অবশেষে জট কাটিয়ে শপথ নিতে চলেছেন ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়। আজ অর্থাৎ শনিবার বিকেল সাড়ে চারটেয় নির্মলচন্দ্রকে শপথগ্রহণ করাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু এতেও মিটেছে না রাজ্য-রাজ্যপাল বিতর্ক। সূত্রের খবর, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকছেন না স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তার পরিবর্তে উপস্থিত থাকতে পারেন বিধানসভায় শাসকদলের উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়। ৮ সেপ্টেম্বর নির্মলচন্দ্র ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ী হন। কিন্তু আটকে ছিল তাঁর শপথগ্রহণ। গত শনিবার নির্মলচন্দ্রকে শপথগ্রহণ করাতে চেয়ে তাঁর ধূপগুড়ির বাড়িতে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল রাজভবনের তরফে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিষদীয় দফতর সেই শপথগ্রহণের অনুমোদন না দেওয়ায় নতুন বিধায়কের শপথ আটকে যায়।
তার পরেও রাজ্যপাল স্বয়ং তফসিলি বিধায়ককে শপথগ্রহণ করাতে চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দেন। বিধানসভা সূত্রে খবর, রাজভবনের দরজা সব সম্প্রদায়ের জন্য খোলা, জনমানসে সেই বার্তা দিতেই তফসিলি বিধায়ককে রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করাতে চেযেছিলেন তিনি। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে পাল্টা চিঠিতে লেখেন, ‘‘বিধানসভায় সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি উপস্থিত রয়েছেন। তাই প্রয়োজনে আপনি বিধানসভায় এসে ধূপগুড়ির বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করিয়ে যান।’’ যদিও এই পর্বে পরিষদীয় দফতরও চেয়েছিল উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়ককে বিধানসভাতেই শপথগ্রহণ করান স্পিকার। নিজেদের সেই মনোভাবের কথা রাজভবনকেও বুঝিয়ে দিয়েছিল পরিষদীয় দফতর।
কিন্তু শেষমেশ বৃহস্পতিবার রাজভবন সূত্রে জানা যায়, রাজ্যপাল নিজেই ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ককে শপথগ্রহণ করাবেন।
মাদক মামলায় (Drug Case) গ্রেফতার কংগ্রেস বিধায়ক (Congress MLA) সুখপাল সিং খইরা (Sukhpal Singh Khaira)। বৃহস্পতিবার সকালে চণ্ডিগড়ের সেক্টর ৫-এর বাংলোতে তল্লাশি অভিযান চালানোর পর তাঁকে আজ গ্রেফতার করে পঞ্জাব পুলিস। জানা গিয়েছে, পুরনো এক মাদক মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে আগেই নারকোটিক্স অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইনে মামলা ছিল। ওই পুরনো মামলার সূত্র ধরেই এ দিন সকালে জালালাবাদ পুলিস তাঁর বাংলোতে তল্লাশি অভিযান চালায়। তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিন সুখপাল সিং খইরার বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় ফেসবুকে লাইভ করেন তিনি। সেই ভিডিও-তে দেখা যায়, তিনি পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা গ্রেফতারির কারণ জিজ্ঞাসা করেন। তখন জালালাবাদের ডিএসপিকে বলতে শোনা যায়, মাদক মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু সুখপাল দাবি করেন, এই মামলা অনেকদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। তাহলে গ্রেফতারি কীভাবে সম্ভব? এর পর তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় তিনি আরও জানান, তাঁর এই গ্রেফতারির পিছনে 'রাজনৈতিক স্বার্থ' জড়িয়ে রয়েছে।
বেড়ে খেললেন ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সততার প্রতীক দাবি করে কাঠগড়ায় তুললেন দলের ব্লক সভাপতিদের। বিধায়কের যে গোসা হয়েছে তা তাঁর মন্তব্যের ছত্রে ছত্রেই স্পষ্ট। কিন্তু হঠাৎ এমনকি হল যার কারণে দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা। ইদ্রিস আলির দাবি, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীদের তালিকা তৈরী করে দিলেও তা রাতারাতি বদলে যাচ্ছে। আর সেখানেই লক্ষ লক্ষ টাকার খেলা চলছে বলেও দাবি করেন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর দাবি, ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকায় পদ বিক্রি হচ্ছে। এর পরেই শয়তান চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও সওয়াল করেন তিনি।
খোদ শাসকদলের বিধায়কের মুখে এই মন্তব্যে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় রাজ্যবাসীর। এতদিন বিরোধীদের মুখে এই ধরণের কথা শোনা যেত। এবার দলের একাংশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন ইদ্রিস। যা নিয়ে তপ্ত বঙ্গের রাজনীতি।
তৃণমূল বিধায়কের এই অভিযোগের পর তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কোন পথে হাঁটে সেটাই এখন দেখার। কিন্তু তিনি যে দলের মধ্যেই কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করলেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
নেই রাজ্যে বেতন বাড়ল বিধায়কের। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এমনই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, রাজ্যের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়ক স্তরে সবারই ৪০ হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। যদিও এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বেতন বাড়াবেন না বলেই জানান।
সূত্রের খবর, রাজ্যের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করা হল। প্রতি স্তরেই ৪০ হাজার টাকা করে বেতন বৃদ্ধি করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় তা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রাজ্যের বিধায়কদের বেতন দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। তাই আমাদের সরকার বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
মূলত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়ক— এই তিন স্তরে বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিধায়কদের বেতন ছিল প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা। তা বেড়ে হল ৫০ হাজার টাকা। রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীরা এত দিন মাসে ১০ হাজার ৯০০ টাকা করে পেতেন। এখন থেকে তাঁরা পাবেন ৫০ হাজার ৯০০ টাকা। এ ছাড়া, রাজ্যে যে পূর্ণমন্ত্রীরা আছেন, তাঁদের বেতন ছিল ১১ হাজার টাকা। তাঁরা বেতন বাবদ এ বার থেকে ৫১ হাজার টাকা পাবেন।
মণি ভট্টাচার্য: নারায়ণই বটে, সত্তরোর্ধ অসহায় এক মায়ের কাছে বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী এখন সাক্ষাৎ নারায়ণ। খবর পেয়ে স্টেশনে ফেলে যাওয়া এক মা কে কেবল আশ্রয়ই দিলেন না, নিলেন অসুস্থ ওই মহিলার সমস্ত দায়িত্ব। শুক্রবার সকালে নিজের সোশ্যাল মাধ্যমে তিনি খবর পান, ধোপদুরস্ত দেখতে এক মহিলা, পরনে পরিষ্কার সাদা কাপড়, সঙ্গে ব্যাগে কিছু শাড়ি। শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার অশোকনগর রেল স্টেশনে বসে কাঁদছেন আর লোককে ডেকে সাহায্যের কথা বলছেন। এ ঘটনা নজরে আসতেই ওই মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং অশোকনগরে নিজের তৈরী ভবঘুরে আবাসন অর্থাৎ রবীন্দ্রনিকেতনে আশ্রয় দেন ওই মহিলাকে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ওই মহিলাকে অশোকনগরে বসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ওই মহিলাকে তাঁর ছেলে এখানে ফেলে রেখে চলে গেছে। এরপর স্থানীয়দের মারফত খবর পেয়ে 'আস্থা' নামক একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এবং ওই মহিলার কাগজ ঘেটে তাঁর পরিচয় জানতে পারে। এরপর এ সমস্ত ঘটনা সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। এ ঘটনা নজরে আসতেই অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী ওই মহিলাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন। শুক্রবার নারায়ণ গোস্বামী সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'কোনও মা এভাবে রাস্তায় দিন কাটাক এটা কাম্য নয়, ওই মহিলার কিছুটা শারীরিক ব্যাধি আছে। আপাতত রবীন্দ্রনিকেতনেই থাকবেন তিনি, স্থানীয় মাতৃসদন হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
সূত্রের খবর, সোশ্যাল মাধ্যমে বিষয়টা নজরে আসতেই তড়িঘড়ি খোঁজ খবর শুরু করে হাবড়া রেল পুলিস কতৃপক্ষ। শুক্রবার হাবড়া জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুশীল সিং জানান, বিষয়টা আমাদেরও নজরে আসে। কিন্তু ততক্ষনে মাননীয় বিধায়ক ওনাকে উদ্ধার করে ফেলেন। অশোকনগর থানার পুলিস সূত্রের খবর, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। বিধায়কের এমন কাণ্ডে মুগ্ধ হয়েছেন পুলিস সহ অশোকনগরের সাধারণ মানুষও।
প্রবল বর্ষণের জেরে ভেঙে পড়ল হিমাচলপ্রদেশের (HimachalPradesh) সিমলার (Shimla) শিবমন্দির (Shiv Temple)। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৯ জন পুণ্যার্থীর। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ সোমবার সকালে মন্দিরে পুজো চলাকালীন ধসে ভেঙে পড়ে মন্দিরটি। মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। আরও অনেকজন এই ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেv বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধারকার্য চলছে, চাপা পড়ে যাওয়া পুণ্যার্থীদের উদ্ধার করার কাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাহ থেকেই অনবরত বৃষ্টি, ভূমিধসে বিপর্যস্ত হিমাচলপ্রদেশ। বিশেষ করে গত ২৪ ঘণ্টায় অত্যধিক পরিমাণে বৃষ্টি হয়। এরপরই আজ সকালে সামার হিল এলাকার কাছে অবস্থিত শিব মন্দিরে ধস নামে ও মুহূর্তের মধ্যে চাপা পড়ে যায় একাধিক পুণ্যার্থী। তড়িঘড়ি সেই জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে রাজ্য পুলিস ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সেখানে উদ্ধার কার্য শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার শ্রাবণ মাসের পুজোর জন্য সিমলার সেই মন্দিরে প্রায় ৫০ জন জমায়েত ছিলেন। আর সেই সময়েই হঠাৎ নামে ধস। ঘটনার পরই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। তিনি জানিয়েছেন, মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের নীচে প্রায় ২০-২৫ জন পুণ্যার্থী চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মধ্যপ্রদেশের প্রস্রাবকাণ্ডের পর এবারে রাজস্থান (Rajasthan)। এক বৃদ্ধের উপর শারীরিক অত্যাচার ও গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিধায়ক (Congress MLA) ও এক পুলিস অফিসারের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, জুতো চাটানোরও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। জয়পুরের ঘটনাটি গত জুন মাসের। আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ৫১ বছরের এক বৃদ্ধ অভিযোগ করেন, ৩০ জুন তিনি তাঁর ক্ষেতে কাজ করছিলেন। সেই সময় কয়েকজন পুলিস আধিকারিক এসে তাঁকে টেনে পাশের এক ঘরে নিয়ে যায় ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করেন। সেই ঘরে হাজির ছিল ডেপুটি পুলিস সুপার (ডিএসপি) শিবকুমার ভরদ্বাজ। সে মারধর করেন। তারপর তাঁর গায়ে প্রস্রাব করে দেন বলে অভিযোগ করেন সেই বৃদ্ধ।
আরও অভিযোগ উঠেছে, ডিএসপি কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল মীনার নাম করে বৃদ্ধকে হুমকিও দেয়। এরপর সেখানে উপস্থিত হয় বিধায়ক নিজেই। তাঁকে গোপাল মীনাও মারধর করে ও তার জুতো চাটতে বাধ্য করে। এমনকি এইসব ঘটনার জন্য যখন তিনি পুলিস স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করতে যান, তখন এই ঘটনা অস্বীকার করা হয়। পরে তিনি বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলে আদালত থেকে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৭ জুলাই অবশেষে থানায় এফআইআর দায়ের হয়। বর্তমানে বিষয়টি সিআইডি-এর ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্ত করছে।
৯০০ দিনের উপর হয়ে গেল আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। বুধবার সকালে প্ল্যাকার্ডে লেখা একগুচ্ছ দাবি দাওয়া নিয়ে এমএলএ হস্টেলের সামনে বিক্ষোভ দেখতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। বুধবার রাজ্য অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের মন্ত্রী বিধায়কদের। কিন্তু বাইরের আন্দোলনের চাপে হস্টেলেই আটকে থাকতে হয় তাঁদের। প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘৯০০ দিন ধরে ধরনায় বসে থাকা বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আওয়াজ তুলুন। ‘ কিংবা কোনওটায় লেখা ‘ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই।’
বুধবার সকালে রাজ্যসভার অধিবেশনে যাওয়ার বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই বিক্ষোভ। যদিও পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে বেলা ১১ টা নাগাদ এসে ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। বড় বাস, ভ্যানে আন্দোলনকারীদের একপ্রকার ‘বলপূর্বক’ তুলতে দেখা যায় রাজয়পুলিশকে। আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের জের পড়ে বিধানসভার অধিবেশনেও।
প্রয়াত রাজ্যের বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। মঙ্গলবার কলকাতার পিজি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়কের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শোকবার্তায় তিনি লেখেন, বিষ্ণপদ রায়ের প্রয়াণে তিনি গভীর ভাবে শোকাহত। বিধায়কের পরিবারকে সমবেদনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। দলীয় বিধায়কের মৃত্যু শোক শুভেন্দু অধিকারীর। ফুসফুসের সমস্যা ছিল প্রয়াত বিধায়কের। বিধানসভায় প্রয়াত বিধায়ককে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। ধূপগুড়ির পুরসভা অঞ্চলের বাসিন্দা বিজেপি বিধায়ক। থাকতেন ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। গত রবিবার কলকাতা এসেছিলেন বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে। উঠে ছিলেন এমএলএ হস্টেলে।
পরিবার জানিয়েছে, সোমবার দুপুরে শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালে ছিলেন বিজেপি নেতা মনোজ টিগ্গাও। রাতে একটি অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। ছেলে জানিয়েছিলেন, বাবার অবস্থা স্থিতিশীল। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ধূপগুড়ির বিধায়ক।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর এলোপাথারি লাঠিচার্জে জখম চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান (MLA Hamidul Rahman) সহ একাধিক তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনার পরেই চোপড়া (Chopra) বিধায়ক হামিদুর রহমানকে আহত (Injured) অবস্থায় প্রথমে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ও পরে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন তৃণমূলের কর্মীরা গুরুতরভাবে আহত অবস্থায় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা চোপাড়ায়।
জানা গিয়েছে, ইসলামপুর ব্লকের ৪ নম্বর জেলা পরিষদ প্রার্থী হয়েছেন হামিদুর কন্যা অর্জুনা বেগম। তারই গণনা কেন্দ্রে নিজেদের কাউন্টিং এজেন্টদের নিয়ে তিনি যাচ্ছিলেন। তবে সেখানে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে আইডেন্টিফিকেশন কার্ড নিয়ে বচসা হয়। ঠিক তারপরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে বেধড়ক লাঠিচার্জ করা হয়।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শাসক দলের পক্ষ থেকে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
বিস্ফোরক অভিযোগ। গণনা কেন্দ্রে ঢুকে বিরোধী প্রার্থী ও এজেন্টদের মারধর (Beaten) করার অভিযোগ উঠেছে খোদ বিধায়িকা লাভলী মৈত্রর বিরুদ্ধে (MLA Lovely Maitra)। শুধু তাই নয়, গণনা কেন্দ্র থেকে বিরোধীদের বাইরে বের করে দেন পঞ্চায়েত আসন দখলের জন্য বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন বাম ও বিজেপি (BJP) কর্মীরা৷ যদিও বিরোধীদের তোলা এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন বিধায়িকা লাভলী মৈত্র।
বিরোধীদের দাবি, গণনা কেন্দ্রে আচমকা দুষ্কৃতীদের নিয়ে ঢুকে পড়েন লাভলী মৈত্র। তারপরেই তিনি বিরোধীদের উপর হামলা চালান। দুষ্কৃতীদের দিয়ে বিরোধীদের গণনা কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছিলেন। এমনকি অনেককে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয়ও দেখিয়েছেন তৃণমূলের বিধায়িকা লাভলী মৈত্র। তাঁদের আরও দাবি, বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থীদেরও আটকে রাখা হয়েছে। তাঁদের সার্টিফিকেটও দেওয়া হচ্ছে না। এই বিষয়ে পুলিসকে জানানো হয়েছে, তবে পুলিস কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এমনকি বিডিওকে বারবার ফোন করা হয়েছে তবে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি, এমনটাই দাবি বিরোধীদের।
বিরোধীদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে বিধায়িকা জানান, তিনি নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিলেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। তিনি বর্তমানে লাঙলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটার বলেও জানান৷
ত্রিপুরা (Tripura) বিধানসভায় (Assembly) নজিরবিহীন ঘটনা। বাজেট অধিবেশনে বিধায়কদের (MLA) সংঘর্ষ, হাতাহাতি। বিজেপি ও তিপ্রা মোহা দলের বিধায়করা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন।
শুক্রবার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন ট্রেজারি বেঞ্চের বিধায়ক যাদব লাল নাথের পর্ন ছবি দেখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। ৫ বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার। সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে সাসপেন্ড হয়েছেন সিপিএম বিধায়ক নয়ন সরকার। তিপ্রা মোথার বৃষকেতু দেববর্মা, রঞ্জিত দেববর্মা ও নন্দিতা রেয়াংকেও সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদে বিরোধী দলের সব বিধায়কই ওয়াক আউট করেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat elections) প্রচারে বেড়িয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিধায়ক (MLA)। ভোগান্তি কাকে বলে বোঝাতে বিধায়ক কে কাঁদা রাস্তায় জোর করে হাঁটালেন গ্রামবাসীরা। কথায় বলে ঠ্যালায় পড়লেই নাকি বিড়ালও গাছে ওঠে, কিন্তু এই ঠ্যালায় যে কোনো দিন স্বয়ং বিধায়ককেই পড়তে হবে তা মনে হয় স্বপ্নেও ভাবেন নি ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী।
শনিবার সকালে ভাতারের নিত্যনন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালুত্তকে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী আব্দুল রউফের সমর্থনে প্রচারে বের হোন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। প্রচার শুরু করতেই গ্রামবাসীরা, প্রার্থী ও বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। এবং তাঁদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন। সেখানেই কার্যত গ্রামবাসীদের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় প্রার্থীকে। শুধু তাই নয় এরপর গ্রামবাসীরা নিজেদের নিত্যদিনের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরতে বিধায়ককে কাঁদা রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য করেন। গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, ভোট দিই, ভোট নেন, রাস্তা কই?
বিধায়ক মনগোবিন্দ অধিকারী জানিয়েছেন, গ্রামের মেয়েরা এসে রাস্তা খারাপের কথা জানিয়েছেন। তিনিও আরও বলেছেন তৃণমূলের লোক দেখলেই বিক্ষোভ করতে পারেন। সিপিআইএম কিংবা বিজেপির লোককে মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে পারে না। কারণ, তাঁরা জানে তৃণমূলের লোক কথা শুনবে। এই কারণে তিনি গ্রামবাসীদে আশ্বাস দেন আগামী দু,মাসের মধ্যেই রাস্তা ঠিক করে দেবেন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গ্রামের রাস্তার হাল খারাপ। বিভিন্ন স্তরে বারংবার জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। তাই এদিন বিধায়ক আসতেই রাস্তার দাবী জানানো হয়।
ফের পরিবর্তন করা হল দেশের রাজধানীর রাস্তার নাম। জনপ্রিয় রাস্তা ঔরঙ্গজেব লেনের (Aurangzeb Lane) নাম বদল করে রাখা হল ডঃ এ পি জে কালাম লেন (Dr APJ Abdul Kalam Lane)। ২০১৫ সালেই দিল্লির ঔরঙ্গজেব রোডের নাম বদলে ডঃ এ পি জে আব্দুল কালাম রোড করা হয়েছিল। এই আব্দুল কালাম রোড এবং পৃথ্বীরাজ রোডের সংযোগকারী রাস্তাটির নামই ছিল ঔরঙ্গজেব লেন। সেটাই এবারে মুছে ফেলা হল। নয়াদিল্লি পুর পরিষদের (NDMC) বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার পুর পরিষদের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
রাস্তার পুরনো নাম বদল করে নতুন নাম দেওয়ার কথা বুধবার ঘোষণা করেছে এনডিএমসি। ফলে গতকালই এই সিদ্ধান্তে প্রশাসনিক সিলমোহর বসেছে। এনডিএমসি-এর ভাইস-চেয়ারম্যান সতীশ উপাধ্যায় একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, নতুন দিল্লি মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট, ১৯৯৪-এর ২৩১ (১) (এ)-এর অধীনে এনডিএমসি এলাকার অধীনে থাকা 'ঔরঙ্গজেব লেন'-এর নাম পরিবর্তন করে 'ডঃ এ.পি.জে. আবদুল কালাম লেন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, 'ঔরঙ্গজেব লেনের নাম পরিবর্তন করে ডঃ এ. পি.জে. আব্দুল কালাম লেন করার অনুমোদন দিয়েছে কাউন্সিল। জনগণের অনুভূতিকে সম্মান করার জন্য, আমাদের সময়ের মহান পুরুষ ও নারীদের স্বীকৃতি ও সম্মান জানানোর প্রয়োজনে রাস্তা, প্রতিষ্ঠানগুলির পুনঃনামকরণ করা হয়েছে।'
বাইরন বিশ্বাসের (Bayron Biswas) বিধায়ক (MLA) পদ খারিজ করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) দায়ের হল মামলা। সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই সংক্রান্ত একটি মামলা করার অনুমতি চাওয়া হয়। বেঞ্চ সেই মামলার অনুমতি দিয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে ভোটে জয়ী হয়েছিলেন বাইরন বিশ্বাস। কিন্তু তিন-মাস কাটতে না কাটতেই তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার সভায় পৌঁছে তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও, বাইরন কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক। তাই বিধানসভায় তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর বিধায়ক পদের বৈধতা নিয়ে এবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে ওই মামলার জন্য আর্জি জানান। ওই বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানি হতে পারে।