অর্থের বিনিময়ে উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ভাইরাল! এই চক্রের অন্যতম পাণ্ডাকে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিস। সূত্রের খবর, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির অভিযোগের জেরে এই গ্রেফতারি।
১৮ ফেব্রুয়ারি, বিধাননগর সাইবার থানায় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, একটি চক্র সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করছে। ওই চক্র পরীক্ষার্থীদের সামাজিক মাধ্যমে প্রতিশ্রুতি দেয়, উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র তারা অর্থের বিনিময়ে হাতে তুলে দেবে। এই অভিযোগের গুরুত্ব বিচার করেই তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিস। প্রাথমিকভাবে পুলিস দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে চিহ্নিত করে। যার মধ্যে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট, গ্রাহক নদিয়ার বাসিন্দা এক মহিলা।
এরপরই বিধাননগর সাইবার থানার পুলিস যোগাযোগ করে নদিয়ার ওই গ্রাহকের সঙ্গে। তিনি পুলিসকে জানান, এটিএম কার্ড এক বন্ধু রুপম সাধুখাঁ তাঁর থেকে জোর করে নিয়ে গিয়েছে। সেই মহিলা পুলিসকে আরও জানান, ব্যাঙ্কের থেকে পাঠানো এসএমএস মারফত তিনি জানতে পারেন, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেশ কিছু আর্থিক লেনদেন হয়েছে। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে অজ্ঞাত। এরপরই বিধাননগর সাইবার থানার পুলিস নদিয়া থেকে গ্রেফতার করে রুপম সাধুখাঁকে। পুলিস সূত্রে খবর, আদালতে পেশ করা হয় ধৃত রূপমকে। পুলিস হেফাজতের পক্ষেই সওয়াল করেন তদন্তকারীরা। কারণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যদেরও খোঁজ পেতে চায় পুলিস।
দ্বিতীয় দিনে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভাইরালের ঘটনায় অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে দাবি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, সিএন-এর প্রতিনিধি মণি ভট্টাচার্যের মাধ্যেমে প্রথম জানতে পারেন লাল কালি দিয়ে বারকোড ঢাকা ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করছে। এরপরই তদন্তে করে ১১জন পরীক্ষার্থীর সম্পূর্ণ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি স্কুলে উদেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই এই ঘটনাগুলো ঘটছে বলে উল্লেখ করেন। এই খবর সবার প্রথম সম্প্রচারও হয় সিএন-এ।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। মাধ্যমিকের প্রথম দিনের মতোই দ্বিতীয় দিনও সকাল থেকেই হইহই রইরই কাণ্ড। হঠাৎ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হুবহু মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্রের মতই এক প্রশ্নপত্রের বেশ কয়েকটি পাতা। যেখানে বারকোড রয়েছে, কিন্তু লাল কালি দিয়ে বারকোড নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে তুমুল হৈচৈ পড়ে যায়। এই ভাইরাল হওয়া ইংরেজি প্রশ্নপত্র এবারের পরীক্ষার তা স্বীকার করেছেন পর্ষদ সভাপতি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বাংলা পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টার মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় বাংলার প্রশ্নপত্র। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত দুই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এদিনও ইংরেজি প্রশ্নপত্র প্রকাশ্যে আসার ঘটনায় শাস্তির মুখে অভিযুক্ত পরিক্ষার্থীরা।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। মাধ্যমিকের প্রথম দিনের মতোই দ্বিতীয় দিনও সকাল থেকেই হইহই রইরই কাণ্ড। হঠাৎ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হুবহু মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্রের মতই এক প্রশ্নপত্রের বেশ কয়েকটি পাতা। যেখানে বারকোড রয়েছে, কিন্তু লাল কালি দিয়ে বারকোড নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে তুমুল হৈচৈ পড়ে যায়। এই খবর সবার প্রথম সম্প্রচার করে সিএন। যদিও এই ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রগুলি এবারের পরীক্ষার কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বাংলা পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টার মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় বাংলার প্রশ্নপত্র। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত দুই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর একদিন আগেই নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল, এবার প্রতিটি প্রশ্নপত্রে একটি ইউনিক বারকোড থাকবে। যদি কেউ প্রশ্নপত্রের ছবি তুলতে যায় তাহলে সেই ছবি কে তুলছে সেটা বোঝা যাবে। এত কড়া নিরাপত্তা ও সতর্কতা সত্ত্বেও দেখা গেল মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ঘোরাঘুরি করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই বিষয়ে পর্ষদ কি বলছে সেটাই এখন দেখার।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। মাধ্যমিকের প্রথম দিন সকাল থেকেই হইহই রইরই কাণ্ড। হঠাৎ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হুবহু মাধ্যমিকের মতই এক প্রশ্নপত্রের বেশ কয়েকটি পাতা। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে তুমুল হৈচৈ পড়ে যায়। এই খবর সবার প্রথম সম্প্রচার করে সিএন। অতঃপর সিএনের খবরের জেরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পরীক্ষা শেষের সার্বিক ঘটনাক্রমের সাংবাদিক বৈঠকে, ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা নিয়েও বিবৃতি দেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ওই দুই পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন এবং অ্যাডমিট কার্ড। প্রসঙ্গত, এর আগেই পর্ষদ নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছিল, প্রশ্নপত্রের প্রতিটি পাতায় ওই প্রশ্নপত্রের ক্রমিক নম্বরের কোড লুকানো থাকবে। কেউ কোনও পাতার ছবি তুলতে চাইলে, পাতায় লুকিয়ে থাকা ক্রমিক নম্বরের মাধ্যমে তা সহজেই জানতে পারা যাবে। এমন কাজে ধরা পড়লে সে বছরের মত তার পরীক্ষা সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে যাবে। শুধু তাই না, পরীক্ষাকেন্দ্রের পরীক্ষকও পরীক্ষা শুরুর আগে তা অবগত করেছিলেন পরীক্ষার্থীদের। তবুও এমন ঘটনা থেকে বিরত রইল না ২০২৪ এর মাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষাও। পর্ষদের নির্দেশিকাকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই এমন ঘটনা ঘটল।
তবে প্রশ্ন উঠছে, যেখানে রাজ্য জুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে এত নিরাপত্তার বহর শোনা যাচ্ছে, সেখানে পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন, স্মার্ট ওয়াচ নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারছে কীভাবে? এছাড়াও পর্ষদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের তিনটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকেও মোবাইল ও স্মার্ট ওয়াচ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩ পরীক্ষার্থীর। তারই মাঝে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রশ্নপত্র ভাইরালের মত ঘটনা ঘটল পরীক্ষার প্রথম দিনেই। তবে, নিরাপত্তার গাফিলতি কোথাও স্পষ্ট মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে। এই গাফিলতির দায় নেবে কে? উঠছে প্রশ্ন।
মহেন্দ্র সিং ধোনিকে শেষ কবে দেখা গিয়েছিল! ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ কেটেছে। কিন্তু একবারের জন্য কোনও মাঠে দেখা যায়নি মাহিকে। সম্প্রতি চেন্নাই সুপার কিংস জানিয়েছে, ধোনিকে রেখেই দল ঘোষণা করছে তাঁরা। তিনিই নেতৃত্ব দেবেন। তবে ক্রিকেট থেকে অনেক দূরে মাহি। নিজের খামার বাড়িতে রয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ধোনির একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাঁর কালো ঘোড়া চেতক-কে খাবার খাওয়াতে দেখা যায় ক্যাপ্টেন কুলকে। ধোনির সঙ্গে দেখা যায় আরও কয়েকজনকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
ধোনির ফার্ম হাউজে ঘোড়া ছাড়াও একাধিক পশু আছে। কুকুর, মুরগি, রাজহাঁসও আছে। এর আগেও তাঁর প্রিয় ঘোড়া চেতকের সঙ্গে ধোনির ভিডিয়ো দেখা যায়। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো দেখা গিয়েছে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই সমালোচনার মুখে বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকর (Nana Patekar)। আর এই সমালোচনার নেপথ্যে রয়েছে এক ভাইরাল ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রাস্তায় নানা পাটেকরকে দেখে এক ব্যক্তি ছবি তুলতে এগিয়ে যান। কিন্তু তখনই নানা পাটেকর তাঁর মাথায় সপাটে এক চড় বসিয়ে দেন। আর এই দেখেই পাটেকরের দিকে ধেয়ে আসে একাধিক কটূক্তি। আর এবারে সেই নিয়েই মুখ খুললেন খোদ অভিনেতা।
১০ সেকেন্ডের এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেলফি তুলতে আসা এক ভক্তের মাথায় সজোরে থাপ্পড় মেরে সরিয়ে দেন নানা পাটেকর। শুধু তাই নয়, এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণে যে তিনি বেজায় বিরক্ত, অভিনেতার চোখেমুখের অভিব্যক্তি দেখেই তা বেশ বোঝা গেল। কিন্তু এই বিষয়ে এবারে মুখ খুলতেই সামনে এল অন্যই কাণ্ড।
নানা পাটেকর এক ভিডিও শেয়ার করে বললেন, 'একটি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে যেখানে আমি একটি ছেলেকে আঘাত করেছি। যদিও এটি আমাদের চলচ্চিত্রের একটি অংশ, আমাদের একটি মহড়া ছিল। আমাদের দ্বিতীয় রিহার্সাল করার জন্য নির্ধারিত ছিল। পরিচালক আমাকে শুরু করতে বলেছিলেন। আমরা শুরু করতে যাচ্ছিলাম যখন ভিডিওতে থাকা ছেলেটি এসেছিল। আমি জানতাম না সে কে, আমি ভেবেছিলাম সে আমাদেরই একজন। তাই আমি চড় মারি, দৃশ্য অনুসারে তাকে মারি এবং আমি তাকে চলে যেতে বলেছিলাম। পরে আমি জানতে পারি যে সে ক্র-র অংশ নয়। তাই, আমি তাকে ডাকতেও যাচ্ছিলাম কিন্তু সে পালিয়ে যায়। সম্ভবত তার কোনও বন্ধু ভিডিওয়টি শুট করেছে। আমি ছবির জন্য কখনও কাউকে না বলিনি। আমি এটা করি না... ভুলবশত এমনটা হয়েছে... ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন... আমি কখনও এমন কিছু করব না জেনে বুঝে।' এখন অনুমান করা হচ্ছে, নানার এই ভিডিওতে আসল ঘটনাটি জানতে পেরে এবারে হয়তো মন গলবে নেটিজেনদের।
এ কি অবাক করা দৃশ্য! দু'জনেই শিল্পী, কিন্তু একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মান দেখে মন্ত্রমুগ্ধ সাধারণ মানুষ। কথা বলা হচ্ছে, অরিজিৎ সিং ও রণবীর কাপুরের বিষয়ে। সম্প্রতি এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, শনিবার ভরা মঞ্চে অরিজিৎ সিংকে প্রণাম করেন রণবীর কাপুর। মঞ্চে প্রবেশ করতেই হাঁটু মুড়ে বসে প্রণাম জানান। এর পর কাছে যেতেই অরিজিতের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। অন্যদিকে অরিজিতকেও হাঁটু মুড়ে প্রণাম করতে দেখা যায়। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই ভক্তদের বাঁধভাঙা ভালোবাসায় ভাসলেন অরিজিৎ ও রণবীর।
জানা গিয়েছে, শনিবার চণ্ডীগড়ে অরিজিতের কনসার্ট ছিল। অন্যদিকে সেই সময় সেখানে পৌঁছে যান রণবীর কাপুর। দেশের একাধিক শহরে ঘুরে রণবীর তাঁর আসন্ন ছবি ‘অ্যানিম্যাল’-এর প্রচার করছেন। শনিবার তিনি ছিলেন চণ্ডীগড়ে। আর সেখানে অরিজিতের অনুষ্ঠানের কথা জানতে পেরে সেখানে পৌঁছে যান অভিনেতা। গায়ক তখন ‘অ্যানিমেল’ ছবির ‘সাতরঙ্গা’ গানটি গাইছিলেন। এর পর অরিজিতের কাছে এসে তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন রণবীর। অরিজিৎ সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য বাধা দেন তাঁকে। এরপরেই ‘অ্যায় দিল হ্যায়’ মুশকিল ছবির জনপ্রিয় গান ‘চন্না মেরেয়া’ গানটি নায়কের সম্মানে গেয়ে ওঠেন। ফলে বেশ খানিকক্ষণ মঞ্চে চলল অভিনেতা-গায়কের যুগলবন্দি। দুই শিল্পীর একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মান দেখলেন পুরো চণ্ডীগড়বাসী। তাঁদের ব্যহারে মুগ্ধ নেট দুনিয়া।
সবার প্রিয় অরিজিৎ সিং (Arijit Singh), মাটির মানুষ তিনি, এমন কথাই প্রায় প্রত্যেককেই বলতে শোনা যায়। এককথায় অরিজিতের কথা বলতেই সবাই পাগল। এবার তারই এক নমুনা দেখা গেল। অরিজিৎ-কে সামনে দেখে এতদিন লোকে হাত টেনেছেন, জড়িয়েও ধরেছেন, কিন্তু এবার তো একেবারে চুমু! হ্য়াঁ, ভুল শুনছেন না। সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জানা গিয়েছে, মরিশাসে কনসার্ট ছিল অরিজিতের। সেখানেও তিনি গান গেয়ে শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন। এর পর অনুষ্ঠানের শেষে মঞ্চ থেকে নামার পরই এ কি কাণ্ড ঘটে গেল অরিজিতের সঙ্গে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, অরিজিতকে সামনে দেখতে পেয়েই এক অনুরাগী ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁর উপর। শুধু তাই নয়, তাঁকে জড়িয়ে ধরতেই গালে দিয়ে দেন একখান চুমু। কিন্তু অনুরাগীর এমন আচরণে একটুও বিরক্ত হতে দেখা যায়নি অরিজিতকে। উল্টে তিনি হাসিমুখে সেই অনুরাগীর মাথায় হাত বুলিয়ে চলে যান। সাধারণত অন্য কোনও তারকার সঙ্গে হলে তাঁরা মেজাজ হারিয়ে ফেলতেন। কিন্তু অরিজিৎ সেই অবস্থায় মাথা শান্ত রেখে হাসিমুখেই হেঁটে বেরিয়ে গিয়েছেন। আর তাঁর এমন ব্যবহারেই মুগ্ধ তাঁর অনুরাগীরা।
বলিউডের পারফেকশনিস্ট তকমা পেয়েছিলেন অভিনেতা আমির খান (Aamir Khan)। একটা সময় শাহরুখ-সালমান-আমির, এই তিন খানের দাপটে বলিউডে হাবুডুবু খেতে হয়েছে অন্যান্য অভিনেতাদের। কয়েক দশক পেরিয়ে এখনও বক্স অফিসে সুপারহিট শাহরুখ-সালমান। কিন্তু কোথাও যেন ম্লান হয়ে গিয়েছে আমির। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর একটি সিনেমাও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। দর্শকদের তুমুল সমালোচনা বারংবার তাঁর ভাগ্যে জুটেছে। তাই অভিনয় জগৎ থেকে সাম্প্রতিক বিরতি ঘোষণা করেছেন আমির।
আবারও সেই সমালোচনারই অংশ হয়েছেন আমির খান। সম্প্রতি তাঁকে একেবারে অন্যভাবে দেখা গিয়েছে সামাজিক মাধ্যমের পর্দায়। অভিনেতা রীতেশ দেশমুখ ও তাঁর স্ত্রী তথা অভিনেত্রী জেনেলিয়া ডিসুজাকে নিয়ে এক রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন আমির। তিনি রেস্তোরাঁ থেকে বেরোনোর মুখেই পাপারাৎজিরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। এমন সময় দেখা যায়, আমিরের পদক্ষেপ টলোমলো করছে। এমনকি রেস্তোরাঁর দরজা ধরে দাঁড়িয়ে পড়তে দেখা যায় অভিনেতাকে।
নেটিজেনরা এই ভিডিও দেখে তীব্র সমালোচনা করেছেন আমিরের। কেউ কেউ বলছেন, তিনি মদ্যপ। কেউ কেউ বলছেন, 'আমির তো মদ খেতেন না, তাহলে কি তিনি অবসাদগ্রস্ত?' এইসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। যদিও ভিডিওটি আমিরের জন্মদিনের। তবুও এতদিন পরেই ভাইরাল নেট দুনিয়ায়।
ভারতে লকডাউন চলাকালীন জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ডলি সিং (Dolly Singh)। সামাজিক মাধ্যমে নানা কন্টেন্ট বানাতেন তিনি। তাঁর সেসব হাসির কন্টেন্ট দেখে লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার যুক্ত হয় সামাজিক মাধ্যমে। এই সামাজিক মাধ্যমের জনপ্রিয়তায় ডলিকে এবার বড় পর্দায় পৌঁছে দিয়েছে। সম্প্রতি তিনি ডেবিউ করেছেন 'থ্যাঙ্ক ইউ ফর কামিং' সিনেমায়। অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকারের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে ডলিকে। তবে সেই সিনেমার প্রচারে এসেই কেন সমালোচনার অংশ হয়ে উঠতে হল তাঁকে?
সম্প্রতি সিনেমাটির বিশেষ প্রিমিয়ারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। সিনেমার সকল কলাকুশলীরা পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রিমিয়ারে। একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী ভূমির সঙ্গে পোজ দিয়ে দাঁড়িয়েছেন ডলি। কিন্তু নেটিজেনদের হাসির কারণ হয়েছে ডলির পোশাক। ডলি একটি কালো রঙের টপ পরেছেন। দেখার মতো ডলির স্কার্ট।
হুবুহু লুঙ্গির মতো দেখতে ডলির স্কার্টটি। বেল্ট বাধা, সেই স্কার্টের উপরে। ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে দেখতেই নেটিজেনরা হাসিতে ফেটে পড়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, 'ফ্যাশনের নামে এত জঘন্য ড্রেসিং। লুঙ্গি? সত্যি?' আরেক নেটিজেন ছবিটি দেখে লিখেছেন, 'বাকি সব তো ঠিক আছে। লুঙ্গি কেন পরেছ?' আরও এক নেটিজেন লিখেছেন, 'বেল্ট দিয়ে লুঙ্গি কে পরে?' যদিও এত ট্রোলিংয়ের কোনও উত্তর দেননি ডলি।
দক্ষিণী ছবি তথা বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেত্রী শ্রীদেবীর কন্যা জাহ্নবী কাপুর (Janhvi Kapoor)। এদিকে বাবা বনি কাপুরও জনপ্রিয় পরিচালক। তাই ছোটবেলা থেকেই তিনি পাপারাৎজিদের ক্যামেরার মধ্যমণি। শৈশব থেকে বড় হয়ে ওঠার সব ঝলকই নেটিজেনদের চেনা। অনেকে মনে করেন, পরিচিত মা বাবার মেয়ে হওয়া লাভজনক। অনেক আগেই জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়। কিন্তু কয়েনের উল্টো পিঠও তো থাকে।
জাহ্নবীর সঙ্গে অতীতে এমন একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছিল, যেকথা ভাবলে আজও মন খারাপ হয় তাঁর। তখন জাহ্নবী অভিনয় জগতে আসেননি। বয়স ১২ কি ১৩। এমন সময় পর্ন সাইটে তাঁর একটি ছবি ভাইরাল করে দেন কেউ বা কারা। শ্রীদেবী কন্যা বলে কথা, সেই ছবি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল চারিদিকে। সেই সময়ের অভিজ্ঞতাই জাহ্নবী ভাগ করে নিয়েছেন সম্প্রতি।
জাহ্নবী বলেছেন, 'আমার সঙ্গে স্কুলের টিচাররা ঠিকভাবে কথা বলতেন না। সহপাঠীরা আমাকে দেখা হাসাহাসি করতো। ঠিক করে কথা বলত না। কেউ কেউ তো বলেছিলেন, আমি এতটাই জনপ্রিয় যে ভবিষ্যতে আর কোনও কাজ করতে হবে না, আমি এতটাই জনপ্রিয়।'
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের মথুরা রেলওয়ে স্টেশনে (Mathura Rail Station) আচমকা ট্রেন প্ল্যাটফর্মের উপরে উঠে যায়। সেই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এবারে সেই ঘটনার নেপথ্যে কারা ছিলেন ও কেন এমন ঘটল, তারই ভিডিও প্রকাশ্যে এল। ট্রেনে (Train) থাকা সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর ট্রেনের চালককে মদ্যপ অবস্থায় দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ট্রেন চালকের আসনে বসে তাঁকে মোবাইল চালাতেও দেখা গিয়েছে। আর এর পরই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
Mathura Train accident caught on camera pic.twitter.com/gLyvZMlRyT
— Harsh Tyagii (@tyagiih5) September 28, 2023
ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, মথুরার লোকাল ট্রেনটি থামিয়ে বেরিয়ে যান ট্রেন চালক। এর পরই অন্য এক ট্রেন চালক ইঞ্জিন-কেবিনে প্রবেশ করেন। জানা গিয়েছে, তাঁর নাম সচিন। তিনি ইঞ্জিন-কেবিনে ঢুকেই বেপরোয়াভাবে নিজের ব্যাগ ছুড়ে রাখেন। তারপর তিনি চালকের আসনে বসেন এবং মোবাইল ফোন দেখতে থাকেন। এর পর ট্রেনটি হঠাৎ এগোতে শুরু করে। কিন্তু তখনও ফোনে ব্যস্ত ছিলেন চালক। আর এর পরেই প্ল্যাটফর্মের উপর উঠে যায় ট্রেনটি।
রেলওয়ে সূত্রে খবর, লোকো পাইলট-সহ ৫ রেলকর্মী এবং চার টেকনিক্যাল কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মথুরা স্টেশনের ডিরেক্টর সঞ্জীব শ্রীবাস্তব বলেন, ৫ রেলকর্মী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং ডিউটির সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিলেন। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ডিভিশনাল রেল ম্যানেজার।
প্রায় ১০ দিন ধরে অসুস্থ জিনাত আমান (Zeenat Aman)। শনিবার নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। তিনি জানিয়েছেন, 'ভয়াবহ ফ্লুতে শয্যাশায়ী' রয়েছেন তিনি। তাঁর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। সকলেই তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
একসময় বলিউড মাতিয়ে রেখেছিলেন অভিনেত্রী জিনাত আমান। ৭০ এর দশকে বলিউডের লাস্যময়ী নায়িকা তিনি। তবে এখন অনেকটা বয়স হয়ে গেলেও নিজের জেল্লা তিনি বজায় রেখেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন উদ্যমে ফিরে এসেছেন তিনি। নতুন করে মানুষের মন কেড়ে নিয়েছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে এখন অ্যাক্টিভ থাকতেও দেখা যায়। ফলে সেখান থেকেই শনিবার জানা যায়, তিনি ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত। তিনি তাঁর কিছু ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আমি গত দশ দিন ধরে একটি ভয়ানক ফ্লুতে শয্যাশায়ী ছিলাম। এখনও তেমন সুস্থ নই!' বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রীর অসুস্থতার খবর শুনে দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তাঁর অনুরাগীরা।
প্রসঙ্গত, পরিচালক ফারাজ আরিফ আনসারির 'বান টিক্কি' ছবিতে একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করবেন জিনাত। ছবিতে তিনি ছাড়াও রয়েছেন অভয় দেওল এবং শাবানা আজমি। ফলে জিনাতকে ফের ছবিতে নতুন রূপে দেখতে অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা।
বলিউড অভিনেত্রী পূজা ভাট (Puja Bhatt)। তিনি বি টাউনের জনপ্রিয় পরিচালক মহেশ ভাটের (Mahesh Bhatt) কন্যা। যদিও তাঁদের বাবা-মেয়ের সম্পর্ককে একটু অন্য চোখেই দেখে এসেছেন দর্শকেরা। কারণ মহেশ ভাটের অঙ্গে পূজার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। ছবিতে দেখা গিয়েছিল, বাবা ও মেয়ে, একে অপরের ঠোঁটে চুম্বন করছেন। ব্যাস, সেই থেকেই তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। চারিদিকে রটে যায়, বাবা ও মেয়ের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এত বছর পর সেই ছবি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পূজা।
এক সাক্ষাৎকারে পূজা বলেন, 'আমি এই বিষয়টি খুব সাধারণভাবে দেখি। একটি স্থির মুহূর্তকে যেমন তেমনভাবে ভেবে নেওয়া যায়। বাবা মায়েরা অনেক সময়ই ঐভাবেই চুমু খায়। আমি এখনও আমার বাবার কাছে ১০ পাউন্ডের মেয়ে। এবং সারাজীবন তাই-ই থাকব।'
অভিনেত্রী আরও বলেন, 'একেবারে নাদান একটি মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছিল। যার বোঝার সে বুঝবে, যার দেখার সে দেখবে। আর আমি এই বিষয়টিকে প্রতিরোধ করার জন্য বসে নেই। যদি কেউ বাবা ও মেয়ের সম্পর্ককে অন্য নজরে দেখতে পারেন, তাহলে তাঁরা যা খুশি করতে পারেন।'
একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা ছিলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)। কয়েক দশক ধরে বিকেল নাগাদ টেলিভিশনের পর্দায় সকলের হেঁশেলে ঢুকে পড়তেন সঞ্চালিকা। তবে সেই অনুষ্ঠানের পাঠ চুকেছে বেশ কিছু মাস আগেই। সুদীপাও তারপর শুরু করেছেন জীবনের নয়া ইনিংস। বর্তমানে তিনি ব্যবসায়ী। শাড়ি থেকে শুরু করে, সোনার গয়না পাওয়া যায় তাঁর দোকান 'সুদীপা'-তে। সামাজিক মাধ্যমেই সাধারণত তিনি শাড়ির বিজ্ঞাপন করে থাকেন। এবার বাংলাদেশী ঢাকাই জামদানি বিক্রি করতে গিয়ে চরম সমালোচিত হয়েছেন অভিনেত্রী।
সুদীপা সোমবার সামাজিক মাধ্যমে কয়েকটি ঢাকাই জামদানি শাড়ির ছবি দিয়েছেন। একইসঙ্গে লিখেছেন, 'ঢাকাই জামদানী,শাড়ী। ৫৫,০০০ থেকে ১,৩০,০০০ অবধি দাম।' আর এই দাম শুনেই চোখ কপালে উঠেছে নেটিজেনদের। সমালোচনা, কটাক্ষের বন্যা বইয়েছেন অনেকে। এক নেটিজেন লিখেছেন, 'ম্যাডাম শাড়ির দাম লিখতে গিয়ে আপনি কয়েকটি শূন্য বেশি দিয়ে ফেলেছেন।' আবার এক নেটিজেন লিখেছেন, 'এত দামি শাড়িগুলি আপনি কলকাতার জাদুঘরে রাখতে পারেন।'
তবে সমালোচনা প্রভাব ফেলতে পারেনি সুদীপার ব্যবসায়। তিনি জানিয়েছেন, সবকটি শাড়িই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। অনেক নেটিজেন অবশ্য সুদীপার পাশেও দাঁড়িয়েছেন। একজন লিখেছেন, 'যাদের শাড়ি সম্পর্কে কোনও জ্ঞান নেই তাঁরাই এমন কথা বলেন। বাংলাদেশে ঢাকায় জামদানির দাম এমনই।'