Breaking News
Abhishek: দিল্লির থানা থেকে বেরিয়ে কলকাতায় রাজভবন অভিযানের ডাক অভিষেকের      Dengue: ডেঙ্গির থাবায় মৃত্যু আরও তিন জনের, নয়া পদক্ষেপ নবান্নের      ED: ইডিকে আগেই জানানো উচিত ছিল, অভিষেকের মামলায় মন্তব্য ডিভিশন বেঞ্চের      Abhishek: নিজের কথাই রাখছেন অভিষেক, যাচ্ছেন না ইডির তলবে      Delhi: লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে রাজঘাট থেকে তৃণমূলকে বের করে দিল দিল্লি পুলিস      Meeting: একদিকে ইডি, অন্যদিকে বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, সোম-মঙ্গলের প্লান কষতে দিল্লিতে বৈঠকে অভিষেক      Abhishek: দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নজরে ৩ অক্টোবর      Accident: দুর্ঘটনার কবলে তৃণমূলের দিল্লিগামী বাস, আশঙ্কাজনক ১১ জন      Justic Sinha: জলে কুমির ডাঙায় বাঘ! রনংদেহী জাস্টিস সিনহার নির্দেশে মহাফাঁপরে ইডি ও অভিষেক      Delhi: তৃণমূলের বিশেষ ট্রেনের আবেদন খারিজ, বাসেই দিল্লি যাওয়ার ঘোষণা অভিষেকের     

Traditional

Special story: ঐতিহ্যের হাওড়া ব্রীজ

সৌমেন সুরঃ বিশাল ভাগীরথী নদী আপন গতিতে বয়ে চলেছে দুটি শহরকে কেন্দ্র করে। কলকাতা ও হাওড়া। দুটি যমজ শহর। দীর্ঘদিন দুটি শহরের জনসাধারণ সেইসময় দাবী করে বসেন, দুই যমজ শহরের যোগাযোগের মাধ্য়মে একটা সেতু নির্মান হোক। যাতে করে যান চলাচল, যাতায়াত, পণ্যদ্রব্যের আমদানি-রপ্তানির বাণিজ্য উম্ম্বলভাবে গড়ে উঠবে একথা বলাই বাহুল্য। 

অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর, তৎকালীন পোর্ট কমিশনার ক্রিংমেন্ট হিন্ডলে এবং চিফ ইঞ্জিনিয়ার ম্যাক গ্রাসান এবং বাঙালি শিল্পপতি রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে ১৯২১ সালে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ১৯২২ সালে হুগলি নদীর ওপর একটি ক্যান্টিলিভার সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেয়। এরপর তৎকালীন আধুনিকতার সেতু নির্মাণের জন্য যে টেন্ডার ফেলা হয়, সেই টেন্ডার পায় একটি ব্রিটিশ সংস্থা ও কলকাতার বিবিজি সংস্থা। যুগ্মভাবে সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পেয়ে কাজ শুরু হয় ১৯৩৭ সালে এবং কাজ শেষ হয় ১৯৪২ সালে। আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি ব্যবহার করার জন্য খুলে দেওয়া হয় ১৯৪৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী। কলকাতা পোর্ট ট্রাষ্ট হুগলী সেতুর পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এই অনবদ্য সেতুটির জন্য ২৬,৫০০ টন স্টীলের প্রয়োজন হয়েছিল, যার সবটাই স্বদেশের তৈরি। ১৯৬৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম অনুসারে ব্রিজটির নাম দেওয়া হয় রবীন্দ্র সেতু। 

হাওড়া ব্রিজকে আরো দৃষ্টিনন্দন করবার জন্য আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। আলোয়মালায় সাজবার দায়িত্ব পান তাপস সেন মহাশয়। এই কাজ করতে করতে আকস্মিত মৃত্যু ঘটে যাওয়ায়, তার পুত্র জয় সেন বাকি কাজটা সম্পূর্ণ করেন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে বিশেষভাবে আলোকসজ্জায় ব্রিজ সাজানো- প্রথম রবীন্দ্র সেতু। আলোকম্ম্বল সেতুটির উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী। তবে গর্বের বিষয়, হাওড়ার এই ব্রিজের গুরুত্ব নিঃসন্দেহেই অপরিসীম।

5 months ago