Breaking News
Garden Reach: ফের গার্ডেনরিচেই বেআইনি বহুতলের সন্ধান, শুরু বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার কাজ      Sandeshkhali: পোস্টার-বিরোধিতা অতীত, রেখাকে জড়িয়ে উচ্ছ্বাস সন্দেশখালিতে      Sandeshkhali: "শক্তি স্বরূপা" সম্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ফোন মোদীর      Holi: বসন্ত উৎসবে মেতে উঠেছে বিভিন্ন জেলা, জানুন কোথায় কিভাবে উদযাপিত হল রঙের দিবস      Garden Reach: গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ে মৃত বেড়ে ১২, এখনও আশঙ্কাজনক বহু      CBI: আরও অস্বস্তিতে মহুয়া মৈত্র! কলকাতার ফ্ল্যাটে সিবিআই হানা      Delhi: আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ      Garden Reach: জেগে উঠছে পুর প্রশাসন! পুরসভায় জমা একাধিক অভিযোগ      High Court: টেটে প্রশ্নপত্র ভুলের মামলা, পর্ষদকে দিতে হবে বিশেষজ্ঞদের মতামত, নির্দেশ বিচারপতি মান্থার      Gardenrech Controversy: গার্ডেনরিচের বহু অবৈধ নির্মাণ প্রশাসনের ঔদাসীন্যতা! উঠছে প্রশ্ন...     

TripuraVote

Mamata: 'যখন তোমার কেউ ছিল না, তখন ছিলাম আমি', ত্রিপুরায় দাবি মমতার

'ত্রিপুরা আমার ঘর।' ভোট প্রচারে আগরতলা (Agartala) নেমে এই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তিনি জানান, 'নিজের ভাষায় কথা বলা, পছন্দসই রান্না খাওয়ার পাশাপাশি বাংলা এবং ত্রিপুরার (Tripura Vote) খাওয়া-দাওয়া এক। ওদের বেশভূষা, চলন-বলন বাংলার মতোই। সবচেয়ে বড় কথা বাংলা ভাষায় কথা বলা যায়।'

তিনি ত্রিপুরাবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে জানান, 'যখন কেউ ছিল না, বিজেপির একতরফা অত্যাচার চলছিল ত্রিপুরায়। আগে যখন কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল, আমি সন্তোষমোহন দেব এবং অন্যরা ত্রিপুরায় ঘুরে ঘুরে কাজ করেছি। ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলার কানেকশন ভালো। যখন তোমার কেউ ছিল না, তখন ছিলাম আমি।' 

তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, 'আগামিকাল আমাদের মিছিল আছে। সেখানে কীভাবে আমাদের উপর অত্যাচার হয়েছে, সে বিষয়ে বলবো। তৃণমূলের সাংসদ, কর্মী-সমর্থকদের উপর আক্রমণ হয়েছে। দোলা সেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুস্মিতা দেবের এঁদের গাড়িতেও হামলা হয়েছে।' 

one year ago
Tripura: ত্রিপুরার ভোট, কে কোথায় দাঁড়িয়ে (পর্ব ৮)

প্রসূন গুপ্ত: ত্রিপুরায় বাঙালি ও উপজাতি রয়েছে, যা এর আগেও বলেছি। কিন্তু সে রাজ্যের বাঙালিদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের যেমন মিল রয়েছে তেমন অমিলও বিস্তর। মিল রয়েছে সংস্কৃতিতে, পুজো-অর্চনা, শিক্ষাক্ষেত্রে। সেখানেও ঘটা করে পয়লা বৈশাখ থেকে রবীন্দ্র- নজরুল জয়ন্তী যেমন পালিত হয় তেমনই দুর্গাপুজো ওই রাজ্যের প্রধান উৎসব। তারপর কালীপুজো,সরস্বতী পুজো ইত্যাদি নিয়ম করে পালিত হয়ে থাকে। এ রাজ্যে যেমন বইমেলা পালিত হয় তেমন আগরতলা বইমেলাও প্রতিবছর পালিত হয় রাজবাড়ীর সামনের মাঠে।

কিন্তু অমিলও আছে, প্রথমত ভাষাগত। এখানকার বাঙালি বলতেই ওপার বাংলার কুমিল্লা ও নোয়াখালী থেকে আগত উদ্বাস্তু। বাংলাদেশ বা উত্তরবঙ্গের মানুষের ভাষার মতো পূর্ববঙ্গীয় ভাষা এখানে। এখানকার মানুষের খাওয়াদাওয়া একটু ভিন্ন। এখানে ছুটির দিনে জলখাবার থেকে নৈশভোজ অবধি ভাত চলে। তিন বেলায় ভাত, লুচি-পরোটা বা চাউমিন অথবা পাউরুটি যে চলে না, তা নয় কিন্তু এই খাবারের প্রতি ঝোঁক কম। মাছ খেতে ত্রিপুরাবাসী খুব ভালোবাসে কিন্তু মাছ মাংস থেকে তরিতরকারির দাম প্রচণ্ড।

কলকাতার রাস্তায় এখনও ২৫ টাকায় ভাত-ডাল-সবজি পাওয়া যায়। কিন্তু আগরতলার যেকোনও ভাতের হোটেলে সবজি-ডাল-ভাত খেতে ৭৫ টাকা খরচ হয়। মাছ-ভাত ২৫০ থেকে ৭০০ টাকা অবধি দাম ওঠে কাজেই এখানকার মানুষ পারতপক্ষে রাস্তায় বা হোটেলে খেতে চান না।

চাকরি বলতে সরকারি। পশ্চিমবঙ্গে ১২% মানুষ সরকারি চাকরি করে এবং বাকি বেসরকারি। কিন্তু ওই রাজ্যে চাকরি মানেই সরকারি, কিছুটা বেসরকারি। সমস্যা শিল্প-বাণিজ্য নেই, কাজ করবে কোথায়? কিছু সংস্থার শাখা অফিস যা আছে তাতে ক'জনই বা কাজ করে।ব্যবসা বলতে ট্রেডিং। আসলে ত্রিপুরায় শিল্প হলে তার প্রোডাক্ট সারা ভারতে পাঠাতে যে পরিমান জ্বালানি খরচ হবে তাতে ভারতের অন্য প্রান্তের ওই একই প্রোডাক্টের দামের কাছে মার খাবে এ রাজ্যের প্রোডাক্ট। ফলে চাকরির বাজার খুবই খারাপ।

বর্তমানে রাজ্যের মানুষের দাবি কর্ম-দ্রব্যমূল্য হ্রাস। কংগ্রেস থেকে বর্তমান বিজেপি সরকার কেউই এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পায়নি। (চলবে) 

one year ago
Vote: ত্রিপুরায় ভোট, কে কোথায় দাঁড়িয়ে (পর্ব ১)

প্রসূন গুপ্ত: কেন্দ্রীয় বিজেপির আপাতত পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কোনও ভাবনা নেই বলেই খবর। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পদ্ম শিবিরের জাতীয় সভাপতি নাড্ডা, অমিত শাহ এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষে প্রচার প্রস্তুতির যে খবর ছিল, সে নিয়ে চূড়ান্ত কোনও খবর এই মুহূর্তে নেই। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখন আসন্ন ত্রিপুরা, মেঘালয়-সহ উত্তর পূর্ব ভারতের বিধানসভা ভোটের দিকেই জোর দেবেন বলেই খবর। কিন্তু কী অবস্থা ওই রাজ্যগুলির? ধরা যাক ত্রিপুরার রাজনৈতিক অবস্থান।

ত্রিপুরাকে মিনি পশ্চিমবঙ্গ হিসাবে অনেকেই বলে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের মতোই সেখানেও কংগ্রেসের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে দীর্ঘদিন বামফ্রন্ট রাজ করেছে। একইসঙ্গে এও বলা যেতে পারে যে অনেক মিল বাংলার সঙ্গে ত্রিপুরার থাকলেও, অমিলও প্রচুর। এ রাজ্যে বাঙালি প্রধান হলেও, আদি ত্রিপুরা উপজাতির বাস রয়েছে। ত্রিপুরী নামে তারা পরিচিত এবং অসমের মতোই এই উপজাতিদের বাঙালিদের উপর প্রবল ক্রোধ। এই নিয়ে শহরতলীর অদূরে একদা বহু হত্যালীলা চলেছিল। এই সমস্যার সমাধান অনেকটাই করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। এ সত্বেও বামেদের উপর স্থানীয় বাঙালি ও উপজাতিদের প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল, তারাও চেয়েছিল রাজ্যে পরিবর্তন।

মনে রাখতে হবে ওই রাজ্যে কিন্তু কোনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন না। তাই বামেদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কোনও গণআন্দোলন ঘটেনি। জানা যায় যে এ রাজ্যের মতোই ওই রাজ্যেও বামেরা একেবারেই প্রশাসন ও সংগঠনকে পুরোপুরি নিজেদের হাতেই কুক্ষিগত করে রেখেছিল। দল করলে চাকরি বা ব্যবসা পেতে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু ত্রিপুরায় হাতে গোনা সরকারি চাকরি ফলে অনেকেই কর্মহীন হয়েই ছিল। আর ওই রাজ্যে কোনও বাণিজ্যও নেই, যা আছে তা ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং ট্রেডিং ব্যবসা। ফলে এক শ্রেণীর মানুষ করে-কম্মে ছিল আর বেকার ও কর্মহীনের সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছিল। এখান থেকেই পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের হাওয়া ধরতে তৃণমূল ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কারণ তখন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ভেঙে গিয়েছিল। ভাঙার কারণ কেন্দ্রে রাহুল গান্ধী ও সিপিএমের বন্ধুত্ব। তৃণমূল কিন্তু ভালোভাবেই এগিয়েও সংগঠন ধরে রাখতে পারেনি। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য মুকুল রায় ও সব্যসাচী দত্তর অযোগ্যতা। ( পরের পর্বে বাকি অংশ)


one year ago