বর্তমান বিশ্বে অন্যতম বড় সমস্যা মুদ্রাস্ফীতি (Inflation)। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির হারের নিরিখে দেশগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিসটিক্স (World of Statistics)। যেখানে মুদ্রাস্ফীতির হারের নিরিখে বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা (Argentina)। গত মাসে আর্জেন্টিনার বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ১০০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। আর্জেন্টিনার মুদ্রাস্ফীতি সূচকের বৃহত্তম অংশ হল খাবারের দাম। যা এক মাস আগের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মুদ্রাস্ফীতির তালিকায় আর্জেন্টিনার পরই রয়েছে তুরস্ক। ভারত ১০ নম্বর তালিকায়। কোন দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার কত, দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিসটিক্স-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মুদ্রাস্ফীতির হারের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। সেখানে জিনিসের দাম এক বছর আগের থেকে ১০২.৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তুরস্ক (৫৫.১৮)। এই দুই দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার অত্যাধিক বেশি। এরপর অবশ্য দেশগুলির মুদ্রাস্ফীতির হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া (১১ শতাংশ), এরপর যথাক্রমে ব্রিটেন (১০.১ শতাংশ), ইতালি (৯.২ শতাংশ), জার্মানি (৮.৭ শতাংশ)। অস্ট্রেলিয়া রয়েছে অষ্টম স্থানে (৭.৮ শতাংশ)। তালিকার দশম স্থানে রয়েছে ভারত, মুদ্রাস্ফীতির হার ৬.৪৪ শতাংশ।
উল্লেখ্য, এই বছরে রয়েছে আর্জেন্টিনায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ফলে মুদ্রাস্ফীতি একটি কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে উঠেছে। দেশের শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দল মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে ভোটারদেরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
ফের ভূমিকম্প (Earthquake)। এবার কম্পন অনুভূত হয়েছে জাপানে (Japan)। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। শনিবার গভীর রাতে কেঁপে ওঠে জাপানের হোক্কাইড শহর। যার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়।
এখনও পর্যন্ত তেমন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। যদিও ভূমিকম্প প্রবণ এলাকার মধ্যেই পড়ে জাপান। এর থেকেও বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়ে থাকে এখানে। সেই সঙ্গে সুনামিও হতে দেখা গিয়েছে। তবে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প নেহাত কম নয়। হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি কিছুদিন ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল চিন-আফগানিস্তান তাজিকিস্তান সীমান্ত। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্প কেঁপে ওঠে তুর্কি ও সিরিয়া। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। শক্তিশালী সেই ভূমিকম্পে কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে দুই দেশ। ভূমিকম্পের জেরে চোখের নিমেষে ভেঙে পড়ে একের পর এক বাড়ি। গোটা বিশ্বজুড়ে এভাবে ভূমিকম্পের ফলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে সকলের মধ্যে।
তুরস্ক ও সিরিয়ার (Turkey and Syria) ভয়াবহ ভূমিকম্পের (Earthquake) রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ব। কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে দুটি দেশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৫০ হাজার। একের পর এক অট্টালিকা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে। তার মধ্যে সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড কেঁপে উঠেছিল ভূমিকম্পে। এবার ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হল ফিলিপিন্সে (Philippines)। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কেঁপে ওঠে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্র। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে আফটার শকের সতর্কতা জারি করা হয়। এর জেরে বড় রকমের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ২টো নাগাদ কেঁপে ওঠে ফিলিপিন্সের মাসবাতে প্রদেশ। মধ্যরাতে ভূমিকম্প হওয়ায় ঘুম ভেঙে যায় বাসিন্দাদের। গোটা এলাকা কাঁপতে থাকায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী।
ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১ কিমি গভীর ছিল এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। মাসবাতে প্রদেশের পুলিস প্রধান রোলি আলবানা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের তীব্রতা যথেষ্ট বেশি ছিল। যখনই এমন ধরনের ভূমিকম্প ফিলিপিন্সের মতো দ্বীপরাষ্ট্রে হয়, তখনই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। যদিও বৃহস্পতিবারের কম্পনের পর সেই সতর্কতা জারি করা হয়নি।
তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে একের পর এক বহুতল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চাপা পড়ে প্রাণ গিয়েছে অসংখ্য মানুষের। তুর্কি যেন এখন এক মৃত্যুপুরী। সোমবার ভয়াবহ ভূমিকম্পের (Earthquake) জেরে তছনছ হয়েছে তুরস্ক (Turkey) ও সিরিয়া (Syria)। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮। এছাড়া ৭.৬, ৬ মাত্রায় আরও দু'বার ভূমিকম্প বা আফটার শকে কেঁপেছে এই দুই পড়শি দেশ। ফের মঙ্গলবারও দু'বার কেঁপে ওঠে তুর্কি-সিরিয়া সীমান্ত। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, তুর্কি এবং সিরিয়া মিলিয়ে প্রায় ২৮ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। আহতের সংখ্যা গণনা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
জানা গিয়েছে, তুরস্কে ২৪,৬১৭ জন এবং সিরিয়ায় ৩,৫৭৪জন মারা গিয়েছে। এখনও ধ্বংসস্তূপের তলায় যত দেহ চাপা পড়ে আছে, তা উদ্ধার করা গেলে মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলতে পারে আধ লক্ষ।
চারিপাশে হাহাকার, কান্নার রোল। বাঁচার জন্য কাতর আর্তি। অসংখ্য ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে শত শত মানুষের লাশ। আবার কেউ কেউ বাঁচার জন্য কাতরাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৩৯ সালেও ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপেছিল তুরস্ক।
প্রবল ভূমিকম্পে মৃত্যুপুরীতে পরিণত তুর্কি (Turkey Earthquake) ও সিরিয়া (Syria)। গত চারদিনে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২১ হাজার। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক মৃতদেহ। কার্যত মৃত্যু (Death) মিছিল। চারদিকে কেবল হাহাকার, কান্নার শব্দ। ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে থাকাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে বাহিনী। মৃতের সংখ্যা যে ক্রমশ বাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আহতের সংখ্যা ৭৫,০০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যেই প্রাণের সন্ধান পেলেন উদ্ধারকারীরা। ধ্বংসস্তূপের নীচে সদ্যোজাতকে উদ্ধার করলেন তাঁরা। উদ্ধার হল একটি পোষ্য।
একজন ভারতীয় নিখোঁজের খবর পাওয়া গিয়েছে। আরও ৭ ভারতীয়ের আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তুরস্কে ৬ বছরের এক কিশোরীর জীবন বাঁচিয়েছে এনডিআরএফ দল। ভিডিওটি টুইট করে এনডিআরএফ দলের কাজের প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
একেবারে ধ্বংসস্তূপে পরিণত দেশটি। চারিদিকে শুধু কান্নার রব আর খাবারের জন্য আর্তনাদ। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। শৈতপ্রবাহের জেরে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজও। যদিও ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। ভূমিকম্পে বিধ্বস্তদের জন্য চিকিৎসার পাশাপাশি খাবার, জলও পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভূমিকম্পের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ায়, ধ্বংসস্তূপ থেকে কাউকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করার সম্ভাবনা কম।
৭.৮, ৭.৬, ৬, পরপর তিন-তিনটে ভূমিকম্পে সোমবার কেঁপে উঠেছিল তুর্কি (Turkey Earthquake)। আর তাতেই কার্যত ধ্বংস হয়ে গেল তুর্কির একাধিক শহর। ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়াও (Syria)। মঙ্গলবারও দু'বার কেঁপে ওঠে তুর্কি-সিরিয়া সীমান্ত। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, তুর্কি এবং সিরিয়া মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আর আহতের সংখ্যা জানা গিয়েছে ৭০ হাজার ছুঁইছুঁই।
তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে একের পর এক বহুতল। রাস্তায় সারিবদ্ধ লাশ। তিন মাসের জন্য এমারজেন্সি ঘোষণা করা হয়েছে তুর্কিতে। সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান। তিনি জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে ৫৪ হাজার তাবুর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ১ লাখ ২ হাজার শয্যার আয়োজন করা হয়েছে। পাঁচ হাজার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্য উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
চারিপাশে হাহাকার, কান্নার রোল। বাঁচার জন্য কাতর আর্তি। অসংখ্য ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে শত শত মানুষের লাশ। আবার কেউ কেউ বাঁচার জন্য কাতরাচ্ছেন। এদিকে বিপর্যস্ত দেশের পাশে দাঁড়াতে ইতিমধ্যেই ভারতের দু’টি উদ্ধারকারী দল তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছে।
প্রকৃতির রুদ্র রূপের কাছে মানুষ বড্ড অসহায়। জীবন একেবারেই অনিশ্চিত। আর তা আরেকবার প্রমাণ করে দিল তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্প (Earthquake)। একের পর এক বিধ্বংসী ভূমিকম্পে কার্যত নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে তুর্কি। চোখের নিমেষে ভেঙে পড়েছে সুউচ্চ অট্টালিকা। তুর্কি যেন এখন এক মৃত্যুপুরী। সোমবার ভূমিকম্পের জেরে তছনছ হয়েছে তুরস্ক (Turkey) ও সিরিয়া (Syria)। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮। এছাড়া ৭.৬, ৬ মাত্রায় আরও দু'বার ভূমিকম্প বা আফটার শকে কেঁপেছে এই দুই পড়শি দেশ। মঙ্গলবারও দু'বার কেঁপে ওঠে তুর্কি-সিরিয়া সীমান্ত। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, তুর্কি এবং সিরিয়া মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আর আহতের হিসেব রাখা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, প্রকৃতির এই ধ্বংলীলার জেরে দেশটির ভৌগলিক অবস্থানগত পরিবর্তন হয়েছে গত কয়েকঘণ্টায় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা জানিয়েছেন, তিন মিটার সরে গিয়েছে দেশটি। ইটালির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ জিওফিজিক্স অ্যান্ড ভলক্যানোলজির প্রেসিডেন্ট কার্লো ডগলিনি বলেন, "আনাটোলিয়ান প্লেট থেকে আরব প্লেটের দূরত্ব তিন মিটার বেড়ে গিয়েছে। উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে এই আরব প্লেট তিন মিটার পর্যন্ত সরে গিয়েছে।" ফলে বলা যায়, বিশ্ব মানচিত্রে বদল এনে দিল প্রকৃতির এই খেল।
পাশাপাশি বেসামাল তুরস্কর প্রতি সাহায্য়ের হাত বাড়িয়েছে ভারত। বুধবার তুরস্কের আদানা শহরে পৌঁছেছে ভারতের পাঠানো প্রথম দফার ত্রাণসাহায্য। সেই সঙ্গে মেডিকেল টিম, অর্থোপেডিক সার্জিক্যাল টিম, জেনারেল সার্জিক্যাল স্পেশালিস্ট টিম, মেডিকেল স্পেশালিস্ট টিম-সহ ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হয়েছে। একটি ৩০ শয্যা বিশিষ্ট চিকিৎসা সুবিধা স্থাপনের জন্য দলগুলো এক্স-রে মেশিন, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্ট, কার্ডিয়াক মনিটর এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত রয়েছে।
তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে একের পর এক বহুতল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চাপা পড়ে প্রাণ গিয়েছে অসংখ্য মানুষের। তুর্কি যেন এখন এক মৃত্যুপুরী। সোমবার ভয়াবহ ভূমিকম্পের (Earthquake) জেরে তছনছ হয়েছে তুরস্ক (Turkey) ও সিরিয়া (Syria)। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮। এছাড়া ৭.৬, ৬ মাত্রায় আরও দু'বার ভূমিকম্প বা আফটার শকে কেঁপেছে এই দুই পড়শি দেশ। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের মঙ্গলবার সকালে কম্পন অনুভূত হল তুরস্কে। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভিস (US Geological Service) জানাচ্ছে, এদিন সকালে ৫.৬ রিখাটার স্কেল মাত্রার একটি কম্পন হয়েছে তুর্কিতে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, সোমবারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ হাজার। আহত ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি এবং তুষারপাত। ফলে ব্যাহত উদ্ধারকাজ। পাশাপাশি বেসামাল তুরস্কর প্রতি সাহায্য়ের হাত বাড়িয়েছে ভারত। ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে সমন্বয় করে পাঠানো হয়েছে খাদ্য-জল। আগ্রা-ভিত্তিক আর্মি ফিল্ড হাসপাতাল ৮৯ সদস্যের একটি মেডিকেল দল পাঠিয়েছে। এই দলে অন্যান্য মেডিকেল টিম ছাড়াও অর্থোপেডিক সার্জিক্যাল টিম, জেনারেল সার্জিক্যাল স্পেশালিস্ট টিম, মেডিকেল স্পেশালিস্ট টিম সহ ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হয়েছে। একটি ৩০ শয্যা বিশিষ্ট চিকিৎসা সুবিধা স্থাপনের জন্য দলগুলো এক্স-রে মেশিন, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্ট, কার্ডিয়াক মনিটর এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত রয়েছে।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে ফোন করে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন। তিনি টুইটে বলেন, "তুর্কি এবং সিরিয়াতে প্রকৃতির যে ধ্বংসলীলা চলেছে, তাতে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আমি গভীরভাবে মর্মাহত। তুর্কির পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে আমেরিকা। একটি মনিটরিং টিম তৈরি করা হয়েছে এর জন্য।"
প্রসঙ্গত, ১৯৩৯ সালেও ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপেছিল তুরস্ক। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় ছড়িয়েছে বিপর্যয়ের দৃশ্য। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে বিল্ডিংগুলির আর কোনও অস্তিত্ব নেই। চারদিকে কেবল ধ্বংসস্তূপ। প্রাণ বাঁচানোর আশায় স্থানীয়দের ছোটাছুটি করতেও দেখা যাচ্ছে। উদ্ধারকাজে এগিয়ে এসেছে দমকলকর্মী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
সোমবার ভয়াবহ ভূমিকম্পের (Earthquake) জেরে তছনছ তুরস্ক (Turkey) ও সিরিয়া (Syria) । রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮। মৃতের সংখ্যা ২০০ অতিক্রান্ত।
তুরস্ক মিডিয়ার পক্ষ থেকে ১০০ জনের মৃত্যু ও ৪৪০ জনের গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের জেরে একটি ১৬তলা বিল্ডিং-এ ধস নামে। তুরস্কের রাজধানী আনকারা থেকে ৪৬০ কিমি দূরে এই ভূমিকম্পের উৎস বলে জানা গিয়েছে। ভূমিকম্পের তরঙ্গের গতি এতই বেশি ছিল যে, সাইপ্রাস ও লেবাননেও কম্পন অনুভূত হয়। উত্তর সিরিয়ায় মারা গিয়েছেন ৯৯ জন, গুরুতর আহত হয়েছেন প্রায় ৩৩৪ জন।
প্রসঙ্গত, ১৯৩৯ সালেও ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপেছিল তুরস্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় ছড়িয়েছে বিপর্যয়ের দৃশ্য। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে বিল্ডিংগুলি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে। প্রাণ বাঁচানোর আশায় স্থানীয়দের ছোটাছুটি করতেও দেখা যাচ্ছে। উদ্ধারকাজে এগিয়ে এসেছে দমকলকর্মী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী দল উপস্থিত হয়েছে। বিল্ডংগুলির ধ্বংসস্তুপের নীচে কেউ বেঁচে আছেন কিনা তা খোঁজ নেওয়া হবে।
প্রত্যেকদিন ইন্টারনেটে ভাইরাল (Viral Video) হয়ে চলেছে বহু ঘটনা। কেউ কেউ মারণরোগ ক্যান্সারের (Cancer Treatment) সঙ্গে কীভাবে লড়াই করছেন, সেই বিষয়টি ভাগ করে নেয় সকলের সঙ্গে, আবার কেউ কেউ নিজেদের প্রিয়জনের এই রোগের সঙ্গে সংগ্রামের প্রসঙ্গ বিশ্লেষণ করেন সামাজিক মাধ্যমে। তেমনই তুরস্কের (Turkey Hospital) এক হাসপাতালে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের উৎসাহিত করার জন্য নেওয়া পদক্ষেপের ভিডিও নেটিজেনদের মন কেড়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের একটি বেলুন দিয়ে সাজানো ব্যাটারিচালিত গাড়ি দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার জন্য সেই গাড়িতে চেপে চিকিৎসা রুমে যাবেন তারা। তুরস্কের ক্যাসেরি শহরের একটি হাসপাতালের এই মনমুগ্ধকর ভিডিও চোখে জল এনে দিয়েছে নেটিজেনদের।
(VIDEO) Turkish hospital gives children electric cars to drive to cancer treatment
— ANADOLU AGENCY (@anadoluagency) February 1, 2023
At a hospital in Turkish city of Kayseri, children with cancer can get on mini battery-operated cars, instead of a stretcher, to go to their treatment room pic.twitter.com/0GjmsKeTac
এরিক্স হাসপাতালের কণিকা অ্যাসোসিয়েশান এবং শিশুরোগের অনকোলজি বিভাগীয় প্রধান মুসা কারাকুরুকচু নামে এক চিকিৎসকের আবেদনে আন্দুলু এজেন্সির পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে চিকিৎসকের দাবি,'মোট ৬টি ব্যাটারিচালিত গাড়ি শিশুদের দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চিকিৎসার জন্য অনিচ্ছুক বাচ্চারা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা এমআরআই স্ক্যানের সময় আনন্দ সহকারে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন গাড়ি চালিয়ে।' আন্তরিকতায় ভরা এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার 'ভুয়ো খবরের' মাঝেও মন জোগাচ্ছে নেটিজেনদের।