
মৃত্যু (Death) হল দিল্লির একই পরিবারের ৬ সদস্যের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির (Delhi) শাস্ত্রী পার্ক অঞ্চলে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস (Police) দরজা ভেঙে ৬ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন। পুলিস দেহগুলি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ওই ৬ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক ভাবে দমবন্ধ হয়ে ওই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান। তবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে পুলিস দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বাড়ির সদস্যদের ডাকাডাকি করলেও কেউ দরজা না খুললে তাঁরা পুলিসে খবর দেয়।
এক সংবাদমাধ্যম থেকে খবর, কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাসের কারণেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। যে ঘরে ওই ৬ জন ঘুমোচ্ছিলেন, সেখানে একটি মশার ধূপ জ্বলছিল। অনুমান, ওই ধূপ থেকে বেরোনো বিষাক্ত গ্যাসের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই ৬ জনের।
এই প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব দিল্লি পুলিসের ডেপুটি কমিশনার বলেন, “রাতে ঘরের সমস্ত দরজা-জানালা বন্ধ ছিল। ছোট ঘরে জ্বলছিল মশার ধূপ। ফলে বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে সকলের। সকলেই ঘুমে অচেতন থাকায় ঘর থেকে বেরোনোর সুযোগ পাননি কেউই।”
বিষপান করে মৃত্যু হল একই পরিবারের (Death) চার জনের। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে (Hyderabad)। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হায়দরাবাদ কুশাইগুদা থানার (Kushaiguda Police) পুলিস। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। জানা গিয়েছে, সতীশ এবং ভেদা নামে ওই দম্পতির দুই সন্তান ছিল। একজন নিশিকেত (৯) এবং অপর জন নিহাল (৫)। বেশ কেয়েক বছর আগেই বড়ো সন্তান নিশিকেতের একটি দুরারোগ্য রোগ ধরা পড়ে। তাঁর চিকিৎসা চলাকালীনই ওই দম্পতির ছোট সন্তানও ওই একই রোগে আক্রান্ত হয়। ফলে দুই জনেরই চিকিৎসা চলে। তবে চিকিৎসা করিয়েও কোনও ফল পায় না তাঁরা। যায় জেরে মানসিকভাবে বেশ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। পুলিস সূত্রে খবর, এই ঘটনার খবর শনিবার দুপুরের পর পাওয়া যায়। তড়িঘড়ি পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
কুশাইগুদা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিস আধিকারিক জানান, সন্তানদের দীর্ঘ শারীরিক অসুস্থতার কারণেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই দম্পতি। অনুমান সে কারণেই তাঁরা প্রথমে সন্তানদের বিষ খাওয়ান, পরে নিজেরাও বিষপান করেন। ফলে তাঁদের চার জনের মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে, দাবি পুলিসের। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিস অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
সতীশ কৌশকের মৃত্যুশোক কাটতে না কাটতেই ফের বলিউডে শোকের ছায়া।প্রয়াত প্রবীণ অভিনেতা (Entertainment) সমীর খাকর। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বলিউড। কয়েকদিন ধরেই শ্বাসকষ্ট ও নানা শারীরিক রোগে ভুগছিলেন নুক্কর খ্যাত এই অভিনেতা। মঙ্গলবার বিকেলে হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তড়িঘড়ি তাঁকে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে যেতেই শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল (Paralysis) হতে শুরু করে। চিকিৎসকদের অনেক চেষ্টার পরেও শেষরক্ষা হয়নি। বুধবার ভোরে প্রয়াত হয়েছেন অভিনেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। অভিনেতার মৃত্যুতে তাঁর ছোট ভাই গনেশ খাকর জানান, 'মঙ্গলবার বিকেলে শরীর খারাপ হওয়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন দাদা। তারপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হতে থাকায় মৃত্যু হয় অভিনেতা সমীর খাকরের।' বুধবার অভিনেতার শেষকৃত্য(Last Rites)।
সমীর খাকর দূরদর্শনের জনপ্রিয় নুক্কর ধারাবাহিকের পরিচিত মুখ ছিলেন। সার্কাস ধারাবাহিকেও কাজ করেন সমীর। পাশাপাশি ছোট পর্দায় রাজাবাবু, দিলওয়ালে, শাহেনশার মতো ছবিতেও দেখা গিয়েছে এই অভিনেতাকে।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দেশজুড়ে ক্রমাগত বাড়ছে। গত কয়েক মাস ধরে জিম করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বহুবার সামনে এসেছে। এবার জিমে ব্যায়াম করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত (Heart Attack) হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন পুলিস কনস্টেবলের (Police Constable)। ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়। মৃত কনস্টেবলের নাম বিশাল। তিনি হায়দরাবাদের (Hyderabad) বাওয়েনপল্লির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ২৪ বছর বয়সি বিশাল নিয়ম করে প্রতিদিনই বাওয়েনপল্লি এলাকায় একটি জিমে ব্যায়াম করতেন। বৃহস্পতিবারও এসেছিলেন ব্যায়াম করার জন্য। রাত আটটা নাগাদ ঘটে যায় দুর্ঘটনাটি। বর্তমানে তেলেঙ্গনার আসিফ নগর থানায় কর্মরত ছিলেন বিশাল। এই ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ২০২০ সালে পুলিশে চাকরি পেয়েছিলেন বিশাল।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, জিমে গিয়ে পুশ আপ করছিলেন ওই পুলিস কনস্টেবল। তাঁর পাশে সেসময় অনেকই ব্যায়াম করছিলেন। পুশ আপের পর স্ট্রেচ করতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর হঠাৎ জিমের একটি যন্ত্র ধরে কাশতে শুরু করেন তিনি। প্রবল কাশতে কাশতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেখানে উপস্থিত সকলে ছুটে আসেন। এরপর তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা।হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিশালের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের চিকিৎসকরা। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
নিজের ফ্ল্যাটেই বুধবার সকালে রহস্যমৃত্যু একেন বাবুর স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্তের। জানা গিয়েছে, মৃত্যুকালে এই সাহিত্যিকের বয়স হয়েছিল ৮০। বেশিরভাগ সময় আমেরিকায় থাকলেও বেশ কয়েকমাস ধরে তিনি কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন ফ্ল্যাটে থাকছিলেন। সেখান থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। সম্প্রতি দ্য একেন ছবির জন্য তিনি কলকাতায় আসেন। সূত্রের খবর মঙ্গলবারই তাঁর স্ত্রী শান্তিনিকেতন গিয়েছেন। বুধবার সকালে পরিচারিকা এসে কলিং বেল বাজালে কেউ দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় তাঁর। এরপর পুলিসকে খবর দিলে দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সাহিত্যের একেনবাবু ওটিটি পর্দায় জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র। নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী। সম্প্রতি পর্দার একেন বাবুর চরিত্র দেখে বেশ প্রশংসার সুর শোনা গিয়েছিল স্রষ্টার গলায়। কিন্তু প্রবীণ এই সাহিত্যিকের রহস্যমৃত্যুতে সাংস্কৃতিক জগতে শোকের ছায়া।
শহরের সরকারি হাসপাতালে ফের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে রোগী মৃত্যুর (Patient Death) ঘটনা। এবার কাঠগড়ায় এনআরএস হাসপাতাল (NRS Hospital)। অভিযোগ, চার হাসপাতালে ঘুরে এনআরএস হাসপাতালে আসলে চিকিৎসা না পেয়েই মৃত্যু বছর ২৪-র যুবকের। জানা গিয়েছে, বাইক থেকে পড়ে চোট পান ওই যুবক (Young Boy Died)। পায়ে গুরুতর চোট পেলে এবং যন্ত্রণা শুরু হলে শহরের একাধিক হাসপাতাল ঘুরে এনআরএস-এ আনা হয় সেই যুবককে। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে চিকিৎসা না দিয়ে ফেলে রাখা হয়, তাতেই যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। শুধু চিকিৎসায় গাফিলতি নয়, উঠেছে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ। যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতিও চলছিল। সেই সময় মৃত্যু হয় যুবকের।
এদিকে পরিবারের অভিযোগ, ভালো ছেলে কথা বলছিল। নিজে জলও খায় তারপরেও কীভাবে এই ঘটনা। ওকে ভর্তির সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন তাঁদের অনেক অনুনয়-বিনয় করা হয়। রোগী সমেত ঢুকতে দেওয়া হয়নি, কার্ড করে না আনলে চিকিৎসা হবে না। আমাদের এসব বলা হয়। এভাবে সকাল ৯টা অবধি ফেলে রেখেছিল রোগীকে। প্রাথমিক চিকিৎসা হলে ওই যুবক বেঁচে যেত। এমন আক্ষেপ শোনা গিয়েছে পরিবারের গলায়।
মৃতের মা জানান, 'বাইক থেকে পড়ে পায়ে চোট পায়। যন্ত্রণা হলে ভাঙড়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। রাতে ব্যথা হলে এসএসকেএম হাসপাতালে আনলে এক্সরে কর কিছু পায়নি। আমাদের বলে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেও কিছু না পেয়ে বলে নীলরতনে নিয়ে যান। সকাল ৬টা নাগাদ এই হাসপাতালে আনলে বলে আগে কাগজ আনুন, তারপর চিকিৎসা শুরু হবে। সিস্টারের কাছে গিয়ে ভর্তির কাগজ তৈরি করতে গিয়ে বলি একটু তাড়াতাড়ি করুন। বলে তাড়াতাড়ি হবে না। এভাবে সকাল ৯টা অবধি ছেলেটাকে ফেলে রাখে। একটা ইঞ্জেকশন দিলেই ব্যথা কমতো, আমার ছেলেটা বেঁচে যেত।'
৭৭ বছর বয়সে প্রয়াত প্রবীণ অভিনেতা বিক্রম গোখলে (Actor Vikram Gokhale)। শনিবার পুণের দীননাথ মঙ্গেশকর হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন 'হাম দিল দে চুকে সনম' খ্যাত এই অভিনেতা (veteran Actor Died)। তিনি সতেরো দিন ধরেই পুনের এই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেতা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। চলতি সপ্তাহেই হাসপাতাল জানিয়েছিল, তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে সে রাতে। শোকপ্রকাশ করেন একাধিক তারকা (Bollywood Celebrities)। তবে সবটাই গুজব বলে দাবি করেছিল পরিবার। অভিনেতার স্ত্রী এবং কন্যা বুধবার রাতেই টুইটে জানান, ভেন্টিলেশনে রয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। এতেই ফের বিভ্রান্তি ছড়ায়। তবে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল সেই ট্যুইটে সিলমোহর বসায়। লড়াই জারি ছিল বিক্রমের।
ইতিমধ্যে শুক্রবারই আবার অভিনেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ভেন্টিলেশনের মাত্রা বাড়াতে হয়। আপ্রাণ চেষ্টা চালান চিকিৎসকরা। তবে শেষরক্ষা হল না। শনিবার দুপুরে পরিবারের তরফে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।
২৬ বছর বয়সে বলিউডে পা রাখেন বিক্রম। অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘পরওয়ানা’ ছিল বিক্রমের প্রথম ছবি। ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের বাবার চরিত্রে অভিনয়, তাঁকে বেশি পরিচিতি দেয়। ভুল ভুলাইয়া ছবিতে আচার্যের ভূমিকায় অভিনয় এবং ‘মিশন মঙ্গল’ ছবিতে বিজ্ঞানী চন্দ্রেশ সিংয়ের চরিত্রে অভিনয় আজও দর্শকের মনে রয়েছে। মরাঠি ছবি ‘অনুমতি’-তে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার।
সোমবার দুর্ঘটনায় (Accident) প্রাণ (Death) হারান সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media celebrity) সেলিব্রিটি রোহিত ভাটি (Rohit Bhati)। যিনি রাউডি ভাটি (Rowdy Bhati) নামে পরিচিত। ঘটনার দিন গাড়িতে ২৫ বছর বয়সী এই তারকার সঙ্গে আরও ২ জন ছিলেন। জানা গিয়েছে, গ্রেটার নয়ডায় একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁদের গাড়ির। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দুই বন্ধুকে। একজন পুলিস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোহিত ভাটি দুর্ঘটনায় মারা যান। আর তাঁর সঙ্গে থাকা দুই বন্ধু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজন গ্রেটার নয়ডায় গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে (জিআইএমএস) এবং অন্যজনকে গুরুতর অবস্থার কারণে দিল্লিতে রেফার করা হয়েছে।
পুলিসের ইনচার্জ অনিল কুমার বলেন, "চৌহাদপুর আন্ডারপাসের কাছে ভোর ৩ টের দিকে ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, তাঁরা একটি পার্টি থেকে ফিরছিলেন। দ্রুতগতিতে গাড়িটি চলছিল। এর ফলে একটি গাছে ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনাটি ঘটে।"
ভাটি বুলন্দশহরের বাসিন্দা। কিন্তু বর্তমানে তিনি গ্রেটার নয়ডায় বসবাস করছিলেন। গুজ্জর সম্প্রদায়ের অন্তর্গত, ভাটি ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জনপ্রিয় ছিলেন। আর তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা হাজার হাজার বললে ভুল বলা হবে না। ভাটির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই শোকের ছায়া নেমে আসে ভক্তদের মধ্যে। কয়েকজন অনুরাগী তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে শেষকৃত্যের রিল এবং ভিডিও পোস্ট করেন নেটপাড়ায়।
পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু (Death) হল এক স্কুল পড়ুয়ার (Student)। গুরুতর আহত আরও এক পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার (Cooch Behar) শহর সংলগ্ন চকচকা হরি মন্দির ৩১নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আহত ওই পড়ুয়া। ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার খাপাইডাঙ্গা এলাকা থেকে টোটো করে পড়ুয়ারা চকচকার দিকে আসছিল। হরি মন্দির রাস্তা পার করার সময় খাগড়াবাড়ি থেকে তুফানগঞ্জ এর দিকে একটি ট্রাক মাঝ রাস্তায় চলে আসে। সেই সময় টোটোতে থাকা দুই পড়ুয়া নিজেকে বাঁচাতে ঝাঁপ দেয়। সেই সময় তারা গাড়ির নিচে চলে আসে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চয়ন রায় নামে এক পড়ুয়ার। গুরুতর আহত অবস্থায় অপূর্ব সরকার নামে আরেক পড়ুয়াকে স্থানীয় লোকজন এবং দমকল বিভাগের কর্মীরা উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুন্ডিবাড়ী থানার পুলিস। ইতিমধ্যে গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে। গোটা ঘটনা তদন্ত করছে পুলিস।
ভয়াবহ বন্যার (Flood) কবলে নাইজেরিয়া (Nigeria)। মারাত্মক খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে। এ বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন (Death) প্রায় ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ। এবং আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ নাইজেরিয়ান।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী জানিয়েছেন, পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে সাম্প্রতিক বন্যা একটি "অপ্রতিরোধ্য" দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। সতর্ক করা সত্ত্বেও অনেক রাজ্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি না নেওয়ায় এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
নাইজেরিয়ার মানবিক বিষয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সাদিয়া উমর ফারুক রবিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
নাইজেরিয়ায় এক দশকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। বন্যার কারণে এক মিলিয়নেরও বেশি লোক তাঁদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত হয়েছেন। যেখানে ২ লক্ষেরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত বন্যা অব্যাহত থাকবে জানিয়েছে সেখানকার আবহাওয়া দফতর। বর্ষাকালে প্রতি বছর দেশটিতে হালকা বন্যা দেখা দিলেও এ বছর তা অত্যধিক ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে।
দেশে ভয়াবহ বন্যার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে অতিবৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তন। বাড়িঘর ছাড়াও বিস্তীর্ণ কৃষিজমিও ধ্বংস হয়েছে। বন্যায় নাইজেরিয়ার ৩৬টি রাজ্যের মধ্যে ২৭টি রাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, নাইজেরিয়ার আবহাওয়া দফতর সতর্ক করেছে যে, ডেল্টা নদী, ক্রস রিভার, বায়েলসা এবং আনামব্রা সহ দেশের দক্ষিণের কয়েকটি রাজ্যে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত বন্যা অব্যাহত থাকতে পারে।
ফের হাতির হানায় মৃত্যু (death)। এবার প্রাণ গেল এক চা বাগান শ্রমিকের। ঘটনাটি আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার মাদারিহাট থানার মুজনাই চা বাগানের। শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃতার নাম মালো গঞ্জু। তিনি চা বাগানের ৫ নম্বর লাইনের বাসিন্দা। শুক্রবার ওই যুবতি ম্যানেজারের বাংলো থেকে ঘরে ফিরছিলেন। সেই সময় একটি হাতি (elephant) তাঁর উপর আক্রমণ করে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। দেহটি উদ্ধারে গিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বনকর্মীদের। বনদফতরের মাদারিহাট রেঞ্জ (Madarihat Range) সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃতের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
তবে স্থানীয়দের বক্তব্য, এলাকায় নিত্যদিন হাতির হানা লেগেই রয়েছে। সন্ধ্যার পর হাতির ভয়ে ঘর থেকে বেরোনো যায়না। হাতির আক্রমণে মাদারিহাটে পরপর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। হাতির হানা বন্ধের জন্য একাধিকবার বলেও কোনও সুরাহা মেলেনি। কিন্তু এবার পাকাপোক্ত ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন তাঁরা। তবে বনদফতরের দাবি, হাতির হানা রুখতে লাগাতার টহল চলছে তাঁদের পক্ষ থেকে।
শুক্রবারের এই মর্মান্তিক ঘটনার পর চা শ্রমিকরা শনিবার বাগানের কাজ বন্ধ রাখে। এদিন ফ্যাক্টরির সামনে জমায়েত হয়ে বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা দাবি রাখেন। তাঁরা জানান, বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাঁদের সমস্ত কাজ থেকে ছুটি দিতে হবে। তা না হলে শ্রমিকদের বাগান কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সঠিক নিরাপত্তার সঙ্গে শ্রমিক মহল্লায় পৌঁছে দিতে হবে।
সোমবার রাতে গোয়ায় (Goa) হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হয়ে মারা (Died) যান হরিয়ানার বিজেপি নেত্রী (BJP Leader) সোনালি ফোগাট (Sonali Phogat)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪২।
সূত্রের খবর, তিনি তাঁর কয়েকজন কর্মচারীকে নিয়ে গোয়ার সমুদ্রে ঘুরতে গিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, সোনালি ফোগাট ২০১৯ সালের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে আদমপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে তৎকালীন কংগ্রেস নেতা কুলদীপ বিষ্ণোই-এর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে তিন নির্বাচনে হেরে যান। কুলদীপ বিষ্ণোই কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে এখন তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
বিজেপির হরিয়ানা ইউনিটও সোনালী ফোগাটকে মহিলা মোর্চার রাজ্য সহ-সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত করেছিল। সোনালি অনেক বিখ্যাত টিভি সিরিয়ালে কাজ করেছেন। তিনি রিয়েলিটি শো বিগ বসের ১৪-এর একজন অংশগ্রহণকারী ছিলেন। সোমবার রাতেই নিজের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি।
সোনালি ফোগাট তাঁর টিকটক ভিডিওগুলির মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেছেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে ২০০৬ সালে টিভি অ্যাঙ্কর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তার ঠিক দুই বছর পর বিজেপিতে যোগদান করেন।
চারতলা আবাসনের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য বরাহনগর মন্ডলপাড়া এলাকায়। বরাহনগর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে মন্ডলপাড়া। এখানকারই একটি চারতলা আবাসনের ছাদ থেকে পড়ে মৃতের নাম গৌরীশংকর ঘোষ, বয়স ৭৫।
এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সকালে আবাসনের ছাদে গিয়েছিলেন গৌরীশংকরবাবু। তার ঠিক কিছুক্ষণ পরই বিকট শব্দ শুনে এলাকার মানুষজন ছুটে এসে দেখেন, গৌরীশংকর ঘোষ আবাসনের নিচে রাস্তায় গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে আছেন। সেখান থেকে উদ্ধার করে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে পরিবারের লোকজন নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনাটি আদৌ আত্মহত্যা নাকি খুন, তা তদন্ত করে খতিয়ে দেখছে বরাহনগর থানার পুলিশ।
এক প্রতিবেশী বললেন, আমরা সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে পৌনে ৭ টার মধ্যে একটা আওয়াজ পাই। প্রথমে আমরা কিছু বুঝতে পারিনি। তারপর বাইরে থেকে কয়েকজন এসে বলে, কেউ ছাদ থেকে পড়ে গেছে। তখন আমরা বেরিয়ে দেখি, খোকনদা পড়ে গেছে। গিয়ে আমরা জলটল দিলাম। তখনও ঘাড় নাড়ছিল, সেন্স ছিল। অ্যাম্বুল্যান্স ডাকার পর দেহ য়খন তোলা হচ্ছিল, তখনই সব শেষ। তবে এই ঘটনার পিছনে কোনও রহস্য আছে বলে তিনি মনে করেন না। তিনি বলেন, উনি নিউরোর পেসেন্ট ছিলেন এবং কিছুটা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
২০১৮-র পর ২০২২ সাল। দিল্লির বুরারি কাণ্ডের ছায়া এবার মহারাষ্ট্রে। উদ্ধার হল একই পরিবারের মোট ন’জনের মৃতদেহ। মুম্বই থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে সাংলি জেলার মিরাজের এক গ্রামের ঘটনা। চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস একে আত্মহত্যার ঘটনা বলছে। সবাই বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পুলিস সূত্রে জানা গেছে, ঋণভারে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই গণআত্মহত্যার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। নিহতরা সবাই চিকিৎসক পরিবারের সদস্য। সোমবার দুপুরের দিকে ঘটে ঘটনাটি। সাংলির পুলিস সুপারিনটেন্ডেন্ট দীক্ষিত গেদাম জানান, চিকিৎসক দম্পতির একটি বাড়ি থেকে ছয়টি এবং অন্য বাড়ি থেকে তিনটি দেহ উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল থেকে বাড়ি দুটির দরজা খোলেনি। অনেকক্ষণ দরজা না খুললে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তারা দরজা খুলে দেখেন, ঘরের ভেতরে ৬টি দেহ পড়ে আছে। এরপর দ্বিতীয় বাড়িতেও ৩টি দেহ পাওয়া যায়। প্রথমে প্রতিবেশীরাই একই পরিবারের ৯ জনের মৃত্যুর খবর পুলিসকে দেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে পুলিস। তবে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। তবে আত্মহত্যার বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষাক্ত কোনও খাবার খেয়েই হয়তো নিজেদের শেষ করে ফেলেছেন তাঁরা, বলে মনে করছে পুলিস। তবে ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানানো হয় পুলিসের তরফে।
একই পরিবারের এই ৯ জন হলেন, পপট ইয়াল্লাপ্পা ভ্যানমোর (৫২ ), সঙ্গীতা পোপাট ভ্যানমোর (৪৮ ),অর্চনা পপট ভ্যানমোর (৩০), শুভম পোপাট ভ্যানমোর (২৮), মানিক ইয়াল্লাপ্পা ভ্যানমোর (৪৯), রেখা মানিক ভ্যানমোর (৪৫),আদিত্য মানিক ভ্যানমোর (১৫), অনিতা মানিক ভ্যানমোর (২৮) বং আক্কাতাই ভ্যানমোর (৭২)।
প্রসঙ্গত,দিল্লিতে বুরারি কাণ্ডে একই বাড়ির মোট ১১ জন সদস্য আত্মঘাতী হয়েছিলেন।
এক বৃদ্ধাকে পিষে মেরেও ক্ষান্ত নয়, তাঁর দাহকাজে গিয়েও তাণ্ডব চালাল এক দাঁতাল। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক। জানা গিয়েছে, মায়া মুর্মু নামে ওই বৃদ্ধা যখন জল ভরতে গিয়েছিলেন, তখন হামলা চালায় সেই দাঁতাল। তাঁকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে সেই হাতি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এরপরেই রাইপাল গ্রামে তাঁর শেষকৃত্যের প্রস্তুতির সময় ফের হামলা করে সেই দাঁতাল। তাঁকে দেখে দেহ ফেলে এদিক ওদিক পালিয়ে যান মৃতার আত্মীয়-স্বজনরা। ফের দাঁতালটি চিতা থেকে বৃদ্ধার দেহ তুলে ছুড়ে ফেলে। বৃদ্ধার দেহ পা দিয়ে পিষে দেয় সে। তারপরেই সেখান থেকে চলে যায় দাঁতালটি। দাঁতালটি চলে গেলে গ্রামবাসীরা বৃদ্ধার শেষকৃত্য করেন।