Breaking News
Garden Reach: গার্ডেনরিচকাণ্ডে অবৈধ নির্মাণ ভাঙা নিয়ে পুরসভা ও আবাসিকের মধ্যে টানাপোড়েন      Garden Reach: ফের গার্ডেনরিচেই বেআইনি বহুতলের সন্ধান, শুরু বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার কাজ      Sandeshkhali: পোস্টার-বিরোধিতা অতীত, রেখাকে জড়িয়ে উচ্ছ্বাস সন্দেশখালিতে      Sandeshkhali: "শক্তি স্বরূপা" সম্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ফোন মোদীর      Holi: বসন্ত উৎসবে মেতে উঠেছে বিভিন্ন জেলা, জানুন কোথায় কিভাবে উদযাপিত হল রঙের দিবস      Garden Reach: গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ে মৃত বেড়ে ১২, এখনও আশঙ্কাজনক বহু      CBI: আরও অস্বস্তিতে মহুয়া মৈত্র! কলকাতার ফ্ল্যাটে সিবিআই হানা      Delhi: আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ      Garden Reach: জেগে উঠছে পুর প্রশাসন! পুরসভায় জমা একাধিক অভিযোগ      High Court: টেটে প্রশ্নপত্র ভুলের মামলা, পর্ষদকে দিতে হবে বিশেষজ্ঞদের মতামত, নির্দেশ বিচারপতি মান্থার     

scam

Arvind Kejriwal: রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে কেজরিওয়াল! গ্রেফতারির প্রতিবাদে আজ দেশজুড়ে প্রতিবাদে আপ

আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই মামলায় তাঁকে ন'বার তলব করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কিন্তু, একবারও তিনি হাজিরা দেননি। দিল্লি হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তবে সেই আর্জি খারিজ হতেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর বাসভবনে তল্লাশি চালাতে পৌঁছয় ইডি। ঘণ্টা দুয়েকের জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি হেফাজতেই কেটেছে রাত। সকাল হতেই জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আজই, শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে হেফাজতে চেয়ে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করে ইডি। রাতে তাঁকে দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে। আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে কেজরিওয়ালের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৭০,০০০ টাকা পেয়েছে মাত্র তদন্তকারীরা। স্বাভাবিকভাবে ঘটনায় ক্ষুব্ধ আম আদমি পার্টির কর্মী সমর্থকেরা।

এদিকে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পরেই দিল্লিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আজ কেজরিওয়ালের বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিকে দিল্লিতে উত্তেজনা সামাল দিতে আম আদমি পার্টির সদর কার্যালয়ের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে আজ দেশজুড়ে প্রতিবাদে পথে নামছে আম আদমি পার্টি।

জানা গিয়েছে, ইডি সকালে কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পর তাঁকে আদালতে পেশ করবে। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন কাউকে গ্রেফতার করার ঘটনা এই প্রথম। এর আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। তবে সেটা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে আগে ইস্তফা দিয়েছিলেন, তারপরে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।

কেজরিওয়ালকে হেফাজতে নিয়ে তাঁকে জেরা করতে চাইছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। পুরো জেরাটি লিখিত হবে এবং তার ভিডিওগ্রাফি করা হবে বলে সূত্রের খবর। এদিকে দিল্লির রাস্তায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে দিল্লিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কেজরিওয়ালের বাড়ির চারপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেখানে কোনও রকম জমায়েত করতে দেওয়া হচ্ছে না।

7 days ago
Ration Scam: রেশন দুর্নীতি মামলায় হঠাৎ তৎপর কলকাতা পুলিস, অভিসন্ধি কী!

রেশন দুর্নীতি মামলা নিয়ে পরপর ঘটনাক্রম কী, তা অজানা কারোও নয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে রেশন দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই গতি পায় তদন্তে। এরপর বালুর সূত্র ধরে শঙ্কর আঢ্য, শেখ শাহজাহান। এমন পরিস্থিতিতেই হঠাৎ কলকাতা পুলিস তৎপর হয়ে উঠল রেশন দুর্নীতি নিয়ে।

জানা গিয়েছে, শুক্রবারের মধ্যেই লালবাজারকে, কলকাতা পুলিসের অন্তর্গত প্রত্যেক ডেপুটি কমিশনারকে তথ্য দিয়ে জানাতে হবে। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত কত অভিযোগ জমা পড়েছে? সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে? এই সবটা শুক্রবারের মধ্যেই জানতে চায় লালবাজার।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, রেশন দুর্নীতি মামলায় যখন কেন্দ্রীয় সংস্থার উপর বর্তমানে তদন্তাধীন, তখন হঠাৎ কলকাতা পুলিস কেন সে সংক্রান্ত অভিযোগ দেখতে তৎপর হয়ে উঠল? এর নেপথ্যে কোন উদ্দেশ্য কাজ করছে রাজ্য পুলিসের- তারই হদিশ খুঁজছে ওয়াকিবহল মহল। বিরোধী মহলের দাবি, আবার বড় কোনও লিঙ্ক কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে আসার আগেই ঢেকে দেওয়ার জন্য পুলিসের এই চাল নয় তো?

2 weeks ago
Sheikh Shahjahan: ফের আদালতে ধাক্কা শাহজাহানের, আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট

সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় শেখ শাহজাহান এখন সিবিআই হেফাজতে। ইডি যাতে তাঁকে গ্রেফতার করতে না পারে, সেজন্য আগাম জামিনের আবেদন তিনি জানিয়েছিলেন। সেই জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদীর ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে৷

রাজ্য পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশ মতো এখন শেখ শাহজাহান সিবিআই হেফাজতে। ইডিও মামলা করেছে কলকাতা হাইকোর্টে। ইডি যেন তাঁকে গ্রেফতার না করে। সেই কারণেই আগাম জামিনের আবেদন জানান শেখ শাহজাহান।

ইডি কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করেছে ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে হামলার ঘটনায়। হেফাজতে থাকা এক অভিযুক্তের সূত্রে তারা শেখ শাহজাহানের নাম জানতে পেরেছে। তার নিজের হাতে লেখা চিঠি থেকে শেখ শাহজাহানের নাম উঠে এসেছে। সওয়ালে দাবি করেছে ইডি। সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যাওয়া হয়েছিল। সেই সময় তাদের মারধর করা হয়। আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। পরে আবার তল্লাশি চালাবার আগেই সব সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। এমনই আদালতে দাবি করেছে ইডি।

এখন চার দিনের সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান। চলতি সপ্তাহতেই ফের তাকে বসিরহাট আদালতে তোলা হবে। এদিকে শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন মোল্লাকেও সিবিআই গ্রেফতার করেছে। গতকাল, সোমবার সিবিআই তাঁকে তলব করেছিল। তিনি নিজাম প্যালেসে সিবিআই জেরার মুখোমুখি হন। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

2 weeks ago


Shankar Adhya: ইডির উপর হামলার তদন্তে বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে সিবিআই

সন্দেশখালির পর এবার ইডির উপর হামলার তদন্তে বনগাঁয় গেল সিবিআই। সোমবার সকালে ফরেনসিক টিম ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বাড়ি পুরো ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতে গত ৫ জানুয়ারি তল্লাশি চালাতে যায় ইডি। প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানোর পর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পথে বাড়ির বাইরে মব তৈরি হয়। হামলা চালানো হয় ইডি আধিকারিকদের গাড়ির উপর। ইডি আধিকারিকদের গাড়ির উপরে হামলার ঘটনায় বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ইডির তরফে। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্ট সেই তদন্তভার দেয় সিবিআই-এর হাতে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিবিআই আধিকারিকরা শঙ্করের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় আসেন এবং সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন। ভিডিওগ্রাফি করে নিয়ে যান। সোমবার ফের ইডির উপর হামলার ঘটনায় বনগাঁয় তদন্তে যায় সিবিআই ও তাদের ফরেনসিক টিম। সমস্ত তদন্ত প্রক্রিয়া ডিজিটাল এভিডেন্স হিসেবে সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরপর পরবর্তীতে সিবিআই আধিকারিকরা বনগাঁ পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ-এর বাড়িতে যান। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা ধরে তদন্ত চালায় সিবিআই।

তদন্তে জানা যায়, শঙ্করের বাড়ির ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকা CCTV ক্যামেরার তার খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই ঘটনা নিছকই কাকতালীয় নাকি এর পিছনেও লুকিয়ে কোনও রহস্য? ধন্দ কাটাতে বনগাঁ পুরসভায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়ে নোটিশ সিবিআই এর। ফুটেজ চেয়ে নোটিশ তলব গোপাল শেঠকেও।

3 weeks ago
Sheikh Shahjahan: শাহজাহানকে আদালতে পেশ, ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ

শেখ শাহজাহানকে রবিবার বসিরহাট আদালতে পেশ করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে সকাল ৮.৩০ টায় নিজাম প্যালেস থেকে বের করে বসিরহাট আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। 

২৮ ফেব্রুয়ারি বসিরহাট জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে গ্রেফতার করার পর ২৯ তারিখ তাকে পেশ করা হয় আদালতে। আদালতের পক্ষ থেকে দশ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। হাইকোর্টের নির্দেশেই শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। শাহজাহানের ঠিকানা হয় নিজাম প্যালেস। সিবিআই হেফাজতে এই ৫ দিন শাহজাহানকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বসিরহাট মহকুমা আদালতে  শাহজাহানকে পেশের পর বাকি চার দিনের হেফাজতের আবেদন জানায় সিবিআই।

আদালতে সিবিআই জানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তে এখনও অনেক তথ্য নতুন করে পাওয়ার আছে তাই আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে আরও জানান তদন্তে অসহযোগিতা করছেন শেখ শাহজাহান। তাই তদন্তকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।

শেখ শাহজাহান সিবিআইয়ের হেফাজতে এলেও এখনও  উধাও মোবাইল ফোন।তাই শেখ শাহজাহানের ফোনের খোঁজে সিবিআই। পুলিস জানিয়েছে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারের সময় তার ফোনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।কিন্তু সিবিআই দাবি করেছে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শেখ শাহজাহানের মোবাইল ফোন। এমনকি সিবিআই যখন পরবর্তীতে শাহজাহানের আকুঞ্জিপাড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালায় তখনও তারা শাহজাহানের দুটি ফোনের কোনও হদিশ পায়নি বলেই দাবি করেছে সিবিআই। বসিরহাট আদালতে প্রবেশের সময় সাংবাদিকরা একাধিকবার শাহজাহানকে প্রশ্ন করেন আপনার মোবাইল ফোন দুটি কোথায়? নিরুত্তর থাকেন শাহজাহান।

অন্যদিকে এদিন শেখ শাহজাহানের তরফে জামিনের আবেদন করা হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। ইডির উপরে হামলার ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত নন শাহজাহান বলে আদালতকে জানান শেখ শাহজাহানের আইনজীবী। মূলত ইডির ওপর হামলার ঘটনায় যে মামলা সেই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সেই মামলাতেই এদিন বসিরহাট আদালতে পেশ করা হয় শাহজাহানকে। 

ইডির অভিযোগের ভিত্তিতে ন্যাজাট থানায় ২ টি এফআইআর করা হয়। একটি এফআইআর নম্বর ৯ ইডির ওপর হামলার ঘটনায়, অপরটি  ৮  যা রাজ্য পুলিস সুয়ো মোটো করেছে।এদিন শুনানি শেষে ৪দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় বসিরহাট মহকুমা আদালত। আগামী ১৪ তারিখ ফের শেখ শাহজাহানকে বসিরহাট মহাকুমা আদালতে পেশ করা হবে। 

3 weeks ago


PM Modi: 'তৃণমূলের তো ভাইপোর চিন্তা,' শিলিগুড়ির সভা থেকে একযোগে তৃণমূলকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী ও অভিজিৎ

শিলিগুড়ির সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি মঞ্চে উপস্থিত থাকা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা অধুনা বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও তৃণমূলকে ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ বলে আক্রমণ করেন।

ভাইপোর কথা তুলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন,'দেশবাসীকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে কেন্দ্র। অথচ এই বঙ্গে রেশন দুর্নীতিতেই জেলে খাদ্যমন্ত্রী। তাই রেশন নিয়েও এখানে দুর্নীতি হয়েছে।' এই সভায় তিনি ‘ভাইপো’ নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন। তাঁর মন্তব্য, 'তৃণমূল ভাইপোকে নিয়ে ব্যস্ত।'

অন্যদিকে, বিজেপিতে যোগদানের পর মোদীর সঙ্গে এটাই প্রথম সাক্ষাৎকার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়-এর। সকাল থেকে আলাদাই আনন্দ ও উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল তাঁর মধ্যে। সেই ইচ্ছেই পূরণ হল শিলিগুড়ির সভামঞ্চে। কাছাকাছি বসার সুযোগও পেয়েছেন। হাত বাড়িয়ে দেন অভিজিতের দিকে। আর তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাত দু’হাতে ধরে নিজের কপালে ছোঁয়ান। আর একেবারে সভার শেষে মোদীর কাছ থেকে সাহসের শংসাপত্রও পেলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি।

একদিকে তৃণমূল যখন তাদের ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি পাওনা আদায়ে মরিয়া, তখন শিলিগুড়িতে আজ নরেন্দ্র মোদী বলে গেলেন, তৃণমূল সরকার ২৫ লাখ ভুয়ো জবকার্ড তৈরি করে সাধারণ মানুষের টাকা সরিয়ে নিয়েছে। মানুষকে উজ্জ্বলা যোজনা থেকে বঞ্চিত করেছে।

3 weeks ago
Ration Scam: রেশন দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ ইডির...

শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। তাই নির্বাচনের পূর্বে একের পর দুর্নীতির জাল গোটাতে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা মহল। ইডির রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে একাধিক রাঘববোয়াল। বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য় গ্রেফতারের দু'মাসের মাথায় পেশ করা হল চার্জশিট।

 সূত্রের খবর, রেশন দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিট দিতে চলেছে ইডি। আজ, মঙ্গলবার নগর দায়রা আদালতে চার্জশিট পেশ করতে চলেছে ইডি। শঙ্কর ছাড়াও তাঁর পরিবারের আরও কয়েকজনের নামও চার্জশিটে উল্লেখ থাকার সম্ভবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেরবারের চার্জশিটে শুধু শঙ্কর আঢ্য নয় তার পরিবারের আরও কয়েকজন এই দুর্নীতির নেপথ্যে রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহলের। ফরেক্স ছাড়াও শঙ্করের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের একাধিক কোম্পানির নামও ছিল চার্জশিটে।

3 weeks ago
Ration Scam: রেশন দুর্নীতির দ্বিতীয় চার্জশিটে শঙ্কর আঢ্য ও তাঁর পরিবারের নাম

শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। তাই নির্বাচনের পূর্বে একের পর দুর্নীতির জাল গোটাতে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা মহল। ইডির রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে একাধিক রাঘববোয়াল। ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা দিয়েছিল ইডি। সেই দুর্নীতির সূত্র ধরে সম্প্রতি পুলিসের জালে ধরা পড়েছে সন্দেশখালির প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। আগামী সপ্তাহে রেশন দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয়বার চার্জশিট জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা ধৃত তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য ও তাঁর বিভিন্ন ফরেক্স সংস্থার বিরুদ্ধেও একাধিক তথ্যের উল্লেখ চার্জশিটে রয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে শুধু শঙ্কর আঢ্য নয় তার পরিবারের আরও কয়েকজন এই দুর্নীতির নেপথ্যে রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহলের। ফরেক্স ছাড়াও শঙ্করের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের একাধিক কোম্পানির নামও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে চার্জশিটে।

কিন্তু তদন্ত এখানেই শেষ নয়। দুর্নীতির রহস্যের পর্দাফাঁস করতে ইডির দ্বিতীয় চার্জশিটেও রেশন বন্টনে কারচুপিতে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ভূমিকা সংক্রান্ত তথ্য থাকছে। মূলত রেশন দুর্নীতির টাকা বালু ওরফে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ঘুরে কিভাবে শঙ্কর আঢ্যের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে? এমনকি দুবাইতে যে সংস্থায় রেশন দুর্নীতির টাকা লগ্নি হয়েছে তারও স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। সূত্রের খবর এর আগে শঙ্কর ও তার কোম্পানির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা দুবাইতে পাঠানোর তথ্য হাতে এসেছিল ইডির।  ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৬ লক্ষেরও বেশি টাকা পাঠানো হয়েছিল শঙ্কর ওরফে ডাকু মারফত। এখন ইডির পেশ করা দ্বিতীয় চার্জশিটে রেশন বন্টন দুর্নীতির আর কোন কোন সত্য প্রকাশ পায় সেটাই দেখার।

4 weeks ago


ED: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রসন্ন রায়-এর ইডি হেফাজত, স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সিজিওতে প্রসন্ন

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার মিডলম্যান প্রসন্ন রায়। ৪ঠা মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতেই অভিযুক্ত। নিয়ম মোতাবেক শুক্রবারও বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর সিজিও নিয়ে আসা হল নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত প্রসন্ন রায়কে। মূলত প্রথমে শিক্ষক নিয়োগে কারচুপির ঘটনায় মিডলম্যান হিসেবে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন রায়। কিন্তু গতবছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান তিনি। যদিও তার বিপুল অঙ্কের সম্পত্তি দেখে সন্দেহ থেকেই গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। এমনকি অভিযোগ উঠে আসে যে সিবিআই-এর গ্রেফতারির পরও জেল হেফাজতে থাকাকালীন সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতির এই মিডলম্যান। প্রসন্ন রায়ের এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কী? নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকাতেই বৈভব ফুলেফেঁপে উঠেছে প্রসন্ন রায়ের? টাকার যোগানটাই বা তাকে দিত কে? প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তারই তথ্য সন্ধানে  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত, ১৮ জানুয়ারি প্রসন্ন রায়ের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রসন্ন রায়ের নিউটাউনের অফিস থেকে একাধিক নথি উদ্ধার করেছিল ইডি আধিকারিকরা। উদ্ধার হয় ৪০০-র বেশি দলিল, শতাধিক এটিএম ও ৭০টি প্যানকার্ড। তদন্তে দেখা গিয়েছে যে, দলিলগুলি উদ্ধার হয়েছে, তা ছিল প্রসন্ন রায়ের অফিসের বেতনভুক কর্মীদের নামে। মূলত ইডির হাতে উঠে আসে প্রসন্নর একাধিক সম্পত্তির নথি ও তথ্য প্রমাণ। প্রসন্ন রায়ের ১০০ কোটির বেশি সম্পত্তির হদিশ পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই সব নথির উপর ভিত্তি করেই দ্বিতীয়বার গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন। বুধবার সেই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় প্রসন্নর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা।

কিন্তু আদালতে প্রসন্ন রায়ের জামিনের আবেদন করেননি আইনজীবী। বরং ইডির তরফে আদালতে প্রসন্ন রায়ের ২০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ১০০টি কোম্পানির তথ্য প্রমাণ পেশ করতে দেখা যায় এদিন। পাশাপাশি ইডির আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মিডলম্যান প্রসন্নর ৯৭টি সম্পত্তির হদিশ এবং ৭০ কোটি টাকার হিসাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাদী-বিবাদী পক্ষের সওয়াল জবাবের ভিত্তিতে আপাতত ইডি হেফাজতেই প্রসন্ন। এখন  ইডির প্রশ্নবাণে অভিযুক্ত প্রসন্ন রায়ের কাছ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত আর কোন কোন তথ্যের সন্ধান মেলে সেটাই দেখার।

4 weeks ago
Ration Scam: কালো টাকা সাদা করার কারবার! আদালতে পেশ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে

রেশনবন্টন দুর্নীতির তদন্তের গতি বাড়াতেই ধৃত শঙ্কর আঢ্যের কোম্পানির সূত্র ধরেই সামনে এসেছিল তার ম্যানেজার ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের নাম। আপাতত ইডি হেফাজতেই ঠাঁই হয়েছে ব্যবসায়ীর। মঙ্গলবার হেফাজত শেষে ফের আদালতে পেশ ধৃত বিশ্বজিৎ দাসকে।

সূত্রের খবর, দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে ধৃত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। মূলত ইডি গোয়েন্দামহলের দাবি, তদন্তে অসহযোগিতা করছে বিশ্বজিৎ দাস। মানি এক্সচেঞ্জিং, আমদানি-রপ্তানি সহ সোনার গয়নার ব্যবসা রয়েছে বিশ্বজিতের। দুর্নীতির কালো টাকাও, ধৃত বিশ্বজিৎ দাসের মাধ্যমেই দুবাই সহ বিভিন্ন দেশের পাচার করা হত বলে ইডি সূত্রে খবর। কিন্তু তাঁর এই দুর্নীতির কারবারের সঙ্গে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যোগাযোগ রয়েছে কি? ব্যবসায় কোনওভাবে কি মন্ত্রী টাকা লেনদেন করেছিলেন? ইডির প্রশ্ন কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস। এমনকি শেখ শাহজাহানের প্রসঙ্গ উঠলেও নীরব থাকতে দেখা গিয়েছে বিশ্বজিতকে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বজিতের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ইডির আধিকারিকরা উদ্ধার করেছিলেন হাওয়ালা সংক্রান্ত বিপুল নথি। প্রমাণ মিলেছিল তারা নানাবিধ অসাধু কারবারের।২০১৬-২০১৭ এর মধ্যে দুবাইতে বিশ্বজিতের ৩টি কোম্পানির হদিসও পেয়েছিল ইডি। যাবতীয় প্রমাণ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে আসার পরও বিশ্বজিৎ দাসের নিজেকে বার বার নির্দোষ দাবি করার মরিয়া চেষ্টা আদতে যে ধোপে টিকবে না তা সহজেই অনুমেয়। আগামীদিনে ইডির প্রশ্নবাণে ধৃত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত নতুন কোনও তথ্যের সন্ধান মেলে কিনা এখন সেটাই দেখার।

4 weeks ago


ED: দুর্নীতির 'মাধ্যম' শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর এক্সপোর্ট সংস্থা, সিজিওতে হাজিরা অরুণ সেনগুপ্তের

রেশন বন্টনে দুর্নীতির সূত্র ধরে একের পর এক রাঘব বোয়ালের নাম উঠে আসছে ইডির হাতে। সেই দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে আসে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশাহ শাহজাহান। সময় যত এগিয়েছে ততই তার একের পর এক অপকর্ম প্রকাশ্যে এসেছে। ইডির স্ক্যানারে এসেছে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ীও। তল্লাশি হয়েছিল শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়িতেও। ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্তের বিরাটির বাড়ি ও ফার্মেও হানা দেয় ইডি। খোঁজ মেলে ব্যবসায়ীর নিজস্ব এক্সপোর্ট সংস্থা ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানির। দুর্নীতির তদন্তের খাতিরে আজ, মঙ্গলবার ইডি দফতরে এলেন অরুণ সেনগুপ্ত। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি বিশেষ করে মাছ বিক্রির বিল সহ ব্যাঙ্কের একাধিক নথি নিয়ে হাজিরা দেন তিনি। সোমবার তলব করা হলেও এদিন অরুণ তনয়া ও ব্যবসায়ীর আইনজীবী উপস্থিত হন ইডি দফতরে।

তদন্তে জানা গিয়েছিল, ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানির কর্ণধার অরুণ সেনগুপ্ত। এই কোম্পানি মূলত চিংড়ি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত। ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানি মারফত বাইরের দেশে ব্যাবসায়ীর মাছ ব্যবসার মাধ্যমেই টাকা পাচার করা হত বলে সূত্রের খবর।অরুণ সেনগুপ্তের বাড়িতে ইডির তল্লাশিতে বিদেশে মাছ চালানোর কিছু বিল হাতে এসে পৌঁছলেও সম্পূর্ণ তথ্য প্রমাণ এখনও হাতে পায়নি তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

আপাতত শেখ শাহজাহানের সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর কবে থেকে সম্পর্ক? রেশন দুর্নীতির কালো টাকা কোনওভাবে এই ব্যবসায় ব্যবহার করা হয়েছে কিনা? সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন ইডি আধিকারিকরা, এমনটাই সূত্রের খবর। সপ্তাহের শুরুতেই এবার রেশন দুর্নীতির এই রহস্য কোন দিকে মোড় নেই সেটাই দেখার।

4 weeks ago
Shankar Adhya: 'বালু-বিশ্বজিৎকে চিনি না', চিকিৎসার জন্য কাতর আবেদন শঙ্করের

রেশন বন্টন দুর্নীতির তদন্তে নেমে বাকিবুর ও বালুর সূত্র ধরে ইডির জালে ধরা পড়েছিল দাপুটে রাঘব বোয়াল বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য। আর্থিক দুর্নীতি, বিদেশে মুদ্রা পাচার-সহ পরিবারের নামে একাধিক কোম্পানি এমনকি নিজের নামেও একাধিক FFMC কোম্পানি, সবেতেই যে দুর্নীতির কাণ্ডারি শঙ্কর, সেই তথ্যের সন্ধান মিলেছিল ইডির তল্লাশিতে। ইডির হাতে এসেছিল শঙ্করের ফরেন মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির খোঁজও। শঙ্কর ও তাঁর পুত্র শুভ আঢ্যের বিদেশি কোম্পানির হদিশও পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহল।

ইতিমধ্যেই, শুক্রবার নগর দায়রা আদালতে পেশ করা হয়েছে রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে। শনিবার ধৃত বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর মামলা কলকাতার নগর দায়রা আদালতে পেশ করা হয়। আলিপুর সংশোধনাগার থেকে ধৃত শঙ্কর আঢ্যকে আদালতে নিয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বা বিশ্বজিৎ দাসকে চেনেন না, এমনই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন।

সাংবাদিক শঙ্কর আঢ্যকে প্রশ্ন করেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কালো টাকা বিশ্বজিৎ দাসের হাত ঘুরে আপনার কোম্পানিতে আসতো? শঙ্করের সাফ জবাব, 'চিনি না... আমি এদের কাউকেই চিনি না।'

এদিন ইডির বিশেষ আদালতে শঙ্কর আঢ্যের মামলা চলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক শুভেন্দু সাহার অধীনে। শঙ্করের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী জাকির হুসেন এবং আইনজীবী শ্যামল ঘোষ। পাশাপাশি ইডির তরফে ছিলেন আইনজীবী ভাস্কর প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, এদিন শঙ্কর আঢ্যর আইনজীবী, আদালতে সিজার লিস্ট এবং কেস ডাইরির আবেদন জানান। কোনও জামিনের আবেদন করা হয়নি শঙ্কর আঢ্যর আইনজীবীর তরফে। অন্যদিকে ইডির তরফে শঙ্কর আঢ্যর জেল হেফাজতের জন্য আবেদন করা হয়েছে আদালতে। তবে শনিবার আদালতে বিচারকের কাছে কাতর আবেদন ধৃত শঙ্কর আঢ্যর।

এখন গরিবের অন্ন নিয়ে ঠিক কত পরিমাণ দুর্নীতিতে মজেছিলেন শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকু? তা জানার অপেক্ষাতেই বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহল।

a month ago
Ration Scam: 'আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে'! চাঞ্চল্যকর দাবি রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত বিশ্বজিতের

সম্প্রতি রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্কর আঢ্যের কোম্পানির সূত্র ধরে ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের বাড়িতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর অবশেষে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার পৰ্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ ছিল তাঁর। এদিন যখন তাঁকে আদালতে তোলার জন্য বের করা হয় তখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তিনি জানান, 'আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে।'

যদিও, ১৪ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হওয়া বিশ্বজিতের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ইডির আধিকারিকরা উদ্ধার করেছিলেন হাওয়ালা সংক্রান্ত বিপুল নথি। শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীর বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসা রয়েছে, পাশাপাশি, এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট-এর ব্যবসাও রয়েছে তাঁর। বিশ্বজিতের অফিসে কর্মরত কর্মীর বয়ান থেকেও জানা যায়, হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিশ্বজিৎ। শুধু বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচাই নয়, শঙ্কর আঢ্যর কথামতো বাইরের দেশে ঘুরপথে কালো টাকাকে সাদা করার কাজও করতেন বিশ্বজিৎ দাস।

আর শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে যাওয়ার আগেও সেই বিশ্বজিৎ বলছেন, তিনি অন্যায় করেননি। গত বুধবার যখন গ্রেফতারির পর তাঁকে আদালতে তোলা হয় বলেছিলেন, তিনি শঙ্করকে চেনেন না। শুক্রবার তিনিই বললেন, শঙ্করকে তিনি চেনেন, কিন্তু ঘনিষ্ঠতা নেই তেমন।  ফলে বক্তব্যে অসঙ্গতি ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে বিশ্বজিতের। এখন দেখার, বিশ্বজিতের সূত্র ধরে আরও কোনও রাঘব বোয়ালের নাম গরুবের চাল চুরির কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে উঠে আসে কি না।

a month ago


ED Raid: সাতসকালে রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযান ইডির, সল্টলেক সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি

রেশন দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের তেড়ে ফুঁড়ে উঠেছে ইডি। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। গত কয়েকদিনের তদন্তে বেশ কিছু নতুন তথ্য হাতে আসে ইডির হাতে। তারপরেই এই তল্লাশি অভিযান বলে জানা গিয়েছে। কীভাবে টাকা পাচার করা হয়েছে, কোন কোন ফরেন এক্সচেঞ্জ সংস্থা যুক্ত রয়েছে তা নিয়ে খোঁজ খবর করছে ইডি।

এদিন বিধাননগর আইবি ব্লকে বিশ্বজিৎ দাসের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সকাল সাতটা কুড়ি মিনিট নাগাদ ইডি আধিকারিকের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এসে পৌঁছয় মেট্রোপলিটনে বিশ্বজিৎ দাসের ফ্ল্যাটে। বিশ্বজিৎ দাসের যে ফ্ল্যাটে প্রথমে সকালবেলা আধিকারিকরা গিয়েছিলেন ওই ফ্ল্যাটটি মূলত ভাড়া দেওয়া। মেট্রোপলিটনের সেই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে পাশেই আরও একটি ফ্ল্যাটে এলেন আধিকারিকরা। সেই ফ্ল্যাটে বিশ্বজিৎ না থাকলেও তাঁর বাড়ির কর্মীরা রয়েছে, ফলে তাঁদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন আধিকারিকরা। ইডি আধিকারিকদের অনুমান, যেহেতু শঙ্কর আঢ্য এবং বিশ্বজিৎ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল, ফলে রেশন বন্টন দুর্নীতির ক্ষেত্রে যে ১০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই বিশ্বজিৎ-এর ফরেক্স কোম্পানির।

এদিন ইডির আধিকারিকরা বিধাননগর ছাড়াও মেট্রোপলিটন, মধ্য কলকাতা, পোর্ট, বাগুইআটি এলাকায় তল্লাশি চালায়। উল্লেখ করা যেতে পারে, ইডির আধিকারিকরা এর মধ্যে জেল হেফাজতে থাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং শঙ্কর আঢ্যকেও জেরা করেন এবং তাদের হাতে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করেন।

2 months ago
Ration Scam: বাগুইআটিতে বড়ঞা কাণ্ডের ছায়া, ইডি আসতেই জীবনকৃষ্ণের মতোই মোবাইল ছুড়ে ফেললেন ব্যবসায়ী

রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ফের 'অ্যাকশন মোডে' ইডি। শহরের একাধিক জায়গায় সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। বাগুইআটিতে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডি ঢুকতেই একেবারে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের মতো মোবাইল ছুঁড়ে দিলেন পাশের ফ্ল্যাটের ছাদে। পাঁচিল টপকে মোবাইল উদ্ধার করলেন ইডি আধিকারিকরা।

কয়েকমাস আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল ইডি। সেসময় বিধায়ক প্রমাণ লোপাট করতে তাঁর মোবাইলটি বাড়ির পুকুরে জলে ফেলে দিয়েছিলেন। ইডিও নাছোড়, সেই মোবাইলটি পুকুর থেকে খুঁজে বের করে আনে। প্রমাণ লোপাট করতেই বিধায়ক মোবাইলটি জলে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন বলে দাবি করেছিল ইডি।

যদিও মোবাইল জলে ফেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ইডির হতে গ্রেফতার হতে জয়েছিল বিধায়ককে। এবার রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। কৈখালির এক অভিজাত আবাসনে তল্লাশি অভিযানে যান ইডি আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, বাকিবুরের নামে ওই ফ্ল্যাট। কিন্তু বাকিবুর নয়, এই ফ্ল্যাটে থাকেন ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হানিস তোসিবাল। ইডি ফ্ল্যাটে ঢুকতেই ব্যবসায়ী তাঁর মোবাইল ফোনটি ছুঁড়ে ফেলে দেন। সেই মোবাইলদুটিই উদ্ধার করেছে ইডি। তার একটির ব্যাক কভারে ৫০০ টাকা নোট ছিল বলে জানা গিয়েছে। মোবাইলটি উঁচু থেকে ছুঁড়ে ফেলতেই ব্যাক কভারটি খুলে ৫০০ টাকার নোটটি বেরিয়ে এসেছিল। সেটিও উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। ব্যবসায়ীর কীর্তি দেখে ইডি দাবি করেছে তথ্য লোপাট করতেই তিনি মোবাইলটি ফেলে দিয়েছেন। কলকাতা শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায়ও একযোগে চলছে তল্লাশি।

বাগুইআটি ছাড়াও নিউআলিপুরের একটি বহুতলে এবং সল্টলেকের আইবি ব্লকে চলছে ইডি অভিযান। ইডির ৮ থেকে ১০টি টিম এখন শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। ৮ নম্বর সদরস্ট্রিটের একটি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের অফিসেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। এছাড়া পার্কস্ট্রিটেও একটি বাড়িতে চলছে ইডি অভিযান।

2 months ago