
মিড ডে মিল নিয়ে অভিযোগের যেন শেষ নেই। মিড ডে মিলের চাল স্কুলের শৌচালয়ে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে শুক্রবার স্কুলের ২ শিক্ষককে তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। সেই রেশ রয়ে গিয়েছে শনিবারেও। স্কুলের শিক্ষকদের বদলির দাবিতে সরব অভিভাবকরা। ছবিটা দেগঙ্গার রাজুকবেড় অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
সময়মত স্কুলে আসেন না শিক্ষকরা। শিকেয় উঠেছে পঠনপাঠন। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে দেওয়া হচ্ছে না মিড ডে মিল। তার উপর স্কুলের শৌচালয়ে লুকিয়ে রাখা হয়েছে মিড ডে মিলের চাল। এমনই অভিযোগে শুক্রবার স্কুলের ২ শিক্ষককে তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। ছবিটা দেগঙ্গার রাজুকবেড় অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। শুক্রবারের রেশ রয়ে গিয়েছে শনিবারেও। ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা। অভিযোগ, মিড ডে মিলের চাল চুরি হচ্ছে। যত সংখ্যক মিড ডে মিল পরিবেশন করা হয়, তার থেকে বেশি সংখ্যা দেখানো হয় খাতায়-কলমে। তবে কী বিরোধীদের অভিযোগে শিলমোহর? প্রশাসনের একাধিক দফতরে অভিযোগ জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। এখন স্কুলের শিক্ষকদের বদলির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
জানা গিয়েছে, বিদ্যালয়ের মোট ছাত্র সংখ্যা ৫০। খাতায় কলমে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী থাকলেও কোনওদিন উপস্থিত থাকে ৮-১০ জন। কোনও দিন তারও কম। আর বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা ২। তাও ২ শিক্ষকের মধ্যে নেই সুসম্পর্ক। সব মিলিয়ে চরম অব্যবস্থা দেখা দিয়েছে গোটা বিদ্যালয় জুড়ে। যদিও অভিযোগ সামনে আসতেই স্কুলের টিচার ইনচার্জের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের। মিড ডে মিল নিয়ে অভিযোগের যেন শেষ নেই। প্রতিদিনই ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ উঠে আসছে। তবে শিক্ষাক্ষেত্রেই যদি দুর্নীতি হয় তাহলে শিশুরা কী শিখবে? অভিযোগের শেষ কোথায়? প্রশ্নগুলো থেকেই যায়।
টলিপাড়ায় ফের খুশির খবর। দ্বিতীয়বার মা হলেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। দ্বিতীয়বার বাবা হয়ে নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই খবর ভাগ করে নিলেন রাজ চক্রবর্তী (Raj chakraborty)। লক্ষ্মীবারে শুভশ্রী-রাজের পরিবারে মা লক্ষ্মী আসায় আনন্দে আত্মহারা চক্রবর্তী পরিবার।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছিলেন শুভশ্রী। শুভশ্রীর পরনে ছিল শর্ট প্রিন্টেড ড্রেস। চুলে বিনুনি করা। পাশে দাঁড়িয়ে রাজ। রাজের পরনে সাদা টি-শার্ট আর জিন্স। চোখে কালো চশমা। এই ছবি পোস্ট করতেই ভাইরাল। তাঁদের এমন সাজে দেখতে পেয়েই অনুমান করা হয়েছিল যে, আজই দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন শুভশ্রী। আর সেই অনুমানই হল সত্যি। বেলা গড়াতেই সুখবর। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শুভশ্রী কন্যাসন্তানের জন্ম দিতেই রাজ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়ে দেন যে, তাঁদের জীবনে ছোট্ট 'প্রিন্সেস' এসেছে। এবার থেকে বড় দাদা ছোট্ট ইউভান। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মা ও সন্তান দুই'ই সুস্থ রয়েছেন।
এক সপ্তাহে দু'বার। ফরাক্কার পর এবার উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় বোমা বিস্ফোরণ। ঘটনায় আহত এক কিশোর। জানা গিয়েছে, তৃণমূল পার্টি অফিসের পিছনে পড়ে ছিল একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগ খুলতেই বের হয় বোমা। আর সেই বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে জখম হয় ওই কিশোর। রবিবার সকালে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার কলসুরে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত কিশোরের নাম আরমান গাজী (১২)। এদিন সকালে তৃণমূলের পার্টি অফিসের পিছনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল আরমান। সেই সময় তার নজরে আসে একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগ খুলে বোমা হাতে নিয়ে বল ভেবে খেলতে শুরু করে। আর সেই বোমা ফেটেই জখম হয় কিশোর। বোমা বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখেন আহত অবস্থায় আরমান মাটিতে পড়ে রয়েছে। এরপর তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বাদুড়িয়া ব্লকের রুদ্রপুর হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, তৃণমূলের পার্টি অফিসের পিছনের বাগান থেকে আরও তিনটে তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে রাজ্যে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে শিশুর আহত হওয়ার ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার দুই যুবক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নকশালবাড়ির অর্ড চা বাগানে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম নিতেন ওরাঁও ও সুমেশ সাউরিয়া। ধৃত দুজনই হল নকশালবাড়ি বেলগাছি এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলার পর, ধৃতদের পুলিসি হেফাজতে চেয়ে এই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিযেছে, বুধবার সন্ধ্যায় ওই যুবতীকে ফোন করে চা বাগানের নির্জন এলাকায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিল ওই দুই যুবক। তারপর যুবতীকে ধরে বেঁধে গণধর্ষণ করে অভিযুক্ত দুই যুবক বলে অভিযোগ। এরপর সুযোগ বুঝে ওই যুবতী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বাড়িতে। সমস্ত ঘটনা জানাতেই বুধবার রাতেই যুবতীর পরিবারের সদস্যরা নকশালবাড়ি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সেদিন রাতেই নকশালবাড়ি থানার পুলিস অভিযুক্ত ওই দুইজনকে গ্রেফতার করে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
'যেখান থেকে পারুন হাজির করুন, নেতাজি ইন্দোরে খুজুন আজ, পাবেন তাঁকে।' হাওড়ার এক বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার প্রোমোটারকে হাজিরার নির্দেশ দেয় জাস্টিস গাঙ্গুলি। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জাস্টিস গাঙ্গুলি। বৃহস্পতিবার জাস্টিস গাঙ্গুলি পুলিশকে নির্দেশ দেয় পুলিশ যেন অভিযুক্ত ওই প্রোমোটার পার্থ ঘোষকে বেলা ৩ টের মধ্যে আদালতে এনে হাজির করে। এরপরেই তিনি আরও বলেন, 'একটাও বেআইনি নির্মাণ কোথাও থাকবে না। হাওড়ায় আমার নিজের বাড়ি আছে সেটাও যদি বেআইনি হয় তাহলে সেটাও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিতে হবে।'
সম্প্রতি, হাওড়ার লিলুয়ায় বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেবার নির্দেশ ছিল কলকাতা হাইকোর্টের। অভিযোগ নির্দেশ কার্যকর করেনি বালি পৌরসভা, সেকারণেই ফের কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন করে মামলাকারী সন্ধ্যা ঘোষ। সেই মামলার শুনানিতেই আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সাড়ে তিনটের সময় ওই প্রোমোটারকে হাজিরার নির্দেশ দেন জাস্টিস গাঙ্গুলি।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বহুবার সরব হয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।এবার বেআইনি নির্মাণে মামলায় সরব তিনি ।বৃহস্পতিবার একটি বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরব বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এ দিন তিনি পুলিশকে নির্দেশ দেন যে, অভিযুক্ত প্রোমোটারকে যেন নেতাজি ইনডোরে গিয়ে খোঁজে পুলিশ। বিচারপতির এমন মন্তব্যের পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত আজ নেতাজি ইনডোরে তৃণমূলের মেগা সভা রয়েছে, তৃণমূলের রাজ্য স্তরের নেতাদের নিয়ে। সেখানে অভিযুক্ত প্রোমোটারকে খুঁজতে বলায় আপাতত তৃণমূলকেই ইশারা করছেন জাস্টিস গাঙ্গুলি এমনটাই ধারণা অভিজ্ঞ মহলের। পাশাপাশি এদিন তিনি তৃণমলের পাশাপাশি পুলিশকে টার্গেট করে বলেন, 'পুলিশ প্রোমোটারের দালালের কাজ করছে।'
বিশ্বকাপ জেতার জন্য ধোনির পরামর্শ নেওয়ার প্রস্তাব দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ষষ্ঠবারের জন্য বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। আর শেষ মুহূর্তে কঠোর লড়াই করেও হারতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের হার নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিরাট ও রোহিতের প্রসঙ্গে টেনে আনেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, একজনের ঝুলিতে ৫০টি ODI সেঞ্চুরি অন্যজনের ৩০টি সেঞ্চুরি। সুতরাং কী ভাবে খেললে বিশ্বকাপ আসবে সেই রাস্তা খুঁজে বের করুক বর্তমান প্লেয়াররা। একই সঙ্গে ধোনির পরামর্শ নেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর বক্তব্য, হার-জিত খেলারই অঙ্গ। ভারতীয় টিম ভালো খেলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসূন গুপ্ত: মঙ্গলবার ছিল বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট। অর্থাৎ কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আয়োজিত বাণিজ্য সম্মেলন। এটি সপ্তম বর্ষ। এই সামিট শেষ হলেই নানান জল্পনা ও সমালোচনা শুরু হয়। বিরোধীদের বক্তব্য, শিল্প কোথায় রাজ্যে? কিন্তু বাস্তব সত্যিটা হলো ব্যবসা বা বাণিজ্য শুরু হলে বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া ব্যবসায়ীদের কাজ শুরু হলে তা দেখা যায় না, বোঝা যায়। আসলে আমাদের একটি ধারণা আছে এই বাংলায় যে, বাণিজ্য মানেই ঢাউস একটি কারখানা হবে এবং কর্মী সংখ্যা হবে হাজার হাজার। আজকের ভারতে নতুন প্রজেক্ট সেই অর্থে কোথায়? মোদ্দা কথা আজকের ব্যবসার মূল মন্ত্র তুমি বানাও আমি কিনি। মঙ্গলবার কিন্তু দেশ বিদেশের বহু বাণিজ্য প্রতিনিধি কলকাতার বিশ্ব বাণিজ্য অনুষ্ঠানে এসেছিলেন এবং তাঁরা প্রতিশ্রুতিও দিলেন লক্ষ কোটি টাকার। এত সত্ত্বেও সভার সব আলো কেড়ে নিলেন মুকেশ আম্বানি এবং সৌরভ গাঙ্গুলি। বলতে দ্বিধা নেই আম্বানিরা এখনও অর্থ ভাণ্ডারে দেশের প্রথম নম্বরে, কাজেই যে কোনও অনুষ্ঠানে তাঁদের উপস্থিতির আলাদা যুক্তি আছে।
এই মুহূর্তে কেন্দ্রের প্রেরণায় দ্রুত আম্বানিদের কাছে এগিয়ে আসছেন আর এক শিল্পপতি গৌতম আদানি। শোনা যায় তিনি গুজরাতের মধ্য মানের ব্যবসা থেকে আজ ভারতে আগামীর অধিকাংশ বাণিজ্যে এগিয়ে চলেছেন। বিরোধী কংগ্রেসের মতে, মোদির কৃপায়। এই নিয়ে বিতর্ক বিস্তর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথেষ্ট বুদ্ধিমতী এবং এখন বিরোধী রাজনীতির অন্যতম মুখ। তাঁর মুখমন্ত্রীত্বের ১২ বছর কেটে গিয়েছে কাজেই আরও ধারালো হয়েছে তাঁর রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অভিজ্ঞতা। তিনি জানেন আদানিরা এখন বিরোধীদের ব্যাড বুকে রয়েছে। দেরি না করে এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে তিনি অম্বানিকে 'মুখ' করলেন। আগামীতে মুকেশ এই রাজ্যে আরও বেশি প্রকল্প করবেন তা তাঁর বক্তব্যে উঠেও এলো। রাজ্যের হতে পারতো এমন শিল্প থেকে আদানি থাকবেন কিনা প্রশ্ন তুলে দিলেন। দিনের শেষে দেশের পয়লা নম্বর বণিক তাঁর বন্ধনে আবদ্ধ হলেন।
একই সাথে হঠাৎই ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় সৌরভ গাঙ্গুলি এখন থেকে বাংলার ব্র্যান্ড এম্বাসেডর। কিন্তু শাহরুখকে বাদ দিয়ে সৌরভ কেন? প্রথমত, শাহরুখ তো নামেই ব্র্যান্ড ছিলেন। আদতে তাঁকে দিয়ে কোনও কাজ হচ্ছিলো না। দ্বিতীয়ত শাহরুখ পেশাদার। কেকেআর ছাড়া সত্যিই তাঁর কলকাতা নিয়ে আদৌ কোনও ভাবনা নেই। সে ক্ষেত্রে সৌরভ বর্তমানে ক্রিকেট বোর্ড থেকে অসম্মানিত (পড়ুন বিজেপি থেকেও ) | তাঁর হাতে দাদাগিরি ছাড়া মানুষের জন্য কোনও ভূমিকা নেই। সম্প্রতি বিশ্বকাপ ফাইনালে শেষ মুহূর্তে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল যা অপমানের। দেরি না করে মমতা খেলা দুদিনের মধ্যে তাঁকে দায়িত্ব দিলেন। এ ক্ষেত্রে সৌরভ কাজটা করতে পারবেন এবং আগামী নির্বাচনে কি হয় তা তো সময়েই বলবে।
শাহরুখ খানের পর এবারে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনেই এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কলকাতার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে হাজির হন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। যেখানে 'মানুষ' মমতাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তিনি। এর পরই বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন শাহরুখের কাঁধে। তবে এবারে এই দায়িত্ব তুলে দিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের কাঁধে। এদিন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন মমতা। নতুন দায়িত্ব হাসিমুখেই গ্রহণ করতে দেখা যায় সৌরভকেও।
বেশ কয়েকদিন ধরেই টলিউড পাড়ায় গুঞ্জন ছিল যে, প্রেম করছেন টলি অভিনেত্রী সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar) ও সংগীতশিল্পী শোভন গঙ্গোপাধ্যায় (Shovan Ganguly)। কিন্তু এবারে আর গুঞ্জন নয়, প্রকাশ্যে এল তাঁদের ঘনিষ্ঠ ছবিও, সঙ্গে আদুরে ক্যাপশনও। তবে কি এই ছবির মাধ্যমেই তাঁদের সম্পর্কে সিলমোহর দিতে চেয়েছেন শোভন গঙ্গোপাধ্যায়! এই নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার শোভন ও সোহিনীর কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন শোভন। কিন্তু তা কিছুক্ষণ পরে মুছেও ফেললেন তিনি।
বৃহস্পতিবার শোভন ও সোহিনীর কিছু মিষ্টি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়। যেখানে দেখা গিয়েছে, সোহিনীর কাঁধে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শোভন। মিঠে রোদে উজ্জ্বল তাঁদের মুখ, মুখে মিষ্টি হাসি। ক্যাপশনে শোভন লিখেছেন, "শেষ সবকিছু তোমার জন্য তোলা রইল…।" তবে কি শোভনের এই পোস্ট সোহিনীর প্রতি প্রেম উজাড় করেই? এই নিয়ে অবশ্য টলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন। তবে এই পোস্ট নিয়ে শোভন ও সোহিনী মুখে কুলুপ আঁটলেও, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপাতত গায়েব এই ছবি ও ক্যাপশন।
শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে পুলিস যে নোটিস পাঠিয়েছিল, তা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এগরার এসডিপিও-কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, মেচেদা-দীঘা বাইপাসে বাতিস্তম্ভ লাগানোয় দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সাক্ষী হিসেবে ১৬০ ধারায় নোটিস পাঠানো হয় রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে। পাশাপাশি, ১০ বছরের আয়করের ফাইল চেয়ে পাঠানো হয় তাঁর কাছে। এ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কৃষ্ণেন্দু।
বুধবার এই মামলার শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার জানান, ২০১৭ সালে প্রাতঃভ্রমণ করতে গিয়ে পল্লব দত্ত দেখেন, মেচেদা-দীঘা বাইপাসে কিছু আলো লাগানো হচ্ছে। কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সঙ্গে সঙ্গে সেটা এফআইআর হিসাবে গণ্য করে পুলিস। আমার মক্কেলের পরিবার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের এবং আমার মক্কেলের ভাই কাঁথি পুরসভার চেয়ারপার্সন ছিলেন। সেই মামলাতেই সাক্ষী হিসাবে আমার মক্কেলকে ১৬০-এর নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাঁর আয়করের হিসেব চাইছে গত ১০ বছরের। এটা ৩ দিনে কীভাবে দিতে সক্ষম হব? অন্তত ১৫ দিন সময় লাগবে। আর কী কারণে আয়করের হিসেবের প্রয়োজন? আমার মক্কেলের ভাইদের নামে একাধিক মামলা দেওয়া হয়েছে। তাঁর ভাই বিরোধী দলনেতা। তাঁর বিরুদ্ধ ৪৩টি মামলা।
রাজ্যের আইনজীবী তপন মুখোপাধ্যায় জানান, এফআইআর হয়েছে, তার তদন্ত চলছে। এটা দুর্নীতির অভিযোগের মামলা। সাক্ষীকে ডাকা হয়ছে তদন্তের স্বার্থে। এরপরেই বিচারপতির চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিস। তাঁর মন্তব্য, মেরুদণ্ডহীন পুলিস আদালতকে জানাতে ব্যর্থ, কেন তারা আইটি ফাইল চাইল, আর কী কারণে এফআইআর রুজু হল। তাই পুলিসকে কড়া নির্দেশ, এই কাজ যেন দ্বিতীয়বার না হয়। এসডিপিও-কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানারও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি জানান, একজন মানুষকে হেনস্থা করার জন্য পুলিস ১৬০-এর নোটিস পাঠিয়েছে। এটা একজন সাক্ষীকে হয়রানি ছাড়া আর কিছুই না। সাক্ষী হিসেবে ডেকে তার আইটি ফাইল চাওয়া কোন আইনে আছে? আপনি হুইল চেয়ারে ঘুরতে পারেন, হেলিকপ্টারে চড়তে পারেন। তাই বলে আইন অনুযায়ী সাক্ষীর আইটি ফাইল চাইতে পারেন না। তাকে হয়রান করতে পারেন না।
যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজে আর্থিক দুর্নীতি ও নিয়োগ মামলায় অধ্যক্ষ সুনন্দা গোয়েনকা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র। বারংবার তার নির্দেশের ওপরে কখনও স্থগিতাদেশ, আবার কখনও খারিজের নির্দেশ জারি হওয়ায় রীতিমত ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিলেন হাইকোর্টের অন্যান্য বিচারপতিদের বিরুদ্ধেই।
তার মন্তব্য, আমরা কি এখানে আইন বাঁচাতে নেমেছি না কি অভিযুক্তদের বাঁচাতে নেমেছি? আমি অপরাধ মুক্তকরণে নেমেছি আর কিছু বিচারপতি অপরাধীদের বাঁচাতে নেমেছে। তার মধ্যে বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র, বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের নাম আসছে। এদের বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, যোগেশ চন্দ্র কলেজ আর্থিক দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টেরই ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে খারিজ হয়ে গিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসায় কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ সুনন্দা গোয়েনকা ভট্টাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দিয়ে তার ঘরে তালা ঝোলানোর নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অধ্যক্ষ সুনন্দা গোয়েনকা ভট্টাচার্য হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। তারপরেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে খারিজ করে সুনন্দা গোয়েনকা ভট্টাচার্যকে তার পদে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
ঠিক একই ভাবে পরবর্তী শুনানিতে ওই মামলাতেই অধ্যক্ষ সুনন্দা গোয়েনকা ভট্টাচার্যের নিয়োগের তদন্ত সিআইডির হাতে দিয়ে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র। চলতি বছরের মে মাসেও রাজ্যে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষকেরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে সেখানে স্থগিতাদেশ মেলে। সেই নির্দেশ বহাল রাখার নির্দেশ দেয় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিকে যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ, সহ-অধ্যক্ষ নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে একটি মামলা নিজেই খারিজ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একই সঙ্গে মামলাকারী ছাত্রকে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছিলেন তিনি। সেই মামলাকে ফের পুনরায় শুনানির আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ মামলাকারী ছাত্র দানিশ ফারদৌকির আইনজীবী। তিনি আদালতে জানান, এমন নতুন কিছু তথ্য পেয়েছেন যা তিনি আদালতে দেখাতে চান। আবেদনের পর বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কি এমন নতুন তথ্য পেলেন, যাতে মামলার রায় বদলের আবেদন করছেন? মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সম্ভবনা।
নিজস্ব ফর্মেই রয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দুর্নীতি দেখলেই বিচারপতির কড়া নির্দেশ। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এর আগে তাঁর একের পর এক নির্দেশে বিপাকে পড়তে হয়েছে দুর্নীতিগ্রস্তদের। এবার অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।
উল্লেখ্য, সল্টলেক সেক্টর ফাইভ-এর ১৮১, শান্তিনগরের বাসিন্দা অশীতিপর বৃদ্ধা কুন্তিবালা কল্যে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে আবেদন করেন, তাঁর বাড়ি ও বাড়ি লাগোয়া কিছুটা অংশে ফ্ল্যাট তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্থানীয় প্রোমোটার। ২০১৯ সালে ৫০ শতাংশ অনুপাতে চুক্তি হয়। তারপর নির্মাণ যখন তৈরি হয়, তখন আবেদনকারী বোঝেন, এটা অবৈধ নির্মাণ। বারবার প্রোমোটার ও পরে বিধাননগর পুরনিগমে অভিযোগ করলেও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ।
সোমবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, বন্ধ করে দিতে হবে ওই বিল্ডিং-এর এর জল ও বিদ্যুৎ সংযোগ। সোমবারই বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করতে হবে। ওই বাড়ির বাসিন্দারা চাইলে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে পুনর্বাসন চাইতে পারেন। সোমবারই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ কাউন্সিলর চামেলী নস্করকে। বিধাননগর পুরনিগমকে বৈঠক ডেকে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ। আগামী ২৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। মঙ্গলবার বিধাননগর পুরনিগম বাড়ি ভাঙা নিয়ে একটা প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেবে। নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
আবাস যোজনার ঘর পেতে প্রতারণা শিকার হলেন এক মহিলা। ঘর দেওয়ার নাম করে ওই মহিলার কাছ থেকে কুড়ি হাজার টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা ব্লকের কালিয়ানী এলাকায়। ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্য়ায় ওই মহিলাকে বিডিও অফিস থেকে ফোন করে বলা হয় যে আপনার আবাস যোজনায় নাম এসেছে। তবে ঘরের টাকা পাওয়ার বিষয়ে আপনি পঞ্চায়েত সদস্য বা প্রধানকে বলবেন না। কারণ তাঁদেরকে বললে আপনার কাছ থেকে দশ, কুড়ি হাজার টাকা নিয়ে নেবে। এই বলে ওই মহিলাকে একটি সাইবার ক্য়াফে যেতে বলা হয়। এরপর ওই মহিলা সাইবার ক্য়াফে যাওয়ার পর তাঁকে কুড়ি হাজার টাকা একটি নির্দিষ্ট অ্য়াকাউন্টে পাঠাতে বলা হয়।
২২ দিন আগে ওই মহিলার স্বামী মারা গেছেন। যার ফলে একদিকে ভাঙাচোরা বাড়ি অন্যদিকে স্বামী মারা যাওয়ার শোকে তিনি কিছু না ভেবেই ওই নির্দিষ্ট অ্য়াকাউন্টে কুড়ি হাজার টাকা পাঠান। তারপর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় ওই ভুয়ো বিডিও অফিস থেকে আসা ফোন নম্বর। এরপর থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে অভিযোগকারী ওই গৃহবধূকে বারাসত সাইবার ক্রাইম দফতরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুলিসের পক্ষ থেকে।
অভিযোগকারী গৃহবধূর দাবি, অচেনা এক ব্যক্তি তাঁকে সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ফোন করে। এরপর এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়ার বিনিময়ে অনলাইনের মাধ্যমে কুড়ি হাজার টাকা নিয়ে নেওয়া হয়। তারপর থেকে তাঁর ফোন সুইচ অফ। তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায় নি। অবশেষে অসহায় মহিলা প্রতারিত শিকার হয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিসের দ্বারস্থ হয়।
সামাজিক মাধ্যমে এবার নতুন প্রেমের গুঞ্জন। অভিনেত্রী সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar) ও গায়ক শোভন গাঙ্গুলির (Shovan Ganguly) মধ্যে নাকি জমে উঠেছে রসায়ণ। যদিও তাঁরা নাকি নিজেদের প্রেম গোপনেই রাখতে চাইছেন। কিন্তু গোপন কথা কি সবসময় গোপনে থাকে! তারকাদের সামাজিক মাধ্যমেই দুয়ে দুয়ে চার হয়ে গেল। সোহিনীর জন্মদিন গিয়েছে কিছুদিন আগেই। তিনি অন্যদের থেকে আলাদা, তাই কলকাতায় জাঁকজমক পার্টি নয়। বরং পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে সমুদ্রের কিনারে চলে গিয়েছিলেন সোহিনী।
সোহিনীর কাছের মানুষদের তালিকায় দেখা গিয়েছে গায়ক শোভন গাঙ্গুলিকে। সামাজিক মাধ্যমে সোহিনীর আপলোড করা একটি ছবিতে জানলার বাইরে দেখা গিয়েছে গায়ককে। এমনকি শোভন নিজেও তাঁর সামাজিক মাধ্যমে তাঁর সমুদ্রসফরের ছোট্ট অভ্যাস দিয়েছেন। ভিডিওটি আপলোড করে সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, 'জলে বিপদ বেশি যার, সেইভাবে জল আমার।' এই ক্যাপশনও ইঙ্গিতবহ মনে করছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত একসময় অভিনেতা রণজয় বিষ্ণুর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সোহিনী। অন্যদিকে অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্তের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন গায়ক শোভন গাঙ্গুলি। যদিও তাঁরা বিচ্ছেদ করেছেন বেশ কিছুটা সময় আগেই। এবার কী অতীত ভুলে একে অপরের প্রেমে মজলেন সোহিনী-শোভন? প্রশ্ন নেটিজেনদের। এমনকি কমেন্ট সেকশনেও অনেকে নানা কমেন্টে ভরিয়েছেন।
জীবনের অন্যতম সুন্দর মুহূর্ত কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী (Subhashree Ganguly)। সম্প্রতি নিজেকে ভিন্ন ধরনের অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন একইসঙ্গে প্রযোজক হিসেবেও হাতেখড়ি করেছেন। কর্মজীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও তার সুখের সময়। অভিনেত্রী দ্বিতীয় বার অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant) হয়েছেন। খুব তাড়াতাড়ি তাঁর পরিবারে আসতে চলেছে নতুন অতিথি।
এই সময়টুকু কিভাবে মজা করছেন শুভশ্রী? তাঁর সামাজিক মাধ্যম খুললেই সেই প্রমাণ পাওয়া যায়। মাতৃত্বকালীন সময় একেবারেই বাড়িতে বসে নেই তিনি। বরং মন দিয়েছেন শরীরচর্চায়। অভিনেত্রী দিনের বেশ খানিকটা সময় জিমেই কাটাচ্ছেন। কিছুদিন আগেই সামাজিক মাধ্যমে একটি স্টোরিতে নিজের জিম চর্চার চর্চার ঝলক দিয়েছিলেন। আবারও তাঁর সেই রুটিন তুলে ধরলেন ভক্তদের জন্য।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে তাঁর জিমের অন্দরের কার্যকলাপের একটি ভিডিও দিয়েছেন। বেশ কিছু এক্সারসাইজ করতে দেখা গিয়েছে শুভশ্রী-কে। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'কোনও বাহানা নয়'। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েও যে নিজের শরীরের খেয়াল রাখছেন তাই বুঝিয়ে দিয়েছেন ভক্তদের। তবে অভিনেত্রীর এই ক্রিয়াকলাপ দেখে ছুটে এসেছেন নীতি পুলিশেরা। অনেকেই লিখেছেন, 'এই সময়টা তো বিশ্রাম নিলেই পারতেন' জিম করার কি প্রয়োজন!'। তবে অভিনেত্রী প্রশংসাই করেছেন সিংহভাগ ভক্তরা।