ভারতের গর্ব সুস্মিতা সেন (Sushmita Sen)। বিশ্ব সুন্দরীর লড়াইতে তিনিই ভারতের হয়ে প্রথম খেতাব জিতেছিলেন। তাঁর বয়স তখন মাত্র ১৮ বছর। ওই অল্প বয়সে সাহসী মেয়ে সুস্মিতা সারা বিশ্বের তাবড় সুন্দরীদের সঙ্গে রূপ ও মেধার লড়াইতে বাজিমাত করেছিলেন। 'রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী' এই শব্দবন্ধ তাঁর জন্যই প্রযোজ্য। মিস ইউনিভার্স (MissUniverse) খেতাব জিতে সুস্মিতা বলিউডেও পদার্পণ করেন। সেখানেও নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। তবে এত সাফল্যের মাঝে সুস্মিতার মন আজ ভারাক্রান্ত। নিজের সামাজিক মাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট করেছেন সুন্দরী।
সুস্মিতা ইনস্টাগ্রামে নিজের একটি ছবি আপলোড করেছেন। সেই পোস্টে দেখা গিয়েছে, কম বয়সী সুস্মিতাকে। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'এই ছবিটি ঠিক ২৯ বছর পুরোনো। ছবিটি তুলেছেন প্রবুদ্ধ দাশগুপ্ত। এই নির্মল ছবিতে তিনি ১৮ বছরের আমাকে তুলে ধরেছিলেন। হাসিমুখে তিনি বলেছিলেন, তুমি প্রথম বিশ্ব সুন্দরী যার ছবি তুললাম আমি। তাঁকে শুধরে আমি বলেছিলাম, আসলে ভারতের প্রথম বিশ্ব সুন্দরী।'
সুস্মিতা আরও বলেছেন, মাতৃভূমির জন্য প্রতিনিধিত্ব করা এবং খেতাব জেতা সম্মানের। ২৯ বছর পরও আমার চোখে জল আসে। আমি এই দিনটিকে গর্ব এবং সম্মানের সঙ্গে মনে রেখেছি। ২১ মে ১৯৯৪ সালে ভারত ম্যানিলায় প্রথম মিস ইউনিভার্স জিতেছিল।' পোস্টের শেষে, সুস্মিতাচিত সংলাপে লেখা, 'সকলকে ভালোবাসি। দুগ্গা দুগ্গা।'
সৌমেন সুর: স্রষ্টা সৃষ্টির আদি সময়ে যেমন তিনি পূর্ণরুপে বিরাজমান ছিলেন, তেমনি সৃষ্টির এই নিত্যপথ চলার মধ্যে দিয়ে নিজেরই মহিমায় হয়ে রয়েছেন আপ্লুত। আত্মাই ছিলেন একমাত্র বিরাজিত সমগ্র সৃষ্টির প্রথমে। তিনিই অদ্বিতীয় হয়ে সৃষ্টির কর্ম সূচনা করেছেন। তিনি আত্মসচেতনে ভরপুর থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছে জাগ্রত করলেন সৃষ্টির। তিনি ইচ্ছাময় হয়ে উঠলেন, লোকসমূহ সৃষ্টি করলেন। সৃষ্টির সূচনা করলেন ভগবান এই লোকসমূহ দিয়ে। সমগ্র সৃষ্টির কেন্দ্রে স্থাপন করলেন মানবের এই চেতনা।
বিশ্বমাঝে স্বতঃই হয়ে চলেছে ভাঙা-গড়া। জীবনে আসা এবং চলে যাওয়া এবং পিছিয়ে পড়া রয়েছে স্বতঃই প্রকৃতির অনাবিল অবদান। ভগবান স্বয়ং যেন সবই করেছেন নিয়ন্ত্রন। তিনিই ছন্দময় গতিময় হয়ে জীবনকে লালন করে চলেছেন।
জীবন গঠনের জন্য চাই জীবনের দর্শন ও প্রত্যয়। দর্শনটি হতে হবে শুদ্ধ আর বহু ব্যপ্ত। প্রত্যেকের মধ্যে বিরাজ করছে বিপুল সম্ভাবনা। জীবনের সম্ভাবনাগুলো যখন হযে ওঠে কার্যকরী, ক্রমে গড়ে ওঠে ব্যপ্তি। একজন মানুষের জীবন তখন হয়ে ওঠে বহুজনের আশ্রয়দায়ী। একজনের মধ্যে সুপ্ত হয়ে থাকা সম্ভাবনা বিকাশ ক্রমে বহু মানুষজনকে যুক্ত করে দেয়। বৈদিক ঋষিগণ স্বতঃই চেয়েছেন সত্য, জ্ঞান, কর্মের সমন্বয় জীবন মাঝে। সামবেদের ঋষিগণ প্রসঙ্গ আনলেন ভক্তির। ভক্তির অনিবার্য অঙ্গ হলো শ্রদ্ধা-বিশ্বাস-ভালোবাসা। এই সমন্বয়ে গড়ে ওঠে ভগবৎ প্রেম। এই বন্ধনে বন্দিত হয় ভগবান ও ভক্ত। জীবনের সমস্ত পর্বই ভগবানের স্পর্শ সততই বিরাজমান।
তথ্য ঋণ: রমাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়
আরিয়ার পর ফের এক নতুন ভূমিকায় দেখা সুস্মিতা সেন (Sushmita Sen)। এবার রূপান্তরকামীর চরিত্রে দেখা মিলবে অভিনেত্রীকে। বড় পর্দায় খুব একটা দেখা মেলে না প্রাক্তন মিস ইউনিভার্সের। তবে ইদানীং ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে বেশ চর্চায় ছিলেন তিনি।
কিছু বছর ধরে ওটিটির (OTT) পর্দায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। আরিয়া ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে দর্শক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন সুস্মিতা। এবার লম্বা বিরতির পর ফের পর্দায় দেখা যাবে তাঁকে। খুব শীঘ্রই নাকি মুক্তি পেটে চলেছে আরিয়া ওয়েব সিরিজের তৃতীয় সিজন।
ইন্ডাস্ট্রির অলিগলিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল, আরিয়া ওয়েব সিরিজের পাশাপাশি বড় প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে আরও একটি ওয়েব সিরিজ়ের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। আত্মজীবনীমূলক সেই সিরিজ়ে তাঁকে মহারাষ্ট্রের রূপান্তরকামী আন্দোলনের অন্যতম মুখ গৌরী সবন্তের (Shree Gauri Shawant) ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে। আর এই সিরিজ়ের পরিচালক মারাঠি পরিচালক রবি যাদব।
এই গুঞ্জনকেই সত্যি প্রমাণ করে দিলেন সুস্মিতা সেন । সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)-তে নিজেই শেয়ার করে নিলেন নতুন ওয়েব সিরিজ 'তালি' (Taali)-র প্রথম লুক। দেখা যাচ্ছে, সবুজ মেরুন শাড়িতে সেজে উঠেছেন। আর কপালে বড় লাল টিপ। পাশাপাশি এই লুক শেয়ার করে লিখেছেন, শ্রী গৌরী সবন্ত হিসেবে আমার প্রথম লুক।
কেবল তা নয়, সুস্মিতা আরও লিখেছেন, 'এত সুন্দর একটা মানুষের চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলা, আর তাঁর গল্প পৃথিবীর সামনে নিয়ে আসার চেয়ে গর্বের আর কিছু হতে পারে না আমার কাছে। শ্রী গৌরী সবন্ত-এর চরিত্রে অভিনয় আমার কাছে গর্বের ও আমি ধন্য। জীবন প্রত্যেকের আর প্রত্যেকের সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে।'
স্পষ্টতই একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ‘মিস ইউনিভার্স’ (Miss Universe) প্রতিযোগিতায়। দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে চলা প্রতিযোগিতাটিতে শুধুমাত্র অবিবাহিত তরুণীরাই (Unmarraied Woman) অংশ নিতে পারতেন। এবার এই প্রতিযোগিতার নিয়মে বড় ধরনের পরিবর্তন আনল আয়োজকরা। বিবাহিত মহিলারাও (Married Woman) এখন থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। এমনকি অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant woman) এবং সন্তানের মায়েরাও (Mother) চাইলে নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতায়।
সূত্রের খবর, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ থেকেই নয়া নিয়ম লাগু হয়ে যাবে। আয়োজকদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন গত কয়েক বছরের ‘মিস ইউনিভার্স’ খেতাবজয়ী সুন্দরীরা।
এতদিন নিয়ম ছিল, বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে প্রতিযোগীকে হতে হবে অবিবাহিত। এমনকি জেতার পরও একবছর বিয়ে করতে পারবেন না। যতদিন খেতাব অন্য কারোর কাছে না যায়। এছাড়া প্রতিযোগিতা চলাকালীন কোনও প্রতিযোগী অন্তঃসত্ত্বা হতে পারবেন না। এমনই নানাবিধ বিধিনিষেধ মেনে এতদিন ব্রহ্মাণ্ডের সেরা সুন্দরী হওয়ার দৌড়ে নামে লেখাতেন ইচ্ছুকরা।
সম্প্রতি মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকাকে জানায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুরই পরিবর্তন ঘটে। এটা তারই অংশ। এই সিদ্ধান্তটা সময়ের নিরিখে খুবই স্বাভাবিক একটা সিদ্ধান্ত। মিস ইউনিভার্সের এমন সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী ও ঐতিহাসিক তা একবাক্যে স্বীকার করেছে গোটা ফ্যাশন দুনিয়া।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ইজরায়েলে বসেছিল মিস ইউনিভার্সের আসর। সেখানে বিজয়ী হয়েছেন ভারতীয় সুন্দরী হারনাজ কৌর সান্ধু। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর ভারত পেল তার তৃতীয় মিস ইউনিভার্সকে। আগামী বছর বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মাদাগাস্কর এবং রোমানিয়ায়।
আয়োজকদের নতুন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ২০২০-র ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতার খেতাবজয়ী মেক্সিকোর আন্দ্রিয়া মেজা। তাঁর কথায়, ”আমি আন্তরিকভাবে এই নতুন নিয়মকে স্বাগত জানাচ্ছি। সমাজ বদলের সঙ্গে সঙ্গে এখন মেয়েরাও সামনের সারিতে থেকে নানা দায়িত্ব পালন করছে। ফলে নিজের পরিবারে থেকে সে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতেই পারে। আমার মতে, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়েই এই নিয়ম বদল।”