
বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। টানা ৮ মাস যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ থাকবে সেতুতে। ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী কোনও গাড়ি যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তার জন্য বিকল্প রাস্তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যাসাগর সেতুর বদলে ভারী যানগুলি নিবেদিতা সেতু দিয়ে পার করানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
ডি এল খান রোডের দিক থেকে এজেসি বোস রোড হয়ে যে গাড়িগুলি আসছে, সেগুলি হসপিটাল রোড, কে পি রোড, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড হয়ে এসপ্ল্যানেড ক্রসিং, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পার করে নিবেদিতা সেতু দিয়ে পাঠানো হবে। আর এক্সাইড ক্রসিং থেকে আসা ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে জওহরলাল নেহরু রোড, ডোরিনা ক্রসিং, সি আর এভিনিউ, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পার করে টালা ব্রিজ, ডানলপ ক্রসিং হয়ে নিবেদিতা সেতু দিয়ে পার করানো হবে। আর পোর্ট ট্রাস্টের গাড়িগুলি রাত ১২টার পর সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে।
আট মাসের জন্য ভারী যান চলাচলে কড়াকড়ি থাকবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাই গাড়ি নিয়ে বেরোতে গিয়ে যাতে সমস্যায় না পড়েন, তাই বিকল্প রাস্তা জেনে নিন।
আর্থিক প্রতারণার দায়ে কিছুদিন আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন গায়ক নোবেল (Mainul Ahsan Noble)। অবশেষে মোটা অংকের বন্ড সই করে ছাড়া পেলেন তিনি। বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো দিয়েই উত্থান হয়েছিল গায়ক নোবেলের। ভারত-বাংলাদেশ, দুই বাংলাতেই দর্শকেরা তাঁকে চিনতে শুরু করেছিলেন। জেমসের পর নোবেলের কণ্ঠে 'সেই তুমি আজ কেন অচেনা হলে!' গানটি শুনতে পছন্দ করতেন দর্শক। সেই চেনা নোবেলকেই এখন অচেনা ঠেকছে দর্শকদের।
গত কয়েকমাসে একাধিকবার চর্চায় উঠে এসেছেন নোবেল। ফেসবুকে তাঁর একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়ে ছয়লাপ হয়েছিল নেট দুনিয়া। কিছুদিন আগে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে। মদ্যপ নোবেল স্টেজে উঠে স্পষ্ট মাতলামি করার দৃশ্য ধরা পড়েছিল। এই ঘটনার পর নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন, প্রত্যেক মাসে নোবেলের বহু টাকার মাদক দ্রব্য লাগে। এই ঘটনার পর নোবেলের স্ত্রী তার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন।
এই এত কিছু নিয়ে চর্চা হলেও নোবেলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আর্থিক প্রতারণা মামলায়। এক স্কুলের অনুষ্ঠানে গান গাইবেন বলে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েছিলেন নোবেল। কিন্তু নির্ধারিত দিনে গায়ক সেই অনুষ্ঠানে যাননি। এরপরেই স্কুলের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি নোবেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে গায়ককে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিস। বাংলাদেশের তদন্তকারী সংস্থার ম্যারাথন জিজ্ঞাসার মুখ পড়তে হয়েছিল নোবেলকে। অবশেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকা দিয়ে মঙ্গলবার ছাড়া পেলেন তিনি।
সপ্তাহের প্রথম দিনই যাত্রী ভোগান্তির শিকার শিয়ালদহ-নৈহাটি লাইনে। শিয়ালদহ মেইন লাইনের (Sealdah Main Line) ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত। জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ-নৈহাটি শাখার বেশ কয়েকটি ট্রেন দেরিতে চলছে। সিগন্যালিং সমস্যার কারণেই এই বিপত্তি বলে রেল সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, নৈহাটি-ব্যান্ডেল শাখায় সিগন্যালিং ব্যবস্থায় কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। তারই প্রভাব পড়েছে শিয়ালদহ-নৈহাটি-কল্যাণী শাখায়। যাত্রীদের অভিযোগ, দেরিতে চলছে বেশ কয়েকটি ট্রেন। বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেনের চাকা থমকে রয়েছে বলে খবর। দ্রুত সিগন্যালিং ব্যবস্থার ত্রুটি সারিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, সপ্তাহের শুরুর দিনে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় ব্যাপক দুর্ভোগের মুখে পড়েন যাত্রীরা। একেই ট্রেনের দেরি, তার উপর গরমের মধ্যে ভিড়ের চাপে নাজেহাল যাত্রীরা। এদিন সময়ের মধ্যে কাজে পৌঁছতে পারেননি অনেকেই। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
বিতর্কের খাতায় আরও এক নম্বর বাড়ালেন বাংলাদেশী গায়ক মইনুল আহসান নোবেল (Mainul Ahsan Noble)। এবার গায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দায়ের হল। মতিঝিল থানায় দায়ের করা সেই অভিযোগের ভিত্তিতে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা অর্থাৎ ডিবি পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে। ইতিমধ্যেই তাঁকে জেরা করছে বাংলাদেশ পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ। নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতারণার। জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত এপ্রিলের শেষের দিকে।
গত ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট হাইস্কুলের, ২০১৬ সালের এসএসসি ব্যাচের পুনর্মিলনের আয়োজন করা হয়েছিল। গান গাওয়ার পরিবর্তে নোবেলের সঙ্গে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা চুক্তি করা হয়েছিল। সেই অর্থ নিলেও, অনুষ্ঠানের দিন গান গাইতে যাননি নোবেল। এরপরেই নোবেলের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ এবং প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। জানা গিয়েছে, বর্তমানে নোবেলকে সিরিজ জেরা করা হচ্ছে।
বিগত বেশ কিছুদিন ধরে নোবেলের বিরুদ্ধে কেবল অভিযোগ আর অভিযোগের পাহাড় তৈরী হয়েছে। কিছুদিন আগে একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, মদ্যপ অবস্থায় মঞ্চে গান গাইতে উঠেছিলেন নোবেল। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী জানিয়েছিলেন, নোবেল বেশিরভাগ সময়েই নেশায় মত্ত থাকেন। এও জানিয়েছিলেন নোবেল মাসে ১ লক্ষ টাকা কেবল নেশার জন্য খরচ করেন। নোবেলের এই স্বভাবের জন্য কিছুদিন আগেই তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন সালসাবিল।
ফের বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নোবেল (Noble)। গত বৃহস্পতিবার গায়কের সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদের (Divorce) কথা প্রকাশ্যে আনেন তাঁর স্ত্রী সালসাবেল (Salsable)। তিনি জানান, নোবেল মাদক না ছাড়তে পেয়ে স্ত্রীকে ছাড়তেই রাজি হয়েছেন। তাই পরিবারের সিদ্ধান্তে নোবেলকে ডিভোর্স দিয়েছেন সালসাবেল। এবারে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে, যা প্রকাশ্যে এনেছেন সালসাবেলই। অভিযোগ উঠছে, নোবেল তাঁর বাবা-মায়ের উপর অত্যাচার করতেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাঁকে ধিক্কার জানিয়েছে জনতা।
বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমকে নোবেলের স্ত্রী বলেছেন, 'নোবেল সবাইকে মারধর করত৷ এমনকি নিজের মাকে পর্যন্ত ছাড়েনি৷ মাকে মেরে এমন অবস্থা করেছিল যে হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে যেতে হয়েছিল৷ নোবেলের এই আচরণে ক্ষুব্ধ তার পরিবারও ৷ ওর বাবা পর্যন্ত ওকে ত্যাজ্যপুত্র করেছেন৷ আমাদের বিয়ের সময়ও পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল৷ তবে এখন একদমই সম্পর্ক ভাল নেই৷ আমি একা নই, ওর পরিবারও ওকে শোধরানোর চেষ্টা করেছিল৷ তবে এখন সকলেই হার মেনেছে ওর কাছে৷'
বিগত কয়েকদিন ধরে মইনুল আহসান নোবেলকে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। কলেজের অনুষ্ঠানের পর থেকে তাঁর উপরে ক্ষিপ্ত সেদেশের জনতা। এবারে তাঁর বিরুদ্ধে বাবা-মায়ের উপর অত্যাচার করার অভিযোগ উঠতেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন প্রত্যেকেই।
বাংলাদেশী গায়ক মইনুল আহসান নোবেল মানেই একসময় ছিল গান। আর বর্তমানে নোবেল মানেই বিতর্ক। জীবন থেকে যেন দূরে সরে গিয়েছেন নোবেল। সামাজিক মাধ্যমে কিংবা জনসমক্ষে এমন কাজ করে বসছেন, যে নিজেই নিজের জনপ্রিয়তা ধ্বংস করছেন দু'হাতে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একটি অনুষ্ঠানে গান গাইবার কথা ছিল নোবেলের। সময়ের থেকে আরও অনেকটা দেরিতে মঞ্চে উঠেছিলেন নোবেল। মদ্যপ, বেসামাল অবস্থায়। তাঁর অনিয়ন্ত্রিত দেহভঙ্গি, জড়িয়ে যাওয়া কথাবার্তা, দর্শকদের উদ্দেশে করা মন্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে দুই বাংলায়। সেই ঘটনার সাফাই দিতেই নোবেল এবার এমন মন্তব্য করলেন, যা শুনে আরও রেগে গেলেন দর্শক।
বাংলাদেশের এক সাংবাদিকের সঙ্গে অডিও সাক্ষাৎকারে নোবেলকে বলতে শোনা গিয়েছে ,'আমি বাংলাদেশের দুই তিনটে ক্লাবের সদস্য। আমার কাছে মদ খাওয়ার লাইসেন্স রয়েছে। গান গাওয়ার আগে ফিলিংস আনার জন্য মদ খাওয়ার দরকার পড়ে। শুধুমাত্র গলা ভেজানোর জন্যই মদ খেয়েছিলাম। কোনও কারণে বেসামাল হয়ে পড়ি। বাংলাদেশের শ্রোতারা আমার বডি ল্যাঙ্গুয়েজে কষ্ট পেয়েছেন, আমি তাঁদের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চাইছি।'
প্রসঙ্গত সেইদিনের অনুষ্ঠানে নোবেলের অঙ্গভঙ্গি দেখে একপ্রকার ক্ষিপ্ত হয়ে যান দর্শকেরা। বোতল, জুতো হাতের কাছে যা পেয়েছেন তাই ছুড়ে মেরেছিলেন গায়কের দিকে। নোবেলের সাক্ষাৎকারের অডিও ক্লিপ বর্তমানে ভাইরাল নেট দুনিয়ায়। নোবেলের যুক্তিতে আরও রেগে গিয়েছেন নেটিজেনরা।
কলকাতার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো-র মঞ্চ থেকে উত্থান হয় (Bangladesh) গায়ক মইনুল আহসান নোবেলের (Mainul Ahsan Noble)। গান গেয়ে দুই বাংলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রায় আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা যেন ধীরে ধীরে লুটিয়ে পড়ছে মাটিতে। শুক্রবার নেট মাধ্যমে নোবেলের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ঘটনা বাংলাদেশের হলেও এই বাংলার নেট নাগরিকরাও সেই দৃশ্য দেখেছে, সমালোচনা করেছে। স্টেজে ওঠা নোবেল সকলের কাছে অচেনা।
শুক্রবার বাংলাদেশের এক অনুষ্ঠানে গান গাইবার কথা ছিল নোবেলের। ৯ টায় স্টেজে ওঠার কথা থাকলেও, গায়ক স্টেজে ওঠেন রাত ১১টা ২০তে। স্টেজে উঠেই মাইকের স্ট্যান্ড দিয়ে স্টেজে আঘাত করতে থাকেন। তিনি মাইকে কথা বলতে শুরু করলে বোঝা যায়, গায়ক মত্ত। দর্শকাসনের জনতা তখন চিৎকারে ফেটে পড়েছে।
গায়ক সেসবকে তোয়াক্কা না করে মত্ত হয়েই গাইতে শুরু করেন। তাঁর অনিয়ন্ত্রিত দেহভঙ্গি দেখে দর্শকেরা জুতো-বোতল যা পেয়েছেন, ছুড়ে মেরেছেন। এরপর অনুষ্ঠানের আয়োজকরা গায়ককে সামলে নিয়ে স্টেজ থেকে নামিয়ে নিয়ে যান। এই ভিডিও এখন ছয়লাপ সামাজিক মাধ্যমে।
ব্যক্তিগত জীবনে খুব একটা সুখে নেই নোবেল। স্ত্রী তাঁর সঙ্গে থাকেন না। নোবেল কিছুদিন আগে নেট মাধ্যমে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথাও লিখেছেন। যদিও তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, নোবেলের নেশার দোষেই তিনি আর একসঙ্গে থাকতে চান না।
উড়ালপুলের মেরামতির কাজের কারণে রবিবার সারাদিন বন্ধ হাওড়া এবং ব্যান্ডেল থেকে বর্ধমানগামী সব ট্রেন। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে পূর্ব রেল। বর্ধমান-আসানসোল এবং বর্ধমান-রামপুরহাট শাখাতেও লোকাল ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে ছুটির দিনে। তবে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড এবং মেন শাখায় কিছু স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে। রেল জানিয়েছে, রবিবারের জন্য মেন শাখায় হাওড়া থেকে শক্তিগড় পর্যন্ত ১৩ জোড়া ট্রেন চলবে। অন্যদিকে, কর্ড শাখায় ১০ জোড়া হাওড়া-মসাগ্রাম চলবে।
জানা গিয়েছে, শুধু ছুটির রবিবারই নয়, কাজের দিন অর্থাৎ সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত হাওড়া-বর্ধমান (কর্ড এবং মেন মিলিয়ে), ব্যান্ডেল-বর্ধমান, বর্ধমান-আসানসোল এবং বর্ধমান-রামপুরহাট এই সব ক’টি শাখায় বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন বাতিল। বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাতিল হাওড়া-বর্ধমান সব লোকাল ট্রেনই। ওই সময় বন্ধ থাকবে ব্যান্ডেল-বর্ধমান লোকাল ট্রেন পরিষেবাও।
রেল জানিয়েছে, সোমবার হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখায় ৬ জোড়া এবং মেন শাখায় ৫ জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল। দুই শাখার একটিতেও কোনও স্পেশাল ট্রেন চলবে না। মঙ্গল ও বুধবারও হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখায় ১০ জোড়া এবং মেন শাখায় ১০ জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল।
কলকাতা থেকে হাওড়ায় নিত্যদিন যাতায়াত করা নাগরিক এবং পণ্যবাহী গাড়ির জন্য সুখবর। বড়দিনের আগেই খুলে যাবে সাঁতরাগাছি ব্রিজ (Satragachi Bridge)। এমনটাই জানান রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায় (Minister Pulak Ray)। জানা গিয়েছে, বড় দিনের আগে খুলে দেওয়া হচ্ছে সাঁতরাগাছি ব্রিজ। মেরামতির কারণে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধ ছিল সাঁতরাগাছি উড়ালপুল।
হাওড়া থেকে কলকাতায় ঢোকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সাঁতরাগাছি উড়ালপুল। ২১ টি এক্সপ্যানশনে জয়েন্ট মেরামতির জন্য ১৯ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উড়ালপুলে যান নিয়ন্ত্রণ করার কথা ছিল সাঁতরাগাছি উড়ালপুলে। সেভাবে গত একমাস যাবৎ কলকাতা, সাঁতরাগাছি হয়ে জাতীয় সড়কগামী গাড়িগুলোকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব পণ্যবাহী যান চলাচল নিষিদ্ধ ছিল ব্রিজে, ভোর ৫টা-সকাল ১১টা পর্যন্ত শুধু চলতো ছোট যান। ফলে রাত বাড়লেই যানজট বেড়েছে শহর কলকাতার বুকে।
পাশাপাশি সপ্তাহ ঘুরলেই উৎসবের আবহ। বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষ। সেই আবহে ২৫ ডিসেম্বরের আগে সাঁতরাগাছি ব্রিজ খুলে গেলে অনেক সুরাহা পাবে আম আদমি।
ফের চিকিৎসকের গাফিলতির (Doctor's negligence) অভিযোগ। প্রসূতি বিভাগে এক মহিলার মৃত্যুতে (dead) উত্তেজনা ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে (Mainaguri Rural Hospital)। এই হাসপাতালেরই এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে, অল্প টাকার জন্য রোগীকে স্থানান্তরিত করতে বাঁধা দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার জেরেই মূলত মারা যান ওই মহিলা। অবিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হয় বিক্ষোভ (agitation)। ঘটনায় শোকাহত পরিবার।
জানা গিয়েছে, গত ২ রা অক্টোবর প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন অঞ্জনা মণ্ডল সরকার নামে এক মহিলা। সেই রাতেই এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তবে অঞ্জনা দেবীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত পরিবারের লোকজনকে ডেকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা বলেন। কিন্তু এদিকে রোগীর প্রচন্ড রক্তপাত শুরু হয়। পরিবারের লোক দ্রুত জলপাইগুড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা টাকা নেওয়ার জন্য আটকে রাখে রোগীকে, এমনই অভিযোগ পরিবারের। এই অবস্থায় বেশ অনেকক্ষণ হাসপাতালেই কেটে যায় তাঁদের। শেষমেশ অঞ্জনা দেবীকে নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ির সদর হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বলেন অনেক দেরি করে নিয়ে যাোয়া হয়েছে তাঁকে। অবশেষে সেখানেই ভোর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
এরপরই ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন মৃতার পরিবার। সোমবার সেই অভিযোগকে সামনে রেখেই অল ইন্ডিয়া নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদের পক্ষ থেকে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভ এবং স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এবিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ড: লাকি দেওয়ান বলেন, "বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তদন্ত করে দেখা হবে।"
পালন করা যায়নি রাখি উৎসব। পালন করা যাবে না হর ঘর তিরঙা। পালন করা যাবে না স্বাধীনতা দিবস। কারণ ওদের কাছে নেই পর্যাপ্ত অর্থ। নেই সংসার চালানোর খরচটুকুও। দেওয়া যাচ্ছে না স্কুল ফি। ভাতের হাঁড়ি চড়ছে না বাড়িতে। কোথায় পাবে টাকা। অর্থের অভাবে বোনকে পড়ানো যায়নি রাখিও। বাড়ির বাচ্চাদের কিনে দেওয়া যাবে না একটা পতাকাও। তবে ওরা কাজ করে। আর কাজ করেও দিনের পর দিন টাকা না পেয়ে আন্দোলনে ১০৬ জন শ্রমিক। আর মেন্টেনেন্সকারি এই শ্রমিকদের কাজ বন্ধের কারণে বিপদে আবাসিকরা। বন্ধ আসানসোলের (Asansol) বিত্তশালী আবাসন সুগম পার্কের জল (water), বিদ্যুৎ (electricity), সাফাই, বাস পরিষেবা ও নিরাপত্তা।
প্রসঙ্গত, উত্তর আসানসোলের দুর্গাপুর ডেভেলপনেন্ট অথরিটির (Durgapur Developer Authority) ও সুগম পার্কের যৌথ উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই আবাসনে থাকেন উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা। আছেন ইসিএল-এর প্রাক্তন জিএম, আছেন জেলাশাসক অফিসের কর্মী, আছেন তৃণমূল বা বিজেপি নেতারা, থাকেন বড় বড় ব্যবসায়ীরা। আর তাঁদের জল, সাফাই, নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ বা বাস পরিষেবার ব্যবস্থা যারা করেন তারাই বেতনহীন ২ মাস ধরে। তাঁদেরই বাড়িতে হাঁড়ি চড়ে না।
শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভরত কর্মীরা তাঁদের বেদনার কথা জানালেন। বললেন, অনেক হয়েছে। আর নয়। টাকা হাতে না পেলে আর কাজ নয়। শ্রমিকদের কাজ বন্ধে বিপদে আবাসিকরা। তাঁরা আবার জানান, মেন্টেনেন্সের টাকা তাঁরা দেন। এই মুহূর্তে জল, বিদ্যুৎ, সাফাই, বন্ধ হবার কারণে যথেষ্ট অসুবিধায় তাঁরা।
সূত্রের খবর, উক্ত আবাসনে কোটিপতিরা থাকলেও মেন্টেনেন্স দেন না অনেকেই। কোনও কোনও ব্লকে ৪৭ লক্ষ টাকা বাকি, আবার কোনও কোনও প্লটে ১০ লক্ষ টাকা মেন্টেনস বাকি। আবাসন কর্তৃপক্ষের কথায়, মেন্টেনেন্স না পেলে কোনও মতেই বেতন দেওয়া সম্ভব নয়।
রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সোসাইটি শুধু আশ্বাস দিচ্ছে বলে অভিযোগ। আসল কাজ কিছুতেই হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছেন বিক্ষোভকারিকা। যতক্ষন পর্যন্ত বেতন না পাবেন ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান শ্রমিকরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে আবাসিকরা। এলাকায় রয়েছে উত্তেজনা।