দিনের আলোয় প্রকাশ্যে ঘটে গেল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ঘুমন্ত শিশুর (Child) উপর দিয়ে চলে গেল চার চাকার (Car) গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সেই একরত্তির। সেই দৃশ্যই সিসিটিভির (CCTV) ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে, তার বয়স ছিল মাত্র তিন বছর।
সূত্রের খবর, হায়াতনগরের লেকচারার কলোনিতে একটি ফ্ল্যাটের নীচে গ্যারাজের এক কোণায় ঘুমিয়েছিল একরত্তিটি। এরপর গ্যারাজে গাড়ি দাঁড় করানোর সময় তাকে পিষে দেয় চারচাকা। গোটা ঘটনাটি ধরা পড়ে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজে। পুলিস সূত্রে খবর, ২২ বছর বয়সী কবিতা নামে এক মহিলার থেকে অভিযোগ এসেছে যে, তাঁর সন্তানকে পিষে দিয়ে চলে গিয়েছে এসইউভি গাড়িটি।
তিনি জানিয়েছেন, তিনি কাজের খোঁজে সেই এলাকায় বুধবার সকাল ৮ টায় গিয়েছিলেন। সেখানে কাজ করার পর দুপুর ২ টো নাগাদ তিনি তাঁর দুই ছেলে-মেয়ের সঙ্গে দুপুরের খাবারও খেয়েছেন। এরপর তাঁর মেয়ে লক্ষ্মী প্রখর রোদের ফলে পাশের বালাজি আর্কেড অ্যাপার্টমেন্টের গ্যারেজে এক কোণায় গিয়ে শুয়ে পড়ে। এরপর ৩ টা নাগাদ একটি এসইউভি গাড়ি গ্যারেজে প্রবেশ করে ও লক্ষ্মীর মাথার উপর দিয়ে পিষে চলে যায়। আর সেখানেই মৃত্যু হয় তার। এখন প্রশ্ন উঠছে, দিনের বেলাতেও গাড়ির চালক বাচ্চাটিকে দেখতে পেলেন না? এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ও পুলিস এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
তাসের ঘরের মতো আচমকা ভেঙে পড়ল দ্বিতল পার্কিং গ্যারেজের (Parking garage) ছাদ। প্রথম তলের ছাদটি আগে ভেঙে পড়ে। এরপর হুড়মুড়িয়ে পড়ে গেল একের পর এক গাড়ি। বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নিউ ইয়র্কের (New York) ম্যানাহাটনে। ঘটনার সময় গ্যারেজে উপস্থিত ছিলেন অনেকে। মৃত্যু (Death) হয়েছে ১ জনের, আহত হয়েছেন ৫ জন।
জানা গিয়েছে, ওই গ্যারেজে ছিল দামি-বিলাসবহুল বহু এসইউভি গাড়ি। যা একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। গোটা ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গ্যারাজের ছাদের অর্ধেক অংশ ভাঙা। একটা গাড়ির উপর পড়ে রয়েছে একাধিক গাড়ি। সব গাড়ি একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। মনে হবে যেন, খেলনা গাড়ি একটার উপর আরেকটা জড়ো হয়ে পড়ে।
তবে ভূমিকম্প, ঝড়-বৃষ্টি ছাড়া হঠাৎ কীভাবে গ্যারাজের ছাদটি ভেঙে পড়েছে, তা স্পষ্ট নয়। ঢালাই দুর্বল হওয়ার জন্য এরকম হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান। তবে কারণ যা-ই হোক, গোটা ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “যেন মনে হল পৃথিবীটা খুলে গেল। তারপর গ্যারাজের ভিতর একটা গাড়ির উপর আরেকটা গাড়ি এসে পড়ল।”
Due to an emergency response to a structural collapse, please avoid the area of Ann Street, between Nassau Street & William Street in lower Manhattan. pic.twitter.com/V3KxNZGXbt
— NYC Mayor's Office (@NYCMayorsOffice) April 18, 2023
পুলিস জানিয়েছে, বিকেল ৪টে নাগাদ গ্যারাজের ঢালাই ছাদ সহ বহুতলটির বাঁদিকটি ভেঙে পড়েছে। ঘটনায় সেখানে উপস্থিত ৬ জন গুরুতর আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে একজনের মৃত্যু হয় এবং বাকি ৫ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পার্কিং-ফি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) বিরুদ্ধে বিতর্ক চরমে ওঠে। শুক্রবার অর্থাৎ ‘গুড ফ্রাইডে’র ছুটির দিনেই নতুন নির্দেশিকা দিল কলকাতা পুরসভা। শুক্রবার রাতেই বর্ধিত পার্কিং-ফি (ParkingFee) প্রত্যাহারের নির্দেশিকা (Notice) জারি হয়েছে। রাত ৯টা নাগাদ পুরসভার তরফে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত পুরনো পার্কিং ফি-ই বহাল থাকবে।
গত ১ এপ্রিল থেকে কলকাতা পুর এলাকায় মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন গাড়ির পার্কিং-ফি বাড়ায় কলকাতা পুরসভা। এই মর্মে নির্দেশিকার পরে শুরু হয় বিতর্ক। দলের অন্দরে গুঞ্জন দানা বাঁধে। প্রশ্ন ওঠে এই ফি বৃদ্ধির ব্যাপারটি মুখ্যমন্ত্রী জানেন কিনা! প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল দলেরই মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষ জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ব্যতিরেকেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুরসভা এলাকায় রাস্তার পার্কিং-ফি বৃদ্ধি করেছেন। এই বক্তব্যের পরেই চাপে পড়েন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বিষয়টি নিয়ে শাসকদলের অন্দরে চাপানউতোর শুরু হতেই শুক্রবার ফিরহাদ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বললে পার্কিং ফি বাড়ানোর নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেব। তবে এটা সাংবাদিক বৈঠক ডেকে প্রকাশ্যে না বলে দলের ভিতরে বললেও হত!’ অন্যদিকে, দলের মুখপাত্র কুণাল সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অগোচরে’ পার্কিং ফি বাড়ানো হয়েছিল। তিনি কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন ওই বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করে পুরনো হারেই পার্কিং ফি নিতে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী নাগরিকদের উপর ‘বাড়তি বোঝা’ চাপাতে চান না।
স্কুটি রাখাকে (Scooty Parking) কেন্দ্র করে বিবাদ, স্কুটি সরানো ঘিরে কথা কাটাকাটি থেকে সোজা খুনের চেষ্টা এক যুবককে। নরেন্দ্রপুরের এই ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাশদ্রোণীর যুবক (Youth Attack) প্রসেনজিৎ সর্দার। অভিযুক্ত বাপ্পা মণ্ডলকে গ্রেফতার করে বারুইপুর আদালতে (Baruipur Court) তোলে পুলিস। জানা গিয়েছে, ডেকরেটার্সের ব্যবসায়ী আক্রান্ত যুবক। রাস্তার পাশে স্কুটি রাখাকে কেন্দ্র করেই রক্তারক্তি কাণ্ড। ব্যবসার কাজে নরেন্দ্রপুরের রানীয়ায় এসেছিলেন প্রসেনজিৎ। রাস্তার পাশে স্কুটি রেখেই তিনি কাজে যান।
এই স্কুটি রাখা ঘিরে বচসায় জড়িয়ে পড়েন মদ্যপ বাপ্পা। পাশে একটি দোকান থেকে ধারালো অস্ত্র এনে প্রসেনজিতের মুখে বসিয়ে দেন অভিযুক্ত। স্থানীয়রাই ধরে ফেলেন বাপ্পাকে। এরপর তুলে দেওয়া নরেন্দ্রপুর থানার হাতে। তাঁকে গ্রেফতার করে আইপিসির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আক্রান্ত যুবকের এক বন্ধু জানান, 'ঝামেলা মেটাতে চাইলেও অভিযুক্তকে কিছুতেই শান্ত করা যায়নি। ফলে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।' প্রসেনজিতের পরিবারে দাবি, 'অভিযুক্ত বাপ্পাকে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হোক।'
গাড়ি পার্কিং (Car Parking) নিয়ে শুরু হয় বচসা। তারপর পরিস্থিতি এতটাই খারাপের দিকে এগোয়, যে শুরু হয় হাতাহাতি। সেখান থেকে চলে গুলিও। যার জেরে দু'জনের মৃত্যু (Death) হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনায় আহত ৫ জন। উত্তেজিত জনতা গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। একেবারে রণক্ষেত্রে পরিণত বিহারের (Bihar) পাটনার (Patna) জেঠুলী গ্রাম।
জানা গিয়েছে, রবিবারের এই ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে পাটনা মেডিকেল কলেজ এবং নালন্দা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিস এই ঘটনায় গ্রামের প্রধান-সহ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে পাটনার পুলিস সুপার জানিয়েছেন, 'দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গাড়ি পার্কিং নিয়ে ঝামেলা বাঁধে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সংঘর্ষ অচিরেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। মোট পাঁচ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পুলিস জেঠুলীতে ক্যাম্প করবে।' তিনি আরও জানিয়েছেন, এক পুলি্স আধিকারিকের সামনেই গুলি চালানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পানাগড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে (Panagarh Industrial Park) এক ব্যক্তির মৃত্যুতে (death) উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকারই এক বেসরকারি সিমেন্ট কারখানার (cement factory) গেটের সামনে। অভিযোগ ওঠে, বেআইনি পার্কিংয়ের (Illegal parking)। মঙ্গলবার মৃতদেহ (deadbody) ফেলে রেখেই চলে বিক্ষোভ।
স্থানীয়রা জানায়, বেসরকারি সিমেন্ট কারখানার গেটের সামনে একটি গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা ছিল। সেখানে কোনও গাড়ির চাকায় পৃষ্ট হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা মৃতদেহ দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি বুদবুদ থানায় খবর দেয়। বুদবুদ থানার পুলিস রাতেই মৃতদেহ উদ্ধার করতে আসলে পানাগড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বেসরকারি সিমেন্ট কারখানার গেটের সামনে গ্রামবাসীদের না জানিয়েই বেআইনিভাবে পার্কিং গড়ে তোলা হয়েছে। একাধিকবার এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কারখানা কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও অভিযোগ, মঙ্গলবার বিক্ষোভ চলাকালীনই ওই কারখানার নিরাপত্তারক্ষীরা আচমকা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। আহত হন গোটা গ্রামের বেশ কয়েকজন মানুষ।
প্রথমে মৃতের নাম পরিচয় জানা না গেলেও পরে পুলিসের তত্পরতায় মৃতের পরিচয় জেনে পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তবে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বুদবুদ থানার বিশাল পুলিসবাহিনী।
গাড়ি পার্কিং (Car Parking) করা নিয়ে বচসা, আর যার জেরে উত্তেজনা ছড়াল নেতাজি নগর (Netaji Nagar) থানা এলাকায়। সূত্রের খবর, বাঘাযতীনে রাস্তার উপর গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে প্রথমে এক মহিলার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় এক ব্যক্তির এবং পরে যা চরম বচসা পর্যন্ত গড়ায়। এমনকি মারধর ও অশ্রাব্য গালিগালাজ তো বটেই, সেই সঙ্গে শ্লীলতাহানির (Molestration) অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত মহিলা এলাকারই এক চিকিৎসকের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে পার্কিং করা নিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে তুমুল ঝামেলা হয় তাঁর। মানসিক ও শারীরিক ভাবে আক্রমণের পর ভয় পেয়ে নিজের গাড়িতে উঠে দরজা লোক করে দেন মহিলা। কিন্তু তাতেও মেলেনি সুরাহা। এরপর নাকি রাস্তায় রাখা ম্যাটাডোর নিয়ে তাঁর গাড়িকে বারবার ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে এতকিছু ঘটনার পরেও উঠেছে পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। সেই রাতেই তৎক্ষণাৎ পাটুলি থানায় গেলেও অন্য এলাকার অজুহাত দেখিয়ে নাকি মহিলার অভিযোগই নিতে চাননি কর্তব্যরত পুলিস বলে অভিযোগ আক্রান্তের।
এরপর শেষমেষ নেতাজি নগর থানায় দায়ের করা হয় অভিযোগ। থানায় এফআইআর করার পরেও অভিযুক্ত ব্যক্তি দিব্য এলাকায় খোলা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, পুলিসের সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির ভাল যোগসাজশ বলেও অভিযোগ করেছেন মহিলা। তাঁর দাবি, 'চিকিৎসক স্বামী কর্মসূত্রে ফ্রান্সে রয়েছেন। আর এই ধরনের ঘটনায় তিনি যথেষ্ট আতঙ্কিত।'
অবশ্য আইনি নোটিস পেয়ে অভিযুক্ত না এলে পরবর্তী পদক্ষেপের কথা ভাবা হবে, বলে জানিয়েছে পুলিস। তবে এও জানা গিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে খবর স্থানীয় সূত্রে।