স্কুলে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় উত্তেজিত উলুবেড়িয়ার বাগনান খানপুরের স্কুল চত্বর। পলাতক মূল অভিযুক্। বুধবার শ্লীলতাহানির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে বাগনান থানার পুলিস। বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষককে উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে জামিন মঞ্জুর করেন মহামান্য বিচারক।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বুধবার বাগনান খানপুরের স্কুলে শ্লীলতাহানির অভিযোগের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল স্কুল চত্বর। বিক্ষোভ চলাকালীন প্রধান শিক্ষকের ঘরে অভিযুক্ত চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী উপস্থিত ছিলেন। যখন প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে অভিভাবকদের বচসা শুরু হয় তখন ওই চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী সেখান থেকে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায়।
তারপরেই প্রধান শিক্ষকের উপর চড়াও হয় অভিভাবক এবং গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কোনওরকমভাবে ওই কর্মীকে আড়াল করছে প্রধান শিক্ষক। ঘটনাস্থলে বাগনান থানার পুলিস গিয়ে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এরপর রাতে তাঁকে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতাল চিকিৎসা করানোর পর গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষককে আদালতে তোলার পর জামিন মঞ্জুর করা হয়। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
স্কুল যাওয়ার পথে নিখোঁজ সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। তিন দিন কেটে গেলেও এখনও মেলেনি তার খোঁজ। পরিবারের অভিযোগ, গৃহ শিক্ষকই তাদের মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। ঘটনাটি উলুবেরিয়ার শ্যামপুর থানার অনন্তপুর মিল গেট এলাকার। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম দেবব্রত মান্না (৫৭)। এলকার একটি বিদ্য়ালয়ে শিক্ষাকতা করতেন তিনি।
সূত্রের খবর, সপ্তম শ্রেণীর ওই ১৩ বছরের নাবালিকা কয়েক বছর ধরেই পাশের পাড়া আটিলায় দেবব্রত মান্না নামে এক শিক্ষকের কাছে পড়াশোনা করত। শিক্ষক ও মেয়ের সম্পর্ক সমন্ধে প্রশ্ন ওঠায় মেয়েকে টিউশন থেকে ছাড়িয়ে দেয় তার বাবা। অভিযোগ, তারপরেও ওই নাবালিকাকে তার শিক্ষক রাস্তাঘাটে বিভিন্ন রকমভাবে বিরক্ত করত। সেই কথা বাড়িতে মাকে জানায় ওই নাবালিকা। তারপর ৮ই জানুয়ারি সোমবার স্কুল যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোনোর পর আর বাড়ি ফেরেনি ওই ছাত্রী।
তবে কীভাবে একটি ১৩ বছরের নাবালিকাকে নিয়ে যায় শিক্ষক ? এই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন ? এই ঘটনার পর ওই শিক্ষকের বাড়িতে ওই ছাত্রীর পরিবারের লোক গেলে সেখানে দেখা মেলেনি তাঁর। এমনকি ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে ফোন গেলেও পরে ফোন সুইচ অফ করে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে শ্যামপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই নাবালিকা ছাত্রীর পরিবার। এখন মেয়েকে খুঁজে পাওয়ার আশায় দিন গুনছে পরিবার।
ফোনে মেসেজ ঢুকতেই আচমকাই অ্য়াকাউন্ট থেকে গায়েব (Disappear) হচ্ছে টাকা। একই সময়ে ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১০, ১০ করে মোট ২০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এভাবে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির শিকার উলুবেরিয়ার (Uluberia) এক শিক্ষক। জানা গিয়েছে, সোমবার স্কুল ছুটির পর বাহিরতফা কোনচৌকি হরিজন প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক জয়ন্ত চৌধুরী ফোনে ডেবিটের মেসেজ পান। অ্যাকাউন্ট থেকে কে বা কারা এই টাকা তুলে নিয়েছেন, তা নিয়ে হতভম্ব তিনি। সঙ্গে সঙ্গে দুটি ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করেন ওই শিক্ষক। জানতে পারেন আধার লিংকের মাধ্যমে কে বা কারা টাকাটি তুলে নিয়েছে।
শিক্ষক জানান, বেশ কয়েক মাস আগে একটি জমি বিক্রি সংক্রান্ত ব্যাপারে সাক্ষী হিসেবে আধার কার্ড ও আঙুলের ছাপ দিয়েছিলেন। তবে কি সেই তথ্য ফাঁস হয়ে চক্রান্তের শিকার ? কিভাবে অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হল টাকা? দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে শিক্ষকের। উলুবেড়িয়া থানার পরামর্শে পানিয়াড়া সাইবার সেলে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই শিক্ষক।
বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্য়ে বেড়ে চলেছে সাইবার জালিয়াতির ঘটনা। নানা রকমভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন মানুষ। যার ফলে ফোনে মেসেজ আসতেই আঁতকে উঠছেন মানুষ। এক নিমিষেই কর্পূরের মতো উবে যাচ্ছে সঞ্চয়। বায়োমেট্রিক লক করেও অনেক সময় সুরক্ষা মিলছে না। অভিযোগের তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। আতঙ্কে রয়েছেন গোটা রাজ্যের মানুষ। দ্রুত ব্যবস্থা নিন সাইবার বিশেষজ্ঞরা, চাইছেন কোটি কোটি মানুষ।
স্বামীর কুকর্মের প্রতিবাদ করায় প্রাণ দিতে হলো স্ত্রীকে (Death)। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাগনান (Uluberia) থানা এলাকার কল্যানপুরে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, মারধর করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে ওই গৃহবধূকে। আর এই অভিযোগ নিয়েই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন। তবে মৃতার পরিবারের লোকজনকে বুঝিয়ে দেহটি ময়না তদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া শরৎ চন্দ্র মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে বাগনান থানার পুলিস (Police)। পাশাপাশি এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই গৃহবধূর নাম সালমা বেগম (২৫) এবং এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই স্বামীর নাম মাইবুল ইসলাম মোল্লা। মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে সালমার সঙ্গে স্বামী মইবুল ইসলাম মোল্লা ও শ্বশুর, শাশুড়ির সঙ্গে অশান্তি হয়। আর তারপরেই অসুস্থ বোধ করেন সালমা। এরপরেই সালমাকে অসুস্থ অবস্থায় বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে চলে যায় তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন। আর তারপর থেকেই কোনও খোঁজ মেলেনি সালমার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের।
সালমার পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলেছে তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তারপরে তাঁকে হাসপাতালে ফেলে পালিয়েছে তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সালমার মায়ের দাবি, সালমার গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। সালমার পরিবার আরও দাবি করেন, শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের হয়ে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার কাজ করেছিল সালমার স্বামী। আর তাই নিয়েই প্রতিবাদ করে সালমা। আর এর পরেই সালমার এমন পরিণতি করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
ছেলের হাতে খুন বাবা। গত বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়া-২ (Uluberia) নম্বর ব্লকের জগন্নাথপুর গ্রামে। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের নেশায় আসক্ত ছিল অভিযুক্ত ওই যুবক। সেই কারণে ছেলের সঙ্গে প্রায়ই বচসা হয় বাবা তপন মণ্ডলের। এর পরেই বাবাকে ইট দিয়ে মারে তপনের ছোট ছেলে কিঙ্কর মণ্ডল।
জানা গিয়েছে, গত বুধবার গভীর রাতে যখন বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়ে সেই সময় ছেলে তাঁর বাবা যে ঘরে ঘুমোয় সেই ঘরে যায় এবং বাবার সঙ্গে বচসা হতেই মাথায় ইট দিয়ে মারে। তারপর সে নিজের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে। প্রতিদিনের মত সকালে ঘুম থেকে উঠে কিঙ্কর চা-বিস্কুট খান। বেলা গড়াতেই সেই সময় বাড়ির লোকজন তপন মণ্ডল যে ঘরে ঘুমোতেন সেখানে ডাকতে গেলে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানার মধ্যে তিনি পড়ে আছেন। এরপরেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হলে সেই সময় কিঙ্কর ছুটে পালাবার চেষ্টা করলে তাকে ধরে ফেলে দড়ি দিয়ে বাড়ির উঠোনে বেধে রাখা হয়।
অন্যদিকে, ঘটনার পর স্থানীয়রা খবর দেয় রাজাপুর থানায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। অভিযুক্ত ছেলে কিঙ্কর মণ্ডলকে উদ্ধার করে আটক করে রাজাপুর থানার পুলিস। কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করছে রাজাপুর থানার পুলিস।
ফের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা (Accident)। অটো ও লরির রেষারেষির জেরে কাটা পড়ল এক মহিলার (Woman) হাত। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়া (Uluberia) ওটি রোডের দলুইপাড়ায়। পরিবার সূ্ত্রে খবর, আহত ওই মহিলার নাম রেবা মণ্ডল (৪২)। সিস্টার নিবেদিতায় রান্নার কাজে করতেন তিনি। বাড়ি ইছাপুরে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে উলুবেড়িয়া শ্যামপুর থেকে উলুবেড়িয়া স্টেশন রোডে অটো ধরে যাচ্ছিলেন রেবা মণ্ডল। ওই মহিলার ডান হাতটি অটো থেকে বাইরে বেরিয়ে ছিল। সেই সময় দ্রুত গতিতে আসা একটি লরি ওই অটোকে ধাক্কা মারে। এরফলে রেবা মণ্ডল অটো থেকে পড়ে যান। লরিটি অটোকে অতিক্রম করতে গিয়ে মহিলার হাতের ওপর দিয়ে চলে যায় এবং ডান হাতটি কাটা পড়ে বলে জানিয়েছেন পুলিস আধিকারিক।
পুলিস ও স্থানীয় বাসিন্দারা মহিলাকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা মহিলার কাটা হাত জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য় রেবা মণ্ডলকে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অটো ও লরির চালক দু'জনেই পলাতক বলে খবর।
উলুবেড়িয়ার (Uluberia) ফুলেশ্বরে মাটির নীচ থেকে উদ্ধার হল প্রাচীন মুদ্রা (Ancient Silver Coins)। আর তা স্বচক্ষে দেখতে ভিড় উপচে পড়ল এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে উলুবেড়িয়া থানার অন্তর্গত ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলেশ্বর বৈকন্ঠপুরে। মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৭০ টি রূপোর মুদ্রা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উলুবেড়িয়া থানার পুলিস (Police) এসে বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে। আপাতত মুদ্রাগুলি যাঁর কাছে আছে, সেখানেই রাখা হয়েছে বলে খবর। পরবর্তী ক্ষেত্রে তদন্তের স্বার্থে ওই মুদ্রাগুলি প্রয়োজন হলে পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হবে, এমনটাই জানিয়েছে প্রশাসনের তরফে।
পুলিস সূত্রে খবর, কানাই দাস নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে। তাঁর নতুন বাড়ি তৈরির জন্য মাটি কাটার কাজ চলছিল। সেই সময়ই মাটির নীচ থেকে বেরিয়ে এল প্রাচীন রুপোর মুদ্রা। বাড়ি তৈরির জন্য বুধবার সকাল থেকেই কানাই দাসের বাড়িতে মাটি কাটা হচ্ছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাটি কাটার সময়ই মাটির নীচ থেকে একটি ঢাকনা দেওয়া মাটির হাঁড়ি দেখতে পান শ্রমিকরা। কৌতুহলবশত তাঁরা ওই মাটির হাঁড়ির ঢাকনা খুলতেই ভিতরে একটি কাঁচের বোতল দেখতে পান। তার মধ্যেই রুপোর মুদ্রাগুলি ছিল।
এই ঘটনায় বাড়ির কর্তী বনমালা দাস বলেন, 'বুধবার বাড়ি তৈরীর জন্য মাটি কাটা হচ্ছিল। আর আমি বাড়িতে রান্না করার সময়ই এই রুপোর মুদ্রা উদ্ধারের বিষয়টি জানতে পারি। প্রায় ৭০ টি মুদ্রা পাওয়া গেলেও আমার জামাই কিছু মুদ্রা নিয়ে চলে গিয়েছে। তাই এখন আমার কাছে ২৭টি মুদ্রা আছে।'
অন্যদিকে এই ঘটনায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রবীন মান্না জানান, উদ্ধার হওয়া মুদ্রাগুলি শতাধিক বছরের পুরাতন।
উলুবেড়িয়ার শ্যামপুরে মেয়ের সম্ভ্রম (Shyampur Murder) বাঁচাতে গিয়ে খুন বাবা। এই ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আরও একজন পলাতক বলে দাবি মৃতের স্ত্রীয়ের। পিটিয়ে খুনের এই ঘটনায় পুলিস ক্লিনটন বাগ বলে এক অভিযুক্তকে মঙ্গলবার উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে (Uluberia Court) তুলেছিল। তাঁকে ৫ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মঙ্গলবার রাতে শান্তনু হাপড় নামে একজনকে উলুবেড়িয়া থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বুধবার তাকেও আদালতে তোলা হবে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন এবং পকসো আইনের (POCSO Case) একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই শান্তনু হাপড়কে মুল অভিযুক্ত হিসেবে কাঠগড়ায় তুলছে মৃতের স্ত্রী।
পরিবারের দাবি, প্রত্যেক অভিযুক্তকে কঠোর সাজা দিতে হবে। এদিকে, মঙ্গলবার গ্রামে মৃত গণেশ মণ্ডলের মৃতদেহ ফিরলে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। মৃতদেহ ঘিরে শুরু হয় রাস্তা অবরোধ। পুলিস এসে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। সূত্রের খবর, যাঁদের বিরুদ্ধে পিটিয়ে মারার অভিযোগ, আগেও তাঁরা দুষ্কর্ম করেছে। কিন্তু কোনও এক বিশেষ প্রভাবে জেলের বাইরে থেকেছে। তাই এই মুহূর্তে গ্রামের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দাবিতে প্রত্যেককে গ্রেফতার করে কড়া শাস্তির পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে।
অপরদিকে, মৃতের মেয়ের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য পুলিস গ্রামে এলে, বাধা হয়ে দাঁড়ান গ্রামবাসীরা। ১৬৪ সিআরপিসি মোতাবেক জবানবন্দি রেকর্ডে নাবালিকা ও তার এক আত্মীয়কে পুলিস থানায় নিয়ে যেতে চাইলে, তার মা আপত্তি তোলেন। এতেই বেঁকে বসেন পড়শিরা। পুলিসের থেকে নাবালিকাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান তাঁরা। এতেও তৈরি হয় সাময়িক উত্তেজনার পরিবেশ।
ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী (Jharkhand Actress Murder) হত্যা রহস্যের মধ্যেই ফের জাতীয় সড়কে (Nationbal highway) দুষ্কৃতী তাণ্ডব, চুরি। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে বীরশিবপুরে রাতের অন্ধকারে এবার দুষ্কৃতীদের খপ্পরে এক ট্রাক ড্রাইভার (Truck driver Looted)। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে তিনি যখন ট্রাকের ভিতর ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন ঘুমের ওষুধ স্প্রে করে ট্রাকের কাঁচ ভেঙে টাকা, মোবাইল, মানিব্যাগ লুট করেছে আততায়ীরা। এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে জাতীয় সড়কের নিরাপত্তা।
বাগনান জাতীয় সড়কে সাতসকালে ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী রিয়া কুমারী খুনে এখনও অথৈ জলে পুলিস। সেই ঘটনার তিনদিন কাটতে না কাটতেই আবার বীরশিবপুর শিল্প বিকাশ কেন্দ্রের সামনে এই লুটের ঘটনা। জানা গিয়েছে, আইটিসি সংস্থার একটি কন্টেনার ট্রাকে মাল লোড করতে জাতীয় সড়ক সংলগ্ন সার্ভিস লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। শুক্রবার রাতের দিকে গাড়ির চালক যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন দুষ্কৃতীরা তাঁকে ঘুমের স্প্রে জাতীয় কিছু ছিটিয়ে অচৈতন্য করে। অঘোরে চালক ঘুমিয়ে পড়লে গাড়ির বাঁদিকের সাইডের কাঁচ ভেঙে গাড়ির ভেতরে থাকা চালকের মোবাইল, চালকের মানি পার্স, কাগজপত্র এবং গাড়ির ভাড়ার টাকা-সহ বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। শনিবার সকাল দশটা নাগাদ চালকের ঘুম ভাঙলে বিষয়টি নজরে আসে।
সঙ্গে সঙ্গে কন্টেনার চালক উলুবেড়িয়া থানার দ্বারস্থ হলে পুলিস ঘটনাস্থলে এসে সরেজমিনে খতিয়ে দেখে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় চালককেও।
সাতসকালে বাড়ি থেকে বেড়িয়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মা ও মেয়ের (Road Accident)। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন উলুবেড়িয়ার (Uluberia) জোড়া কলতলায় অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় মৃত মা-মেয়ে। এরপরেই ঘাতক অ্যাম্বুলেন্সের উপর চড়াও হন স্থানীয়রা। মৃতদেহ আটকে চলে পথঅবরোধ। সকাল থেকে প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলা অবরোধে যান চলাচল ব্যাহত হয় জাতীয় সড়কে (National Highway)। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পরে একের পর এক গাড়ি। প্রায় তিন কিমি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এই ট্রাফিক। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসন বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে লিখিত আশ্বাস দিলে পাঁচ ঘণ্টা পর অবরোধ (Road Block) ওঠে। দুপুর ১২টা থেকে ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে যান চলাচল।
এই ঘটনায় অবরুদ্ধ হয়ে যায় হাওড়া-খড়গপুরগামী দুটি লেন। এলাকার মানুষের দাবি, দুর্ঘটনাপ্রবণ এই এলাকা। বারবার ব্যবস্থা নিতে বলা হলেও উদাসীন প্রশাসন। প্রশাসনকে লিখিত দিতে হবে এখানে ফুট ওভারব্রিজ বা আন্ডার পাসের। এই দাবিতে চলতে থাকে অবরোধ। স্থানীয় থানা এবং হাওড়া গ্রামীণ পুলিসের বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
এদিকে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ উলুবেড়িয়ায় জোড়া কলতলায় পথদুর্ঘটনায় মৃতদের নাম অপর্না পাড়াল (৪০) ও মেয়ে টুসু পাড়াল (১০)। মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথেই এই মর্মান্তিক ঘটনা। মুম্বই রোডে খড়গপুরগামী লেনের রাস্তার বাঁদিকে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা মা ও মেয়েকে ধাক্কা মারে একটি বেপরোয়া অ্যাম্বুলেন্স। উত্তেজিত জনতা এরপরেই ঘাতক অ্যাম্বুলেন্সে চড়াও হয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। দমকল আগুন নেভাতে এলে কর্মীদের বাধা দেন বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনায় আহত এক সাইকেল আরোহী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anis Khan) মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় বাংলার রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে আক্রান্ত আনিস খানের খুড়তুতো ভাই। শনিবার উলুবেড়িয়া (Uluberia) হাসপাতাল থেকে হঠাৎ ছুটি ঘোষণা সলমান খানের। আনিস খানের মূল সাক্ষী সলমান খান। উলুবেড়িয়া হাসপাতাল (hospital) থেকে শনিবার স্পষ্টত জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সলমানকে তিন-চার দিনের আগে সিসিইউ (CCU) থেকে ছাড়া যাবে না। এরপর হঠাৎই রবিবার সকালে কর্তৃপক্ষ জানায়, তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নই এখন সবার মনে। ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে এদিনই উপস্থিত হন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক ও সলমান খানের পরিবার।
প্রসঙ্গত, আনিস হত্যাকাণ্ডের পর আনিসের কাকার ছেলে অর্থাত্ সলমান ও তাঁর পরিবারের কাছে বারবার হুমকি আসছিল। বারবার আমতা থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করলে কোনও সুরাহা মেলেনি, ফলে হুমকির পর হুমকি শুনতে হয়েছে। এরপরই প্রাণঘাতী হামলা। পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার রাত ১ টা ৩০ মিনিট, সলমানের বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে বেশ কিছু দুষ্কৃতী। তারা চপার দিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত করে সলমানের। পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি সলমানকে নিয়ে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে যায়। সেখানে গুরুতর আহত হওয়ায় তাঁকে উলুবেড়িয়া মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
অভিযোগ ওঠে, বারবার এই হুমকির বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েও বলা কোনওরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ঠিক একই রকমভাবেই আনিসের মতই সলমানকেও সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। আনিস হত্যাকাণ্ডের পর প্রমাণ লোপাটের জন্যই আবার আনিসের কাকার ছেলের উপর এই হামলা, এমনটাই অনুমান পরিবারের। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিল পরিবার।
কেউ কথা রাখেনি। কেউ কথা রাখে না। শুধু প্রতিশ্রুতির গাজর ঝুলিয়ে পার হয় ভোট বৈতরণী। আর তাই দীর্ঘদিন ধরে বেহাল কাঠের সেতু দিয়ে জীবন হাতে নিয়ে ঝুকির নদী পারাপার। উলুবেড়িয়া(uluberia) ও শ্যামপুরের (shyampur) মধ্যে দামোদর (damodor) ও তার সংযোগকারী খালের ওপর কোলিয়া ও ভবানীপুরে তৈরি হয় ব্যক্তিগত মালিকাধীন দুটি কাঠের সেতু (wooden bridge)। সালটা ২০০২। যদিও এই সেতুদুটির কোনওটিরই আইনি বৈধতা (Legal validity) নেই। তবুও এই সেতুদুটির ওপর ভরসা করেই উলুবেড়িয়া, মাথাপাড়া রা মানুষরা যোগাযোগ বজায় রাখে শ্যামপুরের সঙ্গে। হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে, ছোটগাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স কিংবা পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করে এই দুর্বল সেতুর ওপর দিয়ে। এই সেতুর ভরসায় উলুবেরিয়া দক্ষিণ বিধানসভার (south uluberia assembly) চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত সহ আরও বেশ কিছু গ্রামের মানুষ দিন গুজরান করেন। সেতুর নীচ দিয়ে খেয়া পারাপার। জোয়ারের জল বাড়লে সেতুর তলা দিয়ে নৌকা চলাচলের জন্য সেতুটিকে খুলে দেওয়া হয়। সেতু পারাপার করতে প্রথমে ২৫ পয়সা করে নেওয়া হত। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ টাকায়। তা সত্ত্বেও সংগ্রীত টাকায় সেতুর মেরামত করা সম্ভব হয় না। জানালেন সেতু মালিক। স্বাভাবিক ভাবেই ভাঙছে সেতু। বিপদ বাড়ছে দিন দিন। এলাকার মানুষের দাবি একটি পাকা স্থায়ী সেতুর। প্রত্যাশা মত আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল বিধায়ক কালিপদ মণ্ডল। তাঁর বক্তব্য অনুমোদন হয়ে গেছে অতি দ্রুত পাকা সেতু পেতে চলেছে এলাকার মানুষ। ঠিক কী বললেন তিনি?
প্রতিদিন ধান্দালি, বেলাড়ি, বালুচাতুরি, মাথাপাড়া, কোলিয়া ভবানীপুর সহ আরও বেশ কয়েকটি গ্রামপঞ্চায়েতের (gram panchayet) প্রায় ২০ হাজার মানুষ এই সেতু পারাপার করেন। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে একজন মানুষ অবৈধ ভাবে এই সেতু দুটি থেকে শুল্ক আদায় করছেন। কীভাবে সম্ভব? তবেকি এর পিছনে রয়েছে সরকারি ছত্রছায়া? প্রশ্ন তুলছে হাওড়া গ্রামীণ বিজেপির প্রাক্তন সম্পাদক। ঠিক কী বললেন তিনি?
মোটের ওপর একটি বিষয় পরিস্কার। এই সেতু দুটি অবৈধ। কীভাবে প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে গড়ে উঠল এই দুই সেতু? কোন ভোজবাজিতে একজন মানুষ কীভাবে দীর্ঘ ২০ বছর এই সেতু থেকে শুল্ক আদায় করতে পারেন? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এই সেতু দুটি কংক্রিটের হলে এলাকার মানুষের দিনযাপন আরও সহজ হবে। বাড়বে ব্যবসা বানিজ্য। জীবন হয়ে উঠবে আরও গতিময়। আর তার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকেই।
অনুষ্ঠান বাড়িতে খাবার খেয়ে অসুস্থ (sick) একইসঙ্গে ৩৫ জন। ঘটনাটি রবিবার উলুবেড়িয়া (Uluberia) ২ ব্লকের জোয়ারগোড়ী নয়াচক মাখালপাড়ায়। ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা। বর্তমানে সকলেই চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন মাখালপাড়ার একটি অনুষ্ঠানে খাবার খেয়ে সন্ধ্যা থেকে বমি (vomiting) পায়খানা উপসর্গ দেখা দেয় কমবেশী প্রায় ৩৫ জনের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে উলুবেড়িয়া ২ বিডিও অতনু দাস। তিনি খবর দেন স্থানীয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী। তারা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। জানা যায়, অসুস্থদের মধ্যে ৭ জন শিশু ও ১৫ জন মহিলা সহ মোট ৩৫ জন অসুস্থ হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জনকে উলবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে।
চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারণা, খাবারের বিষক্রিয়া হয়ে অসুস্থ হয়েছে এত মানুষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিষয়টি।
আরও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির (property) হদিস পার্থ (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ প্রসন্নকুমার রায়ের (Prasannakumar Roy)। এবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়ের হোটেলের (hotel) খোঁজ মিলল উলুবেড়িয়া (Uluberia) গাদিয়াড়ায়। প্রায় দুই থেকে তিন বছর আগে এই হোটেলটি কিনেছিলেন প্রসন্ন। উলুবেড়িয়া গাদিয়ায় হোটেলটির নাম বর্তমানে চলন্তিকা রিসোর্ট। শ্রী দুর্গা ডেলকম প্রাইভেট লিমিটেড নামে। হোটেলে এসে খোঁজখবর নিলে জানা যায়, হোটেলের মালিককে কখনও দেখেননি কর্মচারীরা। বর্তমানে কে ম্যানেজার, তাও তাঁরা জানেন না। তবে হোটেল নেওয়ার পর থেকে প্রায় সময়ই নামিদামি গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন গেস্ট আসতো এখানে। গাদিয়াড়া চলন্তিকা রিসোর্টটি প্রায় সাড়ে আট থেকে দশ বিঘা জমির উপর বিলাসবহুল তৈরি।
এছাড়াও, কয়েক কাটা বা কয়েক বিঘা নয় ১৮৩ একর জায়গাজুড়ে রিসোর্ট এবং খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছিল। এই সমস্তটাই বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট করে করা হয়েছিল বলে জনস্বার্থ মামলা হয়, উচ্চ আদালতে এরপরই নির্দেশ দেওয়া হয় বিধাননগর পুরনিগমকে যাতে এই জলাভূমিগুলিকে উদ্ধার করা হয়। এই মুহূর্তে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিসের উপস্থিতিতে বিধাননগর পুর-নিগম সেই জলাভূমিগুলিকে পুনরুদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে। আর এই রিসোর্ট এবং খেলার মাঠ তৈরি করার দায়িত্বে ছিলেন প্রসন্নকুমার রায়ের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীবলাল ধর। রাজীবলাল ধর এর আগে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিল, প্রাইমারি শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার চক্রে মাথা ছিল বলে অভিযোগ রাজীব লাল ধরের বিরুদ্ধে।
বিধাননগর পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড ছয়নাবি কুলিপাড়া এলাকায় শুধুমাত্র দুর্নীতির টাকা খাটিয়ে সম্পত্তি বিস্তার নয় বেআইনিভাবে একাধিক জলাভূমিও ভরাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এখানে কাজ করতে আসা কর্মীদের দাবি, দীর্ঘ বছর ধরে চলছে এই কাজ, জলাভূমি ভরাট করা হয়েছে, সেখানে রিসোর্ট এবং খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছে। এগুলো কি কারও চোখে পড়লো না পুলিস-প্রশাসন বা পুরনিগম আধিকারিক ও জন প্রতিনিধিদের।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে সাড়ে চার লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে। গঙ্গারামপুর থানায় এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে৷ এই মামলায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল মাথা হিসাবে নাম উঠে আসে রাজীব লালধর নামে এক ব্যক্তির। তাকেও পরবর্তী সময় অর্থাৎ চলতি বছরের মার্চ মাসে নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। আর এই রাজীব লাল ধর তিনি হলেন প্রসন্নকুমার রায়ের ঘনিষ্ঠ। বিধাননগরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১৮৩ একর জলাভূমি ভরাট করে রিসোর্ট এবং খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছিল, সূত্রের খবর, রাজিব লাল ধর এর এই রিসোর্ট এবং খেলার মাঠ তৈরি করার মূল দায়িত্বে ছিল।