Breaking News
Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে     

loksava

Arjun Singh: 'অপমানিত', মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অর্জুন সিং, খুলে ফেলা হল দলীয় পতাকা

১০ তারিখ জনগর্জন সভায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে ব্যারাকপুর। অপমানিত হয়েছেন অর্জুন সিং, বলছে ব্যারাকপুরবাসী। মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছেন, বলছেন অর্জুন সিং নিজেই। এমনকি সোমবার সকাল থেকেই ভাটপাড়ার মজদুর ভবন থেকে খুলে ফেলা হয় দলীয় পতাকা।

এমনকি এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলা হলে তাঁরাও কার্যত জানান, তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তে ব্যারাকপুর লোকসভাটাই হাতছাড়া হল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অপমানিত হয়েছেন অর্জুন সিং।

অপরদিকে অর্জুন সিং কী বলছেন? সেদিকে নজর ছিলই রাজ্যবাসীর। তবে সাংবাদিক বৈঠকে সোমবার অর্জুন সিং জানালেন, আমাকে টিকিট দেওয়া হবে বলেই ডাকা হয়েছিল। তবে তালিকা ঘোষণার দিন সেখানে হাজির হয়ে জানতে পারেন, তাঁকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। মানসিক ভাবে আঘাত পেয়েছিলাম। তবে তা অনেকটা কেটেছে আজ।

a month ago
Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে নতুন করে বামেদের সভার দিনই জারি ১৪৪ ধারা

ভোটমুখী বঙ্গে সন্দেশখালি ইস্যুতে উত্তেজনার পারদ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। তৃণমূলের ব্রিগেডের পাল্টা সভার ডাক দেয় সিপিএম। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং প্রাক্তন স্থানীয় সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের নেতৃত্বে সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকে সভার আয়োজন করে বামেরা। বামেদের সভার দিন সন্দেশখালিতে নতুন করে জারি ১৪৪ ধারা। সোমবার সকাল থেকে ধামাখালি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয় বসিরহাট জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে। এতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

ধামাখালি ঘাট ছাড়াও সরবেড়িয়া মোড় ও রাজবাড়ি বাজার এলাকাকেও ১৪৪ ধারার আওতায় আনা হয়েছে ন্যাজাট থানার পক্ষ থেকে। আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে খবর সূত্রের। তবে এই মুহূর্তে অনেকটাই শান্ত সন্দেশখালি। কি কারণে নতুন করে জারি করা হল ১৪৪ ধারা? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাতেই কার্যত বিপাকে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। দ্রুত ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়ার দাবি সাধারণ মানুষের।

a month ago
PM Modi: বাংলাকে আত্মনির্ভর করে তোলার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর, কৃষ্ণনগরে সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন-শিলান্যাসে মোদী

বাংলার উন্নতি মানে দেশের উন্নতি। আর বাংলাকে আত্মনির্ভর করতেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। শনিবার কৃষ্ণনগর থেকে এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার সাত হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের পরে এদিনও ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের কথা জানান। বাংলার উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী সর্বদা রয়েছেন। এমনটাই কৃষ্ণনগরের সভা থেকে আশ্বাস দিলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ফারাক্কা থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত হাইওয়ে তৈরি করা হয়েছে। মোদী জমানায় পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়নের দরজা খুলে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। রাজ্যের একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। এর মধ্যে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধন করেন। ফরাকা থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত চার লেনের জাতীয় সড়কের উদ্বোধনও করেন। আজিমগঞ্জ-মুর্শিদাবাদ রেল প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন তিনি। তিনি বলেছেন, রঘুনাথপুরে তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে এগারো হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার ও শনিবার মিলিয়ে রাজ্যের জন্য বাইশ হাজার কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। শুক্রবার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, বাংলায় রেলের উন্নয়ন এমন হওয়া দরকার যেমনটা অন্য রাজ্যে রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, বিকশিত ভারত গড়ার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেখানে গরিব, মহিলা ও যুবদের সব থেকে বড় ভূমিকা থাকবে।

কৃষ্ণনগরের সভায় জনগণের ঢল দেখা যায় এদিন। তিনি বলেন, বাংলার বিকাশ হলেই দেশের বিকাশ। এই রাজ্য থেকে বিজেপিকে ৪২ টি আসনের সবকটিই দখল করতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসও ৪২ টির মধ্যে ৪২টি দখলের স্লোগান রেখেছিল। তারপর তারা গিয়ে থামে ২২ টিতে।


2 months ago


PM Modi: 'গরিবকে লুটেছেন, টাকা ফেরাতে হবে, কাউকে ছাড় নয়,' আরামবাগে বললেন মোদী

চিটফাণ্ড থেকে নিয়োগ দুর্নীতি। একাধিক ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে তীব্র আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। যে কোনও সময় ভোটের দিন ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন।

একেবারে ভোটের মুখে বাংলায় দাঁড়িয়ে ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে একযোগে তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ শানালেন তিনি।

আরামবাগের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার পরিস্থিতি কেমন তা গোটা দেশ দেখতে পাচ্ছে। তৃণমূল শুধুই মুখে মা-মাটি এবং মানুষের কথা বলে। আদৌতে কী হচ্ছে তা সবাই দেখতে পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, গরু থেকে নিয়োগ, সব ক্ষেত্রেই তৃণমূল দুর্নীতি করছে বলে এদিন তীব্র আক্রমণ শানান নরেন্দ্র মোদী। বলেন, শিক্ষক নিয়োগ থেকে পুরসভায় নিয়োগ। সবক্ষেত্রেই তৃণমূল দুর্নীতি করছে। এমনকি গরীবদের রেশন থেকে শুরু করে সীমান্ত থেকে পশুপাচার করা হচ্ছে বলেও আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী। আর সেই কারণেই তৃণমূলের মন্ত্রীদের বাড়িতে বিশাল নোটের পাহাড় দেখা গিয়েছে। যা সিনেমাতেও দেখা যায় না। অপরাধ এবং দুর্নীতির নতুন মডেল বাংলায় তৈরি হয়েছে বলেও এদিন দাবি করেন নরেন্দ্র মোদী।

তবে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে মোদী! আর সেজন্যে ওরা দুশমন নম্বর ওয়ান আমাকে মনে করে। তবে চুরি করতে দিতে পারি না আমি। যারা গরীবদের টাকা লুঠ করেছে তাঁদের সবাইকে টাকা ফেরত দিতে হবে বলেও এদিন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এটা মোদীর গ্যারেন্টি বলে মন্তব্য তাঁর।

পাশাপাশি রাজ্যের কারণে কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প কীভাবে আটকে রয়েছে বাংলায় সেই কথাও এদিন বাংলার মানুষের সামনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে কিন্তু কাজ করতে পারছে না তৃণমূল সরকার। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ঝরিয়া আর রানিগঞ্জে কয়লা প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন।

গোটা দেশে দ্রুত গতিতে কাজ হলেও এখানে তা কচ্ছপের গতিতে এগোচ্ছে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রী। আর এই সমস্ত প্রকল্পে গতি আনতে বাংলার সব কেন্দ্রে পদ্মফুল ফোটানোর আবেদন করেন তিনি।

2 months ago
Modi: লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে রাজ্য়ে প্রধানমন্ত্রী, বাংলায় প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির? জল্পনা

রাজ্যে লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে আজ, শুক্রবার থেকেই প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিন বছর বাদে বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী। এদিন আরামবাগের সভাস্থল থেকে একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি সভায় বক্তব্য় রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামীকাল কৃষ্ণনগরে সভা করবেন তিনি। তারপরে আবার ৮ তারিখে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, এমনটাই সূত্রের খবর।

অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নামেন সকাল ১০.২০ মিনিটে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিজেপি নেতাদের পাশাপাশি বিমানবন্দরে হাজির হন রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। এখনও ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তার আগেই বিজেপি ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটে আরামবাগে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। মাত্র ১২ ভোটে হারতে হয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। সেকারণে আরামবাগে এবার ঘর গোছাতে তৈরি বিজেপি। আগামীকাল, শনিবার আবার কৃষ্ণনগরে সভা করবেন তিনি। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিজেপির কাছে। এই কেন্দ্রে গতবার ভাল ভোট পেয়েছিল বিজেপি। সেকারণে এবার আগে থেকেই মোদীর সভা করে ভোট ব্যাঙ্ক সুরক্ষিত করে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির। আজ রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরন্দ্র মোদী। এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন তিনি। সেখান থেকে আগামীকাল সকালে তিনি চলে যাবেন কৃষ্ণনগরে সভা করতে। সেখান থেকে বিহারের গয়ায় কপ্টারে উড়ে যাবেন তিনি। মোদীর পর পর দুটি সভা ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ।

আজ আরামবাগের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী সন্দেশখালি নিয়ে কোনও বার্তা দেন কিনা সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে আজই আবার রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে চলেছে রাজ্যে। কলকাতায় বেথুন স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

2 months ago


Sandeshkhali: ভোটের আগে উত্তপ্ত সন্দেশখালি, বিশেষ নজর নির্বাচন কমিশনের

লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। মাছের ভেড়ি নষ্ট, জমি দখল, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, মাঠ দখল, হাজার হাজার গাছ কেটে সাফ করার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে শেখ শাহজাহান ও তাঁর দুই অনুগামী উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরার বিরুদ্ধে। প্রতিদিনই জনরোষ প্রকাশ্যে আসছে। এর মধ্যেই  সন্দেশখালিতে বিশেষ নজর রাখছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন, এমনটাই জানা গিয়েছে।

সন্দেশখালির বিষয়ে নজর দিয়েই নতুন করে স্পর্শকাতর বুথ তৈরীর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা রয়েছে, ২০১৯ এবং ২১ এর নির্বাচনের সময় ছাড়াও বিগত কিছুদিন রাজ্যের যে যে জায়গাগুলিতে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে সেই জায়গাগুলিকে পর্যবেক্ষণ করে যেন তালিকা তৈরি করা হয়। আর এখানেই কমিশন সূত্রে খবর, নতুন স্পর্শকাতর তালিকায় সন্দেশখালীর বুথ গুলোকে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৪ মার্চ রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তার আগেই সম্পূর্ণ স্পর্শকাতর বুথের তালিকা তলব কমিশনের।

সূত্রের খবর, সন্দেশখালির ঘটনায় প্রতিদিনের রিপোর্ট চাইছে কমিশন। অন্যান্য জেলারও সার্বিক রিপোর্ট তলব সিইও দফতরের। সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে একাধিক জেলায় অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এই প্রেক্ষাপটে কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিশেষ নজর কমিশনের, এমনটাই খবর। ২৮ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। সব মিলিয়ে নির্বাচনের আগে কমিশনের নজরে উত্তপ্ত সন্দেশখালি তা বলাই যায়।

2 months ago
Narendra Modi: পরিবারতন্ত্র বাদ দিয়েই আগামীতে মোদী

প্রসূন গুপ্তঃ ২০১৪ তে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীর স্লোগানই ছিল রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র বন্ধ করতে হবে। জিতেও ওই একই বক্তব্যে অটল ছিলেন তিনি। একই সাথে আরও একটি বিষয়ে মোদীর বার্তা কড়া ছিল, ৭৫ বছর বয়স হলে আর সাংগঠনিক বা প্রশাসনিক রাজনীতিতে থাকা চলবে না। এই ফর্মুলাতে বিদায় নিতে হয়েছিল বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা লালকৃষ্ণ আডবানীকে। একই ভাবে অনেককেই চলে যেতে হয়েছিল 'মার্গ দর্শনে' অর্থাৎ বাড়ির অন্দরে মোটামুটি।

মোদী প্রথম থেকেই আক্রমণাত্বক ছিলেন নেহেরু-গান্ধী পরিবারের প্রতি। আজ তিনি অনেকটাই এই বিষয়ে সার্থক। সোনিয়া রাহুল বা প্রিয়াঙ্কা রাজনীতিতে থাকলেও, তাঁদের ভূমিকা ভারতীয় রাজনীতিতে নেহাতই নগণ্য| মোদী জানেন তাঁর দলে এমন অনেকেই আছেন এখনও যাঁদের পরিবারের অনেকেই প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে আছেন। শোনা যাচ্ছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এখানেও তিনি 'ছাঁটাই পর্ব' রাখবেন। রাজনাথ সিং থেকে শুরু করে অনেকের পুত্র,কন্যা বা স্ত্রীরা রাজনীতিতে আছেন, তাঁদের ভবিষ্যত কি খুব দ্রুতই বোঝা যাবে। একই পরিবারভুক্ত দুই ব্যক্তি একই হাউসে তিনি রাখতে নারাজ। একই সাথে দীর্ঘদিন মুখ্যমন্ত্রীর পদে কেউ থাকবে না, তা তো এবারের তিন রাজ্যের নির্বাচনের পরেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। বিদায় নিতে হয়েছে শিবরাজ সিং চৌহানের মতো জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীকেও। তাঁকেও এক প্রকার মার্গ দর্শনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভারতীয় রাজনীতিতে 'সিন্ধিয়া' পরিবারেরও একটি ভূমিকা রয়েছে বা ছিল। গোয়ালিয়রের প্রয়াত মহারাজ পত্নী বিজয়রাজে সিন্ধিয়া আরএসএসের কাজের সঙ্গে জড়িয়ে যান। শোনা যায় ইন্দিরা গান্ধী যখন রাজপরিবারের ভূমিকা বাতিল করে দেন তারপর থেকেই বিজয়রাজে সক্রিয় ভাবে রাজনীতিতে চলে আসেন। ভোটেও দাঁড়ান প্রথমে জনসংঘের হয়ে, পরে বিজেপির হয়েও। রাজরানী ছিলেন বিজয়রাজে। অটলবিহারি বাজপেয়ীর খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে শোনা যায়। বিজয়রাজের পুত্র প্রথমে গেরুয়া পতাকার দিকে গেলেও পরে মায়ের সঙ্গে প্রবল সংঘাতে আলাদা হয়ে যান। রাজবাড়ীর এক প্রান্তে থাকতেন তিনি। পরে ইন্দিরার হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দেন এবং রাজীব গান্ধীর আমলে তাঁর মন্ত্রী হওয়া ছাড়াও আরও দায়িত্ব বাড়ে। মাধব রাওয়ের অসময়ে মৃত্যু হলে পুত্র জ্যোতিরাদিত্য কংগ্রেসে যোগ দেন এবং রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। মনমোহন সিংয়ের মন্ত্রিসভায় ১০ বছর মন্ত্রীও ছিলেন। অন্যদিকে মাধব রাওয়ের বোনেরা বিজেপিতে যোগ দেন। ইতিমধ্যে বিজয়রাজের মৃত্যু হয়েছে।

জ্যোতিরাদিত্যর ইচ্ছা ছিল মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কিন্তু ২০১৮-র বিধানসভার নির্বাচনে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর রাহুল, কমলনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করলে কয়েকমাস বাদে দল ভেঙে জ্যোতিরাদিত্য বিজেপিতে যোগ দেন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। অন্যদিকে আদবানি ঘনিষ্ঠ বসুন্ধরা রাজে দুবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। এবারের ভোটের পরে জ্যোতিরাদিত্যর ইচ্ছা ছিল মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার এবং তাঁর পিসি বসুন্ধরার ইচ্ছা ছিল রাজস্থানের মুখমন্ত্রীত্ব। কোনোটাই হলো না, স্রেফ মোদীর ইচ্ছায় বলেই গুঞ্জন। আগামীতে জ্যোতিরাদিত্যকে লড়াই করে জিতে আসতে হবে এবং মন্ত্রী করা হবে কিনা নির্ভর করবে ফের জয় এবং মোদীর ইচ্ছার উপরেই নতুবা সিন্ধিয়া পরিবারকেও মার্গ দর্শনে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।

4 months ago
Election: এগারোশো কোম্পানির চেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী লোকসভায়! ইঙ্গিত জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

শেষ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে এসেছিল প্রায় এগারোশো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তার থেকেও বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে এই রাজ্যে, এমনটাই ইঙ্গিত জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। কারণ, জাতীয় নির্বাচন কমিশন ২০১৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সব নির্বাচনের তথ্য সংগ্রহ করে রেখেছে। যার ভিত্তিতেই কমিশনের এই ইঙ্গিত।

সম্প্রতি রাজ্যে শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তাতে যে ছবি ধরা পড়েছে তা গোটা দেশবাসীর কাছে দিনের আলোর মতো পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকার নিরিখে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এখন থেকেই কোমড় বাঁধতে শুরু করেছে। যাতে করে রাজ্যের মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের ভোট নিজেই দিতে পারেন স্বাধীনভাবে। আর তার জন্য যা যা করার দরকার এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন সেটা করার জন্য সবরকম পদক্ষেপ করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।

শেষ তিন বছরের উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা থেকে শুরু করে সবকিছুই নিজেদের হাতের মুঠোয় রেখেছে কমিশন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার। তারপরেই কমিশন এবার যে ভূমিকা নিতে চলেছে তাতে অনেকেই একদিকে যেমন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে বারবার ভাববেন, অন্যদিকে যাঁরা  চান নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে তাঁরা এবার স্বাচ্ছন্দে ভোট দিতে পারবেন। গোটা দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের উপর বিশেষভাবে নজরদারি করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সেই গণতন্ত্র কে ফিরিয়ে আনতে কতটা সক্ষম হয় সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন।

5 months ago


BJP: আভ্যন্তরীন পরিবর্তনের পথে বিজেপি

প্রসূন গুপ্তঃ লোকসভা ভোটের আগে বিভিন্ন রাজ্যে এবং কেন্দ্রেও দলের পদাধিকারদের পরিবর্তনের পথে বিজেপি। একটা সময়ে প্রার্থী তালিকা থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর পদে যাঁরা আসবেন তার অনেকটাই নির্ভর করতো সংঘের উপরে। কিন্তু দিন পাল্টিয়ে গিয়েছে কাজেই এখন দলের কে কি করবে সেটাও ঠিক হয় মোদী-অমিত শাহের জুটির উপর বলেই গুঞ্জন। শেষ বিধানসভা নির্বাচনগুলোতে বিজেপির হাল মোটেই আশাব্যাঞ্জক নয়। হিমাচল এবং কর্ণাটক বিধানসভায় যেভাবে বিজেপির পরাজয় হয়েছে তাতে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল যে, সর্বত্র মোদী ম্যাজিক বা মোদীর প্রচার দিয়ে কাজ হওয়া কঠিন। ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদী তাঁর সাড়ে নয় বছর ক্ষমতায়, কাজেই রাজনীতির ক্ষেত্রে একটা বিরোধী হাওয়া তৈরি হবেই। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে ওই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিই প্রয়োজন বলেই মনে করে কেন্দ্রীয় বিজেপি। সামনেই বিশ্বকাপ ক্রিকেট ও দীপাবলির পরেই ৫ রাজ্যে নির্বাচন। এই নির্বাচন অনেকটাই লোকসভা ভোটের সেমিফাইনাল বলেই মনে করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞারা।

বর্তমান অবস্থান এবং দলের অবস্থা বুঝেই ফের প্রার্থী নির্বাচনের দায়িত্ব বিজেপির কোর কমিটি নিজেদের হাতেই নিয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে যতটা না চিন্তা দলের তার থেকে অনেক বেশি ভাবনা বাকি চার রাজ্য নিয়ে। এর মধ্যে তেলেঙ্গানায় বিজেপির সংগঠন অতি দুর্বল। সেখানে মূল লড়াই টিআরএস, তেলেগু দেশম ও কংগ্রেসের মধ্যে। কাজেই বিজেপি জানে কোনও ভাবেই তারা সেখানে সরকার গড়তে পারবে না। ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের বাঘেল দেশের অন্যতম কর্মবীর সুতরাং লড়াই কঠিন। মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান নিয়ে ভাবনা বিজেপির। এর মধ্যে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে, বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহান এবারে যাওয়ার পথে। বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি আপাতত চৌহানকে টিকিট দেবে কিনা ভাবছে। একই সাথে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এবং সাংসদদের অনেককেই বিধানসভায় দাঁড় করেছে দল। অন্যদিকে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসুন্ধারারাজে সিন্ধিয়া, মোদীর কোনও দিনও প্রিয়পাত্রী নন। সিন্ধিয়াকে এক প্রকার বাদ দেওয়ার পথে বিজেপি। যদিও বসুন্ধরা হুমকি দিয়েছেন তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ না করলে তিনি আলাদা কিছু ভাববেন। এই বিষয়টিকে পাত্তা না দিয়ে নতুন মুখের খোঁজে কেন্দ্রীয় বিজেপি।

7 months ago
BJP: হঠাৎ চার রাজ্যের সভাপতি বদল বিজেপির

২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন (Loksava Election)। এ অবস্থায় সংগঠনকে মজবুত করতে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না বিজেপি (BJP)। দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। এবস্থায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বিজেপির। তার মধ্যেই এবার একাধিক রাজ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (President) বদল করা হল।

সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে চার রাজ্যে বিজেপির সভাপতি বদল করা হয়েছে। তেলেঙ্গানায় বিজেপির রাজ্য সভাপতির চেয়ারে বসছেন জি কিষান রেড্ডি। অন্ধ্র প্রদেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন ডি পুরন্দেশ্বরী, ঝাড়খণ্ডে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডি, ও পঞ্জাবে দলের রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন সুনীল জাখর।

তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে. এবার একেবারে হিসাব কষে পা ফেলছে গেরুয়া শিবির। কারণ রাজ্য সভাপতি উপর সংগঠনের কাজকর্ম অনেকটাই নির্ভর করে। এক্ষেত্রে একাধিক রাজ্য রাজ্য সভাপতির পদে বদল এনে সংগঠনকে আরও বেশি করে গোছানোর উদ্যোগ নিল গেরুয়া শিবির।

10 months ago


Amit: এবার থেকে প্রতি মাসে রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ! লক্ষ্য লোকসভা

লোকসভা (Loksava) ভোটের আগে প্রতিমাসে রাজ্যে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (Home Minister) তথা বিজেপির (BJP) দক্ষ সংগঠক অমিত শাহ। শাহের এই সিদ্ধান্তে বেশ কয়েকরকমের মত থাকছেই। একদিকে যখন লোকসভা ভোটের গড় আকড়ে ধরার জন্য প্রতিমাসে রাজ্য আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অমিত শাহ। তখন একদল মনে করছেন অমিত শাহ রাজ্যে এলে কর্মীরা সজাগ হবেন, এছাড়া কর্মীদের সক্রিয় করতে পারদর্শী অমিত শাহ। অন্যদিকে তখন একদল মনে করছেন, অমিত শাহের ক্রমাগত রাজ্যে আসা, ২০২১ অর্থাৎ গত বিধানসভা ভোটের পুনরাবৃত্তি হবে, ফলে বহিরাগত তত্ত্ব তৃণমূলের হাতে বাড়তি অস্ত্র তুলে দেবে।

হতে পারে বিজেপির অন্যতম দক্ষ সংগঠকের মস্তিষ্কে তখন অন্য কিছু চলছে। আসন্ন পঞ্চায়েতের লড়াইয়ে যে বিজেপির সাংগঠনিক হাল বেহাল সেটা  বিজেপির সংগঠক অমিত শাহ বুঝেছেন। বিরোধীদের মত অবশ্য কিছুটা এরকম যে আর কিছুদিন পর লোকসভা ভোট। তার আগে পঞ্চায়েত ভোট। বিজেপির সংগঠনের হাল যদি এমন হয় তবে লোকসভাতে ভালো ভাবেই তৃণমূলের কাছে ঠোকর খেতে হতে পারে সে কথা কিন্তু অমিত শাহ জানেন, সে জন্যই হয়ত সংগঠন সামলাতে প্রতিমাসে রাজ্যে আসবেন। 

এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তৃণমূল আগামী নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে জাতীয় রাজনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালনের লক্ষ্য নিয়ে লড়াই করবে। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাই ৪০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন দলকে। শাহের গত মঙ্গলবারের সফরটি ছিল বিগত ছয় মাসের মধ্যে তৃতীয়। এবার তিনি প্রতিমাসে আসতে চান বলে মঙ্গলবার সফরের শেষ লগ্নে নৈশভোজের আসরে নিজেই বলেন।

12 months ago
Sarad: লোকসভার আগে এনসিপি প্রধান পদ থেকে অব্যাহতি শরদ পাওয়ারের

শরদ পাওয়ারের অবসর নিয়ে জল্পনা চলছিলই। এনসিপি (NCP) প্রধানের পদে শরদ পাওয়ারের থাকা নিয়ে চূড়ান্ত জল্পনার মাঝেই এবার প্রকাশ্যে এলো বড় খবর। অবশেষে এনসিপি প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। করলেন বড় ঘোষণা। বললেন, 'আমি এনসিপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করছি।'

প্রসঙ্গত, চব্বিশের লোকসভা (Loksava) নির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই ঘুঁটি সাজানো শুরু করে দিয়েছে শাসক-বিরোধী সব দলই। বিরোধী জোট নিয়েও বাড়ছে চাপানউতর। কিন্তু, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মহাবিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ) জোটের শরিকরা যৌথভাবে লড়াই করবে কি না, তা নিয়ে কিছুদিন আগেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন শরদ পাওয়ার। তারমধ্যেই এই পদত্যাগ নিয়ে জোর শোরগোল দেশের রাজনৈতিক মহলে।

12 months ago
Rahul: কেন্দ্র বিরোধী পরিস্থিতে মাখনে ছুরি চালাতে পারলেন কি রাহুল?

মানহানি মামলায় গুজরাটের সুরাট আদালতের নির্দেশে ২ বছরের সাজা হয় কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul gandhi)। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী বাতিল করা হলো রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ। যা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে গোটা দেশে। এ ঘটনা নিয়ে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রাহুলের পরিচিত সংবাদকর্মীদের একাংশের দাবি, শনিবার রাহুল অনেক কিছুই বলতে পারতেন। বলতে পারতেন গোটা দেশের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে, বলতে পারতেন গোটা দেশের বিরোধীদের এক করা নিয়ে। সম্প্রতি রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিজেপি বিরোধী সমস্ত দল গুলি? এরফলে তিনি শনিবার কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনতে পারতেন যে, চাপ দিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এমনটা তিনি করলেন না। কেন?

কেন্দ্র বিরোধী মাখনের মত এমন একটা পরিস্থিতি, কেন তিনি ছুরি চালিয়ে গোটা পরিস্থিতিটা নিজের পক্ষে করলেন না? জানা নেই। শনিবার রাহুলের মুখে শুধু শোনা গেল, আমি, আমি, আর আমি। আর শোনা গেল মোদী আর আদানির নাম। যদিও রবিবার সত্যাগ্রহ আন্দোলনের পথে নামবেন বলে জানিয়েছেন রাহুল। রবিবারই নিজের টুইটারে নিজের বায়ো বদলে রাখেন 'ডিস্কোয়ালিফায়েড এমপি'। গোটা সাংবাদিক সম্মেলন জুড়ে একবারও বিরোধীদের একজোট হবার ডাক দিলেন না। তিনি যদি বলতেন বিরোধীদের একজোট করার পর, তাদের মধ্যেই কেউ সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতার খাতিরে মোদী বিরোধী মুখ হবেন, যেমনটা তিনি তাঁর দলে করেছেন, মল্লিকার্জুন খাগড়েকে সভাপতি বানিয়েছেন। যদিও অভিজ্ঞতার খাতিরে এখনও অবধি বিরোধী মুখ কেউ হলে সেক্ষেত্রে রাহুলই এগিয়ে থাকতেন। তাও তিনি মোক্ষম সময়ে বিরোধীদের সঙ্গবদ্ধ করতে চাইলেন না। আদতে চাইলেন না, নাকি করলেন না, সেটা বোঝা সময়ের দায়। 

লোকসভার অধ্যক্ষের সচিবালয় সূত্রে খবর, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০২(১) ১৯৫১-র জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। এবিষয়ে শনিবার তাঁর দুই প্রিয় সাগরেদ ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক ঘেলট, দু'জনকে দুই পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বসেন রাহুল। রাহুল সাংবাদিক বৈঠকে আদানিকে কাঠগড়ায় তুললে, সাংবাদিকরা তাঁর সাগরেদদের রাজ্যে আদানির ব্যবসার কথা মনে করিয়ে দিলেন। সেই মুহূর্তে কিছুটা রেগে গিয়ে রাহুল বললেন, 'অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ আছে।' এতে কি রাহুলের সাগরেদ রা ছোট হলেন না? এত সুন্দর পরিস্থিতে তিনি কি পারতেন না বিরোধীদের একজোট করার ডাক দিতে? এটাকে কি প্রস্তুতির অভাব বলা চলে? নাকি আপনি বলবেন, তাঁর দিদা ইন্দিরা গান্ধীর মত বা তাঁর পূর্ব পুরুষের মত ক্ষুরধার বুদ্ধির মালিক এখনও হয়ে উঠতে পারেননি রাহুল।

one year ago


Rahul: সাংসদ পদ খোয়ালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, বিজ্ঞপ্তি লোকসভার

বাতিল করা হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সদস্য পদ। একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে লোকসভার সচিবালয় কর্তৃক। লোকসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, গুজরাটের সুরাট আদালতে একটি মানহানির মামলায় ২ বছরের সাজা হয় রাহুলের। ভারতের লোকসভার সদস্যদের জন্য করা নিয়ম অনুযায়ী, ২ বছরের সাজা হলে তাঁকে সদস্য পদে আর রাখা যাবে না, সেই নিয়ম বলবৎ করে রাহুলের সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে লোকসভার সচিবালয় সূত্রে। 


প্রসঙ্গত, মোদী বিরোধী একটি মন্তব্য করেছিলেন রাহুল, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রাহুল বলেছিলেন, ' সব চোরই কি মোদী হয়, মোদী, মোদী ,মোদী,  'এর পেক্ষিতে ২০১৯ সালে গুজরাটে সুরাট আদালতে মানহানির মামলা হয় রাহুলের বিরুদ্ধে, বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায়ে সুরাট আদালত তাকে দুই বছরের সাজা শোনায়। এরপরেই আজ, শুক্রবার লোকসভার সচিবালয় কর্তৃক তাঁর সদস্য পদ বাতিল করা হয়। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কেরলের ওয়েনাড  কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন।

one year ago