
জামিনে মুক্তি পেয়েই ক্লাস করালেন ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষক। এবার তা নিয়েই বিতর্কে জড়াল খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ওই বৃত্তের স্কুল পরিদর্শক। শনিবার মুর্শিদাবাদের সুতি সার্কেলের ৬৩ নং খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস করান ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। সূত্রের খবর, ওই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের নাম রমেন ঘোষ। অভিযোগ, গত মাসেই ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিক্ষক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। শুক্রবারই জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর শুক্রবারই স্কুলে যোগ দিয়ে ক্লাস করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিক্ষক গ্রেফতার, এবং দীর্ঘ ১ মাস জেলে থাকলেও এখনও অবধি তাঁকে শোকজ করেননি কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক জামিন পেয়েই বিনা বাধায় স্কুলে যেতে পারেন?
সূত্রের খবর, অগাস্ট মাসে এক মহিলার অভিযোগে ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় ৬৩ নং খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রমেন ঘোষ। প্রেম ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে, তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সহবাসের অভিযোগ আনেন ওই নির্যাতিতা, এরপরই তদন্তে নেমে ওই স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করে সুতি থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, অগাস্ট মাসের ১৪ তারিখে গ্রেফতারির পর চলতি মাসে ১৫ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার জামিনে মুক্তি পায় ওই অভিযুক্ত শিক্ষক। এরপরই শনিবার বিদ্যালয়ে এসে পুনরায় যোগ দেয় ওই শিক্ষক। প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক জেলা স্কুল কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পুনরায় স্কুলে যোগ দেয়? এছাড়া আরও প্রশ্ন উঠছে, গ্রেফতারির পর কেন সুতি সার্কেল স্কুল পরিদর্শক কতৃক শোকজ করা হল না ওই শিক্ষককে?
এ বিষয়ে ওই সার্কেলের এসআই অর্থাৎ স্কুল পরিদর্শক পলাশ সিকদারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে, মঙ্গলবারই আমরা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।' কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সামান্য শোকজ করতে এক মাস সময় কেন? এ বিষয়ে অবশ্য ওই এসআই কোনও উত্তরই দেন নি। পাশাপাশি এ বিষয়ে মুশিদাবাদ জেলার ডিপিএসসি চেয়ারম্যান আশীষ মার্জিতকে ফোনে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তাঁকে ফোন পাওয়া যায় নি।
'দুর্গা' বানান ভুল, অথচ চাকরি পেতে আইনি লড়াই। তাও জাস্টিস গাঙ্গুলির বেঞ্চে। কিন্তু জানেন না 'দুর্গা' ও 'করি' বানান? নিজেকে 'যোগ্য' বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থী আমনা পারভিন। কিন্তু সেই চাকরিপ্রার্থীর জ্ঞানভাণ্ডার দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বলতে পারলেন না সামান্য 'দুর্গা' ও 'করি' বানান টুকুও? নিজেকে যোগ্য দাবি করা চাকরিপ্রার্থীর শিক্ষার হাল দেখে চক্ষু চড়কগাছ বিচারপতির। ভরা আদালতে ফেল করলেন বিচারপতির সামনেই? আবার স্বপ্ন দেখছেন শিক্ষক হবেন?
প্রসঙ্গত, ছয়টি প্রশ্ন ভুল মামলায় শুক্রবারই আদালতে হাজির হন আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থী আমনা পারভিন। ভরা এজলাসে তাঁর সামনেই ১৬ মিনিট ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও দেখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। চলতি বছরেই বোর্ড প্রেসিডেন্টকে আমনা পারভিনের ইন্টারভিউ ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি, সমস্ত প্রক্রিয়াটি ভিডিয়োগ্রাফি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন শুনানিতে আদালতে সেই ভিডিওটিই দেখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
মামলাকারী বলেন আমায় জিজ্ঞাসা করল কোথা থেকে এসেছেন? দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে। বিচারপতির প্রশ্ন, আর কী জিজ্ঞাসা করল? আমনার জবাব, কোন বিষয়ে পড়াতে চাই? জিজ্ঞাসা করল। এদিকে ভিডিওতে দেখা যায় আমনা পারভিন 'করি' বানান ভুল করেছিলেন। তা নিয়ে বিচারপতির প্রশ্ন, আপনি 'করি' বানান ভুল করলেন? আপনি 'দুর্গা' বানান বলুন তো?
আমনার উত্তর, দূর্গা। বিচারপতি বলেন ভুল। এরপর ফের আমনাকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। বিচারপতি জিজ্ঞাসা করলেন 'করি'-র সমার্থক শব্দ বলুন? উত্তরে কার্যত চুপই থাকলেন আমনা।
এদিন আদালতে সর্বসম্মুখে বিচারপতির প্রশ্নে ভুল করায় আর দ্বিতীয় বার ভাবতে হল না বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে। বিচারপতির মন্তব্য, এই বিদ্যা নিয়ে আপনার আর ছোট বাচ্চাদের পড়াতে যাওয়ার দরকার নেই। আমি বারণ করব আপনি যাবেন না। হয়তো আপনার থেকে আরও অনেক খারাপ শিক্ষক এখন টাকা দিয়ে চাকরি করছেন। কিন্তু আপনি দয়া করে আর শিক্ষিকা হতে যাবেন না। পাশাপাশি, মামলা খারিজ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দেওয়া পেন ড্রাইভ ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি।
যে বিচারপতির দরবারে থেকে কেউ খালি হাতে ফেরেন না, আজ সেই বিচারপতির দরবার থেকেই খালি হাতে ফিরে যেতে হল, আমনা পারভিনকে। তবে, আবারও অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিলেন বিচার তাঁর কাছে সমসময় নিরপেক্ষ।
ক্লাসে দশম শ্রেণির ছাত্রকে শাস্তি দেওয়ার 'অপরাধ'। ইংরেজি শিক্ষককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল অভিভাবকের বিরুদ্ধে। হাওড়ার শ্যামপুরের নওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ স্কুলের ঘটনা। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রকে কথা না শোনার জন্য কান ধরে ওঠবোস করিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। একটা চড়ও মেরেছিলেন বলে অভিযোগ। শুধুমাত্র এই শাস্তির জন্য টিচার্স রুমে ঢুকে কীভাবে একজন শিক্ষককে এভাবে নিগ্রহ করা হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
জানা গিয়েছে, ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন হলেন পড়ুয়ার মামা, আরেকজন মামার বন্ধু বলে খবর। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
জানা গিয়েছে,দশম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস চলছিল। সেইসময়, ওই ছাত্র ক্লাসের মধ্যে গোলমাল করে বলে অভিযোগ। তখন তাঁকে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন ওই ইংরেজি শিক্ষক। কিন্তু, সেকথা না শোনায়, ওই পড়ুয়াকে চড় মারেন ও কান ধরে ওঠবোস করান বলে অভিযোগ।
এরপরই স্কুলে চড়াও হন ওই পড়ুয়ার আত্মীয়-স্বজনরা। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের মামা ও আরও বেশ কয়েকজন টিচার্স রুমে ঢুকে ওই ইংরেজির শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। কিল,চড়, ঘুসি কিছুই বাদ যায়নি। শুধু তাই নয়, টিচার্স রুমের আরও কয়েকজন শিক্ষকও আহত হন বলে খবর। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল। এদিকে, এই ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে শিক্ষকমহলে। তাঁদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
এক বছরের ব্যবধানে ফের প্রাথমিক টেট হতে চলেছে। সব ঠিক থাকলে ডিসেম্বরেই ফের টেট পরীক্ষা হতে পারে। পরীক্ষা নেবে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে টেট পরীক্ষা হয়। এনসিটিই গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রত্যেক বছর প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা নিতে হবে। সেই অনুযায়ী ফের পরীক্ষা নিতে পারে পর্ষদ। তবে ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও এগোয়নি। প্রায় দেড়় লক্ষ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এরই মধ্যে ফের টেট পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিতে পারে পর্ষদ।
সূত্রের খবর, আগামী ডিসেম্বরেই প্রাথমিক টেট হতে পারে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে রবিবার এই টেট পরীক্ষা হবে। জানা গিয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে পর্ষদ।
পুজোতে কোথায় থাকবেন তিনি ? জেলে নাকি জেলের বাইরে। বুধবার তার সিদ্ধান্ত হল না। বরং আরও একমাস পর এই ব্যাপারে শুনানি হবে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, আরও একটা পুজো হয়তো জেলেই কাটাতে চলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
জামিনের আবেদন চেয়ে এদিন হাই কোর্টে গিয়েছিলেন তিনি। বিচারপতির এজালাসে নাকি মামলাও উঠেছিল। কিন্তু বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ তা ৯ অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছেন।
হিসাব বলছে, ১৯ তারিখ থেকে পুজো শুরু। তার আগে জামি চেয়ে এদিন হাই কোর্টে গিয়েছিলেন পার্থর আইনজীবীরা। কারণ, এর আগে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাস থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন আর এক অভিযুক্ত মানিক ভট্টচার্যের স্ত্রী। যদিও পার্থর ক্ষেত্রে তা কাজে লাগলো না। ইতিমধ্যেই ১৩ মাস জেল খাটা হয়ে গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গত বছরের জুলাই মাসে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পার্থর দাবি, তাঁর সঙ্গে দুর্নীতির যোগ রয়েছে, তা এখনও প্রমাণ করতে পারেনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাঁকে মানসিক ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। যদিও শোভনকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
সৌমেন সুর: আমাদের জীবনে এমন কতকগুলো দিন আসে যেগুলো নতুন ভাবে আমাদের উজ্জীবিত করে। অনুপ্রাণিত করে। সেদিন মনে হয় আমাদের অন্তরের শুদ্ধিকরণ হল। জাগরণ হল শ্রদ্ধাবোধের। মানুষ গড়ার কারিগরদের প্রতি সেদিন আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন। ৫ই সেপ্টেম্বর এমনই একটা মহান দিন। মহান সাধক ও মহান শিক্ষক সর্বোপরি ড. রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিবস উপলক্ষে ৫ই সেপ্টেম্বর 'শিক্ষক দিবস' রূপে দেশ ও জাতির কাছে চিহ্নিত হয়। শিক্ষক জাতির মেরুদন্ড। তারা সমাজের প্রণম্য। একমাত্র তারাই শিক্ষার্থীর মনের অন্ধকার দূর করে জ্বালিয়ে দেন জ্ঞানের প্রদীপ। শিক্ষকরাই দেশ ও জাতির অগ্রগতির উৎস। সমস্ত বিভাগীয় শিক্ষকদের কাছে ৫ই সেপ্টেম্বর তারিখটি উজ্জ্বলতার অনন্য নির্যাস।
১৮৮৮ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন অনন্য প্রতি ভাই প্রদীপ্ত সাধক সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ। ১৯০৫ সালে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনে এম. এ। এরপর মাদ্রাজের প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনা শুরু। তারপর মহীশূর কলেজে অধ্যাপনা। এই মহিশুর এই রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হয় ১৯১৮ সালে। সাক্ষাতের আগেই তার লেখা 'দ্য ফিলোজফি অব রবীন্দ্রনাথ টেগোর' গ্রন্থের প্রকাশ। ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। টানা কুড়ি বছর এই বিভাগে যুক্ত ছিলেন। ১৯৬২ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি হন।
কথা হলো শিক্ষক হলেন দেশের অন্যতম প্রধান কর্ণধার। রাধাকৃষ্ণণ ছিলেন একজন আদর্শনিষ্ঠ শিক্ষক, বিদ্যান, বাগ্মীও জ্ঞান তপস্বী। তার ওপর রাষ্ট্রপ্রধান। তাই ৫ই সেপ্টেম্বর তার জন্মদিন উপলক্ষে 'শিক্ষক দিবস' হিসেবে পালন করা হয়। এই পবিত্র দিনের শিক্ষকরাই যে জাতির মেরুদন্ড তা শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়। শিক্ষক শুধু শিক্ষাই দেন না। তিনি শিক্ষার্থীর কোমল মনে গভীর প্রভাব বিস্তার করেন। চিত্তের প্রসার ঘটান। সাধারণ মানুষ শিক্ষক সমাজের প্রতি শ্রদ্ধাবান হোক। এটাই শিক্ষক দিবসের প্রাণের কথা। আবার এই দিনের শিক্ষক সমাজ তাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করুক, এটাই শিক্ষক দিবসের মহৎ বার্তা।
কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়েও স্কুলে আসার অভিযোগ এক প্রাইমারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যার জেরে ওই স্কুলের অন্যান্য শিশু পড়ুয়াদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। শনিবার সকালে ঘটনাটি দত্তপুকুর থানার বামনগাছি পল্লীমঙ্গল প্রাইমারি স্কুলের। অভিযোগ, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিম আলী কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়েও শুক্রবার বিদ্যালয়ে এলেন, ও পড়ুয়াদের ক্লাস ও নিলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে কেন একজন শিক্ষক হয়েও তিনি কর্তব্যরতের মত ব্যবহার করলেন না। তাছাড়া তিনি স্কুলে যোগ দেওয়ার আগে কি মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন কতৃপক্ষকে! সে প্রশ্নই উঠছে।
সূত্রের খবর, ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিম আলী গত মাসের ২৯ তারিখে চোখের সংক্ৰমণ জনিত রোগ কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত হয়। এরপরে পার হয়েছে ৩ দিন। একটু চোখের লাল ভাব কমতেই তাঁকে স্কুলে দেখা গেলে বিতর্ক শুরু হয়। অভিযোগ সংক্রমিত হওয়ার পরেও কেন সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ না হয়েই স্কুলে এলেন তিনি? এ বিষয়ে সিএন-ডিজিটালকে ওই শিক্ষক বলেন, 'তিনি যে স্কুলে এসেছেন সে বিষয়ে জানেন ব্লক স্কুল পরিদর্শক অমিত মন্ডল।' এখানেই প্রশ্ন উঠছে যেখানে ব্লক স্কুল পরিদর্শক জানেন ওই শিক্ষক কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্তান্ত, সেখানে তিনি কিভাবে ওই শিক্ষককে স্কুলে আসার অনুমতি দিলেন। এ বিষয়ে জানতে ওই পরিদর্শককে বারবার ফোন করা হলে, তাঁকে ফোন পাওয়া যায় নি।
সূত্রের খবর, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনও চাকরিজীবী অসুস্থ হলে মেডিকেল বাবদ ছুটি পায়। কিন্তু তাকে পুনরায় কাজে যোগ দিতে গেলে মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট কাগজ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে তাঁর উর্ধতন কতৃপক্ষ তাকে পুনরায় কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেবে। এখন প্রশ্ন উঠছে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কি মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে ওই শিক্ষক বলেন, 'আমার চোখে লাল ভাব নেই, আমি সুস্থ তাই স্কুলে এসেছি।' কিন্তু ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কাজল ঘোষের দাবি, অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট নিয়েই আসতে বলা হয়েছিল।
একদিকে যখন করোনার মত সংক্রমক রোগ কাটিয়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব, এরপরে আরও এক সংক্রমক রোগ কনজাঙ্কটিভাইটিসে ভুগছে গোটা দেশ। কনজাঙ্কটিভাইটিস থেকে বাঁচার জন্য সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে বিভিন্ন সতর্কতা জারি করেছে। সেখানে একজন শিক্ষক হয়ে এমন বেনিয়ম তিনি কিভাবে করলেন সেই প্রশ্নই উঠছে। প্রশ্ন উঠছে ওই শিক্ষকের থেকে ওই স্কুলের কোনও পড়ুয়ার সংক্ৰমন ছড়িয়ে পড়লে সেই দায় কার? যদিও এবিষয়ে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন কতৃক।
সাধারণত প্রাইভেট স্কুলেই পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য অ্যাক্টিভিটি শেখানো হয়ে থাকে। তার মধ্যে নাচ-গান-খেলাধুলো রয়েছে। সরকারি স্কুলে (Govt School) খেলাধুলো-ব্যায়ামের জন্য ব্যবস্থা করা হলেও নাচ-গানের জন্য তেমন কোনও সুবিধা দেওয়া হয় না। এছাড়াও নাচ শেখানোর ক্ষেত্রে মহিলাদেরকেই প্রাথমিকভাবে বেছে নেওয়া হয়। কিন্তু এবারে স্কুলে নাচ শেখাতে দেখা গেল এক শিক্ষককে (Teacher)। এবারে এক সরকারি স্কুলের শিক্ষককে এই কাজ নিজের ইচ্ছাতে পড়ুয়াদের শেখাতে দেখে বেজায় খুশি নেটিজেনরা। আর সেই ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Video)। বেশ কয়েকদিন ধরেই এই ভিডিও নেটমাধ্যমে ভাইরাল।
कमाल की वीडियो है. सरकारी स्कूलों के शिक्षक अगर ठान ले तो तस्वीर बदल सकती है.
— Priya singh (@priyarajputlive) August 24, 2023
इस टीचर को देखिये, कैसे बच्चों को फुल एनर्जी में डांस सीखा रहे हैं. pic.twitter.com/K84WZR0do1
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বরেলির এক সরকারি স্কুলে প্যান্ট-শার্ট পরে এক শিক্ষক নাচ শেখাচ্ছেন স্কুলের কচিকাঁচাদের। তাদের মধ্য়ে সাহস ও উৎসাহ বাড়ানোর জন্যই তিনি তাঁদের নাচ শিখিয়ে চলেছেন। তবে নাচ শেখানোর জন্য নেই কোনও সুন্দর ডান্স রুম ও নেই কোনও তেমন আয়োজন। খোলা আকাশের নীচে, প্রকৃতির মাঝেই নিঃস্বার্থে নাচ শিখিয়ে চলেছেন তিনি। তবে তাঁদের নাচের তালে কমতি নেই উদ্যোগ-উচ্ছ্বাসের। পড়ুয়াদেরও দেখে বোঝা যাচ্ছে, তারা শিক্ষকের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে নাচ শেখার।
ফলে শিক্ষক-পড়ুয়াদের মধ্যে এই সম্পর্ক দেখে বেজায় খুশি নেটিজেনরা। তাছাড়াও সরকারি স্কুলে নাচ শেখাচ্ছেন একজন শিক্ষক, এই দেখেও তাঁর প্রশংসা করেছেন নেটাগরিকরা। এছাড়াও অনেকেই মনে করেন, শিশুদের পড়াশোনার পাশাপাশি এমন অ্যাক্টিভিটি করালে তা পড়ার ক্ষেত্রে মনোযাগী হতে সাহায্য করে।
নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment corruption) মামলায় এই প্রথম গ্রেফতার হলেন ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া চার শিক্ষক। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ আলিপুরের সিবিআই স্পেশাল কোর্টের বিচারক অর্থাৎ অর্পণ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশে গ্রেফতার হলেন ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া চার শিক্ষক। সূত্রের খবর, চার জনেই মুর্শিদাবাদের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়া ৪ শিক্ষকের নাম সিমার হোসেন, জায়গর হুসেন, সৌগত মন্ডল জাহির-উদ্দিন শেখ।
সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিটে উক্ত চার অভিযুক্তকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু এর পরেই এই মামলার বিচারক অর্থাৎ অর্পণ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন করেছিলেন, কেন এই অভিযুক্তদের সাক্ষী হিসেবে রাখা হল। সূত্রের খবর, বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল, এই অযোগ্য শিক্ষকরা ঘুষ দিয়েই চাকরি পেয়েছে। তবে এরা কেন অভিযুক্ত নয়।
এ ঘটনার পর আদালত মারফত সিআরপিসি, ৩১৯ ধারায় তাদেরকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়। আজ অর্থাৎ সোমবার উক্ত চার অভিযুক্ত শিক্ষক আলিপুরের স্পেশাল সিবিআই কোর্টে জামিনের আবেদন করে। এই মামলায় বিচারপতি অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই অভিযুক্তদের জামিন নাকচ করা হয় এবং তাদের আগামী ২১ অগাস্ট অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর আজ অর্থাৎ শুক্রবার এ মামলায় শুনানির সময় বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'এরাই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক চট্টোপাধ্যায় দের ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। এদেরকে রেয়াত করা হবে না।' এরপরই চার প্রাইমারি শিক্ষককে জেল হেফাজতের যেটা নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ফলে নিয়োগ দুর্নীতিতে এই প্রথম কোনও শিক্ষক গ্রেফতার হলেন। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী সহ নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্ট হিসেবে যুক্ত থাকা অনেকেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই তারা গারদের ওপারে।
মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের কথা জানিয়েও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ তাঁর বিরুদ্ধে ইডি ও সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে মানিকের জামিনের আর্জি জানানো হয়নি। আপাতত তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিচারক। পাশাপাশি শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত মামলার তদন্তেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এ বিষয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে শুনানি হবে না আপাতত।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এই মুহূর্তে জেলবন্দি অবস্থায় রয়েছেন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বারবার জামিন খারিজ হচ্ছে তাঁর। এমনকী মানিক ভট্টাচার্য স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার শুনানিতে ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের জন্য প্রস্তুত। তারপর এই মামলায় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চান তাঁরা। বিচারক ইডির আইনজীবীর কাছে জানতে চান, মানিক সংক্রান্ত মামলায় তাঁদের তদন্ত শেষ হয়েছে কি না। এর কিছু সময় পরেই দেখা যায়, আদালতে ইডি-র পক্ষ থেকে একটি নথি পেশ করা হয়। কিন্তু তা পেশ করার আগেই তারা আদালতকে জানায়, চার্জ গঠনের আবেদন তারা করছে না।
নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment corruption) মামলায় ফের ভুয়ো শিক্ষকের (Fake teacher) হদিশ। জানা গিয়েছে, কোচবিহারের শুভ মায়া সূর্য নারায়ণ হাই স্কুলের দুই শিক্ষক হলেন শ্বেতা সিং, লোকেশ ঝা। এই দুই জনের নাম বাতিল হওয়া ৯০২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার তালিকায় রয়েছে। স্কুল কতৃপক্ষ সূত্রে খবর, ওই দুই শিক্ষক একজন হিন্দি ভাষার ও অপরজন সংস্কৃত ভাষার শিক্ষক ছিলেন। পাশাপাশি সূত্রের খবর, ওই একই স্কুলে শিক্ষকতা করেন তৃণমূলের প্রভাবশালী শিক্ষক নেতা সুপ্রকাশ রায়। এ ঘটনা সামনে আসতেই গোটা কোচবিহার জেলায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে দাপুটে এই তৃণমূল নেতা তথা শিক্ষকের স্কুলে এমন ঘটনা ঘটল কিভাবে?
প্রসঙ্গত, ভুয়ো শিক্ষক তালিকায় দার্জিলিং জেলার ২২ জনের নাম থাকায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে শাসক দলের শিক্ষক সংগঠনের নেতা সুপ্রকাশ রায়। তিনি জানান আগাগোড়াই তাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছেন। এক্ষেত্রেও যদি ওই দুই শিক্ষক দোষী প্রমাণিত হন। তাহলে তাঁদের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার। তবে গত চার বছর ধরে সহকর্মী হিসাবে শিক্ষকতা করা কালীন তাঁদের ব্যবহারে কোনরকম অসঙ্গতি ধরা পড়েনি
শুক্রবার, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৯০২ জন শিক্ষকের নাম প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৬ সালে যারা একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর এসএসসি পরীক্ষায় পাস করে অর্থের বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগে উঠেছে। সেই তালিকায় বাগডোগরা শুভমায়া সূর্য নারায়ন হাই স্কুলের দুই শিক্ষকের নাম রয়েছে। যদিও কয়েকদিন ধরে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ওই দুই শিক্ষক স্কুলে আসেন নি। শনিবার ফোনে সংস্কৃত ভাষার শিক্ষক লোকেশ ঝা জানান, তার নাম এই তালিকায় থাকায় তিনি নিজেই আশ্চর্য হয়ে গেছেন। তিনি যে অর্থের বিনিময়ে চাকরি পাননি তা তার ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ঘাটলেই পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওমকার সিং জানান ওই দুই শিক্ষকের বিষয়ে তিনি পরে জানতে পেরেছেন। তবে শিক্ষক হিসেবে তারা খুবই ভালো ছিলেন। দুর্নীতি মামলা ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় তাঁর স্কুলের নাম জড়ানোয় কিছুটা হলেও তিনি অস্বস্তিতে রয়েছেন বলে এদিন জানিয়েছেন।
ঢোলাহাটের মাদ্রাসা স্কুলে শৌচালয়ে নাবালিকাকে আটকে রেখে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত পার্শ্বশিক্ষক। তবুও আতঙ্ক কাটেনি পড়ুয়া ও অভিভাবকদের। সেকারণেই এখনও ওই মাদ্রাসায় পড়ুয়াদের পাঠাতে চাইছেন না তাদের অভিভাবক। ওই স্কুলের এক পড়ুয়ার অভিভাবক জানান, এই ঘটনা শোনার পর থেকে মেয়ে, স্কুল তো দূর কোনও গৃহ শিক্ষকের কাছেও পড়তে যেতে চাইছে না। এ অবস্থায় পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে রিতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। এছাড়া এ ঘটনায় স্কুল কতৃপক্ষের উপরও ক্ষিপ্ত স্থানীয়রা।
সূত্রের খবর, যৌন নিগ্রহের পর ওই ছাত্রীকে স্কুলের শৌচালয়ে আটকে রেখে চম্পট দেয় অভিযুক্ত পার্শ্ব শিক্ষক। ঘটনার খবর পেয়েই ওই নাবালিকার পরিবার ঢোলাহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে, অভিযোগের ভিত্তিতে পার্শ্বশিক্ষক গ্রেফতার হলেও নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দিতে থাকে তৃণমূল নেতারা। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে অভিযোগ, এই ঘটনাকে কার্যত মিথ্যে প্রমান করার চেষ্টা করছে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ, এবং তাঁদের সাহায্য করছে তৃণমূল। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই মাদ্রাসা বিদ্যালয়ে কোনও স্থায়ী শিক্ষক নেই, শুধু পার্শ্বশিক্ষক দ্বারা গোটা বিদ্যালয় চালানো হচ্ছে।
স্থানীয়দের আরও গুরুত্ব অভিযোগ, এর আগেও অভিযুক্ত ওই পার্শ্বশিক্ষকের উপর অন্য ছাত্রীদের উতক্ত করার অভিযোগ ছি, সব জানা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক তাঁকে নিযুক্ত করেছিলেন। নির্যাতিতার দাদা জানিয়েছেন, 'তার বোনের উপর ওই বিদ্যালয়ের পার্শ্বশিক্ষকের এই আচরণ কে ধিক্কার জানাই।' এবং ওই অভিযুক্ত পার্শ্বশিক্ষকের উচিত সাজার দাবি করেছেন নির্যাতিতার পরিবার ও অন্যান্য অভিভাবকরা।
ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলর। এক শিক্ষকের (Threat) কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councilor) বিরুদ্ধে। এমনকি টাকার জন্য বারবার হুমকিও দিচ্ছে কাউন্সিলর, এমনটাই অভিয়োগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি (Panihati) পৌরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। এই গোটা ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে খড়দহ থানায়। এই গোটা ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্য়েই শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিস (Police)। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর হিমাংশু দেব।
সূত্রের খবর, অভিযোগকারী ওই ব্যক্তির নাম সোমনাথ সর্দার। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। পানিহাটি পৌরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একটি বাড়ি কিনেছিলেন তিনি। অভিযোগ, বাড়ি কেনার পর থেকেই ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর হিমাংশু দেব তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চান। এমনকি শিক্ষক সোমনাথ বাবুকে কাউন্সিলর তাঁর বাড়িতে যাওয়ার জন্যও চাপ দেন। পরে কাউন্সিলর-এর বাড়িতে গেলে কাউন্সিলর পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে বলে।
তবে এত টাকা দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন শিক্ষক সোমনাথ সর্দার। আর ঠিক তারপর থেকেই কাউন্সিলর তাঁর দলবলকে শিক্ষকের বাড়িতে পাঠিয়ে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, এমনটাই অভিযোগ করছেন ওই শিক্ষক। ওই শিক্ষকের দাবি, এই ঘটনার পর থেকেই তিনি বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। এমনকি ঘটনায় আতঙ্কিত তাঁর পরিবারের সদস্যরাও, এমনটাই দাবি।
সরকারি স্কুল শিক্ষকদের (School Teacher) কোচিংয়ে রাজ্য গৃহশিক্ষক সংগঠনের (State Home Teachers Association) অভিযান। আর এই অভিযানের পরেই সরকারি শিক্ষকদের সঙ্গে গৃহশিক্ষকদের বচসা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহ (Khardaha) মিশন পাড়া এলাকায়। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, আদালত থেকে রায় দিয়েছিল যে, সরকারি স্কুলে পড়ানো শিক্ষকরা কখনও বাড়িতে কোচিং সেন্টার খুলতে পারবেন না। এমনকি চাকরির পাশাপাশি গৃহশিক্ষক হিসেবে ছাত্রদের পড়াতেও পারবেন না। কিন্তু তা সত্ত্বেও খড়দহ অঞ্চলের সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা বাড়িতে কোচিং সেন্টার খুলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াচ্ছেন। আর এই অভিযোগ পেয়েই রাজ্য গৃহশিক্ষক সংগঠনের শিক্ষকরা বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি শিক্ষকদের কোচিংয়ে অভিযান চালান। অভিযান চালিয়েই সরকারি শিক্ষকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন গৃহশিক্ষকরা।
গৃহশিক্ষক সংগঠনের দাবি, সরকারি স্কুলের বেতন পেয়েও এরা ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং করিয়ে আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে ব্যবসা করে চলেছেন। এরফলে গৃহ শিক্ষকদের যথেষ্ট অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছেই পড়তে যাচ্ছে। যার ফলে অর্থনৈতিক দিক থেকে সংকটে পড়ছেন গৃহশিক্ষকরা।
দুদিন ধরে নিখোঁজ থাকলেও ইডির (ED) তলবে হাজির তৃণমূল (TMC) যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে আজ অর্থাৎ শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয় তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে। সেই মোতাবেক আজ অর্থাৎ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় সিজিও কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছলেন তিনি। সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'ইডিকে ১০০ শতাংশ সহায়তা করব।'
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতেই সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য চার পাতার প্রশ্নমালা তৈরি করেছিল ইডি। সেই মোতাবেক সায়নীর ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আইটি রিটার্ন কপি সহ সায়নীকে হাজির হতে বলা হয়েছিল বলে খবর, সূত্রের আরও খবর, সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দুই জন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পদমর্যাদার ইডি কর্তা সহ আরও অনেকে থাকতে পারেন।
ওদিকে বেলা সাড়ে ১১ টার মধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দিকে আঙ্গুল তোলেন সায়নী।ঘোষ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'আমি প্রচারে ছিলাম, ৪৮ ঘণ্টার নোটিশে ডাকা হয়েছে আমাকে, আমি সশরীরে হাজির হয়েছি। এবং আমি তদন্তে ইডিকে একশো শতাংশ সহযোগিতা করব।'