হাত বাঁধা অবস্থায় এক কিশোরের ঝুলন্ত দেহ (Death Body) উদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসাত (North 24 Parganas) পুরসভার কাজিপাড়া এলাকায়। যদিও এই ঘটনায় মৃতের মা খুনের অভিযোগ তুলেছেন মৃতের বাবার বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন বাবা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দেহটি উদ্ধার করে বারাসাত থানার (Barasat Police) পুলিস। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম তৌফিক হক(১৭)। তৌফিক তাঁর মামার বাড়িতে থাকত। বুধবার কাকভোরে মামার বাড়ি থেকেই তাঁর দেহটি উদ্ধার হয়।
মৃতের মা জানান, তৌফিকের যখন ছ-মাস বয়স তখন থেকেই তাঁর স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নেই। তারপর থেকে মামবাড়িতেই থাকত ছেলে। মৃতের মায়ের অভিযোগ, সম্প্রতি বাবার কাছে থাকতে গিয়েছিল ছেলে তৌফিক। তবে সেখান থেকে তাঁকে মারধর করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ছেলে তৌফিককে তার বাবা সেকেন্দার কাজিই খুন করেছে।
যদিও এই বিষয়ে মৃত কিশোরের বাবা সেকেন্দার কাজি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে খুনের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তিনি। তিনি বলেন, মা ও ছেলের সাথে দীর্ঘদিন কোনও সম্পর্কই নেই। এমনকি তৌফিকই যে তাঁর ছেলে তাও জানতেন না তিনি। সম্প্রতিই তৌফিক তাঁর বাড়িতে আসার পরই তিনি এই বিষয়ে জানতে পারেন।
অন্যদিকে স্থানীয়রা জানান, ওই কিশোরের সঙ্গে তাঁর এক মামার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁদের ভালোবাসা এতটাই গভীর ছিল যে ওই কিশোরীর নাম হাতে ও বুকে ট্যাটু করেছিল সে। এ নিয়ে পরিবারে রোজ অশান্তিও হত। সেই কারণেই হয়তো কোনও কিছু ঘটতে পারে বলে দাবি, স্থানীয়দের। তবে এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয় খুনেরই ঘটনা, দাবি স্থানীয়দের।
মৃত কিশের বাড়ির পক্ষ থেকে বারাসাত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বারাসাত থানার পুলিস।
দেশের জাতীয় পতাকা দিয়ে পুরসভার আবর্জনার গাড়ি বাঁধা, খবর পেয়ে পতাকা উদ্ধার করল বারাসত থানার পুলিস। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত থানার অন্তর্গত পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটবাজার সংলগ্ন সুরেন্দ্রনাথ কলোনি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকায় স্থানীয় কিছু বাসিন্দা শনিবার সকালবেলায় দেখেন রাস্তার পাশে পুরসভার একটি ভ্যাটের গাড়ি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে। সেখানে এক কর্মী গাড়িতে আবর্জনা বোঝাই করছে। সেই আবর্জনা যাতে না ছড়ায় সে কারণে আবর্জনা জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে রাখে ভ্যাটের ভ্যান চালক। সেই দৃশ্য চোখে পড়তেই বাসিন্দারা সংবাদমাধ্যমকে খবর দেন। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা বারাসত থানার পুলিসকে খবর দিলে পুলিস গিয়ে জাতীয় পতাকা উদ্ধার করে এবং ওই ভ্যান চালককে ধমকানিও দেন।
এবিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর কনিকা রায় চৌধুরী বলেন, 'ভ্যাটের ভ্যান চালক নিরক্ষর। সে বুঝতে পারেননি। যিনি আবর্জনার মধ্যে দেশের জাতীয় পতাকা ফেলেছেন তিনি ঠিক করেননি।' জাতীয় পতাকার অবমাননা ঘটনায় প্রতিবাদে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার স্থানীয় একজন বলেন, 'আমি এই ওয়ার্ডে থাকি না, তবুও এখানে কাজে এসে জাতীয় পতাকার অবমামনা দেখে আমার খারাপ লেগেছে, তাই প্রশাসনকে জানতে বাধ্য হয়েছি।'