Breaking News
Garden Reach: ফের গার্ডেনরিচেই বেআইনি বহুতলের সন্ধান, শুরু বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার কাজ      Sandeshkhali: পোস্টার-বিরোধিতা অতীত, রেখাকে জড়িয়ে উচ্ছ্বাস সন্দেশখালিতে      Sandeshkhali: "শক্তি স্বরূপা" সম্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ফোন মোদীর      Holi: বসন্ত উৎসবে মেতে উঠেছে বিভিন্ন জেলা, জানুন কোথায় কিভাবে উদযাপিত হল রঙের দিবস      Garden Reach: গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ে মৃত বেড়ে ১২, এখনও আশঙ্কাজনক বহু      CBI: আরও অস্বস্তিতে মহুয়া মৈত্র! কলকাতার ফ্ল্যাটে সিবিআই হানা      Delhi: আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ      Garden Reach: জেগে উঠছে পুর প্রশাসন! পুরসভায় জমা একাধিক অভিযোগ      High Court: টেটে প্রশ্নপত্র ভুলের মামলা, পর্ষদকে দিতে হবে বিশেষজ্ঞদের মতামত, নির্দেশ বিচারপতি মান্থার      Gardenrech Controversy: গার্ডেনরিচের বহু অবৈধ নির্মাণ প্রশাসনের ঔদাসীন্যতা! উঠছে প্রশ্ন...     

india

Dilip Ghosh: তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়াতে চাইছে না, প্রার্থী না পেয়ে 'ইউসুফে' ভরসা! বিস্ফোরক দিলীপ

বৃহস্পতিবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে বিস্ফোরক বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি ইউসুফ পাঠান ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। যদিও ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন আক্রমণের জন্য দিলীপ ঘোষকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন।

তৃণমূল এবার রেকর্ড গড়ার আশায় বহরমপুরে প্রার্থী করেছে ইউসুফ পাঠানকে। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষের সুরে বলেন, ইউসুফ পাঠান থাকেন গুজরাতে। একটা শব্দ বোঝেন না, বাংলায় তাঁকে নিয়ে এসেছে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের টিকিটে কেউ দাঁড়াতে চাইছে না। প্রার্থী পাচ্ছে না শাসক দল।

দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছেন, পুরনোরা রিজেক্ট হয়ে যাচ্ছে তাও কিছু লোককে পাল্টাতে পারেনি, রেখেছে। তাঁদের হোয়াইটওয়াশ করার চেষ্টা হচ্ছে। আর প্রার্থী খুঁজতে খুঁজতে বিহার পার হয়ে গুজরাত চলে গিয়েছে। তৃণমূলের অবস্থা বোঝাই যাচ্ছে, যার টিকিট কেউ দাঁড়াতে চায় না, তারা জিতবে টা কী করে! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার ডায়মন্ড হারবারে হাই প্রোফাইল দলীয় বৈঠক করেছেন। সেখানে একলক্ষের বেশি ভোটে জেতার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওখানে সবার সব সময় হাই প্রোফাইল থাকে, লো প্রোফাইল হয় না। ওখানে একটা আলাদা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চলে, ওয়েস্ট বেঙ্গল গর্ভমেন্টের থেকে আলাদা।

নাম না করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রকে উনিও আলাদা দেখাতে চান। তিনি বলেন, সরকারের টাকা নেই, ওখানে বিলিয়ে দেয় কী করে? এত খরচা করেছেন। একটাই লোকসভা আছে নাকি? বাকি ৪১ টার কী হয়েছে, কেন সরকার দেখে না। এদিক ওদিক লুটপাট করে সব লোককে দেখাচ্ছেন! দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, ডায়মন্ড হারবারের মানুষের জীবনে কী উন্নতি হয়েছে, সামাজিক কি পরিবর্তন হয়েছে, বড় বড় কথা বলেন।

শান্তনু ঠাকুর, রেখা পাত্রকে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাধা দেওয়া ছাড়া কী করবে তারা? রেখা পাত্রকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছিল, সন্দেশখালি তার জবাব দিয়ে দিয়েছে। রেখা পাত্রকে বুকে টেনে নিয়েছে। এই ধরনের রাজনীতি এবার বাংলা থেকে বিদায় নেবে, বলেছেন তিনি।


22 hours ago
Election: বাজল লোকসভা ভোটের দামামা! নির্ঘণ্ট প্রকাশ নির্বাচন কমিশনের, ৭ দফায় ভোট বাংলায়

আজই, শনিবার ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। শনিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ভোটের দিন ঘোষণা কমিশনের ফুল বেঞ্চের। এবার ৭ দফায় ৫৪৩ আসনে হতে চলেছে ভোট। লোকসভা ভোটের পাশাপাশি দেশজুড়ে ২৬টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ভোট। ৪ জুন ভোট গণনা।

বাংলায় কবে কোথায় ভোট?

প্রথম দফা (১৯ এপ্রিল)-কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি

দ্বিতীয় দফা (২৬ এপ্রিল)-রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, দার্জিলিং

তৃতীয় দফা (৭ মে)- মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর

চতুর্থ দফা (১৩ মে)- বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বোলপুর, বীরভূম, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল

পঞ্চম দফা (২০ মে)- শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, হুগলি, বনগাঁ, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ

ষষ্ঠ দফা (২৫ মে)- পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, কাঁথি, তমলুক, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর

সপ্তম দফা (১ জুন)- উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, জয়নগর, বসিরহাট, বারাসত, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, দমদম

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এদিন জানিয়েছেন, গোটা দেশে ভোট কেন্দ্রের সংখ্য়া ১০ লক্ষ। দেশে মোট ভোটারের সংখ্য়া ৯৭ কোটি। তার মধ্য়ে মহিলা ভোটার ৪৭ কোটি এবং পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি। ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্য়ে ভোটারের সংখ্য়া ২১ কোটি। ১ কোটি ৮২ লক্ষ নতুন ভোটার। আজ থেকেই চালু নির্বাচনী আচারবিধি।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রাজ্যের ৪২টি আসনে মোট ৭ দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত চলেছিল বঙ্গের লোকসভা ভোট। তিনটি রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় লোকসভা ভোট হয়েছিল ২০১৯ সালে।

২০১৯-এ পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি লোকসভা আসনের প্রায় সবকটিতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল মূলত তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যেই। ভোট প্রাপ্তির নিরিখে বাম-কংগ্রেস পিছিয়ে ছিল অনেকটাই। তৃণমূল জিতেছিল ২২টি আসনে। আর বিজেপির দখলে ছিল ১৮টি সিট।অন্যদিকে কংগ্রেস জিতেছিল দুটি আসনে। বামেরা খাতা খুলতেই পারেনি। এবারও লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে বিজেপি এবং তৃণমূলই।

2 weeks ago
Republic Day: ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে নারীশক্তির জয়জয়কার! কড়া নিরাপত্তা বলয়ে রাজধানী

২৬ জানুয়ারি, আজ ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস। সারা দেশজুড়ে উদযাপন করা হচ্ছে ৭৫তম সাধারণতন্ত্র দিবস। দেশের প্রতিটি কোণায় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চলছে সেলিব্রেশন। প্রতি বছরের মতো এবছরও মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে প্রজাতন্ত্র দিবস। ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে বিশেষ প্রাধান্য পাচ্ছে নারীশক্তি। এদিন সকালে দিল্লির কর্তব্যপথে পতাকা উত্তোলন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এবারের অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি রয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বেনজির নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা রাজধানী দিল্লিকে। জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ১০ টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে কোনও ফ্লাইট টেক অফ করবে না। অর্থাৎ বিমানবন্দরে পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া হবে না।

প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে একই ঘোড়ার গাড়িতে সওয়ার দুই দেশের দুই রাষ্ট্রপ্রধান। ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে এমনই দৃশ্য দেখা গেল দিল্লির পথে। একই ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে রাইসিনা হিলস থেকে কর্তব্য়পথে পৌঁছলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দৌপদ্রী মুর্মু ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্য়ুয়েল ম্যাক্রোঁ। দুই রাষ্ট্রপ্রধান অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছনোর পর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁদের স্বাগত জানান। এর পরই পতাকা উত্তোলনের পর শুরু হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ। এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে দেখা যায় মহিলা ক্ষমতায়ন। কর্তব্যপথে দেখা যায় মহিলা সেনার বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ। গ্র্যান্ড সেলিব্রেশনে এবারের থিম 'ওম্যান এমপাওয়ারমেন্ট'।

শুক্রবারের মধ্য দিল্লিতে যানবাহন চলাচলের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে । প্যারেড বিজয় চক থেকে শুরু হবে এবং কর্তব্য পথ, সি- ষড়ভুজ, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু মূর্তি গোলচত্বর, তিলক মার্গ, বাহাদুর শাহ জাফর মার্গ এবং নেতাজি সুভাষ মার্গ হয়ে লাল কেল্লায় শেষ হবে। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার জন্য পঞ্চম স্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে, কর্তব্য পথ থেকে শুরু করে লালকেল্লা পর্যন্ত। মোতায়েন করা হয়েছে ১৪ হাজার দিল্লি পুলিস কর্মীকে। দিল্লি পুলিসের কমিশনার জানিয়েছেন যে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দিল্লি পুলিশের কর্মীদের সাথে থাকবেন কমান্ডো, দ্রুত প্রতিক্রিয়া দল, পিসিআর ভ্যান, মোর্চা, নাশকতাবিরোধী চেক। এরা কর্তব্য পথ এবং শহরের চারপাশে নির্দিষ্ট যায়গায় নজরদারি করবে। দিল্লি পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে কোনও জরুরি অবস্থা এড়াতে পেশাদার পদ্ধতিতে প্রস্তুত রয়েছে তারা।  লাগানো হয়েছে অসংখ্য নতুন সিসিটিভি। ফেস রেকগনাইজ সিস্টেম সহ সেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্যামেরা এবং পদাতিক সৈন্যরা অনুষ্ঠানস্থলের প্রতিটি কোণে নজর রাখবেন। পাশাপাশি কমিশনার জানান যে দিল্লি পুলিস বায়বীয় হুমকি মোকাবেলার জন্যও প্রস্তুত রয়েছে।

2 months ago


INDIA: মমতার প্রস্তাবেই সিলমোহর! মল্লিকার্জুন খাড়গেই ইন্ডিয়া জোটের চেয়ারপার্সন

ইন্ডিয়া জোটের ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর প্রস্তাবেই সিলমোহর দেওয়া হল অবশেষে। বিজেপি-বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'র শনিবারের ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে চেয়ারপার্সন করা হল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। শনিবার জোটের ভার্চুয়াল বৈঠকে চেয়ারপার্সন হিসাবে খাড়গের নামই প্রস্তাব করা হয়েছিল বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। এদিন এই বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল। শনিবারের বৈঠকে মূলত জোটে এক জন আহ্বায়ক এবং চেয়ারপার্সন করা নিয়ে আলোচনা ছিল।

জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে ইন্ডিয়া জোটের আহ্বায়ক হিসাবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নাম নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছিল। সূত্রের খবর, সেই প্রস্তাবে রাজি হননি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দল জানিয়েছে, তাঁদের নেতা কোনও পদ চান না। অন্যদিকে এর আগের ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে মমতা প্রস্তাব দিয়েছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গের নামই। আর এদিনের বৈঠকে তাঁর প্রস্তাবেই সায় দিয়েছে জোট। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস সভাপতি খাড়গেকেই চেয়ারপার্সন করল 'ইন্ডিয়া'। তবে জানা গিয়েছে, খাড়গের নামে সকলের সায় মিললেও, এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। সূত্রের খবর,  মমতা এবং সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবের সঙ্গে আলোচনা করেই নাম ঘোষণা করা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শনিবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেয়নি বাংলার শাসকদল তৃণমূল। কংগ্রেসের ডাকা 'ইন্ডিয়া' শিবিরের বৈঠকে মমতার যোগ দেওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই ছিল ধোঁয়াশা। একেবারে শেষ মুহূর্তে বৈঠকের আমন্ত্রণ পাওয়ার কারণেই যোগ দিতে না পারার সম্ভবনা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অবশেষে তাই দেখা যায়। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন জুম আ্যপ-এর মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিতে শুরু করেছিলেন বিরোধী দলগুলির শীর্ষ নেতারা। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মল্লিকার্জুন খাড়গে, আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এছাড়াও এম কে স্ট্যালিন, শরদ পাওয়ার, লালু প্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার, সীতারাম ইয়েচুরি, প্রমূখ বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।

3 months ago
Bangladesh: মডেল এপার বাংলার ভঙ্গিতেই ভোট বাংলাদেশে

প্রসূন গুপ্ত: তিনটি স্থান আছে বাঙালিদের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং ওপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশ। ৩৪ বছরের বাম শাসনে দেখেছি, নিয়মিত হারে ফলস ভোট ও বুথ দখলের ট্রেডিশন নানান ভোটে, ত্রিপুরাতেও একই ঘটনা। যদিও তৃণমূল জমানায় যত অভিযোগ সবই পঞ্চায়েত বা পুর ভোটে। সাধারণ নির্বাচন বা বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করেছে নির্বাচন কমিশনার। ত্রিপুরাতে তো বাম থেকে আজকের জমানাতে সমস্ত ভোটে বিরোধীদের অভিযোগ বুথ দখল বা জাল ভোট দেওয়ার। বাংলাদেশ কিন্তু ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনে এই বাতাবরণটি ধরে রাখলো। মূলত অভিযোগ শাসক আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেই।

সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টে অবধি ভোট হলো ৩০০ আসনে। বাংলাদেশে ৩৫০টি সংসদীয় আসন কিন্তু ভোট হয় ৩০০ আসনে, বাকি ৫০ আসন অনেকটা আমাদের দেশের মতো বিধান পরিষদীয় পদ্ধতিতে ভোট হয়।

ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি বা বিএনপি ভোট বয়কট করেছে। বয়কট করেছে প্রধান বাম দলগুলি যদিও বামপন্থী একটি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে আছে। এ ছাড়া অনেকগুলি ইসলামিক দল ও নিরপেক্ষ দল ভোটে অংশ নিয়েছে। শোনা গিয়েছিলো যে জাল ভোট বা গাজোয়ারী করে ভোট করতে পারে হাসিনার দল। পারদপক্ষে সেটাই হয়েছে তবে বেশ বুদ্ধি খাটিয়ে! ওখানকার টিভি চ্যানেলগুলির বক্তব্য জাল ভোট ফেলা হয়েছে এবং বহু বুথে এজেন্ট বসতেই দেওয়া হয়নি। খালেদা জিয়া অবিশ্যি শনিবার এবং রবিবার প্রতিবাদ স্বরূপ হরতালের ডাক দিয়েছেন। কোথাও কোথাও সারা ফেলেছে কিন্তু ভোটটি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত খবর যা ৪০/৫০ শতাংশ ভোট বড়োজোর পড়তে পারে।

এই ভোটার আগে আমেরিকা সহ ন্যাটো গোষ্ঠী অবাধ নির্বাচন করার হুমকি দিয়েছিলো হাসিনা সরকারকে। বাস্তবে, প্রশাসন থেকে নির্বাচন কমিশন হাসিনার কথায় এখনও চলে কাজেই এমন দাবি হাস্যকর দাবি খালেদার। ভোট শেষ হতেই প্রতিটি বুথে গণনা শুরু হয়েছে। ওখানে ব্যালটে ভোট হয় সুতরাং সময় লাগবে। মঙ্গলবারের আগেই চিত্র পরিষ্কার হবে বলেই ধারণা।

3 months ago


Indian Museum: কলকাতায় বোমাতঙ্ক! বোমা মেরে জাদুঘর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি 'জঙ্গি সংগঠন'-এর

এবার শহরের জাদুঘরে বোমাতঙ্ক ঘিরে চাঞ্চল্য। ইমেইল মারফত বার্তা আসে জাদুঘরে একাধিক বোমা রয়েছে। এরপরেই তৎপর হয় পুলিস এবং বম্ব স্কোয়াড। তড়িঘড়ি বের করে দেওয়া হয় দর্শনার্থীদের।

শুক্রবার সকাল থেকেই শহরের জাদুঘরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। জানা গিয়েছে শুক্রবার ভোরে একটি ইমেলে বোমা থাকার বিষয়টি পাঠানো হয়। ওই ইমেইলে বলা হয়েছে, কলকাতা জাদুঘরে রাখা আছে একাধিক বোমা। ইমেইল এসেছে 'টেরোরাইজার ১১১' নামে, যারা নিজেদের জঙ্গি সংগঠন বলে দাবি করেছে ৷ পাশাপাশি ওই ইমেলে লেখা আছে, তাদের সংগঠনকে প্রচারের আলোয় না আনলে, তারা জাদুঘরে বিস্ফোরণ ঘটাবে।

শুক্রবার সকালে ওই ইমেল বার্তার পরেই তড়িঘড়ি জাদুঘরে উপস্থিত হন বোম্ব স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড সহ পুলিসের একাধিক শীর্ষ আধিকারিকরা। এছাড়াও উপস্থিত হন গোয়েন্দা দফতরের অধিকারিকরাও। বোমা থাকার হুমকি বার্তা আসার পর থেকেই খালি করে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় জাদুঘর। পাশাপাশি কয়েক ঘন্টা বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও জাদুঘরের ভেতরের প্রতিটি কক্ষে চালানো হচ্ছে তল্লাশি।

তবে আদৌ মিউজিয়ামে বোম্ব রাখা আছে, না কি নিছক আতঙ্ক ছড়ানোর কারণে এই ঘটনা উদ্দেশপ্রণোদিত করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এছাড়া কে বা কারা আসলে এই ইমেইল বার্তা পাঠিয়ে বোমাতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে সেই বিষয়টিও এই মুহূর্তে স্পষ্ট নয়। তবে জাদুঘরে হুমকি বার্তা আসার পর সমস্ত বিষয় খুঁজে বার করতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।

3 months ago
India Alliance: রাহুল কংগ্রেসের বন্ধু কে ?

প্রসূন গুপ্ত: বিরোধী জোটের নিঃসন্দেহে সবথেকে শক্তিশালী দল কংগ্রেস। তবে এই কংগ্রেস ইন্দিরা বা রাজীবের কংগ্রেস নয়। ইন্দিরা গান্ধী বিরোধীদের আমলই দিতেন না ব্যতিক্রম একমাত্র সিপিআই। সিপিআই পাশে না থাকলে ইন্দিরার রাজনৈতিক জীবন কঠিন হতো ১৯৬৯ এ , যখন ইন্দিরা দলটাকেই চটিয়ে নব কংগ্রেস গঠন করলেন। তখন পুরাতনী কংগ্রেসি বা সিন্ডিকেট কংগ্রেস সরে যাওয়ার পরে ইন্দিরার সরকার পরে যাচ্ছিলো কিন্তু বন্ধু দেশ রাশিয়ার নির্দেশে সিপিআই কংগ্রেসকে সহযোগিতা করে এবং ৬৯ থেকে ১৯৭১ অবধি সরকার চালান ইন্দিরা। এরপর তো জোট ইত্যাদি হয়েও ভেঙে যায়। ফের ক্ষমতায় ইন্দিরা। ইন্দিরার মৃত্যুর পরে রাজীব গান্ধী ক্ষমতায় আসেন এবং প্রবল শক্তিশালী সরকার পান। কিন্তু পরেরবারের ভোটে রাজীব নিজে জিতলেও কংগ্রেস ক্ষমতা হারায়। ফের জোট ফের পতন। শেষ পর্যন্ত ১৯৯১ তে রাজীবের হত্যার পরে ক্ষমতায় আসে নরসিমা রাওয়ের সরকার। এবারে কিন্তু বামেদের ভোটের দরকার হতো পার্লামেন্টে , যা রাও পেয়েছিলেন।

আজকের কংগ্রেস কিন্তু জোট ছাড়া ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আজকের কংগ্রেস 'রাহুলের কংগ্রেস'। যদিও মলিকার্জুন খাড়গে বলে এক বৃদ্ধ আছেন নাম কি বাস্তে সভাপতির আসনে। দল চালাচ্ছেন কিন্তু রাহুল গান্ধী। সাম্প্রতিক ভোটে তিন রাজ্যে পরাজিত হওয়ার পরেও রাহুলই শেষ কথা। ইতিমধ্যে একটি জোট হয়েছে "ইন্ডিয়া' যেখানে ২৬ টির বেশি বিরোধী দল আছে। সব দলেরই ভোটে আসন নিয়ে আলোচনা রয়েছে। কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে বর্তমানের এই জোটের ডিএমকে ও আরজেডি বাদে প্রায় প্রতি দলের বিরুদ্ধে গত ১০/১৫ বছরে রাহুলের কংগ্রেস লড়াই করেছে। এই জোট বৈঠকে যা হোক না কেন, রাহুল অনেক বেশি ভরসা করছেন সিপিএমের উপর। অথচ এই সিপিএমের ক্ষমতা কমে এখন কেরালায় গিয়ে ঠেকেছে। আবার ওই কেরালায় সিপিএম কংগ্রেস পরস্পরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। রাহুল এই পরিসংখ্যান জানা সত্বেও সিপিএমের উপরে কেন এতো ভরসা রাখছেন তা বোঝা দুস্কর। এই ভরসার স্থান থেকে কংগ্রেস /বাম জোটের নিদারুন পরাজয় হয়েছে বাংলায় এবং ত্রিপুরায় | তবু রাহুল পুরাতন স্থানেই অবস্থান করছেন। জোটের মধ্যে তাই সৃষ্টি হয়েছে উপজোট যার নাম জিঞ্জার গ্রুপ। 

3 months ago
INDIA: ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ মল্লিকার্জুন খাড়্গে! প্রস্তাব মমতার, সমর্থম কেজরিওয়ালের

২০২৪ সালেই লোকসভা নির্বাচন। ফলে এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন। আর এরই মধ্যে মঙ্গলবার নয়া দিল্লির অশোকা হোটেলে বৈঠকে বসল বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র বৈঠক। আর এদিন এক চমক দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসাবে প্রস্তাব দিলেন মল্লিকার্জুন খাড়্গের নাম। আর এতে সম্মতি জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মঙ্গলের বৈঠকে মূলত ইভিএম, আসন ভাগাভাগি, যৌথ প্রচার পরিকল্পনা, ইতিবাচক এজেন্ডা তৈরি করার মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

মঙ্গলবার দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের চতুর্থ বৈঠক সম্পন্ন হল। এদিন দুপুর ৩টের পরই শুরু হয় ইন্ডিয়ার বৈঠক। এতদিন বিরোধী জোটের মুখ হিসাবে রাহুল গান্ধীকেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু এদিন বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে সরাসরি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের নাম প্রস্তাব করেন মমতা। তাঁকে সমর্থন করলেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। তবে মমতার এই প্রস্তাবে বাকি দলগুলি খুব একটা উৎসাহ দেখায়নি। যদিও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি মঙ্গলবারের জোট বৈঠকে। মমতার এমন প্রস্তাবের পরই খাড়্গে জানালেন, 'পরে আলোচনার মাধ্যমে তা ঠিক হবে।'

জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হলেও তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে আসন সমঝোতা নিয়ে ডেডলাইন বেঁধে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ এর মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে আসন সমঝোতার বিষয়টি। তৃণমূল নেতৃত্ব আজ এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রের খবর। আগামী ২০ দিনের মধ্যেই ফের বিরোধী জোটের পঞ্চম বৈঠক বসতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।

3 months ago


INDIA: লোকসভার প্রাক্কালে আজ 'ইন্ডিয়া' জোটের চতুর্থ বৈঠক ঘিরে জল্পনা, হাজির মমতা, অভিষেক

আর মাত্র কয়েক মাস। এরপর বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই ফের একবার একজোট বিরোধীরা। ইতিমধ্যে 'ইন্ডিয়া' জোট তৈরি করে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধী শক্তিগুলি। রণকৌশল ঠিক করতেই আজ, মঙ্গলবার ফের একবার বৈঠকে 'ইন্ডিয়া' জোটের সদস্যরা। দিল্লিতে এই বৈঠক হবে। অন্যদিকে, নজিরবিহীন ভাবে একের পর এক প্রায় ৭৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

রাজ্যসভা এবং লোকসভার বিরোধী সাংসদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। আর এই ঘটনার পরেই বিরোধী সংসদীয় দলের বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গে। যেখানে একাধিক বিরোধী সাংসদ উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এদিনের 'ইন্ডিয়া' জোটের বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই জোটে মোট ২৮ টি বিজেপি বিরোধী দল যোগ দিয়েছে।

ইতিমধ্যে এই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এছাড়াও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, লালু প্রসাদ যাদব সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতারা এদিনের বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন বলেই খবর। কংগ্রেসের তরফে রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধী উপস্থিত থাকতে পারেন।

3 months ago
CPIM: জোট নিয়ে নানা জট সিপিএমের

প্রসূন গুপ্তঃ এই রাজ্যে সিপিএমের কোনও বিধায়ক বা সাংসদ নেই। ত্রিপুরাতে বিধায়ক আছে, কিন্তু সাংসদ নেই। আবার কেরলে দুইই আছে, কিন্তু কংগ্রেস বিরোধিতায়। অন্যদিকে, আজকের বামফ্রন্ট বলতেও তেমন কিছু নেই অর্থাৎ যা কিছু সিপিএম এবং সিপিআইয়ের। এবারে যদি ভারত জুড়ে সত্যিই কোনও জোট যার নাম 'ইন্ডিয়া' হয় তবে সিপিএম পরবে নানান সমস্যায়।

প্রথমত, এই ইন্ডিয়া জোট নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য একই সুরে কথা বলছে না। দিল্লিতে সিপিএমের সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি যেমন নিয়মিত ভাবে এই ইন্ডিয়ার বৈঠকগুলোতে অংশ নিচ্ছে তেমনটি কিন্তু রাজ্যের সম্পাদক সেলিমের ভূমিকা নয়। সেলিম রাজ্য প্রশাসনে থাকা তৃণমূলের ঘোরতর বিরোধী। প্রচার মাধ্যমের সামনে শুভেন্দু অধিকারী আর সেলিমের বক্তব্যের কোনও ফারাক নেই। তার উপরে আবার আইএসএফের সঙ্গে সেলিমের যথেষ্ট মধুর সম্পর্ক। এ রাজ্যে সেলিম থেকে শুরু করে দলের বাকি নেতাদের অবস্থান একই রকম। অবিশ্যি সেটাই রেজিমেন্টেড পার্টির বরাবরের নিয়ম তো বটেই।

সিপিএমের সাথে কেরালায় কোনও ভাবেই কংগ্রেসের জোট বাঁধা সম্ভব নয়। সিপিএম তো চাইছেই না, উল্টোদিকে কংগ্রেস যদি কোনও ভাবে জোটের কথা ভাবেও তবে দল ভেঙে যেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে দলের কর্মী সমর্থকদের ত্রিপুরার মতো বিজেপিতে চলে যাওয়ার সম্ভবনা থাকবে। পশ্চিমবঙ্গে না তৃণমূল না বামেরা এক হতে পারে। মনে রাখতে হবে তৃণমূলের জন্মই সিপিএমের বিরোধিতা করে। যদিও একা বা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে এ রাজ্যে লড়লে কংগ্রেসের সুবিধা হয়তো হতে পারে কিন্তু সিপিএমের পকেটে শূন্যই জুটবে। সিপিএমে এখন যে ৭% ভোট অবশিষ্ট আছে তারাও বেরিয়ে যাবে যদি তৃণমূলের সঙ্গে জোট হয়।

সমস্ত বিষয়টি বোঝা যাবে ১৯ ডিসেম্বর, পরবর্তী 'ইন্ডিয়া'র বৈঠকে। তবুও খবর যতটুকু আপাতত দিল্লি কংগ্রেস চাইছে তৃণমূলের সঙ্গেই সম্পর্ক পোক্ত করতে। প্রয়োজনে শুধু ত্রিপুরাতেই এই দলের জোট অটুট থাকবে লোকসভা নির্বাচনে।

4 months ago


INDIA: বুধবারের 'ইন্ডিয়া' জোটের বৈঠকে কে কে?

প্রসূন গুপ্ত: ৬ ডিসেম্বর পূর্বনির্ধারিত ছিল 'ইন্ডিয়া' জোটের বৈঠক। স্থান, দিল্লির কংগ্রেস সভাপতি মালিকার্জুন খার্গের সরকারি ভবন। সাম্প্রতিক হয়ে যাওয়া ভোটের আগে এই বৈঠকের তেমন কোনও তাপ উত্তাপ ছিল না কিন্তু হঠাৎই উদ্যোগ নিয়েছেন খার্গে। শোনা গিয়েছে, তিনি নিজে ফোন করে জোট সঙ্গীদের নতুন করে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, তিনি বা অভিষেক যাচ্ছেন না এই বৈঠকে কারণ তাঁকে নাকি জানানোই হয় নি। অবিশ্যি তিনি কলকাতাতেও থাকছেন না, যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গে। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে কোনও এক অনুষ্ঠানে রয়েছেন। এখন প্রশ্ন উঠেছে তবে কি তৃণমূল থেকে কোনও প্রতিনিধিই থাকবে না।খবর যতদূর, থাকতে পারেন হয়তো ডেরেক ও'ব্রায়ান বা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এঁরা দুজনেই এখন শীতকালীন অধিবেশনের জন্য দিল্লিতে অবস্থান করছেন।

তিন গোবলয়ে পরাস্ত হওয়ার পর জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস এখন বেশ চাপে। কাজেই বুধবারের বৈঠকে এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হওয়ার কথা। অন্যদিকে, এসপি প্রধান অখিলেশ যাদব এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারেরও এই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার কথা। নীতীশ জানিয়েছেন, তাঁর রাজ্যের বিশেষ কাজ আছে। হয়তো প্রতিনিধি কেউ যেতে পারে একই সাথে অখিলেশের অবিশ্যি অন্য ক্ষোভ। মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনে কমলনাথের কোনও এক কথায় অখিলেশ অসম্মানিত। যদিও তিনি প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন সম্ভবত রামগোপাল যাদবকে। এছাড়া বাকি দলগুলি কি করবে তা বুধবারেই জানা যাবে। লক্ষ করার বিষয় আপ পার্টির প্রতিনিধি হিসাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কি করেন।

রাজনৈতিক উত্থান পতন থাকবেই, কিন্তু শরিকদের বক্তব্য এই হারিয়ে যাওয়া তিন রাজ্যের দায় কংগ্রেসের। ভোটের আগে কংগ্রেস এই পাঁচ রাজ্য নিয়ে কোনও সমঝোতার কথাই নাকি বলে নি শরিকদের সঙ্গে। বাস্তবিক ঘটনা এখনও পাঁচ মাস বাকি লোকসভা নির্বাচনের এবং এটাও বাস্তব উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের বড় অংশে বিজেপি প্রবল শক্তিধর কিন্তু এখন থেকেই যদি সদ্য তৈরী হওয়া জোটে কলহ লাগে, তবে তো ভোট কি দাঁড়াবে তা এখনই বলে দেওয়া যায়।

4 months ago
India: শেষ ওভারে রুদ্ধশ্বাস জয়, শেষ টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ রানে হারাল ভারত

শেষ টি টোয়েন্টি ম্যাচেও টানটান লড়াই। জ্বলে উঠলেন বাংলার পেসার মুকেশ কুমার ও আর্শদ্বীপ সিং। ১৮ ওভারে ১৪৪ রান তুলে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। মনে করা হয়েছিল, ওই ওভারেই ম্যাচ বেরিয়ে যাবে। ৭ রান দিলেও দুটি ডট বল দিয়ে আসেন মুকেশ। শেষ ওভারে বাকি ছিল ৯ রান। প্রথমেই দুটি ডট বল। তৃতীয় বলে উইকেট আর্শদ্বীপের। এরপর তিন বলে এল মাত্র ৩ রান। ৬ রানে হেরে ভারত ছাড়বে ওয়ানডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।

এদিন টসে জিতে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে প্রথমে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিং এমন কিছু আহামরি হয়নি ভারতের। নিয়মরক্ষার ম্যাচে ২০ ওভারে ১৬০ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। ৩৭ বলে ৫৩ রান করেন শ্রেয়স আইয়ার। ১৬ বলে ২৪ রান জিতেশ শর্মার। ২১ বলে ৩১ করেন অক্ষর প্যাটেল। এদিন ৬ রান করে ফেরেন রিঙ্কু সিং।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ট্রেভিস হেডকে ফেরান রবি বিষ্ণোই। ১৮ বলে ২৮ রান করেন তিনি। জস ফিলিপসকে ফেরান মুকেশ কুমার। কিন্তু টিকে ছি লেন বেন ম্যাকডারমট। শেষ দিকে ম্যাথিউ শর্ট ও অধিনায়ক ওয়েড চেষ্টা করলেও ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়া।

4 months ago
India: আফগানিস্তানের পর ভারত, ম্যাড-ম্যাক্স ঝড়ে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে হার ভারতের

পুঁজি ২২২ রান। তারমধ্যে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা একাই দিলেন চার ওভারে ৬৮ রান। নিট ফল, মঙ্গলের বর্ষাপাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে মাঠ ছাড়ল ভারত। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ করে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ শেষে ভারত অধিনায়ক সূর্য কুমার যাদব জানালেন, পরিকল্পনায় ভুল ছিল না, কিন্তু সব ভেস্তে দিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

১২ বলে ৪২ রান। এই সমীকরণ থেকেই মঙ্গলবার ম্যাচ বার করেছে অস্ট্রেলিয়া। আসলে ভারতের মাঠে ২২২ যে কোনও রান নয়, তা প্রমাণ করেছেন ম্যাক্সওয়েল এবং অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। তাই সূর্যর মতে, সব হল কিন্তু ম্যাক্সওয়েলকে আউট করা গেল না।

গুয়াহাটির মাঠেও টোন সেট করে দিয়েছিলেন রুতু। তাঁর অপরাজিত ১২৩ রান অক্সিজেন দিয়েছিল সিরিজ জয়ের। কিন্তু কল্পতরু ভারতীয় বোলারদের সৌজন্যে আপাতত রায়পুর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাতেও ছেলেদের প্রশংসা অধিনায়কের গলায়। স্কাইয়ের গলায় আলাদা অনুভূমি রুতুর ব্যাটিং নিয়েও।

4 months ago


India: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দাপুটে জয় ভারতের, ম্যাচের সেরা জয়সওয়াল

কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে দাপুটে জয় টিম ইন্ডিয়ার। অস্ট্রেলিয়াকে ৪৪ রানে হারিয়ে রানে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে লিড নিল টিম ইন্ডিয়া। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ২৩৫ রান তোলে ভারত। হাফসেঞ্চুরি করেন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। হাফসেঞ্চুরি রুতুরাজ ও ইশান কিষাণেরও। রিঙ্কুর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে স্লগ ওভারে বড় রান তুলে নেয় ভারত। সেই বাড়তি রানই বাঁচিয়ে দেয় ভারতকে। ১৯১ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।

২৩৬ রান তাড়়া করতে নেমে শুরুতেই ঝটকা খায় অস্ট্রেলিয়া। ৭ ওভারেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলেন তাঁরা। ম্যাথিউ শর্ট ও ইঙ্গলিশকে ফেরান রবি বিষ্ণোই। ম্যাক্সওয়েল ফেরেন অক্ষর প্যাটেলের ডেলিভারিতে। স্মিথকে ফেরান প্রাসিদ কৃষ্ণা। ২৫ বলে ৪৫ রান করেন মার্ক স্টয়নিস। ২২ বলে ৩৭ ডেভিডের। ম্যাথিউ ওয়েড টিকে থাকলেও পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

একই ওভারে পরপর দুই উইকেট তুলে অস্ট্রেলিয়াকে আটকে দেন প্রাসিদ কৃষ্ণা। ২০ ওভার ব্যাট করলেও ভারতের রান তাড়া করা সম্ভব হয়নি ব্যাগি গ্রিনদের।

4 months ago
Rahul Dravid: আদ্যোপান্ত ভদ্রলোক দ্রাবিড়

প্রসূন গুপ্তঃ ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা বলে একটি কথা কথিত আছ। একসময় ওয়েস্ট ইন্ডিসের ফাস্ট বোলার চার্লি গ্রিফিথের বাউন্সার মাথায় লেগে তৎকালীন অধিনায়ক নরি কন্ট্রাক্টরের মাথার খুলির একটি অংশ উড়ে যায়। তাঁকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে ভর্তি করার পরে প্রথম রক্ত দিতে আসেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক স্যার ফ্রাঙ্ক ওরেল। এর বহু বছর পরে ওরেলের মৃত্যুর পরে কলকাতায় তাঁর স্মৃতিতে রক্তদান দিবস পালন করা হলে প্রথম রক্ত দেন কন্ট্রাক্টর।

আজকের পেশাদারি ক্রিকেটে বইয়ে লেখা ভদ্রলোক পাওয়া কঠিন। আজ প্রতিটি দল জিততে চায়। এই জয়ের জন্য খেলোয়াড়রা মাঠে ভদ্রতার সীমা ছাড়িয়ে যান। অবিশ্যি তার জন্য সব ক্রিকেটারই ভদ্রতা পালন করেন না এমনটা নিশ্চয় বলা যাবে না। তবে দু'তিন দশকের মধ্যে রাহুল দ্রাবিড় সম্বন্ধে দৃঢ়ভাবে বলা যায় তিনি আদ্যন্ত ভদ্রলোক ছিলেন। খেলার সময়ে তো বটেই কোচ হিসাবেও। সৌরভ-রাহুল একসাথে টেস্ট ম্যাচ শুরু করলেও সচিন নেতৃত্ব ছেড়ে দিলে সৌরভকে ভারতের অধিনায়ক করা হয়। সৌরভের অধীনে রাহুল ৫ বছরের বেশি ম্যাচ খেলেছেন এবং জীবনের সেরা খেলা তখনই দেখা গিয়েছে। বহু ম্যাচ রাহুল একার দায়িত্বে ভারতকে জিতিয়েছেন। দলের সবচাইতে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার হওয়া সত্ত্বেও সচিনের ব্যাটিংয়ের কাছে পিছনের সারিতে রয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর অধিনায়কত্বে ভারত খুব খারাপ সময় কাটিয়েছে, তাই নিজ দায়িত্বে নেতৃত্ব ছেড়ে দিতেও দ্বিধা করেননি। এক সময় এক প্রকার তাঁকে বিদায় দিতে বোর্ড উঠে পরে লাগলে তিনি নিজেই খেলা ছেড়ে দেন এবং বিশেষ কোনও ম্যাচ খেলার দরকারও বোধ করেননি।

সম্প্রতি তিনি ভারতের কোচ হয়েছিলেন বন্ধু সৌরভের অনুরোধে। ভারত যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করে সম্প্রতি এশিয়া কাপ জিতেছে। বিশ্বকাপ না পেলেও ভারতই এখন বিশ্বের সেরা দল। সেই তিনি ভারতের কোচিং ছেড়ে দিলেন। এবারে উচ্চ শিক্ষিত রাহুল দ্রাবিড় কি করবেন? এতদিন গ্ল্যামার জগতে থেকে এবারে নিশ্চয় নতুন করে কর্পোরেট দুনিয়াতে চাকরি করবেন না। নাহ তেমনটির দরকার হবে না। তাঁর পাশে দাঁড়ালেন কলকাতার শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। এবারে সঞ্জীবের আইপিএল দল লখনউ সুপার জায়ান্টের মেন্টর হলেন রাহুল। ফের মাঠেই নামবেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ভারতীয় দলের কোচিংয়ে ফেরাতে চান রাহুল দ্রাবিড়কে।

4 months ago