যাত্রী বিক্ষোভে অশান্ত কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল বিক্ষোভের আবহ। ঘটনা কলকাতা থেকে তেজপুরগামী এক বিমান ছাড়াকে কেন্দ্র করে। সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে তেজপুর যাওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট বিমানের। বেসরকারি বিমান সংস্থা স্পাইস জেটের বিমান এসজি-২৯৬৬ বিমানটি সকাল আটটা পাঁচে তেজপুরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। তবে বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, কিছু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমান ছাড়তে বিলম্ব হবে। প্রথমে জানা যায়, বিমান ছাড়া হবে সাড়ে দশটার সময়। যাত্রীমনে সমস্যা তৈরি হলেও, যান্ত্রিক গোলযোগ মেনে নিয়ে তখনও অবধি পরিস্থিতি ছিল শান্ত।
তবে সমস্যা বাঁধে এরপর। বিমান কর্তৃপক্ষ এরপর জানায়, ওই বিমান ছাড়তে প্রায় দুপুর একটা বেজে যাবে। এরপরেই, কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১০৪ নম্বর গেটের কাছে সংশ্লিষ্ট বিমান কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন যাত্রীরা।
ঘটনায় চূড়ান্ত হয়রানি হতে হয় যাত্রীদের। কেউ তার কাজ সঠিক সময় না করতে পারায় সমস্যায় পড়েন। কেউবা, বিমান দেরি করায় তার পরবর্তী সংযোগকারী বিমান ধরতে ব্যর্থ হন। সবমিলিয়ে এরপর যাত্রীমনে সরগরম পরিস্থিতি তৈরি হলে, ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা। রবিবারের এমন হয়রানি এবং যাত্রী বিক্ষোভের পর, যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টি আলাদা করে নজর দেয় কিনা বিমান কর্তৃপক্ষ, এখন সেটাই দেখার।
সংক্রান্তির সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। চারিদিক কুয়াশায় ঢেকেছে। বেলা বাড়লেও ঘন কুয়াশার আস্তরণে ঢেকে রয়েছে কলকাতার অধিকাংশ এলাকা। যার জেরে সোমবার ভোর রাত থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা ব্যাহত হয়। একাধিক বিমান ওঠানামায় দেরি করছে। এদিন রাত আড়াইটা নাগাদ দৃশ্যমানতা ২৫ মিটারে নেমে আসে। এরপর ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দৃশ্যমান্যতা বেড়ে ১৫০ মিটার হয়। এর ফলে কলকাতা বিমানবন্দরে একাধিক বিমান ওঠা নামায় বিলম্ব হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। যদিও সকাল আটটা নাগাদ দৃশ্যমানতা বেড়ে ৩০০ মিটার হয়েছে। বেলা বাড়তেই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে এগোচ্ছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এই সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে আবহাওয়া পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। একটা ছোট্ট স্পেলেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত জানুয়ারি মাসের ১৮ এবং ১৯ তারিখ, এই দু'দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের দুই জেলা দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর উচু জায়গায় বরফ পড়তে পারে।
তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও বেলায় পরিষ্কার আকাশ। রাতের তাপমাত্রা এদিনও কমতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে।
এবার দমদম বিমানবন্দর থেকে ওড়িশার রাউরকেলা পর্যন্ত সরাসরি উড়ান পরিষেবা চালু হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, ওড়িশা সরকারের সাহায্যে এই রুটে বিমান উড়তে চলেছে। এই নিয়ে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের অফিস মঙ্গলবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। সূত্রের খবর, মাত্র ১,৯৯৯ টাকায় বিমানে চড়ে ওড়িশা পৌঁছে যেতে পারবেন সাধারণ মানুষ। খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে এই বিমান পরিষেবা।
উল্লেখ্য, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের একান্ত প্রচেষ্টায় শুরু হচ্ছে কলকাতা থেকে রাউরকেলা বিমান পরিষেবা। এই রুটে বিমান চালানোর জন্য ওড়িশা সরকার ৩৫ টি আসনের জন্য ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং প্রদান করবে। অ্যালায়েন্স এয়ার সপ্তাহে তিন দিন এই রুটে পরিষেবা প্রদান করবে। মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার এবং শনিবার দমদম বিমানবন্দর থেকে রাউরকেলা পর্যন্ত বিমান উঠা নামা করবে বলে জানা গিয়েছে। মূলত ওড়িশা সরকার তাদের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে আরও উন্নতি করতে এই পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে এই রুট চালু হলে ওড়িশার সুন্দরগড় জেলায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে বলে মত ওড়িশার পর্যটন দফতরের। তাই পর্যটন শিল্পকে আরও গতিশীল করতেই এই রুটে বিমান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওড়িশা সরকার।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই রাউরকেলা-কলকাতা রুটে বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে কুয়াশার জেরে মঙ্গলবার এই রুটে বিমান উড়তে পারেনি। দৃশ্যমানতা কম থাকার জেরে অ্যালায়েন্স এয়ার রাউরকেলা থেকে কলকাতাগামী উড়ানটি বাতিল করে দেয়। এই আবহে আজকে থেকে প্রথমবার এই রুটে বিমান উড়তে পারে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে পরিষেবা বাতিল হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। কারণ মঙ্গলবার কলকাতা থেকে রাউরকেলা বিমান উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা সঠিকভাবে যাত্রা না করতে পারায় সমস্যায় পড়েন অনেক মানুষ।
তিলোত্তমা থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রতিটি কোণ সেজে উঠবে আলোয়। কারণ, আসছে দীপাবলি। শুরু হয়ে গিয়েছে আতসবাজি কেনার হিড়িক, লাইটের দোকানেও লম্বা লাইন। কোমর বাঁধছে কলকাতা পুলিশও। কালী পুজো এবং ভাসান উপলক্ষে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। জানানো হয়েছে, এই সময়েও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কালীপুজোর দিন অর্থাৎ ১২ নভেম্বর সকাল ৮ টা থেকে ১৩ নভেম্বর পরের দিন ভোর ৪ টা পর্যন্ত মালবাহী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
ভাসানের দিনও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। অর্থাৎ ১৪ এবং ১৫ তারিখও সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা হবে যান চলাচল। জরুরি দ্রব্য যেমন ওষুধ, গ্যাস, দুগ্ধজাত দ্রব্যের ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে।
বিমানে (Flight) একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। ইতিমধ্যেই একাধিক কাণ্ড প্রকাশ্যে এসেছে। বিমান সেবিকাদের শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা, সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করা, মদ্যপ অবস্থায় বিমানে চড়া-এমন অনেক খবর প্রকাশ্যে এসেছে। আর এবারে এক যুবকের কাণ্ডে ফের হুলস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায় বিমানের মধ্যে। সূত্রের খবর, উড়ান নিতে যাবে তার আগেই বিমানের আপৎাকালীন দরজা খোলার চেষ্টা করে এক যুবক। পরে যুবককে বিমানকর্মীরা নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেন ও দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরনের পরই তাঁকে আটক করা হয়। ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতের।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ইন্ডিগোর ৬ই ৬৩৪১ বিমানটি দিল্লি থেকে চেন্নাইয়ে যাচ্ছিল। রানওয়ে ছাড়ার আগে আচমকা এক যাত্রী বিমানের আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা করেন। তাতেই হুলস্থুল পড়ে যায় দিল্লি বিমানবন্দরে। তড়িঘড়ি ওই যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ইন্ডিগোর তরফে বিবৃতি জারি করা জানানো হয়েছে, দিল্লিগামী ৬ই ৬৩৪১ বিমানের আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা করে যুবক। এর পরই বিমানের অন্য যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ওই যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার জন্য যাত্রীদের কাছে দুঃখপ্রকাশও করেছে ইন্ডিগো। কেন ওই যাত্রী বিমানের দরজা খোলার চেষ্টা করছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিমান সংস্থাটি।
মুম্বইগামী বিমানের (Flight) জরুরি অবতরণ (Emergency Landing) কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport)। বিমানের জানলার কাঁচে চিড় দেখা গিয়েছে বলে বিমানবন্দর সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, স্পাইসজেটের বিমান এস জি ৫১৫ বুধবার সকাল ৬:১৭ মিনিট নাগাদ কলকাতা থেকে ১৭৬ জন যাত্রী ও ৬ জন কেবিন ক্রু নিয়ে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কলকাতার আকাশে থাকাকালীনই বিমানের জানলার কাঁচে ফাটল দেখতে পায় কেবিন ক্রু। তৎক্ষণাৎ পাইলটের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাইলট দ্রুততার সঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবতরণের অনুমতি চান। সেইমতো এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের অনুমতিতে ৭ঃ৪৫ মিনিট নাগাদ বিমানটি কলকাতা বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে। যাত্রীদের নিচে নামিয়ে নিয়ে আসা হয়। সমস্ত যাত্রীরাই সুরক্ষিত। বিমানের মেরামতির কাজ চলছে।
ওরা বারবার আসে, আমরা কেউ যাই না, রাজ্যবাসীকে ভালো থাকার বার্তা দিয়ে বিদেশ সফর শুরু মমতার। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন মমতা। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মমতার সঙ্গেই এদিন গাড়ি থেকে নামেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সকলে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, স্পেনের ম্যানুফ্যাকচারিং ও অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রি বেশ ভাল। তাদের আমন্ত্রণেই এই সফরে যাচ্ছেন। বলেন, “দেখা যাক কী কী হতে পারে। আমাদের এখানে বিজনেস সম্মেলন আছে ২১ থেকে ২৩। ওরা বারবার আসে। কিন্তু আমরা কেউ যাই না। সেই জন্যই এই ছোট্ট দেশটাকে বেছে নেওয়া। দুবাইয়েও একটা বিজনেস সামিট আছে। সঙ্গে প্রবাসীদের মিটিং। সবটাই সময় মতো আপনাদের জানিয়ে দেবো।”
তাহলে কি এই সফর ঘিরে নতুন চমক আসতে চলেছে? মমতার অবশ্য জবাব, চমক কনফারেন্সে থাকে। কনফারেন্সে এসে ঘোষণা করে। তিনি বলেন, “প্রদীপ জ্বালার আগে তোমাকে তো প্রদীপে তেলটা ভরতে হবে, সলতেটা ভরতে হবে। সেই জন্যই যাওয়া। দেখো না কী হয়।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, মাদ্রিদে তাঁর সঙ্গে থাকবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। লা লিগার সঙ্গেও বিশেষ বৈঠক আছে মুখ্যমন্ত্রীর। মমতার এই সফরে তাঁর সঙ্গে যাচ্ছেন, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিংয়ের একজন করে প্রতিনিধি। বিনিয়োগের পাশাপাশি খেলাধূলা জগতেও নতুন কোনও খবর আসতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর থেকে। আগামী ২৩ তারিখ কলকাতায় ফিরছেন তিনি।
চিকিৎসক (Doctors) ঈশ্বরের সমান, এমনটা সবসময় বলতে শোনা যায়। এবারে তার এক প্রমাণও পাওয়া গেল হাতে-নাতে। মাঝ আকাশে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে দু'বছরের একরত্তি। আর বিমানের (Flight) মধ্যে উপস্থিত কিছু চিকিৎসকের দল কিছুক্ষণের মধ্যেই সুস্থ করে তুলল তাকে। এই খবর ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে তাঁদের সাহসিকতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সারা দেশবাসী। জানা গিয়েছে, রবিবার বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লি যাচ্ছিল ভিস্তারা বিমান (Vistara Flight) সংস্থার একটি বিমান। তখনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে এক দুই বছরের শিশুকন্যা। তার নাড়ি স্পন্দন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ও হাত-ঠোটও নীল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তখনই মাঝ আকাশে জরুরি অস্ত্রোপচার করে তাকে নতুন করে জীবন পাইয়ে দেয় চিকিৎসকের দল।
সূত্রের খবর, বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লিগামী বিমানটিতে এক শিশু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অবিলম্বে বিমানটির নাগপুরে জরুরি অবতরণ করা হয়। কিন্তু তাতে অনেকটা সময় লাগলে চিকিৎসকরা মাঝ আকাশেই তার চিকিৎসা শুরু করেন। শিশুটিকে বাঁচাতে অপারেশন থিয়েটারের বাইরে ইন্টারকার্ডিয়াক রিপেয়ার অস্ত্রোপচার করা হয়। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে গলায় ফুটো করে আইভি ক্যানুলা বসান। কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়, যাকে চিকিৎসকের পরিভাষায় অরোফারিনজিয়াল এয়ারওয়ে বলা হয়।
এখানেই শেষ নয়, শিশুটি ফের একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়। এরপর প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে অটোমেটেড এক্সটার্নাল ডেফাইব্রিলেটর দিয়ে বিদ্যুতের শক দিয়ে শিশুটির হৃৎপিন্ড সচল রাখা হয়। এরপর শিশুটি স্থিতিশীল হয়। পরে নাগপুরে বিমানটি জরুরি অবতরণ করলে, শিশুটিকে পিডিয়াট্রিশিয়ানের হাতে তুলে দেওয়া হয় পরবর্তী চিকিৎসার জন্য।
উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরু-দিল্লি বিমানে উপস্থিত ছিলেন এক চিকিৎসকের দল। তাঁরা ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর ভাস্কুলার অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজি-র কনফারেন্স থেকে ফিরছিলেন। চিকিৎসকদের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন অ্যানথেসিস্ট ও কার্ডিয়াক রেডিওলজিস্ট। তবে চিকিৎসকরা যেভাবে একরত্তির জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে, তা সত্যিই মিরাকলের থেকে কম কিছু নয়।
দিল্লি-পুণে বিমানে বোমা হামলার (Bomb Threat) হুমকি। এই খবর বিমানযাত্রীদের কানে যেতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিমানযাত্রীদের মধ্যে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সাত-সকালে ভিস্তারা বিমান (Vistara Flight) সংস্থার বিমানে বোমা রয়েছে বলে হুমকি ফোন আসে। জানা গিয়েছে, বিমানটি দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই এমন খবর আসায় বিমানটি সেই সময়ের জন্য বাতিল করা হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দিল্লি বিমানবন্দরে (Delhi Airport)। এরপর যাত্রীদের নিরাপদে বিমান থেকে নামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ ১৮ অগাস্ট সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ জিমএমআর কল সেন্টারে ফোন আসে। ফোন করে বলা হয় যে, 'দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার বিমানে বোমা রাখা রয়েছে'। অন্যদিকে আগে থেকেই যাত্রীরা নিজেদের সিটে বসে গিয়েছিলেন। কিন্তু বোমার ব্যাপারে জানতেই তৎক্ষণাৎ যাত্রীদের বিমান থেকে বের করে আনা হয় ও তাঁদের ফের দিল্লির বিমানবন্দরে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়।
বিমান সংস্থার তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, 'আমরা নিশ্চিত করছি যে, ইউকে৯৭১ নম্বর বিমানটি দিল্লি থেকে পুণে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার জন্য বিমানের উড়ানে কিছুক্ষণের জন্য দেরী হতে পারে। আমারা খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি ঠিক করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।' সূত্রের খবর, বিমানযাত্রী ও তাঁদের ব্যাগ সহ নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে ও বিমানে আদৌ কিছু রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেই যাত্রা শুরু করবে বিমানটি।
মাঝ আকাশে পাইলটের মৃত্যু। আমেরিকার মায়ামি থেকে ২৭১ জন যাত্রী নিয়ে চিলির উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল একটি যাত্রীবাহী বিমান। বিমানটি যখন মাঝ আকাশে, তখন হঠাৎ করে অসুস্থ বোধ করেন বিমানের পাইলট। বিমানের শৌচালয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সহকারী পাইলটের প্ৰচেষ্টায় বিমানটি পানামাতে জরুরি অবতরণ করানো হয়। অন্যদিকে, বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই ভারতীয় পাইলটের মৃত্যুর খবরে শোরগোল পড়েছে নেটদুনিয়ায়। একজনের মৃত্যু হয়েছে বিমানবন্দরে। আরেক জনের মৃত্যু হয়েছে মাঝআকাশে। দুই ভারতীয় পাইলটের আকস্মিক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থা (DGCA)।
বৃহস্পতিবার বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর পাইলট নাগপুর বিমানবন্দরে আচমকা অচৈতন্য হয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। খানিক পরে দুপুর ১টা নাগাদ নাগপুর থেকে পুনেগামী বিমান ওড়ানোর কথা ছিল তাঁর। বিমান সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ ঘণ্টা বিশ্রাম নেওয়ার পর এদিন কাজে যোগ দিয়েছিলেন পাইলট। নির্দিষ্ট বিরতিতে তিনটি বিমান ওড়ানোর কথা ছিল আজ। তার আগেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে বুধবার কাতার এয়ারওয়েসের এক ভারতীয় পাইলটের মৃত্যু হয়েছে দিল্লি থেকে দোহাগামী উড়ানে। ঘটনার সময় তিনি প্যাসেঞ্জার কেবিনে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই বিমানের অতিরিক্ত পাইলট হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এবং মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত ব্যক্তি এর আগে স্পাইস জেট, অ্যালায়েন্স জেট এবং সাহারা-র জন্য কাজ করেছেন।
২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মাঝ আকাশে ফের বিমানে (Flight) বিপত্তি। উড়ানের এক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লির বিমানবন্দরে (Delhi Airport) এক রাঁচিগামী বিমানের জরুরি অবতরণ করা হল। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে দিল্লির বিমানবন্দর থেকে রাঁচির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ইন্ডিগো (Indigo) সংস্থার বিমান। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই বিমানে দেখা গেল যান্ত্রিক গোলযোগ। আর তার কারণেই উড়ানের এক ঘণ্টার মধ্যে বিমানের জরুরি অবতরণ করা হল। শুক্রবারও ইন্ডিগোর বিমানে একই ধরণের সমস্যায় ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। আরও আজও একই ঘটনা।
সূত্রের খবর, শনিবার সকাল ৭ টা ৪০ মিনিট নাগাদ দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর থেকে রাঁচির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ইন্ডিগো বিমান। কিন্তু ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ বিমানটি ফের দিল্লি বিমানবন্দরেই ফিরে আসে ও বিমানটির জরুরি অবতরণ করা হয়। এক যাত্রীর জানিয়েছেন, উড়ানের কিছু পরেই বিমানের মধ্যে ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। এরপর বিমানকর্মীর এসে জানান যে, বিমানের কিছু যান্ত্রিক গোলোযোগের কারণে বিমানটিকে ফের দিল্লি বিমানবন্দরেই নিয়ে যাওয়া হবে ও এর জরুরি অবতরণ করানো হবে। তাঁদের আরও জানানো হয় যে, যাত্রীদের জন্য অন্য বিমানের ব্যবস্থা করা হবে, তবে তাতে কিছুক্ষণ সময় লাগবে।
গত শুক্রবারও ইন্ডিগোর বিমানে ইঞ্জিনের কিছু সমস্যা হলে উড়ানের তিন ঘণ্টার মধ্যেই জরুরি অবতরণ করা হয়। ফলে ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এর ফলে চরম ভোগান্তির শিকারও হতে হচ্ছে যাত্রীদের।
মাঝ আকাশে ফের বিপত্তি। উড়ানের মাত্র তিন মিনিটের মধ্য়েই বিমানের (Flight) জরুরি অবতরণ করা হল। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালের ঘটনাটি পাটনার (Patna)। আজ সকালে পাটনার বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওয়া দেয় ইন্ডিগো (Indigo) সংস্থার বিমান। কিন্তু উড়ানের কিছু মিনিটের মধ্য়ে বিমানকে ফের বিমাবন্দরে অবতরণ করানো হয়। জানা গিয়েছে, যান্ত্রিক কিছু গোলোযোগের কারণে দিল্লিগামী বিমানটির জরুরি অবতরণ করা হয়।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল ৯ টা ১১ মিনিটে পাটনার জয়প্রকাশ নারায়ণ বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর ৬ই ২৪৩৩ নম্বরের দিল্লিগামী বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করানো হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, বিমানটি উড়ান নিয়েছিল ৯ টা ৮ মিনিট নাগাদ। ফলে উড়ানের ৩ মিনিটের মধ্যেই সেটির জরুরি অবতরণ করা হয়। বিমানে উপস্থিত ছিলেন মোট ১৮১ জন যাত্রী। জানা যায়, বিমান উড়ে যাওয়ার পর দেখা গিয়েছে বিমানের একটি ইঞ্জিন কাজ করছে না। এরপরই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ও তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, জরুরি অবতরণের পর যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনা হয়। এমনকি যাত্রীদের কথা ভেবেই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বিমানের জরুরি অবতরণ করা হয়।
মাঝ আকাশে ফের বিপত্তি। এবারে বিমানের (Flight) মধ্যে এক যাত্রীর মোবাইল ফোন ফেটে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটল। এরপরই জরুরি অবতরণ করানো হয় বিমানটির। জানা গিয়েছে, বিমানটি রাজস্থানের উদয়পুর (Udaipur) থেকে দিল্লির উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল ও এটি এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থার বিমান। ঘটনাটি ১৭ জুলাই, সোমবার দুপুরের দিকে ঘটেছিল বলে খবর।
জানা গিয়েছে, সোমবার বেলা ১ টা নাগাদ রাজস্থানের দাবক বিমানবন্দর থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। এরপর বিমানটি উড়ে যেতেই এক বিমানযাত্রীর মোবাইল ফোন আচমকা বিকট শব্দে ফেটে যায়। এই বিস্ফোরণের পরেই বিমানের মধ্যে ধোঁয়ায় ভরে যায়। এরপর এই খবর পাইলটের কাছে যেতেই তিনি যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিমানের জরুরি অবতরণ করান। উদয়পুরের বিমানবন্দরেই অবতরণ করানো হয় বিমানটির।
জানা গিয়েছে, সেই সময়ে বিমানের মধ্যে ১৪০ জন যাত্রী ছিলেন। ফলে বিমানের মধ্যে এমন বিস্ফোরণের পর পাইলট বিমানটির জরুরি অবতরণ করানোর সিদ্ধান্ত নেন। এরপরই বিমানযাত্রীদের নামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। সমস্ত কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। কিন্তু বিমানের মধ্যে সমস্ত কিছু ঠিক থাকায় প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যেই ফের দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি। এরপর বিমানটি ঠিকমতো গন্তব্যে পৌঁছে যায় বলে খবর।
ফের মাঝ আকাশে ধুন্ধুমার কাণ্ড। এবারে বিমানের (Flight) শৌচালয়ে নয়, সিটের পাশেই মলত্যাগ, প্রস্রাব ও থুতু ফেলার অভিযোগ উঠল এক বিমানযাত্রীর বিরুদ্ধে। ২৪ জুন মুম্বই (Mumbai) থেকে দিল্লিগামী (Delhi) বিমানে এমন ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস (Police)।
পুলিস সূত্রে খবর, ২৪ জুন মুম্বই থেকে দিল্লিগামী বিমানে উঠেছিলেন রাম সিং নামের এক ব্যক্তি। এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থার এআইসি ৮৬৬ বিমানের ১৭এফ-এ তার সিট ছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, সে সিটের ৯ নম্বরের লাইনে গিয়ে এইসব অভব্য কাণ্ড ঘটিয়েছেন। এরপর তার এইসব কাণ্ড বিমানকর্মীর চোখে পড়তেই তাকে অন্যান্য যাত্রীদের থেকে তাকে সরিয়ে রাখা হয়। এরপর এই বিষয়ে বিমানচালককেও সতর্ক করা হয়। রাম সিং-এর এমন কাণ্ডে স্বাভাবিকভাবেই বিরক্ত হয়ে পড়েন অন্যান্য যাত্রীরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন বিমান সেবিকারা।
এরপর বিমান দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের পরই তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ২৯৪ ও ৫১০ ধারার অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এরপর এয়ার ইন্ডিয়ার তরফেও একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, সংস্থা এমন ধরনের আচরণ কখনও মেনে নেয় না। তারা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে।
এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) ইকোনমি ক্লাসে বসে কিছু যাত্রী, আবার কেউ কেউ সিট খুঁজতে ব্যস্ত, এরই মধ্যে এক চেনা মুখ। তবে এ যে কোনও সাধারণ ব্যক্তি নন, তিনি হলেন সবার পরিচিত বলিউড অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান (Kartik Aryan)। তবে বলিউড অভিনেতা বিমানের ইকোনমি ক্লাসে কী করছেন, এই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। তিনি একজন অভিনেতা হয়েও যে বিজনেস ক্লাস ছেড়ে ইকোনমি ক্লাসে চড়েছেন, তা দেখেই বেজায় খুশি তাঁর অনুরাগীরা। নেটিজেনদের বক্তব্য, এর থেকেই তাঁর বড় মনের কথা বোঝা যাচ্ছে। তবে অনেকে আবার এই বিষয়টিকে ঠিক নজরে দেখছেন না, ফলে শুরু হয়েছে সমালোচনাও।
কয়েকদিন পরেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর ছবি 'সত্য প্রেম কি কথা'। আর সেই ছবির জন্যই তিনি আহমেদাবাদে গিয়েছিলেন কোনও এক অনুষ্ঠানে। সেখান থেকে সোমবার মুম্বই যাওয়ার জন্য তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার ইকোনমি ক্লাসকেই বেছে নেন। এদিন বিমানযাত্রীদের মাঝে হঠাৎ দেখা যায় আকাশি রংয়ের শার্ট ও জিন্স পরে অর্থাৎ তাঁকে ক্যাজুয়াল লুকেই বিমানের মধ্যে সিট খুঁজতে দেখা গিয়েছে। যা দেখে আপ্লুত যাত্রীরা। তাঁর এই ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল। নেটিজেনরা কমেন্ট করেছেন, 'ইকোনমি ক্লাসে উঠেছেন, ফলে বোঝাই যাচ্ছে তিনি কতটা নম্র স্বভাবের।' তবে অনেকে আবার কটাক্ষ করে এটাকে 'পাবলিসিটি স্টান্ট' বলেই উল্লেখ করেছেন।