানিংয়ের বাসিন্দা এক ব্যক্তি গতকাল অটো চালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁর বাড়ির লোক বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরিবারের লোকজন বাইপাসের ধারে ওই বেসরকারি হাসপাতলে রোগীকে নিয়ে আসেন। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রসেসিং হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। কিন্তু সেই সময় রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রোগীর পরিবারের লোকজন একটি চুক্তিপত্রে সই করে। ২ লাখ ১৯ হাজার টাকার চুক্তি ছিল।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজ রোগীকে ছুটি দিতে চাইছে। কিন্তু পরিবারের লোকজন টাকার অভাবে রোগীকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারছেন না। রোগীর পরিবার অভিযোগ তুলেছে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও কেন ১৮ দিনের সময় দেওয়া হল রোগীকে ভর্তি করতে। রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। অসহায় স্ত্রীর কথা শুনলেই বোঝা যায়, তিনি কিছু না বুঝেই এবং রোগীকে সুস্থ করে তুলতেই ওই চুক্তিপত্রে সই করে দিয়েছিলেন।
ফলে সরকারি তরফে যতই আশ্বাস মিলুক, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বিভ্রান্তি, হয়রানি, ভোগান্তির রোজনামচা আগে যা। ছিল, একই রয়ে গিয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালের যাঁতাকলে পড়ে সেই নিঃস্বই হতে হচ্ছে শত শত পরিবারকে।
ফের কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভ। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে এবার পথে নামলেন সারা বাংলা মিড ডে মিল ইউনিয়নের কর্মীরা। ২০১৩ সাল থেকে দেড় হাজার টাকার বিনিময়ে কাজ তাঁরা করে আসছেন। কিন্তু এবার সেই বেতন বৃদ্ধির দাবি সহ মিড ডে মিল কর্মীদের সরকারি কর্মীর স্বীকৃতি, ১২ মাসের বেতন প্রদান, ছাত্র-ছাত্রীদের পুষ্টিকর খাবারের জন্য পর্যাপ্ত টাকা প্রদান সহ ১২ টি দাবিতে তাঁদের এই আন্দোলন। শনিবার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল করে তাঁরা যাবেন রানি রাসমণির দিকে। মিছিলে রয়েছে রয়েছেন প্রচুর পুলিস আধিকারিক।
কর্মীরা জানান, অবিলম্বে তাঁদের বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়াও ১০ মাসের নয়, ১২ মাসেরই বেতন দিতে হবে তাঁদের। এছাড়াও শিশুদের খাদ্যের গুণমান বৃদ্ধির দাবিতে তাঁদের এই আন্দোলন। একদিকে বাজারে সবজি থেকে অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে শিশুদের দেওয়া খাবারের গুণমান ভালো হয় না। তাই বরাদ্দ টাকা বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করতে হবে বলেই জানান তাঁরা।