
টলি পাড়ার জনপ্রিয় দম্পতি ছিলেন জিতু কমল ও নবনীতা দাস। কিছুদিন আগেই সামাজিক মাধ্যমে একটি সুদীর্ঘ পোস্ট দিয়ে অভিনেত্রী নবনীতা (Nabanita Das), জিতুর (Jeetu Kamal) সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই বিচ্ছেদের খবর এখনও পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছেন না নেটিজেনরা। এদিকে জিতু বলেছেন, তাঁর বাচ্চা বৌকে আগে যেভাবে সামলেছেন, আগামীতেও সেভাবে সামলাবেন। কিন্তু নবনীতা এখনও নিজের সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছেন। বিচ্ছেদ ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে আরও কিছু পোস্ট দিয়েছেন অভিনেত্রী। সেখানেই তিনি বলেছেন বিচ্ছেদের (Seperation) শোক সামলাতে মনোবিদের বদলে তিনি কাকে বেছে নিয়েছেন।
অভিনেত্রী সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি আপলোড করেছেন। ছবিগুলি যে কোনও ট্রায়াল রুমে তোলা, তা একেবারে স্পষ্ট। বেশ কিছু ফ্রক এবং টপ পরে দেখেছেন তিনি। সেই ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে নবনীতা লিখেছেন, 'শপিং করা মনোবিদের কাছে যাওয়ার থেকেও সস্তা।' অর্থাৎ নবনীতা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন জিতুর থেকে আলাদা থাকলেও তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েননি। বরং মজা করেই নিজের দিন কাটাচ্ছেন।
জিতুর সঙ্গে নবনীতা বিচ্ছেদ ঘোষণা করতেই সামাজিক মাধ্যমে চর্চা শুরু হয়েছিল তৃতীয় ব্যক্তি নিয়ে। উঠে এসেছিল অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের নাম। এই চর্চার মাঝেই নবনীতা ফেসবুক লাইভ এসে জানিয়েছিলেন, কোনও তৃতীয় ব্যক্তির জন্য তাঁদের সম্পর্ক ভাঙেনি। তাঁদের একান্ত সিদ্ধান্তেই বিচ্ছেদের পথ বেছে নিয়েছেন। সম্পর্কের এই পর্যায়ে এসে, জিতুর জন্য সম্মান বজায় রাখতে চাইছেন তিনি। মনে রাখতে চাইছেন না কোনও তিক্ততা।
অভিনেতা ধর্মেন্দ্র এবং অভিনেত্রী হেমা মালিনী (Hema Malini), বলিউড জগতের জনপ্রিয় দম্পতি। তাঁদের বিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায়। তবে জীবন যে রূপকথা নয়, সেই প্রমাণ আবারও মিলল তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে। কিছুদিন আগে ধর্মেন্দ্রর (Dharmendra) সঙ্গে তাঁর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। এখন শোনা যাচ্ছে, হেমা নয়, প্রথম স্ত্রী এবং প্রথম পক্ষের সন্তানদের সঙ্গেই থাকছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। স্বামীর সঙ্গে ভিন্ন থাকার প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন হেমা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হেমা বলেন, 'কেউ এরকমভাবে থাকতে চান না, এরকম হয়ে যায়। নিজে থেকেই, যা হয়েছে তা মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। সব মহিলাই তাঁদের স্বামী এবং সন্তানদের সঙ্গে সাধারণ জীবন কাটাতে চান। কিন্তু কখনও তেমনটা হয় না।' একসময় যার সঙ্গে এতটা সময় কাটিয়েছেন, সেই স্বামী আলাদা থাকার প্রসঙ্গে হেমা আরও যোগ করেন।
অভিনেত্রী বলেন, আমি এই বিষয়ে খারাপ ভাবছি না। বা অভিমানও করছি না। আমি নিজেকে নিয়ে খুব খুশি। আমার দুই সন্তান রয়েছে। আমি তাঁদের ভালো করেই বড় করেছি। অবশ্যই ওঁ (ধর্মেন্দ্র) সবসময় ছিল, সব জায়গায়। তিনিই বেশি চিন্তিত ছিলেন মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে।'
প্রসঙ্গত ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে হেমা মালিনীর বিয়ের খবর সকলে জানলেও, সেই বিয়ে কীভাবে হয়েছিল তা অনেকেই জানেন না। ধর্মেন্দ্র যখন হেমার প্রেমে পড়েন তখন তিনি বিবাহিত। প্রথম স্ত্রী প্রকাশ এই খবর জানতে পেরে হেমার সঙ্গে বিয়েতে সম্মতি দেন। তবে তাঁর একটি শর্ত ছিল, ধর্মেন্দ্র হেমাকে বিয়ে করতে পারবেন কিন্তু প্রকাশের সঙ্গে বিচ্ছেদ না করে। এরপর হেমা এবং ধর্মেন্দ্র ধর্মান্তরিত হয়ে একে অপরকে বিয়ে করেন।
বেশ কিছুটা সময় পেরিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান (Sikhar Dhawan) এবং তাঁর স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায় (Ayesha Mukherjee) জীবনে। দুজনেই পথ আলাদা করেছেন। তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরেছে, এই গুজব উঠেছিল আগেই। যদিও তাঁরা দু'জন জনসমক্ষে কিছু বলেননি। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে নীরবতা ভাঙলেন ধাওয়ান। তিনি বলেছেন, কীভাবে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী বিচ্ছেদের পথ বেছেছেন। আবারও কী বিবাহবন্ধনে (Remarriage) আবদ্ধ হবেন শিখর? এই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে শিখর ধাওয়ান বলেছেন, তিনি বিবাহে 'ব্যর্থ' হয়েছেন। যদিও এই বিচ্ছেদে তিনি কারও দিকে আঙ্গুল তুলতে চান না, কারণ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তাঁর নিজের। তিনি বলেন 'আমি ব্যর্থ হয়েছি কারণ বিয়ের ময়দান আমার পরিচিত ছিল না। ২০ বছর আগে আমি বিয়ে সম্বন্ধে কিছুই জানতাম না। অভিজ্ঞতার সঙ্গে এই শিক্ষা আসে।' শিখর এবং আয়েশার বিবাহবিচ্ছেদ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। জীবনের এই পর্যায়ে এসে তিনি কতটা প্রস্তুত আরও একবার ছাদনাতলায় যেতে? সেই বিষয়ে জানিয়েছেন।
ধাওয়ান ইন্টারভিউতে বলেছেন, 'বর্তমানে আমার বিচ্ছেদ মামলা চলছে। আগামীকাল যদি আমাকে আরও একবার বিয়ে করতে হয়, আমি সেই বিয়েতে আরও বেশি অভিজ্ঞ হয়ে যাব। আমি বুঝে যাব আমার কেমন জীবনসঙ্গী প্রয়োজন, যার সঙ্গে আমি সারা জীবন কাটাতে পারব।' তিনি আরও বলেন, 'আগে যখন আমি প্রেমে পড়েছিলাম তখন লাল পতাকাগুলো দেখতে পায়নি। কিন্তু আজ যদি আমি প্রেমে পড়ি তাহলে অবশ্যই সেই লাল পতাকাগুলো দেখতে পাব।'
এখানেই শেষ নয়, ধাওয়ান নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সকলকে বার্তা দিয়েছেন, 'সম্পর্কে গেলে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। বুঝতে হবে, সে সঙ্গীর সান্নিধ্য উপভোগ করছে কিনা।'
বৃহস্পতিবারের সকাল। বড়সড় বিপত্তি লোকাল ট্রেনে। হাওড়ার উলুবেড়িয়ার আবাদা স্টেশনে ডাউন উলুবেড়িয়া লোকালের দুটি বগির মধ্যে কাপলার খুলে যায়। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। উলুবেড়িয়া-হাওড়া লোকাল ট্রেন হাওড়া যাওয়ার পথে আবাদা স্টেশনে থামার পর যখন আবার সাঁকরাইলের দিকে যাওয়া শুরু করে, তখন পিছনের পাঁচটি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তবে ট্রেনের গতি কম থাকায় কোনও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। পরে যাত্রীদের সরাতে হাওড়া থেকে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়।
জানা গিয়েছে, সকাল ৮-২০ তে ট্রেনটি ছাড়ে উলুবেড়িয়া স্টেশন থেকে। সকাল সাড়ে নটা নাগাদ হাওড়ার আবাদা স্টেশনের কাছে ট্রেনটি থামে। আবাদা স্টেশন ছাড়ার সময় দুই কামরার মাঝের কাপলিং খুলে যায়। এর জেরে দাঁড়িয়ে থাকে পিছনের ৫টি ট্রেন। নিত্যযাত্রীরা পড়েন বিভ্রাটে। পড়ে থাকা কামরাগুলিকে দ্রুত সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে রেলের তরফে। দিনের ব্যস্ত সময়ে এই ঘটনা ঘটায় রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রশ্ন তুলছেন নিত্যযাত্রীরা।