
বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থেকে শিক্ষা নিতে। কিন্তু স্কুলে যদি শিক্ষিকারা পডাশোনা না করিয়ে ফোনে ব্যস্ত থাকতেন, ভাবতেই কেমন লাগছে তাই তো! কিন্তু এবারে এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে উত্তরপ্রদেশের এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের না পড়িয়ে স্কুলে এসে রিলস বানাতে ব্যস্ত থাকেন। শুধু তাই নয়, সেসব রিলস লাইক, শেয়ার করতে বাধ্য করা হয় পড়ুয়াদের। ফলে তাদের অভিভাবকেরা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আমোরা জেলার।
সূত্রের খবর, অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের আমোরা জেলার এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকারা স্কুলে এসে রিলস বানান। পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, কয়েকজন শিক্ষিকা বিভিন্ন গানে রিলস বানান ও কিছুজন সেই রিলস ভিডিও শ্যুট করে দেন। এর পর সেই ভিডিও পড়ুয়াদের দিয়ে লাইক, শেয়ার করান। এখানেই থেমে থাকেননি শিক্ষিকারা। কিছু পড়ুয়া দাবি করেছে, শিক্ষিকারা তাদের দিয়ে চা বানানোর কাজ করান, এমনকি বাসন মাজানোরও কাজ করান।
শিক্ষিকাদের এমন কাণ্ডেই বিরক্ত হয়ে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ জানান। তাঁরা জানান, শিক্ষিকাদের এমন আচরণে তাঁদের সন্তানরা ঠিক মতো পড়াশোনা করতে পাচ্ছে না। জেলা প্রশাসকের কাছে এসব জানাতেই তিনি জানিয়েছেন, ব্লক এডুকেশন অফিসার এই ঘটনার তদন্ত করছে। আর এই অভিযোগগুলো সত্যি কিনা তা জানতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিষয়টি।
চলন্ত ট্রেনে মহিলা কনস্টেবলকে আক্রমণ। অভিযুক্তকে এনকাউন্টার (Encounter) করে নিকেশ করল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিস (Police)। অভিযুক্তের দুই সঙ্গী এখনও চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, গত ৩০ শে অগাস্ট সরযূ এক্সপ্রেসে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হয়েছিল ওই মহিলা পুলিস কর্মীর দেহ। গুরুতর অবস্থায় এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। অভিযুক্তের খোঁজ পেয়েই এনকাউন্টার করে পুলিস।
উত্তরপ্রদেশ পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা কনস্টেবলকে আক্রমণের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম আনিস। শুক্রবার সকালে পুলিসের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে আনিস ও তার দুই সঙ্গী। পুলিসের গুলি লেগে গুরুতর আহত হন আনিস। পরে তার মৃত্যু হয়। আনিসের দুই সঙ্গী আজাদ খান ও বিশ্বম্ভর দয়ালও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এক কর্মী রতন শর্মাও আহত হয়েছেন এনকাউন্টার চলাকালীন।
প্রসঙ্গত, ৩০ অগাস্ট অযোধ্যা স্টেশনে সরযূ এক্সপ্রেসের কামরা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এক মহিলা কনস্টেবলকে। ধারা্লো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মুখ কোপানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে মারধর করে ভেঙে দেওয়া হয় মাথার খুলিও। গুরুতর অবস্থায় ওই পুলিসকর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও লখনউয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
বাংলোর শৌচালয় থেকে উদ্ধার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মহিলা আইনজীবীর (Lawyer) মৃতদেহ। মৃতার ভাই একাধিকবার ফোন করার পরও কোনও উত্তর পাননি তিনি। এর পর পুলিসে খবর দিতেই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। বোনের বরের বিরুদ্ধে খুন করার অভিযোগ এনেছেন তিনি। এর পর তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার তাঁর বোনের স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিস। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (UttraPradesh) নয়ডার।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ৬২ বছর বয়সী বৃদ্ধ অজয় নাথ এক প্রাক্তন ইন্ডিয়ান রেভেনিউ অফিসার। আর আইনজীবীর নাম রেণু সিনহা, বয়স ৬১ বছর। তাঁরা উত্তরপ্রদেশের নয়ডার এক বাংলোয় দু'জনেই থাকতেন। আর তাঁদের ছেলে বিদেশে থাকেন। পুলিস জানিয়েছে, শনিবার ফোন করে মৃতার ভাই জানান যে, তাঁর দিদি ফোন তুলছেন না। এর পর তাঁদের বাড়িতে হানা দিতেই শৌচালয় থেকে উদ্ধার করা হয় রেণু সিনহার মৃতদেহ। কিন্তু সেই বাংলোয় প্রথমে খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁর স্বামী অজয় নাথকে। এর পর অনেক তদন্ত চালানোর পর এক স্টোররুম থেকে তাকে বের করে আনা হয়। পুলি জানিয়েছে, প্রায় দু'দিন ধরে সেখানেই লুকিয়ে ছিলেন তিনি।
মৃতার ভাই অভিযোগ করেছেন, তাঁদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লাগত। ফলে তাঁর দিদিকে খুন করেছে অজয় নাথ। এমনটাই দাবি করেন রেণু সিনহার ভাই। এর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি নিজেই স্বীকার করেন, তাঁদের বাড়ি বিক্রি করার জন্য প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। তিনি চেয়েছিলেন, এই বাংলো বিক্রি করতে কিন্তু এতে আপত্তি ছিল রেণুর। তবে তিনিই যে তাঁকে খুন করেছেন এ বিষয়ে কিছু জানাননি। তবে বাড়ি বিক্রির বচসার জেরেই খুন করা হয়েছে রেণু সিনহাকে, এমনটাই অনুমান পুলিসের। তবে কীভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই জানা যাবে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।
বাক্সের ভিতর থেকে উদ্ধার তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ (half-burnt body)। একেবারেই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তরুণীর মুখ থেকে কোমর পর্যন্ত। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, দেহ যাতে শনাক্ত করা না যায়, তার জন্যই এভাবে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে পুলিস। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ভদোহী (Bhadohi) জেলার লালা নগর টোল প্লাজার কাছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে। আপাতত ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাতে ঘটনাস্থলে একটি বাক্স পড়ে থাকতে দেখেন। আর সেই বাক্স থেকে পোড়া গন্ধ বেরোচ্ছিল। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিসে খবর দেন। পুলিস এসে বাক্স খুলতেই চমকে ওঠে। বাক্সের মধ্যে পা বাধা অবস্থায় তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ দেখতে পায়। পুলিসের অনুমান, পেট্রোল দিয়ে কেউ বা কারা তরুণীর মুখ থেকে কোমর পর্যন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছে। এরফলে তরুণীকে চিনহিত করাও কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও তা প্রমাণ সাপেক্ষ। খুনের তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে অনেকটা স্পষ্ট হবে কারণ।
ভালোবাসা (Love) যে সীমানার কাঁটাতার, ধর্ম, ভাষা কিছুই মানে না, তা একাধিকবার প্রমাণিত। এর মধ্যেই পাকিস্তানি গৃহবধূ সীমা হায়দার তাঁর সংসার-স্বামী ছেড়ে প্রেমিকের ভালোবাসার টানে ভারতে এসেছেন। তাঁরা দাবি করেন, বিয়েও করেছেন তাঁরা। এরপরও দেখা যায় রাজস্থানের অঞ্জুকে। তিনি ভালোবাসার জন্য পৌঁছে গিয়েছেন 'শত্রুদেশ' পাকিস্তানে। আর এবারে ফের এক যুগলের প্রেমের কাহিনী প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, প্রেমিকের ভালোবাসার টানে ভারতের উত্তরপ্রদেশে (UttarPradesh) ছুটে এসেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) এক মহিলা। এমনকি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাঁরা। এবারে আইনি বিয়েও সেরে ফেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, সাত সমুদ্র পার করে যেই মহিলা এদেশে এসেছেন তাঁর নাম কিম বোহ নি। উত্তরপ্রদেশের শাহজানপুরের উড়না গ্রামের যুবক সুখজিৎ সিং-এর সঙ্গে তাঁর ভালোবাসার সম্পর্ক। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের সম্পর্ক শুরু হয় এক ক্যাফে থেকে। সুখজিৎ কাজের সূত্রে পাড়ি দেন দক্ষিণ কোরিয়ায়। সেখানে গিয়েই এক ক্যাফেতে কাজ পান। আর সেই ক্য়াফেতেই প্রায়ই যেতেন কিম বোহ। এরপর তাঁদের একে অপরকে পছন্দ হতে থাকে। তাঁরা একে অপরের প্রতি ভালোবাসার টান অনুভব করতেই লিভ-ইনে থাকা শুরু করেন। আর এতে তাঁদের পরিবারেরও সহমত ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা প্রায় ৪ বছর লিভ-ইনে ছিলেন। তারপর সুখজিৎ ভারতে ফিরে আসলে তখন তাঁর পিছু পিছু ভারতে চলে আসেন তাঁর প্রেমিকা কিমও। এরপরেই তাঁরা এক গুরুদ্বারে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আর আইনি বিয়ের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরে সুখজিৎ ও তাঁর স্ত্রী কিম উড়ান গ্রামেই রয়েছেন। সুখজিৎ জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ভাষার বাধাও কমে এসেছে। কারণ তিনি কোরিয়া ভাষা ধীর ধীরে শিখছেন ও অন্যদিকে কিমও তাঁদের ভাষা, সংস্কৃতি বোঝার চেষ্টা করছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, পরের মাসেই ভিসা শেষ হতে চলেছে কিমের। ফলে ফের তাঁরা দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন ও সেখানে এক নতুন করে সংসার শুরু করার কথা ভেবেছেন।
বাঁচানো গেলো না পঞ্চম সিংহ শাবকটিকেও। শনিবার রাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই সিংহ শাবকটির (Lion)। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এটাওয়া সাফারি পার্কে। জুলাই মাস থেকেই শুরু হয়েছিল সোনা নামের একটি সিংহীর শাবকগুলির মৃত্যুর ঘটনা। জুলাইয়ের ৯ তারিখে প্রথম দুই শাবকের মৃত্যু (Death) হয়। তারপর ১০ এবং ১৩ জুলাই আরও দু’টি শাবকের মৃত্যু হয়। তবে অসুস্থ হলেও বেঁচে ছিল একটি সিংহ শাবক। কিন্তু তারও মৃত্যু হল শনিবার।
তবে ঠিক কি কারণে এই সিংহশাবকগুলির মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে তা খতিয়ে দেখছে সাফারি কর্তৃপক্ষ। এমনকি এই বিষয়ে এটাওয়া সাফারি পার্কের ডেপুটি ডিরেক্টর জয় প্রকাশ বলেছেন, ‘‘শনিবার শাবকটির জ্বর হয়েছিল। তার পরেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় তাকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।’’
যদিও এই ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে আক্রমণ করে সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব বলেছেন, ‘‘পঞ্চম শাবকটিকে বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এমনকি বার বার সিংহশাবকের মৃত্যুর পরেও সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।’’
প্রেমিক সচিনের (Savhin) ভালোবাসার টানে ভারতে এসেছিলেন পাকিস্তানি (Pakistan) যুবতী সীমা হায়দার (Seema Haider)। তাঁরা দাবি করেন, তাঁরা মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছেন। কিন্তু এবারে তাঁদের বিয়ের জন্য ভুয়ো নথি তৈরি করার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল নয়ডা পুলিস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা সচিন ও সীমার ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়েছেন। ফলে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিস। পাকিস্তান থেকে আসায় সীমাকে নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। তিনি শুধুই ভালোবাসার টানে এখানে, নাকি তিনি কোনও গুপ্তচর, এই নিয়ে একাধিক রহস্য। আর এরই মধ্যে ভুয়ো নথি তৈরি করার অভিযোগে গ্রেফতার হল দুই যুবক।
সূত্রের খবর, দুই যুবকই বুলন্দশহরের বাসিন্দা ও তাঁদের নাম পুষ্পেন্দ্র ও পবন। তাঁদের থেকে আরও ১৫ টি ভুয়ো আধারকার্ড পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও পুলিস দাবি করেছে, সীমা ও সচিনের জন্য ভুয়ো নথি বানানো ছাড়াও তারা ভুয়ো নথি বানানোর একটি চক্র চালাত।
উত্তরপ্রদেশের এটিএস সূত্রে খবর, সীমা ভারতে আসার পর তাঁকে বুলন্দশহরে নিয়ে গিয়েছিলেন সচিন। সীমা ও সচিন বুলন্দশহরে কোথায় গিয়েছিলেন, তা খোঁজ শুরু করেছিল পুলিস। আর সেই সূত্রেই পুষ্পেন্দ্র ও পবনের খোঁজ পায় তাঁরা। এরপরই পবন ও পুষ্পেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও আরও ১৫ টি ভুয়ো আধারকার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
দিল্লির মতো বর্ষায় বিপর্যস্ত উত্তরপ্রদেশও। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে বৃষ্টি সংক্রান্ত একাধিক ঘটনায় মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত ৯টায় বিবৃতি দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে রাজ্যের ত্রাণ কমিশনার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রামপুর এলাকায় বর্ষায় জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। এ ছাড়া, বালিয়া, মাহোবা এবং ললিতপুর জেলায় পৃথক কয়েকটি ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। সুলতানপুরে সাপের কামড়ে মারা গিয়েছেন আরও এক জন।
এই নিয়ে গত কয়েক দিনে উত্তরপ্রদেশে বৃষ্টির কারণে মৃতের সংখ্যা ৫০-এর গণ্ডি পেরিয়ে গেল। রাজ্যের সেচ দফতর জানিয়েছে, বদায়ুঁ জেলায় গঙ্গা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। বুন্দেলশহর এবং ফারুখাবাদেও গঙ্গা বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। এ ছাড়া, প্রয়াগরাজে যমুনার জলস্তরও বিপদসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। মথুরায় যমুনা আগেই বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় সংলগ্ন নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হয়েছে।
মথুরা এবং বৃন্দাবনে রাস্তাঘাট ইতিমধ্যে যমুনার জলের তলায়। গ্রামের পর গ্রাম ভেসে গিয়েছে। বিপুল ক্ষতি হয়েছে চাষের। অনেক শস্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে দুর্যোগকবলিতদের উদ্ধার করে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এর মধ্যে আশার কথা শোনাতে পারেনি মৌসম ভবনও। তারা জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মোট ৭৫টি জেলার মধ্যে ৩২টি জেলাতেই এ বছর মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টাতেও রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
প্রবল বৃষ্টিতে (rain) বিপর্যস্ত উত্তরপ্রদেশর (Uttar Pradesh) জনজীবন। তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে প্রায় ৩৪ জনের মৃত্য়ু (Death) হয়েছে। সোমবার, যোগী আদিত্যনাথ সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩৪ জন মৃতের মধ্যে বজ্রাঘাতে মৃত্য়ু হয়েছে ১৭ জনের। জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। আর বাকি পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে হড়পা বান এবং ধসে। মৃতদের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
উত্তরপ্রদেশে অবিরাম বৃষ্টির জেরে গঙ্গা, যমুনা, রামগঙ্গা-সহ বিভিন্ন নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে নিচু এলাকাগুলিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। মৌসম ভবনের তথ্য় অনুযায়ী, ৭৫টি জেলার মধ্যে প্রায় ৬৮টি জেলায় বৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ভাসছে দিল্লি-সহ উত্তর ভারত। প্রবল বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন রাস্তাই জলমগ্ন। এইকারণে সোমবার দিল্লির সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। হিমাচল প্রদেশে ভারী বর্ষণের জেরে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে হিমাচলে।
ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে চম্পট দিল বানর (Monkey)! অবাক হচ্ছেন তো! তবে এমনটাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) রামপুরে। জানা গিয়েছে, এক যুবকের মোটর সাইকেলের সঙ্গে একটি টাকা ভর্তি ব্যাগ ঝোলানো ছিল। আর সেখানেই উপস্থিত হয় এক বানর। এরপর কিছু না বুঝেই সেই ব্যাগ নিয়েই পালিয়ে যায় বানরটি। এরপর দেখা যায়, এটি গাছের ডালে গিয়ে বসে। তারপর কোনওমতে বানরের থেকে ব্যাগটা ফের ফিরে পান সেই যুবক।
সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার বানর ব্যাগ চুরি করায় হুলস্থুল পড়ে যায় শাহবাদের সেই এলাকা জুড়ে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার শরাফাৎ হুসেন নামের এক যুবক শাহবাদে এক রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েছিলেন। সেই অফিসের পাশেই তাঁর মোটর সাইকেলটি পার্ক করা ছিল। আর তিনি পাশের এক বেঞ্চে বসেছিলেন। এরপর সেখানে চলে আসে এক বানর। কিন্তু তাঁর নজরে আসেনি বানরটি। তারপর হঠাৎ তাঁর ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে গাছে লাফ দিয়ে উঠে যায় বানরটি। জানা যায়, সেই ব্যাগে প্রায় ১ লক্ষ টাকা ছিল। ফলে সেই ব্যাগ ফেরত পাবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান শরাফাৎ।
এরপর শরাফাৎ চিৎকার করতে শুরু করলে আশেপাশের লোকজন সেখানে জড়ো হন ও বানরটিকে গাছ থেকে নীচে নামানোর জন্য হন্যে হয়ে পড়েন। এরপর অনেক চেষ্টার পর সেই বানরটির থেকে ব্যাগটি নিতে সক্ষম হন যুবকটি। উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, শাহবাদে বানরের উৎপাত এমন লেগেই রয়েছে। ফলে একটি টিম গঠন করা হয়েছে, যাঁরা এই বানরগুলোকে নিয়ে পাশের কোনও জঙ্গলে রেখে আসবেন।
উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) ঝাঁসির (Jhansi) এক ইলেকট্রনিক্স শো-রুমে হঠাৎ বিধ্বংসী আগুন (Fire)। আর এই আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল ৪ ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলের দিকে। আগুন লাগার পর সেই চারতলার বিল্ডিং-এ আটকে ছিলেন বহু লোক। তবে কিছুজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হলেও অবশেষে চারজনের মৃত্যু হয়। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন আরও কয়েকজন, তাঁদেরকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কীভাবে সেই চারতলার শোরুমে আগুন লেগেছে, এখনও জানা যায়নি। তদন্ত করছে পুলিস।
সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলের দিকে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির সিপরি বাজার এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, সেখানকার এক ইলেকট্রনিক্সের দোকানে প্রথমে আগুন লাগে। এরপর তা ধীরে ধীরে উপরের বিল্ডিংয়েও ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি পাশে থাকা খেলার সরঞ্জামের দোকানেও আগুন লেগে যায়। নিমেষের মধ্যে দোকানে থাকা সমস্ত জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়াও সেই বিল্ডিং-এর উপরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে ও সেই বিল্ডিং-এ থাকা মহিলাও অগ্নিদগ্ধ হন। তিনি ইউনাইটেড ইনস্যুয়ারেন্স কোম্পানিতে কাজ করতেন।
এরপর এই খবর পৌঁছতেই ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী পৌঁছয়। এরপর প্রায় ১০ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঝাঁসির জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, কীভাবে সেই বিল্ডিং-এ আগুন লেগেছে তা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফের মর্মান্তিক মৃত্যু উত্তরপ্রদেশে (Uttapradesh)। এবারে পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু হল ৭ জনের। উত্তরপ্রদেশের দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বান্দায় কামাসিন রোডের কাছে একটি এসইউভি গাড়ির সঙ্গে একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এসইউভি গাড়িটিই সজোরে ট্রাকে ধাক্কা মারে বলে সূত্রের খবর। দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় পাঁচজনের। বাকি তিনজনকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে পরে মৃত্যু হয় দু'জনের।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে বান্দায় কামাসিন রোডে পাহাড়িয়া দাই মন্দিরের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাবেরুর ডেপুটি সুপারইনটেনডেন্ট রাকেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, পরিবারের এক ব্যক্তি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ায় তাঁকে নিয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখনই সজোরে তাঁদের গাড়িটি ধাক্কা মারে ট্রাকটিকে। এরপর গাড়িতে উপস্থিত পাঁচজনের সেখানেই মৃত্যু হয়। দু'জনের হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ও একজন গুরুতর আহত। তাঁরা প্রত্যেকেই তিলাউসা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন ডিএসপি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এসইউভি গাড়িটি প্রতি ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৩০ কিমি বেগে চলছিল। ফলে গাড়িটি দ্রুত গতিতে চলায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায় ও ট্রাকে ধাক্কা মারে। এরপর সেখান থেকে চম্পট দেয় ট্রাকের চালক। ফলে তাঁকে খুঁজতে ও পুরো ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস। মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ক্ষেতের জমিতে কাকতাড়ুয়া (Scraecrows) তো আপনারা দেখেছেনই। কিন্তু কখনও ক্ষেতে ভালুক (Bear) দেখেছেন কি? তবে এবারে এমনটাই দেখা গিয়েছে। আখের ক্ষেতে বানরের (Monkey) উপদ্রব। তাই এবারে এক নয়া পন্থা নিল আখচাষিরা। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) লখিমপুর খেরির। সেখানে দেখা গিয়েছে, বানরের উপদ্রব কমাতে কৃষকরা নিজেই ভালুকের মতো সেজে ক্ষেতে বসে রয়েছেন। দেখা গিয়েছে, অবশেষে তাঁদের এই পন্থাই কাজে লেগেছে।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির জাহাননগর গ্রামে বানরের উৎপাতে নাজেহাল আখচাষিরা। বানররা প্রায়ই আখ ক্ষেতে এসে আখ গাছ নষ্ট করে দেয়। ফলে এতে তিতিবিরক্ত হয়ে পড়েছিল আখচাষিরা। কাকতাড়ুয়া লাগিয়েও কোনও কাজে দেয়নি। ফলে তাঁরা এক নতুন উপায় বের করেন বানর তাড়ানোর। তাঁরা নিজেরাই ভালুকের মত লোমশ পোশাক পরে বসে যায় আখের ক্ষেতে। এরপরেই অদ্ভূত কাণ্ড। ক্ষেতে ভালুক দেখে ভয়েই আসছে না বানর।
আখচাষিরা সংবাদমাধ্য়মে জানান, প্রায় ৪০-৪৫ টি বানর ক্ষেতে এসে আখ নষ্ট করে চলে যাচ্ছিল। তাই তাঁরা চার হাজার টাকা দিয়ে ভালুকের মতো পোশাক কিনেছে আখ ক্ষেত বাঁচানোর জন্য, যাতে বানরগুলো ভালুক দেখে আর না আসে আখের ক্ষেতে।
৩ বছরের শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জিভের অস্ত্রোপচার করতে। কিন্তু জিভের অপারেশন না করে গোপনাঙ্গে করা হল অস্ত্রোপচার (Operation)। আর এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) এক বেসরকারি হাসপাতালের। এমন কাণ্ড ঘটানোর পরই অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে যোগী সরকার। সেই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করল যোগী সরকার (Yogi Government)।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বরেলির এক বেসরকারি হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে। ২৩ জুন মাত্র আড়াই বছরের শিশুকে সেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জিভের অপারেশন করাতে। কিন্তু তার গোপনাঙ্গের চামড়া কেটে দেওয়ার অভিযোগ করে তার পরিবার। এরপর এই খবর উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠকের কাছে পৌঁছলে তিনি অবিলম্বে পদক্ষেপ নেন। অভিযুক্ত চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয় ও বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। এমনকি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর নামে থানায় এফআইআর করার ব্যাপারেও সিএমও-কে নির্দেশ দিয়েছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী।
এখানেই থেমে নয়, এই ঘটনার পর সেরাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. বলবর সিংকে এই ঘটনার তদন্ত করতে বলেছেন ও পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। এরপর ডা. বলবর সিং জানিয়েছেন, ডাক্তারদের একটি প্যানেল গঠন করা হয়েছে। এই প্যানেলের সদস্যরা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। এছাড়াও তিনি আরও জানিয়েছেন, হাসপাতালের যাবতীয় তথ্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আবার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে ও এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।
মৃত্যু হয়েছে ১০ দিন আগেই, কিন্তু সেই মৃত নাতির দেহ (Dead Body) আগলেই রয়েছেন এক ৬৫ বছরের বৃদ্ধা। তাঁর এমন কাণ্ড দেখে হতবাক প্রতিবেশীরা। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (Uttapradesh) বারাবাঁকির (Barabanki)। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিবেশীরা গত কয়েকদিন ধরেই বৃদ্ধার বাড়ি থেকে এক দুর্গন্ধ পেতেন। ফলে সন্দেহ হওয়ায় পুলিসের কাছে খবর দেয় তাঁরা। এরপর পুলিস এসে সেই বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই চক্ষু চড়কগাছ তাঁদের। সোমবার সকালে সেই বৃদ্ধার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় এক মৃতদেহ। আর এই মৃতদেহটি তাঁরই নাতির।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম প্রিয়াংশু। তার বাবা-মা অনেক আগেই মারা গিয়েছেন। ফলে সে তার ঠাকুমার সঙ্গেই থাকত। সোমবার পুলিসের কাছে প্রতিবেশীরা অভিযোগ দায়ের করলে অবিলম্বে সেই বাড়িতে পৌঁছয় পুলিস। এরপর দেখতে পান, সেই মৃতদেহকে স্নান করাচ্ছেন বৃদ্ধা। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পুলিস জানিয়েছে, সেই বৃদ্ধা শুধুমাত্র তাঁর নাতির দেহ স্নানই করাতেন না, তার জামা-কাপড়ও নিয়মিত পরিবর্তন করতেন। রিপোর্ট আসার পরই জানা যাবে, তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে।
অন্যদিকে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, বৃদ্ধার মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। তাঁরাই জানান যে, প্রিয়াংশুর বাবা-মায়ের মৃত্যুর পরে তার ঠাকুমার সঙ্গেই থাকত সে। এরপর সেই বৃদ্ধাই স্বীকার করেন যে, তাঁর নাতির প্রায় ১০ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস।