
এই রোদ, এই আবার মেঘলা আকাশ। কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে (Rain) ভিজেছে মহানগরী (Kolkata)। তবুও বজায় রয়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি (Weather Update)। গরম থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না শহরবাসী। আপাতত ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) পূর্বাভাস নেই বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতররের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে মঙ্গলবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। শনিবার যা ছিল ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৭৪ শতাংশ। রবিবারের মতো সোমবারও একই পরিস্থিতি থাকবে বঙ্গে। আপাতত কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মঙ্গলবার উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন এলাকায় নতুন করে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভবনার কথা বলেছে হাওয়া অফিস।
অন্যদিকে, রবিবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। সোমবারেও একই পরিস্থিতি থাকবে বলে পূর্বাভাস।
রবিবার কলোম্বোতে ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ। এশিয়া কাপের আয়োজকদের চিন্তা এই ম্যাচে বৃষ্টি। আগেই আবহাওয়ার রিপোর্ট বলছে, বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তাই আগেই রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে সোমবার। তবু বৃষ্টি হলে আশাভঙ্গ হবে ক্রিকেটপ্রেমীদের।
শ্রীলঙ্কার আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, রবিবার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে কলোম্বোতে। দুপুর ৩টে থেকে ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা। বৃষ্টির সম্ভাবনা ৮৫ শতাংশ। দুপুর৩টেয় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯৪ শতাংশ। তবে বিকেলের পর বৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমবে। ম্যাচের সময়টুকু টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছেই।
গত ম্যাচে ভারত ব্যাট করলেও বৃষ্টিতে শুরু করা যায়নি দ্বিতীয় ইনিংস।
দফায় দফায় বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরম। শনিবার সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি (Rain) হলেও বৃষ্টির পরিমাণ কমবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সম্ভাবনা না থাকলেও উত্তরবঙ্গের (North Bengal) দুই জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে। পাশপাশি আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বজায় থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার দার্জিলিং, কালিম্পং-এ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রবিবারে সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে।
দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সবকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রা বৃদ্ধিরও কোনও পূর্বাভাস নেই।
কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় দু-ওক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। শনিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৯০ শতাংশ।
রাত থেকেই টানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে। আজও শুক্রবার কলকাতা (Kolkata) সহ শহরতলির একাধিক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। শনিবার থেকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে চলেছে। দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস জারি করেছে মৌসম ভবন।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। শনিবার জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন থেকে পরবর্তী দু থেকে তিন দিনে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলায়ও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই।
শুক্রবারও কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
নিম্নচাপের জেরে টানা কয়েকদিন ধরে কলকাতা (Kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি (Rain) হয়ে চলেছে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে কমবে বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ শক্তি হারিয়েছে। এরফলেই দক্ষিণের জেলাগুলিতে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। যদিও তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস জারি করেছে মৌসম ভবন।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রারও বড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী ৪-৫ দিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে। মূলত বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হবে। সঙ্গে তাপমাত্রাও বাড়বে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩২ ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। বুধবার যা ছিল ২৭.৬ ডিগ্রি সেলয়িসায়। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৩ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৭০ শতাংশ।
কখনও রোদ, কখনও আংশিক মেঘলা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছিল নিম্নচাপ (Weather Update)। তার প্রভাব পড়েছে বাংলায় (Bengal)। এরফলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবারেও জেলাগুলিতে একই পরিস্থিতি অর্থাৎ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রারও বড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে বজ্রপাত-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে।
মৌসম ভবন সূত্রে আরও খবর, কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩২ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৬ ডিগ্রি সেলয়িসায়। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার যা ছিল ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৭৩ শতাংশ।
মঙ্গলবার ভোর থেকেই ঝেঁপে বৃষ্টি শহর কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়। সোমবার থেকে বৃষ্টির জেরে শহর কলকাতায় বহু জায়গায় রাস্তায় জল জমেছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায়। ওদিকে উত্তরবঙ্গের বেশকিছু জেলায় সামান্য বৃষ্টিপাত হবে বলেই সূত্রের খবর।
সোমবারের মতই মঙ্গলবারও কলকাতাবাসীর দিন শুরু হল বৃষ্টি দিয়ে। দিনের অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘলা থাকবে বলছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ওদিকে কখনও বৃষ্টিরও দেখা মিলবে বলেই সূত্রের খবর।
বাংলার উপকূলীয় এলাকাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত আগামী কয়েকদিন চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তার জেরে সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে পর্যটকদের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাতের জেরে ইতিমধ্যেই কলকাতায় গত ৩ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। ওদিকে একই বৃষ্টির জেরে উড়িষ্যায় বজ্রপাতের জেরে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেপ্টম্বরের শুরুতেই জোড়া ঘূর্ণাবর্তের ধাক্কায় রাতারাতি বদলেছে বাংলা বিশেষত দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া।
সকাল হতেই আকাশ কালো করে বৃষ্টি (Rain)। সঙ্গে মেঘের গর্জন। যার জেরে কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় জল জমে যায়। আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) তরফে সকালেই ১১ টি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। সঙ্গে বজ্রপাতেরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সোমবার বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, নদিয়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। সোমবার সেখানেই আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। মঙ্গলবারের মধ্যে ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। আর এই জোড়া ঘূর্ণাবর্ত থেকে উপকূলের জেলাগুলিতে বদ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। সোমবারের পাশাপাশি মঙ্গলবারও জেলাগুলিতে একই পরিস্থিতি অর্থাৎ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার সকালে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় কয়েক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। রবিবার যা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৬৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৯.৪ মিমি।
পাওয়ার ব্লকিংয়ের কাজ। রবিবার হাওড়া মেন ও কর্ড লাইনে বাতিল বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন। সেপ্টেম্বরের প্রথম রবিবার, পুজোর মার্কেটিংয়ে বেরিয়ে নাকাল যাত্রীরা।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, রবিবার সকাল থেকেই হাওড়া-বর্ধমান, হাওড়া-ব্যান্ডেল ও হাওড়া নৈহাটি শাখার একাধিক ট্রেন দেরি করে ছেড়েছে। অফিসের চাপ না থাকলেও, ছুটির দিন কলকাতায় মার্কেটিং করতে আসেন অনেকেই। ব্যবসায়ীরাও নিজেদের প্রয়োজনে শহরে আসেন। তাই সংস্কারের জেরে বিপদে পড়েন একাধিক নিত্যযাত্রী।
পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রেললাইন, সিগন্যাল ও ওভারহেড ইলেকট্রিফিকেশনের পর্যায়ক্রমিক কাজ হচ্ছে। ভবিষ্যতে সুষ্ঠু পরিষেবার জন্য এই সংস্কার করা হচ্ছে।
সকাল থেকে বজায় রয়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি (Weather Update)। তবে রোদের দাপট কিছুটা কমেছে কলকাতা (Kolkata) সহ আশেপাশের এলাকায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে নেই বৃষ্টির পূর্বাভাস।
আবহাওয়া দফতরের পূর্ভাবাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে। আগামী দিন তিনেক তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা হ্রাস হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়ার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌসম ভবন সূত্রে আরও খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টা কলকাতা ও আশেপাশের আকাশ মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় কয়েক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩২ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। শনিবার যা ছিল ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৬৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২২.২ মিমি।
উড়িষ্যার ছয় জেলায় বজ্রপাত হয়ে মৃত্যু হল অন্তত ১০ জনের। শনিবার তুমুল বজ্রবিদ্যুত সহ ভারী বৃষ্টিপাত হয় উড়িষ্যায়। মৃত দশজনের মধ্যে চারজন খুরদার, দু'জন বোলানগিরের। আঙ্গুল, বাউধ এবং জগতসিংপুরের একজন করে মোট তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। খুরদায় আরও তিনজন জখম হয়েছেন।
আগামী চারদিনে উড়িষ্যার উপকূলীয় অঞ্চলে একই রকম দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শনিবার বিকেলে দেড় ঘণ্টার মধ্যে ভুবনেশ্বরে ১২৬ মিলিমিটার এবং কটকে ৯৫.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
ওদিকে শনিবার প্রবল বৃষ্টিতে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে শহর কলকাতায়। সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার রিজেন্ট পার্কের আনন্দপল্লিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃষ্টির সময় ছাদে ছিলেন ওই যুবক। সেই সময়ই বাজ পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। শনিবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়। রিজেন্ট পার্কে মৃত যুবকের নাম কৌশিক কর।
সকাল থেকে রোদের দাপট। তার উপর আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি গোটা রাজ্যজুড়ে (Bengal)। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত এই পরিস্থিতি চলতে থাকবে। রবিবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন (Weather Update) হতে পারে। উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুজায়ই, শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। শনিবারেও জেলাগুলিতে একই আবহাওয়া থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত কোথাও কোনও রকমের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ শুক্রবারও আংশিক মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এহং সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। এছাড়া আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে। এছাড়া সোমবার একটি নতুন ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। এরফলে রবিবার উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
নেই স্বস্তির বৃষ্টির (Rain) দেখা। তীব্র গরমে নাজেহাল কলকাতাবাসী (Kolkata)। সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বজায় রয়েছে। এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Update)। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস আপাতত নেই। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ও ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। বুধবার যা ছিল ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯১ শতাংশ আর সর্বনিম্ন ৫৬ শতাংশ।
বুধবার রাখির দিন সকাল থেকেই মুখ ভার আকাশের। কখনও রোদ কখনও বৃষ্টি। আবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে গরমের তাপমাত্রা। কয়েকদিনের এই খামখেয়ালী আবহাওয়ার দরুণ ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েই চলেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন দিনভর শহরজুড়ে আকাশ মেঘলা থাকলেও আপাতত আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থেকে রেহাই নেই কলকাতাবাসীর। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। এবং সর্বাধিক আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকবে ৯১ শতাংশের আশাপাশে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ অর্থাত্ বুধবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। পাশাপাশি ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি না হলেও, অপরদিকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সেই সময়ে অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়ার যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্য়দিকে বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, কালিম্পঙ এই পাঁচ জেলায় রয়েছে বজ্রবিদুত্ সহ মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। দার্জিলিং ও কালিম্পঙ এই দুই জেলায় হতে পারে ভারী বৃষ্টি। তবে শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গে কমতে পারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
মাঝরাতে ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। ওভারহেডের একটি তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। মধ্যরাতে বহু স্টেশনে আটকে পড়ে একাধিক ট্রেন। চরম দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, ব্যান্ডেল ও বাঁশবেড়িয়া স্টেশনের মাঝে একটি রেলগেটের কাছে রাত ন’টা নাগাদ হাই টেনশনের তার ছিঁড়ে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আপ এবং ডাউন লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে বহু ট্রেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেলের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও রেলের কর্মীরা । তার মেরামতের কাজ শুরু করে দেন তাঁরা।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বর্তমানে ওই শাখায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে, পাশাপাশি কাকভরে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ শেষ করা যায়নি। যার ফলে মাঝরাত পর্যন্ত বহু ট্রেন আটকে ছিল।