
জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা হয়েছে। বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিসে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টেও এবার মুখ পুড়েছিল রাজ্য সরকারের। বিজেপি বিধায়কদের কোনওভাবেই গ্রেফতার করা যাবে না। মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার তদন্তের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করেছেন বিচারপতি। আগামী ১০ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
বিধানসভার ভিতরে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা হয়েছে। এমন অভিযোগ বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে। কোথায় জাতীয় সঙ্গীত বাজছিল? আর কোথায় তখন ওই বিধায়করা ছিলেন? তা খতিয়ে দেখা হয়নি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে হেনস্থা করতে এই এফআইআর করেছে রাজ্যের শাসক দল। বিরোধী দল বিজেপির সঙ্গে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে তৃণমূল। এদিন আদালতে বিজেপি বিধায়কদের তরফে আইনজীবীর এমন বক্তব্যই ছিল। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলার আবেদন করা হয়েছিল। বিচারপতি মৌখিকভাবে জানিয়ে দেন, কোনওভাবেই বিজেপি বিধায়কদের গ্রেফতার করা যাবে না। জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার বিষয় নিয়েও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, ২৯ নভেম্বর তৃণমূল এবং বিজেপির জোড়া কর্মসূচি ছিল বিধানসভা চত্বরে। সে দিনই বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগ ওঠে। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। এবার তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের মামলা। তবে কি নতুন বছরেও জেলেই থাকতে হবে কেষ্টকে! জানা গিয়েছে, অনুব্রতর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী, জামিন পেলেই গোটা তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন। ফলে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হোক, তারপর ভেবে দেখবেন তাঁরা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ জানুয়ারি।
সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে প্রশ্ন তুললেন গরু পাচার কাণ্ডের অভিযুক্ত বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর হয়ে সওয়াল করেছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী মুকুল রোহাতগি। তিনি বলেন, "গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামূল হক জামিন পেয়েছে, বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারও জামিন পেয়েছে। আমি গোটা কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড নই, তারপরও আমাকে কেন আটকে রাখা হচ্ছে জেলে?"
অন্যদিকে অনুব্রতর জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করলেন ইডি, সিবিআইয়ের আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। তাঁর হিসেবরক্ষক মনীশ কোঠারির দেওয়া বয়ান উল্লেখ করা হয়েছে আদালতে। অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী, জামিন পেলেই গোটা তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন, অভিযোগ রাজুর।
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হোক, তারপর ভেবে দেখবো আমরা।' জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। এক সপ্তাহের মধ্যে অনুব্রতর বিরুদ্ধে সিবিআই-এর দেওয়া সমস্ত চার্জশিট আদালতে জমা করার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।
নারদা মামলায় (Narada Case) আদালতে হাজিরা দিলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee), কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। নারদা মামলায় আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আজ, বৃহস্পতিবার নারদা মামলায় হাজিরা দেওয়ার দিন ছিল। সেই মতো এদিন সকালেই আদালতে পৌঁছে যান রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন কলকাতার নগর দায়রা আদালতে হাজিরা দিতে এসেই তিনজনকেই একই কথা বলতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে সিবিআই অভিযান নিয়েও তিন জনই মন্তব্য করেন ও জানান যে, সবের পিছনেই রয়েছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবী অনিন্দ্য কিশোর রাউত দাবি করেন, 'নারদা মামলায় ববি হাকিমের কোনও যোগ নেই। মুকুল রায় মির্জা কে ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এত বছর ধরে মামলা চলছে কোনও সঠিক রিপোর্ট নেই। সরকারি আইনজীবীরা লিখিতভাবে জমা দিন, আমরা রিপোর্ট জানাব।' ফের এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৩ ফেব্রুয়ারি।
পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ, শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে আবারও হাজিরা দিলেন বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক। এই নিয়ে তৃতীয়বার তলব করা হল অপর্ণা মৌলিককে। ইডির তরফে অপর্ণা মৌলিকের বাড়িতে ৫ই অক্টোবর দীর্ঘ ১০ ঘন্টা তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এই তল্লাশি অভিযানে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করেন ইডির আধিকারিকরা।
পাশাপাশি এদিন পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীকেও তলব করা হয়। তিনিও ইডির দফতরে হাজিরা দেন। এলেন ইডি দপ্তরে। এই নিয়ে চতুর্থ বারের জন্য ইডি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন প্রশান্ত চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি ও সিবিআই। বিগত কয়েকদিনে লাগাতার রাজ্যের বেশকিছু জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি ও সিবিআই-এর দল। অয়ন শীলের সূত্র ধরেই প্রথম প্রকাশ্যে আসে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি। এরপর তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় এই দুই এজেন্সি। তদন্তে নেমে সম্প্রতি কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতেও হানা দেন সিবিআই কর্তারা। দীর্ঘ বেশ কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। পাশাপাশি মদন মিত্র-সহ তৃণমূলের আরও বেশকিছু প্রথম সারির নেতার বাড়িতেও তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বলিউড তারকারা নয়, এবারে মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় নাম জড়িয়ে পড়েছে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের (Bhupesh Baghel)। মহাদেব বেটিং অ্যাপের কর্মকর্তারা ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে ৫০৮ কোটি টাকা দিয়েছেন, এমনটাই দাবি ইডি আধিকারিকদের। এবারে এই মামলায় নাম না করেই ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। 'ভগবান মহাদেবকেও ছাড়লেন না', এমনটাই বলতে শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীকে।
শুক্রবার ভোটমুখী ছত্তিশগড়ে নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'ওরা ভগবান মহাদেবের নামও ছাড়ল না।' মোদীর সংযোজন, 'নিজেদের কোষাগার পরিপূর্ণ করতে ছত্তিশগড়ের মানুষের থেকে টাকা লুটেছে কংগ্রেস সরকার। আমরা সবাই জানি কীভাবে সেই টাকা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছচ্ছে।'
আবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর সমাবেশের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে ৫০৮ কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বাঘেলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, 'বেটিং অ্যাপের টাকাগুলি নির্বাচনী প্রচারে ব্য়বহার করা হচ্ছে। কংগ্রেস হাওয়ালা অপারেটরদের সাহায্য নিয়ে ছত্তিশগড়ে নির্বাচন লড়ছে। আমাদের নির্বাচনী ইতিহাসে কখনও কেউ এমন দেখেননি। ক্ষমতায় বসে সাট্টা খেলা হচ্ছে।'
বড় ধাক্কা আপ শিবিরে (AAP)। সিবিআইয়ের পর এবার দিল্লি আবগারি দুর্নীতি (Liquor Policy Case) মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। ২ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে এই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।
সোমবার আবগারি মামলায় জামিন দেওয়া হয়নি দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে। সুুপ্রিম কোর্ট থেকে জানানো হয়, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছিল তা আংশিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। এর পাশাপাশি ইডিকে এই মামলার তদন্তের প্রক্রিয়ার গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ছয় থেকে আট মাসের মধ্যেই এই মামলার তদন্ত শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত। আর এই নির্দেশের পরই দেখা গেল, ইডি তলব করল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে।
সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ফের জামিন পেলেন না অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। যেমনটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, এবারও পুজো কাটবে জেলেই। গরু পাচার কাণ্ডে বর্তমানে অনুব্রতর ঠিকানা তিহাড় জেল। উল্লেখ্য, 'প্রভাবশালী তত্ত্বে'ই অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই (CBI)। মামলার পরবর্তী শুনানি চার সপ্তাহ পর।
গত বছরের অগাস্ট মাসে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তিহাড় জেলে আপাতত বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই-এর করা মামলায় দেশের শীর্ষ আদালতে জামিনের আবেদন করেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী এস ভি রাজু অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করেন। তাঁর যুক্তি ছিল, "অনুব্রত প্রভাবশালী, জেল থেকে বাইরে বেরোলে যা ইচ্ছে তাই করবে, ক্ষতি হবে তদন্তে। বিচারপতিদেরও হুমকি দিচ্ছে।"
শুনানি শেষে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বেলা এম ত্রিবেদী সিবিআইকে কাউন্টার হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি চার সপ্তাহ পরে। ফলে এবারও অনুব্রতর পুজোও কাটবে তিহাড় জেলেই।
এবার সিবিআই-এর নজরে সমবায় দুর্নীতিকাণ্ড। আলিপুরদুয়ার মহিলা সমবায় ঋণদান সমিতির চেয়ারম্যান তৃপ্তিকণা চৌধুরীর বাড়িতে ফের সিবিআই হানা। ৩ সদস্যের সিবিআই প্রতিনিধি দল পৌঁছয় তাঁর বাড়িতে। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। সেখান থেকে বেরিয়ে সিবিআই প্রতিনিধিদের দল যায় ওই সমিতির কোষাধ্যক্ষ শম্পা চৌধুরীর বাড়িতে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে তৃপ্তিকণা চৌধুরীর বাড়িতে গিয়েছিলেন সিবিআই তদন্তকারী আধিকারিকরা। এছাড়া ওইদিন আরও দুটি জায়গায় হানা দিয়েছিল সিবিআই। আলিপরদুয়ারের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সমবায়ের ম্যানেজার তৃপ্তিকণা চৌধুরী, ক্লার্ক পঙ্কজ গুহ আচার্য-সহ আরও এক কর্মীর বাড়িতে সিবিআৎ-এর প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন। ২০২০ সালে বন্ধ হয়ে যায় সমবায় সমিতি। গ্রাহক ছিলেন ২১ হাজার। এই সমিতির বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে।
দিল্লি হাইকোর্টে ফের পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের শুনানি। গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গতবছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয়। তার পর এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, এখনও জেলবন্দি অনুব্রত। এখন তাঁর ঠিকানা তিহাড় জেল। কিন্তু বুধবারও তাঁর জামিনের শুনানি পিছিয়ে গেলে অনুমান করা হচ্ছে, এই পুজোও তাঁকে কাটাতে হবে জেলেই। পরবর্তী শুনানি ১৯ অক্টোবর।
আদালত সূত্রে খবর, অ্যাডিশনাল সলিসিটার জেনারেল অন্য মামলায় ব্য়স্ত রয়েছেন। মামলায় আরও খানিকটা সময় চেয়েছেন ইডির আইনজীবী। তাঁদের আর্জি মঞ্জুর করে আদালত। এর পরই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন পিছিয়ে দেওয়া হয়।
কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবারে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ টুম্পা এবং মৌসুমী কয়াল। রাজ্য সরকারের তদন্তের ওপর ভরসা নেই, তাই লড়াইটা তাঁরা নিজেরাই দিল্লি পর্যন্ত নিয়ে যাবেন। এমন ঘোষণা আগেই করেছিলেন কামদুনি কাণ্ডের অন্যতম প্রতিবাদী মুখ টুম্পা এবং মৌসুমী কয়াল। আর সেই মতই বুধবার দিল্লিতে পৌঁছে গেলেন তাঁরা দুজনেই। নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে দিল্লি গেলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাও। বিকেল ৪টে নাগাদ দেখা করলেন সুষমা স্বরাজের কন্যা বাঁশরী স্বরাজ।
সূত্রের খবর, কামদুনি মামলার রায়ে সন্তুষ্ট না হয়ে সুপ্রিমকোর্টে মামলা দায়ের করতে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিতে বুধবার সকাল সকাল কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন কামদুনি আন্দোলনের প্রধান দুই মুখ মৌসুমী ও টুম্পা। তাঁদের সঙ্গে যাচ্ছে নির্যাতিতার দুই পরিবারের সদস্য। বুধবার সকালের বিমানে তাঁরা দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের উড়ানে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। এর পর আজ বিকেল চারটের সময় সুষমা স্বরাজের কন্যা, বিশিষ্ট আইনজীবী বাঁশরী স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকের পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও জানা গিয়েছে, আগামীকালই সুপ্রিম কোর্টে নির্যাতিতার পরিবার স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করতে চলেছেন।
নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গেই দিল্লি গিয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা জানান, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তত্ত্বাবধানে নির্যাতিতা পরিবার যাতে সুবিচার পায় সেই উদ্দেশে তাঁদের দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে প্রয়াত বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
জোর ধাক্কা আপ (AAP) শিবিরে। এবারে এক আম আদমি পার্টির বিধায়কের বাড়িতে ইডির (Enforcement Directorate) হানা। সূত্রের খবর, ১০ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকাল সকাল আপ বিধায়ক আমানাতুল্লাহ খানের (Amanatullah Khan) দিল্লির বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অর্থ তছরুপের মামলায় তল্লাশি চালানো হয় আপ বিধায়কের বাড়িতে।
আমানাতুল্লাহ খান দিল্লির ওখলা কেন্দ্রের বিধায়ক। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দিল্লি দুর্নীতিদমন ব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই পৃথক ভাবে এফআইআর দায়ের করে। আপ বিধায়কের নাম ছিল সেই এফআইআরে। সূত্রের খবর, দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডে অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে আমানাতুল্লাহ খান জড়িত রয়েছেন। ওই বোর্ডের চেয়ারম্যান আমানতুল্লাহ। ফলে এফআইআরের ভিত্তিতেই ইডি আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে। আর এই দুর্নীতির তদন্ত করতেই মঙ্গলবার তাঁর বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা।
'মহাদেব ব্যাটিং অ্যাপ' মামলায় (Mahadev Betting App) বলিউড অভিনেতা রণবীর কাপুরকে (Ranbir Kapoor) তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ৬ অক্টোবর, শুক্রবার অভিনেতাকে ছত্তিশগড়ের রায়পুরের ইডি অফিসে যেতে আবেদন জানানো হয়েছিল। যদিও রণবীরের তরফে আবেদন করা হয়েছিল, হাজিরার দিন যেন আরও দু'সপ্তাহ বাড়ানো হয়। কিন্তু ইডির ডাক আসতেই তাঁর যেন এক অন্য রূপই ধরা পড়ল পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায়। জানা গিয়েছে, তিনি অসুস্থ, ফলে শনিবার তাঁকে ক্লিনিকে যেতেও দেখা গিয়েছে। আর সেই মুহূর্তেরই এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
Ranbir Kapoor clicked at a clinic
— Ranbir Kapoor Online (@ranbirkapooron) October 6, 2023
today#RanbirKapoor #Bollywood pic.twitter.com/B43S1jUuU8
শনিবার এক ক্লিনিকের বাইরে দেখা যায় রণবীর কাপুরকে। তাঁকে দেখে অনুমান করা হয়েছে, তিনি অসুস্থ। তবে তাঁর পাশে দেখা যায়নি স্ত্রী আলিয়াকে। কিন্তু এখনও জানা যায়নি তাঁর ক্লিনিকে যাওয়ার আসল কারণ। তবে তাঁর চোখে-মুখে দুঃশ্চিন্তার ছাপ স্পষ্ট, মুখে নেই হাসি, এমনকি পাপারাজ্জিদের দেখে রেগে-বিরক্ত হয়ে বললেন, 'ভিতরে এসো না।' এদিন তাঁর পরনে ছিল গোলাপি টি-শার্ট, নীল জিন্স এবং সাদা জুতো। গোলাপি সোয়েটশার্টের পিছনে লেখা, ‘সো লো’। তিনি কি এই লেখার মাধ্যমেও কিছু বোঝাতে চাইছেন, এমনটাই প্রশ্ন তাঁর অনুরাগীদেরও। তবে ইডির ডাক আসায় যে রণবীর কিছুটা হলেও চিন্তিত, তা তাঁকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
কামদুনি গণধর্ষণকাণ্ডে ৪ জনকে খালাস। ২ অভিযুক্তকে ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু সাজা ঘোষণা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শুক্রবার ওই মামলার রায়দান ছিল। এদিন কামদুনি গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর, আমিনুল ইসলাম, আমিন আলী এই চারজনকে খালাস করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়া সইফুল আলী মোল্লা ও আনসার আলী মোল্লার ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু সাজা ঘোষণা করল আদালত।
১০ বছর আগে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। আজ, শুক্রবার সেই কামদুনি মামলার রায়দান হল। নিম্ন আদালত ছয় অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করেছিল আগেই। পরে হাইকোর্টে যায় সেই মামলা। আজ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ কামদুনি মামলার রায় ঘোষণা করে। নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা রদ করল ডিভিশন বেঞ্চ। ওই অভিযুক্তদের মধ্যে ৪ জনকে খালাস ও ২ অভিযুক্তকে ফাঁসির পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করল ডিভিশন বেঞ্চ।
ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে প্রমাণের অভাবে দুজনকে জামিন দেওয়া হয়। এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে মামলা চলাকালীন। কলকাতার নগরদায়রা আদালত ছ’জন অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করেছিল। দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল সইফুল মোল্লা, আনসার মোল্লা, আমিন আলি, এমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর ও আমিনুল ইসলামকে। শরিফুল আলি, আনসার আলি ও আমিন আলিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। বাকি তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছিল।
নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি মকুব করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। গত ২৪ জুলাই হাইকোর্টে বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শেষ হয়। তবে মামলার কিছু রিপোর্ট জমা পড়া বাকি ছিল, তাই রায় সংরক্ষিত করা হয়েছিল। ২০১৩ সালের ৭ জুন উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনা ঘটে। সিআইডি তদন্ত করছিল ওই মামলায়।
রণবীর কাপুরের পর এবার ইডির স্ক্যানারে কপিল শর্মা, হুমা কুরেশি, হিনা খানও। মহাদেব বেটিং অ্যাপের (Mahadev Betting App) তদন্তেই এই তিন তারকাকেও সমন পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবারই ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল অভিনেতা রণবীর কাপুরকে (Ranbir Kapoor)। ৬ অক্টোবর তাঁকে দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। আর এবারে বৃহস্পতিবার ইডি তলব করল কমেডিয়ান কপিল শর্মা, অভিনেত্রী হুমা কুরেশি ও হিনা খানকে।
সূত্রের খবর, মহাদেব বেটিং অ্যাপকে প্রচার করার অভিযোগে সমন পাঠানো হয়েছে হুমা কুরেশি ও হিনা খানকে। অন্যদিকে, দুবাইয়ে মহাদেব বেটিং অ্যাপের এক গ্র্যান্ড পার্টিতে উপস্থিত থাকার জন্য কপিল শর্মাকে তলব করেছে ইডি। প্রসঙ্গত, মহাদেব বেটিং অ্যাপের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা কারচুপির অভিযোগ রয়েছে। এই অ্যাপের সঙ্গে শুধুমাত্র রণবীর নন, বলিউডের আরও তাবড় তাবড় তারকারা জড়িত। এবারে সেই তালিকায় নাম যুক্ত হল কপিল, হুমা ও হিনারও।