
অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল রাজস্থানের উদয়পুর থেকে জয়পুরগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (vande Bharat Express)। সূত্রের খবর, রেললাইনে রাখা ছিল পাথর, লোহার রড। তবে চালকের তৎপরতায় বেঁচে যান রেলযাত্রীরা। আপৎকালীন ব্রেক কষেন তিনি। এতেই বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় তাঁরা। কারণ রেললাইনের উপর তাঁর নজর না পড়লেই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হতে পারত।
সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট নাগাদ উদয়পুর থেকে জয়পুরগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি যাওয়ার সময় ট্রেন চালক রেললাইনে লোহার রড, পাথর দেখতে পান। জানা গিয়েছে, চিতরগড়ের কাছে গঙ্গরার এবং সোনিয়ানা স্টেশনের মাঝে লাইনে রাখা ছিল পাথর, লোহার রড। আর তা দেখেই তড়িঘড়ি ট্রেন থামান চালক। এর পরই রেলের কন্ট্রোলে খবর দেন তিনি। রেলকর্মীরা এসে লাইনের উপর থেকে পাথর সরিয়ে দেন। রেললাইনে পাথর ও লোহার রড গেঁথে রাখার সেই দৃশ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
রেলসূত্রে খবর, উত্তর-পশ্চিম রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, খবর পেয়েই রেলের উচ্চপদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। কারা লাইনের উপরে পাথর, লোহার রড রাখল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ফের ট্রেনে আগুন (Train Fire)! সূত্রের খবর, শনিবার দুপুরের দিকে খাজুরাহো-উদয়পুর ইন্টারসিটি ট্রেনের (Khajuraho Udaipur intercity train) ইঞ্জিন থেকে আচমকাই ধোঁয়া বেরতে থাকে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) গোয়ালিওরে। জানা গিয়েছে, ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার পরই ট্রেন থেকে ধোঁয়া বেরতে থাকে। এরপর ট্রেনটি সিথৌলি রেলওয়ে স্টেশনে থামানো হয় ও যাত্রীদের ট্রেন থেকে নিরাপদে নামিয়ে নেওয়া হয়। কোনও হতাহতের খবর আসেনি। আজ অর্থাৎ শনিবার সকালেও খবরে এসেছিল, উদয়ন এক্সপ্রেসে আগুন লেগে ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছে। এই দুর্ঘটনাতেও সবাই নিরাপদে ছিলেন বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, শনিবার খাজুরাহো-উদয়পুর ইন্টারসিটি ট্রেনটি গোয়ালিওর স্টেশন থেকে রওনা দেওয়ার পরই সিথৌলি স্টেশনে থামিয়ে দেওয়া হয়। হঠাৎই ট্রেন থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখেই ট্রেন থামানো হয় ও যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। তৎক্ষণাৎ সেখানে পৌঁছে যায় দুটি দমকল বাহিনী ও রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের আধিকারিকরা।
যদিও পরে রেল কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে শুধুমাত্র ধোঁয়াই বেরচ্ছিল। সেখানে কোনও আগুন লাগেনি। তবে খুব শীঘ্রই সেই ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। যাত্রীরা সকলেই সুরক্ষিত। অন্যদিকে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকার জন্য যাত্রীরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, ট্রেন থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখে ট্রেন থামানো হয়। ফলে তাঁদের প্রায় দু'ঘণ্টা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। পরে যদিও ট্রেনের ইঞ্জিন পরিবর্তন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।