Breaking News
Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?      Sarabjit Singh: ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-এর হত্যাকারী সরফরাজকে গুলি করে খুন লাহোরে     

Traditional

Special story: ঐতিহ্যের হাওড়া ব্রীজ

সৌমেন সুরঃ বিশাল ভাগীরথী নদী আপন গতিতে বয়ে চলেছে দুটি শহরকে কেন্দ্র করে। কলকাতা ও হাওড়া। দুটি যমজ শহর। দীর্ঘদিন দুটি শহরের জনসাধারণ সেইসময় দাবী করে বসেন, দুই যমজ শহরের যোগাযোগের মাধ্য়মে একটা সেতু নির্মান হোক। যাতে করে যান চলাচল, যাতায়াত, পণ্যদ্রব্যের আমদানি-রপ্তানির বাণিজ্য উম্ম্বলভাবে গড়ে উঠবে একথা বলাই বাহুল্য। 

অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর, তৎকালীন পোর্ট কমিশনার ক্রিংমেন্ট হিন্ডলে এবং চিফ ইঞ্জিনিয়ার ম্যাক গ্রাসান এবং বাঙালি শিল্পপতি রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে ১৯২১ সালে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ১৯২২ সালে হুগলি নদীর ওপর একটি ক্যান্টিলিভার সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেয়। এরপর তৎকালীন আধুনিকতার সেতু নির্মাণের জন্য যে টেন্ডার ফেলা হয়, সেই টেন্ডার পায় একটি ব্রিটিশ সংস্থা ও কলকাতার বিবিজি সংস্থা। যুগ্মভাবে সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পেয়ে কাজ শুরু হয় ১৯৩৭ সালে এবং কাজ শেষ হয় ১৯৪২ সালে। আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি ব্যবহার করার জন্য খুলে দেওয়া হয় ১৯৪৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী। কলকাতা পোর্ট ট্রাষ্ট হুগলী সেতুর পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এই অনবদ্য সেতুটির জন্য ২৬,৫০০ টন স্টীলের প্রয়োজন হয়েছিল, যার সবটাই স্বদেশের তৈরি। ১৯৬৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম অনুসারে ব্রিজটির নাম দেওয়া হয় রবীন্দ্র সেতু। 

হাওড়া ব্রিজকে আরো দৃষ্টিনন্দন করবার জন্য আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। আলোয়মালায় সাজবার দায়িত্ব পান তাপস সেন মহাশয়। এই কাজ করতে করতে আকস্মিত মৃত্যু ঘটে যাওয়ায়, তার পুত্র জয় সেন বাকি কাজটা সম্পূর্ণ করেন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে বিশেষভাবে আলোকসজ্জায় ব্রিজ সাজানো- প্রথম রবীন্দ্র সেতু। আলোকম্ম্বল সেতুটির উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী। তবে গর্বের বিষয়, হাওড়ার এই ব্রিজের গুরুত্ব নিঃসন্দেহেই অপরিসীম।

12 months ago