
আগামী মাসের ২ ও ৩ তারিখ দিল্লিতে তৃণমূলের কর্মসূচি রয়েছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে দিল্লিতে সরব হবে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রতিবাদ রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে পৌঁছে দেওয়ার বন্দবস্ত করল রাজ্যের শাসক শিবির। তার জন্য প্রতিটি ব্লকে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর প্রতিটি ব্লকের তৃণমূল সভাপতিদের জায়ান্ট স্ক্রিন বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত বিডিও অফিসের সামনে দিল্লির প্রতিবাদ কর্মসূচির সম্প্রচার হবে। তার পাশাপাশি ওই সম্প্রচার দেখতে যাতে ভালো জনসমাগম তার জন্য জেলা সভাপতিদের নিশ্চিত করতে হবে।
২১ জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে 'দিল্লি চলো' কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে জানানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্না দেওয়ার জন্য় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলীয় কর্মীদের নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে দিল্লি পুলিশের তরফে অনুমতি না পাওয়ায় কর্মসূচিতে বদল আনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তৃণমূল সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাপতিরা দিল্লিতে গিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
বিমানে (Flight) একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। ইতিমধ্যেই একাধিক কাণ্ড প্রকাশ্যে এসেছে। বিমান সেবিকাদের শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা, সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করা, মদ্যপ অবস্থায় বিমানে চড়া-এমন অনেক খবর প্রকাশ্যে এসেছে। আর এবারে এক যুবকের কাণ্ডে ফের হুলস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায় বিমানের মধ্যে। সূত্রের খবর, উড়ান নিতে যাবে তার আগেই বিমানের আপৎাকালীন দরজা খোলার চেষ্টা করে এক যুবক। পরে যুবককে বিমানকর্মীরা নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেন ও দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরনের পরই তাঁকে আটক করা হয়। ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতের।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ইন্ডিগোর ৬ই ৬৩৪১ বিমানটি দিল্লি থেকে চেন্নাইয়ে যাচ্ছিল। রানওয়ে ছাড়ার আগে আচমকা এক যাত্রী বিমানের আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা করেন। তাতেই হুলস্থুল পড়ে যায় দিল্লি বিমানবন্দরে। তড়িঘড়ি ওই যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ইন্ডিগোর তরফে বিবৃতি জারি করা জানানো হয়েছে, দিল্লিগামী ৬ই ৬৩৪১ বিমানের আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা করে যুবক। এর পরই বিমানের অন্য যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ওই যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার জন্য যাত্রীদের কাছে দুঃখপ্রকাশও করেছে ইন্ডিগো। কেন ওই যাত্রী বিমানের দরজা খোলার চেষ্টা করছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিমান সংস্থাটি।
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) জন্মদিন। তবে এদিনও তিনি নেননি কোনও ছুটি। বরং তাঁর জন্মদিনেও একাধিক প্রকল্প উৎসর্গ করেছেন দেশবাসীদের জন্য। ৭৩ তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী একগুচ্ছ কর্মসূচিতে দিনভর ব্যস্ত থাকছেন। এদিন মোদী উদ্বোধন করেন দিল্লির দ্বারকার যশোভূমি কনভেনশন সেন্টার। রবিবার সকাল ১১ টা নাগাদ নয়াদিল্লির দ্বারকায় ভারতকে তিনি উৎসর্গ করলেন ভারতের আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবং এক্সপো সেন্টারের প্রথম ধাপ, 'যশোভূমি' (YashoBhoomi)।
সূত্রের খবর, কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপো সেন্টারটি প্রায় ৫৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে। যশোভূমি নামে এই কনভেনশন সেন্টারটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কনভেনশন সেন্টার বলে দাবি করা হচ্ছে। এই কনভেনশন সেন্টারে থাকছে, একাধিক প্রদর্শনী হল এবং অন্যান্য সুবিধা। ১১০০০-এরও বেশি প্রতিনিধিদের বসার জায়গা সহ, ১৫টি কনভেনশন রুম, গ্র্যান্ড বলরুম এবং ১৩ টি মিটিং রুম রয়েছে এতে।
এদিন শুধুমাত্র যশোভূমি নয়, দ্বারকা সেক্টর ২১ থেকে একটি নতুন মেট্রো স্টেশন 'যশোভূমি দ্বারকা সেক্টর ২৫' পর্যন্ত দিল্লি বিমানবন্দর মেট্রো এক্সপ্রেস লাইনের সম্প্রসারণেরও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দিল্লির এয়ারপোর্ট মেট্রো এক্সপ্রেস লাইন সম্প্রসারিত হয়ে তা যশোভূমি দ্বারকা সেক্টর ২৫ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। আর সেই মেট্রো লাইন ধরেই আজ সফর করেন মোদী। দ্বারকা সেক্টর ২১ থেকে যশোভূমি দ্বারকা সেক্টর ২৫ মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত যান মোদী। এই মেট্রো লাইনের উদ্বোধনের পরই এদিন তিনি কনভেনশন সেন্টার উদ্বোধন করেন।
১৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ৭৩ তম জন্মদিন (Birthday)। গোটা দেশজুড়েই তাঁর অনুরাগীরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্মদিন উদযাপন করছেন। এছাড়াও তাঁকে পাঠানো হচ্ছে গুচ্ছ গুচ্ছ শুভেচ্ছাবার্তা। এবারে এক অভিনব উপায়ে মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন এক তরুণী। দিল্লি মেট্রোতে মহিলারা গান গেয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন। আবার এক তরুণী মোদীর পাশে বসে সংস্কৃত ভাষায় গান গেয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা দিলেন। সংস্কৃত ভাষায় শুভেচ্ছা জানানোর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্তমানে ভাইরাল।
রবিবার নিজের জন্মদিনের সকালে দিল্লি এয়ারপোর্ট মেট্রো এক্সপ্রেস লাইনের নয়া অংশের উদ্বোধন করেন মোদী। দ্বারকা সেক্টর ২১ থেকে নয়া মেট্রো স্টেশন 'যশোভূমি দ্বারকা সেক্টর ২৫' পর্যন্ত উদ্বোধন করেন। তারপর নয়াদিল্লিতে 'ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপো সেন্টার' উদ্বোধনের জন্য মেট্রো ধরেন। আর তখনই মেট্রোতে যাত্রীদের পাশে বসে কথা বলেন। বাচ্চাদের সঙ্গে হাসি-মজা করেন। যাত্রীরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। 'হ্যাপি বার্থডে' বলেন ও মোদীর সঙ্গে সেলফিও তোলেন।
তারই মধ্যে সংস্কৃতে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সকলের নজর কেড়ে নেন ওই তরুণী। মোদী যেখানে বসেছিলেন, সেটার ঠিক পাশে বসেই ওই তরুণী হাসিমুখে মোদীকে বলেন, 'আজ আপনার জন্মদিন। আপনাকে সংস্কৃত ভাষায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে চাই।' তরুণীর মুখে সংস্কৃত ভাষায় গানের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা শুনে প্রধানমন্ত্রীর মুখেও হাসি দেখা যায়।
৫০ হাজার কর্মী ও সমর্থকদের থাকার বন্দোবস্ত করতে চেয়ে দিল্লির দায়রাগঞ্জ থানার ডিপিসিকে চিঠি লিখেছেন সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই হুঁঙ্কার দিয়ে রেখেছেন, ট্রেন ভর্তি করে দিল্লিতে লোক নিয়ে যাওয়ার। একুশের মঞ্চ থেকেই সেই সুর বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। তাহলে কি এবার সত্যি সত্যিই ট্রেন ভর্তি করে লোক নিয়ে দিল্লি যাচ্ছে তৃণমূল? গান্ধীজয়ন্তীতে রাজধানীর বুকে তৃণমূলের প্রতিবাদ কর্মসূচির তোড়জোড় অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লির রামলীলা ময়দানে প্রায় ৫০ হাজার কর্মী-সমর্থকের রাত্রিবাসের বন্দোবস্ত করতে চায় তৃণমূল। সেই মতো রামলীলা ময়দানে প্য়ান্ডেল ও তাঁবু খাটাতে চাইছে তৃণমূল শিবির। এদিকে গান্ধী জয়ন্তীর জন্য হাতে আর বেশি সময় নেই। দু’সপ্তাহ বাকি। এত কর্মী-সমর্থকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করতে, তাই তেড়েফুড়ে আসরে নেমে পড়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েনরা। রামলীলা ময়দানে তাঁবু খাটানোর অনুমতি চেয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে ফের চিঠি পাঠালেন তৃণমূল সাংসদ।
উল্লেখ্য, একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে আগামী ২ অক্টোবর দিল্লির বুকে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লির একাধিক জায়গায় ধরনা কর্মসূচির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতজন কর্মী-সমর্থকের থাকার জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা করতে পুলিশের থেকে কোনও সবুজ সংকেত এখনও পাননি তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল শিবির থেকে ইতিমধ্যেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, গান্ধী জয়ন্তীতে দিল্লির বুকে প্রতিবাদ কর্মসূচি হবেই।
আগামী ২ অক্টোবর কি দিল্লিতে হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা ধরনা ? রাজনীতির অন্দরে এই নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে। গান্ধী জয়ন্তীর দিন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ধরনা কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। রামলীলা ময়দানে থেকে দিনভর এই কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা নেওয়া হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। কিন্তু ধরনার জন্য অনুমতি মেলেনি। গান্ধী জয়ন্তীর দিন ধরনা কর্মসূচীর দিল্লি পুলিসের কাছে।
অনুমতি চায় তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু দিল্লি পুলিস অনুমতি দেয়নি। কিন্তু তাতে দমতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস এরপর আবারও চিঠি দেয় দিল্লি পুলিসকে। রামলীলা ময়দানে আপত্তি থাকলে ২ অক্টোবর রাজধানীর ৩ জায়গায় কর্সসূচি পালন করতে চেয়ে ফের চিঠি দেয় বাংলার শাসক দল। যন্তর মন্তর, কৃষি ভবনের বাইরে ও গিরিরাজ সিংহের বাড়ির সামনে ধরনা কর্মসূচী পালন করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস বলেই দিল্লি পুলিসের কাছে অনুমতি চায় তারা। কিন্তু বারবার অনুমতি নাকচ করে দিল্লি পুলিস।বছর ঘুরলেই ২০২৪ -এর লোকসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ২১ -এর মঞ্চ থেকে দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
১০০ দিন থেকে আবাস যোজনায় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে টাকা না পাওয়ার অভিযোগ বারাবার শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী তথা ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের মুখে। রেড রোডে এর প্রতিবাদে ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন তিনি।আর তাই প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছিল ২১-এর মঞ্চে অভিষেকের গলায়।
তৃণমূল শিবিরের দাবি উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে কেন্দ্র সরকারের মদতেই দিল্লি পুলিস অনুমতি দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেসকে। তবে দিল্লির ধরনার টার্গেটে অনড় ঘাসফুল শিবির সাফ জানিয়ে দিয়েছে কোনও কারণে, যদি অনুমতি না মেলে, সেক্ষেত্রে রাজঘাটে প্রতীকী প্রতিবাদে করার চিন্তাভাবনা চলছে তৃণমূলের অন্দরে।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে উঠেছে। গভীর রাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শনিবার সকালে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস। সেই হুঁশিয়ারি মোতাবেক রাত ১২টার কয়েক মিনিট আগেই পদক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল। দুটি খামবন্দি চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। যার মধ্যে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে নবান্নে এবং অপর চিঠিটি পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। যদিও দিল্লিতে কার কাছে চিঠি পাঠানো হল, চিঠিতে ঠিক কী লেখা রয়েছে, তা এখনও রাজভবনের তরফে স্পষ্ট করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে।
বিতর্কের সূত্রপাত, শুক্রবার বিকালে রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য ঘিরে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তাঁকে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। যার পাল্টা জবাব দিয়ে শনিবার সকালে রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’ অর্থাৎ মধ্যরাতে রাজ্যপাল কী পদক্ষেপ করবেন, তা নিয়ে দিনভোর জল্পনা চলে। তারপর এদিন বিকালে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে রাজভবনে তলব করা হয়। সেখানে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক চলে। যদিও তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়, তা স্পষ্ট হয়নি। নানান জল্পনার মাঝে অবশেষে রাত ১২টার মিনিট দশেক আগে রাজভবনের তরফে দুটি চিঠি পাঠানো হল। এই দুটি চিঠিতে কী লেখা রয়েছে তা স্পষ্ট না হলেও এর যে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে তা বলা বাহুল্য।
ওয়াকিবহালের অনুমান, রাজ্যপাল একটি চিঠি যেমন নবান্নে পাঠিয়েছেন, অপর চিঠিটি রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধানমন্ত্রীকে পাঠাতে পারেন। রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা পরিস্থিতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ করতে পারেন বলে একাংশের অনুমান। এবার এই চিঠির প্রেক্ষিতে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করে, তা বলা বাহুল্য।
দোকানে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অপহৃত অষ্টম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রী (Student)। অপহরণের পর উদ্ধার হলেও নাবালিকাকে ফেরত আনতে যেতে টাকা চাইছে পুলিস। এমনটাই বিস্ফোরক অভিযোগ নাবালিকার পরিবারের। তাহলে রক্ষকই ভক্ষক? উঠেছে এমনই প্রশ্ন। গাজিয়াবাদে নাবালিকাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার জন্য ৪০ হাজার টাকা চাইছে স্থানীয় চাঁচল থানার (Chanchal Police Station) অন্তর্গত খরবা ফাঁড়ির পুলিস। সমগ্র ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের (Malda) চাঁচল থানার মল্লিক পাড়া এলাকায়।
পরিবার সূত্রে খবর, গত সাত দিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকের মল্লিকপাড়া এলাকার এক নাবালিকা। ওই নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়েছে এমনটাই অভিযোগ তুলেছিল তার পরিবার। অভিযোগের তীর এক প্রতিবেশী বান্ধবীর বিরুদ্ধে। তারপর বৃহস্পতিবার দিল্লির গাজিয়াবাদ থানা থেকে খবর আসে ওই থানায় রয়েছে নাবালিকা। অপহরণ করে তাকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পাচারের উদ্দেশে। রাস্তায় কোনও এক সহৃদয় ব্যক্তি ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে থানায় দিয়ে আসে।
এই মুহূর্তে ওই থানা থেকে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করে বলা হয়েছে, স্থানীয় থানা উপযুক্ত প্রমাণ সহ গেলে তবেই নাবালিকাকে ছাড়বে পুলিস। ওই নাবালিকার পরিবার খরবা ফাঁড়ির দ্বারস্থ হন। কিন্তু নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, পুলিসের নাম করে ওই ফাঁড়ির এক সিভিক নাবালিকার পরিবারের কাছ থেকে গাজিয়াবাদ যাওয়ার জন্য চল্লিশ হাজার টাকা দাবি করেছেন। টাকা না পেলে তারা কোনোভাবে নাবালিকাকে দিল্লি থেকে চাঁচলে আনতে পারবেনানা বলেও জানান। নাবালিকার পরিবারের এই অভিযোগ সামনে আসতে ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
মহানন্দা নদীর তীরে সরকারি খাস জায়গায় বসবাস ওই নাবালিকার পরিবার। হতদরিদ্র, দিনমজুর পরিবারের সামর্থ্য নেই সেই টাকা যোগানের। মেয়েকে ফেরানোর চিন্তায় ব্যাকুল মা। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
বাংলার সেই চির পরিচিত প্রবাদবাক্য যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল জি ২০-র মঞ্চে। 'যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে'। রাজনৈতিক মঞ্চ, গুরুগম্ভীর আলোচনা হবে, তা বলে সদস্যরা নিজেদের সাজপোশাকে মন দেবেন না, তেমনটা কিন্তু নয় একেবারেই। জি ২০-র মঞ্চে নজর কাড়ল বেশ কয়েকজন সদস্যের ফ্যাশন ট্রেন্ড। সবচেয়ে বেশি করে বলতে হয় ইতালির প্রাইম মিনিস্টার জর্জিনা মেলোনি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আইএমএফ চিফ ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার কথা।
ইটালির প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। দুঁদে রাজনীতিবিদ তো বটেই, তবে তিনি একই সঙ্গে মেধা ও সৌন্দর্যের নিখুঁত মেলবন্ধনের উদাহরণ। বিউটি উইথ ব্রেন বলতে যা বোঝায়, তিনি ঠিক তাই। নীল স্যুটে ক্লাসি লুকে নজর কাড়লেন জর্জিয়া। সঙ্গে কালো হিলস। তাঁর ফ্যাশন সেন্স অবশ্য বরাবরই প্রশংসনীয়।
পড়শি দেশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাড়িও সকলের নজর কেড়েছে। গোলাপী রঙের ঢাকাই জামদানির সঙ্গে হাসিনা পরেছেন গোলাপী ফুলস্লিভ ব্লাউজ। গলায় সাদা মুক্তোর মালা, হাতে সোনার চুড়ি। জামদানি শাড়ি বাংলাদেশের ঐতিহ্য। বাংলাদেশের শিল্পীরা নিজের হাতে বানান এই শাড়ি। এই শাড়ি অত্যন্ত দামী তো বটেই, সঙ্গে মিশে থাকে বয়নশিল্পীদের শ্রম, মেধা, ভালোবাসা।
আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে দারুণ লাগছে। কালো প্যান্টের উপর সবজে শেডের লম্বা জ্যাকেট পরে এসেছেন তিনি। সঙ্গে কালো জুতো এবং গলায় সোনার চেন। জর্জিয়েভা দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পর ভারতীয় শিল্পীদের লোকসঙ্গীতের সঞ্চে নাচ করতে দেখে নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি৷ বাজনার তালে তালে পা মেলাতে শুরু করেন নিজেই।
৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর নয়া দিল্লিতে শুরু হতে চলেছে G20 সম্মেলন। ১৫ জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার থেকেই রাজধানীতে পা রাখতে শুরু করেছেন দেশ বিদেশ থেকে আমন্ত্রিতরা। অতিথিদের স্বাগত জানাতে ভারত মণ্ডপমের প্রবেশপথে বসানো হয়েছে ২৭ ফুট দীর্ঘ একটি নটরাজের মূর্তি। এছাড়াও নানা রঙের আলোয় সেজে উঠেছে গোটা এলাকা।
এটিই বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নটরাজমূর্তি। মহাদেবেরই রুদ্রমূর্তি নটরাজ। কিন্তু G20 সম্মেলনে এই মূর্তি রাখার বিশেষত্ব কী ? আসলে নোটরাজের এই মূর্তি রূপ, ধর্ম, দর্শন, শিল্প, নৈপুণ্য ও বিজ্ঞানের সমন্বয়। সোনা, রুপো তামা সহ মোট ৮টি ধাতু দিয়ে তৈরী হয়েছে এই বিশেষ মূর্তি। ৭ মাসের ও বেশি সময় দিয়ে ১০০ জন শিল্পীর হাতে তৈরী হয়েছে এই বিশেষ মূর্তি।
আজ থেকে নয়া দিল্লিতে শুরু জি ২০ সম্মেলন। ঢেলে সাজানো হয়েছে দিল্লির প্রগতি ময়দান। এবারের সম্মেলনের দায়িত্বে ভারত। প্রায় ১৫ জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারবেন নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিতে ইতিমধ্যেই উপস্থিত হয়েছেন , ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ভারত মণ্ডপমে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় শুরু হবে জি২০ সম্মেলনে। গোটা দিল্লি যেন কার্যত দুর্গ শহরে পরিণত হয়েছে। ট্রেন, ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ ১৯টি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক সারবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, চিনের প্রিমিয়ার লি কিয়াং, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত মণ্ডপম কনভেনশনে আয়োজিত এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রগতি ময়দানে।
দীর্ঘদিন ধরেই ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছে রাজ্য। এবার তা নিয়ে আরও জোরদার আন্দোলনে নামতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল। আগামী মাসে রাজধানীতে বড়সড় বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চলেছে তারা। তার জন্য ইতিমধ্যে দিল্লি পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।
চলতি বছরের ২ এবং ৩ অক্টোবর মোট তিনটি জায়গায় সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের যে সব শ্রমিকরা ১০০ দিনের কাজ করেও টাকা পাননি তাঁরাও ওই সমাবেশে যোগ দেবেন। লোধি স্ট্রিটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখানো হবে। পাশাপাশি, কৃষি ভবন এবং যন্তর মন্তরেও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হবে।
মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রমীণ কর্মসংস্থান আইনের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকরা মজুরি পাচ্ছেন না। বরাবর এমনই অভিযোগ তুলে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে, ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকেই এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। সেইমতো রাজ্যের বঞ্চিত শ্রমিকদের দিল্লি নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হবে।
আর মাত্র কয়েকদিন, এর পরই নয়া দিল্লিতে হতে চলেছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর, এই দু'দিন বসবে জি-২০-এর শীর্ষ সম্মেলন (G20 Summit)। প্রগতি ময়দানে উদ্বোধন হওয়া 'ভারত মণ্ডপমে' আসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট-সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির নেতারা। ফলে সেই নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। কিন্তু এই সম্মেলনের আগেই রাজধানীর মানুষের মধ্যে একাধিক বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। খবরের শিরোনামে উঠে আসে যে, নয়া দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের জন্য লকডাউনের মত পরিস্থিত হবে। কিন্তু এই সব খবরকে উড়িয়ে দিয়ে এবারে দিল্লি পুলিসের তরফে এক বিবৃতি জারি করা হল। মঙ্গলবার সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, দু'দিনের শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন নয়া দিল্লিতে প্রয়োজনীয় সকল পরিষেবা চালু থাকবে। শুধুমাত্র কয়েকটি জায়গায় বিধিনিষেধ জারি থাকবে।
সূত্রের খবর, সমস্ত বিভ্রান্তি দূর করতে ট্রাফিক পুলিস জানিয়েছে, রাজধানীতে ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনওমতেই কোন লকডাউন হবে না। গাড়ি, মেট্রো, ট্রেন থেকে শুরু করে সমস্ত পরিষেবাই স্বাভাবিক থাকবে। তবে কিছু যাতায়াতের রাস্তায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, এনডিএমসির একটি ছোট অংশে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থাগুলির কাছেও অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তার সঙ্গে সম্পূর্ণ সঙ্গতি রেখে সঠিক বিবরণ প্রকাশ করা হয়। জনগণের কাছে যাতে কোনও অস্পষ্ট বার্তা না যায়, সেদিকে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।
তবে ব্যাঙ্ক, বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকবে। কিন্তু হোটেল, হাসপাতাল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিষেবা প্রদানকারী যানবাহনগুলিকে পরিচয় যাচাইকরণের ভিত্তিতে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
সারা দেশজুড়ে আগমন হয়েছে বর্ষার। কিন্তু দিল্লিতে তেমন দেখা নেই বৃষ্টির। ফলে সেপ্টেম্বরেও তীব্র দাবদাহে পুড়ছে রাজধানী। সূত্রের খবর, সোমবার দিল্লিতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সফদরগঞ্জে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দীর্ঘ ৮৫ বছর পর সেপ্টেম্বরের সবচেয়ে উষ্ণতম দিন ছিল।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এর আগে ১৯৩৮ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেপ্টেম্বরে সেই রেকর্ড মাত্রা উষ্ণতার পর এবারে ২০২৩ সালে এমন উষ্ণতম দিন দেখল রাজধানীর মানুষ। তবে এর নেপথ্যে কী এমন কারণ রয়েছে, তা নিয়ে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অপর্যাপ্ত বৃষ্টি এবং দুর্বল মৌসুমী বায়ুই এমন তীব্র তাপের জন্য দায়ী।
আবহবিদরা আরও জানিয়েছেন, অগাস্টে দিল্লিতে প্রচুর বৃষ্টি হলেও এ বার ৬১ শতাংশ ঘাটতি ছিল। সেপ্টেম্বরেও এখনও পর্যন্ত তেমন বৃষ্টির দেখা মেলেনি রাজধানীতে। ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৩২.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে আবহাওয়ার খুব বেশি উন্নতি হবে না।
অ্যামাজন ম্যানেজারের (Amazon Manager) মৃত্যুর রহস্য এবারে প্রকাশ্য়ে এল। পুলিস সূত্রে খবর, তাঁকে খুন করার পিছনে মূল অভিযুক্ত 'মায়া গ্যাং'-এর ১৮ বছরের এক যুবক মহম্মদ সমীর ও তার সঙ্গীরা। সরু রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সাইড দেওয়া নিয়ে ঝামেলা। শুরু হয় কথা কাটাকাটি-বচসা, এরপর তা পৌঁছয় হাতাহাতিতে। তার মাঝেই আচমকা গুলি। আর তারপরই প্রাণ হারালেন দিল্লির (Delhi) ভজনপুরার যুবক। মঙ্গলবার মধ্যরাতের সেই হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অ্যামাজনের ম্যানেজার হরপ্রীত গিলের। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বাকিদের খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিস।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার যখন ভজনপুরার সুভাষ বিহার এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন অ্যামাজন ম্যানেজার হরপ্রীত, সে সময় ওই রাস্তা দিয়ে পার্টি সেরে ফিরছিল মহম্মদ সমীর ওরফে মায়া, গনি, সোহেল, মহম্মদ জুনেইদ এবং আদনান নামে এক দল তরুণ। রাস্তা সরু থাকায় হরপ্রীতদের বাইকের সঙ্গে মায়াদের একটি স্কুটারের ঘষা লাগে। আর সেখান থেকেই বচসা শুরু হয়। তার পরই হরপ্রীত এবং তাঁর বন্ধুকে গুলি করেন মায়ারা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হরপ্রীতের। গোবিন্দ গুরুতর জখম। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে মায়া ও গনিকে গ্রেফতার করা হলেও বাকিদের খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিস।