তেল চুরি বন্ধ করতে ই-লকিং সিস্টেম শুরু করেছে রাস্তায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। তারপরও প্রযুক্তিকে হার মানিয়ে অবাধে জ্বালানি তেল কাটিং চলছে দুর্গাপুর কাঁকসার বিলপাড়া বসুধা অঞ্চলে। গোপন ক্যামেরায় ছবি হচ্ছে দেখে চম্পট দেয় অবৈধ কারবারিরা।
প্রথমে বাহারি রঙের ত্রিপল দিয়ে ঢেকে ফেলা হচ্ছে চারপাশ। এরপর সেখানে ঢোকানো হচ্ছে জ্বালানি তেল ভর্তি ট্রাক। এরপর গ্যাস কাটার দিয়ে জ্বালানি তেল ভর্তি গাড়ির ওপরের ঢাকনার লোহার রড কেটে চলছে তেল চুরি। প্রযুক্তিকে হার মানিয়ে অবাধে জ্বালানি তেল কাটিং চলছে দুর্গাপুর কাঁকসার বিলপাড়া বসুধা অঞ্চলে। গোপন ক্যামেরায় ছবি হচ্ছে দেখে চম্পট দেয় অবৈধ কারবারিরা।
পেট্রোল পাম্পে ঢোকার আগেই তেল চুরির ঘটনা নতুন নয়। তেল চুরিতে লাগাম লাগাতে ইতিমধ্যেই ই-লকিং সিস্টেম শুরু করেছে রাস্তায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। সেই প্রযুক্তি অনুযায়ী, তেল টার্মিনাল থেকে জ্বালানি তেল ভর্তি ট্রাক বেরোনোর পর সেই গাড়ি নির্দিষ্ট ডিলারের পাম্পে ঢোকা মাত্রই ওটিপি পৌঁছোয় ডিলারের মোবাইল নম্বরে। সেই ওটিপি দেওয়ার পরই খোলে জ্বালানি তেল ভর্তি সেই গাড়ির ই-লকিং সিস্টেম।
কিন্তু এতকিছুর পরও কীভাবে চলছে তেল চুরি? উন্নত প্রযুক্তিকে কীভাবে হার মানাচ্ছে এই তেল ব্যবসায়ীরা? অবৈধ তেল চুরির এই টাকা পৌঁছোচ্ছে কাদের পকেটে? প্রযুক্তি বাড়বে যত, ততই উন্নত হবে চুরির পদ্ধতিও। তবে এই নিয়ে এখনও কেন কড়া নয় প্রশাসন? ভোট রাজনীতির প্যাঁচে সঠিক পদক্ষেপ নিতেও পিছোচ্ছে সরকার?
ট্রাকের ধাক্কায় পড়ে মৃত্যু হল মা ও সন্তানের। ঘটনায় আটক অভিযুক্ত ট্রাক চালক ও খালাসী। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানার যশোর রোডের ওপর বি এস এফ ক্যাম্প মোড়ে। ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে দুটি ক্রেনের দ্বারা মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। এখনো পর্যন্ত মৃত মহিলা ও শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি৷
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে খবর, এদিন সকালে রাস্তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মা ও সন্তান। সেই সময় আচমকা একটি ট্রাকের ধাক্কায় চাকার তলায় পড়ে যায় মা ও তাঁর বছর ছয়ের সন্তান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। স্থানীয়দের অভিযোগ, ট্রাক চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মা ছেলেকে চাপা দেয়৷ আরও অভিযোগ সিভিক পুলিস থাকা সত্ত্বেও কী করে এই ঘটনা ঘটে। রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করেছেন স্থানীয়রা। এরপর খবর পেয়ে বিশাল পুলিস বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে৷
বুধবার ভোরেও ফের বাস দুর্ঘটনায় (Bus Accident) মৃত্যু হল ১১ জনের। ঘটনাটি রাজস্থানের (Rajasthan) ভারতপুরের। সূত্রের খবর, বুধবার ভোরে মাঝ রাস্তায় হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে একটি যাত্রীবোঝাই বাস। ফলে বাস থামিয়ে চালক ও সহকারী তা সারাই করার জন্য চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ পিছন থেকে এসে সজোরে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। মুহূর্তের মধ্যে দুমড়ে-মুচড়ে যায় বাসটির পিছনের অংশ। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১১ জনের। গুরুতর আহত অবস্থায় ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ১৩ সেপ্টেম্বর, বুধবার ভোর সাড়ে ৪ টা নাগাদ রাজস্থানের ভারতপুরে জয়পুর-আগ্রা জাতীয় সড়কে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, বাসটি গুজরাট থেকে মথুরা যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ বাসটিতে কোনও সমস্যা হলে বাসটিকে রাস্তার ধারে থামানো হয়। সারাই করার চেষ্টা করছিলেন বাসের চালক ও সহকারী। কিন্তু আচমকা পিছন থেকে এসে সজোরে বাসটিতে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। ফলে মুহূর্তের মধ্যে বাসের পিছন দিক ভেঙে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে দুর্ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৬ জন মহিলা ও ৫ জন পুরুষ-সহ মোট ১১ জন যাত্রী। প্রাথমিক উদ্ধারকাজ হওয়ার পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে।
এই দুর্ঘটনার পরই শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের পরিবারদের ২ লক্ষ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।
ফের ভূমিধস ভূস্বর্গে (Jammu & Kashmir)। এবারে জম্মু-কাশ্মীরের জাতীয় সড়কে ধস (Landslide) নামে। আর যার জেরে রাস্তা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যু হল চারজনের। সূত্রের খবর, ধস নামার ফলে বড় পাথরে ধাক্কা খেয়ে পিছলে খাদে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই একটি ট্রাক। ঘটনায় মৃত্যু হয় ৪ জনের। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের রামবান জেলার বানিহালে (Banihal)।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের বানিহালের শের বিবির কাছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আচমকা ধস নামার ফলে পাহাড়ের গা বেয়ে গড়িয়ে আসে একটি বড় আকারের পাথর। আর সেই পাথরে ধাক্কা খেয়ে পিছলে গিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায় ট্রাকটি। ট্রাকটিতে চালক-সহ মোট ৪ জন ছিলেন। ঘটনাস্থলেই সকলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামবানের ডেপুটি কমিশনার। খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিস ও উদ্ধারকারী দল। তারাই ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহতদের উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য দেহগুলি বানিহাল হাসপাতালে পাঠায়।
ভূমিধস ও এই দুর্ঘটনার জেরে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজট হয়েছে। যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিস। ফলে জাতীয় সড়কের মাঝে আটকে পড়েছে একাধিক গাড়ি। এর ফলেই ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পরই জাতীয় সড়ক খোলা হবে বলে পুলিস জানিয়েছে। ট্রাফিক পুলিস জানিয়েছে, 'বানিহালে ভূমিধসের কারণে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক বন্ধ করা হয়েছে। দুই দিকেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। লোকেদের ট্রাফিক কন্ট্রোল ইউনিট থেকে নিশ্চিতকরণ ছাড়া জাতীয় সড়ক ৪৪-এ ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।'
আবারও প্রকাশ্যে রান অ্যান্ড ড্র্যাগের (Dragged) ঘটনা। দ্রুতগতিতে ছুটে চলেছে ট্রাক। আর তার সামনে নীল রঙের একটি গাড়ি হিঁচড়ে নিয়ে চলেছে। গাড়ির মধ্যে সেসময় ছিলেন দুই শিশু সন্তান সহ এক দম্পতি। জানা গিয়েছে, তাঁরা নয়ডার বাসিন্দা। প্রায় ২ কিলোমিটার গাড়িটিকে নিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে পুলিসি তৎপরতায় প্রাণে বাঁচেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আগ্রা-মুম্বই হাইওয়েতে (Agra-Mumbai highway)। ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে।
পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার দিন আগ্রা-মুম্বই হাইওয়ে ধরে মধ্যপ্রদেশের ঢোলপুরে যাচ্ছিলেন উত্তরপ্রদেশের নয়ডার অমরভূষণ জৈন, স্ত্রী কবিতা এবং তাঁদের দুই সন্তান। অমর সিকন্দপুর শহরের কাছে ট্রাকটিকে ওভারটেক করে। আর তখনই ট্রাকটি পিছন থেকে গাড়িটিকে ধাক্কা মারে। ট্রাকের সামনের অংশে গাড়িটি আটকে যায়। ওই অবস্থায় ট্রাকটি আরও গতি বাড়িয়ে এগোতে থাকে। গাড়ির ভিতর থেকে চিৎকার করতে থাকেন কবিতা ও তাঁদের দুই সন্তান। পুরো ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে।
স্থানীয়রা চেষ্টা করেও ট্রাকটিকে থামাতে না পেরে পুলিসে খবর দেন। পুলিস এসে ট্রাকটিকে থামায়। গ্রেফতার করে ট্রাকচালককে। এরপর ওই দম্পতি ও শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিস। অমর ও সন্তানরা সামান্য চোট পেলেও, স্ত্রী কবিতা মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার সকালে পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু হল এক পুলিসকর্মীর (Delli Police)। সূত্রের খবর, দিল্লির (Delhi) রোহতাক রোডে পাঞ্জাবি বাগ এলাকায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এক পুলিসকর্মীকে পিষে দিয়ে চলে যায় একটি ট্রাক (Truck)। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায় ট্রাকের চালক। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
সূত্রের খবর, মৃত পুলিস কর্মীর নাম জগবীর সিং। তিনি দিল্লি পুলিসের 'সিকিউরিটি ইউনিট'-এ কর্মরত ছিলেন। পুলিস সূত্রে খবর, রবিবার সকালে দিল্লির মাদিপুর মেট্রো স্টেশনের কাছে রোহতাক রোডে তাঁর গাড়ি যান্ত্রিকগত ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায়। চলন্ত গাড়ি হঠাৎ বিকল হয়ে পড়লে জগবীর সিং গাড়ি থেকে বেরিয়ে বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময়ই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁর গাড়িকে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে ও তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় ঘাতক ট্রাকের চালক। ইতিমধ্যেই এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিস। পলাতক ট্রাক চালককেও খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
ফের ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু হল কমপক্ষে ১৫ জনের। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ধুলে জেলায় ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। সূত্রের খবর, মুম্বই-আগ্রা হাইওয়েতে একটি কনটেইনার ট্রাক সজোরে একটি চার চাকার গাড়িকে ধাক্কা মেরে রাস্তার ধারে থাকা এক ধাবায় ঢুকে পড়ে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন ১০ জন। মনে করা হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই ট্রাকটি ধাক্কা মারে চার চাকার গাড়িটিকে, এরপর ঢুকে পড়ে ধাবায়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার ১০ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ধুলের মুম্বই-আগ্রা হাইওয়েতে পলাসনার গ্রামের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই জায়গাটি মুম্বই থেকে ৩০০ কিমি দূরে অবস্থিত। এই দুর্ঘটনার পর এই হাইওয়ের ফুটেজটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সেই ভিডিওতেই দেখা যায়, হাইওয়েতে দ্রুত গতিতে একটি কনটেইনার ট্রাক ছুটে আসে ও একটি সাদা রংয়ের গাড়িকে সজোরে ধাক্কা মারে। এরপর পাশের এক ধাবায় ঢুকে পড়ে। এরপরই চারিদিক ধুলোতে ভরে যায় ও দেখা যায়, চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে দেহ।
এই দুর্ঘটনার পরই আহতদের তড়িঘড়ি শিরপুর ও ধুলের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, মৃতের সংখ্যা ১০, তবে পরে জানা যায় এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫ জনের।
ট্রাকের ধাক্কায় বাইক আরোহী যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে ধুন্ধুমার কাণ্ড শিলিগুড়িতে (Siliguri Accident)। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু (Youth Death) হয় এক যুবকের। এই ঘটনায় জখম আরও দুই। তাঁরা উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনা চাউর হতেই জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ঘাতক ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন। ঘটনাস্থলে পুলিস আসলে তাঁদের উদ্দেশে পাথর ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠিচার্জ করেছে পুলিস, জখম হয়েছেন দুই পুলিসকর্মী।
জানা গিয়েছে, শনিবর সকালে শিলিগুড়ির সাউথ কলোনি গাটপাড়া এলাকার তিন যুবক একটি বাইকে চেপে কাজের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকা আচমকাই ধাক্কা মারে সেই বাইকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক যুবকের, বাকি দু'জন জখম হন। গুরুতর অবস্থায় তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন ট্রাক চালক। ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। পুলিস বাধা দিতে গেলে স্থানীয়রা পাথর ছুড়তে শুরু করেন।
ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এনজেপি থানা এলাকার অধীন সাউথ কলোনি এলাকা। যদিও শেষ অবধি পুলিসি তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনও থমথমে গোটা এলাকা। মোতায়েন বিশাল পুলিস বাহিনী।
ফের সড়ক দুর্ঘটনা (Road Accident)। বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর জখম হলেন ১৫ জন বাস যাত্রী। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুর থানার জয়রামবাটি এলাকায়। ঘটনায় আহত বাস যাত্রীদের উদ্ধার করে কামারপুকুর হাসপাতালে (Hospital) পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান থেকে একটি যাত্রী বোঝাই বাস বাঁকুড়ার দিকে যাচ্ছিল। জয়রামবাটির কাছে রাস্তার একটি বাঁক ঘুরতেই আচমকা উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। ঘটনায় বাসের সামনের অংশ একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
প্রাথমিক ভাবে স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করেন। অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায়, আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন যানবাহনে করে নিয়ে যাওয়া হয় কামারপুকুর হাসপাতালে। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তায় যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ওই বাঁকের মুখে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। বহুবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। প্রশাসনের তরফে রাস্তার অবস্থা দেখে গেলেও কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি। ঘটনার পর ওই রস্তায় যান বাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী।
এ যেন 'সাক্ষাৎ যম দুয়ার থেকে ঘুরে আসা'। রাস্তায় বেরোলে পথদুর্ঘটনার (road accident) খবর এই প্রথম নয়, আগেও শোনা গিয়েছে। তবে এক বাইকআরোহীর(biker) সঙ্গে হওয়া সাম্প্রতিক ঘটনা হাড়হিম করা। আইপিএস দীপাংশু কাবরার ট্যুইট করা এক ভিডিও (viral video) ঘিরে নেট দুনিয়ায় শোরগোল। ভাইরাল সেই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে চলন্ত ট্রাকের সঙ্গে প্রায় ধাক্কা লেগে যায় এক বাইকআরোহীর। কিন্তু সেই অবস্থা থেকেই প্রাণে বেঁচে বাইক ঘুরিয়ে নিরাপদে চলে আসেন। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে উল্টে বাইক আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে রাস্তার একপাশে উঠে যায় ট্রাকটি।
ऐसी गति राखिये, दुर्घटना कभी ना होय,
— Dipanshu Kabra (@ipskabra) January 5, 2023
औरन भी सुरक्षित रहै, आपौ सुरक्षित होय. pic.twitter.com/Gvy6B96EdD
ভাগ্যক্রমে এই ঘটনায় বেঁচে যান ওই বাইকআরোহী। এই ভিডিও আইপিএস অফিসার দীপাংশু কাবরা শেয়ার করা মাত্র ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনদের বক্তব্য, রাস্তায় বেরোলে 'সজাগ ও সতর্ক থাকা জরুরি'। কিছু নেটিজেন আবার কটাক্ষ করেছেন বাইক আরোহীকেই।
এবার দিনের বেলায় অভিনব কায়দায় বাংলাদেশে (Bangladesh) গরু পাচার করতে গিয়ে পিকআপ ভ্যান-সহ আটক (arrest) গরু। তবে পুলিসকে (police) দেখে চম্পট দেয় চালক এবং সহকারী চালক। এ যেন একেবারেই ঠিক ফিল্মি কায়দা! পিকআপ ভ্যান করে গরু পাচার বানচাল করল ফাঁসিদেওয়া (Phansidewa) থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সূত্র মারফত পুলিসের কাছে খবর আসে ধান বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যানে বিহার থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে গরু পাচার হচ্ছে। সেই মোতাবেক ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিস ঘোষপুকুর ফুলবাড়ি বাইপাস ৩১ নাম্বার ডি জাতীয় সড়কে গোয়ালটুলি মোড় এলাকায় গিয়ে পৌঁছয়। সেখানে একটি সন্দেহজনক পিকআপ ভ্যানটি আটক করা হয়। তবে ঘটনাস্থল থেকে চালক ও সহকারী চালক পালাতে সক্ষম হয় বলেই জানা গিয়েছে।
এরপরেই গাড়িটি আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু এরপরই চক্ষু চড়কগাছ পুলিস কর্মীদের। পিকআপ ভ্যানে বোঝাই করা সমস্ত ধানের বস্তা নামাতেই চোখে পড়ে সেখানে রয়েছে একাধিক গরু। তত্ক্ষণাত্ গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় পাঁচটি গরু। তবে কোনও বৈধ কাগজ গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়নি। ইতিমধ্যেই গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস এবং গরুগুলিকে খোয়ারে পাঠানো হবে বলে জানা যায়। তবে এই গরু পাচারের পিছনে কে বা কারা যুক্ত রয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিস।
রাখে হরি মারে কে! মালবাহী ট্রাকে বাধা দড়ি আটকে বাইক থেকে ছিটকে পড়লেন যুবক। তবুও প্রাণে রক্ষা পেলেন আরোহী। সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV Footage) দেখা গিয়েছে, দ্রুতগতিতে আসছিল বাইকটি। সেসময় উল্টোদিক থেকে ছুটে আসা ট্রাকের গায়ে বাধা দড়ি গিয়ে আটকায় ওই যুবকের গলায়। আহত যুবকের নাম মুথু। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) থুতুকুড়ি জেলার শ্রীবাইকুন্তম শহরে।
ওই শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা এরাল অঞ্চল দিয়ে যখন ওই যুবক বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন এই ঘটনাটি ঘটে যায়। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের তেমন গুরুতর আঘাত লাগেনি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শরীরের কোনও কোনও জায়গায় কেটে ছিঁড়ে গেলেও ওই যুবক এখন ভাল আছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা তড়িঘড়ি গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে তাঁর চোখে মুখে জল দেন। ঘটনার আকস্মিকতায় কিছুক্ষণের জন্য জ্ঞান হারিয়েছিলেন ওই যুবক।
পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার সময় মুথু কাজে যাচ্ছিলেন। উল্টোদিক থেকে আসছিল সারের বস্তাবোঝাই ট্রাকটি। বস্তাগুলিকে বেঁধে রাখার জন্যই ট্রাকের গায়ে দড়ি লাগানো ছিল। সেই দড়িই মুথুর গলায় আটকে যায়। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে এই ভয়াবহ ঘটনার ছবি। বড় কোনও দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে বলে দাবি পথচারীদের।
ব্রিজের উপর ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Accident)। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে শ'য়ে শ'য়ে গাড়ি (Car)। হঠাৎ পিছন থেকে এসে দ্রুতগতিতে ধাক্কা মারল একটি ট্রাক (Truck)। এরপরই একের পর এক গাড়ির সংঘর্ষ। এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পুনের নাভালে ব্রিজে (Pune Naval Bridge Accident)। পরপর গাড়ির সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪৮টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। পুনে দমকল বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় এই দুর্ঘটনা।
পুনে-বেঙ্গালুরু মহাসড়কে বড় দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সড়কের উচ্চ ঢাল ও যানবাহনের প্রচণ্ড গতির কারণে নাভালে সেতু এলাকাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ। ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পুনে মেট্রোপলিটিকাল রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (পিএমআরডিএ) এর দমকল বিভাগ দাবি করেছে যে, এই ঘটনায় কমপক্ষে ৪৮টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুনে দমকল বিভাগ ও পুনে মেট্রোপলিটন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস।
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা (Road Accident)। রবিবার একটি দ্রুতগামী ট্রাকের (speeding truck) ধাক্কায় মৃত্যু (Death) হয়েছে বেশ কয়েকজন শিশুসহ অন্তত ১২ জনের। দুর্ঘটনায় নিহতরা একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের (Bihar) বৈশালী জেলার মেহনার গ্রামে।নিয়ন্ত্রণে হারিয়ে ট্রাকের ধাক্কা? নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে পুলিস। তবে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা জানতে পেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই নিহতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। আহতদের জন্যও ৫০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনায় আহত সকলের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও শোক প্রকাশ করেছেন। এবং বলেছেন যে তিনি দুর্ঘটনায় "গভীরভাবে শোকাহত"। মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা এক্স-গ্রেশিয়া দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইতিমধ্যে। তিনি আহতদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দুর্ঘটনাটিকে "অত্যন্ত বেদনাদায়ক" বলে অভিহিত করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
এদিকে ওই অভিযুক্ত ট্রাক চালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিস। বৈশালী এসপি বলেছেন, চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা তা ডাক্তারি পরীক্ষার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
উদ্বোধনের দু'দিনের মাথায় ছোট চার চাকার যান চলাচল শুরু হল টালা ব্রিজে (Tala Bridge reopen)। শনিবার সকাল প্রায় ১০টা নাগাদ শুরু হয়েছে যান চলাচল। আপাতত ভারী পণ্যবাহী ট্রাক এবং বাস (Bus-Truck) চলবে না সেতুতে। তবে সূত্রের খবর, পুজোর (Durga Puja 2022) আগেই বাস চলাচলে অনুমতি দিতে পারে প্রশাসন। এদিকে, প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকার পর ফের জন সাধারণের জন্য খুলে গেল চার লেনের টালা ব্রিজ। নবনির্মিত এই ব্রিজে এখনই ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ। আপাতত পায়ে হেঁটে এবং ছোট দু'চাকার যান নিয়ে এই ব্রিজে ওঠা যাবে। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে রিমোট কন্ট্রোলে নবনির্মিত টালা ব্রিজে খুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা, অরূপ বিশ্বাস-সহ মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্থানীয় বিধায়ক অতীন ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, কলকাতার নগরপাল এবং ডিজিপি।
ব্রিজ উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পরে একটা সমস্যা বুঝতে পেরেছিলাম। টালা ব্রিজ যখন ভাঙা শুরু হয় ভাবতে পারিনি এত তাড়াতাড়ি কাজ হয়ে যাবে। স্থানীয় মানুষদের ফুটপাথ, সিড়ি, সার্ভিস রোড নিয়ে যা সমস্যা আছে পূর্ত দফতরকে বলবো দেখে নিতে। এই ব্রিজ নির্মাণে ৫০৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ব্রিজ ভাঙতে রেল নিয়েছে ৯০ কোটি টাকা। এখনই কোনও এখনো ভারী গাড়ি যাবে না।'
তিনি জানান, কলকাতায় ট্রাফিক জ্যাম কমে গিয়েছে। আগামীতে আরও কমবে। কলকাতায় আরও কয়েকটা উড়ালপুল হবে। টালা থেকে ডানলপ,পাইকপাড়া থেকে শিয়ালদহ। রাজ্যে চারটে নতুন বিমানবন্দর হচ্ছে। কোচবিহার,বালুরঘাট,মালদা এবং পুরুলিয়া।