
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা জগতে অভিনয়ে হাতেখড়ি। তবে সেই তকমা ঘুচিয়ে তিনি অভিনয় দক্ষতায় সর্বভারতীয় অভিনেত্রী (Actress) হয়ে উঠেছেন। গত কয়েক বছরে সামান্থাকে (Samantha Ruth Prabhu) নিয়ে কম হইচই হয়নি। স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ নিয়ে চর্চা হয়েছে। চর্চা হয়েছে তাঁর আইটেম ডান্স,'উ আন্তাভা' নিয়ে। অভিনেত্রীর মুখে যতই হৃদয়হরণ হাসি লেগে থাকে না কেন! শরীরে বাসা বাঁধছিল বিরল রোগ মায়োসাইটিস।
রোগের এমনই দাপট, যে অভিনেত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিল। কিছুদিন চিকিৎসা করিয়েই ফিরে গিয়েছিলেন শ্যুটিংয়ে, তবে এবার কাজ গুছিয়ে বিরতি নিয়েছেন নিজের ব্যস্ত শিডিউল থেকে। বর্তমানে সামান্থা রয়েছেন বালিতে। সেখানে সমুদ্রের কিনারে ঘুরছেন, রাস্তায় লং ড্রাইভের মজা নিচ্ছেন। গুছিয়ে ব্রেকফাস্ট করছেন। আবার শরীরচর্চাও করছেন। তবে রাতের বেলা চুটিয়ে পার্টি করছেন অভিনেত্রী।
অভিনয় থেকে বিরতি নিয়ে নিজের মধ্যেও খানিকটা বদল এনেছেন সামান্থা। চুল কেটে ফেলেছেন। হয়তো খানিকটা স্ট্রেস কমাতে। শোনা যাচ্ছে, প্রায় এক বছরের বিরতি নিতে পারেন। এরপর মুক্তি পেতে পারে সিটাডেল সিরিজের ভারতীয় সংস্করণ। সেখানে দেখা যেতে পারে সামান্থাকে। আরও একটি দক্ষিণী ছবির কাজ শেষ করে ফেলেছেন সামান্থা। সেই ছবিও মুক্তির অপেক্ষায়।
অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলির (Subhashree Ganguly) এখন জমজমাট জীবন। একদিকে সফল কেরিয়ার। অন্যদিকে স্বামী রাজ, ছেলে ইউভানের সঙ্গে সুখের সংসার। অবশ্য সেই সুখ খুব তাড়াতাড়ি দ্বিগুন করতে আসছে অভিনেত্রীর (Actress) দ্বিতীয় সন্তান। শুভশ্রী তাঁর প্রথম সন্তান ইউভানের ক্ষেত্রেও অনেক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মাতৃত্বের জার্নি তিনি চুটিয়ে উপভোগ করেছেন। কণিষ্ঠটির ক্ষেত্রেও যে তেমনটাই হবে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
শুভশ্রী সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ডিসেম্বরে তাঁর দ্বিতীয় সন্তান জন্ম হওয়ার কথা। তাই যত ভালো কাজই তাঁর কাছে আসুক না কেন, তিনি তা ছেড়ে দিতে দু'বার ভাববেন না। ইতিমধ্যেই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আসন্ন সিনেমা থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন শুভশ্রী। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই কাজ করবেন তিনি। তবে আপাতত হবু মা, পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছেন।
স্বামী রাজ এবং বড় ছেলে ইউভানকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় ঘুরতে গিয়েছেন শুভশ্রী। সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি আপলোড করেছেন ইতিমধ্যেই। অভিনেত্রীকে দেখা গিয়েছে লাল সাদা ছাপের ফ্রকে। রাজ এবং ইউভানের সঙ্গে একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। হবু মায়ের চেহারার ঔজ্জ্বল্য দেখার মতো। লাল লিপস্টিকে সেই সৌন্দর্য যেন আরও বেড়েছে।
অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থী (Ashish Vidyarthi) জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন রূপালী বড়ুয়ার সঙ্গে। চলতি বছরের ২৫ মে ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়দের উপস্থিতিতে একে অপরকে বিয়ে করেন তাঁরা। একসময়ে টলিউড-বলিউড থেকে শুরু করে দক্ষিণী সিনেমার জগতে দাপিয়ে অভিনয় করেছেন আশীষ। তবে বর্তমানে অভিনয় জীবনে একটু লাগাম কষেছেন তিনি। অভিনেতা এখন ভ্লগার। একইসঙ্গে ঘুরে দেখতে চান দেশের আনাচে কানাচে। সেই সফরেই তাঁর সঙ্গী হয়েছেন স্ত্রী রূপালী (Rupali Barua)।
বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার বালি ঘুরতে গিয়েছেন তিনি। এর আগেও ছবি দিয়েছেন সেই সফরের। এইবার আরও একটি ছবি দিয়ে স্ত্রীয়ের সঙ্গে সংসার যাপনের ইঙ্গিত দিলেন অভিনেতা। সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি দিয়ে আশীষ লিখেছেন, 'নিজের জীবনকে বেছে নাও বন্ধু এবং এর মধ্যে যা কিছু সুন্দর তা আবিষ্কার কর। এর মধ্যে আনন্দ আছে, ভালোবাসা আছে। নিজেকে দিয়ে এবং অন্যকে দিয়ে এই অনুসন্ধান শুরু কর।'
প্রসঙ্গত এর আগে অভিনেত্রী পিলু ওরফে রাজষি বড়ুয়াকে বিয়ে করেছিলেন আশীষ। সুখেই দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন অনেক বছর। কিন্তু কিছু বছর আগে তাঁরা জানতে পারেন, জীবনের এই পর্যায়ে এসে তাঁদের চাওয়া পাওয়া গুলো আলাদা। তাই বিচ্ছেদ করেছেন একে অপরের সঙ্গে। এরপরেই তাঁর জীবনে এসেছেন রূপালী। বন্ধুত্ব দিয়ে প্রেম শুরু করে এখন তাঁরা বিবাহিত।
'চিরদিনই তুমি যে আমার' ছবি থেকে অভিনয় জগতে উত্তরণ হয়েছিল রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রিয়াঙ্কা সরকারের (Priyanka Sarkar)। রিল জীবনের প্রেম রিয়েল জীবনেও গড়িয়েছিল রাহুল প্রিয়াঙ্কার। জীবনে এসেছিল পুত্র সন্তান সহজ। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই সম্পর্কে ভাঙন আসে ২০১৮ সালে। বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছিলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন। তবে মাঝে শোনা গিয়েছিল ছেলে সহজের জন্য নিজেদের দূরত্ব মেটাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু ছেলের গরমের ছুটিতে কোথায় রাহুল?
সম্প্রতি ছেলে সহজকে নিয়ে বিদেশে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। প্রথম দিনের সফরের ছোট একটি ঝলক তিনি নিজের ইনস্টাগ্রামে আপলোড করেছেন। মা ও ছেলেকে ছুটির মুডে দেখা গেলেও দেখা যায়নি রাহুলকে। ভিডিও থেকে স্পষ্ট ছেলের সঙ্গে একেবারে একান্তে সময় কাটাতে চাইছেন প্রিয়াঙ্কা।
রাহুল প্রিয়াঙ্কার ছেলে সহজ অল্প বয়সেই ডিজিটাল ক্রিয়েটার। তার একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে, সেই চ্যানেলেই নানা ভিডিও আপলোড করে থাকে তারকা পুত্র। মাঝে শোনা গিয়েছিল, কিছুদিন পর থেকেই বাবা মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করবে সহজ। প্রিয়াঙ্কার এপার্টমেন্টেই নাকি একটি ফ্ল্যাট নিতে চলেছেন রাহুল। অভিনেতা নিজেও এই খবরে মান্যতা দিয়েছিলেন।
সগৌরবে চলিতেছে রাফিয়াত রশিদ মিথিলা (Rafiath Rashid Mithila) অভিনীত সিরিজ 'অ্যালেন স্বপন'। অভিনয় জগতে মিথিলার জনপ্রিয়তা বেশ। হাতে তাঁর সারা বছরই কাজ থাকে। তবে ব্যস্ত শিডিউলের মাঝে ভুলে যান না মায়ের কর্তব্য। সম্প্রতি কিছুটা অবসর পেয়েছেন মিথিলা। অন্যদিকে মেয়ে আইরার (Ayra) গরমের ছুটি চলছে। তাই মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাতে সুদূর রোম (Rome) উড়ে গেলেন। সামাজিক মাধ্যমে মিথিলা বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন।
ইনস্টাগ্রামে নিজের এবং মেয়ের বেশ কিছু ছবি আপলোড করেছেন মিথিলা। অভিনেত্রীকে দেখা গিয়েছে, কার্গো প্যান্ট এবং ক্রপ টপে, একেবারে ক্যাজুয়াল পোশাকে। অন্যদিকে আইরাকে দেখা গিয়েছে সাদা পোশাকে। ছবিগুলি আপলোড করে মিথিলা লিখেছেন, 'আমাদের রোমান ছুটির দিন'। রোমের কলোসিয়াম অ্যাম্ফিথিয়েটার গিয়েছিলেন তাঁরা। সেই ছবি দেখা গিয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। তবে মেয়ের সঙ্গে মিথিলার রোম সফর শেষ হচ্ছে না এই ছবিতে। আরও ছবি আসছে, সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি সামাজিক মাধ্যমে।
মিথিলা তাঁর অভিনয়ের জন্য দুই বাংলাতেই জনপ্রিয়। তবে তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে এই বাংলায়। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ঘরণী মিথিলা। যদিও সন্তান আইরার বাবা বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও গায়ক তাহসান। ২০০৬ সালে তাহসানকে বিয়ে করেছিলেন মিথিলা। তবে ২০১৭ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৯ সালে পরিচালক সৃজিতের সঙ্গে বিয়ে করেন মিথিলা।
এখনই শেষ হচ্ছে না গরমের ছুটি। রাজ্যের স্কুলগুলির (School) গরমের ছুটির (Summer Vacation) মেয়াদ বাড়ল আরও ১০ দিন। ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের তরফে মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়েছিল, আগামী ৫ জুন থেকে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলি। ৭ জুন থেকে প্রাথমিক স্কুলগুলিও খোলার ঘোষণা করা হয়। তবে বুধবার রাজ্যের তরফে গরমের ছুটির মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়িয়ে তা ১৫ জুন পর্যন্ত করে দেওয়া হল।
গত ২ মে থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি শুরু হয়েছিল। পর্ষদের বার্ষিক ছুটির তালিকা অনুযায়ী, গরমের ছুটি শেষ হওয়ার কথা আগামী ৪ জুন। তার পর ৫ তারিখ থেকে স্কুল খোলা হবে কি না, সে বিষয়ে শিক্ষা দফতরের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। এর পরেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৫ জুন থেকে স্কুল খোলার কথা জানানো হয়। কিন্তু বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, এখনই গরমের ছুটি শেষ হচ্ছে না। পাশাপাশি গরমের ছুটির মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রথমে ২৪ মে থেকে সরকারি স্কুলগুলিতে ছুটি পড়ার কথা থাকলেও তীব্র গরমের কারণে ২ মে ছুটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী সেই ছুটির কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই সময় সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত স্কুল বন্ধই থাকবে।
গরমে হাঁসফাঁস করছে বঙ্গবাসী। তীব্র দাবদাহে নাজেহাল পরিস্থিতি মানুষের। এই অবস্থায় গরম থেকে রেহাই পেতে ও কর্মজীবন থেকে কিছুটা ছুটি নিতে কারই না মন চায়। ফলে আর দেরি কিসের, উইকেন্ডে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আজই প্ল্যান করে বেড়িয়ে পড়ুন। কলকাতার আশেপাশেই এমন এমন সুন্দর জায়গা আছে, যা আপানাকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে, খরচও হবে খুব সামান্য।
দীঘা: পশ্চিম মেদিনীপুরের দীঘায় যেমন- মনোরম আবহাওয়া, তেমনই সমুদ্রের অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য। ফলে দুদিনের ছুটিতে সেখান থেকেই ঘুরে আসুন।
মন্দারমণি: সমুদ্রের আরও ভালো দৃশ্য দেখতে হলে সঙ্গীকে নিয়ে আজই চলে যান মন্দারমণি। মন্দারমণি একটি সুন্দর সমুদ্র সৈকত যা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অবস্থান করেছে। মন্দারমনি সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল সমুদ্র সৈকতের জলরাশি। এই সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য সকল পর্যটকদের মুগ্ধ করে দেয়।
দার্জিলিং: অনেক তো হলো সমুদ্র, এবার এই গরম থেকে বাঁচতে ঘুরতে যেতে পারেন দার্জিলিং। চা পাতার সুগন্ধ, পাহাড়ের মনোরম আবহাওয়া ও অতুলনীয় সৌন্দর্য দেখতে ঘুরে আসুন দার্জিলিং।
শান্তিনিকেতন: লাল ও সবুজ মাটির জায়গা বীরভূম, সেখানকারই ছোট্ট জায়গা শান্তিনিকেতন। শিক্ষা, সংস্কৃতি ঐতিহ্যে ভরা এই জায়গা আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
বোধগয়া: বিহারের ছোট্ট শহর বোধগয়া। তীর্থস্থান হিসেবেই পরিচিত এই জায়গা। এখানেই বুদ্ধদেব জ্ঞানলাভ করেছিলেন। ফলে এই জায়গা দেখতে বহুদূর থেকেও পর্যটক আসেন।
কোনার্ক: ওড়িশার শহর কোনার্ক, যা বিশেষ করে সূর্য মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। যাঁরা ইতিহাস ও স্থাপত্যকলায় বেশ আগ্রহী, তাঁদের জন্য এই জায়গা উপযুক্ত।
এপ্রিলের মাঝামাঝিতেই ভরা গরম দেশে। এই সময় টলিউড হোক কিংবা বলিউড, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য ছুটি কাটাতে যাওয়ার যথার্থ সময়। এই সময় বেশিরভাগ তারকা গরমের ছুটি কাটাতে উড়ে যান বিদেশে। শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুরও (Janhavi Kapoor) কাজের ফাঁকে গরমের ছুটি বিলাসে উড়ে গেলেন আজ,রবিবার। শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী স্বভাবত মিষ্টি। ওমন সুন্দরীর পিছনে দৌঁড়ে কূল কিনারা পান না পাপারাৎজিরা। আজ জাহ্নবীকে এয়ারপোর্টে ক্যামেরাবন্দি করলেন তাঁরা।
জাহ্নবীকে এয়ারপোর্টে সাদা ট্যাঙ্ক টপের সঙ্গে ওভারসাইজড স্যুট পরেছিলেন। তাঁর পিছু পিছু দেখা গিয়েছে শিখর পাহাড়িয়াকে। জাহ্নবী, শিখরের সঙ্গে প্রেম করছেন, এমন খবরে ছয়লাপ বলি-পাড়া। এয়ারপোর্টে আজ শিখরকে দেখা গিয়েছে নীল টিশার্ট ও সাদা ট্রাউজার্সের ক্যাজুয়াল লুকে। কিছুদিন আগেই তিরুপতি বালাজী মন্দিরে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল, জাহ্নবী কাপুর, খুশি কাপুর এবং শিখরকে।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার শিণ্ডের নাতি শিখর পাহাড়িয়া। দীর্ঘদিন একে অপরকে ডেট করেছিলেন জাহ্নবী এবং শিখর। ২০২২ সালে তাঁদের বিচ্ছেদের খবর ছড়িয়েছিল। তবে শোনা গিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি তাঁরা আবারও পুরোনো তিক্ততা ভুলিয়ে সম্পর্কে যান। একাধিক পার্টিতেও একসঙ্গে দেখা যায় যুগলকে। কাজের ফাঁকে সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গেই বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে নিতে চাইছেন জাহ্নবী।
স্কুলের পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে আনা হল গরমের ছুটি (Summer Vacation)। বুধবার স্কুলের গরমের ছুটি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, স্কুলের পড়ুয়াদের (School Student) কথা চিন্তাভাবনা করে এগোনো হয়েছে গরমের ছুটি। মে মাসের ২৪ তারিখে গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল, তা এগিয়ে ২রা মে করা হয়েছে। এমনকি স্কুলের শিক্ষক ও বাকি কর্মচারীদেরও গরমের ছুটি দেওয়া হবে। তবে এখন প্রয়োজন হলে পড়ুয়াদের বাড়তি ক্লাসও করানো হবে। এই বৈঠক থেকে আরও জানা যায়, রাজ্যের জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হলে, খুব তাড়াতাড়ি খুলে যেতে পারে স্কুল।
প্রবল গরমে নাজেহালজেলার মানুষজন। বৃস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা আরও জোড়ালোভাবে বাড়তে পারে, এমনটাই দাবি আবহাওয়া দফতরের। এমনকি কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বইতে পারে লু। তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে। এমনকি আবহাওয়া নিয়ে প্রত্যেককেই সতর্ক হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ মজবুত করতে খানিকটা জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী হাতে-কলমে শিক্ষার উপর জোর দেবে রাজ্য সরকারের। শিক্ষা দফতরের পাশাপাশি ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট গোটা বিষয়টির উপর নজরদারি রাখবেন। এমনকি গ্রীষ্মর ছুটিতে ছাত্রছাত্রীরা কী কী করবে, তার গাইডলাইন প্রকাশ করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। নির্দেশিকা মেনে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের এই ছুটিতে নতুন নতুন কাজ দেওয়া হবে। প্রত্যেক ক্লাসের পড়ুয়াদের জন্য আলাদা আলাদা কাজ দেওয়া হবে। পড়ুয়াদের আত্মবিশ্বাস আরও নতুন করে গড়ে তুলতেই এই বিশেষ উদ্যোগ।
দেখুন কী সেই গাইডলাইনগুলি--
১.পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের প্রকৃতি সচেতন নিয়ে কাজ দেওয়া হবে। তা নিয়ে গবেষণা করে পরে সেই বিষয়ে লিখতে হবে। এমনকি এই পুরো কাজ শেষ করতে পাঁচ থেকে সাত দিন সময় দেওয়া হবে ছাত্রছাত্রীদের।
২. সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়ারা বিজ্ঞান কেন্দ্র বা পেশাগত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে। সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দূরত্ব স্কুল থেকে অন্তত ৩ কিলোমিটারের মধ্যেই হতে হবে। ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে যা শিখবে তার উপর নির্ভর করেই কাজ করবে পড়ুয়ারা।
৩. দশম শ্রেণীর পড়ুয়াদের ব্যাংক, কলেজ, গ্রন্থাগারে পাঁচ থেকে সাত দিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এটি তাদের পেশাগত জীবনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। এমনকি ঠিক একই রকমভাবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদেরও পেশাগত পাঠ নিতে হবে।
ঠিক এমনই গাইডলাইন পেশ করা হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে।
দেব (Dev) ও রুক্মিণী (Rukmini) দুজনেই অধিকাংশ সময় কর্মজীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। দেব আবার সক্রিয় রাজনীতিরও অংশ। তাই একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ খুব একটা হয় না বললেই চলে। দেব ব্যস্ত রয়েছেন বাঘাযতীনের শুটিং-এ, অন্যদিকে রুক্মিণী ব্যস্ত 'বিনোদিনী'র শুটিং-এ। শ্যুটিং-এর মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দু'জনেই। দেবের চোখে চোট লাগে, রুক্মিণীও জ্বরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই পুরোদমে কর্মজীবনে ফেরার আগে একান্তযাপনে গেলেন তাঁরা। দুজনেই সামাজিক মাধ্যমে সেই ছবি পোস্ট করেছেন।
সাধারণত কাজ শেষ করেই ছুটি কাটাতে যান দেব ও রুক্মিণী। এবারেও তাই করলেন। তবে এবার গন্তব্য মালদ্বীপ। দেব একটি ছবি পোস্ট করেছেন নিজের ইনস্টাগ্রাম থেকে। চারিদিকে সুইমিং পুল পরিবেষ্ঠিত একটি রিসর্টের টেবিলে বসে নায়কোচিত ভঙ্গিতে ছবি দিয়েছেন দেব। রুক্মিণী নিজের ছবি না দিলেও ইনস্টাগ্রামে স্টোরিতে একটি ছবি দিয়েছেন। সেই ছবিতে যতদূর চোখ যায়, কেবল সমুদ্র আর সমুদ্র। জায়গাটি যে মালদ্বীপ, তা বুঝতে তেমন অসুবিধা হয় না। যদিও তাঁরা একসঙ্গে ছবি দেননি।