সিকিমে প্রবল তুষারপাতে আটকে পড়েছিলেন হাজারের বেশি পর্যটক। পুরু বরফের স্তরে ঢেকে গিয়েছে পূর্ব সিকিমের রাস্তাঘাট। বুধবার দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েন কয়েক হাজার পর্যটক। দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় ভারতীয় সেনারা বুধবার রাতে ১২০০ জন পর্যটককে উদ্ধার করেছে। এরপর তাঁদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান সেনারা।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা, পুরুষ, বৃদ্ধ, শিশু মিলিয়ে রাতে প্রায় ১২০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের রাতে সেনা ক্যাম্পগুলিতে রাখা হয়। গরম পোশাক, চিকিৎসা সহায়তা এবং গরম খাবার দেওয়া হয় পর্যটকদের। ইতিমধ্যেই তাদের সমতলে নামানো হবে বলে জানা গিয়েছে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে। ঘটনার খবর পেয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কর্পস অক্লান্তভাবে উদ্ধার অভিযান চালায়।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই তুষারপাতের কারণে সিকিমে আটকে পড়েন বহু পর্যটক। সেক্ষেত্রে তাঁদের উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসে সেনাবাহিনী। চলতি বছরে এই নিয়ে নয়টি উদ্ধার অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজারেরও বেশি পর্যটককে উদ্ধার করেছে ভারতীয় সেনা। বুধবার সকাল থেকে সিকিম সহ কালিম্পং এবং দার্জিলিঙের একাধিক জায়গায় শুরু হয় প্রবল তুষারপাত।
অক্টোবর মাসে বিপর্যয়ের পর থেকে বন্ধই ছিল উত্তর সিকিম। এবার পর্যটকদের জন্য সুখবর। প্রায় দেড়মাস পর ফের খুলে যাচ্ছে উত্তর সিকিমের একাংশ। বুধবার সিকিম পর্যটন দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১ ডিসেম্বর থেকে লাচুং-এ যেতে পারবেন পর্যটকরা। তবে, লাচেন ও গুরুদংমার এখনও বেশ কয়েকদিন বন্ধ রাখা হবে। বহু রাস্তা এখনও সারানো হয়নি বলে খবর।
তবে, উত্তর সিকিমে ভ্রমণে থাকছে বেশ কিছু কড়াকড়ি। যেমন, উত্তর সিকিমে যেতে হলে সংকলন-টং-চুংথাং সড়ক ধরেই যেতে হবে পর্যটকদের। গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে বিকেল ৪টের পর থেকে। জানা গিয়েছে, অধিকাংশ রাস্তা এখনও সারানো হয়নি। দিনরাত এক করে পরিশ্রম করছেন সেনারা। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেষ্টায় রয়েছেন তাঁরা।
তবে, পর্যটন দফতরের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে যে, পর্যটকরা যেন একটু হাতে সময় নিয়ে উত্তর সিকিমে আসেন। এখনও হড়পা বানের ক্ষত থেকে সেরে উঠতে পারেনি উত্তর সিকিম।
ভারতকে ছয় উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফি জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের পরাজয়ের পর থেকেই উল্লাসে ফেটে পড়েছিলেন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পাশাপাশি ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধেও স্যোশাল মিডিয়ায় অকথ্য ভাষার প্রয়োগ করে ভিডিও বানিয়েছেন বাংলাদেশিরা। ইতিমধ্যেই সে ভিডিও ভাইরাল। আর এতেই ক্ষুব্ধ ভারতের সাধারণ মানুষ। এবারে এই ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেল বুকিং-এ নিষেধাজ্ঞা জারি করল রায়গঞ্জের দুটি হোটেল। এই সিদ্ধান্তে অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার জনপ্রিয় খেলাগুলির মধ্যে অন্যতম ক্রিকেট। এই খেলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জাতির ভাবাবেগ। দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দেশ, ভারত ও বাংলাদেশে ক্রিকেট ঘিরে উন্মাদনা সবসময়ই তুঙ্গে। দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হলেও ক্রিকেট খেলাকে ঘিরে সম্পর্কটা অনেকটা অহিনকুলের মতই। সম্প্রতি শেষ হওয়া বিশ্ব ক্রিকেটের ফাইনালে অষ্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়ে কাপ জেতার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় ভারতের। এই পরাজয়ে স্বাভাবিকভাবেই শোকের আবহ তৈরী হয়েছে দেশজুড়ে। আর এরই মধ্যে অনেকটা কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মতই বাংলাদেশের নাগরিকদের একাংশের বিজয় উল্লাসে ব্যাপক চটেছেন ভারতীয়রা। স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধেও কটুক্তি করেন তাঁরা। যদিও এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ছেন বাংলাদেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিকদের একাংশ। তবে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের নাগরিকদের একাংশের ভারত বিদ্বেষী মনোভাবের কারণে ক্ষুব্ধ ভারতীয় জনগণ। ঘটনার প্রতিবাদে রায়গঞ্জের দুটি হোটেলে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বুকিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ।
যদিও হোটেল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে শহরজুড়ে। অনেকেই বলেছেন বিশ্বকাপে হারের পর বাংলাদেশিদের একাংশের ভারত বিরোধী মনোভাব নিন্দনীয়। এটাকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। তবে বাংলাদেশের অনেক মানুষ এই ভারত বিরোধী মনোভাবের পক্ষে নন। তাই সমস্ত বাংলাদেশির জন্য হোটেল বুকিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
ছবি তুলতে গিয়ে ভয়ানক বিপদে পড়ল এক দল পর্যটক (Tourists)। আর সেই ভয়ানক ঘটনাটিকে ক্যামেরাবন্দি করলো আর এক পর্যটক। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটেনের (UK) অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল ডরসেট ওয়েস্ট বে-তে। এটি একটি ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’। এমনই একটি ভিডিও (Viral Video) ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, একদল পর্যটক নিশ্চিন্তে সমুদ্র ও পাহাড়ের মধ্যে থাকা একটি খোলা স্থানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ছবি তোলার পর তাঁরা খেয়াল করেন পাহাড়ের গা বেয়ে ছোট ছোট পাথর গড়িয়ে নীচে নেমে আসছে। এই ঘটনার পরই আচমকা পাহাড়ের বিশাল অংশ ভেঙে পড়ে। কোনও রকমে রক্ষা পান ওই পর্যটকরা।
Rockfalls and Landslips can happen at anytime. These people had a lucky escape. The South West Coast Path above the cliff at West Bay is currently closed. Thanks to Daniel Knagg for the footage.#Westbay #JurassicCoast pic.twitter.com/38XJjSoBYT
— Dorset Council UK (@DorsetCouncilUK) August 10, 2023
এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ১৫০ ফুট উঁচু থেকে পাহাড়ের একাংশ ভেঙে পড়েছে। ডরসেট কাউন্সিল থেকে এই ঘটনার ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনার কারণে সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি, সূত্রের খবর। আপাতত ওই পর্যটনস্থল বন্ধ রাখা হয়েছে।
দীঘায় (Digha) বেড়াতে এসে তিন তলা ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু (Death) এক পর্যটকের (Tourist)। শুক্রবার রাতে নিউ দীঘার একটি বেসরকারি হোটেলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাটি ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সৈকত শহরে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পর্যটকের নাম অর্পণ মিত্র (৫১)। তাঁর বাড়ি পাটুলি, বৈষ্ণব ঘাট, কলকাতা- ৯৪ এলাকায়। বৃহস্পতিবার পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধব সহ দীঘায় বেড়াতে আসেন ওই পর্যটক। এরপর শুক্রবার রাত ১০ টা নাগাদ হোটেলের ব্য়ালকনিতে বসার সময় অসাবধানতাবশত ছাদ থেকে পড়ে যান তিনি। পরিবারের সদস্যরা এবং হোটেল কর্মীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি দীঘা রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে দীঘা মোহনা কোস্টাল থানার পুলিস মৃত উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
মর্মান্তিক! পর্যটক বোঝাই নৌকা ডুবে মৃত্যু হল ২২ জনের। রবিবার সন্ধ্যায় কেরলের (Kerala) মালাপ্পুরমে (Malappuram) একটি নৌকা পর্যটকদের নিয়ে মাঝনদীতে নিয়ে যায়, আর তখনই ঘটে বিপত্তি। ডুবতে শুরু করে নৌকাটি। রবিবার পর্যন্ত খবর ছিল, এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। এরপর সোমবার সকাল হতেই সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেল। মনে করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সূত্রের খবর, সেই নৌকায় মোট কতজন যাত্রী ছিলেন, তা এখনও অজানা। তাই উদ্ধারকার্য এখনও অব্যাহত। এই দুর্ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) শোকপ্রকাশ করেছেন ও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
সূত্রের খবর, কেরলের মালাপ্পুরম জেলার তানুরের কাছে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র থুভালথিরাম। রবিবার সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ সেখানে যাওয়ার সময়ই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। নৌকাটি হঠাৎই ডুবতে শুরু করে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং দমকল বাহিনী। দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করেন তাঁরা৷ তবুও ততক্ষণে অনেকজনের মৃত্যু হয়ে যায়। যাঁরা সাঁতার জানতেন, তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রাণে বাঁচলেও, অধিকাংশ পর্যটকই মারা যান। প্রশাসনের তরফে একাধিক নৌকা ও ডুবুরি পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকাজে সাহায্য়ের জন্য। উদ্ধারকাজে এনডিআরএফ বাহিনীও যোগ দিয়েছে।
তবে ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই নৌকার মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে কেরল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আবার এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। শোকপ্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।
Pained by the loss of lives due to the boat mishap in Malappuram, Kerala. Condolences to the bereaved families. An ex-gratia of Rs. 2 lakh from PMNRF would be provided to the next of kin of each deceased: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) May 7, 2023
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি টুইট করে লেখেন, 'মালাপ্পুরমের তানুরে নৌকাডুবিতে প্রাণহানির ঘটনায় অত্যন্ত দুঃখিত। নিহতদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি সমবেদনা রইল।'
মণি ভট্টাচার্য: 'দেখলাম হঠাৎ করে উপর থেকে একটা বরফের ঝড় এলো, মুহূর্তে সব শেষ।' ফোনে এ কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা রঞ্জিতাদেবী। তুষার ঝড়ে চাপা পড়েছিলেন তিনিও। বিপর্যয় মোকাবিলা দল তাকে এসটিএনএম হাসপাতালে ভর্তি করে। গুরুতর আহত হয়ে, বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
ওই একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন পাপাই সরকার নামে শিলিগুড়ির এক যুবক। যিনি তুষার ঝড়ের মধ্যে পড়ে আহত হয়েছিলেন। যাকে বিপর্যয় মোকাবিলা দলই ওই হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এদিন তিনি বলেন, 'আমরা গাড়িতে করে নাথুলার দিকে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ তুষার ঝড় এসে সব লন্ডভন্ড করে দিল। আমার সঙ্গে আমার বাদবাকি সহযাত্রীরা তারাও আহত।'
সিকিম পুলিস সূত্রের খবর, মঙ্গলবার আহতদের নিয়ে এসটিএনএম হাসপাতালে ভর্তি করে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। মোট ১৩ জন আহতদের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসার পর নয় জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর চার জন চিকিৎসাধীন বলে পূর্ব সিকিম পুলিস সূত্রে খবর। যাঁদের মধ্যে দুজন নেপাল এবং দু'জন শিলিগুড়ির বাসিন্দা। আহতদের জন্য ট্রমা কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা করে, মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা চলবে বলে পুলিস জানিয়েছে।
দেখুন মৃত এবং আহতদের এক্সক্লুসিভ তালিকা:
সিএন-ডিজিটালের পক্ষে পূর্ব সিকিমের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান, 'তুষার ঝড়ে ধসে যায় নাথুলা যাওয়ার একটি রাস্তা। ১৩ মাইল নামক এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৩৫ নাগাদ একটি তুষার ঝড় হয়। স্থানীয়রাও উদ্ধার কার্যে হাত লাগিয়েছেন।' সিএন-ডিজিটালকে পূর্ব সিকিমের পুলিস সুপার তেনজিং লেপচা বলেন, 'এখনও অবধি এই দুর্ঘটনায় ৭ জন মারা গিয়েছে এবং এখনও অবধি বিপর্যয় মোকাবিলা দল ১৩ জনকে উদ্ধার করে এসটিএনএম হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।' মঙ্গলবার তিনি আরও বলেন, 'এই দুর্ঘটনায় কলকাতার প্রীতম মাইতি নামক এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এবং সৌরভ চৌধুরী নামক এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে যিনি শিলিগুড়ির বাসিন্দা।'
মঙ্গলবার পূর্ব সিকিমের জেলা পুলিস প্রশাসনের অতিরিক্তি পুলিস সুপার সোনম দেচু বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের দুজন ছাড়াও ২ জন উত্তর প্রদেশের এবং ৩ জন নেপালের বাসিন্দা মারা গিয়েছেন। অর্থাৎ ৩ জন মহিলা, একটি ৫ বছরের শিশু ও ৪ জন পুরুষ পর্যটক মারা গিয়েছেন।'
সিকিমে (Sikkim) ভয়ানক তুষার ঝড়ে (Snow Storm) মৃত (Dead) প্রায় ৭ পর্যটক (Tourist)। আহত কমপক্ষে ১৫০ পর্যটক। সিকিম পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১২ টা নাগাদ, উত্তর সিকিমের ১৫ মাইল নামক এলাকায় ভয়ানক তুষার ঝড় হয়। সিকিম পুলিস আরও জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও ৪০ জন পর্যটক আটকে আছে। এখনও ১৭ জনকে উদ্ধার গ্যাংটক পুলিস। স্থানীয়রা ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলও এই উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। এখনও অবধি ১৫০ জন পর্যটককে উদ্ধার করা খবর।
ওই এলাকায় ভয়ানক তুষার ঝড়ে বহু গাড়ি-সহ মানুষ তুষার ঝড়ের মুখে পড়েন, সূত্রের খবর ওই রাস্তাটি নাথুলা পাস সংযোগকারী রাস্তা। এই ঘটনার জেরে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বহু পর্যটককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার কাজ এখনও চলছে।
যৌন হেনস্থার শিকার এক বিদেশি মহিলা পর্যটক(Tourist)। হেনস্থায় বাধা দিতেই ছুরির কোপ।
এই ঘটনায় অভিযোগ হোটেলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। নেদারল্যান্ড থেকে গোয়ায়(Goa) বেড়াতে এসেছেন তরুণী। অভিযোগ, তাঁকে যৌন হেনস্থার চেষ্টা করে হোটেলের এক কর্মী। অভিযুক্তর নাম অভিষেক বর্মা। গোয়ার পারনেমের এক হোটেলে কাজ করে সে। সেখানেই থাকছিলেন ওই বিদেশি পর্যটক। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে তাঁর তাঁবুতে হঠাত্ ঢুকে পড়ে অভিষেক। মহিলার চিত্কার শুনে সাহায্যের জন্য ছুটে এসেছিলেন এক স্থানীয় তরুণ। তাঁকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করেছেন ওই কর্মী। ওই বিদেশি পর্যটক এবং স্থানীয় যুবক, দু’জনেই হাসপাতালে ভর্তি।
পুলিস সূত্রে খবর, নির্যাতিতা চিৎকার করায় তাঁকে হুমকি দেয় অভিযুক্ত। পর্যটক মহিলা থানায় গিয়ে ঘটনায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগে গোটা ঘটনার তদন্ত নামেন পুলিস। অভিযুক্ত হোটেলকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
ভারতের প্রথম পর্যটক বোঝাই ট্রেন। ভারতীয় রেলের (Indian Railway) এহেন উদ্যোগে খুশি ভ্রমণপ্রিয়রা। পর্যটন শিল্পকে উন্নতি করতে এবং স্বল্প খরচে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় রেল। উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির উপর বিশেষ জোর দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। আর তাই ভারত গৌরব (Bharat Gourav) ডিলাক্স ট্যুরিস্ট ট্রেন চালু করেছে রেল। অন্যদিকে দেশের ঐতিহাসিক, ধর্মীয় স্থানগুলিকে জুড়ে দিল রেল। শনিবার সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করল আইআরসিটিসির পর্যটক ট্রেন 'ভারত গৌরব'। সূত্রের খবর, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানা থেকে এই ট্রেন প্রথম যাত্রা শুরু করল। উত্তর ও পূর্বভারতের বেশকিছু ঐতিহ্যবাহী স্থানে পর্যটকদের নিয়ে যাবে এই ট্রেন।
সেকেন্দ্রবাদ থেকে যাত্রা শুরু করেছে। ট্রেনটি যাবে পুরী, কোনারকের সূর্য মন্দির, গয়া-কাশী, বারাণসী, অযোধ্যা ও প্রয়াগরাজ। সেখান থেকে ট্রেনটি ফিরে আসেবে সেকেন্দ্রাবাদে। সেকেন্দ্রাবাদ ছাড়াও ট্রেনটিতে যাত্রীরা উঠতে নামতে পারবেন কাজিপেট, খাম্মাম, বিজয়ওয়াড়া, এলুরু, রাজামুন্ড্রি, সামালকোট, সীমাচলম ও বিজয়নগরমে।
ট্রেনের মধ্যে যাত্রীদের জন্য কী কী বিশেষ পরিষেবা রেখেছে ভারতীয় রেল? জানা গিয়েছে, দূরপাল্লার এই ট্রেনটিতে রয়েছে এসি ও নন এসি স্লিপার কোচ। সফর করতে পারবেন ৬০০-৭০০ যাত্রী। কোচের ভেতরে রয়েছে ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, সিসিটিভি ক্যামেরা। রয়েছে প্যান্ট্রি কার। সেখানে দেশের বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যাবে।
এই প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে টিকিটের দাম, খাবার, বিমা, ট্যুর গাইড, সিকিউরিটি ও ট্যাক্স। এর মধ্যে ধরা নেই রুম সার্ভিস ও টিপস। ইকোনমি, স্ট্যান্ডার্ড ও কমফর্ট-এই তিন ধরনের প্যাকেজ পাওয়া যাবে ভারত গৌরবে। এছাড়া রয়েছে রুম শেয়ারের অপশানও। একা রুম নিলে জনপ্রতি পড়বে ১৫,৩০০-৩১,৫১০ টাকা। উল্লেখ্য, এই স্বল্প বাজেটে তীর্থযাত্রার সুবিধে পাওয়ায় খুশি পর্যটকরা।
প্রবল তুষারপাতের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হলো উত্তর-পূর্ব-সিকিম। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে হঠাত্ই আবহাওয়ার বদল দেখা যায়। যার কারণে উত্তর-পূর্ব সিকিমে বহু পর্যটকরা আটকে পড়েছেন।
শুক্রবার সিকিম প্রশাসন উত্তর-পূর্ব সিকিম তুষারপাতের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ জারি করে। জানা যায়, ছাঙ্গু, বাবা মন্দির ও নাথুলায় ভারী তুষারপাতের জন্য পর্যটকদের যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আবার খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
তুষারপাত শুরুর সময় অনেক পর্যটক আটকে পড়েছে সিকিমে। সেনাবাহিনী সূ্ত্রে খবর, উত্তর সিকিমের সব জায়গা মিলিয়ে কমবেশি ১ হাজার পর্যটক আটকে পড়েন। সন্ধ্যার পর থেকে তাঁদের উদ্ধারে নামে সেনা। গভীর রাত পর্যন্ত তা চলে। পর্যটকদের উদ্ধারের পর সেনা ছাউনিতে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। পরে মূল শহরে পৌঁছে দেওয়া হয় তাঁদের।
ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Jagannath Temple) কাছে একটি শপিং মলে ভয়াবহ আগুন (Fire Incident)। বুধবার সন্ধ্যায় লাগা আগুন ১২ ঘণ্টার চেষ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে দমকলের বিশাল বাহিনী। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পুড়ে ছাই প্রায় ৪০টিরও বেশি দোকান। আগুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটকেদের মধ্যে। পর্যটকদের (Puri Tourist) দ্রুত নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বাজার সংলগ্ন হোটেলগুলির মধ্যে থাকা মানুষজনকেও অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মন্দির চত্বর সংলগ্ন গোটা এলাকা ব্যারিকেড করে চলেছে আগুন নেভানোর কাজ।
#ଅସୁସ୍ଥ_ଅଗ୍ନିଶମ_କର୍ମଚାରୀ
— Kanak News (@kanak_news) March 8, 2023
ପ୍ରବଳ ଧୂଆଁରେ ଅଣନିଶ୍ୱାସୀ ଅଗ୍ନିଶମ କର୍ମଚାରୀ । ୨ ଜଣ ଅସୁସ୍ଥ ହୋଇଥିବା ସୂଚନା । #Fire #Puri #Odisha pic.twitter.com/5Ef5V9lmYs
ওড়িশার স্থানীয় সংবাদ সংস্থা থেকে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ প্রথম আগুন লেগেছিল গ্র্যান্ড রোডের মারিচীকোট চকের লক্ষ্মী মার্কেট কমপ্লেক্সের একটি জামা কাপড়ের দোকানে। সেখান থেকই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাজার চত্বরের গায়ে গায়ে লেগে থাকা দোকানগুলিতে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত অন্তত ৪০টি দোকান আগুনে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত। এমনকি বাজারের পাশের বেশ কয়েকটি হোটেলও কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে।
আগুন লাগার সময় পুরী মন্দিরের কাছেই ওই বাজার চত্বরে উপস্থিত ছিলেন বহু পর্যটক। আগুনের খবর ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটকেদের মধ্যে। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রশাসন যথাযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
দমকল বাহিনী জানিয়েছে, যে সময় আগুন লাগে, সে সময় পুরীর মন্দিরের কাছেই ওই বাজার চত্বরে হাজির ছিলেন বহু পর্যটক। তবে ওই বাজার চত্বর থেকে সমস্ত পর্যটককেই উদ্ধার করা গিয়েছে। তাঁরা আরও জানায়, ওই বাজার চত্বরে বেশ কিছু গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করা ছিল। সেই সব সিলিন্ডার দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তা না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত। দমকলের মুখপত্র জানান, ‘আগুন অনেকটা ছড়িয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। তবে আশা করছি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিভবে।’
চারপাশে কেবল নেগেটিভ খবর। খুন, ধর্ষণ, ভূমিকম্প, তুষার ঝড়ে বিপর্যস্ত বিশ্বের নানা খবর। এর মধ্যেও কিছু ঘটনা থাকে যা মনকে ছুঁয়ে যায়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে। যা ইতিমধ্যে প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছে দর্শক মনে।
ঘটনাটি কী? সুদূর আমেরিকা থেকে বেড়াতে এসে ট্রেনে ওয়ালেট ভুলে গিয়েছিলেন এক বিদেশি। তিনি গুজরাতের একটি ট্রেনে উঠেছিলেন। সেখানেই ভুলে ওয়ালেট রেখে নেমে পড়েন। এরপর অজানা জায়গায় কীভাবে কী করবেন বুঝতে না পেরে কার্যত মনমরা হয়ে পড়েছিলেন। এরপর আচমকা ইনস্টাগ্রামে একটি ম্যাসেজ পান। ইনস্টাগ্রামে চিরাগ নামে এক ব্যক্তি ম্যাসেজে লেখেন যে তিনি ট্রেনে ওই ব্যাগটি দেখতে পেয়ে তাঁর কাছে রেখে দিয়েছেন এবং তিনি সেটি ফেরত দিতে চান। একইসঙ্গে ভারতের ওই পর্যটকের যাতে ব্যাগটি নিতে সুবিধা হয় সেজন্য তিনি তাঁর ঠিকানাও ম্যাসেজে লিখে পাঠান।
এরপরই ঠিকানা মতো পৌঁছে যান চিরাগের রেস্তোরাঁয়। সেখানেই হাসিমুখে চিরাগ তাঁকে পয়সার ব্যাগ ফিরিয়ে দেন। চিরাগের ব্যবহারে খুশি হয়ে বিদেশি তাঁকে অর্থের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু চিরাগ সেই টাকা নিতে রাজি হননি। আর ফিরিয়ে দেন টাকা। উল্টে পর্যটককে সাবধানে থাকারই পরামর্শ দেন তিনি।
ওই বিদেশিনী ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যান। তিনি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, ভারতের অনেক নেতিবাচক খবর পাওয়া যায়। কিন্তু এখানে অনেক ভালো লোকও রয়েছেন। ভারত অনেক সুন্দর।
দার্জিলিং থেকে সাগর (Hill to Sea), নতুন বছরকে (New Year 2023) স্বাগত জানাতে কোমর বেঁধেছে বাংলা (Bengal Festival)। বছরের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর শনিবার। তাই এদিনেও ভিড় উপচে পড়েছে শহর এবং রাজ্যের একাধিক পর্যটনস্থলে (Tourist Place)। বাঙালি, অবাঙালি, পরিবার,পরিজন, হিন্দু,মুসলিম--সব মিলেমিশে একাকার। কারণ কথিত আছে ধর্ম যার যার, উৎসব সবার (Festival)। ২৫ ডিসেম্বর পরবর্তী সময়ে এই ৩১সে ডিসেম্বর এবং পয়লা জানুয়ারি ফেস্টিভ মুডে থাকে গোটা দেশ। বর্ষ বরণ উদযাপনের পরের দিন অফিস থাকলেও কুছ পরোয়া নেই। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকেই রাজপথে নামে মানুষের ঢল। এবার বছরের শেষদিন যেমন শনিবার, তাই সকাল থেকে মানুষের ভিড় পর্যটকস্থলগুলোতে।
কলকাতার ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানা কিংবা সায়েন্স সিটি যেমন আছে, তেমনই তালিকায় আছে পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধ, দিঘা, দার্জিলিং এমনকি শান্তিনিকেতন। লোকে লোকারন্য উপরের উল্লিখিত জায়গাগুলোয়। শনিবার বেলা যত বেড়েছে, তত পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মানুষের ভিড়। কেউ এসেছে পরিবারকে নিয়ে, কেউবা মনের মানুষকে নিয়ে। কেউ খাচ্ছেন গঙ্গার হাওয়া, কেউ সমুদ্র পাড়ে বসে নিচ্ছে সান বাথ। কেউ বা বাঘ, গণ্ডার দেখছেন, কেউ আবার পাহাড়ের কোলে নিজেকে সঁপে দিয়েছে। বছরের শেষ শনিবার এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে দার্জিলিং-সাগরজুড়ে।
কোনওরকম উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা ছাড়াই শুধু ছুটির দিন উপভোগ করতে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে গোটা বাংলা ভেঙে পড়েছে পর্যটন এবং দর্শনীয়স্থল গুলোতে।
মাটি বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে এক পর্যটক বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আর তার জেরে গুরুতর আহত ৩৫ জন যাত্রী। নিহত এক গাড়ির চালক। এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে বিহারের কাইমুরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে অন্তত ৫৫ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার পরে পুলিসকর্তা, স্থানীয়রা এবং ভারতের জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (NHAI) কর্মীরা আহতদের একটি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যান।
বাসটি রাস্তার ভুল দিকে চলে আসে। এর ফলে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের আগে ডাইভারশন দিয়ে কাটার চেষ্টা করছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বাস চালক খারাপভাবে আটকে পড়েন বাসের মধ্যে। শেষমেষ মৃত্যু হয় তাঁর। দুর্ঘটনার সময় বাংলার পর্যটকরা আগ্রা যাচ্ছিলেন।