
প্রসূন গুপ্তঃ বাংলায় রবীন্দ্রনাথ থেকে সত্যজিৎ রায় হয়ে বহু ব্যক্তিত্ব ভারত তথা বিশ্বের দরবারে সম্মানিত হয়েছেন। যদিও এই তালিকায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম রাখাটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। কিন্তু তারই মধ্যে সৌরভের নাম ভারতের কিছু অংশে আলোচিত হয়েছে এবং হচ্ছে। সৌরভ গাঙ্গুলি ছিলেন দুর্দান্ত ক্রিকেটার এবং অবশ্যই ভালো অধিনায়ক। অন্যদিকে, তাঁকে সুনীল গাভাস্কার, সচিন তেন্ডুলকার, কপিল দেবের সঙ্গে একই পংক্তিতে রাখা যাবে না, কারণ এঁদের সময়ে এঁরা বিশ্বসেরা ছিলেন। ক্রিকেট ছাড়ার পরে এঁরা কেউই ভারতীয় ক্রিকেটের বিশেষ দায়িত্বে যান নি। গাভাস্কার তবু কমেন্ট্রি করেন, কিন্তু সচিন বা কপিল ক্রিকেট জগৎ থেকে অনেকটাই দূরে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কিন্তু চিরকাল এযাবৎ ক্রিকেটের নানান দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন সময়ে ক্রিকেট প্রশাসক থেকে রাজনীতিবিদের সঙ্গে সখ্যতা বজায় রেখে চলেছেন। তাঁর হয়তো ভারতীয় দলেই আসা হতো না যদি কিনা জগমোহন ডালমিয়া তাঁর পাশে দাঁড়াতেন। গ্রেগ চ্যাপেলের আমলে তিনি দল থেকে বাদ পড়ে গেলে শোনা যায় তৎকালীন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য, মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে অনুরোধ করেন সৌরভের বিষয়টি দেখার জন্য। বুদ্ধবাবুর সঙ্গে ডালমিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ ছিল। তিনি নাকি ব্যক্তিগত ভাবে ওই সময়ের ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি শারদ পাওয়ারকে সৌরভের বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করেন। ফের দলে আসেন সৌরভ।
সৌরভ খেলা ছাড়ার পরে কমেন্ট্রি বক্সে বসে পড়েন। ইতিমধ্যে ডালমিয়া প্রয়াত হয়েছেন। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের গদিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছেন। মমতার হস্তক্ষেপে সৌরভ বাংলা ক্রিকেটের সভাপতি হন। ধীরে ধীরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ঘনিষ্ঠ হন সৌরভ। ভারতীয় বোর্ডের সভাপতির আসন খালি হলে এক প্রকার নিশ্চিত ছিল কর্ণাটকের ব্রিজেস প্যাটেলের সভাপতি হওয়া, কিন্তু এরই মধ্যে অমিত শাহের সঙ্গে সৌরভের একান্ত বৈঠক হয় এবং সৌরভ বোর্ডের সভাপতি হন বলেই খবর ছড়িয়ে যায়। পাশাপাশি সৌরভের স্ত্রী ডোনাকে রাজ্য বিজেপির নানান অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করতে দেখা যায়।
শোনা যায়, ২০২১-এর ভোট নাকি সৌরভকে মুখ করতে চেয়েছিল বিজেপি অবিশ্যি এর আগে লোকসভাতেও নাকি প্রার্থী করতে চেয়েছিলো তারা বলে বাজারে গুঞ্জন ছিল। কিন্তু নানান বাহানায় সৌরভ রাজনীতিকে এড়িয়ে যান। ফলত কয়েক মাস আগে অদ্ভুত ভাবে বোর্ডের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফের মমতা এসে দাঁড়ান তাঁর পাশে। আপাতত তিনি আইপিএলে দিল্লির দায়িত্বে ছিলেন এবং সম্পূর্ণ অসফল হন।
এবারে তাঁর কাছে নতুন দায়িত্ব এসেছে এবং বিজেপির একটি রাজ্য সরকারের কাছ থেকেই। তিনি ত্রিপুরার ব্র্যান্ড এম্বাসেডর হচ্ছেন। স্বয়ং ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সঙ্গে কথাও হয়েছে। তাঁর সম্মতি নিতে এসেছিলেন ওই রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সৌরভ সম্মতি দিয়েছেন। তাহলে ফের পদ পাচ্ছেন সৌরভ। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য আনন্দ প্রকাশ করেছেন কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায় এর বদলে কী দিতে হবে? সৌরভ অলরাউন্ডার। কোন মাঠে কীভাবে খেলতে হবে তা তিনি জানেন, কিন্তু রাজনীতির মাঠটি বড়োই জটিল।
'স্টুডেন্ট অফ দা ইয়ার' সিনেমার সেই শানায়া অর্থাৎ আলিয়া ভাট (Alia Bhatt) এখন অনেক বড় হয়েছেন। পরিণত হয়েছেন। সেই সময় যে আলিয়াকে দেখে অনেকে 'ন্যাকা' বলে মন্তব্য করেছিলেন, আজ তাঁরাও আলিয়ার অভিনয়ের প্রশংসা করতে বাধ্য হন। তাঁর পরিশ্রম কেরিয়ার সূচককে উপরের দিকে উঠতে সাহায্য করে চলেছে। বিশেষ করে ২০২২ থেকে যেন তাঁর জীবনে ভালো সময় শুরু হয়েছে। দিন কয়েক আগেই মেট গালায় ডেবিউ করেছিলেন তিনি। আবারও আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের নাম উজ্জ্বল করলেন আলিয়া।
আন্তর্জাতিক ব্যাগ প্রস্তুতকারক সংস্থা 'গুচি'র হয়ে ভারতের প্রথম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন আলিয়া। নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে ব্র্যান্ডের হয়ে প্রথম বিজ্ঞাপনের ঝলক শেয়ার করেছেন আলিয়া। ভারতের অভিনেত্রী, প্রোডিউসার এবং নতুন উদ্যোক্তাকে নিজেদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে পেয়ে বেশ খুশি আন্তর্জাতিক ব্রান্ডও। ২০২৪ সালে 'গুচি'র হয়ে বিশ্বব্যাপী নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন আলিয়া।
আলিয়ার সময়টা বেশ ভালোই যাচ্ছে। বলিউডের সীমা পেরিয়ে যেমন ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছেন, একইসঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনও গুছিয়ে নিচ্ছেন। অভিনেতা রণবীর কাপুরকে বিয়ে করে গুছিয়ে সংসার করছেন আলিয়া। কন্যা 'রাহা'কে জন্ম দিয়েছেন। পরিবারের ছোট্ট সদস্যের সঙ্গেও চুটিয়ে মাতৃত্ব উপভোগ করছেন আলিয়া। নেটিজেনরা বলছেন, আলিয়া ধীরে ধীরে লম্বা রেসের ঘোড়া হয়ে উঠছেন।
বলিউডে এসেছেন আগেই, এবার প্রচারের মুখ হলেন শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) কন্যা সুহানা খান (Suhana Khan)। আন্তর্জাতিক মেকআপ প্রস্তুতকারক সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন তিনি। তাঁর আগে বহু জনপ্রিয় অভিনেত্রী এই দায়িত্ব সামলেছেন। এবার ভারতের তাঁদের ব্র্যান্ডের প্রচারের মুখ হলেন সুহানা। সোমবার মুম্বইতে বিরাট ইভেন্টের আয়োজন করে এই খবর দিয়েছেন নামকরা মেকআপ সংস্থা। উপস্থিত ছিলেন সুহানাও।
ইভেন্টে সুহানা খান লাল রঙের পাওয়ার স্যুট বেছে নিয়েছিলেন। খুব বেশি গয়না বা প্রাসঙ্গিক জিনিস নেয়নি। খোলা চুল, নো মেকআপ লুক এবং হালকা লিপস্টিকে দেখা গিয়েছে তাঁকে। লাল স্যুটে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সঙ্গে একজোড়া সোনালী রঙের হিল জুতো বেছে নিয়েছিলেন তিনি। নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপে থেকে প্রবেশ করেন ইভেন্টে। কিং খান কন্যার থেকে চোখ ফেরানো দায় হয়ে পরে।
ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে কেমন অনুভূতি হচ্ছে, সেকথা জানান স্টেজে উঠে। তিনি বলেন, 'এই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়া আমার জন্য সম্মানের। খুব মজা করে ভিডিও শ্যুট করেছি। ভালো কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছি। আশা করি সেই ভিডিও আপনাদেরও ভালো লাগবে। আমায় উৎসাহ ধরে রাখতে পারছি না। আপনাদের সবার সঙ্গে উজ্জ্বল হওয়ার অপেক্ষা করছি।' আর্চিস ছবির হাত ধরে বলিউডে অভিষেক শাহরুখ-কন্যার।