Breaking News
Mamata: রব্বানীকে সরিয়ে সংখ্যালঘু দফতর খোদ নিজের হাতে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী      Boxing: মেরিকমের কৃতিত্ব ছুঁয়ে ভারতকে তৃতীয়বারের মত সোনা দিলেন নিখাত জারিন      DA: ডিএ-র দাবিতে যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকে সমর্থন, নবান্ন থেকে বদলি ১০ কর্মী      Anubrata: 'প্রভাবশালী' বলেই জেলে থেকেও জেলা সভাপতি কেষ্ট !      Rahul: সাংসদ পদ খোয়ালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, বিজ্ঞপ্তি লোকসভার      Rahul: সুরাতের আদালতে দোষী সাব্যস্ত রাহুল গান্ধী, দু'বছরের জেল সাংসদের      Mamata: ওড়িয়াতে কহন্তি, লেকিন হামারা ভুল-ভাল হো জায়েগা: মমতা      Film: কৌশিক গাঙ্গুলির পরিচালনায় অয়নের ছবিতে ঋত্বিক-সোহিনী, বিতর্কে কী প্রতিক্রিয়া?      ISL: ফাইনাল খেলার ভোরে স্বপ্ন দেখলাম মোহনবাগান জিতেই গিয়েছে: মমতা      Ayan: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়নের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বহু পুরসভার চেয়ারম্যানের, তবে কি ইডির ডাক পাবেন তাঁরাও?     

mla

ssc:'আমার ভাই ১২ পেতে পারে না', নিয়োগ-কাণ্ডে চাকরিহারা ভাইয়ের পাশে মন্ত্রী

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে আদালতের রায়ে চাকরি গিয়েছে প্রতিমন্ত্রীর ভাইয়ের। এবার এই বিষয়ে এসএসসিকে তুলোধোনা প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর। OMR শিটের ফরেনসিক পরীক্ষার দাবি মন্ত্রীর। স্কুলে গ্রুপ সি পদে চাকরির ক্ষেত্রে ওএমআর শিটে জালিয়াতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই চাকরি গিয়েছে রাজ্যের ৮৪২ জনের। এর মধ্যে নাম রয়েছে উপভোক্তা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর ভাই খোকন মাহাতোর।

এবার ঘুরিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত ও এসএসসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শালবনির বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। ওএমআর শিটের ফরেনসিক পরীক্ষার দাবিও তুললেন তিনি। শনিবার সকালে মেদিনীপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন, 'এসএসসির ত্রুটির, অন্যায়ের শিকার হতে হচ্ছে নিরীহদের। যার জন্য অনেক ক্ষেত্রে মানসম্মান খোয়াতে হচ্ছে অনেককে, চাকরির পাঁচ বছর পর কেন ওই ওএমআর সিট প্রকাশ করা হলো? কেন আগেই চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করল না এসএসসি!' একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত হয়ে কাজ করছে এসএসসি।

মন্ত্রীর ভাইয়ের ওএমআর শিট প্রসঙ্গে শ্রীকান্ত মাহাতো জানান, 'আমার ভাই কোনওমতেই ১২ বা ১৩ পেতে পারে না, ও কমপক্ষে ৫০ বা ৫৫-র আশপাশে পাবে। ভাই মিলিয়ে দেখেছে, ওর আত্মবিশ্বাস আছে, ও আরও বেশি পাবে।'

a week ago
Elephant: ঝাড়গ্রামজুড়ে হাতির তাণ্ডব, নষ্ট ক্ষেতের আলু-ধান! উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা

ফের হাতির হামলায় (Elephant Attack) ক্ষয়ক্ষতি। গোটা ঝাড়গ্রাম(Jhargram) ব্লকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির একটি দল। রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। ধান চাষের জমিতে গিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় তারা। যার ফলে কয়েক বিঘা জমির ধান নষ্ট করে দিয়েছে হাতির দল।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ঝাড়গ্রাম ব্লকের একাধিক জায়গায় খাবারের খোঁজে হামাল চালায় হাতির দল। ঝাড়গ্রাম ব্লকের কুনডলডিহি গ্ৰামে মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ হাতির দল হামলা করে দীপেন্দু মাহাতো নামে এক স্থানীয়ের বাড়িতে। রাতে বাড়ির বাইরে লোকজনের চিৎকার শুনে দরজা খুলে দেখে একটা হাতি কলা গাছ ভেঙে বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে খাচ্ছে। তারপরই বাড়িতে রাখা দীপেন্দুর বিয়ে বাড়ির ডেকোরেশন ব্যবসার স্ট্রাকচারগুলো পায়ে মাড়িয়ে ভেঙে দেয়। 

অন্যদিকে বুধবার সাতসকালে ওই হাতির দলটিই মোহনপুর ও মুড়াকাটি এলাকায় ধান চাষের জমিতে গিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। যার ফলে কয়েক বিঘা জমির চাষের ধান নষ্ট করে দিয়েছে হাতির দলটি, জানান গ্রামবাসীরা। এমনকি মানিক পাড়ার বৈদ্যপালে সকালে আলুচাষের জমিতে চাষিরা থাকাকালীনই ঢুকে পড়ে দাঁতালের দল। আলু খেয়ে এবং পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্টও করে তারা।

পরে হাতির দলটি মোহনপুর জঙ্গল থেকে এনএইচ-৬ পেরিয়ে নেকড়াবিন্ধ্যা ও ছচমেটিয়ার দিকে চলে যায়।

2 weeks ago
Deganga: সাতসকালে ক্ষেতে নগ্ন দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য, শরীরে-গলায় দাগ দেখে সন্দেহ

এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নগ্ন দেহ(Death Body) উদ্ধার। দেহটি উদ্ধার করল দেগঙ্গা থানার(Deganga Police) পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার উত্তরবরুনী এলাকার(North 24 Parganas) পৃথীবা রোডের পাশে এক নির্জন এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহটি। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য এলাকায়। জানা গিয়েছে, স্থানীয় চাষীরা ৪৫ বছরের এক অজ্ঞাতপরিচয় ব‍্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ওই মৃত ব্যক্তির শরীরে গলায় কালশিটে দাগ লক্ষ্য করেন স্থানীয়রা। এমনকি ওই ব্যক্তির গায়ে ছিল না কোনও পোশাক, দাবি স্থানীয়দের। 

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে চাষের জমিতে সবজি তুলতে এসে নগ্ন অবস্থায় এই দেহটি পড়ে থাকতে দেখে তাঁরা। পরে দেগঙ্গা থানায় খবর দেয় তাঁরা। স্থানীয়দের অনুমান, ওই ব‍্যক্তিকে খুন করে এখানে ফেলে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এমনকি এই এলাকায় একাধিক মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা আগেও ঘটেছে, অভিযোগ স্থানীয়দের। তাই এই এলাকায় পুলিসি নজরদারি বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

পুলিস ইতিমধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। এমনকি মৃত ব‍্যক্তির নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিস।

2 weeks ago


Jhargram: বাড়িতে 'অতিথি' আগমন, পাম্পের জল-কলা গাছ খেয়ে তৃপ্ত রামলাল

গরম পড়তেই ক্লান্ত রামলাল (Elephant) সটান হাজির গৃহস্থর বাড়িতে। জঙ্গল ছেড়ে সোজা বাড়িতে এসে হাজির রামলাল হাতি। তার জল তেষ্টা পেয়েছে বুঝে বাড়ির লোকও তাড়াতাড়ি করে সাবমার্সেবেল পাম্প চালিয়ে দেয়। ঝাড়গ্রাম(Jhargram) রেঞ্জের পুকুরিয়া বিটের অরুণডিহি গ্রামের ঘটনা। বাড়ির লোকজন আতঙ্কে ঘরের মধ্যেই ছিল। তবে কারও ক্ষতি করেনি সে। 

জঙ্গল মহলের পরিচিত হাতি রামলাল। একডাকে জেলার সকলে চেনে। রামলাল তার খুশি মত যার-তার বাড়িতে ঢুকে খাওয়া-দাওয়া করে। তবে কারও কোনও ক্ষতি করে না। অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের রামলাল। 

জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে জল তেষ্টার জন্য রামলাল কাজু বাদামের জঙ্গল ছেড়ে সোজা এলাকাাসীদের বাড়িতে এসে হাজির হয়। রামলালের জল তেষ্টার কথা বুঝতে পেরে বাড়ির সদস্যরাও তাড়াতাড়ি করে সাবমার্সেবেল পাম্প চালিয়ে দেয়। তারপরেই জল খেয়ে নিজের তৃষ্ণা নিবারণ করে সে। এমনকি বালতিতে রাখা জল ছিটিয়ে গা ঠান্ডা করে। প্রায় আধ ঘন্টার উপর বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে কলা গাছ খেয়ে নষ্ট করে রামলাল। তারপর নেটের বেড়া ভেঙে আবার কাজু বাগানে প্রবেশ করে জঙ্গল মহলের পরিচিত হাতি রামলাল।

3 weeks ago
Yogi: বিধায়ক খুনের সাক্ষীকেও খুন! প্রয়াগরাজে পুলিস এনকাউন্টারে ঝাঁঝরা অভিযুক্ত

বিএসপি বিধায়ক রাজু পল হত্যাকাণ্ডের মূল সাক্ষীকে খুনে অভিযুক্ত ছিল আরবাজ নামে এক দুষ্কৃতী। সেই অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে এনকাউন্টারে ঝাঁঝরা করলো  উত্তরপ্রদেশ পুলিস। প্রয়াগরাজ একদা এলাহাবাদের ধুমনগঞ্জ এলাকার নেহরু পার্কে হওয়া এই এনকাউন্টারে সাক্ষী খুনে ওই অভিযুক্ত নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন।

প্রয়াগরাজ পুলিসের দাবি, 'পাল্টা আরবাজের গুলিতে রাজেশ মৌর্য নামে এক পুলিস ইনস্পেক্টর জখম হয়েছেন।' উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এক কর্তা বলেন, 'শুক্রবার উমেশ খুনে জড়িত ছিলেন আরবাজ। সূত্র মারফত খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালায় পুলিস। সে সময় আরবাজ গুলি চালানোয়, পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল পুলিস। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরবাজকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা আরবাজকে মৃত ঘোষণা করেন।'

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে উত্তরপ্রদেশে বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) বিধায়ক রাজু পল খুন হয়েছিলেন। এই খুনে অভিযোগ ওঠে কুখ্যাত দুষ্কৃতী তথা প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে। সেই মামলার সাক্ষী ছিলেন রাজুর বন্ধু উমেশ পল। গত কয়েক বছরে একাধিক বার আক্রান্ত হয়েছিলেন উমেশ। কিন্তু এবার আর শেষরক্ষা হয়নি।

4 weeks ago


Manik: 'আমার দুটো পাসপোর্ট নেই, লন্ডনে বাড়িও নেই! যদি থাকে ফাঁসি হোক', সরব মানিক

আমার দুটো পাসপোর্ট নেই, লন্ডনে বাড়িও নেই। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের ফাঁকা এজলাসে এই দাবি করেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। তাঁর মন্তব্য, 'যারা এসব বলছেন, তাঁরা আমায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিক।' এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে (Court) মানিক জানান, 'আমার ৬৬০ বর্গফুটের একটা ফ্ল্যাট আছে যাদবপুরে। পরে ১১০০ বর্গফুটের একটা ফ্ল্যাট কিনেছি। আর নদীয়ায় বাড়ি আছে। এসব তথ্য আমি ইডিকে (ED) দিয়েছি।' নাম না করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশে মানিক ভট্টাচার্য বলেন, 'একজন সিঙ্গল বেঞ্চের জজ এসব বলছে। ডিভিশন বেঞ্চে আগে মামলা হয়নি। আজ হবে, তার আগে মিডিয়া ভুল খবর দিচ্ছে।'

এদিন কোর্ট থেকে জেলে যাওয়ার পথে এবিষয়ে সরব ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নাকাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'আমার লন্ডনে বাড়ি নেই, বাড়ি নেই, বাড়ি নেই। আমার দুটো পাসপোর্ট নেই, নেই, নেই। যদি থাকে আমার ফাঁসি হোক। আপনাদের একটা অনুরোধ একটু জেনে নিয়ে খবর করবেন।' 

দুটি পাসপোর্ট প্রসঙ্গে পর্ষদের অপসারিত সভাপতি বলেন, 'আমার দুটো পাসপোর্ট নেই।একটার সময়সীমা শেষ হওয়ায় অন্যটি পেয়েছি। দুটোর নম্বর এক, এটা কেউ দেখলো না। আমার দুটো পাসপোর্ট থাকলে ভারত সরকার আমাকে ছেড়ে দিতো।' মিডিয়ার খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করে মানিক বলেছেন, 'সোমবার সিবিআই আমার কাছে গিয়েছিল। পাসপোর্ট নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছে মিডিয়া। আমি জেলে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছি। আমার মান সম্মান সব জলাঞ্জলি।'

এদিকে জানা গিয়েছে, জেলে যাওয়ার সময় পুলিসের গাড়ি আচমকা ব্রেক কষায় আহত হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। গাড়ির মধ্যেই পড়ে গিয়ে বুকে, পায়ে আঘাত লেগেছে তাঁর। তিনি এই মুহূর্তে জেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


2 months ago
TMC: উস্থি থানায় গিয়ে পুলিসকে 'দু'পয়সার চাকর' কটাক্ষ টিএমসি বিধায়কের, ক্ষমা চাওয়ালেন এসডিপিও

তৃণমূল নেতাকে আটক করায় থানায় গিয়ে 'দাদাগিরি'র অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনায় অভিযুক্ত মগরাহাট (পশ্চিম)-এর বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লাকে থানার বাইরে বসিয়ে ক্ষমা চাওয়ালেন ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে। এসডিপিও-র সঙ্গে গিয়াসউদ্দিন মোল্লার তীব্র বকাবিতণ্ডার এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যে ভিডিও ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক চর্চা। ভাইরাল এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল। এই ঘটনায় শোরগোল পড়তেই এক সংবাদ মাধ্যমকে সেই তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, 'তিনি এ বিষয়ে যা বলার দলীয় নেতৃত্বকে বলবেন।'

ঠিক কোন ঘটনা ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। জানা গিয়েছে, রবিবার উস্থি থানার ভোলেরহাটে এক বৃদ্ধাকে খুন করে তাঁর ছেলে। আর এই খুনের ঘটনায় জয়ন্ত চৌধুরী নামে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যর অভিযোগ ওঠে। পুলিস তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। এই খবর চাউর হতেই দলবল নিয়ে থানায় সটান হাজির হন মগরাহাট পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। থানায় গিয়ে পুলিসকর্মীদেরকে হুমকি ও শাসাতে থাকেন বিধায়ক বলে অভিযোগ। এমনকি থানার বাইরে বসে এসডিপিও-র সঙ্গেও বচসায় জড়ান বিধায়ক। যদিও থানায় এসে পুলিসের উদ্দেশে কটূক্তি, ধমক এবং 'দু পয়সার চাকর' বলে বিধায়কের কটাক্ষকে তীব্র সমালোচনার সুরে বিঁধেছেন এসডিপিও।

অভিযোগ, বিধায়ক নাকি থানা ভাঙচুরের হুমকি দিয়েছেন। থানার সিঁড়িতে বসে থাকা তৃণমূল বিধায়ককে মোটেই রেয়াত করেনি এসডিপিও। তৃণমূল বিধায়ক থানায় এসে পুলিশকর্মীদের শাসানোর ঘটনায় তাঁকে ক্ষমাও চাওয়ান এসডিপিও।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল যুব সভাপতি ইমরান হাসান জানান,'আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার বলেছেন পুলিস-প্রশাসন ও সরকারি আধিকারিকের উপরে দলের কোনও কর্মী কোনও কর্তৃত্ব ফলাবে না। দলের পক্ষ থেকে পুলিস মহলের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। একটি নিন্দনীয় ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন বিধায়ক। আমাদের দল এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করে না।'

বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রদ্যুত বৈদ্য জানান,'তৃণমূল নেতার এই আচরণ নতুন কিছু নয়। কারণ সারা পশ্চিমবঙ্গ দেখেছে, পুলিস তৃণমূল বিধায়কদের দলদাস হয়ে গিয়েছিল। এখন পুলিস সক্রিয় হয়েছে, এটাই ওদের মাথাব্যাথার কারণ। পুলিসের এই উদ্যোগের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।'

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান,'তৃণমূলের ওই বিধায়ক ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও-সহ পুলিসকর্মীদের হুমকি ও গালিগালাজ করেছেন। মার্ডার কেসের আসামী তাকে গ্রেফতার করেছে সেই কারণে তৃণমূলের বিধায়ক ক্ষুব্ধ হয়েছেন। পুলিসকে দু-টাকার চাকরবাকর বলেছেন। ঠিকই করেছেন তো, এটাই তো পুলিসের প্রাপ্য।'

2 months ago
Cash: কোটি টাকা উদ্ধারে চক্রান্ত দেখছেন প্রাক্তন মন্ত্রী! 'শ্রমিকদের বেতনের টাকা', দাবি জাকিরের

আমি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সবচেয়ে বেশি করদাতা। প্রতি বছর আমি কেন্দ্রের থেকে সার্টিফিকেট পাই। আয়কর হানায় (IT Raid) বাড়ি-অফিসে নগদ উদ্ধার-কাণ্ডে অবশেষে মুখ খুললেন প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন (TMC MLA Zakir Hossain)। পাশাপাশি এই ঘটনায় চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী জাকির হোসেন। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, 'আমার বাড়ি থেকে যৎসামান্য টাকা উদ্ধার হয়েছে। আনুমানিক এক-দেড় কোটি টাকা (Cash Seized) উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই টাকা শ্রমিকদের বেতনের জন্য রাখা ছিল। কিছু টাকা আমার ছেলে আর স্ত্রী-মেয়ের। চালকল থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেটাও ধান-গম কেনার টাকা, বেতনের টাকা। নগদে না দিলে ধান-গম কৃষকরা দেবেন না। তাছাড়া চালকল শরিকি ব্যবসা, অন্যদের জিজ্ঞাসা করতে হবে টাকার উৎস। ' এরকম করলে মিল বন্ধ হয়ে যাবে, এই আশঙ্কা করেন তৃণমূল বিধায়ক।  

১৫ কোটি টাকা উদ্ধারের যে খবর সংবাদ মাধ্যমে দেখাচ্ছে, সেই খবর নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের জঙ্গিপুরের বিধায়ক। পাশাপাশি এভাবেই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ নস্যাৎ করেন প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী। এদিকে, জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি-অফিসে বুধবার দিনভর তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর।

সূত্রের খবর, নগদ ১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই অর্থের মধ্যে শুধুমাত্র ৯ কোটি টাকা প্রাক্তন মন্ত্রীর মুর্শিদাবাদের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, দেশের মোট ২৮ জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। তল্লাশি চলেছে প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস, কারখানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও।

2 months ago


Tax: এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়ি-অফিসে টাকার পাহাড়! আয়কর অভিযানে বাজেয়াপ্ত ১১ কোটি

এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস এবং কারখানায় টাকার পাহাড়! জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের (Zakir Hossain) বাড়ি-অফিসে বুধবার দিনভর তল্লাশি (IT Raid) চালিয়ে নগদ ১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর। এই অর্থের মধ্যে শুধুমাত্র ৯ কোটি টাকা প্রাক্তন মন্ত্রীর মুর্শিদাবাদের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, দেশের মোট ২৮ জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। তল্লাশি চলেছে প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস, কারখানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও।

রাজ্যের প্রাক্তন শ্রম প্রতিমন্ত্রীর বাড়ি-অফিসে মিলিয়ে বুধবার রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোট ১১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্য জায়গাগুলোয় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বাকি অর্থ। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, শ্রম দপ্তরের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে গরু পাচার-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের যোগসূত্র পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

জাকিরের বাড়ি-অফিসে তল্লাশি চালিয়ে আয়কর দফতরের উদ্ধার হওয়া অর্থ আদতে কোন পথে এসেছে, সেটা জানতে জাকিরকে তলব করতে পারে সিবিআই। সূত্র অনুযায়ী, এই অর্থ জাকিরের বিড়ি কারখানায় ব্যবহার হয়েছে কিনা, তা জানতে চায় ইডি। এত পরিমাণ নগদ কী কাজে বাড়ি-অফিসে রাখা ছিল, সেটা জানতে তৃণমূল বিধায়ককে জেরা করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

2 months ago
Murder: পুরনো শত্রুতার জের, উত্তর প্রদেশে প্রাক্তন বিধায়কের নাতিকে পিটিয়ে 'খুন'

পুরোনো শত্রুতার জেরে উত্তরপ্রদেশের(Uttar Pradesh) প্রাক্তন বিধায়কের নাতিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। অভিযুক্ত প্রায় সাত থেকে আট জন ব্যক্তি। ঘটনাটি শনিবার রাত ১০টা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের মৌ জেলার কোপাগঞ্জ থানা এলাকার। মারের চোটে মৃত্যু হয় ৩৫ বছরের (Youth Killed) যুবক হিমাংশু সিংয়ের।

পুলিস জানিয়েছে, হিমাংশু সিংয়ের দাদু ১৯৮০ সালে কংগ্রেসের (Congress) টিকিটে ভোটে জিতে উত্তরপ্রদেশের ওই এলাকার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। শনিবার রাতে হিমাংশু পাশের গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন। রাস্তায় এক দল লোকের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায়। এরপরই তাঁরা মারধর শুরু করে হিমাংশুর উপর। লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারার ফলে প্রায় আধমরা অবস্থায় সেখানেই পড়ে থাকেন হিমাংশু সিং। বেশ কিছুক্ষণ ওই অবস্থাতেই পড়ে থাকেন যুবক। পরে গ্রামের লোকেদের নজরে আসতেই তাঁরা হিমাংশুকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিসের অনুমান, হিমাংশুর সাথে পুরোনো শত্রুতা ছিল অভিযুক্তদের। সেখান থেকেই বচসার সূত্রপাত। তবে কারা এই কাজ করেছেন এবং বচসা কীভাবে মারধরের পর্যায়ে গড়ালো তা খতিয়ে দখছে পুলিস। মৌ জেলার এএসপি ত্রিভুবননাথ ত্রিপাঠী জানান, হিমাংশুর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর সঙ্গে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

3 months ago


Politics: অভিনেতা থেকে নেতা বা জন প্রতিনিধি, সাধারণের স্বার্থে কতটা গ্রহণযোগ্য

প্রসূন গুপ্ত: সিনেমা জগৎ বা ক্রীড়া জগতের কেউ রাজনীতিতে আসতে পারবেন না, এমন কোনও আইন নেই। বরং যারা ভোটদাতা তাদের অবশ্যই রাজনীতির মঞ্চে তথা ভোটের লড়াইতে আসার অধিকার আছে। ইন্দিরা যুগ থেকে এযাবৎকাল সেই প্রথা চলে আসছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যারা পাবলিক ফিগার বা পরিচিত মুখ, তাঁরা কতটা নিজের ইচ্ছায় রাজনীতিতে আসছেন। একবারে স্বাধীনতার পর থেকে খুব একটা সেলিব্রিটিরা রাজনীতিতে আসতেন না। যদিও বিজ্ঞানী বা স্বনামধন্য চিকিৎসক অথবা আইনজীবীরা এসেছেন, যাঁরা অনেকেই তার আগে রাজনীতির সঙ্গে কোনই যোগাযোগ রাখেননি।

ইন্দিরার আমলে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সাংসদ হয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী নার্গিস দত্ত। এরপর সুনীল দত্তকেও আমরা মুম্বইয়ের এক লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে সাংসদ তিনি এক সময়ে কেন্দ্রের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হন। এরই মাঝে অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্না, শত্রুঘ্ন সিনহা, বিনোদ খান্না, গোবিন্দা, হেমা মালিনী, জয়াপ্রদা, জয়া বচ্চনরাও  রাজনীতিতে এসেছেন। শত্রুঘ্ন সিনহা এবং সুনীল দত্ত ব্যতীত উপরে উল্লিখিত কাউকে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করতে দেখা যায়নি। শত্রুঘ্ন অবশ্য বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন, বর্তমানে তৃণমূল দলের লোকসভার সদস্য। বাংলা থেকে কয়েক ঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী দিল্লি রাজনীতি অথবা রাজ্য রাজনীতিতে এসেছিলেন বা আছেন। বাম আমলে অনিল চট্টোপাধ্যায় বিধানসভার সদস্য হয়েছিলেন। মমতা সরকারে বাবুল সুপ্রিয় বা মনোজ তিওয়ারি বর্তমান মন্ত্রিসভায় আছেন, তেমন লোকসভা বা রাজ্যসভা অথবা বিধানসভায় তৃণমূল বা বিজেপির অসংখ্য সিনেমা জগতের মানুষ রয়েছেন।

এদের কাজ কী? নিশ্চিত জন প্রতিনিধি হিসেবে এলাকা বা রাজ্যের হয়ে কাজ করা। কিন্তু এখানেই বিতর্কের সৃষ্টি, পূর্ণ সময়ের রাজনীতিবিদ না হলে এলাকার কাজ করবেন কী করে? সিনেমার আকর্ষণ মারাত্মক। এই জগৎ থেকে বিকাশ রায় ছাড়া কেউই বিদায় নেয়নি। অর্থাৎ অনেকেরই রাজনীতি দ্বিতীয় প্রেমে পরিণত হয়েছে। বেচারা এলাকার মানুষ, সেলিব্রেটি দেখে কি আর চিরকাল পেট ভরে। সর্বোচ্চ নেতারা জানেন কি?   

3 months ago
Madan Mitra: ও লাভলি! ৬৮-তে মদন মিত্র, দুই অভিনেত্রীকে সঙ্গে রেখে বিধায়ক কেক কাটলেন

‘ও লাভলি’- শনিবার ৬৮-তে পা দিলেন। বয়সের দিক থেকে বৃদ্ধ হলেও মন কিন্তু একেবারে ‘কালারফুল বয়'। এতক্ষণে হয়তো বুঝতে পেরে গিয়েছেন, কার কথা আলোচনা করা হচ্ছে। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan MItra) জন্মদিনের (Birthday) কথা বলা হচ্ছে। সেদিন গোটা কামারহাটি মেতে উঠেছিল তাদের প্রিয় দাদার জন্মদিন পালনে। এত কেক কেটেছেন যে তার হিসেব রাখা সত্যি অসম্ভব। আর এদিন মদন মিত্রের জন্মদিনে চার চাঁদ লাগালেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার (Madhumita Srakar)।

View this post on Instagram

A post shared by Madan Mitra (@madanmitraofficial)

বিশেষ দিনটিতে দাদাকে শুভেচ্ছে জানাতে চলে এলেন কামারহাটি। দাদাকে পাশে দাঁড় করিয়ে মোমবাতি লাগিয়ে কেক কাটলেন। এরপর নিজের হাতে সেই কেক খাইয়েও দিলেন মধুমিতা। জন্মদিন উদযাপনের ভিডিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী নিজেই। 

ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মধুমিতা ছাড়াও সেদিন উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য। এছাড়া মদন মিত্রের ছেলের বউ মেঘনা। ধুতি-পাঞ্জাবিতে একেবারে 'ও লাভলি' লাগছিল প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রীকে। চোখে সেই পরিচিত চশমা, গলায় রজনীগন্ধার মালা।  মধুমিতাকে দেখা গিয়েছে ব্ল্যাক ক্রপ টপ ও ডেনিম জ্যাকেটে। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর থেকেই শোরগোল পড়ে যায়।

নেট নাগরিকরা কেউ কেউ কালারফুল বয়ের রঙিন জীবন উপভোগ করার প্রশংসা করেছেন।  তবে বিদ্রুপ মন্তব্যের ঝড় তুলেছেন অনুরাগীরা। কেউ মজার ছলে লিখেছেন, ‘সবাইকে নিয়ে কাতার গেছেন নাকি?’; আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, “আরে বাহ! এই বয়সেও ঠাকুরদা পাখি ধরছেন!”

মদন মিত্র তাঁর নারীসঙ্গ এবং তার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য সমালোচনায় থাকেন। নানারকম বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়। তবে এসবে বেশি কান দেন না তিনি। তাই আজও মদন মিত্র রাজ্য রাজনীতির এক ‘কালারফুল বয়’।

4 months ago
Mithun: পছন্দের ডাল, ভাত, আলু পোস্তে মিঠুনের মধ্যহ্নভোজ! চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে এলাহি আয়োজন

শালপাতার থালায় পছন্দের ডাল-আলু পোস্ত ভাত তৃপ্তি করে খেলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায় বিজেপির (BJP) মহিলা বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে মধ্যহ্নভোজ সারেন মিঠুন চক্রবর্তী, সুকান্ত মজুমদার এবং সুভাষ সরকার। তাঁদের পদে ছিল ডাল, ভাজা, পোস্ত, পাঁপড়, চাটনি। এই হরেক পদ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজের হাতে পরিবেশন করেই 'মহাগুরু'-সহ সুকান্ত মজুমদার, সুভাষ সরকারদের খাওয়ালেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক। আর তৃপ্তি ভরে পছন্দসই এই খাবার (Lunch at Bakura) খেয়ে মিঠুনের মন্তব্য, 'এটাই তো বাঙালির খাবার, বাড়িতেও তো বাঙালি খাবার খাই।' তিনি বলেছেন, 'আগে কথা দিয়েছিলাম চন্দনার বাড়িতে আসবো এবং খাবো। সেটাই করতে এলাম।' 


এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য বিজেপির একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে বাংলায় মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকে বিজেপির শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে মধ্যহ্নভোজ সারেন তিনি। অংশ নিয়েছেন মেজিয়ার পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলনে। মিঠুনের সঙ্গে চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ সুভাষ সরকার। এদিন চন্দনা এবং তাঁর পরিবার নিজ হাতেই মধ্যহ্নভোজের হরেক পদ রান্না করেছেন। 

বৃহস্পতিবার চন্দনা বাউড়ির গ্রামে উপচে পড়েছিল ভিড়। টলিউডের 'মহাগুরু'কে একবার চোখের দেখা দেখতে বাড়ির ছাদে, পাঁচিলে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে স্থানীয়দের। বুধবারও পুরুলিয়ার কর্মসূচির মাঝেই এভাবেই মধ্যহ্ন ভোজ সেরেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।

4 months ago


Shimla: ৭৫ হাজার টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই বাঁদরের! টাকা ছিঁড়ে, উড়িয়ে বাঁদরামি

টাকা ছিনতাই মানুষের জন্য বড়সড় অপরাধ। কিন্তু এই কাজ যদি বাঁদর করে তাহলে আইপিসির কোন ধারায় মামলা? এই প্রশ্ন এখন ঘুরছে সিমলার (Shimla) আকাশে-বাতাসে। জানা গিয়েছে, ফোন বিলের টাকা জমা দিতে গিয়ে এক বাঁদরের (Monkey) খপ্পরে পড়েন এক ব্যাক্তি। তাঁর হাতের ব্যাগে ছিল ৭৫ হাজার টাকা। যে রাস্তা দিয়ে ওই ব্যক্তি যাচ্ছিলেন, সেই রাস্তার পাশেই বসে ছিল এক দল বাঁদর। সেই দলের মধ্যে থেকে এক বাঁদর আচমকাই ওই ব্যক্তির উপর হামলা করে টাকাভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে (Bag Snatching) নিয়ে। তারপরেই উঁচু জায়গায় উঠে বসে।

ব্যাগভর্তি টাকা হাত থেকে ছিনতাই হতেই চিৎকার জুড়ে দেন ওই ব্যক্তি। সেই চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে আসেন। স্থানীয়রা দেখেন, অফিসের ছাদে বসে সেই টাকা নিয়ে খেলছে 'ছিনতাইবাজ' বাঁদর। কিছু টাকা ছাদের উপর থেকে নীচে ফেলছেও। এই বাঁদরামি দেখে ততক্ষণে আরও কয়েকটি কৌতূহলী বাঁদর সেখানে জুটে যায়। নীচে দাঁড়িয়ে অসহায়ের মতো সেই দৃশ্য দেখছিলেন সবাই।

যদিও অফিসের ছাদে কয়েক জন উঠে বাঁদরের হাত থেকে সেই ব্যাগ কে়ড়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে, আরও উঁচুতে লাফ মারে সেই বাঁদর। নিচে হৈচৈ জুড়ে যাওয়ায় কিছুটা ভয় পেয়ে ব্যাগটি কার্নিসেই রেখে এলাকা ছাড়ে ওই বাঁদরের দল। এরপর টাকার ব্যাগ উদ্ধারের পর দেখা যায়, ৭৫ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা গায়েব।

4 months ago
Maldah: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা! বিধায়কের ভূমিকায় বিতর্ক

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস। তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে সরব এক মহিলা। মালদহ (Maldah) কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social media) ভাইরাল মহিলার বক্তব্য। আর এরই মধ্যে সালিশি সভার আয়োজন করে টাকার বিনিময়ে মামলা প্রত্যাহারের অভিযোগও ওঠে। যদিও সালিশির মধ্যে ভুল কিছু দেখছেন না বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক (Trinamool MLA)। তবে এই ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)। অন্যদিকে এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই রহস্যজনকভাবে উধাও অভিযোগকারিণী ও অভিযুক্ত প্রধান।

বীরনগর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পল্টু মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং ধর্ষণের। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কালিয়াচক থানা ৪১৭ এবং ৩৭৬ ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। কিন্তু এরই মধ্যে সালিশি সভা বসিয়ে পুরো বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেন বৈষ্ণব নগরের তৃণমূল বিধায়ক ও তাঁর স্বামী বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।

নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁর স্বামী ভিন রাজ্যে কাজ করেন। এই সুযোগে প্রধান পন্টু মণ্ডল তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাস করেন, এমনকি ধর্ষণ পর্যন্ত করেন। গত তিনমাস ধরে পল্টু মণ্ডল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি, ফলে তিনি বাধ্য হয়ে বিধায়কের কাছে যান। এরপরই বাড়িতে ডেকে টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয় এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার।

এই বিষয়ে বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক চন্দনা সরকার বলেন, "উভয় পক্ষই আমাদের কাছে এসেছিল। গ্রামের মানুষের উপস্থিতিতে দেড় লক্ষ টাকা প্রধানকে দিতে বলেছি সবকিছু মিটিয়ে নেওয়ার জন্য। গ্রামে এই ধরনের বিচার হয়ে থাকে।" এরই পাশাপাশি নির্যাতিতার চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বৈষ্ণনগরের তৃণমূল বিধায়ক।

আর এই ঘটনা সামনে আসতেই তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। উত্তর মালদহ বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের নারী মর্যাদা নিয়ে বড় বড় কথা বলেন তৃণমূল নেতারা। আরেকজন তৃণমূল বিধায়ক দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে সালিশি সভা করে মিটিয়ে দিচ্ছেন। এর থেকে লজ্জার কিছু আর হতে পারে না। এরপর তৃণমূল ঘোষণা করে দিক আইন আদালত কিছু থাকবে না এখানে তৃণমূলের শাসন চলবে।" যদিও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ধর্ষণের সেই প্রধান পল্টু মণ্ডলকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

5 months ago