কলকাতার ওয়াটগঞ্জে প্লাস্টিকের ব্যাগে মহিলার ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনায় মৃতার ভাসুরকে গ্রেফতার করল পুলিস। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা ৪৫ নাগাদ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম দুর্গা সরখেল। ধৃতের নাম নীলাঞ্জন সরখেল। তবে মৃতার স্বামীর খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। এদিন ধৃত নীলাঞ্জন সরখেলকে আলিপুর পুলিস আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, ২০০৭ সালে বিয়ে হয় দুর্গার সঙ্গে ধনী সরখেলের। তাঁদের ১৬ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। দুর্গার স্বামী বেশ কয়েক বছর ধরে রিহ্যাবে থাকেন। গত রবিবার সকালবেলা ফিরে এসে বউকে মারধর করে। দুর্গার দেহ কাটাকাটি এবং প্লাস্টিকে ভরে ফেলে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল তাঁর ভাসুর নীলাঞ্জন সরখেল ও ননদের। আপাতত ননদকে ওয়ার্ডগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিল দুর্গা সরখেল। বিভিন্ন খবরের কাগজ এবং সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর দেখে দুর্গার সরখেলের বাপের বাড়ির লোকজনেরা যোগাযোগ করেন ওয়েস্ট পোর্ট থানায়।
পুলিসের অনুমান, একাধিক ব্যক্তি এই খুনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। মহিলার বিরুদ্ধে পারিবারিক এবং আর্থিক কিছু বিষয়ে প্রায়শই বিরোধ ছিল। দুর্গার পেটে পাওয়া গিয়েছে অ্যালকোহলের নমুনা। প্রশ্ন উঠছে অ্যালকোহল দিয়ে বেহুশ করে খুনের পরিকল্পনা করেছিল স্বামী? বৃহস্পতিবার দুর্গার মৃতদেহ শনাক্ত করেন বাপের বাড়ির সদস্যরা।
ভরদুপুরে খাস কলকাতার বুকে ভয়ঙ্কর কাণ্ড! উদ্ধার হল তরুণীর খণ্ডবিখণ্ড মৃতদেহ। মঙ্গলবার কলকাতা পোর্টট্রাস্টের একটি পরিত্যাক্ত গোডাউনে প্লাস্টিকের মধ্যে পাওয়া যায় দেহের বিভিন্ন অংশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কলকাতা পুলিসের হোমিসাইড শাখা এবং ওয়াটগঞ্জ ও সাউথপোর্ট থানার পুলিস। যদিও মৃত তরুণীর এখনও পর্যন্ত কোনও পরিচয় পাওয়া যায় নি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহের একাধিক অংশ উদ্ধার হয়নি এখনও পর্যন্ত। দেহের বাকি অংশ উদ্ধার করতে স্নিকার ডগ দিয়ে চলছে তল্লাশি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডি সি পোর্ট হরি কৃষাণ পাই।প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, তিন থেকে চারদিন আগে খুন করা হয়েছিল। তবে এই ঘটনার পিছনে কী রহস্য় রয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্য়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।
গার্ডেনরিচকাণ্ডের পর ফের শহর কলকাতায় ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শনিবার বিরাটির শরৎ কলোনীতে নির্মীয়মান আবাসন ভেঙে মৃত্য়ু হল এক মহিলার। ঘটনায় আজ, রবিবার তিন প্রোমোটার সহ কন্টাক্টার ও দুজন লেবার ইনচার্জকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম কেয়া শর্মা চৌধুরী। ঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থল ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ উত্তর দমদম পুরসভার বিরাটিতে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি নির্মীয়মান বাড়ির ছাদ আচমকা ভেঙে পড়ে। আর সেই সময় বাড়ির থেকে বেরিয়ে ছিলেন কেয়া শর্মা চৌধুরী। তখনই সেই ভেঙে যাওয়া ছাদের ইট মাথায় পড়ে মৃত্য়ু হয় ওই মহিলার।
উল্লেখ্য, সপ্তাহ খানেক আগেই গার্ডেনরিচে বহুতল নির্মীয়মান আবাসন ভেঙে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। সর্বহারা হয়েছেন আরও অনেকে। সেই ঘটনার পরই আবারও কলকাতার বুকে ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা।
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আর সেই উপলক্ষে মহিলাদের জন্য বিশেষ উপহার মোদী সরকারের তরফে। এক ধাক্কায় ১০০ টাকা রান্নার গ্যাসের দাম কমাল কেন্দ্র। লোকসভা ভোটের আগে স্বাভাবিকভাবে বড় চমক নরেন্দ্র মোদীর। শুক্রবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এলপিজি গ্যাসের দাম কমানোর ঘোষণা করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এরফলে কয়েক লক্ষ পরিবার উপকৃত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই উজ্জ্বলা প্রকল্পে ভর্তুকি আরও এক বছরের জন্য বাড়ানোর ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৩০০ টাকা করে ভর্তুকি পান গ্রাহকরা। এরপরেই গৃহস্থ্যের ঘরে ব্যবহৃত রান্নার গ্যাসের দাম কমানোর কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শুক্রবার থেকেই নয়া এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আগামী সপ্তাহের শেষের দিকেই সম্ভবত দেশে ভোটের দিন ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এবারের ভোটে ৪০০ পারের টার্গেট নিয়েছে মোদী সরকার। কিন্তু একাধিক ইস্যুর পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধি বড় চ্যালেঞ্জ দিল্লির মোদী সরকারের কাছে। সমস্ত জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া।
এমনকি রান্নার গ্যাসের দাম ১০০০ টাকা। আর এই বিষয়টিকে নিয়ে বারবার কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। এই অবস্থায় রান্নার গ্যাসের দাম কমানো বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। তাও আবার মহিলা দিবসের দিনেই ১০০ টাকা গ্যাসের দাম কমানোর কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লিখছেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বড় সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত গোটা দেশে লক্ষ লক্ষ পরিবারের উপর আর্থিক বোঝা কমাবে। বিশেষ করে দেশের নারী শক্তি উপকৃত হবে। মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং জীবনযাত্রা আরও সহজ হবে বলেও টুইট প্রধানমন্ত্রী।
সন্দেশখালি যাওয়ার পথে মহিলা কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন রাজ্য়পাল। সন্দেশখালিকাণ্ডে গোটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। দিন দুয়েক আগেই এই মহিলা কর্মীরা জোটবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। যখন সন্দেশকালিতে রাজ্য়পাল আসার ঘোষণা হল, তারপর কয়শো মহিলা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে সামিল হয়।
সোমবার রাজ্য়পাল সন্দেশখালিতে প্রবেশ করার পর বিক্ষোভকারী মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। বিক্ষোভকারী মহিলাদের দাবি, তাঁরা এখনও পর্যন্ত ১০০ দিনের বকেয়া টাকা পায়নি। এমনকি আবাস যোজনার ঘরও পায়নি। এছাড়াও গ্য়াসের মূল্য় বৃদ্ধির কথাও জানিয়েছে তাঁর। শেখ শাহজাহানের দলবলের অত্য়াচারের ভয়ে ভয়ে কাটাতে হয় মহিলাদের। সব অভিযোগ শোনা মাত্র রাজ্যপাল তাঁদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, তোমরা চিন্তা করো না।
সন্দেশখালি ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে শেখ শাহজাহান প্রতিকী ছবিতে দড়ি দিয়ে বেঁধে হাতে ঝাঁটা নিয়ে রামপুরহাট থানার সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভের পর রামপুরহাট থানায় স্বারকলিপি জমা দেওয়া হয়। রামপুরহাট দলীয় কার্যালয় থেকে রামপুরহাট থানায় মিছিল করে আসেন মহিলা মোর্চার সদস্যরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী রশ্মি দে ও বিজেপি সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল সহ অনান্য নেতৃত্ব।
মালদহের বামনগোলায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। এবার সেই ঘটনায় রাজ্য় সরকারকে ছয় লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। দুই নির্যাতিতাকে তিন লক্ষ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে চোর অপবাদে মালদহের বামন গোলার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে। সমাজমাধ্য়মে সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিস। প্রথমে পুলিসের বিরুদ্ধে ওঠে গাফিলতির অভিযোগ। এমনকি এই ঘটনায় বামনগোলা থানার আইসি সহ চার পুলিস আধিকারিককে তাঁদের কর্তব্য থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর ওই দুই নির্যাতিত মহিলার হয়ে মালদহ জেলা আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী উজ্জ্বল দত্ত ও মালদহ জেলা আদালতের আরেক আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে মামলা দায়ের করে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছে।
রাজ্যে বাড়লো মহিলা ভোটারের সংখ্যা। সোমবার প্রকাশ্যে এল ২০২৪ সালের ভোটার তালিকা। বর্তমানে রাজ্যের মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭,৫৮,৩৭,৭৭৮ জন। যার মধ্যে নতুন ভোটারের সংখ্যা ১১,৩৩,৯৩৬ জন। এছাড়াও ১৮ থেকে ১৯ বছরের ভোটারের সংখ্যা হলো ১৫,৩১,৯২৩ জন। নতুন ভোটারের মধ্যে ৫,৬৩,৫২১ জন পুরুষ এবং ৫,৭০,৩৪১ জন মহিলা ও ৭৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। পাশাপাশি এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩,৮৫,৩০,৯৮১ জনন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩,৭৩,০৪,৯৬০ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ১৮৩৭ জন।
এবারের ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারের সংখ্যার উপর প্রথম থেকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাই মৃত ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫,৪৭,৭৫৭ জন। সবমিলিয়ে ২০২৪ সালে ৪,৫১,৭০৬ জন ভোটার বাড়লো এই রাজ্যে। তবে লক্ষণীয় বিষয় একটাই, এই প্রথমবার রাজ্যে পুরুষ ভোটারের তুলনায় বাড়লো মহিলা ভোটারের সংখ্যা। প্রতিবছর ভোটার তালিকা প্রকাশ পায় ৫ই জানুয়ারি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়ার পর নিখুঁতভাবে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আরও সময় দরকার। সে কারণেই ২০২৪ সালে ভোটার তালিকা প্রকাশ পেল ২২শে জানুয়ারি। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের এই ভোটার তালিকা একশো শতাংশই নির্ভুল।
ফের চিকিৎসায় গাফিলতিতে উঠেছে রোগী মৃত্য়ুর অভিযোগ। ঘটনায় উত্তপ্ত দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বর। মৃতের পরিবার পরিজনেরা হাসপাতাল সুপারের রুমের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মৃতদেহ নিতে নারাজ পরিবার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গেলে পুলিসকে ঘিরেও তুমুল বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিবার পরিজনেরা।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সোনি তুড়ি (১৯)। বাড়ি দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত শিমুল তলা এলাকায়। গত বুধবার গর্ভবতী অবস্থায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তারপর বৃহস্পতিবার একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। শুক্রবার রোগীর বাড়ির লোকজন হাসপাতালে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় সোনি মারা গিয়েছেন।
এরপরই উত্তেজনায় উত্তাল হয়ে ওঠে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বর। অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে সরব হয় মৃতার পরিবার পরিজন। মৃতার পরিবার পরিজনের দাবি, চিকৎসায় গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের প্রিয়জনের। এমনকি পুলিস মৃতের পরিবার পরিজনকে বোঝাতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিসও। এছাড়াও মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে মৃতের পরিবার পরিজন। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সরকারি চাকরি (Government Jobs) ক্ষেত্রে এবারে মহিলাদের ৩৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করার ঘোষণা করা হল। তবে এই রাজ্যে নয়, ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) এমনটা ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই মধ্য়প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) হতে চলেছে। আর তার আগেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান সে রাজ্যের মহিলাদের জন্য এক খুশির খবর দিলেন। বুধবার এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, এবার থেকে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করা হবে মহিলাদের জন্য।
সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশ সিভিল সার্ভিসেস রুলস, ১৯৯৭-এর অনুযায়ী, একমাত্র বন দফতর ছাড়া অন্য সরকারি ক্ষেত্রগুলিতে মহিলাদের জন্য ৩৫ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সমস্ত বর্ণের মহিলাদের এই সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। নারীদের ক্ষমতায়ন ও স্বাবলম্বী করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশনেই এ সংক্রান্ত বিল পাশ করানো হতে পারে বলে শাসকদল সূত্রের খবর।
নির্বাচনের আগে বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশের মহিলাদের মন জয় করতেই এমনটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিবরাজ সরকারের, এমনটাই অনুমান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
সম্প্রতি সংসদের দুই কক্ষেই পাস হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। এবার ওই বিল আইনে পাশ হল। সূত্রের খবর, চলতি মাসেই ২৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও এই বিলে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেন। যার ফলে এই বিল আইনে পরিণত হল।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে একটি গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশ করা হয়। জানানো হয়েছে, নারী শক্তি বন্ধন অধিনিয়ম বিলে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এরপর থেকেই আনন্দে আত্মহারা হয়েছে গোটা দেশের মহিলারা। সূত্রের খবর, কেন্দ্র সরকারের ডাকা বিশেষ অধিবেশনে এই মহিলা সংরক্ষণ বিল আনা হয়। এরপর গোপন ভোটাভুটি হলে মহিলা সংরক্ষণ বিলের পক্ষে পড়েছিল ৪৫৪টি ভোট, ও বিপক্ষে ছিল মাত্র ২ টি ভোট।
এই বিল সংসদে আনার পর অবশ্য কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী দল গুলি এই বিলের পক্ষে ছিল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই বিল আইন হওয়ায় লোকসভার আগে কিছুটা এগিয়ে থাকবে বিজেপি। লোকসভা ও বিধানসভায় এই আইন অনুযায়ী, ৩৩ শতাংশ মহিলা প্রার্থীরা এই সংরক্ষণের আওতায় পড়বেন।
ভিনরাজ্য়ে কাজ করতে গিয়ে এবার মৃত্য়ু হল এক মহিলা শ্রমিকের। অসুস্থ আরও ১২ জন মহিলা শ্রমিক। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম রুবী কুমারী। ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। সোনারপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর এলাকার একটি গেঞ্জি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। অনান্য় মহিলা শ্রমিকদের অভিযোগ, বারংবার অসুস্থতার কথা জানালেও ছুটি দিত না তাঁদের। এই ঘটনার প্রতিবাদে কারখানায় ভাঙচুর করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অন্যান্য শ্রমিকরা৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সোনারপুর থানার পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
জানা গিয়েছে, বিগত চারদিন ধরে অসুস্থ বোধ করছিলেন রুবী কুমারী৷ বমি, কাশী সহ একাধির শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল তাঁর৷ অভিযোগ, তিনি বারংবার ছুটির কথা জানালেও তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়নি৷ এমনকি কোনওরকম চিকিৎসাও করানো হয়নি বলে অভিযোগ৷ অসুস্থতার মধ্যেও তাঁকে কাজ করানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন সুলোচনা কুমারী ও সংগীতা কুমারী৷ কারখানার হোস্টেলে থাকতেন রুবী৷
যদিও কারখানার কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত গাফিলতির কথা অস্বীকার করেছেন৷ কারখানার ম্যানেজার বিশ্বরঞ্জন মিশ্রের দাবি, তাঁর কাছে কোনও ছুটি চাওয়া হয়নি৷ এদিন শরীর খারাপের কথা জানতে পারেন তিনি৷ এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিস৷
কৈখালিতে মধ্যবয়স্ক মহিলার রহস্যজনক মৃত্যু। ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে উদ্ধার নগ্ন রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাস্থলে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। মৃত ওই মহিলার নাম রানী সুরানা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহটি।
জানা গিয়েছে, কৈখালির সংহতি পার্ক এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে বুধবার সকালে রক্ত বেরোতে দেখা যায়। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। ফ্ল্যাটের দরজা খুলে ভিতরে যান পুলিশ আধিকারিকরা। বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় হাতের শিরা কাটা নগ্ন ওই মহিলার দেহ।
বাড়ির মালিক রিশা রায় জানান, মঙ্গলবার রাতে হাত কাটা অবস্থায় ওই মহিলা তাঁদের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনাটি বুঝতে পারেননি তিনি। মৃত্যুর কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্মৃতির ব্যাট আর তিতাসের বল। এশিয়ান গেমসে ভারতীয় ক্রিকেটের সোনার স্বপ্ন পূরণ। এই প্রথমবার এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট খেলতে এসে সোনা জিতলেন ভারতীয় মেয়েরা। সোমবার মেয়েদের ক্রিকেটের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সোনা জিতলেন হরমনপ্রীত কৌররা। প্রথম ব্যাট করে ২০ ওভারে সাত উইকেট ১১৬ রান করে ভারত। ৪৫ বলে ৪৬ রান করে স্মৃতি মান্ধানা
রানা তাড়া করতে নেমে বাংলার পেসার তিতাস সাধুর পেসের কাছে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার। ম্যাচে ৬ রান দিতে তিন উইকেট নেন তিতাস। গত কয়েক দিন আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-শ্রীলঙ্কা। সেই ম্যাচে দাপট দেখিয়েছিলেন ভারতীয় পেসার মহম্মদ সিরাজ। সেই আবহে এদিন চিনের মাটিতে সোনার ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভারত ও শ্রীলঙ্কা। দু ম্যাচের নির্বাসন কাটিয়ে ফাইনাল খেলতে নামেন ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে চিনের মাটিতে সোনা জয়ের পর ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ। টুইট করে, বিশেষ ভাবে প্রশংসা করেছেন বাংলার ১৮ বছরের বোলার তিতাস সাধুর।
ভারতীয় ক্রিকেটে এবার সোনার স্বপ্ন। এশিয়ান গেমসে মহিলাদের ক্রিকেটে বাংলাদেশকে আট উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ভারত। রবিবার প্রথম ব্যাট করে মাত্র ৫২ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ১৭ রান দিয়ে চার উইকেট নেন ভারতের পূজা ভাস্তাকর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭০ বল বাকি রেখেই ফাইনালে উঠল ভারত। ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন জেমাইমা।
এদিনই ভারতকে গেমসের প্রথম পদক এনে দেয় মহিলাদের শুটিং দল। ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে রুপো জেতে ভারত। ভারতের হয়ে পদক জেতেন বাংলার মেহুলি ঘোষ। জল থেকেও জোড়া পদক এসেছে ভারতের। ডবল স্কাল ইভেন্টে রুপো জিতেছেন অর্জুন লাল এবং অরবিন্দ সিং। রোয়িংয়ের পেয়ার ইভেন্টেও ব্রোঞ্জ জিতেছে ভারত।
এদিকে, রবিবার বিকেলে ভারতের সবচেয়ে বড় আশা ফুটবলকে কেন্দ্র করে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ মায়ানমার। এই ম্যাচ জিতলেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবেন সুনীল ছেত্রীরা।
একদিকে যখন গোটা দেশে মহিলাদের সন্মান জানিয়ে পাশ করা হচ্ছে মহিলা সংরক্ষণ বিল, তখন অন্যদিকে বাংলার নারী সুরক্ষার চিত্রটা ঠিক অন্যরকম। মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে গোটা দেশে মহিলাদের উচ্ছাস ঠিক তখনই রাতের কলকাতায় মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। অভিযোগ গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতে অটোর লাইনে দাঁড়িয়ে শ্লীলতাহানির স্বীকার এক মহিলা।
যদিও স্থানীয় থানা শ্লীলতাহানির অভিযোগ গ্রহণ করেননি বলেই অভিযোগ নির্যাতিতার। অভিযোগ বুধবার রাট আটটার সময় কাজ থেকে বাড়ি ফেরার মুখে বেহালা চৌরাস্তায় লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মহিলা, অভিযোগ সেই সময় এক মদ্যপ ব্যক্তি হঠাৎই তার সামনে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে, নির্যাতিতা মহিলা তখন তাঁকে লাইনে অপিচনে গিয়ে দাঁড়াতে বলে। অভিযোগ এরপরেই ওই ব্যক্তি মহিলার সঙ্গে দুরব্যবহার শুরু করে। অভিযোগ মহিলাকে গালিগালাজ, হুমকি এমনকি গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
অভিযোগ ওই অটোর লাইনে অন্যরা থাকলেও কেউ কোনও প্রতিবাদ করেননি। তারপর অপর এক মহিলা এ ঘটনায় প্রতিবাদ করতে গেলে তাকেও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীকালে ওই ব্যক্তি হুমকি দিয়ে থাকে আমার মা ভবানী ভবনের সেকেন্ড অফিসার, আমার কেউ কিছু করতে পারবে না। থানা থেকেও ছেড়ে দেবে। তারপর ওই মহিলা চৌরাস্তায় উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশদের সাহায্য নেয় এবং পুলিশকে পুরো ঘটনা বলে খবর দেওয়া হয় বেহালা থানা তে। বেহালা থানা ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তিকে আটক করে গতকাল রাত্রিবেলায় নিয়ে গেছে যদিও ওই মহিলার বক্তব্য আমি বারংবার শ্লীলতাহানি অভিযোগ করতে চাইলে থানা থেকে বলা হয় গায়ে হাত না দিলে শ্লীলতাহানির অভিযোগ হয় না। এ ঘতমনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।