বৃহস্পতিবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে বিস্ফোরক বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি ইউসুফ পাঠান ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। যদিও ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন আক্রমণের জন্য দিলীপ ঘোষকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন।
তৃণমূল এবার রেকর্ড গড়ার আশায় বহরমপুরে প্রার্থী করেছে ইউসুফ পাঠানকে। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষের সুরে বলেন, ইউসুফ পাঠান থাকেন গুজরাতে। একটা শব্দ বোঝেন না, বাংলায় তাঁকে নিয়ে এসেছে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের টিকিটে কেউ দাঁড়াতে চাইছে না। প্রার্থী পাচ্ছে না শাসক দল।
দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছেন, পুরনোরা রিজেক্ট হয়ে যাচ্ছে তাও কিছু লোককে পাল্টাতে পারেনি, রেখেছে। তাঁদের হোয়াইটওয়াশ করার চেষ্টা হচ্ছে। আর প্রার্থী খুঁজতে খুঁজতে বিহার পার হয়ে গুজরাত চলে গিয়েছে। তৃণমূলের অবস্থা বোঝাই যাচ্ছে, যার টিকিট কেউ দাঁড়াতে চায় না, তারা জিতবে টা কী করে! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার ডায়মন্ড হারবারে হাই প্রোফাইল দলীয় বৈঠক করেছেন। সেখানে একলক্ষের বেশি ভোটে জেতার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওখানে সবার সব সময় হাই প্রোফাইল থাকে, লো প্রোফাইল হয় না। ওখানে একটা আলাদা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চলে, ওয়েস্ট বেঙ্গল গর্ভমেন্টের থেকে আলাদা।
নাম না করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রকে উনিও আলাদা দেখাতে চান। তিনি বলেন, সরকারের টাকা নেই, ওখানে বিলিয়ে দেয় কী করে? এত খরচা করেছেন। একটাই লোকসভা আছে নাকি? বাকি ৪১ টার কী হয়েছে, কেন সরকার দেখে না। এদিক ওদিক লুটপাট করে সব লোককে দেখাচ্ছেন! দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, ডায়মন্ড হারবারের মানুষের জীবনে কী উন্নতি হয়েছে, সামাজিক কি পরিবর্তন হয়েছে, বড় বড় কথা বলেন।
শান্তনু ঠাকুর, রেখা পাত্রকে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাধা দেওয়া ছাড়া কী করবে তারা? রেখা পাত্রকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছিল, সন্দেশখালি তার জবাব দিয়ে দিয়েছে। রেখা পাত্রকে বুকে টেনে নিয়েছে। এই ধরনের রাজনীতি এবার বাংলা থেকে বিদায় নেবে, বলেছেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধী প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকেরা আক্রান্ত হচ্ছেন। কাঠগড়ায় শাসকদল। নির্বাচন চলাকালীন সময় রাজ্যের ছবিটা কেমন হতে পারে, এ যেন তারই পূর্বাভাস। এবার দলীয় পতাকা লাগানোকে ঘিরে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে, শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বৈকুণ্ঠপুর মোড়ে। অভিযোগ, এলাকায় দলীয় পতাকা লাগানোর সময় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাধা দেয় তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা। এরপরই বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় সোনারপুর থানার পুলিস। হিংসার পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল, তোপ বিজেপির। এরপর ঘটনাস্থল থেকে সোনারপুর মোড় পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।
অন্যদিকে, উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং। বৈঠক চলাকালীন বিজেপির উপর হামলার অভিযোগ। রক্তারক্তি কাণ্ড। কাঠগড়ায় তৃণমূল। ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার মাঠেরদিঘি এলাকায় মণ্ডল সভাপতি সুব্রত দাসের বাড়িতে রবিবার বৈঠক ছিল বিজেপির। অভিযোগ, সেই সময় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার অনুগামীরা রড, লাঠি নিয়ে আচমকাই হামলা চালায়। বেধড়ক মারধর করা হয় মণ্ডল সভাপতি, বুথ সভাপতি সহ বিজেপির একাধিক নেতা-কর্মীকে। জখম বিজেপি কর্মীদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ রাজ্যে বিরোধী দল করাই যেন গুরুতর অপরাধ। আর সেই অপরাধের মাশুল প্রতিনিয়ত রক্ত দিয়ে দিতে হচ্ছে বিরোধীদের। এ ছবিটাই যেন ক্রমশ চেনা হয়ে উঠছে বঙ্গ রাজনীতিতে। কবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে পুলিস-প্রশাসন? সেইদিকেই তাকিয়ে সাধারণ।
তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের লোকসভার প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর কলকাতার ফ্ল্যাটে সিবিআই হানা। শনিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিট নাগাদ দিল্লি থেকে সিবিআই-এর একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল মহুয়া মৈত্রের কলকাতার ফ্ল্যাটে এসে পৌঁছয়। সেখানেই থাকেন মহুয়া মৈত্রের বাবা এবং মা। তবে সিবিআই আধিকারিকরা যখন সেখানে এসে পৌঁছন সেই সময় তাঁরা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। সিবিআই আসার খবর পেয়ে সেখানে এসে পৌঁছন মহুয়া মৈত্রর মা মঞ্জু মৈত্র।
এর আগে গত সোমবার ক্যাশ ফর কোয়ারি কাণ্ডে মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল। পাশাপাশি, এই মামলায় ৬ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্যও বলা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এরপর শনিবার মহুয়া মৈত্রর ফ্ল্যাট সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, ফ্ল্যাটে থাকা ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি খতিয়ে দেখেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। শেষ কবে মহুয়া মৈত্র বিদেশ সফর করেছিলেন, প্রায় সাত ঘণ্টা সেখানে তল্লাশি চালানোর পর বেলা ২টো নাগাদ ওই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, মহুয়ার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল, শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্যই সংসদে প্রশ্নগুলি করেছিলেন মহুয়া। এই ঘটনায় মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে চিঠি লিখেছিলেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে লোকসভার এথিক্স কমিটি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। কমিটি নিশিকান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মহুয়াকেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে মহুয়া ওই কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপরই সাংসদ পদ থেকে মহুয়াকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করেছিল এথিক্স কমিটি। সেই সুপারিশ মোতাবেক মহুয়াকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করেন লোকসভার অধ্যক্ষ। লোকসভা ভোটের মুখে সিবিআই-এর এই তৎপরতায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন, তা বলাই বাহুল্য।
লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে তৃণমূলে অভিমানী মুখের সংখ্যা যেন তত বাড়ছে। এবার মালদহ উত্তর থেকে টিকিট না পেয়ে মুখ খুললেন রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। দলের সিদ্ধান্তে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
১০ মার্চ ব্রিগেডে দলের জনগর্জন সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সবাইকে টিকিট দেওয়া গেল না। তারপরেই বিজেপিতে ফিরেছেন অর্জুন সিং, ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই স্বপন ওরফে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল মণ্ডলরা। সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন মৌসম বেনজির নূর।
সাংবাদিক বৈঠকে মৌসম বলেছেন, তিনি মালদহের দুই বারের সাংসদ। দলের জেলা সভাপতি। আগেরবার হেরে গিয়েছিলেন। একই পরিবার থেকে দুই দলের দুই প্রার্থী থাকার কারণে ভোট ভাগ হয়েছিল। তারপরেও এবার ভেবেছিলেন টিকিট পাবেন এবং জেতার ব্যাপারে একশো শতাংশ নিশ্চিত ছিলেন। বিজেপিকে হারানোর আশা তৈরি হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন মৌসম। যাইহোক দলনেত্রী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপযুক্ত বলে মনে করেছেন, তাই টিকিট দিয়েছেন। তাঁকে সমর্থন করার কথাও সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন রাজ্যসভার বর্তমান সাংসদ।
মৌসম যে অভিমানী তাঁর বক্তব্য থেকে তা স্পষ্ট। যদিও তিনি সরাসরি দল বা দলনেত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি। তাঁর কথায়, দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা তিনি অনুগত সৈনিক হিসেবে মেনে নিচ্ছেন। যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চয়ই ভেবে নেওয়া হয়েছে।
ভোটের মুখে ফের ধাক্কা তৃণমূলে। তাপসের পর এবার অর্জুন। বিজেপিতে যাওয়ার ঘোষণা ব্যারাকপুরের সাংসদের। দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন অর্জুন সিং। এবারও তিনি ব্য়ারাকপুরে বিজেপির টিকিটে লড়তে চলেছেন। তাঁর সঙ্গে দিল্লি যান দিব্য়েন্দু অধিকারীও।
উল্লেখ্য, বিকেল ৩টের সময় দিল্লি বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে বিজেপিতে যোগদান। তাঁর সঙ্গে শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। লোকসভা ভোটের প্রার্থী ঘোষণার পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন তিনি। তারপরই জল্পনা চলছিল তাঁর বিজেপি যোগ নিয়ে।
বৃহস্পতিবার সকালেই তিনি সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, শুক্রবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তিনি। সঙ্গে আরও এক বড় নেতা যোগ দেবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অর্জুন। বলা যায়, বিজেপিতে ‘ঘর ওয়াপসি’ হল অর্জুনের।
বর্তমানে অর্জুন রয়েছেন সাংসদ পদে। আর বিজেপির টিকিটে জিতেই এই পদে আসীন হয়েছিলেন অর্জুন। পরে দল বদলে ফেরেন তৃণমূলে। ৫ বছরের মধ্যে আবার পাল্টি! ফের গেরুয়া শিবিরেই যাচ্ছেন তিনি। তিনি বৃহস্পতিবার জানালেন, ‘আমি আমৃত্যু বিজেপি করব।’
প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থক নয়ন সাহা। তাঁর মৃত্যুর পর ২২ দিন কেটে গিয়েছে। অবশেষে এই ঘটনায় প্রথম কাউকে গ্রেফতার করল দমদম থানার পুলিস। জানা গিয়েছে, ঘটনাতে মূল অভিযুক্ত স্বপন মাকাল ওরফে বিদেশকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাঘাট থেকে গ্রেফতার করে দমদম থানার পুলিস।
ধৃতকে ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। ধৃত বিদেশকে হেফাজতে নিয়ে পুলিস সন্ধান চালাবে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বাকি অভিযুক্তদের, এমনটাই খবর। কেন নয়ন সাহাকে খুন করা হল? এর নেপথ্যে কার বা কাদের ষড়যন্ত্র কাজ করছে? এই সবটাই পুলিস খতিয়ে দেখবে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নয়ন সাহার খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঊষা দেবনাথের স্বামী অভি দেবনাথ ও তার ঘনিষ্ঠ কর্মীদের বিরুদ্ধে। অবশেষে এক জন গ্রেফতার হল। তবে যেভাবে দিকে দিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জেঁকে বসেছে, তাতে এই খুনে কোন রহস্য উদ্ঘাটিত হয় তদন্তে, সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতি।
১০ তারিখ জনগর্জন সভায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে ব্যারাকপুর। অপমানিত হয়েছেন অর্জুন সিং, বলছে ব্যারাকপুরবাসী। মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছেন, বলছেন অর্জুন সিং নিজেই। এমনকি সোমবার সকাল থেকেই ভাটপাড়ার মজদুর ভবন থেকে খুলে ফেলা হয় দলীয় পতাকা।
এমনকি এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলা হলে তাঁরাও কার্যত জানান, তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তে ব্যারাকপুর লোকসভাটাই হাতছাড়া হল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অপমানিত হয়েছেন অর্জুন সিং।
অপরদিকে অর্জুন সিং কী বলছেন? সেদিকে নজর ছিলই রাজ্যবাসীর। তবে সাংবাদিক বৈঠকে সোমবার অর্জুন সিং জানালেন, আমাকে টিকিট দেওয়া হবে বলেই ডাকা হয়েছিল। তবে তালিকা ঘোষণার দিন সেখানে হাজির হয়ে জানতে পারেন, তাঁকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। মানসিক ভাবে আঘাত পেয়েছিলাম। তবে তা অনেকটা কেটেছে আজ।
ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। বেশ কয়েকটি আসনে বদলানো হলো প্রার্থী। ফলে বিদায়ী অনেক সাংসদই টিকিট পেলেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় একঝাঁক নতুন মুখ। নজিরবিহীনভাবে লোকসভার ৪২ প্রার্থী নিয়ে র্যাম্পে হাঁটলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রার্থী তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, দেখে নিন একনজরে-
কোচবিহার থেকে লড়বেন- জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া
আলিপুরদুয়ার- রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক
জলপাইগুড়ি- সাংসদ নির্মল চন্দ্র রায়
দার্জিলিং- গোপাল লামা
রায়গঞ্জ- কৃষ্ণ কল্যানী
বালুরঘাট- মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র
মালদা উত্তর- প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
মালদা দক্ষিণ- শানোয়াজ আলী রেহান
জঙ্গিপুর- খলিলুর রহমান
বহরমপুর- ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান
মুর্শিদাবাদ- আবু তাহের খান
কৃষ্ণনগর- মহুয়া মৈত্র
রানাঘাট- মুকুটমণি অধিকারী
বনগাঁ- বিশ্বজিৎ দাস
ব্যারাকপুর- পার্থ ভৌমিক
দমদম- প্রফেসর সৌগত রায়
বারাসত- ডক্টর কাকলি ঘোষ দস্তিদার
বসিরহাট- হাজী নুরুল ইসলাম
জয়নগর- প্রতিমা মণ্ডল
মথুরাপুর- যুবনেতা বাপি হালদার
ডায়মন্ড হারবার- তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
যাদবপুর- সায়নী ঘোষ
কলকাতা দক্ষিণ- মালা রায়
কলকাতা উত্তর- সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
হাওড়া- ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
হুগলি- অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
আরামবাগ- মিতালী বাগ
তমলুক- আইটি সেলের রাজ্যের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য
কাঁথি- উত্তম বারিক
ঘাটাল- দীপক অধিকারী (দেব)
মেদিনীপুর- জুন মালিয়া
ঝাড়গ্রাম- কালিপদ সরেন
পুরুলিয়া- শান্তি রাম মাহাতো
বর্ধমান-দুর্গাপুর- কীর্তি আজাদ
আসানসোল- শত্রুঘ্ন সিনহা
বাঁকুড়া- অরূপ চক্রবর্তী
বোলপুর- অসিতকুমার মাল
বীরভূম- শতাব্দী রায়
বিষ্ণুপুর- সুজাতা খাঁ
“জনগণের গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন।” ব্রিগেড গ্রাউন্ডের মঞ্চে নতজানু হয়ে, মাথা ঠেকিয়ে উপস্থিত সাধারণ মানুষকে প্রণাম করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁর কণ্ঠেই শোনা যায় এমন শ্লোগান।
গর্জে ওঠেন অভিষেক। ১২ দিনের মধ্যে ব্রিগেড করে দেখিয়ে দিলাম। কেউ বলেছিল একে একে দল ছাড়ছে, তৃণমূল দলটা উঠে যাবে। কিন্তু এই ব্রিগেড থেকেই বিজেপির বিদায়ের সূচনা হয়ে গেল। মঞ্চে দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমাণ্ডের। শুধু তাই নয়, বাংলা বিরোধী বিজেপি, ইডি-সিবিআই ভোট দেবে না। তা বলেও আক্রমণ শানান তিনি।
আরও বলেন, 'জনগর্জন কী আজকে তো ট্রেলার দেখালাম। আসল সিনেমা নির্বাচনের দিন আপামর বাংলা দেখাবে বিজেপিকে।' একইসঙ্গে দিল্লিতে ‘ভূমিকম্পে’র ডাক দেন তিনি।
লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদ ও বিরোধীদের বিরুদ্ধে গর্জনের ডাক তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভা’ থেকে। আজই, তৃণমূল ৪২টি আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিতে চলেছে, এমনটাই সূত্র মারফত খবর। তারকা, প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে প্রাক্তন আইপিএস সহ হেভিওয়েট নেতাদের নাম থাকতে চলেছে এই প্রার্থী তালিকায়। ইতিমধ্যে বিজেপিকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটে হুগলি থেকে তৃণমূলের টিকিটে রাজনীতির ময়দানে পদাপর্ণ করতে চলেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী। বালুরঘাট থেকে ঘাসফুলের হয়ে লড়তে পারেন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত রায়গঞ্জে ডিআইজি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। ব্যারাকপুর থেকে পরিচালক তথা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, বারাসত থেকে কাকলি ঘোষ দস্তিদার, কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্র। এছাড়াও মালা রায়, শতাব্দী রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া (মেদিনীপুর) কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাজদা আহমেদ, সৌগত রায়ও (দমদম) টিকিট পাবেন বলেই খবর।
উল্লেখ্য, বিশেষ চমক থাকছে আজকের ব্রিগেড মঞ্চে। তৃণমূল সুপ্রিমোর হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন হেভিওয়েট নেতারা। এই বার ব্রিগেডে মঞ্চ সজ্জায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। দুটি অপেক্ষাকৃত ছোট এবং একটি বড়। তৈরি করা হয়েছে র্যাম্পও। এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কী বার্তা দেন, সেই দিকে সব নজর।
সুপার সানডে! লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে একেবারে কোমর বেঁধে প্রচারের ময়দানে নেমেছে বিজেপি-তৃণমূল। আজ, 'জনগর্জন সভা' তৃণমূলের। আর সেই সভায় যোগ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকরা ইতিমধ্যে এসে উপস্থিত হয়েছেন ব্রিগেড ময়দানে। ক’দিন আগে বিজেপি রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২০টি আসনের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছিল। সূত্রের খবর, আজকের সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল ৪২টি আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিতে চলেছে।
৪২ এ ৪২-এর লক্ষ্যে 'জনগর্জন সভা' থেকেই প্রচারে নেমে পড়বেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সভা থেকেই প্রার্থী তালিকা তৃণমূল সুপ্রিমো ঘোষণা করা হবে। ইতিমধ্যে বাংলার ২০ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে চমক দিয়েছে বিজেপি। পাল্টা ব্রিগেডের ময়দানই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার করবেন সুপ্রিমো। ৪২ টি লোকসভা আসনেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৭ই মার্চ বিজেপিতে যোগদান করেছেন। আবার তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায়ও ঘাসফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। পাল্টা বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীকে ঘরে তুলেছে তৃণমূল। ব্রিগেডের মঞ্চে আরও বড় কোনও চমক থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
একেবারেই হাইভোল্টেজ রবিবার। একদিকে তৃণমূলের 'জনগর্জন' সভা। আর অন্যদিকে তৃণমূলের ব্রিগেডের পালটা আজ সন্দেশখালিতে সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত থাকবেন সন্দেশখালির মহিলারা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই সভা হবে।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। দিন ঘোষণা না হলেও একেবারে জোরদার প্রচারে নেমে পড়েছে ডান-বাম রাজনৈতিক দলগুলি। বিশেষ করে বাংলায় সন্দেশখালির ইস্যুকে কেন্দ্র করে লাগাতার বিক্ষোভ-মিছিল, আন্দোলনে নেমেছিল বঙ্গ বিজেপি। সন্দেশখালির বুকেই সভা করবেন আজ শুভেন্দু-সুকান্তরা।
এক ইঞ্চি ময়দান ছাড়তে নারাজ ঘাসফুল শিবিরও। ব্রিগেডের 'জনগর্জন' সভার মধ্যে দিয়ে একেবারে পুরোদমে লোকসভা নির্বাচনে নেমে পড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, ব্রিগেডের ময়দান থেকেই সন্দেশখালি ইস্যুতেও বার্তা দিতে পারেন তাঁরা, এমনটাই সূত্রের খবর।
নতুন রূপে তৈরি করা হয়েছে 'জনগর্জন' সভা মঞ্চ। ৩৩০ ফুট লম্বা র্যাম্প মূল মঞ্চের সামনে তৈরি হয়েছে। মূলত বিদেশের বিভিন্ন মিউজিক কনসার্ট কিংবা ফ্যাশন শো'তে এমন র্যাম্প দেখা যায়। সেই মঞ্চ তৈরি হয়েছে ব্রিগেডের। আর এই র্যাম্প ধরেই জনতার মাঝে পৌঁছে যাবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অন্যদিকে মূল মঞ্চ লম্বায় ৭২ ফুট, মাটি থেকে ১২ ফুট উপরে তৈরি করা হয়েছে। মঞ্চের পিছনে থাকছে এলসিডি। যাতে ব্রিগেডের সমস্ত কোণা থেকে সবাই দেখতে পারেন। শুক্রবার রাত থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মীরা আসতে শুরু করেছে।
যদিও সন্দেশখালিতে সভার আগে মহিলাদের ভয় দেখানোর অভিযোগ সামনে আসছে। বিজেপির দাবি, সন্দেশখালির মানুষ যাতে বিজেপির সভায় না যেতে পারে সেজন্য ভয় দেখানো হচ্ছে। যদিও শাসকদলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, বাস কিংবা অন্য কিছু তো তৃণমূলের ব্রিগেডের জন্য পাওয়া যাবে না। সন্দেশখালির মহিলারাই মাঠ ভরাবেন বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। তাঁর সঙ্গে এদিন সন্দেশখালির সভায় থাকবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।
দুয়ারে কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। যদিও নির্বাচন কমিশন এখনও নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেনি। তবে চলতি মাসের শুরু থেকে বঙ্গে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। আরামবাগ, কৃষ্ণনগরের সভা থেকে সন্দেশখালিকাণ্ডে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার বারাসতের 'নারীশক্তি সম্মান সমাবেশ' সভামঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়ল প্রধানমন্ত্রীর। সন্দেশখালির ঝড় গোটা বাংলায় উঠবে, এমনটাই বললেন তিনি।
বুধবারও মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনে কলকাতায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে মেট্রো প্রকল্প উদ্বোধনের পর তিনি বারাসতে আসেন। আর এদিন মোদীর সভায় উপস্থিত হন সন্দেশখালির মহিলারা। সন্দেশখালি প্রসঙ্গে কী বলেন সেদিকেই মুখিয়ে ছিলেন সকলে। আর কাউকে নিরাশ না করে তৃণমূলকে তীব্র তোপ দাগলেন তিনি।
মোদি বললেন, “বাংলার মা বোনেদের সঙ্গে ঘোর পাপ করেছে তৃণমূল। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে তাতে যে কারও মাথা নিচু হয়ে যাবে। এই ঘটনা মাথা নত করে দেয়। কিন্তু আপনাদের সঙ্গে যা হয়েছে তাতে এই সরকারের কিছু এসে যায় না। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। এসব কিছু সত্ত্বেও সব জায়গায় মা-বোনেদের উপর অত্যাচার করছেন তৃণমূল নেতারা। আর ওই নেতাদের উপর ভরসা রয়েছে দলের। কিন্তু বাংলার মা-বোনেদের উপর ওদের ভরসা নেই। ওরা দুষ্কৃতীদের বাঁচানোর চেষ্টা করে সবসময়।” এর পরই মোদি বলেন, “পুরো বাংলায় সন্দেশখালির ঝড় উঠবে”, মন্তব্য মোদির।
সন্দেশখালির মতোই বিভিন্ন প্রান্তের মহিলাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ডাক দেন তিনি।
ভোটের আগেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বাঁকুড়ার কোতুলপুর গ্রাম। কোতুলপুরের লালবাজার এলাকায় তিন বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিতরা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মঙ্গলবার রাতে চায়ের দোকানে তাঁদের উপর চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীদের। তাঁদের মধ্যে আক্রান্ত এক বিজেপি কর্মী প্রেমানন্দ বিশ্বাস-এর দাবি, বিজেপি করার অপরাধেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, তৃণমূলকে বদনাম করতে মিথ্যে অভিযোগ করছে বিজেপি। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কোতুলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সৌমিত্র খাঁ। তাঁর দাবি, লোকসভা নির্বাচনের আগে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না করলে প্রতিটি থানা এবং পুলিস সুপারের দফতর ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বারবার রাজনৈতিক সংঘর্ষের ছবি উঠে এসেছে কোতুলপুর ব্লকের বিভিন্ন ব্লকে। আর এবার আসরে লোকসভা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘটনা মাথায় রেখে ভীত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
তৃণমূল ছাড়লেন তাপস রায়? দলের উপর তীব্র অভিমান প্রকাশ করে দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক। সোমবার অথবা মঙ্গলবারই বিধানসভায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন এমনই জল্পনা উঠেছিল। ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় সোমবার সকলে তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু ও কুণাল ঘোষ।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, তাঁর বাড়িতে ইডি অভিযানে আসে। কিন্তু দল তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। তাঁর পরিবারের কাউকে ফোন করেনি। ক্ষোভ উগরে দিলেন তাপস রায়। তাপসের আরও বিস্ফোরক উক্তি,'এত দুর্নীতি, তারপর সন্দেশখালি, এগুলো আমাকে তাড়না দিয়েছে। আমাকে বোঝাতে আসার জন্য কুণালকে শোকজ করেছেন সুব্রত বক্সী। ৫২ দিন হল মুখ্যমন্ত্রীর কোনও ডাক আসেনি। তৃণমূলের অন্যান্য নেতা মন্ত্রীদের বাড়িতে ইডি গেলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের পাশে দাঁড়ায়। এমনকি শেখ শাহজাহানকে টার্গেট করেছে বলে বিধনসভায় উল্লেখও করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে অন্য ছবি দেখা গিয়েছে।'
এরপরই সটান জায়গা ছেড়ে উঠে পড়েন তাপস রায়। সূত্র মারফত খবর, এই বর্ষীয়ান নেতা বেরিয়ে পড়েন বিধানসভার উদ্দেশ্যে। ইতিমধ্যে পৌঁছন বিধানসভায়।