মণি ভট্টাচার্যঃ ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠেছে মাটি। নতুন বছরের প্রথমদিনেই ভয়ঙ্কর শক্তিশালী ভূমিকম্পে তছনছ জাপান। তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে একের পর এক বাড়ি। হাহাকার আর আতঙ্ক যেন গ্রাস করেছে গোটা জাপানে। তার মধ্যেই আছড়ে পড়েছে সুনামির ঢেউও। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি ও হড়পা বানেরও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এমতাবস্থায় জাপানে স্বপরিবারে আটকে পড়েছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিস বিভাগের অধ্যাপক। সিএন-এর প্রতিনিধির কাছে নিজের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন তিনি।
অধ্যাপক সুদীপ্ত দাস বললেন, বছরের প্রথম দিনে স্ত্রী ও চার মাসের সদ্যোজাত কন্যাকে নিজে জাপানের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র টোকিও স্কাইটিতে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎই ভূমিকম্পের সতর্কতা ঘোষণা হয়। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজেরাও অনুভব করেন জোরালো কম্পন। আটকে পড়েন স্কাইটিতে। লিফট বন্ধ করে দেওয়া হয়। নতুন বছরের সূচনা উপলক্ষে এদিন বহু মানুষের সমাগম হয়। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে।
সুদীপ্ত দাস আরও জানান, তিনি স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে গবেষণার জন্য রয়েছেন জাপানে। তিনি বোলপুরের নতুন পুকুর এলাকার বাসিন্দা। এখনও ক্রমাগত আফটারশক হচ্ছে বলে জানান তিনি। আবহাওয়াও খারাপ হচ্ছে। জাপানের প্রশাসন ও ভারতীয় দূতাবাস এই পরিস্থিতিতে অনেকটাই সহায়তা করেছে। তবুও ভয়েই দিন কাটাচ্ছেন অধ্যাপক।
প্রসঙ্গত, ভূমিকম্পে এখনও অবধি ৫০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে জাপান প্রশাসনের তরফে। গুরুতর জখম বহু। এখনও অবধি ১৫৫ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে জাপানের বিভিন্ন জায়গায়। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নোটো উপকূল। শতাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে সেখানে।
নববর্ষের দিনে উত্তর-মধ্য জাপানে আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.৬। ভূমিকম্পের পরেই উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। যার ফলে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোমবার ভোররাতে জাপানের ভূ-কম্পনে কেঁপে ওঠার একটি ভিডিও এই মূহুর্তে ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্য়মের পাতায়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জোরে জোরে কাঁপছে রেলস্টেশন সহ মেট্রো রেল। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
Footage from the local Shinkansen station in Ishikawa prefecture, extremely powerful shaking! #japan #earthquake pic.twitter.com/moNwOIH7xp
— MEER YASIR (@MEERYASIR0056) January 1, 2024
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, এদিন ভূমিকম্প শুরু হয়েছে উত্তর-মধ্য জাপানে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৬ মাত্রা। এর ফলে তৈরী হয়েছে সুনামির সম্ভাবনা। তাই ইশিকাওয়া, নিগাতা এবং তোয়ামা প্রিফেকচারের পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে সুনামির সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে এই ভূমিকম্পে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি এখনো পর্যন্ত।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চিন। তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়িঘর। প্রকৃতির এই বিধ্বংসী রোষে এখনও পর্যন্ত ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০০ জন। জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে উত্তর-পশ্চিম চিনের গানসু এবং কিংহাই প্রদেশ কেঁপে উঠে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.২। ধ্বংসস্তূপের নীচে যারা আটকে পড়েছেন বহু। মঙ্গলবার সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১২টা নাগাদ কেঁপে ওঠে গানসু এবং কিংহাই প্রদেশ। ভূকম্পের কেন্দ্রস্থল গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝৌ থেকে ১০০ কিমি দূরে মাটি থেকে মাত্র ১০ কিমি গভীরে।
উল্লেখ্য, আফটার শক হয় বেশ কয়েকটি জায়গায়। জোরালো এই ভূমিকম্পে চিনে জল ও বিদ্যুতের লাইনের পাশাপাশি পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। ভূমিকম্পে গানসু সহ কুইনঘাই প্রদেশের ভেঙে পড়ে বহু ঘর-বাড়ি। রাতে ভূমিকম্প হওয়ার সতর্কতার সুযোগ পায়নি মানুষ। ঘুমের মধ্যে ঘর বাড়ি চাপা পড়ে বহু মানুষের মৃত্য়ু হয়েছে।
বাংলাদেশে ভূমিকম্প। শনিবার সকাল ৯ টা ৫ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশের একাধিক এলাকা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৮। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলা। ভূমিকম্পের উৎসের গভীরতা মাটি থেকে ৫৫ কিমি নীচে। সাতসকালে এমন ভূমিকম্পন অনুভূত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে পড়েছে মানুষের মধ্য়ে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতে খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সহ কলকাতাতেও অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্প। এছাড়াও রাজ্য়ে একাধিক জায়গায় অনুভূত হয়েছে মৃদু কম্পন। অন্য়দিকে মৃদু কাঁপুনি উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিতেও।
ফের জোরালো কম্পনে কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। গত শুক্রবার মধ্যরাতেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দিল্লি। শুধু দিল্লি নয়, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এমনকি কলকাতাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। সেই কম্পনের ৭২ ঘণ্টা কাটতে বা কাটতেই সোমবার বিকেলে ফের ভূমিকম্পে কাঁপল রাজধানী। কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে উত্তরপ্রদেশেও।
Earthquake of Magnitude:5.6, Occurred on 06-11-2023, 16:16:40 IST, Lat: 28.89 & Long: 82.36, Depth: 10 Km ,Region: Nepal for more information Download the BhooKamp App https://t.co/TXMwjzCLks @KirenRijiju @Ravi_MoES @Dr_Mishra1966 @ndmaindia @Indiametdept pic.twitter.com/HM8ZaYMlZH
— National Center for Seismology (@NCS_Earthquake) November 6, 2023
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে খবর, কম্পনের উৎসস্থল ছিল নেপাল। মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে কম্পন হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। সোমবার বিকাল ৪টে ১৬ মিনিট নাগাদ দিল্লি-সহ নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ ও সংলগ্ন অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়। এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। তবে মাত্র ৩ দিন আগেই বড়সড় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল নেপালে। ৬.৪ মাত্রার সেই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে।
শুক্রবারের পর ফের রবিবার সকালে কেঁপে উঠল নেপাল (Nepal)। শুক্রবার রাতের আতঙ্কের রেশ কাটার আগেই রবিবার সকালে ফের কম্পন অনুভূত হল নেপালেও। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.৬। সূত্রের খবর, কাঠমাণ্ডু থেকে ১৬৯ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে ছিল কম্পনের কেন্দ্রস্থল। আবার রবিবার মধ্যরাতে কম্পন (Earthquake) অনুভূত হয়েছে অযোধ্যাতেও।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার ভোর ৪টে ৩৮ মিনিট নাগাদ ফের ভূমিকম্প হয় নেপালে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল কাঠমাণ্ডু থেকে ১৬৯ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল। যদিও এই ভূমিকম্পের জেরে এখনও অবধি নতুন করে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
কিন্তু শুক্রবার রাতে যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় নেপালে, তার জেরে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ভেরি ও জাজারকোট গ্রাম। এখনও সেখানে উদ্ধারকাজ চলছে। এই ভূমিকম্পের পরে সেখানে একাধিকবার আফটার শকও অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আবার নেপালে ভূমিকম্পের মাঝেই কেঁপে রবিবার মধ্যরাতে কেঁপে ওঠে অযোধ্যাও। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রাও ৩.৬ ছিল বলেই জানা গিয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, রবিবার রাত ১ টা নাগাদ উত্তর প্রদেশের অযোধ্যাতে ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল অযোধ্যা থেকে ২১৫ কিলোমিটার উত্তরে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। সেখান থেকেও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার রাতে জোরালো কম্পনে কেঁপে ওঠে নেপাল (Nepal)। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের (Earthquake) মাত্রা ছিল ৬.৪। রাত ১১টা ৩২ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। শুধুমাত্র নেপাল নয়, এই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে গোটা উত্তর ভারত। দিল্লি, বিহার থেকে শুরু করে কলকাতা পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে কম্পন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, রাতের সেই ভূমিকম্পে নেপালে অন্তত ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সকাল হতেই এই মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩২-এ। আহত বহু। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ কেঁপে ওঠে দিল্লি-এনসিআর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপাল। কম্পনের কেন্দ্র মাটি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার নীচে ছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। ভূমিকম্পের উৎসস্থলের পাশেই নেপালের জাজারকোট ও ভেরী গ্রাম অবস্থিত। ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই দুটো গ্রামই। সূত্রের খবর, ভূমিকম্পের পরই কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ কয়েকটি বাড়ি তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে। বহু বাড়িতে চওড়া চওড়া ফাটল ধরে। ইট-কাঠ-সিমেন্টের ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়ছে বহু মানুষের। ফলে ভেরী ও জাজারকোট গ্রামে চারিদিকে শুধুমাত্র ধ্বংসস্তূপ।
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই খবর পেয়েই সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল। নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্প নিয়ে শোক প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, "নেপালের ভূমিকম্পে মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির খবর শুনে অত্যন্ত দুঃখিত। ভারত নেপালের নাগরিকদের পাশে রয়েছে। আমরা সবধরনের সহযোগিতা করব।"
Deeply saddened by loss of lives and damage due to the earthquake in Nepal. India stands in solidarity with the people of Nepal and is ready to extend all possible assistance. Our thoughts are with the bereaved families and we wish the injured a quick recovery. @cmprachanda
— Narendra Modi (@narendramodi) November 4, 2023
ফের ভূমিকম্প (Earthquake) আফগানিস্তানে (Afghanistan)। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.৩। গত শনিবারই একাধিকবার কম্পন অনুভূত হয় আফগানিস্তানের হেরাত ও সংলগ্ন এলাকায়। গত ভূমিকম্পের ৪ দিনের মাথায় ফের শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হল আফগানিস্তানে। গত শনিবার আফগানিস্তানের ভূমিকম্পে মৃত্যু হয় ৪ হাজাররের বেশি মানুষের। আগের ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ভূমিকম্প হওয়ায় আতঙ্কে আফগানিস্তানের নাগরিকরা।
সূত্রের খবর, স্থানীয় সময় ভোর ৫ টা ১০ মিনিটে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তানে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.৩। হেরাত শহরের উত্তরে ২৯ কিমি দূরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল।
গত শনিবার তিনটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার পর একাধিকবার আফটার শক অনুভূত হয়েছে। তীব্র কম্পনের ফলে হেরাতের প্রায় ১১টি গ্রাম ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভূমিকম্পে ভেঙে পড়েছে সে দেশের অন্তত ২,০০০ বাড়ি। মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চার হাজারের গণ্ডি পার করেছে। তবে এদিনের ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর আসেনি। কিন্তু বারংবার ভূমিকম্পের ফলে আতঙ্কে রয়েছেন সেদেশের নাগরিকরা।
শনিবার পর পর তিনবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের (Afghanistan) হেরাত শহর। এর পর একাধিকবার আফটারশকও অনুভূত হয়েছে। কয়েক মিনিটের ভূমিকম্পে ধূলিসাৎ হয়েছে একাধিক গ্রাম। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে শুধু লাশের স্তূপ। ধুলোয় মিশে গিয়েছে আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এই ভূমিকম্পের জেরে মাটিতে মিশে গিয়েছে প্রায় ১২টি গ্রাম। মৃতের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সূত্রের খবর, সেই দেশে মৃতের সংখ্যা ২০০০ পেরিয়ে গিয়েছে।
আফগান সরকার ও বিভিন্ন সংস্থার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, রবিবার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০০-এরও বেশি। তবে শেষ পর্যন্ত, এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, হেরাত প্রদেশের অন্তত ১২টি গ্রাম ভূমিকম্পে পুরো মাটিতে মিশে গিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, অন্তত ৪৬৫টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আরও ১৩৫টি বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুর ১২টা ১১ মিনিটে প্রথম কম্পন হয় পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাতে। কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.১। দ্বিতীয় কম্পনটি হয় ১২টা ১৯ মিনিটে। এর তীব্রতা ছিল ৫.৬। তৃতীয় কম্পনটি ছিল আরও জোরালো। তীব্রতা ছিল ৬.৩। দুপুর ১২টা ৪২ মিনিটে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। এই কম্পনের উৎসস্থল ছিল হেরাত থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। এর পরই জানা যায়, ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন ভয়াবহ ভূমিকম্পে। কিন্তু এই সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভয়াবহ ভূমিকম্প (Earthquake) আফগানিস্তানে (Afghanistan)। হেরাত ও সংলগ্ন এলাকায় কয়েক মিনিটে পর পর মোট পাঁচ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রথমবার যে ভূমিকম্প হয়, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু এবং ৭৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর পরই পর পর চারবার আফটারশক অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কম্পের মাত্রা ছিল ৫.৫, ৪.৭, ৫.৯ ও ৪.৬।
সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর ১২টা বেজে ১১ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। পরের ভূমিকম্প হয় ১২টা ১৯ ও ১২টা ৪২ মিনিটে। ভূমিকম্পটির উৎসস্থল ছিল হেরাত শহর থেকে ৪০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে। এদিন কম্পনের জেরে পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাত শহরের একাধিক বাড়ির দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় মিলেছে ধসের খবরও। একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, এই ভূমিকম্পে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্তত ৭৮। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। সোমবারই উত্তরবঙ্গে কম্পন অনুভূত হয়। আর এর পর আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার কম্পন অনুভূত হল দিল্লি সহ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.২। প্রায় ৪০ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে এর তীব্রতাও বেশি ছিল। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী দিল্লিতে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর ২টো ২৫ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয় নেপালে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৬। দ্বিতীয় ভূমিকম্প হয় মঙ্গলবার দুপুর ২টো ৫১ মিনিটে। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.২। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎস্থল নেপালের ভাতেখোলা থেকে ২ কিলোমিটার দূরে, মাটির পাঁচ কিলোমিটার কিলোমিটার গভীরে।
দিল্লিবাসীর পাশাপাশি কম্পন অনুভব করেন নয়ডা, ফরিদাবাদ, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদের বাসিন্দারা। উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশেও কম্পন অনুভূত হয়। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, বহুতল থেকে মানুষ আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসেন। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
দুই মাসের ব্যবধানে ফের ভূমিকম্প (Earthquake) বাংলায়। সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে (North Bengal) কম্পন অনুভূত হয়। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার শিলিগুড়িতে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.২। সূত্রের খবর, ভূমিকম্পের উৎসস্থল মেঘালয়। এদিন সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে মেঘালয়ের উত্তর গারো পাহাড়ে এই ভূমিকম্প হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার নীচে ভূমিকম্পের উৎসস্থল। তার জেরেই কেঁপে ওঠে বাংলার একাধিক জেলা। ১৮ সেকেন্ড এই কম্পন হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় এই ভূমিকম্পের জেরে রীতিমত আতংক ছড়ায় উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার সহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষ একপ্রকার আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। গত আগস্ট মাসেও বাংলায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
শুক্রবার অপ্রত্যাশিত ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে মরক্কো (Morocco)। বড় বড় অট্টালিকা মিশে গিয়েছে মাটির সঙ্গে। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখনও উদ্ধার করা হচ্ছে মৃতদেহ। হিসেবে বলছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ হাজার। আহতের সংখ্যাও কম নয়। এমন পরিস্থিতিতে মন কাঁদছে মরোক্কান সুন্দরী নোরা ফতেহির (Nora Fatehi)। নিজের আবেগ ধরে রাখতে না পেরে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন, বলিউডের মডেল তথা আইটেম ডান্সার।
নোরা লিখেছেন, 'মরক্কোতে ভূমিকম্প সাংঘাতিক বিধ্বংসী। আমি শুধু দেখছি, কতগুলো শহরে এর চরম প্রভাব পড়েছে, এবং কতগুলো জীবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আমার হৃদয় এই মুহূর্তে সকলের সঙ্গে রয়েছে। আমি সকলের সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করছি। এটি খুব ভয়ঙ্কর। ধন্যবাদ আমার পরিবার এবং বন্ধুরা সুরক্ষিত রয়েছেন। যারা নিজের কাছের মানুষকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।'
অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মরক্কোয় বিধ্বংসী ভূমিকম্প পরিস্থিতিতে শোক জ্ঞাপন করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে নোরা লিখেছেন, ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাশে থাকার জন্য। মরোক্কান মানুষেরা খুবই কৃতজ্ঞ থাকবে আপনার কাছে।'
শুক্রবার মরক্কোয় গভীর রাতে ভূমিকম্পে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমপক্ষে ২০০০ জন ছাড়িয়েছে। আহত অন্তত ১৫০০ জন। ৯০০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সংবাদমাধ্যম এএফপির রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর আফ্রিকার দেশে এত প্রবল ভূমিকম্প হয়নি। এই দেশ ভূমিকম্পপ্রবণ নয়। তাই বাড়িগুলিও তেমন পোক্ত নয়। মরক্কোর রাজা ফোর্থ মহম্মদ সশস্ত্র বাহিনীকে বিপর্যয় মোকাবিলার কাজে লাগিয়েছেন।
রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮। বিধ্বংসী এই কম্পনের জেরে ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে ইউনেস্কো হেরিটেজ হিসেবে চিহ্নিত, ঐতিহাসিক মারাকেশ শহরকে ঘিরে থাকা লাল দেওয়াল। ভূমিকম্পের ফলে ঘরছাড়া অসংখ্য মানুষ। এদিকে এই ঘটনায় জি ২০ এর সম্মেলনে মরোক্কোর পাশে থাকার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
রাতারাতি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হল মরক্কো (Morocco)! মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। সূত্রের খবর, মরক্কোয় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল কমপক্ষে ৮২০ জনে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার রাতে তীব্র ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে ওঠে মরক্কো। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৮।
সূত্রের খবর, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ১১ মিনিট নাগাদ বেশ কয়েক সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়। এর ১৯ মিনিট পর আফ্টারশক অর্থাৎ কম্পনের হালকা ঝটকা অনুভব করেন স্থানীয়রা। আর এর পরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে একের পর এক বাড়ি। ধ্বংসস্তূপে এখনও অনেকের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাড়ি-ঘর ছাড়া বহু মানুষ। আহত হয়েছেন প্রায় ২ হাজারের বেশি মানুষ। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
অন্যদিকে ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে মরক্কোর বিপদে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জি-২০ সম্মেলন শুরুর পরেও তিনি মরক্কোর প্রসঙ্গ এনেছেন ও মরক্কোকে সমস্ত রকম সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন।