শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তৎপর ইডি। শুক্রবার সকালে থেকে কলকাতায় চলছে ইডির ম্য়ারাথন তল্লাশি। লেকটাউন সহ ৫ জায়গায় চলছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশি। জানা গিয়েছে, এদিন চেতলায় বিশ্বরূপ বসু নামক এক ব্য়বসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পরিবহন ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার 'মিডলম্য়ান' অর্থাৎ প্রসন্ন রায় ঘনিষ্ঠ এই বিশ্বরূপ বসু।
ইডি সূত্রে খবর, এদিন চেতলার ১৭৮ নম্বর পিয়ারী মোহন রায় রোডের বাড়িতে ছিলেন না বিশ্বরুপ বসু। সেখানে তাঁর দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্য়মে জানা যায়, কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন বিশ্বরূপ বসু। অন্যদিকে চেতলা লকগেটের কাছে বিশ্বরূপ বসুর আরেকটি ফ্ল্যাট পাওয়া গিয়েছে। যদিও সেই ফ্ল্যাটটি তালা বন্ধ অবস্থায় ছিল। সেখানেও তাঁর বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে পাওয়া গিয়েছে। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকেরা। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর প্রসন্ন কুমার-এর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বরূপ বসুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা।
এরপর প্রসন্ন কুমার রায়ের সূত্র ধরে এস কে ঝুনঝুনওয়ালা ওরফে সত্যেন্দ্র ঝুনঝুনওয়ালার সন্ধান পান ইডি আধিকারিকেরা। এদিন সকালে ইডি আধিকারিকেরা তাঁর লেকটাউন বিরাটি অঞ্চলের বাড়িতে পৌঁছে যায়। সেখানে তাঁকে প্রায় দুই ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাঁকে নিয়ে তাঁর ভাই বীরেন্দ্র ঝুনঝুনওয়ালার বাড়ি এয়ারপোর্ট থানা এলাকার বিরাটি ৪ নম্বর মহাজাতি অঞ্চলের গৌরীপুর রোডের বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। সকাল ন'টা থেকে সেখানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি আধিকারিকেরা।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে ফের গ্রেফতার ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়। সোমবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়ে তাঁকে। এর আগে এই একই মামলায় সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান ‘নিয়োগ দুর্নীতির অন্য়তম মিডলম্যান’।
জানা গিয়েছে, সোমবার প্রসন্ন রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় ইডি দফতরে ডাকা হয়েছিল। সেখানে তাঁকে দিন-রাত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, এই প্রসন্ন রায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গত জানুয়ারি মাসে প্রসন্ন রায়ের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। প্রসন্ন রায়ের নিউটাউনের অফিস থেকে একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে খবর। সেই নথিপত্রের ভিত্তিতে প্রসন্ন রায়কে ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল। সেই মত সোমবার ইডি দফতর যান তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে প্রসন্ন রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁকে ইডির স্পেশাল কোর্টে পেশ করা হবে বলে সূত্রের খবর।
নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের চেষ্টার অভিযোগ। ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি মহিলা থানার পুলিস। শুক্রবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হয়। অন্যদিকে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি তুলে তার চাকরি থেকে বরখাস্ত করার আর্জি জানিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের সঙ্গে দেখা করলেন এবিভিপির সদস্যরা।
অভিযোগ, মহম্মদ আলম নামে ওই স্কুল শিক্ষক টিউশনি পড়ানোর নামে এক স্কুল ছাত্রীকে ডেকে যৌন হেনস্তার চেষ্টা করে। ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছরের ৩ রা জানুয়ারি। বেশ কিছুদিন বিষয়টি ধামাচাপা থাকলেও সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে আসে। এরপরই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অন্যদিকে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শিলিগুড়ি শহরের সেবক রোড এলাকার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পুলিস তাকে গ্রেফতার করে।
শুক্রবার নার্সিংহোমের তরফে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে ছেড়ে দেওয়া হলে তৎক্ষনাৎ তাকে আদালতে পেশ করা হয়। এরপর এদিন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয় এবিভিপির তরফে। তাদের দাবি অবিলম্বে ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বদলে চিন্তিত পড়ুয়া মহল থেকে শুরু করে অভিভাবক ও শিক্ষকরাও। সমস্যায় পড়তে পারেন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা এগোল মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। অন্যদিকে উচ্চ মাধ্য়মিকের সময় এগিয়েছে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশিকা জারি করে পরীক্ষা শুরুর নতুন নির্ঘন্ট প্রকাশ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
অভিযোগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনের ঘটনায় সমস্যায় পড়তে পারেন শিক্ষক ও পড়ুয়া উভয়ই। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সকালে মিলবে না যাতায়াত পরিষেবা। সেক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন শিক্ষকরাও।
ওদিকে পরীক্ষার সময়কে এগিয়ে নিয়ে আসার বিরোধিতা করেছে প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন। ইতিমধ্যেই তারা পর্ষদকে চিঠি দিয়ে পরীক্ষার সময় বদলের বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করার কথা বলেছে। পাশাপাশি পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত তুঘলকি শাসনকেও হার মানাবে বলে কটাক্ষ সংগঠনের সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতির। তাঁর দাবি, কোনও ছাত্র যদি ঠিক মত নির্দিষ্ট পরীক্ষা সেন্টারে পৌঁছাতে না পারে তার দায় কি সরকার নেবে? তিনি আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। বলেন, কোনও পড়ুয়া যদি পৌঁছতে না পেরে আত্মহত্যা করে তার দায় সরকারের।
মঙ্গলবার থেকে একগুচ্ছ কড়া নিয়ম চালু হল শিক্ষাক্ষেত্রে। সপ্তাহে অন্তত ৩২ ঘণ্টা ক্লাস নিতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। সকাল ১১:১৫-র পর কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা স্কুলে এলে তাঁকে অনুপস্থিত মার্ক করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। এছাড়াও মঙ্গলবার থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সকাল ১০:৩৫-র মধ্যেই পৌঁছতে হবে স্কুলে। আগে অবশ্য ১০:৪৫-এ স্কুল ক্যাম্পাসে পৌঁছলেও হত। যা চলতি শিক্ষাবর্ষে ১০ মিনিট এগিয়ে এনেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শুধু তাই নয়, বিকেল ৪টে ৩০ মিনিটের আগে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ শিক্ষাকর্মীকে স্কুল ক্যাম্পাস ছাড়তে নির্দেশ জারি পর্ষদের তরফে।
তবে শিক্ষাক্ষেত্রে পর্ষদের নির্দেশিকা প্রসঙ্গে গাফিলতির অভিযোগ আনছে অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স ও হেড মিস্ট্রেস সংগঠনের সদস্যরা। এদিন পর্ষদের নয়া নির্দেশিকা সম্পর্কে সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতির বক্তব্য-শিক্ষকই নেই, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার কাকে দেখাবেন। বহু স্কুল আছে যেখানে শিক্ষক মাত্র ৪-৫ জন। এভাবে কোনও স্কুল চলে।
রবিবার ফের একবার রাজ্যে অনুষ্ঠিত হল প্রাথমিক টেট। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, এবারের প্রাথমিক টেটে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন। পরীক্ষা হয়েছে মোট ৭৭৩টি কেন্দ্রে। এরমধ্যে শহর কলকাতার পাঁচটি কেন্দ্রে চলল টেট পরীক্ষা। তার মধ্যে রয়েছে- চেতলা গার্লস, বাগবাজার মাল্টিপারপাস, শিয়ালদহ টাকি বয়েজ, যাদবপুর বিদ্যাপীঠ এবং দমদমের কুমার আশুতোষ ইনস্টিটিউশন। দুপুর ১২টা থেকে ২:৩০ পর্যন্ত সময় নির্ধারিত ছিল পরীক্ষার জন্য। কিন্তু বেশ কিছু কেন্দ্রে পরীক্ষা হলে ঢুকতে বাধার সম্মুখীন হন পরীক্ষার্থীরা। এমনকি অ্যাডমিট কার্ডে প্রবেশের শেষ সময়সীমা উল্লেখ না থাকায় কিছুটা বিভ্রান্তির মুখেও পড়তে হয় টেট পরীক্ষার্থীদের। যদিও পরবর্তীতে সিএনের খবরের জেরে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেন পরীক্ষার্থীরা।
রবিবারের প্রাথমিক টেট নিয়ে যথেষ্ট কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে। এদিন সরেজমিনে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে টেট পরীক্ষা কেন্দ্র সল্টলেকের এর ভগবতী দেবী বালিকা বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। পাশাপশি প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তার বিষয়গুলো খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে বলে জানালেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার।
গত ২০২২ ডিসেম্বরেও হয়েছিল প্রাথমিক টেট পরীক্ষা। যদিও সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনো সম্পন্ন হয়নি। পাশাপাশি শহরের বুকে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগ না হলেও ২০২৩-এও ফের একবার সম্পন্ন হল প্রাথমিক টেট। পরীক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, চাকরি না হলেও আপাতত এক বুক আশা নিয়েই পরীক্ষা দিতে এসেছেন তাঁরা।
এমনকি রবিবার রীতিমত নিরাশ হয়ে এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবকও জানালেন তাঁরা কোনওরকম নিয়োগের আশা রাখছেন না এই টেট পরীক্ষা থেকেও। ২৪ ডিসেম্বর রাজ্যে ফের একবার প্রাথমিক টেট হলেও নিয়োগ কবে হবে জানেন না কেউই। এখনও পর্যন্ত শহরের বুকে নিয়োগের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।এমনকি গত ২০২২ টেটের নিয়োগ অবধি এখনও হয়নি। তার মধ্যেই ফের একবার টেট সম্পন্ন হল রবিবার। আর এই নিয়েই প্রশ্নের মুখে থেকে যাচ্ছে মধ্যে শিক্ষা পর্ষদ সহ প্রশাসনের ভূমিকা। একবুক আশা নিয়েই যে ৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিলেন আদৌ কি তাঁরা কখনও নিয়োগপত্র পাবেন? না কি তাঁদেরও ভবিষৎ রাজপথের আন্দোলনে কেটে যাবে ? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
এবার রাজ্যে ২০১৬ সালের SLST- তে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দিল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। পাশাপাশি ২০১৬-র RLST-তে চাকরি পাওয়া গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-তে যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের তালিকাও প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে। এই বিষয়ে প্রতিটি জেলার ডিআইকে বিজ্ঞপ্তি পাঠাল SSC। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে প্রতিটি প্রধান শিক্ষকের কাছে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে, তাঁদের স্কুলে কতজন ২০১৬-তে পাওয়া চাকুরিরত রয়েছেন তার তালিকা প্রস্তুত করতে। পাশাপাশি যাঁরা স্কুলে থাকবেন না, তাঁদের বাড়িতেই পাঠাতে হবে এই বিজ্ঞপ্তি, এমনটাই নির্দেশ শিক্ষা দফতরের।
৯ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে, ২০১৬-তে চাকরি পাওয়া শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীর তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য শিক্ষা দফতর। এছাড়াও সোমবার অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক প্রধান শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট SI অফিস থেকে অন্যান্য নথি-সহ শিক্ষা দফতর দ্বারা জারি করা নোটিশ সংগ্রহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি স্কুল এবং সংশ্লিষ্ট অফিসকে তাদের নোটিস বোর্ডে ওই 'পাবলিক নোটিস' প্রদর্শন করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ওই দিনই সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের অন্যান্য নথির সাথে নোটিশ প্রদান করবেন প্রধান শিক্ষক, এমনটাই নিদের্শ রাজ্য শিক্ষা দফতরের। পাশাপাশি ওই সংশ্লিষ্ট কর্মচারী বা শিক্ষককে ই-মেলও করা হবে এবং প্রমাণও রাখা হবে ওই বিজ্ঞপ্তির, এমনটাই সূত্রের খবর। সবশেষে আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ফরওয়ার্ডিং লেটার-সহ ওই বিজ্ঞপ্তি পরিষেবার প্রতিবেদন জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট এসআই অফিসে। তবে এক্ষেত্রে ২০১৬-র SLST এবং RLST-তে চাকরি পাওয়া ব্যক্তির মধ্যে কেউ পদত্যাগ করে থাকলে বা কারও মৃত্যু হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে তাঁদের ওই বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর জন্য বিবেচনা করা হবে না বলেই সূত্রের খবর।
তবে এই তালিকা প্রকাশের বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকর্মীর স্বাক্ষর নকল করে অর্থ আত্মসাৎ-এর অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির হেদিয়াপোতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।যার জেরে চলতি বছরে সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ জানান বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অভিযোগের ভিত্তিতে জয়েন্ট বিডিও এবং এস আই তদন্ত শুরু করেন।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ইন্ডিয়ান গ্যাসের এক সংস্থাকে চেক দিতে গিয়ে ধরা পড়েন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শুভ্র প্রতিপাল। এই প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে চেক নিয়ে দেখেন চেকের মধ্যে সৌরভ পালের সাইন করা। এই সহ শিক্ষক সৌরভ পাল ২০১৯ সালে লিখিতভাবে ভিসি কমিটি থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। তাহলে কি করে তাঁর সিগনেচারটি অথরিটিতে থাকে ? সেই চেক দেখার পর প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান। স্কুলের উন্নয়ন নেই।মিড মিলের চাল রান্না করা হয় না। সেজন্য স্টক পয়েন্টে পরিণত হয়েছে।
অভিযোগ, বিদ্য়ালয়ে নিম্নমানের চাল ব্যবহার করা হচ্ছে। যে চালে পোকা রয়েছে এমনি অভিযোগ করেছেন স্কুলের সহক শিক্ষক- শিক্ষিকারা সকলেই। এছাড়াও সমস্ত স্কুলের খাতা পত্র প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে থাকে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেখতে চাইলে সময় মত দেখায় না। ছুটির সময় তাঁদেরকে দিয়ে সাইন করানোর চেষ্টা করেন। একাধিক অভিযোগ করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যদিও প্রধান শিক্ষক এই গোটা বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে এড়িয়ে যান।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বৃহস্পতিবার সকাল সকাল ইডির হানা শহরে। ইডি আধিকারিকরা অভিযান চালান কাশিপুর থানা এলাকার কাশিনাথ দত্ত রোডে প্রাক্তন শিক্ষকের বাড়িতে। জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের প্রাক্তন শিক্ষক শুভ্রাংশ মৈত্রের বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে ইডি আধিকারিকরা পৌঁছে যান সকাল নয়টা নাগাদ।
মূলত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে প্রাক্তন এই শিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছয় ইডি আধিকারিকরা। তবে বছর খানেক আগেই প্রায়ত হয়েছেন শুভ্রাংশ মৈত্র। কাশিপুরের বাড়িতে শুভ্রাংশ বাবুর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা থাকেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভ্রাংশ বাবু কোনওভাবে যুক্ত কিনা তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি বিভিন্ন নথিও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
প্রধান শিক্ষক নিয়োগে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া মানা হয়নি, এমনই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার শুনানিতে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল আদালত। জানা গিয়েছে, চলতি বছর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি স্কুলে নিয়ম না মেনে, কাউন্সেলিং ছাড়াই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠে। বেশ কয়েকজন শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এরপর মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। এদিন ওই মামলার শুনানিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করল জাস্টিস গাঙ্গুলি। আগামী ২০ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি আছে।
এদিন এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, শুধুমাত্র বয়স এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে জেলা স্কুল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অর্থাৎ DPSC রুলে প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হয়। সবল জবাবে রাজ্যের বক্তব্যের পাল্টা মামলাকারীর দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কাউন্সেলিং হয়নি, বরং অন্যান্য কয়েকটি জেলা অর্থাৎ বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় নিয়ম মেনেই হয়েছে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে কাঁটায় বিদ্ধ রাজ্য সরকার অর্থাৎ তৃণমূল। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই হাজতে আছেন তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক, সহ অন্তত হাফ ডজন নেতা। এরই পাশে বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্য জুড়ে সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এ অবস্থায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি রাজ্য সরকারের কাছে গোদের উপর বিষফোঁড়া সেটা বলা চলে।
শাহ সফরের পরের দিনই সক্রিয় সিবিআই। সূত্রের খবর, রাজ্য জুড়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় সিবিআই তল্লাশি শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সল্টলেক, মুর্শিদাবাদ, কলকাতার কিছু জায়গায় তৃণমূল কাউন্সিলর ও ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সকাল থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্তের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি শুরু হয়েছে। ওদিকে ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে বৃহস্পতিবার হানা দিল সিবিআই আধিকারিকরা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিক ঘনিষ্ঠ জাফিকুল জড়িয়ে আছেন কি না তার তদন্তেই এদিন সকালে ডোমকলে আসেন তারা। এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বড়ঞার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
গতকাল অর্থাৎ বুধবার ধর্মতলার সভা থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ দুর্নীতি নিয়ে মমতা ও তৃণমূলকে টার্গেট করেন। তারপর দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে বহু যায়গায় সিবিআই হানা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ডোমকলের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদেও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছে। বড়ঞায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের গ্ৰেফতারের পর এবার ফের সিবিআই হানা বড়ঞায়, বড়ঞা থানার কুলি মোড়ের বাসিন্দা ঝান্টু সেখ পেশায় ব্যবসায়ী তার বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকাল সকাল কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানদের নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা হানা দেয়। জানা গেছে এই ঝানটু শেখের বেশ কিছু বেসরকারি কলেজ ও বিভিন্ন জায়গায় সম্পত্তি রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা ঝান্টু শেখের বাড়িতে পৌঁছেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ওদিকে পাটুলি, সল্টলেকে তৃণমূল কাউন্সিলরদের বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের। পাটুলিতে নিয়োগ দুর্নীতির মূল মাথা পার্থ ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাসগুপের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। ওদিকে বিধাননগর পৌরনিগমের মেয়র পরিষদ সদস্য ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই হানা। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই এর এই অভিযান বলে সূত্র মারফত খবর।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার আরও এক। ওএমআর শিট প্রস্তুতকারী সংস্থা এস বসু রায় এন্ড কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত কৌশিক মাজিকে গ্রেফতার করল সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কৌশিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল। সেসময় তাঁর বয়ানে অসংগতি পাওয়ায় গ্রেফতার করে সিবিআই। আদালতেও তাঁকে পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার ওএমআর শিট বিকৃতিকাণ্ডে এস বসু রায় এন্ড কোম্পানির কর্মী পার্থ সেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
রাজ্য সরকারের 'পাড়ায় সমাধান' প্রকল্পের মাধ্যমে ৮৭ জন শিক্ষকের বদলির অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা পূজা মণ্ডল হাজরা। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে দায়ের হয়েছিল মামলা। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'পাড়ায় সমাধান-এর মাধ্যমে আর কোনও বদলি করা যাবে না। এই প্রকল্প আপনারা রাখতে পারেন, কিন্তু এর মাধ্যমে কোনও বদলি করা যাবে না। উৎসশ্রী পোর্টাল যদি এখন বন্ধ হয়ে থাকে, তাহলে কীভাবে এতজন বদলি পেল? এটা তো বিনা অনুমোদনে হচ্ছে। কী করে এটা হল? এর প্রয়োজনীয়তাই বা কী ছিল?' রাজ্যের কাছে এই বদলির দ্রুততার কারণ জানতে চায় আদালত। ১৩ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির নির্দেশ। সেদিন রাজ্যকে দিতে হবে উত্তর।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, 'দুয়ারে সরকার'-এর একটি স্কিম পাড়ায় সমাধান। এর মাধ্যম রাজ্য সরকার মানুষকে ঘরের কাছে গিয়ে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছে। এটা জনকল্যাণমূলক প্রজেক্ট।
বিচারপতি জানান, এই স্কিম আইনবিরুদ্ধ। ৮৭ জনের ট্রান্সফার হয়ছে এই স্কিম-এ। কমিশন কীভাবে এটা করেছে? রাজ্য জানায়, বোর্ডের সম্মতিতে হয়ছে, নিয়ম মেনে। ১০০ জনের আবেদনের মধ্যে ৯৬ জনের বদলি হয়েছে। কমিশনের প্রতিনিধি ওখানে থাকত।
বিচারপতি জানতে চান, কী কারণে তাঁরা বদলি পেলেন? তাঁদের কী জরুরী ছিল? যদি এরকম হত, কোনও স্কুলে সত্যিই শিক্ষক নেই, এদিকে অন্য কোনও স্কুলে অনেক শিক্ষক, তার জন্যই এই বদলি হয়েছে, তাহলে ঠিক ছিল। কিন্তু একসঙ্গে ৯৬ জন? এর কারণ আদালতের জানা দরকার। রাজ্যকে জানাতে হবে এর কারণ। নির্দেশ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।
জামিনে মুক্তি পেয়েই ক্লাস করালেন ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষক। এবার তা নিয়েই বিতর্কে জড়াল খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ওই বৃত্তের স্কুল পরিদর্শক। শনিবার মুর্শিদাবাদের সুতি সার্কেলের ৬৩ নং খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস করান ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। সূত্রের খবর, ওই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের নাম রমেন ঘোষ। অভিযোগ, গত মাসেই ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিক্ষক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। শুক্রবারই জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর শুক্রবারই স্কুলে যোগ দিয়ে ক্লাস করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিক্ষক গ্রেফতার, এবং দীর্ঘ ১ মাস জেলে থাকলেও এখনও অবধি তাঁকে শোকজ করেননি কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক জামিন পেয়েই বিনা বাধায় স্কুলে যেতে পারেন?
সূত্রের খবর, অগাস্ট মাসে এক মহিলার অভিযোগে ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় ৬৩ নং খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রমেন ঘোষ। প্রেম ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে, তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সহবাসের অভিযোগ আনেন ওই নির্যাতিতা, এরপরই তদন্তে নেমে ওই স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করে সুতি থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, অগাস্ট মাসের ১৪ তারিখে গ্রেফতারির পর চলতি মাসে ১৫ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার জামিনে মুক্তি পায় ওই অভিযুক্ত শিক্ষক। এরপরই শনিবার বিদ্যালয়ে এসে পুনরায় যোগ দেয় ওই শিক্ষক। প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক জেলা স্কুল কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পুনরায় স্কুলে যোগ দেয়? এছাড়া আরও প্রশ্ন উঠছে, গ্রেফতারির পর কেন সুতি সার্কেল স্কুল পরিদর্শক কতৃক শোকজ করা হল না ওই শিক্ষককে?
এ বিষয়ে ওই সার্কেলের এসআই অর্থাৎ স্কুল পরিদর্শক পলাশ সিকদারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে, মঙ্গলবারই আমরা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।' কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সামান্য শোকজ করতে এক মাস সময় কেন? এ বিষয়ে অবশ্য ওই এসআই কোনও উত্তরই দেন নি। পাশাপাশি এ বিষয়ে মুশিদাবাদ জেলার ডিপিএসসি চেয়ারম্যান আশীষ মার্জিতকে ফোনে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তাঁকে ফোন পাওয়া যায় নি।
'দুর্গা' বানান ভুল, অথচ চাকরি পেতে আইনি লড়াই। তাও জাস্টিস গাঙ্গুলির বেঞ্চে। কিন্তু জানেন না 'দুর্গা' ও 'করি' বানান? নিজেকে 'যোগ্য' বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থী আমনা পারভিন। কিন্তু সেই চাকরিপ্রার্থীর জ্ঞানভাণ্ডার দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বলতে পারলেন না সামান্য 'দুর্গা' ও 'করি' বানান টুকুও? নিজেকে যোগ্য দাবি করা চাকরিপ্রার্থীর শিক্ষার হাল দেখে চক্ষু চড়কগাছ বিচারপতির। ভরা আদালতে ফেল করলেন বিচারপতির সামনেই? আবার স্বপ্ন দেখছেন শিক্ষক হবেন?
প্রসঙ্গত, ছয়টি প্রশ্ন ভুল মামলায় শুক্রবারই আদালতে হাজির হন আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থী আমনা পারভিন। ভরা এজলাসে তাঁর সামনেই ১৬ মিনিট ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও দেখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। চলতি বছরেই বোর্ড প্রেসিডেন্টকে আমনা পারভিনের ইন্টারভিউ ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি, সমস্ত প্রক্রিয়াটি ভিডিয়োগ্রাফি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন শুনানিতে আদালতে সেই ভিডিওটিই দেখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
মামলাকারী বলেন আমায় জিজ্ঞাসা করল কোথা থেকে এসেছেন? দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে। বিচারপতির প্রশ্ন, আর কী জিজ্ঞাসা করল? আমনার জবাব, কোন বিষয়ে পড়াতে চাই? জিজ্ঞাসা করল। এদিকে ভিডিওতে দেখা যায় আমনা পারভিন 'করি' বানান ভুল করেছিলেন। তা নিয়ে বিচারপতির প্রশ্ন, আপনি 'করি' বানান ভুল করলেন? আপনি 'দুর্গা' বানান বলুন তো?
আমনার উত্তর, দূর্গা। বিচারপতি বলেন ভুল। এরপর ফের আমনাকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। বিচারপতি জিজ্ঞাসা করলেন 'করি'-র সমার্থক শব্দ বলুন? উত্তরে কার্যত চুপই থাকলেন আমনা।
এদিন আদালতে সর্বসম্মুখে বিচারপতির প্রশ্নে ভুল করায় আর দ্বিতীয় বার ভাবতে হল না বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে। বিচারপতির মন্তব্য, এই বিদ্যা নিয়ে আপনার আর ছোট বাচ্চাদের পড়াতে যাওয়ার দরকার নেই। আমি বারণ করব আপনি যাবেন না। হয়তো আপনার থেকে আরও অনেক খারাপ শিক্ষক এখন টাকা দিয়ে চাকরি করছেন। কিন্তু আপনি দয়া করে আর শিক্ষিকা হতে যাবেন না। পাশাপাশি, মামলা খারিজ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দেওয়া পেন ড্রাইভ ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি।
যে বিচারপতির দরবারে থেকে কেউ খালি হাতে ফেরেন না, আজ সেই বিচারপতির দরবার থেকেই খালি হাতে ফিরে যেতে হল, আমনা পারভিনকে। তবে, আবারও অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিলেন বিচার তাঁর কাছে সমসময় নিরপেক্ষ।