
সম্প্রতি সংসদের দুই কক্ষেই পাস হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। এবার ওই বিল আইনে পাশ হল। সূত্রের খবর, চলতি মাসেই ২৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও এই বিলে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেন। যার ফলে এই বিল আইনে পরিণত হল।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে একটি গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশ করা হয়। জানানো হয়েছে, নারী শক্তি বন্ধন অধিনিয়ম বিলে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এরপর থেকেই আনন্দে আত্মহারা হয়েছে গোটা দেশের মহিলারা। সূত্রের খবর, কেন্দ্র সরকারের ডাকা বিশেষ অধিবেশনে এই মহিলা সংরক্ষণ বিল আনা হয়। এরপর গোপন ভোটাভুটি হলে মহিলা সংরক্ষণ বিলের পক্ষে পড়েছিল ৪৫৪টি ভোট, ও বিপক্ষে ছিল মাত্র ২ টি ভোট।
এই বিল সংসদে আনার পর অবশ্য কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী দল গুলি এই বিলের পক্ষে ছিল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই বিল আইন হওয়ায় লোকসভার আগে কিছুটা এগিয়ে থাকবে বিজেপি। লোকসভা ও বিধানসভায় এই আইন অনুযায়ী, ৩৩ শতাংশ মহিলা প্রার্থীরা এই সংরক্ষণের আওতায় পড়বেন।
ভিনরাজ্য়ে কাজ করতে গিয়ে এবার মৃত্য়ু হল এক মহিলা শ্রমিকের। অসুস্থ আরও ১২ জন মহিলা শ্রমিক। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম রুবী কুমারী। ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। সোনারপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর এলাকার একটি গেঞ্জি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। অনান্য় মহিলা শ্রমিকদের অভিযোগ, বারংবার অসুস্থতার কথা জানালেও ছুটি দিত না তাঁদের। এই ঘটনার প্রতিবাদে কারখানায় ভাঙচুর করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অন্যান্য শ্রমিকরা৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সোনারপুর থানার পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
জানা গিয়েছে, বিগত চারদিন ধরে অসুস্থ বোধ করছিলেন রুবী কুমারী৷ বমি, কাশী সহ একাধির শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল তাঁর৷ অভিযোগ, তিনি বারংবার ছুটির কথা জানালেও তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়নি৷ এমনকি কোনওরকম চিকিৎসাও করানো হয়নি বলে অভিযোগ৷ অসুস্থতার মধ্যেও তাঁকে কাজ করানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন সুলোচনা কুমারী ও সংগীতা কুমারী৷ কারখানার হোস্টেলে থাকতেন রুবী৷
যদিও কারখানার কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত গাফিলতির কথা অস্বীকার করেছেন৷ কারখানার ম্যানেজার বিশ্বরঞ্জন মিশ্রের দাবি, তাঁর কাছে কোনও ছুটি চাওয়া হয়নি৷ এদিন শরীর খারাপের কথা জানতে পারেন তিনি৷ এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিস৷
কৈখালিতে মধ্যবয়স্ক মহিলার রহস্যজনক মৃত্যু। ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে উদ্ধার নগ্ন রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাস্থলে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। মৃত ওই মহিলার নাম রানী সুরানা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহটি।
জানা গিয়েছে, কৈখালির সংহতি পার্ক এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে বুধবার সকালে রক্ত বেরোতে দেখা যায়। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। ফ্ল্যাটের দরজা খুলে ভিতরে যান পুলিশ আধিকারিকরা। বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় হাতের শিরা কাটা নগ্ন ওই মহিলার দেহ।
বাড়ির মালিক রিশা রায় জানান, মঙ্গলবার রাতে হাত কাটা অবস্থায় ওই মহিলা তাঁদের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনাটি বুঝতে পারেননি তিনি। মৃত্যুর কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্মৃতির ব্যাট আর তিতাসের বল। এশিয়ান গেমসে ভারতীয় ক্রিকেটের সোনার স্বপ্ন পূরণ। এই প্রথমবার এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট খেলতে এসে সোনা জিতলেন ভারতীয় মেয়েরা। সোমবার মেয়েদের ক্রিকেটের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সোনা জিতলেন হরমনপ্রীত কৌররা। প্রথম ব্যাট করে ২০ ওভারে সাত উইকেট ১১৬ রান করে ভারত। ৪৫ বলে ৪৬ রান করে স্মৃতি মান্ধানা
রানা তাড়া করতে নেমে বাংলার পেসার তিতাস সাধুর পেসের কাছে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার। ম্যাচে ৬ রান দিতে তিন উইকেট নেন তিতাস। গত কয়েক দিন আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-শ্রীলঙ্কা। সেই ম্যাচে দাপট দেখিয়েছিলেন ভারতীয় পেসার মহম্মদ সিরাজ। সেই আবহে এদিন চিনের মাটিতে সোনার ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভারত ও শ্রীলঙ্কা। দু ম্যাচের নির্বাসন কাটিয়ে ফাইনাল খেলতে নামেন ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে চিনের মাটিতে সোনা জয়ের পর ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ। টুইট করে, বিশেষ ভাবে প্রশংসা করেছেন বাংলার ১৮ বছরের বোলার তিতাস সাধুর।
ভারতীয় ক্রিকেটে এবার সোনার স্বপ্ন। এশিয়ান গেমসে মহিলাদের ক্রিকেটে বাংলাদেশকে আট উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ভারত। রবিবার প্রথম ব্যাট করে মাত্র ৫২ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ১৭ রান দিয়ে চার উইকেট নেন ভারতের পূজা ভাস্তাকর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭০ বল বাকি রেখেই ফাইনালে উঠল ভারত। ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন জেমাইমা।
এদিনই ভারতকে গেমসের প্রথম পদক এনে দেয় মহিলাদের শুটিং দল। ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে রুপো জেতে ভারত। ভারতের হয়ে পদক জেতেন বাংলার মেহুলি ঘোষ। জল থেকেও জোড়া পদক এসেছে ভারতের। ডবল স্কাল ইভেন্টে রুপো জিতেছেন অর্জুন লাল এবং অরবিন্দ সিং। রোয়িংয়ের পেয়ার ইভেন্টেও ব্রোঞ্জ জিতেছে ভারত।
এদিকে, রবিবার বিকেলে ভারতের সবচেয়ে বড় আশা ফুটবলকে কেন্দ্র করে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ মায়ানমার। এই ম্যাচ জিতলেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবেন সুনীল ছেত্রীরা।
একদিকে যখন গোটা দেশে মহিলাদের সন্মান জানিয়ে পাশ করা হচ্ছে মহিলা সংরক্ষণ বিল, তখন অন্যদিকে বাংলার নারী সুরক্ষার চিত্রটা ঠিক অন্যরকম। মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে গোটা দেশে মহিলাদের উচ্ছাস ঠিক তখনই রাতের কলকাতায় মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। অভিযোগ গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতে অটোর লাইনে দাঁড়িয়ে শ্লীলতাহানির স্বীকার এক মহিলা।
যদিও স্থানীয় থানা শ্লীলতাহানির অভিযোগ গ্রহণ করেননি বলেই অভিযোগ নির্যাতিতার। অভিযোগ বুধবার রাট আটটার সময় কাজ থেকে বাড়ি ফেরার মুখে বেহালা চৌরাস্তায় লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মহিলা, অভিযোগ সেই সময় এক মদ্যপ ব্যক্তি হঠাৎই তার সামনে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে, নির্যাতিতা মহিলা তখন তাঁকে লাইনে অপিচনে গিয়ে দাঁড়াতে বলে। অভিযোগ এরপরেই ওই ব্যক্তি মহিলার সঙ্গে দুরব্যবহার শুরু করে। অভিযোগ মহিলাকে গালিগালাজ, হুমকি এমনকি গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
অভিযোগ ওই অটোর লাইনে অন্যরা থাকলেও কেউ কোনও প্রতিবাদ করেননি। তারপর অপর এক মহিলা এ ঘটনায় প্রতিবাদ করতে গেলে তাকেও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীকালে ওই ব্যক্তি হুমকি দিয়ে থাকে আমার মা ভবানী ভবনের সেকেন্ড অফিসার, আমার কেউ কিছু করতে পারবে না। থানা থেকেও ছেড়ে দেবে। তারপর ওই মহিলা চৌরাস্তায় উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশদের সাহায্য নেয় এবং পুলিশকে পুরো ঘটনা বলে খবর দেওয়া হয় বেহালা থানা তে। বেহালা থানা ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তিকে আটক করে গতকাল রাত্রিবেলায় নিয়ে গেছে যদিও ওই মহিলার বক্তব্য আমি বারংবার শ্লীলতাহানি অভিযোগ করতে চাইলে থানা থেকে বলা হয় গায়ে হাত না দিলে শ্লীলতাহানির অভিযোগ হয় না। এ ঘতমনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পক্ষে ৪৫৪ আর বিপক্ষে ২, সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদের সমর্থনে লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশের পর চাক দে ইন্ডিয়া বলা যেতেই পারে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল লোকসভায় নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম বিল-২০২৩ বা মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করেন। যদিও বিল পেশের আগে থেকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল কংগ্রেস-তৃণমূল। বুধবার দুপুরে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধীও বিলে সমর্থন আছে, ঘোষণা করেন লোকসভায়। এই বিলের পক্ষে বিতর্কে অংশ নেয় শাসক-বিরোধী পক্ষ। প্রায় ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে বিতর্ক। অবশেষে গোপন ভোটাভুটিতে নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম বিল-২০২৩-এর পক্ষে পড়েছ ৪৫৪টি ভোট আর সংশোধনী চেয়ে বিপক্ষে পড়েছে মাত্র দুটি ভোট। এরপর রাজ্যসভায় এই বিল পাশের পর রাষ্ট্রপতি অনুমোদন মিললেই লোকসভা এবং দেশের বিধানসভাগুলোতে মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ বা ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, এই বিলের উপর আলোচনা সংসদের নির্ধারিত সময়ের পরেও চলেছে। যা দেখে সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সত্যি মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করতে সংকল্পবদ্ধ ছিল সংসদের নিম্নকক্ষ। দীর্ঘ ২৭ বছর পর লোকসভা সম্পূর্ণ সমর্থন উজাড় করে দিয়েছে এই বিলের পক্ষে, এমনটাই মানছেন বিশেষজ্ঞরা। ভোটাভুটির পর ফল প্রকাশে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাও বলেন লোকসভায় উপস্থিত সাংসদদের অন্তত দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন পেয়েছে এই বিল।
এদিকে, কঙ্গনা রানাউত, জয়া বচ্চনের পর এবার এমসি মেরি কম। অলিম্পিকে পদকজয়ী এই বক্সারও মহিলা সংরক্ষণ বিলের পক্ষেই বললেন। খুব ভালো লাগছে, মহিলারা আরও বেশি সংরক্ষণ পেয়ে এগিয়ে যাক। এরম একটা ঘটনায় আমন্ত্রিত হয়ে আমিও সম্মানিত, জানান মেরি কম। নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের মত, আমি গলা তুলেছিলাম, চিত্কার করতে নয়। বরং যাতে আমার গলা শোনা যায় তাই। আমরা কখনই সাফল্য পাবো না, যখন আমাদের অর্ধেককে পিছু টেনে রাখা হবে। এবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩-ও স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, যখন নারী স্বশক্তিকরণে দলমত নির্বিশেষে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে ভোট দিয়েছে পার্লামেন্ট অফ ইন্ডিয়ার নিম্নকক্ষ তথা লোকসভা। আদতেই চাক দে ইন্ডিয়া।
ঐতিহাসিক! ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে চমক দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। নতুন সংসদ ভবনের প্রথম দিনেই পেশ করা হয় মহিলা সংরক্ষণ বিল। অবশেষে লোকসভায় পাশ হল সেই মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women Reservation Bill)। নানা মতবিরোধ-বিতর্কের মাঝে হাসিমুখে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করে নিল মোদী সরকার (Modi Government)।
সূত্রের খবর, ভোটাভুটির পর মহিলা সংরক্ষণ বিলের পক্ষে পড়ে ৪৫৪টি ভোট। বিপক্ষে ভোট দেন মাত্র দু'জন সাংসদ। বিলটি লোকসভায় পাস করার জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তারও বেশি ভোট পেয়ে লোকসভার গণ্ডি পার করে ফেলল মহিলা সংরক্ষণ বিল। এবার থেকে দেশের আইনসভায় অর্থাৎ লোকসভা এবং বিধানসভাগুলিতে ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত হবে মহিলাদের জন্য। এদিকে তফশিলি জাতি বা উপজাতিদের জন্য বরাদ্দ আসনের মধ্যেও এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত থাকবে মহিলাদের জন্য।
ওবিসিকে তালিকা ভুক্ত করে অতি দ্রুত মহিলা সংরক্ষণ বিল আইনে পরিণত করার দাবি জানালেন কংগ্রেস সাংসদ সনিয়া গান্ধী। বুধবার লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রাক্তন সভানেত্রী। সনিয়ার দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এই বিল নিয়ে নানা চর্চা হচ্ছে। এবার সময় এসেছে, এই বিলকে আইনে পরিণত করা।
এদিন লোকসভায় দাঁড়িয়ে আবেগে ভাসলেন সনিয়া। তিনি জানান, ভারতে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের প্রথম কাজ শুরু করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর স্বামী রাজীব গান্ধী। কিন্তু রাজ্যসভায় সাত ভোটে হেরে গিয়ে সেই বিল আটকে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এই বিল আইনে পাস করার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস এখনও এই বিলকে সমর্থন করে বলেও জানান সনিয়া গান্ধী। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে তাঁর অনুরোধ আর দেরি না করে এই বিল আইনে পরিণত করার সময় এসেছে। সনিয়ার পর এই বিলকে দ্রুত আইনে পাস করাতে সরকারের কাছে অনুরোধ করেন ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝিও।
অবশেষে মহিলা সংরক্ষণ বিলে (Women Reservation Bill) অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union Cabinet)। মঙ্গলবার সংসদে বিল পেশ করা সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই সূত্রের খবর। সোমবার শুরু হয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন। সোমবারের অধিবেশনের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এর পর অধিবেশনের শেষ হতেই সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন। তবে কেন এই বৈঠক, তা নিয়েই শুরু হয় জল্পনা। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল জানিয়েছেন, মহিলা সংরক্ষণ বিলে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
সোমবার রাতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, 'নারী সংরক্ষণের দাবি পূরণ করার নৈতিক সাহস কেবল মাত্র মোদী সরকারেরই ছিল। এই বিলকে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর মাধ্যমে সরকারের নৈতিক সাহসিকতা প্রমাণিত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীজি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে অভিনন্দন।'
Union Cabinet has approved women’s reservation bill, says Union minister Prahlad Patel.#WomenReservationBill pic.twitter.com/PyP0txPNmq
— Live Law (@LiveLawIndia) September 18, 2023
তবে কী এই বিল, এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। জানা গিয়েছে, এই বিল পাশ হয়ে গেলে লোকসভা, রাজ্যসভা ও বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তফশিলি জাতি বা তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত আসনগুলির মধ্যেও এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত হবে এসসি বা এসটি নারীদের জন্য।
সুন্দরবনের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় নারী পাচার (women traffickers), নতুন কিছু নয়। কাজের টোপে অন্ধকার কানাগলিতে মিশে গেছে বহু মেয়ে। কিছু ফিরে আসলেও অধিকাংশরই আলোয় ফেরা আর হয়নি। সহজ সরল মেয়েদের টোপ দিয়ে তুলে নিয়ে যেত এমন অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জনের বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করে ডায়মন্ড হারবার ফাস্টট্র্যাক থার্ড কোর্ট (Diamond Harbor Fasttrack Third Court)। ২ জনের ১০ বছর ও ১ জনের ৭ বছরের জেল ঘোষণা করেন বিচারপতি।
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে মথুরাপুরের এক তরুণীকে চাকরি ও প্রেমের প্রলোভন দিয়ে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল দিল্লিতে। তারপর গাজিয়াবাদের এক যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া হয় তাঁকে। ওই পল্লীতে দিনের পর দিন তাঁকে ধর্ষণ ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা করানো হত। পরবর্তী সময়ে পুলিস ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর মাধ্যমে ওই নির্যাতিতা তরুণী সহ বাংলার ৫ মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জেল হেফাজতে রেখেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৭ বছর ধরে চলে সেই মামলা।
সূত্রের খবর, অভিযুক্তরা হল মিনা সিং, মুসলিমা বিবি ওরফে পিঙ্কি, ফারুক আলি গায়েন। বিচারক মিনা সিং ও ফারুক আলি গায়েনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেন। আর পিঙ্কিকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। ঘটনার পরে তো বটেই, ঘটনার আগেই যদি পুলিসের নজরদারি কড়া হয়, তাহলে হয়ত অন্ধকার থেকে বাঁচতে পারে বহু মেয়ে।
ফের রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া রাজ্যে। স্ত্রীর মৃতদেহর সঙ্গেই বসবাস স্বামীর। শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয় পচাগলা মৃতদেহ। জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিনে আগে বাথরুমে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় স্ত্রী শিখা সেনগুপ্তের। সেই মৃত্যুর খবর কাউকে না জানিয়ে স্ত্রীর দেহ নিয়ে বসেছিলেন বছর ৭৬-এর পঙ্কজ সেনগুপ্ত। এবার ঘটনাস্থল পুরুলিয়ার (Purulia) মুনসেফ ডাঙার কাশীনাথ চক্রবর্তী লেন।
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। প্রচন্ড দুর্গন্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। তাঁরাই খবর দেন স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিসকে। কাউন্সিলর ও পুরুলিয়া সদর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে বাড়ির ভিতর ঢুকতেই গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়। দেখা যায়, বাড়ির বাথরুমে পচা-গলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে শিখা দেবীর দেহ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পঙ্কজ সেনগুপ্ত ও তাঁর স্ত্রী শিখা সেনগুপ্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না তাঁদের। গত ৭ দিন ধরে শিখা দেবীকে দেখা যাচ্ছিল না। তবে নিয়মিত পঙ্কজ বাবু রোজ খাবার আনতে বাইরে যেতেন। সোমবারও তিনি ঘরের বাইরে বেরিয়ে খাবার আনতে গিয়েছিলেন। মৃত্যুর খবর একেবারেই জানতে পারেননি প্রতিবেশীরা। স্থানীয়রা আরও জানান, স্ত্রীর মৃতদেহের সামনেই পঙ্কজবাবু স্বাভাবিকভাবে খাওয়া দাওয়া, থাকা সবই করছিলেন।
পঙ্কজবাবু দাবি করেছেন, রবিবার স্ত্রী বাথরুমে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। তবে সেই বিষয় তিনি কাউকে জানাননি। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া সদর থানা পুলিস।
রাখি উৎসবের (Rakhi) আগেই মধ্যবিত্তের জন্য সুখবর। এলপিজি সিলিন্ডারের (LPG Cylinder) দাম একধাক্কায় ২০০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের। মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট এক্স অ্যাকাউন্টে এই সুখবর দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitaraman)। এই সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি বাড়ির গৃহিনীরা।
এবারে গ্যাসের দাম কমে যাওয়ার পর জানা গিয়েছে মহিলাদের মতামত। যে সময় বাজারে দাম বেড়েই চলেছে, সে সময় দাম হ্রাস পাওয়ায় বাড়ির মহিলাদের মত, 'কিছুটা দাম কমায় একটু স্বস্তি পাওয়া গেল। আগে কিছু খেতে গেলে ভাবতে হত। তবে, মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে বাড়ির মহিলারা বেশ খুশি।' তাঁদের দাবি, এই দাম কমার ধারাটা বজায় থাকুক। আবার অনেকে জানিয়েছেন, 'সংসার চালাতে মাস পয়লা থেকেই বাজেট ধার্য থাকে মধ্যবিত্তের। গ্যাসের দাম বাড়লে সেই বাজেটে কাটছাঁট করতে হয়। তাই এই দাম কমার ধারা বজায় থাকলে আগামী উৎসবের মরশুমে অনেকটা সুরাহা পাবে মধ্যবিত্ত শ্রেনীর', এমনটাই মত আম আদমির।
পূর্বতন টুইটার তথা বর্তমান সামাজিক মাধ্যম এক্স অ্যাকাউন্টে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ লেখেন, 'ওনাম এবং রাখী বন্ধন উৎসব উপলক্ষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সব রান্নার গ্যাসের দাম ২০০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মা-বোনেদের এই স্নেহ উপহার দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ।'
মাতালদের মাতলামি রুখতে ঝাঁটা লাঠি হাতে রাস্তায় নামল এলাকার মহিলা বাহিনী (Women Force)। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া (Bankura) জেলা বিষ্ণুপুর ব্লকের ছিলিমপুর গ্রামের প্রকাশঘাট সংলগ্ন এলাকায়। মহিলাদের অভিযোগ, এই সব অসুবিধার কথা বারবার পুলিস প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। তাই তাঁদেরই ঝাঁটা লাঠি হাতে রাস্তায় নামতে হয়েছে।
তাঁরা আরও অভিযোগ করেছেন, প্রকাশঘাট সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদীর চরে একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরেই চোলাই মদ বিক্রি করে। আর সেই মদ পান করে এলাকার পুরুষরা, নেশাগ্রস্ত হয়ে বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের ওপর অত্যাচার করে। এমনকি নেশার টাকা না দিলে মহিলাদের ব্যাপক মারধর করা হয়। পাশাপাশি এই মদ খেয়ে প্রাণও হারিয়েছেন একাধিক ব্যাক্তি। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ির কাজ-কর্ম সেরে ঝাঁটা লাঠি হাতে এলাকার মাতালদের শায়েস্তা করতেই বেরিয়ে পড়েছেন এলাকার মহিলা বাহিনী।
৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে নারীদের (Women) প্রতি অন্যায় (Crime Against) রুখতে নয়া পদক্ষেপ নিলেন ছত্তীসগঢ় (Chhattisgarh) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) ভূপেশ বঘেল। শিশু ও মহিলাদের উপর হওয়া অপরাধ রুখতেই তিনি এই নয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এই বিষয়ে একটি বক্তব্যও পেশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘ রাজ্যে মহিলাদের সম্মান এবং মর্যাদা রক্ষা করাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে আমাদের সরকার। শিশুকন্যা এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা এবং অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্তদের উপর সরকারি চাকরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’’ এমনকি সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বঘেল।
যদিও ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’ (এনসিআরবি)-র সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৮ সালে নারী নির্যাতনের ঘটনায় দেশের মধ্যে এই রাজ্য পঞ্চম স্থানে ছিল। তবে ২০২১ সালে সেই নিরিখে ছত্তীসগঢ় ১১তম স্থানে নেমেছে।